প্রণয়ের অন্তিমক্ষণ পর্ব ৮

প্রণয়ের অন্তিমক্ষণ পর্ব ৮
অনন্যা

-‘ভাই একটু তাড়াতাড়ি চালান না….এটা সিনেমা না তো যে শ্লো মোশনে চালাচ্ছেন!
আনোয়ারা বেগম বললেন
-‘বাবা একটু তাড়াতাড়ি চালাও…রাস্তায়’ই তো মরে যাবে এভাবে গাড়ি চালালে।
ড্রাইভার শুনলো তবে কিছু বললো না।এদিকে কুহু না পারছে বলতে না পারছে সইতে।সে শুধু শুধুই আহনাফকে খাটাশ বলে।আসল খাটাশ তো তার বাড়িতেই।অ্যাম্বুলেন্স ডেকে ফেললো তবুও একটাবার চোখে পানি ছেটালো না! হঠাৎ আয়ান বলে উঠলো

-‘টিক টিক শব্দ আসছে কোথা থেকে? আমরা তো কেউ ঘড়ি পড়িনি।আর ঘড়ির শব্দও তো এমন না।
আনোয়ারা বেগমেরও কপাল কুচকে এলো।সত্যিই তো।অনেকক্ষণ ধরে হচ্ছে শব্দটা।কিন্তু এটা কীসের শব্দ? এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে হঠাৎ তার নজর গেল আয়ানের বসা জায়গাটার দিকে।নিচের দিকে তাকাতেই তার আত্মা কেঁপে উঠলো। বোম! আনোয়ারা বেগম চেঁচিয়ে উঠলেন
-‘ও খোদা! এতো দেখি বোম! আয়ান!!
আয়ান নিচের দিকে উঁকি দিতে লাফিয়ে উঠলো।
-‘এ ভাই..গাড়ি থামান..অ্যাম্বুলেন্সে বোম…
ড্রাইভার হতভম্ব হয়ে গেল।এদিকে কুহু এটা শুনেই ধরফরিয়ে উঠে বসলো।আয়ান তা দেখে আরো ভড়কে গেল।ভয়ে আনোয়ারা বেগমের কোলে উঠে গেল সে চেঁচিয়ে উঠলো—“ওমাগো..!” আনোয়ারা বেগম নিজেও চমকে গেছেন।কুহু এদিকে ভয়ার্ত স্বরে বলে উঠলো

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-‘কো’কোথায় বোম? আল্লাহগো!
আয়ান মায়ের সাথে চেপে বসে রয়েছে।সে হাত দিয়ে দেখালো।কুহু তা দেখতেই চেঁচিয়ে উঠলো
-‘আআআআ…এই খাটাশ ড্রাইভার গাড়ি থামান না কেন?
ড্রাইভার ভয়ার্ত স্বরে বলে উঠলো
-‘গা’গাড়ির তো ব্রেক ফেইল হয়ে গেছে।
কুহু আর আয়ান বলে উঠলো—“আবার!” কুহু চেঁচিয়ে উঠলো
-‘মানুষ অ্যাম্বুলেন্সে উঠে বাঁচার আশায়।আর এখানে দেখো! অ্যাম্বোলেন্সে বোম নিয়ে ঘুরছে।আবার এখন বলছে ব্রেইক ফেল! ঘোড়ার অ্যাম্বুলেন্স!
ড্রাইভার বলে উঠলো

-‘ এটা এমপির বাড়ি যাওয়ার কথা।এজন্য’ই হয়তো কেউ….
কুহু আয়ানের কলার ধরে ওকে ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে চেঁচিয়ে বলতে লাগলো
-‘এই আয়ানের বাচ্চা! তোকে অ্যাম্বুলেন্স আনতে কে বলেছিল? চোখে পানি ছেটালেই তো হতো! এই খাটাশ! কথা বলিস না কেন? এখন কি হবে?
আনোয়ারা বেগম কিছু বলতে যাবে তখন ড্রাইভার গাড়ি থেকে লাফ মেরে দেয়।সবার চোখ বড়বড় হয়ে যায়। কুহু কান্না করে ফেললো।
-‘আল্লাহ জীবনে আর মরার অভিনয় করবো না।এবারের মতো বাঁচিয়ে দাও আল্লাহ।
আনোয়ারা বেগম তেঁতে বলে উঠলেন

