প্রণয়ের অন্তিমক্ষণ পর্ব ২৪
অনন্যা
সূর্যের প্রখর তাপে চারদিক আজ উত্তপ্ত।ভ্যাপসা গরমে সকলেই অস্থির হয়ে উঠেছে।এই উত্তপ্ত রোদের মাঝে রাস্তায় হাঁটছে কুহু।হঠাৎ তার আজ বাঙ্গির ভার্সিটির কথা মনে পড়েছে।এই সমস্যা ঐ সমস্যা হতেই থাকে তার জীবনে।ভার্সিটি যায় না কতদিন আজ! তবে এখন মনে হচ্ছে বড্ড ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে।এই রোদে কোন ছাগলে ভার্সিটি যায়? ভেতর থেকে উত্তর এলো—“তোর মতো ছাগল থাকতে আবার কে!” কুহু শাসালো তাকে।নিজের সাথে তর্ক বিতর্ক করতে করতেই সে বাস স্ট্যান্ডে এসে দাঁড়ালো।হঠাৎ নিজের কানের কাছে কারো তপ্ত শ্বাস অনুভব করলো।শরীরটা শিরশির করে উঠলো তার।শোনা গেল এক অভিমানি পুরুষালি স্বর
-‘রাতে আসলে না কেন?অপেক্ষা করছিলাম তো।
পরিচিত স্বর শুনে স্বস্থি পেল কুহু।পেছনে ঘুরে তাকাতেই আহনাফের চাপদাড়ি ভরা গালের সাথে তার গাল অল্প ধাক্কা খেল।আহনাফের দাড়ির সাথে ঘষা লাগতেই কুহু চোখ খিঁচে ফেললো।আহনাফ হাসলো তা দেখে।কুহু গালে হাত দিয়ে বললো
-‘দাড়ি তো না যেন বাসন মাজার ধারালো মাজন।আপনার দাড়ির সাথে ঘষা দিলে মনে হয় কালিওয়ালা পাতিলের কালিও উঠে যাবে।বাবাগো!
কুহুর কথা শুনে আহনাফ হো হো করে হেসে ফেললো।এরপর বললো
-‘তোমার পছন্দ না এই দাড়ি?
কুহু বলে উঠলো
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
-‘ছিলা মুরগিও পছন্দ না আপনার।যেমন আছেন এতেই বেশ লাগে।এভাবেই থাকুন তবে দূরে থাকবেন।
আহনাফ বলে উঠলো
-‘গরম প্রচুর।গাড়িতে চলো…ওখানে কথা হবে।
কুহু কপাল কুচকে বললো
-‘আপনার গাড়িতে কেন যেতে যাবো?আজব তো!
আহনাফ অবাক হলো যেন ওর এমন কথায়।পরক্ষণেই বলে উঠলো
-‘আমার গাড়িতে যাবে না তো কার গাড়িতে যাবে? ত্যারামি না করে গাড়িতে উঠো তিলোত্তমা।
কুহু কিছু বলতে নিলে আহনাফ তাকে আটকে গম্ভীর স্বরে বলে উঠলো
-‘আজ থেকে আমার সাথে ভার্সিটি যাবে।বাসে যাবে না আর।এই ব্যাপারে আমি আর কিছু শুনতে চাই না।
কুহু চুপসে গেল।আহনাফ বলে উঠলো
-‘নিজ থেকে যাবে নাকি কোলে করে নিয়ে যাবো?
কুহু ফোঁস করে শ্বাস ছেড়ে আহনাফের গাড়ির দিকে হাঁটা ধরলো।আহনাফের ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠলো।পেছন পেছন সেও এলো।ড্রাইভিং সিটে বসলো সে।কুহু পাশেই বসে।আহনাফ গাড়ি স্টার্ট করলো।কুহুর দিকে একপল তাকালো সে।বড্ড মনমরা লাগছে তাকে।কাল রাতে যখন আহনাফ এলো.. কুহুকে কল করলো, কুহু রিসিভ’ই করলো না।আহনাফ অনেক্ষণ দাঁড়িয়ি থেকে হতাশ হয়ে ফিরে যায়।সাথে রাগও হয় প্রচুর।পরে ভাবলো হয়তো ঘুমিয়ে গেছে।আহনাফ বলে উঠলো
-‘মন খারাপ কেন ম্যাডামের জানতে পারি?
