প্রণয়ের অমল কাব্য পর্ব ৬৬

প্রণয়ের অমল কাব্য পর্ব ৬৬
Drm Shohag

ইরফান মাইরাকে ছেড়ে বা হাতে মাইরাকে নিজের সাথে জড়িয়ে ডান হাতে মাইরার মুখ মুছে দেয়। মৃদুস্বরে বলে,
– কি খাবে?
মাইরা নাক টেনে বলে,
– আমি ফুসকা খেতে চাই।
ইরফান ভ্রু কুঁচকে বলে,
– পেটে কিছু আছে? ফুচকা পরে খাবে, এর আগে কি খাবে বলো?
মাইরা কিছু বলল না। ইরফান মাইরাকে কোল থেকে নামিয়ে দেয়। এরপর বেড থেকে উঠতে নিলে মাইরা ইরফানের হাত টেনে বলে,
– কোথায় যাচ্ছেন?
ইরফান মাইরার দিকে তাকায়। ম মৃদুস্বরে বলে,

– কোথাও যেতাম না।
মাইরা চোখ ছোট ছোট করে বলে,
– উঠছিলেন যে?
ইরফান মাইরার গালে হাত দিয়ে বলে,
– শুদ্ধ কে খাবার এনে দিতে বলব। আমার কাছে আমার ফোন নেই।
মাইরা তার বেডের পাশ থেকে ইনায়ার ফোন নিয়ে ইরফানের হাতের দিয়ে বলে,
– এই ফোন দিয়ে ফোন দিন। যেতে হবে না আপনাকে।
ইরফান সামান্য ঠোঁট বাঁকালো। ইনায়ার ফোন থেকে শুদ্ধকে কল দিয়ে কথা বলতে থাকে। মাইরা ইরফানের বা হাতের শার্টের হাতা গুটিয়ে কনুই পর্যন্ত সুন্দর করে ভাঁজ করে দিল। এরপর ইরফানের ডান কান থেকে বাম কানে ফোন ধরিয়ে দিয়ে ইরফানের বা হাতে ফোন ধরতে বলে। ইরফান নিরবে মেনে নিল। ফোনে কথা বলতে বলতে মাইরার কার্যকলাপ দেখতে থাকে।
মাইরা ইরফানের ডান হাতের শার্টের হাতাও গুটিয়ে দিল কনুই পর্যন্ত। ইরফান কল কেটে ফোন রাখল পাশে। মাইরা তার কাজ শেষ করে ইরফানের দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বলে,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

– এখন আপনাকে একটু মানুষ মানুষ লাগছে।
ইরফান চোখ ছোট ছোট করে বলে,
– এতোক্ষণ কি লাগছিল?
মাইরা মিটিমিটি হেসে বলে,
– এমনিতেও আপনি গণ্ডার। আর কিছুক্ষণ আগে আপনাকে পা’গ’ল গণ্ডারের আপডেট ভার্সন লাগছিল।
ইরফান চোখমুখ কুঁচকে বলে,
– স্টুপিট তুমি ভালো হবে না?
মাইরা ইনোসেন্ট ফেস বানিয়ে বলে,
– আমি তো ভালোই।
কথাটা বলতে বলতে দু’হাতে ইরফানের এলোমেলো চুলগুলো সুন্দর করে ঠিক করে দেয়।
ইরফান মাইরার গালে হাত দিয়ে মাইরার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে,

– এতো বড় হয়েছ কবে?
মাইরা মুখ ফুলিয়ে বলে,
– আমি বড়-ই ছিলাম। আপনি বুঝতেন না, সেটা কার দোষ?
ইরফান গম্ভীর গলায় বলে,
– লিটল গার্ল হয়ে যাও। এতো বড় হতে হবে না।
মাইরা চোখ ছোট ছোট করে বলে,
– আগে যে সারাদিন বলতেন বড় হবো কবে? কেন বলতেন?
ইরফান ঠোঁট বাঁকিয়ে বলে,
– কজ….
মাইরা দু’হাতে ইরফানের মুখ চেপে ধরে দু’দিকে মাথা নাড়িয়ে বলে,
– শুনবো না।
ইরফান তার মুখ থেকে মাইরার হাত সরিয়ে মৃদুস্বরে বলে,

– হোয়াই?
মাইরা মিনমিন করে বলে,
– আমি জানি।
ইরফান ঠোঁট বাঁকিয়ে বলে,
– কি জানো?
মাইরা চোখ নিচে নামিয়ে আমতা আমতা করে বলে,
– আমার ক্ষুধা লেগেছে। আমি খাবো।
ইরফান নিঃশব্দে হাসল। মাইরাকে নিজের সাথে জড়িয়ে নিল। মাইরা কাচুমাচু হয়ে ইরফানের বুকে সেঁটে থাকলো।