-‘মুখপুড়ী তুই অভিনয় করছিলি!?
আয়ান বললো—“আরেহ ছাতার মাথা! চুপ করবে তোমরা? জীবন নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে গেছে আর এরা..!”
আয়ান কুহুর দিকে তাকালো।কুহুও তাকালো।এদিকে গাড়ি এলোপাথারি যাচ্ছে।যেকোনো মুহূর্তে এক্সিডেন্ট ঘটবে।আয়ান বলে উঠলো
-‘আর কোনো উপায় নেই।কুহুও মাথা নাড়ালো।আয়ান দরজাটা খুলে ফেললো অ্যাম্বুলেন্সের।আনোয়ারা বেগম কপাল কুচকে ওদের দুজনকে দেখছে।উনি বলে উঠলেন
-‘এই যা করার তাড়াতাড়ি কর।বাড়িতে গিয়ে রান্না বসাতে হবে আমার।কত কাজ বাকি!
আয়ান বোকা বনে গেল এহেন কথায়।বাঁচবে কিনা তার নেই ঠিক আর তার মা আছে বাড়ির কাজ নিয়ে।এদিকে আয়ানকে এতো ভাবতে দেখে কুহু ওর পা/ছায় একটা লাথি দিয়ে ওকে ফেলে দিল অ্যাম্বুলেন্স থেকে।ভাগ্যিস পেছনে কোনো গাড়ি ছিল না!

আনোয়ারা বেগম হা হয়ে গেলেন।উনি কিছু বলতে গেলে কুহু ওনার হাত ধরে জাম্প মারলো গাড়ি থেকে।আনোয়ারা বেগম এমন সময়ও কুহুকে বকতে ভুললেন না।
-‘মুখপুড়ী, কলঙ্কিনী, অপয়া মেয়ে কোথাকার!! আআআ…
অ্যাম্বুলেন্সটা এলোপাথারি যেতে যেতে খাদে পড়ে গেল।আর তখন’ই বিকট একটা শব্দ হলো।মানুষজন গাড়ি থামিয়ে এগিয়ে এলো।তিনজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে রাস্তায়।মানুষজন ভিড় জমাতে লাগলো।কেউ বা ভিডিও করতে লাগলো তাও একটা মানুষ এগিয়ে এলো না তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য।এদিকে কুহু ঝাপসা ঝাপসা দেখতে লাগলো সব।জ্ঞান হারানোর আগে একটা কথাই বললো
-‘বাঙ্গির কপাল!

সকাল গড়িয়ে বিকাল।সকালের সেই দূর্ঘটনা এখন সব টিভি চ্যানেলেও দেখাচ্ছে।শুক্রবার ছিল আজ। যার দরূন আহনাফও বাসায় ছিল আজ।সে টিভি চ্যানেলে দূর্ঘটনার খবর দেখছে।রাগ তার আকাশ ছুঁইছুঁই।দাঁতে দাঁত চেপে দেখছে সে।ঠিক তখন তার ফোনটা বেজে উঠলো।আহনাফ একটাবার দেখলোও না কে কল করেছে।বারবার বাজতে থাকলে সে ফোনটা আছাড় মারে।মাথার চুল খাঁমছে ধরলো সে।
-‘আআআআ..কি করে..কি করে প্ল্যান ফ্লপ হলো..?আআআআ..!
টিভিতে তখন খবরের চ্যানেল’ই চলছিল।সাংবাদিক হঠাৎ বলে উঠলেন

-‘সকালের সেই মর্মান্তিক দূর্ঘটনার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের নাম জানা গিয়েছে।তারা হলেন..জলিল আহমেদ, আয়ান সিদ্দিকি, আনোয়ারা সিদ্দিকি এবং কুহু শেখ। জানা গেছে তাদের মাঝে একজন নিহতও হয়েছেন। তাছাড়া….
আহনাফ এক মুহূর্তের জন্য থমকে গেল।মাথা উঁচু করে টিভির দিকে তাকালো সে। বিরবির করে আওড়ালো…”কুহু শেখ!” সে দৌঁড়ে টিভির কাছে গেল।টিভির হেড লাইনে উঠছে সবার নাম। আহনাফের নিজের চোখকে বিশ্বাস হচ্ছে না।আহনাফ পর মুহূর্তেই হেসে বলতে লাগলো
-‘নাহ…আ’আমার তিলোত্তমা না..তিলোত্তমা অ্যাম্বুলেন্সে কেন আসতে যাবে? নাহ্..নাহ্..

ঠিক তখন প্রত্যেকের চেহারা দেখাতে লাগলো চ্যানেলটাতে।আর বারবার বলা হচ্ছে যে একজন মারা গিয়েছে।তবে কে মারা গেছে তা এখনো জানা যায়নি।কুহুর ছবিটা আসতেই আহনাফ থমকে গেল।কিন্তু কুহু কোথা থেকে চলে আসলো সেটা তার বুঝে আসছে না।আর না সে আপাতত এসব ভাবতে চাইছে।তার মাথায় একটা কথাই ঘোরপাক খাচ্ছে…”সেই নিহত ব্যক্তিটা কে?..তিলোত্তমা?..নাহ্..নাহ্..” আহনাফ আর এক মুহূর্ত দেরি না করে গাড়ির চাবিটা নিয়ে বেরিয়ে পড়লো।দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে হুমড়ি খেয়ে পড়ার অবস্থা তার।