কুহু মলিন হেসে কোলের উপর ব্যাগটাকে একটু জড়িয়ে ধরে বললো
-‘মন খারাপ না।আমার চেহারাই এমন।
আহনাফ এক হাতে স্টেয়ারিং ঘুরিয়ে বললো
-‘মিথ্যা কথা আমার পছন্দ না, তিলোত্তমা।জীবনে যাই হয়ে যাক না কেন মিথ্যা বলো না আমাকে।মিথ্যা আমি সহ্য করতে পারিনা।এখন বলো কি হয়েছে।কালকে রাতে এলে না যে…
রাতের কথা বলতেই কুহুর মুখটা আবার ছোট্ট হয়ে গেল।মাথাটা সিটে এলিয়ে দিল।আয়ানের করা আহাজারিগুলো তার কানে এখনো বাজছে।
-‘আ’আমার সাথে এমন করিস না সুহাসিনী।আমি তোকে ছাড়া বাঁচবো না রে।
আয়ান কুহুর হাত নিজের মুঠোয় নিয়ে ভাঙা স্বরে বললো।কুহু বুঝতে পারছে না কি বলা উচিত তার।হঠাৎ আয়ানকে দেখে সে এমনিতেই চমকে গেছে এখন আবার….
-‘সুহাসিনী! এই সুহাসিনী! আমি তো তোকে ভালোবাসি।আমার ভালোবাসা এভাবে প্রত্যাখ্যান করতে পারিস না তুই।তু’তুই বল না তোর কেমন ছেলে পছন্দ…আ’আমি সেরকম হয়ে যাবো।যা বলবি তাই করবো বিশ্বাস কর।তুই শুধু একবার বল…
কুহুর আয়ানের হাতের মুঠো থেকে নিজের হাতটা ছাড়িয়ে নিল।আয়ান হতভম্ব হয়ে তাকালো সেদিকে। আয়ান আবার ওর হাতটা নিজের মুঠোয় নিয়ে বলে উঠলো
-‘এমন করিস না সুহাসিনী।আমি তো তোকে ভালোবাসি।ঐ আহনাফ কি তোকে আমার চেয়ে বেশি ভালোবাসে?
কুহু বলে উঠলো
-‘এসব বলবেন না ভাইয়া।আমার অস্বস্থি হয়।তাছাড়া আপনাকে…
-‘কি আমাকে?…
আয়ান কুহুর গালের এক পাশে হাত রেখে বললো
-‘সুহাসিনী! লক্ষীটি আমার…এমন করিস না আমার সাথে।তোকে অন্য কারো সাথে দেখার যন্ত্রণা যে আমি সহ্য করতে পারবো না।এত বড় শাস্তি দিস না আমাকে…
আয়ানের গাল বেয়ে জল পড়তে লাগলো।চাঁদের সোনালি আলোয় কুহু তা ঠিক’ই দেখতে পেল।কিন্তু এখানে তার কি করার? ভালোবাসা কি আদেও জোর করে হয়?ভালোবাসা হুট করেই হয়ে যায়।আয়ানকে নিয়ে সে কখনো ওসব ভাবেনি।আয়ানের তার প্রতি দুর্বলতা সম্পর্কে সে জানতো।তাই তো সবসময় ইগনোর করতে চাইতো।কুহুর ভাবনার মাঝেই আয়ান ভাঙা স্বরে বলে উঠলো
-‘আমি সইতে পারবো না রে…এমন করিস না সুহাসিনী…
কুহু জিহ্ব দিয়ে ঠোঁট ভেজালো।এরপর আয়ানের হাতটা শক্ত করে ধরলো।বললো—
-‘ভালোবাসা অনেক অদ্ভুদ একটা জিনিস, ভাইয়া।এটা যখন তখন হয়ে যায়।জোর করে ভালো…
-‘কি জোর করে…এতোগুলো বছর ধরে তোকে আমি ভালোবাসি।সেই ভালোবাসা তোর চোখে পড়েনি? এখন এই দুইদিনের একটা ছেলের জন্য খুব ভালোবাসা উতলে পড়ছে তোর!