মাইরা খেয়ে ঘুমিয়েছে। ইরফান, শুদ্ধ, ফাইজ, তারেক নেওয়াজ, সীমান্ত সহ আরও দু’জন সিনিয়র নিউরোলজিস্ট মিলে একটি মিটিং রুমে বসেছে।
মূলত নিউরোলজিস্ট দু’জন মাইরার রিপোর্ট দেখে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা করে তাদের বক্তব্য রাখে,
– পেসেন্ট কে যতদ্রুত সম্ভব অপারেশন করাতে হবে। তোমরা চাইলে অপারেশনের সব ব্যবস্থা করব।
ইরফান কথাটা শোনা মাত্র-ই বসা থেকে দাঁড়িয়ে যায়। সবাই ইরফানের দিকে তাকায়। শুদ্ধ দ্রুত উঠে ইরফানের পাশে দাঁড়িয়ে বলে,
– উঠলি কেন? বস।
ইরফান সামনে বসা দু’জন আধবয়সী লোকদের উদ্দেশ্যে শক্ত কণ্ঠে বলে,
– নো নিড আঙ্কেল। আমি আমার ওয়াইফের ব্রেইন নিয়ে ডিল করতে আসিনি। ডিল আমি বিজনেসে করি। নট ট্রিটমেন্ট।
কথাটা বলে মিটিং রুম থেকে গটগট পায়ে বেরিয়ে যায়। তারেক নেওয়াজ দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। ব্যবসা সূত্রে তার মোটামুটি অনেক বড় বড় মানুষদের সাথেই চেনাজানা আছে। তাদের মধ্যে এই নিউরোলজিস্ট দু’জন তার বেশ ভালো পরিচিত। একজন বলে ওঠে,

– তারেক তোমার ছেলে বুঝতে চাইছে না কেন? উল্টে আমাদের ভুল বুঝছে। এছাড়া আমাদের হাতে আর কোনো উপায় নেই।
তারেক নেওয়াজ উঠে দাঁড়ালেন। সামনে বসা দু’জন ডক্টরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বলে,
– জানোই তো ও কেমন। কিছু মনে কর না। ওকে বুঝিয়ে বলছি আমরা।
কথাটা বলে তারেক নেওয়াজ বেরিয়ে যায়। ইরফানের পিছু পিছু শুদ্ধ আর ফাইজ বেরিয়ে গিয়েছে। সীমান্ত তার সিনিয়র ডক্টরদের সালাম দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।

ইরফান হসপিটালের করিডরে দাঁড়িয়ে আছে। দৃষ্টি ব্যস্ত শহরটায়। চোখেমুখে অসহায়ত্ব। তার বার্ডফ্লাওয়ার ছাড়া সে নিজেকে কল্পনা করতে পারে না। সে নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পায় না। কবে বার্ডফ্লাওয়ার তার এতো আপন হয়ে গেল? শুধু আপন? নাহ, ওইটুকুতে সীমাবদ্ধ নেই। বার্ডফ্লাওয়ার তার আসক্তির চেয়েও ভ’য়া’ব’হ কিছু। বার্ডফ্লাওয়ার ছাড়া শিসওয়ালা অপূর্ণ না?
ইরফানের মন থেকে উত্তর আসে, – অবশ্যই।
ঝাপসা আলোয় আলোকিত আকাশপানে অসহায়ত্বে ঘেরা দৃষ্টি রেখে ইরফান বিড়বিড় করে,
– বার্ডফ্লাওয়ার?
ইরফানের কণ্ঠে একটুও জোর নেই। আওয়াজ বেরোতে চায় না। ইরফান নিজেকে সামলে নিতে চেষ্টা করে। দু’হাত জমা করে মুখের সামনে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রাখে। মাইরার হাসিমুখ চোখের সামনে ভেসে ওঠে। সেই চঞ্চল মেয়ে, যাকে সে একবিন্দু টলারেট করতে পারতো না। আজ তাকে ছাড়া বাঁচার কথা ভাবনাতে আনতে পারে না। ওভাবেই বিড়বিড় করে,

– ইউ নো বার্ডফ্লাওয়ার? আমি তোমার কিচ্ছু হতে দিব না।
হঠাৎ-ই মাথায় কিছু আসে। দ্রুত পকেট থেকে ফোন বের করে। বেশ কিছুক্ষণ ফোনে ঘেঁটে ঘেটে কারো নাম্বারে কল করে। ওপাশ থেকে কল রিসিভ হয় না। ইরফান বিরক্ত হয়। বার-বার কল করতে থাকে। প্রায় পাঁচ বার কল কেটে যাওয়ার পর ষষ্ঠ বার কল রিসিভ হয়। ইরফান সালাম দেয়। ওপাশ থেকে সালাম এর উত্তর নেয় কেউ। ইরফান গলা ঝেড়ে বলে,

