প্রণয়ের দহন পর্ব ৫,৬ || তাসনিম জাহান রিয়া || SA Alhaj

প্রণয়ের দহন পর্ব ৫,৬
তাসনিম জাহান রিয়া

হুট করে কোনো পুরুষালি কন্ঠে নিজের নাম শুনে আমি চমকে ওঠি। এই কন্ঠের মালিক যে আমার পরিচিত। পরিচিত না আমার আপনজন। একান্তুই আমার আপন জন। আমার চোখ দিয়ে দু ফোট অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। আমি দৌড়ে চলে যেতে নিলে আরিয়ান ভাইয়া আমার হাত টেনে ধরে। দাঁড়িয়ে যায় আমি। উনি আমার হাত ধরে হ্যাঁচকা টান দিয়ে উনার বুকের ওপর ফেলেন।

আমি হকচকিয়ে যায়। উনি আমার কোমড় হাত দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নেন।
আমাদের মাঝের কথা যেনো আমাদের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে। বাইরের কোনো লোক যেনো আমাদের ভিতরে কথা না জানে।
আমার ভাইয়া আপনার কাছে বাইরের লোক হয়ে গেলো?
অবশ্যই।
ভাইয়া না আপনার ফ্রেন্ড।

দেখ তোর এতো প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারবো না। আমাদের মাঝে কী হয়ছে না হয়েছে তোর ভাই জেনো না জানে। যদি আমার কথার অবাধ্য হোস তাহলে কী হতে পারে? তার ধারণা তুই আগেই পেয়েছিস।
কথাগুলো উনি বেশ শান্ত গলায় বললেন।
লাস্টের কথাটা কোমড়ে জোড়ে চাপ দিয়ে বলে। এতো জুড়ে কোমড় চেপে ধরেছে যে আমার চোখ টলমল করে ওঠে। আমার অবাধ্য হয়ে কয়েক ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে চোখ দিয়ে। উনি কোমড় থেকে হাত আলগা করে চোখের পানিটা মুছে দেন।

আমাদের মাঝে যায় থাকুক না কেনো সারা দুনিয়া জানবে আমরা হ্যাপি কাপল। নো কান্না-কাটি। অনলি স্মাইল বেইব। চল সালা বাবু তোমাকে ডাকছে।
উনি এক হাতে আমাকে জড়িয়ে ধরে রুম থেকে বের হয়ে এলেন। আমরা নিচে নামতেই ভাইয়া প্রশ্ন ছুড়ে দিল।
এসব আমি কী শুনছি আরশি? তোদের মাঝে যদি আগে থেকে সম্পর্ক থাকে তাহলে আমাকে বললি না কেনো?
আমার বিয়ের সময় ভাইয়া উপস্থিত ছিল না। আমার বিয়ের দুই দিন আগে অফিসের জরুরি কাজে ভাইয়াকে দেশের বাইরে যেতে হয়ছিল। তাই ভাইয়া আমাদের বিয়ের ব্যপারে কিছু জানতো না। হয়তো দেশে ফিরেই এই খবর শুনে এখানে ছুটে চলে আসছে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

কেনো আয়ান ( আমার ভাইয়া ) তুই কী আমাদের বিয়ে হওয়াতে খুশি হোসনি?
তোদের বিয়েতে যদি কেউ সবচেয়ে বেশি খুশি হয়ে থাকে তাহলে সেটা আমি। আরশি নিহানকে বিয়ে করার জন্য জেদ না করলে আমি তোর সাথেই আরশির বিয়ে দিতাম। ঐ নিহানকে দেখলে আমার গা জ্বলে। মনে হয় কেউ আমার শরীরে আগুন জ্বালিয়ে দিছে। এট লাস্ট তোদের বিয়ে হলো। আমার মনস্কামনা পূর্ণ হলো। আরশি নিহানের মোহ কাটিয়ে যে তোর সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছে তাতেই আমি খুশি। তোরা যদি তোদের সম্পর্কের কথা আমাকে আগে বলতি তাহলে এতো জামেলা হতো না।