আয়ান উচ্চস্বরে বলে উঠলো কথাগুলো।কুহু কেঁপে উঠলো খানিকটা।আয়ান সিক্ত চোখজোড়া বুজে নিজকে ঠাণ্ডা করলো।এরপর নরম স্বরে বলে উঠলো
-‘স’সরি।
-‘আপনাকে আমি আগেও বলেছি যে আপনার প্রতি আমার সেরকম কোনো ফিলিংস নেই।এখন এসব বলার কোনো মানেই হয় না।আপনাকে আমি ভাইয়ের নজরে দেখি।এখন এসব কথা বলে আপনি আমাকে লজ্জায় ফেলছেন।
আয়ান ব্যাথাতুর নয়নে তাকালো তার পানে।কুহু তার হবে না সেই ভাবনাকেও সে ঘৃণা করে।ভাবতেও চায় না এটা সে।সে বলে উঠলো
-‘আহনাফ বড়লোকের ছেলে বলে ওকে এড়াতে পারিসনি তাই না?
কুহু চোখ-মুখ শক্ত করে তাকালো তার দিকে।
-‘ফালতু বকবেন না, ভাইয়া।আপনি নিজেও জানেন কেমন।রাত হয়েছে ঘুমান।সকালে উঠলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
কুহু কথাগুলো বলে চলে যেতে নেয়।আয়ান তখন বলে উঠলো
-‘আমার ভালোবাসাকে পায়ে ঠেলে ওই আহনাফের ভালোবাসা স্বীকার করলি তুই! আমার তো কোনো দোষ ছিল না।আমার ভালোবাসায় তো কোনো খুঁত ছিল না।তাও আমার প্রতি এত নিষ্ঠুর হচ্ছিস কেন? কেন এমন করছিস তুই? একটু ভালোবাসা ভিক্ষা দে না আমায়…একটু ভালোবাস না আমাকে..
আয়ান দুই হাঁটু মুড়ে বসে পড়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে।কুহু আর থাকতে পারে না।দৌঁড়ে চলে যায় ছাদ থেকে।যাওয়ার সময়ও আয়ানের আহাজারি কানে আসে তার।
“যাস না সুহাসিনী…ছেড়ে যাস না..।”
-‘কি ভাবছো এতো?
আহনাফের স্বর শুনে কুহুর ভাবনার সুঁতো ছিড়ে।আহনাফ বলে উঠলো
-‘কোন ভাবনায় ডুবে ছিলে? রাস্তায় একটা কথা পর্যন্ত বললে না।আমি কতকিছু জিজ্ঞাসা করলাম কিছুই বললে না।
কুহু বলে উঠলো
-‘উঁহু কিছু না।উম..এসে গেছি?
আহনাফ মুচকি হেসে বললো
-‘আজ ভার্সিটি বন্ধ।
কুহু হোঁচট খেল যেন।
-‘আজকে বন্ধ?
-‘আজকে কি বার?
-‘কি বার?
আহনাফ ফোঁস করে শ্বাস ছেড়ে ওর মাথায় মৃদু ধাক্কা দিয়ে বললো
-‘শুক্রবার।
-‘অ্যাঁ!!!!!!
-‘হ্যাঁ…
কুহু বোকা বনে গেল।এটা কোনো কথা! ভার্সিটি বলে যে একটা কিছু আছে সেটাই সে ভুলে যাচ্ছিল।আজ এতোগুলো দিন পর যাবে বলে ঠিক করেছিল।আর আজ কিনা শুক্রবার! বাসার একটা কেউ বললো না!! এরা কি মানুষ? উঁহু, বাঙ্গি এরা।কুহুর ভেতর থেকে উত্তর এলো।কুহু বলে উঠলো
-‘তাহলে আপনি আমাকে আগে বললেন না কেন?