– আঙ্কেল আমি ইরফান।
ওপাশ থেকে বলে,
– আরে ইরফান আব্বু কেমন আছো?
ইরফান টুকটাক কথা বলে। এরপর জিজ্ঞেস করে,
– আঙ্কেল তুমি কোথায়?
– আমি তো চট্টগ্রাম আব্বু। কেন কি হয়েছে?
– তুমি কি টোটালি পেশেন্ট দেখা অফ রেখেছ আঙ্কেল?
– নিজেদের প্রয়োজনে দেখি আব্বু।
ইরফান ছোট করে বলে,
– আঙ্কেল তুমি তোমার সকল কলিগদের তোমার বাসায় ইনভাইট কর। আমি নেক্সট টু আওয়ারস্ এর মধ্যেই তোমার বাসায় আসছি।
অপাশের ব্যক্তি অবাক হয়ে বলে,
– ইরফান আব্বু তুমি কি চট্টগ্রামে?
ইরফান মৃদুস্বরে বলে,

– আমি ঢাকায় আঙ্কেল। তোমাকে যা বললাম। এটা কর।
কথাটা বলেই ইরফান কল কেটে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
ধরণীতে সন্ধ্যা নামবে নামবে ভাব। সীমান্ত ইরফানের পাশে এসে দাঁড়ায়। ইরফানকে স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চুপ থাকে। কিছু সময় পেরোলে গলা ঝেড়ে ডাকে,
– ইরফান?
ইরফান সীমান্তের ডাকে একটু নড়েচড়ে দাঁড়ায়। তবে কিছু বলে না। সীমান্ত মৃদুস্বরে বলে,
– রিস্ক না নিলে কি করে হবে বল তো?
ইরফান সাথে সাথে ঘাড় ঘুরিয়ে সীমান্তের দিকে তাকায়। সীমান্তের কলার ধরে দাঁতে দাঁত চেপে বলে,
– আমি নিব না কোনো রিস্ক। আমার বার্ডফ্লাওয়ারের ক্ষেত্রে কোনো রিস্ক নিব না আমি। শুনতে পেয়েছিস? তোদের এই টাকা কামানোর মেশিন রূপি ডক্টরদের আর একবার আমার সামনে দেখলে, আই সোয়ার, সবকটাকে মার্ডার করে ফেলব।
সীমান্ত চোখ বড় বড় করে বলে,

– আরে কি বলছিস? তারা ভালো মা…
ইরফান রে’গে বলে,
– ভালো মাই ফুট। ওরা আমার বার্ডফ্লাওয়ারের রিপোর্ট টাই তো ঠিক করে দেখেনি। আর বলে দিল, অপারেশন করাতে হবে। আমার বার্ডফ্লাওয়ারের ব্রেইন কি ওরা ফুটবল ভেবেছে? যে ওরা বলবে, আর আমি ওদের খেলতে দিব?
সীমান্ত কিছু বলার মতো খুঁজে পায় না। ইরফান আবারও রে’গে বলে,
– তুই আমায় এই নিউজ আরও আগে কেন দিলি না বল? ও তোদের হসপিটালে আরও তিন মান্ত আগে এসেছে, আমি কেন জানলাম না? এখন আমি কি করব? আমার বার্ডফ্লাওয়ার…..

কথা জড়িয়ে আসে ইরফানের। সীমান্ত অসহায় চোখে তাকায় ইরফানের দিকে। ছেলেটা নিজেও জানে, বোঝে। অথচ অবুঝের মতো আচরণ করছে। শুদ্ধ, ফাইজ এগিয়ে এসে ইরফানকে ছাড়িয়ে নেয় সীমান্তের থেকে। ইরফান চোখ বুজে নিল। শুদ্ধ ইরফানের কাঁধে হাত রেখে বলে,
– এতো ভয় পাচ্ছিস কেন? অনেক পেসেন্ট সুস্থ হয়ে যায়। নিজেকে শক্ত কর।
ইরফান শুদ্ধর হাত তার কাঁধ থেকে ঝাড়া দিয়ে রে’গে বলে,
– আমি আমার বার্ডফ্লাওয়ারের অপারেশন করাবো না। ওরা বিজনেস করতে চাইছে।
ফাইজ অপর পাশ থেকে বলে,
– ইরফান আমাদের কথাটা…
ইরফান চিৎকার করে বলে,
– আমি কারো কথা শুনতে চাই না। লিভ মি এলোঙ। আমার বার্ডফ্লাওয়ার কে নিয়ে কাউকে ভাবতে হবে না।
তারেক নেওয়াজ ইরফানের চিৎকার শুনে এগিয়ে আসে। ইরফান এগিয়ে যেতে গিয়ে তার বাবাকে দেখে দাঁড়িয়ে যায়। তারেক নেওয়াজ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতে নেয়,