তুই আরশির ছোট ভাই হলে বলা যেতো তুই তো বড় ভাই। আর আমি তো তোকে গিয়ে বলতে পারি না দোস্ত আমি তোর বোনের সাথে প্রেম করি। কথাটা শুনতেও বেমানান লাগে। আমি ভয় পাচ্ছিলাম এটা বলার পর যদি তুই আমার সাথে সম্পর্ক নষ্ট করে দিস। তোকে আমি নিজের ভাইয়ের মতো ভালোবাসি। এটা আমি কিছুতেই মানতে পারতাম নাহ আর আরশির বিয়ে ঠিক হওয়ার ১ মাস পরই আমার সাথে আরশি প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। আমাদের হাতে ছিল মাত্র ১৫ দিন। কী করবো না করবো ভেবে পাচ্ছিলাম নাহ? বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসছিল আমরা কাউকে কিচ্ছু বলতে পারছিলাম না। এই ভয়ে যদি আমাদের কারণে দুই পরিবারের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমরা পরিবারের মান-সম্মানের কথা ভেবে আমরা আমাদের ভালোবাসা সেক্রিফাইজ করার সিদ্ধান্ত নেই। হলুদের দিন আরশি আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারে না আমার কাছে চলে আসে। বাকিটা তো তুই জানসই।

আমি শুধু অবাকের ওপর অবাক হচ্ছি। অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি আরিয়ান ভাইয়ার দিকে। মানুষ এতো সুন্দর করেও গুছিয়ে মিথ্যা কথা বলতে পারে এটা আরিয়ান ভাইয়াকে না দেখলে বিশ্বাসই হতো না। কী সুন্দর গুছিয়ে মিথ্যা কথা বলে দিলেন ভাইয়াকে? উনার মিথ্যাগুলো যে কেউ বিশ্বাস করতে বাধ্য হবে। তেমনি ভাইয়াও বিশ্বাস করে ফেলল উনার কথা। ভাগ্যিস ড্রয়িংরুমে আমরা তিন জন ছাড়া আর কেউ নেই। নাহলে আরেকটা গণ্ডগোল লাগতো। আমি সকালে বাবা আর মাকে বুঝিয়েছি আমাদের মাঝে কোনো সম্পর্ক নেই। আর এখন উনি ভাইয়াকে বোঝাচ্ছেন আমাদের মাঝে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। এখানে বাকিরা থাকলে সবাই উনার কথাই বিশ্বাস করতো। কারণ উনি যে মিথ্যা কথা বলার ওপর পি এইচ ডি করে আসছেন। তা আমার ভালোই বুঝা হয়ে গেছে।

শালা তুই নিজে তো কষ্ট পাইছস সাথে আমার বোনডারেও কাঁনদাইছস। বালের পিরিত করছো তোমরা।
দেখ আয়ান আমার সামনে একদম এসব ভাষা ইউজ করবি না। তোর যেমন নিহানকে দেখে গা জ্বলে। তেমনি আমারও এই সব ভাষা শুনলে গা জ্বলে।
এই সব কমু না তো তোমাকে কোলে নিয়ে আদর করমু। পিরিত করার সময় মনে ছিল না আমার বোইনের বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। সবাইকে ভালোবাসার কথা বলার সময় তোমার মনে পড়লা আরশির বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। মামা তোমার স্বভাব তো আমার একদম ভালো ঠেকছে না। তুমি গা…….

আয়াইন্না তোর মুখে লাগাম দে। আমি তোর বেস্টফ্রেন্ড হলে ও এখন তোর ছোট বোনের হাজবেন্ড। এখানে আরশিও আছে মুখে লাগাম দে। ছোট বোনের সামনে কী সব বলা শুরু করছস?
আমার কথা শুনে ভাইয়া একটু অপ্রস্তুত হয়ে পড়ল। আমি যে এখানে আছি ভাইয়ার হয়তো
মনেই ছিল না। ভাইয়া আমার সামনে এসব ভাষা ইউজ করে না আর স্ল্যাং তো একদমই ইউজ করে না। ভাইয়া গলা খাকারি দিয়ে বলে,

আরশির তুই এখানে কী করছিস? জানিস যখন বড়রা কথা বলে তখন ছোটদের থাকতে নেই। আর এখানে দুটো ছেলে তাদের প্রাইভেট কথা বলছে। আর তুই এখানে দাঁড়িয়ে থেকে আমাদের প্রাইভেসি নষ্ট করছিস।
আমি হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। নিজে ডেকে এনে নিজেই চলে যেতে বলছে। রীতিমত আমাকে অপমান করছে। আমি তাদের প্রাইভেসি নষ্ট করছি। মানুষ ঠিকই বলে, কাজের বেলা কাজি। কাজ পুরুলেই পাজি। এই মুহূর্তে আমার প্রচণ্ড রাগ হচ্ছে। ইচ্ছে করছে ইট দিয়ে বাড়ি মেরে ভাইয়ার মাথা ফাটিয়ে দেই। আমি রেগে কিছু বলতে যাব তার আগেই আমাকে পাশ কাটিয়ে তারা দুইজন চলে যায়।

আমি বেলকনিতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে বসে আছি। আমার দৃষ্টি ফ্লোরেই নিবিদ্ধ। কিছুতেই কিছুর হিসেব মিলাতে পারছি না। সবকিছু ঠিক করতে গিয়ে কী আমি সবকিছু এলোমেলো করে দিচ্ছি। কিছুই বুঝতে পারছি না।
আরিয়ান ভাইয়া যদি আয়না আপুকেই ভালোবাসে। তাহলে আমাকে কেনো ডিভোর্স দিতে চাইছে না? আমাকে সহ্য করতে পারে না আবার আমাকে চোখের আড়ালও হতে দেয় না। সবকিছু কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে। আমার জীবনটা কেমন জটিলতাময় হয়ে যাচ্ছে। বিষাক্ত জালে আটকা পড়ে যাচ্ছি আমি।

নিহান তুমি আমার জীবনটা বিষিয়ে দিয়ে গেলে। এর জন্য আমি তোমাকে কোনো দিন ক্ষমা করতে পারবো না। তোমাকে আমি অভিশাপ দিতে পারবো না। কারণ আমি তোমাকে ভালোবাসি। আর যায় হোক ভালোবাসার মানুষকে তো আর অভিশাপ দেওয়া যায় না। ছিঃ ছিঃ আমি এসব কী ভাবছি? নিহানের নাম নেওয়া ও আমার জন্য পাপ। কারণ আমি এখন আরিয়ান ভাইয়ার স্ত্রী। নিহানকে কিছুতেই আমি ভাসোবাসতে পারি না এখন।

তোর সাহস তো কম না। আমার স্ত্রী হয়ে অন্য ছেলের কথা চিন্তা করিস। আমার রুমে আমার বেলকনিতে বসে তুই অন্য ছেলের ভাবনায় মশগুল। তুই শুধু আমার কথাই ভাববি অন্য কারো কথা না। বুঝতে পেরেছিস?
আমি মাথা দুলিয়ে সম্মতি জানায়। এখন আমার একদমই ঝগড়া করতে ইচ্ছে করছে না। আর আরিয়ান ভাইয়া তো ঠিকই বলছে। অন্য ছেলের কথা ভাবা তো আমার জন্য এখন অন্যায়। কারণ আমি বিবাহিত। অন্য ছেলের কথা ভাবা আমার জন্য পাপ।

বুঝতে পারলেই ভালো। আমি এক জায়গায় যাচ্ছি। আসতে রাত হবে। আমি অন্যদের মতো বলব না যে, আমার জন্য জেগে না থেকে ডিনার করে ঘুমিয়ে পড়। আমি যতক্ষণ না আসব ততক্ষণ তুই সজাগ থাকবি। আমি আসলে দুজন একসাথে ডিনার করব।
কথাগুলো বলেই উনি চলে যান। আমি তাড়াতাড়ি বেলকনি থেকে রুমে চলে আসি। এটাই মোক্ষম সময় উনার ডায়েরী পড়া। উনি মনে হয় না ১০ টা ১১ টার আগে বাসায় আসবেন। আমি জানি উনার ডায়েরীটা কোথায়। উনি আমার চোখের আড়ালে ডায়েরীটা কাবার্ডের ওপর রেখে দিয়েছেন। উনি ভেবেছেন আমি দেখিনি সেটা। কিন্তু আমি তো লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছি। উনি হয়তো ভেবেছেন কাবার্ডের ওপর ডায়েরীটা রাখলে আমি নাগাল পাব না। কিন্তু উনি তো জানে না আমি সুপার ট্যালেন্ট নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছি।

আমি একটা চেয়ার নিয়ে এসে কাবার্ডের সামনে রাখি। তারপর চেয়ার ওপর ওঠে পড়ি। কিন্তু কিছুতেই ডায়েরীটা নাগাল পাচ্ছি না। আল্লাহ ক্যান যে ছেলেদের মেয়েদের থেকে বেশি লম্বা বানাতে গেলো? লম্বু লম্বু স্বামিগুলো খাটো স্ত্রীদের ওপর এভাবে অত্যাচার করছে। বাংলাদেশে আইন হওয়া উচিত ছেলেদের বেশি লম্বা হওয়া যাবে না। বেশি লম্বা হলে ১০ বছরের জেল।
পায়ের পাতার ওপর ভর দিয়ে দাঁড়ালাম তবু নাগাল পাচ্ছি না। আমি আরশি এতো সহজে হার মানবো না। আমি চেয়ার থেকে নেমে সোফা থেকে একটা কুশন নিয়ে এসে চেয়ারের ওপর রাখি। তারপর আবার চেয়ারের ওপর ওঠি। এবার পায়ের পাতায় ভর দিয়ে খুব সহজেই ডায়েরীটা হাতে পেয়ে যায়। ডায়েরীটা হাতে নিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বলি,
আরিয়ানের বাচ্চা আপনি যদি ডালে ডালে চলেন তাহলে আমি পাতায় পাতায় চলি।