আহনাফ দুই কাঁধ উঁচু করে বললো
-‘এমনি….
আহনাফ গাড়ি থেকে নামলো।কুহুও নামলো।অচেনা জায়গা।কুহু আশেপাশে দেখতে লাগলো।ডানপাশটায় চোখ যেতেই মুগ্ধ হলো।নদীর স্রোতধারা বয়ে যাচ্ছে।উপরে বেঞ্চ রয়েছে বসার জন্য।মানুষ নেই একটাও।এতো সুন্দর জায়গা অথচ মানুষ নেই! হঠাৎ তার পেছন থেকে…
-‘সারপ্রাইজ…
চমকে এক প্রকার লাফিয়ে উঠলো কুহু।পেছন থেকে রোদেলা,নিধি,নাতাশা,আদিত,আরিফ,রাফি ওরা বেরিয়ে এলো।কুহু বুকে থুথু দিয়ে বলে উঠলো
-‘বাঙ্গির সারপ্রাইজ…আরেকটু হলে মরতাম।এমন করে কেউ…আল্লাহ গো..
সবাই দাঁত কেলাচ্ছে।কুহু এক ভ্রু উঁচু করে বলে উঠলো
-‘কি ব্যাপার? আজ কি কোনোকিছু আছে নাকি?
আদিত বলে উঠলো
-‘আরে আছে মানে! আজকে জব্বর পার্টি হবে।
-‘কেন?
সবাই মিটমিট করে হাসছে।রোদেলা বলে উঠলো
-‘কারণ আপনি আহনাফ ভাইকে ফাইনাললি মেনে নিয়েছেন, মহারানী।
তার কথার পিঠে নিধি বলে উঠলো
-‘সেই খুশিতে আহনাফ ভাইয়া আজ ট্রিট দিবে আমাদের।সবাই আজকে ঘুরবো, খাবো-দাবো আনন্দ করবো।
কুহু ভড়কে আহনাফের দিকে তাকালো যে কিনা একটা সানগ্লাস পড়ে বড্ড কঠিন মুখে দাঁড়িয়ে আছে।দেখে বোঝার উপায় নেই যে এই ছেলেটা কতটা বাচ্চাসুলভ আচরণ করে কুহুর সামনে।কুহু ওর থেকে নজর সরিয়ে বললো
-‘আমি এসবের কিছু জানিই না।বাসায় বলে আসিনি।আমি কোথাও যাচ্ছি ন..
-‘আয়ানও আসবে তো।
নাতাশা কুহুর কথার মাঝেই বলে উঠলো।কুহু চমকালো যেন।আয়ান ভাইয়া আসবে! তখন’ই একটা বাইক এসে থামলো তাদের সামনে।সবাই সেদিকে তাকালো।আয়ান হেলমেট খুলে চুলগুলো ব্যাকব্রাশ করলো।নাতাশা যেন আরেকবার প্রেমে পড়লো।হায়..! আয়ানের পেছন থেকে একটা মেয়েকে নামতে দেখেই তার হাসি উবে গেল।মেয়েটা কে? আয়ানের সাথে কেন? হাজারটা প্রশ্ন এসে বাজছে মনে।তখন আয়ান এসে সবাইকে হাই হ্যালো জানালো।রাইফা কুহুর বাহুতে মৃদু ধাক্কা দিয়ে ফিসফিস করে বলে উঠলো
-‘তোর হিরো কোনটারে?
কুহু চোখ পাকিয়ে তাকালো।রাইফা ইশারায় অনুরোধ করলো বলতে।কুহু ইশারায় আহনাফকে দেখালো।বিধিবাম! আহনাফের কল আসায় সে সরে যায়।তার পাশে দাঁড়িয়েছিল আদিত যে কিনা হা করে রাইফার দিকে তাকিয়ে।রাইফা ইশারা অনুসরণ করে আদিতের দিকেই তাকিয়েছে।এই ছেলে তাহলে! ও আদিতের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো।আদিত বুকের বাঁ পাশে হাত রাখলো ওর দিকে তাকিয়ে থেকেই।রাইফা কপাল কুচকালো এতে।কেমন ছেলেরে ভাই! রাইফার কাছে মোটেও ভাল্লাগছে না তার তাকানোর ধরণ।কুহুর মুখে আহনাফ সম্পর্কে যা শুনেছিল তার তো কোনোটাই এই ছেলের আছে বলে মনে হচ্ছে না।কুহু কি প্রেমে অন্ধ হয়ে ওসব বললো নাকি? রাইফার ভাবনার মাঝেই কানে এলো
-‘কে তুমি নন্দিনি..? আগে তো দেখেনি..!
