প্রণয়ের প্রিয়কাহন পর্ব ১৩

প্রণয়ের প্রিয়কাহন পর্ব ১৩
শার্লিন হাসান

ইশরাক বাসায় আসতে রাজিয়া আহমেদ জিজ্ঞেস করেন, “তোমার চাচ্চু কী বলল?”
ইশরাক সোফায় বসে। সামনের দিকে তাকিয়ে গম্ভীর কন্ঠে বলে, “আগামী শুক্রবার বিয়ে।”
এক এক করে সবাই উপস্থিত হয় লিভিং রুমে। আগামী শুক্রবার অর্থাৎ আর দু’টো দিন বাদে বিয়ে। ইশরাক ইরাকে কোলে নিয়ে নিজের রুমের দিকে হাঁটা ধরে। ইরা ইশরাককে জিজ্ঞেস করে, “দুস্তু আন্নি কী বু সাজবে?”
ইশরাক এক গাল হেঁসে জবাব দেয়, “হ্যাঁ।”

“তুমার লুমে তাকবে?”
“হ্যাঁ।”
“আমাকে আদুর কববে না?”
“করবে মা। তোমার দুস্তু আন্নির তোমাকে ভীষণ পছন্দ হয়েছে। ভীষণ আদর করবে।”
“ওকে পাপা।”
ইরাকে সোফায় বসিয়ে দিতে সে বায়না ধরে। ইশরাকের দিকে তাকিয়ে আঙুল নাচিয়ে বলে, “এই পাপা দুস্ত আন্নিকে কল দাও। আমি কুতা বুলব।”
ইশরা ক ইরার দিকে তাকায়। এখন যদি জাইমাকে সে কল দেয়, মেয়ে খুশিতে চার ঠ্যাংয়ে লাফাবে। সহজেই মাথায় চড়ে বসবে। কিন্তু জাইমার মতো পাঁজি মেয়েকে এতো তাড়াতাড়ি মাথায় তোলা যাবে না। প্রথমত এটাকে পারফেক্ট বউ বানাতে হবে। এরপর যা কিছু। ইশরাকের ভাবনা দেখে ইরা বলে, “কী হলো?”
“আর দু’টো দিন অপেক্ষা করো। তোমার দুস্তু আন্নিকে কল দিলে ও পাগ’ল নাচবে। সেজন্য কল দেওয়া যাবেনা।”
“ঠিক আছে।”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

ইরার সহজে মেনে দেওয়া দেখে ইশরাক হাসে। ভাতিজিকে কোলে নিয়ে কপালে চুমু দেয়। নিজের ফোন বের করে ইউটিউবে ” Mash And the Bear” এপিসোড দেয়। (এটা আমারও পছন্দের। মাঝেমধ্যে দেখি।)
ইশরাত, ইরার আম্মু আনয়া এবং পোহার সাথে বসেছে। মূলত বিয়ে নিয়ে পরিকল্পনা করার জন্য। আনায়া কথাবার্তায় প্রতিক্রিয়া দেখালেও পোহা একদম চুপচাপ। রাজিয়া আহমেদ কফির মগ নিয়ে পাশের সোফায় বসতে,বসতে পোহাকে বলে, “তোমার বাবা কল দিয়েছে বাসায় ফিরতে। আমি বলেছি,ইশরাকের বিয়ের পর যাবে।”
“বাসায় আমার একা,একা ভালো লাগেনা। এখানে তো ইরা,ইশরাত, আনায়া ভাবি আছে। সেজন্য ভালো লাগে।”
“ঠিক আছে। তোমার যতদিন খুশি থাকতে পারো। আমি রুহানাকে বলব পোহা এখানেই থাকবে।”
“বাবাকে রাজি করাও। আম্মু বেশি প্যারা দিবেনা।”
“ঠিক আছে।”

রাজিয়া আহমেদের কথায় পোহা হাফ ছেড়ে বাঁচে। পোহা রাজিয়া আহমেদের ছোট বোনের মেয়ে। ইশরাতের পিঠাপিঠি হওয়ায় দু’জনে ভাবও বেশ। সেজন্য এখানেই বেশিরভাগ থাকে পোহা। নিজের বাসা এবং পরিবারের মতোই সবকিছু।
ইশরাত পোহার দিকে তাকিয়ে বলে, “কিরে কিছু বল? আমিই তো এতোক্ষণ প্ল্যান করলাম।”
“আংকেল আসুক। আগে আগে পরিকল্পনা করলাম পর যদি আংকেল বিয়েতে বেঁকে বসে। তখন?”
“বড় ভাইয়া আগামী কালকে ফিরছে। সবাই রাজী, বাবা একা রাজী না হয়ে কোথায় যাবে? দ্বিতীয়ত ওইদিনের কথায় তো বুঝাই গেলো, সে রাজী আছে।”
“তাহলে তো ভালোই।”
ইশরাত জাইমার শপিং নিয়েও প্ল্যানিং করছে। বিয়েতে অনুষ্ঠান হবে কী হবেনা সেসব বিষয়ে কিছু জানায়নি ইশরাক। তবুও ভাইয়ের বিয়ে বলে কথা! প্ল্যানিং না করে উপায় নেই।

