প্রণয়ের প্রিয়কাহন পর্ব ১
শার্লিন হাসান
ভার্সিটির নতুন প্রফেসরকে থা’প্পড় দিয়েছে, সেই ভার্সিটির স্টুডেন্ট জাইমা। শুধু থাপ্পড় দিয়ে থেমে যায়নি, এগিয়ে এসে হাসি মুখে বলে উঠে, “কীরে গোলামেরপুত, আমাকে অপেক্ষা করিয়ে, এতো দেরিতে আসলি কেন?”
হাসিমুখে কথাটা বলে,সামনে এগিয়ে প্রফেসর ইশরাক খান মর্মর মুখের দিকে তাকাতে জাইমা ভয় পায়। ইশরাক,জাইমাকে দিকে চোয়াল শক্ত করে তাকিয়ে আছে। জাইমা, ইশরাকের ভয়ংকর রাগী চাহনি দেখে নিজের চোখ মুখের অবস্থা পরিবর্তন করে নেয়। ইশরাক তার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে গুরুগম্ভীর স্বরে তেজ বজায় রেখে বলে, “হোয়াট?”
নিজের ফ্রেন্ডের জায়গায় অন্য কাউকে দেখে জাইমা ভড়কে যায়।
মর্ম যে প্রফেসর সেটাও সে জানেনা। জানবে কী করে! ফাস্ট ইয়ার ফাইনাল ড্রপ দিয়ে একবছর গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরেছে। এখন আবার ভার্সিটিতে পড়ার ইচ্ছে হয়েছে সেজন্য পুনরায় ভর্তি হয়। জাইমা ডানেবামে তাকায়। নিজের ফ্রেন্ড ভেবে পেছন থেকে মর্মর কাঁধে থাপ্পড় দিয়েছে সে। ভেবেই চোখমুখ খিঁচে নেয়। ইশরাক জাইমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকায়। জাইমা তড়িঘড়ি করে বলে, “স্যরি, আমি ভেবেছিলাম আমার ফ্রেন্ড। সেম শার্ট তো তাই বুঝতে পারিনি।”
“আপনি গালি দিয়েছেন কেন?”
“ওইগুলো হেল্পিং ভার্ব।”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ইশরাক কিছু বলার আগেই জাইমা দৌড় দিতে গেলে, ফ্লোরে জুতা স্লিপ কাটে। জাইমা গিয়ে পেছনের পিলারের সাথে ঠাস করে মাথায় বারি খায়।মূহুর্তে চোখমুখ খিঁচে বন্ধ করে, মাথায় হাত দেয়। ইশরাক জাইমার দিকে তাকিয়ে আছে।
জাইমা একচোখ মেলে ইশরাককে দেখে। মেকি হাসি টেনে বলে, “আসি।”
ইশরাক কিছু বলেনা। জাইমা মাথায় হাত ঢলতে,ঢলতে নিজের ডিপার্টমেন্টের দিকে চলে যায়। ইশরাক জাইমার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রয়।
ফাস্ট ইয়ারের, প্রথম ক্লাসে প্রফেসর ইশরাক খান মর্ম প্রবেশ করে। সবাই দাঁড়িয়ে সন্মান জানায়। তবে তাঁদের মাঝ থেকে দু’টো মেয়ের কোন খবর নেই। ইশরাকের নজরে আসে, জাইমা হাত নাড়িয়ে,নাড়িয়ে পাশের জনের সাথে কী যে গল্প বলছে। দেখে মনে হচ্ছে, দিনদুনিয়ার কোন খবর নেই। ইশরাক তাঁদের দুজনকে একবার দেখে বাকীদের দিকে তাকায়। নিম্ন আওয়াজে বলে, “সীট ডাউন।”