চেয়ার থেকে নেমে সবকিছু আগের জায়গায় রেখে আসি। যখনি ডায়েরীটা পড়া শুরু করবো তখনি আমার ডাক পড়ে। মা আমাকে ডাকছে। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাধ্য হয়ে ডায়েরীটা রেখে আম্মুর কাছে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালাম। বড়দের মুখের ওপর তো আর না করে দেওয়া যায় না যে, আমি আসতে পারবো না। মা ড্রয়িংরুমের সোফায় বসে আছে। আমি উনার সামনে গিয়ে বললাম,
কিছু বলবা আম্মু?

উনি আমার দিকে চমকে তাকালেন। যেনো আমি মঙ্গল গ্রহের এলিয়েন। হঠাৎ উনি ঠোঁট মেলে হেসে বলেন,
আরশি আমি আজকে ভীষণ খুশি।
আমি ভ্রু কুচকে তাকাই উনার দিকে। উনি আলতো হেসে আমার হাত ধরে টেনে উনার পাশে বসিয়ে দেন।
তুই আমাকে আম্মু ডাকলি? আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না? তোর মুখে আম্মু ডাক শুনে আমি কতটা খুশি হয়েছি তোকে বলে বোঝাতে পারব না। আমার অনেক ইচ্ছে ছিল আমার পুতুলের মতো দুইটা মেয়ে হবে। টুইন হলে তো কথাই ছিল না। দুজনকে আমি একরকম জামা-কাপড় পরাব। সবকিছু একরকম কিনে দিব দুজনের। একটা বিষাক্ত দিন আমার সব খুশি, আনন্দ কেড়ে নিল। কেড়ে নিল আমার মা হওয়ার ক্ষমতা। কেড়ে নিল আমার সন্তান।
এমন করে কেনো বলছো? আমি কী তোমার মেয়ে না?

তুই তো আমার আরেক মেয়ে। যেদিন তোকে প্রথম দেখেছিলাম সেদিনই মনে মনে ঠিক করে নেই তোকেই আমার ছেলের বউ করে আনব। তুই আমাকে মা বলে ডাকবি। আমার ইচ্ছে পুরণ হবে। আমার দুইটা মেয়ে হবে। দুজনকে আমি নিজ হাত সাজিয়ে দিব। কিন্তু তুই নিহানকে বিয়ে করার জন্য জেদ ধরলি।
সত্যিই আমি হিরে রেখে কাঁচ বেঁচে নিয়ে ছিলাম।
আম্মু এসব কথা বাদ দাও। পুরোনো কথা টেনে তো আর লাভ। এখন তো আমি তোমার সাথেই আছি।
আম্মুর সাথে আরো কিছুক্ষণ কথা বলে রুমে চলে আসলাম। দরজাটা লক করে বিছানার ওপর বসে ডায়েরীটা হাতে নিলাম। তৃতীয় পেইজে গেলাম।

খুব তুচ্ছ কারনে যে কারো প্রতি ভালো লাগা তৈরি হতে পারে। কোন মেয়ের ভূবন ভুলানো হাসি দেখে এক মুহুর্তেই তাকে ভালো লেগে যেতে পারে। কিংবা রাস্তায় চলতে ফিরতে সুন্দরী কোন মেয়েকে এক পলক দেখেই যে কোন ছেলের হার্টবিট মিস হয়ে যেতে পারে।
এসব আমার বিশ্বাস হতো না। কিন্তু তোকে যেদিন প্রথম দেখি সত্যি সত্যি আমার হার্টবিট মিস হয়ে গিয়েছিল। তোর ভুবন ভুলানো হাসিতে আমি পাগল হয়ে গিয়েছিলাম আরশি।
আরশি নামটা দেখে আমি থমকে যায়। আমার মনের মাঝে জেগে ওঠছে অসংখ্য প্রশ্ন। কৌতূহল ধমাতে না পেরে পরবর্তী পেইজ উল্টায়।