– ইরফান…
ইরফান অসহায় কণ্ঠে বলে,
– বাবা প্লিজ! অপরেশন ছাড়া বাকি ৯৯৯ টি ওয়ে আমি অবলম্বন করব, যেকোনো একটি ওয়েতে বার্ডফ্লাওয়ার ঠিক সুস্থ হয়ে যাবে। এই টপিকে আমার সাথে কেউ কোনো কথা বলবে না।
তারেক নেওয়াজ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,
– এখন কি করবে?
ইরফান মাইরার কেবিনের দিকে যেতে যেতে বলে,
– ইয়ামিন আঙ্কেল চট্টগ্রামে। আমি আর কিছুক্ষণের মাঝেই চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হব।
তারেক নেওয়াজ অবাক হয়ে বলেন,
– তুমি তার খোঁজ কোথায় পেলে?
ইরফানের ছোট করে বলে,
– পেয়েছি।
তারেক নেওয়াজ ভীষণ অবাক হয়। ১২ বছরের বেশি হবে ইয়ামিন এর সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই বললেই চলে। ছোটোখাটো এক ঝামেলা হয়েছিল তাদের। এরপর টোটালি আর কোনো যোগাযোগ ছিল না। ইরফানের সাথে ইয়ামিনের কন্টাক্ট ছিল?

ইরফান মাইরার কেবিনের দরজা ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করে মাইরাকে না দেখে ইরফান দ্রুত কেবিনের ভেতর প্রবেশ করে। ভেতরে রুমা নেওয়াজ, ইনায়া, ফারাহ, সাথে মাইরা মা আর ছোট ভাই এসেছে। বাচ্চা ছেলেটি বেডের কোণায় বসে বসে কাঁদছে। ইরফান কিছু বলার আগেই রুমা নেওয়াজ এগিয়ে এসে বলেন,
– ইরফান দেখ তো বাবা, মাইরার কি হয়েছে। ওর মা ভাই কে দেখে সেই যে বেলকনিতে গিয়ে দরজা আটকে বসে আছে। আমরা এতো করে ডাকছি, মেয়েটা আসছেই না, দরজাও খুলছে না।
ইরফান তার মায়ের কথা শুনেই দ্রুতপায়ে বেলকনির দরজার কাছে এসে দাঁড়ায়। মৃদুস্বরে ডাকে,

– বার্ডফ্লাওয়ার?
সাথে সাথেই দরজা খুলে যায়। ইরফান অবাক হয়ে সামনে তাকায়। মাইরা কান্নামখা চোখে ইরফানের দিকে চেয়ে আছে। ইরফান দ্রুত মাইরার দিকে এগিয়ে গিয়ে দু’হাতের আঁজলায় মাইরার মুখটা নিয়ে বলে,
– হোয়াট হ্যাপেন্ড বার্ডফ্লাওয়ার?
মাইরার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ে। লাবিবের বাবা তাকে সেদিন ওভাবে বলার পর সে নিজেই নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছে সে আর কখনো তার পাতানো মা ভাইয়ের সাথে কথা বলবে না। তাদের কাছে যাবে না। কিন্তু আজ তাদের দেখে যে মাইরার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।
ইরফান আবারও নরম সুরে বলে,
– বার্ডফ্লাওয়ার? কি হয়েছে বলো?

মাইরা দু’হাতে ইরফানকে জড়িয়ে ধরে ঠোঁট উল্টে কেঁদে দেয়। ইরফানের বুকে থুতনি ঠেকিয়ে মাথা উঁচু করে রেখে ফোঁপাতে ফোঁপাতে বলে,
– আপনি কোথায় ছিলেন শিসওয়ালা?
ইরফান মাইরার চোখের পানি মুছে দিয়ে বলে,
– ডোন্ট ক্রাই। আমি ডক্টরের সাথে কথা বলছিলাম।
মাইরা ইরফানের বুকে কপাল ঠেকিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে। তার মা আর ভাইয়ের সাথে খুব কথা বলতে ইচ্ছে করছে তার।
ইরফান মাইরার মুখ উঁচু করে মৃদুস্বরে বলে,
– কি হয়েছে বলো? কান্না করলে মাথা ব্য’থা বাড়বে। কেউ কিছু বলেছে তোমায়?
মাইরা নিজেকে সামলালো। এরপর নাক টেনে বলে,

প্রণয়ের অমল কাব্য পর্ব ৬৫

– আমার নিজের কেউ নেই শিসওয়ালা।
ইরফান অবাক হয়ে তাকায় মাইরার দিকে। মাইরা থেকে থেকে কেঁপে ওঠে। আবারও নাক টেনে বলে,
– আমার মা আর ভাই ওরা আমার নিজের নয়। ওদের চলে যেতে বলুন।

প্রণয়ের অমল কাব্য পর্ব ৬৬ (২)