কাঁপা কাঁপা হাতে গাড়ি স্টার্ট করলো সে।হাই স্প্রিডে গাড়ি চালাতে লাগলো।চোখ ঝাপসা হয়ে গেল তার।আহনাফের চোখ লাল হয়ে গেল এক পর্যায়।বড্ড বিরক্ত হলো সে। এই মেয়ে আহনাফ শাহরিয়ারকে কান্না করিয়ে ছাড়লো! ভাবা যায়! আহনাফ লাস্ট কবে কান্না করেছিল?তার পনেরো বছর বয়সেই তো..ঠিক যখন তার মা মা/রা যায়।আর আজকে কাঁদলো সে। একবার এই মেয়েকে হাতে পাক সে সব উসুল করে ছাড়বে।আহনাফ কোনোমতে হাসপাতালে পৌঁছালো।হাসপাতাল মিডিয়ায় ভরপুর।কারণ এখানে এমপি সাখাওয়াত আলমও ভর্তি হয়েছেন।যাকে আনতে অ্যাম্বুলেন্সটার যাওয়ার কথা।
আহনাফ দাঁতে দাঁত চেপে গালি দিল কয়েকটা।গাড়িতে রাখা মাস্ক আর ক্যাপটা পড়ে বেরিয়ে গেল সে।ধাক্কাধাক্কি করে কোনোমতে ভেতরে গেল সে।রিসিপশনে গিয়ে “কুহু” নাম বলতেই লোকটা বললো

-‘আপনি কি ওনার বাড়ির লোক?
আহনাফ উপর নিচ মাথা নাড়ালো।লোকটা বলে উঠলো
-‘মা/রা গেছে। লা/শ মর্গে রাখা হয়েছে।
আহনাফ থমকে গেল।মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিল তার।মনে হলো যেন সে ভুল শুনেছে।সে ভুল শুনেছে নাকি জানতে আবার জিজ্ঞাসা করলো সে
-‘বুঝিনি..আবার বলবেন প্লিজ..?
-‘মা/রা গিয়েছেন।
আহনাফের মনে হলো যেন তার বুক বরাবর কেউ তীর ছুঁড়ে মেরেছে। তার তিলোত্তমা..তিলোত্তমা নেই?নাহ্ এটা হতে পারে না।এখনো তো তাদের কত পথ চলা বাকি একসাথে।পথ চলাটা শুরুই বা হলো কোথায়?তিলোত্তমা তাকে ছেড়ে যেতে পারে না।এখনো তো মনের কথাটাই জানানো হলো না তাকে। সে পেছনে যেতে যেতে হঠাৎ কারোর সাথে ধাক্কা খেল।

-‘ বাঙ্গির নাতি! কোলে এসে পড়বেন নাকি!
আহনাফ চমকালো কথাটা শুনে।সে তাৎক্ষণাৎ পেছনে ঘুরলো। অবিশ্বাস্য চাহনি তার। তার তিলোত্তমা!মাথায় ব্যান্ডেজ, হাতে ব্যান্ডেজ। আহনাফ থমকে গেল।কুহু আহনাফকে মাস্ক আর ক্যাপ পড়ায় চিনতে পারলো না। আহনাফের মনে হলো সে ভুল দেখছে।পরক্ষণেই কুহু বলে উঠলো
-‘ বাঙ্গির নানা! সরেন তো..

আহনাফ বুঝলো এটা সত্যিই তার তিলোত্তমা।আহনাফ জাপটে জড়িয়ে ধরলো তাকে।কুহুর ব্যান্ডেজকৃত হাতটাতে চাপ লাগলো এতে।কুহু চেঁচিয়ে উঠলো।আহনাফের সেসবে খেয়াল নেই।সে তার তিলোত্তমাকে জড়িয়ে ধরে বাচ্চাদের মতো কাঁদছে।কুহু প্রথমে চেঁচালেও পরক্ষণে থেমে গেল আহনাফের কান্নার শব্দে।
-‘আমার তিলোত্তমা…আমার জান…আমার কলিজা..কেন ঐ অ্যাম্বুলেন্সে উঠেছিলে তুমি..?
আহনাফ মাস্ক খুলে ফেললো।কুহুর মুখে এলোপাথারি চুমু খেতে লাগলো সে।আশেপাশের মানুষ তাদের দিকেই তাকিয়ে।কুহু বোকা বনে গেল। আহনাফ! এই খাটাশ লোকটা কোথা থেকে এলো? আর কি করছে এসব? আহনাফ নিজেকে সামলাতে ব্যর্থ হয়েছে।সে কেঁদেই চলেছে।তার আত্মাটাই তো বেরিয়ে গিয়েছিল আরেকটুর জন্য।কুহু বলে উঠলো