মাটির কোনায় কোনায় জলের বসবাস পাতার ফোকড়ে ফোকড়ে পাখির বসবাস নদীর কুলে কুলে নৌকার বসবাস পাহাড়ের মাঝে ঝরনার বসবাস অগনিত তারার মাঝে চাঁদের বসবাস মানুষের দেহের মাঝে আত্মার বসবাস আমার মনের মাঝে তোমার বসবাস।
ভালোবাসি আরশি।
আরিয়ান ভাইয়া আমাকে ভালোবাসে? এটা কী করে সম্ভব? আরিয়ান ভাইয়া না আয়না আপুকে ভালোবাসে তাহলে? ডায়েরীটা যত পড়ছি তত কৌতূহল বাড়ছে। পরবর্তী পেইজে যাই।
আমার আকাশটা তোমায় দিলাম সেখানে তুমি পাখির মতো উড়ে বেড়াবে ডানা মেলে,আর রাতে চাঁদ হয়ে উঠবে আলো জ্বেলে।আমার বাগানটাও তোমায় দিলাম সেখানে তুমি ফুল হয়ে ফুটবে সুবাস ছড়িয়ে,প্রজাপতি হয়ে রং ছড়াবে আমায় জড়িয়ে।
পরবর্তী পেইজে যায়।

কল্পনার রঙতুলিতে তোমায় রাঙাবো তুমি রাগ করোনা,স্বপ্নের সিংহাসনে আমি তোমায় বসাবো তুমি চলে যেও না।দখিনা বাতাস হয়ে এলোমেলো করে দেবো তোমার চুল,কখনো বা ভালোবেসে খোপায় গেথে দেবো ফুল।বুকের পাজর ভেঙে প্রাসাদ বানিয়ে তোমায় দিলাম তুমি থাকবে কি?প্রতিটি বসন্তে, প্রতিটি বর্ষায় আমি তোমাকে চাই পাশে রাখবে কি?
পরবর্তী পেইজে যায়।
জানিস আরশি তোকে ভালোবেসে আমি একটা নাম দিয়েছি। নামটা হলো আয়না। আরশির সমার্থক শব্দ আয়না। তুই গাধা এসব তুই জানবি না।

আরিয়ান ভাইয়া আমাকে ভালোবাসতো? আর আমি কোনোদিন বোঝতেই পারিনি। সত্যিকারের ভালোবাসা পায়ে ঠেলে দিয়ে আমি এতোদিন ধরে মরীচিকার পিছনে ছুটে চলেছি। ভাবতেই চোখ দিয়ে দু ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। আমার মন মস্তিষ্ক জুড়ে শুধু এখন একটাই নাম থাকবে আর সেটা হলো আরিয়ান। নিহানকে আমি নিজের জীবন থেকে মুছে ফেলব। আমার জীবনের সবটা জুড়ে এখন থেকে শুধু থাকবে আরিয়ান। আমার ভালোবাসা শুধু মাত্র আরিয়ানের জন্য। অন্য কারো জন্য নয়। পরবর্তী পেইজে যায়।

প্রণয়ের দহন পর্ব ৪

আরেকটু কাছে সরে এসো ভালো করে দেখে নেই তোমায়।বহু দিনের লুকানো ইচ্ছে আমার মনের সাধ মিটিয়ে আমি দেখতে চাই তোমায়।খুব কাছে থেকে একদিন তোমাকে দেখবো বলে আমি কতো পূর্ণিমা অমাবস্যা পার করে দিয়েছি নির্ঘুম,কাটিয়েছি কতো অস্থির দিন রাত।কতো দিন আমি মনে মনে ভেবেছি তোমায় কতো কথা বলেছি অবিরাম।কতো দিন আমার ভাবনায় আমার স্বপ্ন গুলি ছুঁয়ে দিয়েছে তোমায়।তোমার দিকে অপলক তাকিয়ে থেকেছি আমি দেখেছি তোমার দুই চোখ জুড়ে কোনও এক স্বপ্নের গাঢ় ছায়া আমি সেই স্বপ্নময় চোখের দিকে বিভোর হয়ে তাকিয়ে থেকেছি কতো।এবার আমার স্বপ্নের তুমি সত্যি হয়ে সামনে এসে দাঁড়াও একটি বার আমি প্রান ভরে দেখে নেই তোমায়।
পরবর্তী পেইজে যায়।

আমারও তো ইচ্ছা করে, তোমার পাশে থাকি ছোট একটা বাড়ি হবে ,থাকবে ছোট উঠান থাকনা কিছু গাছগাছালী ,পাখির ডাকে বিভোর ইচ্ছা হলেই রাগ করবো যাবো অনেক দুরে না হয় তুমি মান ভাঙ্গালে একটু আদর করে !!

প্রণয়ের দহন পর্ব ৭