জাইমা বসে,বসে তার পুরোনো ফ্রেন্ডস দের দাওয়াত দিচ্ছে। মেহেরকে কল দেয়। রিসিভ হতে জাইমা চিৎকার করে বলে, “মেহু বেবি, আমার বিয়ে ঠিক। আমি যে কত্তওও খুশি তোমাকে বলে বুঝাতে পারব না।”
“আল্লাহ সত্যি? বর কে?”
“কে আবার?”
কন্ঠস্বরে কিছুটা আড়ষ্টভাব। মেহের বলে, “বলো?”
“ওই গোলামেরপুত, না মানে প্রফেসর ইশরাক মর্ম।”
“কী করে? রিলেশনশিপ?”
“না রে ভাই! আমি তো বিয়েতে রাজী না। কিন্তু প্রফেসর বলছে, আমাকে ছাড়া সে বাঁচবে না। বিয়ে করলে আমাকেই করবে। বলোতো কেন আমাকে বিয়ে করতে রাজী হয়েছে? অবশ্যই প্রোপার্টির জন্য। দেখতে আলাভোলা হলে কী হবে, লোভ আছে অনেক।”

“আরেহ তুমি কীসব বলছ? ওনার ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে আইডিয়া আছে তোমার?”
জাইমা বিরক্ত হয়ে বলে, “আছে। তোমার নেই সেটা বলো।”
“ওনার বাবা একজব বিজনেস ম্যান। ওনার ভাইও সেম। ফ্যামিলি স্ট্যাটান্ডার। প্রফেসর ইশরাক খান মর্ম! ওবার ব্যপারটাই অন্যরকম।আর তুমি তাকে লোভী বানিয়ে দিয়েছ? আমার বিশ্বাস হচ্ছে না, তুমি যে বললে উনি তোমাকে ছাড়া বাঁচবে না। এই তুমি বিয়ে নিয়ে প্রাঙ্ক করছ না তো?”
“তুমি ওনার হয়ে সাফাই গাইছ? কে হয় উনি তোমার?”
“কেউ হয়না। উনি ভদ্রলোক জাইমা। তোমার বিহেভিয়ার চেঞ্জ করো।”
“তোমার দাওয়াত ক্যান্সেল। একদম আমার বিয়েতে আসবে না।”
“আরেহ তুমি রেগে যাচ্ছ?”
“তুমি জানো না, ইশরাক কী। উনি আমাকে থ্রেট দিয়ে বিয়েতে রাজী করিয়েছে।”
“তারপর?”

“সে আমার কাজিন হয়। মানে, বাবার ভাই। অনেক আগে কী নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় বাবা আর আংকেল মানে জ্যাঠার সাথে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। দাদা নাকী আমাদের বিয়ে ঠিক করে গিয়েছিল। আমি তো এতো কাহিনী জানতাম না। আজকে বিয়ের ডেট পড়েছে। আগামী শুক্রবার আমি বউ সাজব।”
‘সত্যি?”
“তিন সত্যি।”
“তাহলে প্রথমে যা বললে?”
“ওটা জেদের বশে। আজকে কী করছে জানো?”
“কী?”
“আমি বলেছি শাদী মোবারক। সে বলছে, ধন্যবাদ ড্রামা ফ্যাক্টরী।”
“বাহ্! দারুণ তো।”
“তুমি চলে এসো শুক্রবার। আমি ব্যস্ত থাকব তাই আর কল দিতে পারবনা। মিস করবে না একদম।”
“ওকে। কংগ্রাচুলেশনস।”
“থাংকু।”

কল কেটে জাইমা কপাল কুঁচকে নেয়। এই মেয়ে তো ভালোই চালাক। ইশরাকের নামে বদনাম করেও শান্তি পেলো না। ওয়েট! জাইমা সে তো বর মানে জামাই হবে। আগে নাহয় প্রফেসর ইশরাক ছিলো সেজন্য যার তার কাছে বদনাম করতি। এখন কেন? নিজের হবু বরের নামে কেউ বদনাম করে? ছিঃ! ছিঃ! এই তোর এতো বছরের ভালোবাসা জামাইয়ের প্রতি?
নিজের মাথায় চাপড় মেরে বলে, “পুরোনো অভ্যাস বাদ দিতে হবে। নাহলে বেটা আমায় জিন্দা মারবো! এতোদিন আমি মানুষ মারতাম, এখন সত্যি আমাকে মারবে।”
জাইমা বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারেনি। ছুটে যায় রুপার কাছে। গিয়েই রুপার গলা জড়িয়ে ধরে বলে, “রুপ বেইব, আমার বিয়ে হবে। সত্যি! আমার বিশ্বাস হচ্ছেনা।”
“তুমি এখন অব্দি নাচোনি কেন?”
“সত্যি তো! এই চলো তুমি আমি মিলে ফাস্টফুড খাই আর উরাধুরা নাচি।”
“কিন্তু…