সবাই বসতে ইশরাক জাইমার দিকে তাকায়। গম্ভীর কন্ঠে বলে, “মিস স্ট্যান্ড আপ।”
জাইমা ইশরাকের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়। এই লোকটা এখানে কী করছে? আর কাকে দাঁড়াতে বলছে? ভেবেই জাইমা, আশেপাশে তাকায়। কিন্তু কাকে দাঁড়াতে বলেছে,বুঝেনি। যখন সবার নজর তার দিকে আসে সে বুঝে তাকে হয়ত। সেজন্য চোখ দিয়ে ইশারা করে নিজের দিকে। ইশরাক মাথা নাড়াতে জাইমা দাড়ায়। ঠোঁটের কোণে কৃত্রিম হাসি টেনে বলে, “মৈশানী খানম জাইমা।”
ইশরাক জাইমার দিকে তাকায়। পাশের জনকেও ইশারায় বলে দাঁড়াতে। জাইমা নিজে দাঁড়ানো, পাশের জনকেও দাঁড়ানোর জন্য হাত টেনে দাঁড় করায়। ঠোঁটের কোণোয় ঝুলন্ত মেকি হাসি। ইশরাক ঠোঁট নাড়িয়ে আওড়ায়, “ক্লাস শুরু হওয়ার সাথে-সাথেই নিজের ধ্যাণজ্ঞান সব পড়ার দিকে রাখতে হয়। টিচার্সদের সন্মান দিতে হয়। বসে,বসে হাত নাড়িয়ে গল্প করতে হয়না, মিস মৈশানী খানম।”
জাইমা উপর-নিচে মাথা নাড়ায়। ইশরাক বিরক্ত হয় জাইমার এক্টিভিটিস আর বিহেভিয়ারে। হাত দিয়ে ইশারা করে বসার জন্য। জাইমা বসেই, ইশরাককে মুখ বাঁকায়। ক্লাসে মনোযোগ আনার চেষ্টা করলেও পারেনা। তার মন পড়ে আছে ফুচকার স্টলে। কখন গিয়ে ফুচকা খাবে।
টানা অনেকক্ষণ ক্লাস করে জাইমা বোর হয়ে যায়। একবছর পর ক্লাস করতে এসেছে। এখন তো মনে হচ্ছে, বাসায় বসে সবাইকে জ্বালানোই ভালো ছিলো। ভেবেছিলো,একবছরে বিয়েশাদি করে বাচ্চাকাচ্চা পড়াবে, কিন্তু দেখো নিজেকেই পড়ার জন্য আসতে হলো। জাইমা নিজের দাদীর কথা মনে করেই বিরক্ত হয়। ওই মহিলার জন্যই তার বিয়েটা হচ্ছেনা। কত ভালো, ভালো সম্মন্ধ আসে কিন্তু মহিলা দরজা থেকেই বিদায় করে দেয়। জাইমার ছোট বেলা থেকেই ভীষণ শখ বিয়ে করার। ভেবেছিলো, মাধ্যমিক দিয়ে বরের গলায় ঝুলে পড়বে। নিজের সব সমস্যা তার কাছে রেখে, দূরে বসে পপকন খাবে। কপাল! মাধ্যমিক দিয়ে ঠেলেঠুলে উচ্চমাধ্যমিকও দিলো।
তারপর ভার্সিটিতে আসলো। ভেবেছে, ভার্সিটিতে উঠেছে এবার অন্তত বিয়েটা হবে। অনেক অপেক্ষা করার পরেও যখন হয়নি তখন, অনেক ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পড়াশোনা ছেড়ে বাসায় বসে,বসে তাড়াতাড়ি বিয়ে দেওয়ার ফযিলত নিয়ে, ওয়াজ চালাবে। নিশ্চয়ই সবাই শুনবে, তার মনোভাব বুঝবে। একদিক পড়াশোনা ভালো লাগেনা কবে পড়াশোনা ছাড়বে সেউ চিন্তায় ছিলো। এসব বুদ্ধি মাথায় আসার পর থেকে জাইমার মাথা ব্যাথা,হাত-পা ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। ডক্টরের কাছে যেতে বললে সে রাজী হয়না। এরকম কয়েকদিন অভিনয় করার পর যখন দেখলে কেউ তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেনা, তখন বিয়ের ফযিলত নিয়ে ওয়াজ চালানো শুরু করে দেয়। জাইমার কার্যকলাপ কয়েকদিন দেখে তার আম্মু ঝাড়ু দিয়ে মেরে বিয়ের ভূত মাথা থেকে নামিয়েছিল।
তারপরেও কান্নাকাটি করে পরীক্ষা দেয়নি জাইমা। একটা বছর টইটই করে ঘুরার পর যখন দেখলো বিয়েশাদির নামও মুখে নিচ্ছেনা কেউ৷ তখন ব্যর্থ হয়ে আবারো ভার্সিটির প্রাঙ্গণে পদচারণ দিয়েছে সে।
ক্যাম্পাস থেকে আজকে বানানো নতুন বান্ধুবী রাইসার সাথে বেরোচ্ছে জাইমা। বেরুতে, বেরুতে ইশরাকের নামে হাজারটা নালিশ করেছে সে। গেট পেরুতে দেখে তার ফ্রেন্ড তাসকিন আহমেদ দাঁড়িয়ে আছে। জাইমা তাকে দেখে ছুটে যায়। সামনে দাঁড়িয়ে কাঁধে থাপ্পড় মেরে বলে, “হারামী, তুই তো বললি আমার ডিপার্টমেন্টের সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করবি। তোর জন্য আজকে কতবড় আকাম করেছি জানিস?”
জাইমার কথা শেষ হতে তাসকিন ভ্রূদ্বয় প্রসারিত করে বলে, “তুই তো অকাজের সেটা সবাই জানি। তা, এবার তোর আশিকের দেখা পেয়েছিস নাকী?”
“না, না। আশিক রহমান নামের কারোর দেখা পাইনি। তবে একটা লম্বা,ফর্সা,সুদর্শন কাঠখোট্টা লোকের দেখা পেয়েছি। মানুষ কেমনে এতো ভাব নেয় ভাই? আমি কী তার সাথে পিরিত করব যে আমার সাথে ভাব দেখাবে? আমার কী মনে হয় জানিস? ব্যাটা প্রতিবন্ধী, কথাবার্তা ঠিকঠাক বলতে পারেনা। সেজন্যই তো চোখ দিয়ে,হাত দিয়ে ইশারা করে দাঁড়ানোর জন্য,বসার জন্য।”
“আরে তুই কার কথা বলছিস?”
“নাম কী জানি না। নতুন প্রফেসর।”
“ইশরাক খান মর্ম?”
“সেটা তো জানি না।”
তাসকিন আঙুল নাচিয়ে বলে, “ওয়ান সেকন্ড।”
কথাটা বলে পকেট থেকে ফোন বের করে, ইশরাকের একটা ছবি জাইমার সামনে ধরে। জাইমা ছবিটা দেখেই বলে উঠে, “এই, এই সেই কাঠখোট্টা প্রতিবন্ধী।”
“উনি একজন প্রফেসর।”
“তাতে কী? এই ব্যবহার নিয়ে প্রফেসর হয়েছে?”
“উনি ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট ছিলেন। তোর মতো বিয়ের জন্য একবছর ড্রপ দিয়ে আবারো পড়াশোনায় ব্যাক করা ভণ্ড স্টুডেন্ট না।”
“এ্যাই তোকে কী পড়া পানি দিয়েছে উনি?”
“না কেন?”