ছন্দের মতো বললো আদিত।রাইফা চমকে উঠলো।তাকিয়ে দেখলো সবাই একপাশে সরে গিয়েছে সেই দাঁড়িয়ে এখনো।এই ছেলে তার পাশে আসলো কখন? রাইফা বলে উঠলো
-‘রেসপেক্ট মি…বয়সে বড় হই।আয়ানের বয়সী না তুমি? হ্যাঁ ছোট’ই হও বয়সে।
আদিত খ্যাক খ্যাক করে হেসে উঠলো।
-‘এইটুকু মেয়ে কিনা আমার বয়সে বড়! নাক টিপলে দুধ বের হবে আবার…এনিওয়েজ নাম কি তোমার?
রাইফার বুঝতে পারলো না আহনাফ তার সাথে এভাবে কথা বলছে কেন।এই ছেলির ধরন ভালো ঠেকছে না তার কাছে।কুহুকে বারন করা লাগবে দেখা যাচ্ছে।রাইফা ওর কথার উত্তর না দিয়ে চলে যেতে নেয় তখন’ই বাঁধা পেল ওড়নায়।পেছন ফিরে তাকালো সে।আদিত দুই হাত উঁচু করে স্যালেন্ডার করার মতো করে আছে।তার ঘড়িতে আটকেছে রাইফার ওড়না।আদিত হেসে বললো
-‘আল্লাহ চাইছেন না বোধহয় যে তুমি আমার থেকে দূরে যাও।
রাইফা টানতে লাগলো ওড়না।ওড়না তো এলোই না উল্টো আদিত চলে এলো।রাইফা ভড়কে পেছনে সরে গেল।
-‘আরে আরে…
রাইফা একদম কাছাকাছি এসে থামলো সে।এই প্রথম আদিতের কোনো মেয়েকে দেখে হৃদস্পনন্দন অস্বাভাবিক হলো।এদিকে রাইফা তাকিয়ে ওর ঘড়ির দিকে।হাওয়ায় হাওয়ায় ওর ঘড়ির সাথে ওড়না গিট বেঁধে গেল!! স্ট্রেন্ঞ্জ!!! পরক্ষণেই সে সবটা বুঝতে পারলো।এই ছেলে একটা ফ্ল্যার্টিংবাজ।ইচ্ছা করে করেছে এসব।ছিঃ ছিঃ! সে আদিতকে তার দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে মুচকি হেসে বললো
-‘খুব ভাল্লাগছে না এভাবে তাকিয়ে থাকতে?
আদিত ঘোরের মাঝে থেকেই বললো—“হুম খুবব..।”
রাইফা মুচকি হাসলো এরপরেই অনাকাঙ্খিত একটা ঘটনা ঘটালো সে।আদিত চেঁচিয়ে উঠলো।
-‘যাহ্! চার্জ শেষ?
প্রণয়ের অন্তিমক্ষণ পর্ব ২৩
আদিতের চিৎকারে সবাই চলে এসেছে।আদিত অবাক নয়নে ওর দিকে তাকিয়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছে।রাফি বলে উঠলো
-‘ভাই এমনে মান-ইজ্জত মাইরেন না।ওটা কি হাত দিয়ে ধরে রাখার জায়গা?
মেয়েরা আর এগোলো না।আদিত চোখ রাঙালো রাফিকে।আরিফ তাদের’ই দেখছিল যার দরূন ঘটনা তার জানা।সে হো হো করে হাসছে।আহনাফ কপাল কুচকে তাকিয়ে।