” রুপো, আনি ট্রিট দেব তোমায়। দু মিনিট বসো, আমি অর্ডার করছি খাবার।”
জাইমা ফোন হাতে নেয়। অনলাইনে ফাস্টফুড অর্ডার করে দেয়। ছুটে যায় দাদীর রুমে। রাহেলা খানের হাত ধরে টেনে নিয়ে আসে রুপার রুমে। দাদীকে খাটের উপর বসিয়ে বলে, “দাদী নাচবে আমার সাথে।”
“কেন?”
“আরে তুমি ভাবো! আমার বিয়ে ঠিক। যেই বিয়ের জন্য একবছর ভার্সিটি যাইনি।”
“কিন্তু আমি এই বয়সের তোমার সাথে নাচলে বেমানান হয়ে যাবে না?”
“দাদা থাকলো তার সাথে নাচতে নাকী? বাবাহ! এখনো কত রোমান্স তোমার মনে।”
“ছিঃ নাতনি।”
জাইমা ছুটে যায় নিজের রুমে। একটা সাউন্ড বক্স এনে দরজা লক করে দেয়। বাইরে আওয়াজ যাবেনা। সাউন্ড বক্সে গান ছেড়ে রুপাকে নিয়ে উরাধুরা নাচতে থাকে। রাহেলা খান জাইমার খুশি দেখে হাসছেন।
জাইমার অর্ডার দেওয়া খাবার আসতে, সেগুলো রিসিভ করে ভেতরে আসে সে। রুপার রুমে বসেই খাবার খেতে শুরু করে। কখনো নাচচে,কখনো খাচ্ছে।

ইশরাকদের বাড়িতে বৈঠক বসেছে। সাজেদ খান বিয়ে নিয়ে কিছু বলেননি। তবে তিনি মনে,মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সে বাড়িতে আগে যাবেন না তিনি। সাজ্জাদ খান আগে তার বাড়িতে আসবে। এখন কারণ! সাজ্জাদ খান নেয়ে বিয়ে দিচ্ছে, অবশ্যই শর্ত তাকে আগে পূরণ করতে হবে। সে তো ছেলের বাবা!
সাজেদ খানের চুপ থাকাকে পোহা মেনে নিতে পারছেনা। সে তো ভেবেছিল একটু দ্বিমত করবে। কিন্তু এরকম কিছুই হলো না। ইশরাক তার চোখের সামনে অন্য কাউকে বিয়ে করে নিবে। তাও ওরকম উড়নচণ্ডী মেয়েকে? তার মতো ম্যাচিউর মেয়েকে এতোদিনেও মনে ধরেনি ইশরাকের? শুধুমাত্র ইশরাকের জন্যই সে এ বাড়িতে মাসের পর মাস থাকে। কিন্তু লাভ টা হলো কী? এই মূহুর্তে বিয়ে আটকানোর মতো টপিক বা আইডিয়া মাথায় আসছেনা। কিন্তু একবার বিয়েটা হয়ে গেলে, সে চাইলেও কিছু করতে পারবে না।
ভেতরে ভেতরে ভীষণ রকম জ্বলছে পুড়ছে পোহা। ইশরাকের দিকে তাকালে দেখে সে তার বাবার সাথে কথা বলছে। সাজেদ খান জাইমাকে দেখেননি। সেজন্য ইশরাকের কাছে আবদার করে, “জাইমার ছবি তুলোনি? আমি দেখব তাকে।”

“ও কী এক জায়গায় স্থির হয়ে থাকে নাকী যে ছবি তুলব।”
“বলো কী?”
“উড়নচণ্ডী।”
তখন আনায়া বলে, “ভাইয়াকে নাচাতে পারবে। যেমন গম্ভীর বর তেমন উড়নচণ্ডী বউ।”
তখন পোহা বলে, “মেয়ে মানুষ উড়নচণ্ডী ভালো লাগেনা। নম্র,ভদ্রই মানানসই। ইশরাক ভাইয়ার সাথে ওরকম উড়নচণ্ডী একদম যায়না।”
সাজেদ খান ছেলের মুখের দিকে তাকান। জিজ্ঞেস করেন, “তুমি কী আমাদের কথা ভেবে বিয়ে করছ নিজের অমতে?”
“না।”
“কিন্তু…
” মৈশানী উড়নচণ্ডী তবে ওর মনটা সুন্দর। ওর সাথে খুব একটা কথা হয়নি আমার। তবে যতটুকু দেখেছি, ওর ভেতর প্যাঁচ কম।”
“আলহামদুলিল্লাহ।”