“তাহলে তার হয়ে গুনগান গাইছিস যে? তুই আমার ফ্রেন্ড তো? তাসকিন তুই চেঞ্জ হয়ে গেছিস।”
“আরেহ ইয়ার আমি সেভাবে বলিনি।”
“চুপ। থাক তুই তোর প্রফেসর নিয়ে।”
কথাটা বলে জাইমা ডানেবামে তাকায়না।
হাত দুপাশে নাড়িয়ে সোজা হাঁটা শুরু করে। রাগে গিজগিজ করতে,করতে এগুচ্ছে সে। ইশরাক তখন কার নিয়ে গেট দিয়ে বেরুচ্ছিল। জাইমার হনহনিয়ে চলে যাওয়া তার দৃষ্টি গোচর হয়নি। ইশরাক ভাবছে মেয়েটা হয়ত পাগল। নাহলে মাথায় নির্ঘাত সমস্যা আছে। তখন ইশরাকের কল বেজে উঠে। পাশের সীট থেকে ফোন তুলে কল রিসিভ করে বলে, “হ্যাঁ, মাম্মি বলো?”
“তোমার সাথে করে পোহাকেও নিয়ে আসো।”
ইশরাক কিছুক্ষণ চুপ থেকে জবাব দেয়, “আমি ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে গেছি।”
“ও কী একা আসবে?”
“আই ডোন্ট নো! বাই।”
কথাটা বলে ইশরাক কল কেটে দেয়। ফোনটা ছুঁড়ে পাশের সীটে রেখে জোরে,জোরে কয়েকটা শ্বাস নেয়। স্টায়ারিং ঘুরিয়ে সামনে এগোয়।
জাইমা যেতে, তাসকিন পেছন থেকে ডাকছে। জাইমা সে ডাক কানে তোলেনি। সামনে হেঁটে যেতে,যেতে তার ফোনটা বেজে উঠে। জাইমা বিরক্ত হয়ে ব্যাগ থেকে ফোন বের করে। কে কল দিয়েছে দেখার জন্য ফোনের স্ক্রীনে তাকিয়ে হাঁটলে ইটের সাথে ধাক্কা লেগে সামনের দিকে ঝুঁকে যায়। হাত থেকে ফোনটা উত্তপ্ত পিচঢালা রাস্তায় পড়ে যায়। জাইমা পায়ের আঙুলে ভীষণ ব্যথা পেয়েছে। হাঁটু ভে’ঙে বসে পায়ে হাত দেয়। নাকমুখ কুঁচকে নিয়ে, নিজের ফোনটা হাতে নেয়। উঠে দাঁড়ায়। এক কদম এগুতে দেখে তার জুতো ছিঁড়ে গেছে। জাইমা ডানেবামে তাকায়। সে স্থানে দাঁড়িয়ে ফোনের স্ক্রীনে তাকায়।
‘মুভি না, লাইভ ড্রামা’ দিয়ে সেভ করা নাম্বার থেকে কল এসেছে। জাইমা আওড়ায়, “কল দিতে না দিতে অঘটন ঘটে গেলো।”
জাইমা রিসিভ করে বলে, “আমার জন্য নতুন বিয়ের প্রস্তাব এসেছে?”
“না। তবে খুব শীঘ্রই তোমার মনের আশা পূর্ণ করব।”
“তোমাকে বিশ্বাস করিনা। বেঈমানের বেঈমান। আমার বরকে হিংসে করো নাকী আমাকে? আমার বিয়েটা হলে তোমার সমস্যা কী?”
“তাড়াতাড়ি বাসায় আসো।”
” এতো তাড়াতাড়ি বাসায় গিয়ে কী করব? বরের মুখ তো আর দেখব না।”
“বরের মুখ না দেখলেও, বরের দাদীর মুখ দেখতে পাবি।”
“খোদার কাছে বিচার দিলুম। আমার মতো বিবাহযোগ্য নিষ্পাপ মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ার শাস্তি হিসাবে তোমার নাতিন জামাই খাম্বার সাথে বারি খেয়ে হুঁশ আসুক। বিবাহযোগ্যা বউ শ্বশুর বাড়িতে ফেলে রাখা কোন সুপুরুষের কাজ নয়।”
“জাইমা, তাড়াতাড়ি বাসায় আসো। তোমাকে একটা পাত্রের সন্ধান দেব।”
“সত্যি?”