-‘ ক’কি করছেন? সবাই দেখছে…
আহনাফের সেসবে খেয়াল নেই।সে কাঁদছে।কুহুর কি হলো কে জানে? সে আহনাফের পিঠে হাত রাখলো।
-‘শান্ত হন…ঠিক আছি আমি।মানুষ দেখছে…কান্না থামান।
আহনাফ হেচকি তুলে কাঁদছে।কুহু হতভম্ব! তার জন্য কেউ কাঁদছে! এটাই বুঝি প্রথম।কিন্তু কেন কাঁদছে? তার তো কিছুই নেই।না আছে রূপ না আছে ভালো কোনো গুণ।এদিকে আহনাফ কেঁদেই চলেছে।কুহু কয়েকবার ভালো মতো থামতে বললো।কিন্তু সে থামলো না।কুহু এবার চেঁচিয়ে বললো
-‘এই খাটাশ! থামতে বলছি না আমি! চোখ না ঝর্ণা যে থামতেছে না!
আহনাফ থামলো..অনেকটা সময় নিয়ে।সে হঠাৎ কুহুকে ছেড়ে রিসেপশনে গিয়ে রিসেপসনিস্টকে এলোপাথারি মারতে লাগলো।

-‘ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য বসিয়েছে তোকে এখানে?
লোকটা বলে উঠলো
-‘আরেহ ভাই আপনি পুরো নামটা তো বলবেন…আআআ..ওরিমাআআ..আরেহ..কুহু নামে আজ’ই মা/রা গিয়েছে একজন।আল্লাহ গোওও.. পুরো নাম তো বলবেন..
আহনাফ থামলো না।কুহু বলে উঠলো
-‘বাঙ্গির কপাল! সকাল থেকে আজ সবাই আমাকে মারতেই আছে।যত দোষ আয়ান ঘোষ।খাটাশটা চোখে পানি ছেটালেই আর আজ এতো কিছু হতো না।
সবার নজর এদিকে চলে আসলো।আহনাফ বললো

-‘এই শা/লা! তুই আমাকে বলেছিস পুরো নাম বলতে? বিশ্বাস..আজ’ই তোকে জ্যান্ত পুঁতে দিতাম আমি।একটুর জন্য হার্ট ফেল করিনি আমি।তোর এই একটা নিউজে আমার কি অবস্থা হয়েছিল ধারণা আছে!
-‘ভাই মাফ করে দেন…আর হবে না..
আহনাফ ওর মাথায় একটা গাট্টা মেরে চলে আসলো।কুহু গুটিশুটি মেরে দাঁড়িয়ে রয়েছে।আহনাফ নরম সুরে বলে উঠলো
-‘তুমি ঠিক আছো?
কুহু উপর নিচ মাথা নাড়ালো। আহনাফ পেছনে ঘুরে লোকটাকে আবার চোখ দিয়ে শাসালো।এরপর বলে উঠলো
-‘তুমি অ্যাম্বুলেন্সে কি করছিলে?
কুহু বলে উঠলো

-‘নিশ্চই পিকনিকে যেতে উঠিনি হসপিটাল আসতেই উঠেছিলাম।
আহনাফের এমনিতেই রাগ উঠে রয়েছে তার উপর এই মেয়ের ত্যাড়া কথা।তাও সে ঠাণ্ডা মাথায় বললো
-‘কার কি হয়েছিল?
-‘আগে আমার পরিবার খুঁজে দিন।ওদের খুঁজে পাচ্ছি না।
আহনাফ ‘চ’ সূচক শব্দ করে রিসেপশনে গেল।পেছন পেছন কুহুও গেল।লোকটা ভয়ে কাঁপতে লাগলো।আহনাফ গম্ভীর কণ্ঠে বললো
-‘আয়ান সিদ্দিকি আর আনোয়ারা সিদ্দিকি…
লোকটা কাঁপতে কাঁপতে বললো
-‘আ’আয়ান সিদ্দিকি মারা গেছে।আর আনো…
কুহু ঐ মুহূর্তে বলে উঠলো

প্রণয়ের অন্তিমক্ষণ পর্ব ৭

-‘কিন্তু আয়ান ভাইয়াকে তো আমি একটু আগে জুস খেতে দেখে আসলাম।আমি তো মামিকে খুঁজে পাচ্ছি না।
আহনাফ দুইদিকে ঘাড় বাঁকালো।লোকটা একটা শুকনো ঢোক গিলে আহনাফের দিকে তাকালো। এখন তার একটা কথাই মাথায় আসলো…”খাতাম, টাটা,বাই,বাই..!”

প্রণয়ের অন্তিমক্ষণ পর্ব ৯

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here