“কিন্তু ও তো সেদিন আমার সাথে ঝগড়া করল। সবার সামনে কীভাবে!”
পোহার কথায় ইশরাক বিরক্ত হয়। কোন জবাব দেয়না। সে বুঝেছে, জাইমা পড়াশোনা ছেড়ে বিয়ে করতে চায়। এতো প্যারা নিতে চায়না। যতই লাফাক, ইশরাকের দু একটা ধমকে সে একটু হলেও সোজা হয়েছে। সহজেই মিশে যায় সবার সাথে। মনটা সুন্দর!
বসে থেকেই দাদীর থেকে জাইমার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার নেয় ইশরাক। পেতেই সেটা সেভ করে, “ড্রামা ফ্যাক্টরী” দিয়ে। জাইমাকে মেসেজ দেয়, “মিস মৈশানী, আপনার পিকচার্স লাগবে।”
ইশরাকের মেসেজ দেওয়ার অনেকক্ষণ পর জাইমা সীন করে। রিপ্লাই করে, “কেন? মিস করছেন বুঝি?”

“আমার জন্য না।”
“তো?”
“বাবা দেখবে আপনাকে।”
“সত্যিইইই?”
“হ্যাঁ।”
জাইমা নিজের সুন্দর, সুন্দর ছবি ত্রিশটার মতো পাঠায়। এক্সাইটেড হয়ে বলে, “আর লাগবে?”
“এতো পিকচার্স দিতে বলিনি। আমার ফোনের স্টোরেজের স্পেস তো আপনি শেষ করে দিলেন।”
জাইমা সাথে,সাথে পিকচার্স সব আনসেন্ট মেরে দেয়। ইশরাক হা হয়ে যায়। রিপ্লাই করে, “আপনি এট্টিটিউড দেখিয়ে পিকচার্স ডিলিট করে ভাববেন না,আমি আবার পিকচার্স চাইব।”
“আপনাকে আমি বিয়ে করব না।”
“ধন্যবাদ।”
“কীহ্?”

ইশরাক সীন রিপ্লাই করেনা। মেসেজ রেখে দেয়। এদিকে জাইমার আবার সীন করে রেখে দিলে রাগ হয়। লাস্ট মেসেজ নিজের থাকলে ঘুম আসেনা তার।
ইশরাক সাজেদ খানকে জাইমার একটা পিকচার্স দেখায়। খান পরিবারের সব সদস্যরাই ফর্সা। জাইমাও তার ব্যতিক্রম যায়নি। জাইমাকে দেখে সাজেদ খান ইশরাকের দিকে তাকান। তার ছেলের জন্য বউ হিসাবে পারফেক্ট আছে।
“জাইমার হাইট তোমার সাথে ঠিক আছে?”
ইশরাক কিছুক্ষণ চুপ থাকে। তার পাশাপাশি দাঁড়ালে জাইমা স্রেফ লিলিপুট। খুব সম্ভবত জাইমার পুরো হাইট তার বুক সমান। ইশরাক জবাব দেয়, “ঠিক আছে।”
অন্যদিকে জাইমা ঘুরছে। কী করে লাস্ট মেসেজ ইশরাকের রাখা যায়। অনেক ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে। ইশরাককে মেসেজ দেয়,”আপনার পিকচার্স লাগবে। আমার জন্য না ফ্রেন্ডসরা দেখবে আপনাকে।”
“আপনি তো আমাকে বিয়ে করবেন না। তাহলে ফ্রেন্ডসদের আমার পিকচার্স দিয়ে কাজ কী?”
জাইমার রাগ হয়। তার কথায় তাকেই ফাঁসিয়ে দিলো। কী সাংঘাতিক! জাইমা চুপ থাকে। তারপর বলে, “আমার ফ্রেন্ডসদের জন্য না। আম্মুর ফ্রেন্ডসরা দেখবে।”

প্রণয়ের প্রিয়কাহন পর্ব ১২

“মিথ্যে কথা।”
“লাগবেনা বালের ছবি।”
“বেয়াদব।”
জাইমা সীনও করেনা, রিপ্লাই তো দূরে থাকে। তবে এই মূহুর্তে তার ভীষণ শান্তি অনুভব হচ্ছে। লাস্ট মেসেজ নিজের থাকলে শান্তি লাগে নাকী? ঠিক মতন ঘুম হয়না, সারাক্ষণ মাথায় ঘুরঘুর করে, “লাস্ট মেসেজ আমার ছিলো?”

প্রণয়ের প্রিয়কাহন পর্ব ১৪