খুশি হয়ে বলে জাইমা। দাদী জবাব দেয়,
“হ্যাঁ।”
“ডিটেইলস বলো?”
“আমার বড়ছেলের নাতি।”
“তার নাম কী? আমি তাকে দেখিনি? কী করে তোমার নাতি? আমায় বিয়ে করবে তো?”
“তার নাম মর্ম।”
জাইমা থেমে যায়। ভ্রু কুঁচকে সামনে তাকায়। আজকে এক ইশরাক খান মর্মের সাথে দেখা হয়ে যা অঘটন ঘটলো
এখন মর্ম নামের ছেলেকে বিয়ে করলে….
না,না! জাইমা এই মর্ম নামটাই বয়কট করে দিলো। লাইফ পার্টনার থেকে শুরু করে কোন বন্ধু বান্ধব মর্ম নামের কাউকে বানাবে না। আর
আত্নীয়স্বজন মর্ম নামের হলে সে তাকে চিনেনা। দম নিয়ে জাইমা দাদীকে বলে, “বিয়ে ক্যান্সেল। এই মর্ম কর্ম ছেলেকে আমি বিয়ে করব না। তুমি অন্য পাত্র দেখো।”
“তুমি কী স্বয়ংবরা হতে চাচ্ছ?”
“তাহলে এতোদিন আমার পাশে একটা জামাই আর দুই চার ডজন আণ্ডাবাচ্চাও থাকত। স্বয়ংবরা হইনি বলেই তো এখনো সিঙ্গেল রয়ে গেলাম।”
“শোন, আমার নাতি লাখে একজন।”
“সেজন্যই তার নাম মর্ম রাখা হয়েছে? বা’জে একটা নাম! কল রাখো।”
কথাটা বলে জাইমা নিজেই কল কেটে দেয়। মুখ গোল করে উপরনিচে ফু দেয়। ভীষণ গরম লাগছে সেজন্য ব্যাগ থেকে ছোট্ট পাখা বের করে চোখেমুখে বাতাস দিতে,দিতে খালি রিকশা পেতে উঠে বসে।
কিছুটা সামনে আসতেই দেখে ইয়া লম্বা জ্যাম লেগেছে। জাইমা বিরক্তিতে নাকমুখ কুঁচকে নেয়। এই গরমে রিকশায় বসে ফ্যানের হাওয়া খেতে,খেতে সামনে নজর আসতে চোখ দু’টো সংকুচিত করে নেয়। কারণ, সামনে ইশরাক ঠান্ডা পানির বোতল হাতে তার গাড়ির দিকে যাচ্ছে। সাদা শার্ট এবং কালো প্যান্টে ইন করা। চোখে কালো চশমা। সিল্কি চুলগুলো কিছুটা কপালে বারি খাচ্ছে। উজ্জ্বল ফর্সা মুখশ্রীতে খোঁচাখোঁচা দাঁড়ি। জাইমা, ইশরাককে উপর নিচ পরখ করেই বিরক্তিতে নিজের জুতোর দিকে নজর দেয়। এরপর নজর দেয় নিজের ফোলা আঙুলের দিকে। নিজের মাথায় হাত দেয়। পিলারের সাথে জোরেশোরেই বারি খেয়েছে সে। আজকের দিনটাই খারাপ তারজন্য। এক তাসকিনের জন্য আজকে এরকম লোকের দেখা পেলো। ইশশিরে! না দেখেই থাপ্পড় টা মেরেছিল। যদি জানত প্রফেসর, তাও এরকম গম্ভীরমুখী। জাইমা কোনকালে তার আশেপাশেও ঘেঁষত না।