প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ১১

প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ১১
আদ্রিতা নিশি

রাত বারোটা বেজে বিশ মিনিট।অরিত্রিকার রুম যেনো গুদাম ঘরের ন্যায় হয়ে আছে।চারজনের উরাধুরা নাচে বিছানা, বালিশ, কাঁথা সবকিছু এলোমেলো হয়ে আছে।যেকোনো মানুষ রুমে ঢুকে এ অবস্থা দেখে বলবে এটা নিশ্চয়ই গোয়াল ঘর। এখন দেখতে গোয়াল ঘরের থেকে কম কিছু লাগছেনা। চারজন নাচতে নাচতে কাহিল অবস্থা। সবগুলো মেঝেতে শুয়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে। অনেকদিন পর এমন বাদরামী করলো সকলে মিলে।তার ওপর চিপস, কোল্ড ড্রিংকস খেয়ে খাবার গলা অব্দি পৌঁছে গেছে।

সাদাত মেঝেতে হাত পা ছড়িয়ে হাঁপিয়ে যাওয়া কন্ঠে বললো~ আমি আমার রুমে গেলাম।খুব ক্লান্ত হয়ে গেছি। আজ এই পর্যন্তই থাক।আবার কোনো একদিন আমরা সকলে মিলে মজা করবো।
অরিত্রিকা মনে হচ্ছে শরীর চলছেই না। সে ক্লান্তি নিয়েই বললো~ ঠিক আছে যা।
সাদাত মেঝে থেকে উঠে সবার উদ্দেশ্যে বললো~ বাই গাইস। সকালে দেখা হবে।
ইফা,ইশরা হাত নাড়িয়ে সাদাতকে বিদায় জানালো।সাদাতও ক্লান্ত শরীরে প্রস্থান করলো সেখান থেকে।
ইফা অরিত্রিকাকে বললো~ লুঙ্গি নিয়ে যে দৌড়ে আসলি তখন কিছু কি হয়েছিলো তখন?
অরিত্রিকার মুখ থমথমে হয়ে গেলো। সে মেঝে থেকে উঠে বসে হতাশা নিয়ে বললো~ কি আর হবে? ধরা খেয়ে গেছিলাম আবারও।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

ইশরা আর ইফার মুখ কিঞ্চিৎ হা হয়ে গেলো।তারা শোয়া থেকে বসে অরিত্রিকার দিকে অদ্ভুত দৃষ্টি ফেললো। এই মেয়ে সব জায়গায় ধরা খায় কিভাবে বুঝে আসে না তাদের। এখন দুজনের মাঝেই কৌতুহল বিরাজ করছে। সারহান কি কিছু বলেছে। ইশরা কৌতুহল দমিয়ে রাখতে না পেরে বললো ~ ভাই কি কিছু বলেছে?
অরিত্রিকা মুখ গোমড়া করে বললো~ তোর ভাই কি কিছু না বলে থাকার মানুষ?
ইফা আগ্রহী হয়ে শুধালো ~ কি বলেছেন রে উনি?
অরিত্রিকা চিপসের প্যাকেট থেকে চিপস মুখে পুড়ে বললো~ বলেছে বাবাকে বলবে আমার জন্য লুঙ্গির ব্যবস্থা করতে।
ইফা আর ইশরা কথাটা শুনেই হেসে উঠলো। ইশরা হাস্যরত অবস্থায় বললো~তাহলে তো ভালোই হবে সারহান ভাইয়ের লুঙ্গি চুরি করতে যেতে হবে না আর। সামান্য লুঙ্গি নিয়ে আসতেই ধরা খেলি এটা মানা যায়।
অরিত্রিকা চোখ গরম করে বললো~ তোকে পাঠানো লাগতো।তখন বুঝতি কেমন লাগে।
~ আমি অন্তত ধরা পরতাম না।

ইফা ওদের থামাতে বললো~ আরে তোমরা চুপ করো।অনেক রাত হয়েছে ঘুমানো প্রয়োজন।মুখের কালি গুলো তুলতে হবে। আমি ওয়াশ রুমে গেলাম।
ইফা কথাটা বলে ওয়াশরুমে গেলো।ইশরা অরিত্রিকাকে ডেকে বললো~ এই শোন একটা ইম্পর্ট্যান্ট কথা আছে।
অরিত্রিকা বিরক্ত হয়ে বললো~ কান বন্ধ করে রাখিনি। খোলায় আছে কি বলবি বল?
ইশরা অরিত্রিকার কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বললো~ আরে এটা সিক্রেট কথা।
অরিত্রিকা বললো~ কি এমন কথা যে ইফা আপুর সামনে বললি না।
~আরে গাঁধি যারে নিয়া কথা তার সামনে কেমনে কমু?
~কি কথা?

ইশরা অরিত্রিকার কাছাকাছি এগিয়ে এসে ফিসফিস করে বললো~ আমার কি মনে হচ্ছে জানিস? ইফা আপু মনে হয় সারহান ভাইকে পছন্দ করে। ওই যে বলে না! প্রথম দেখায় প্রেম। তেমনটায় হয়েছে।
অরিত্রিকা শুনে ইশরার দিকে তীক্ষ্ণ চোখে তাকালো।ইশরা তা দেখে ভড়কে গিয়ে বললো~ আরে এমন করে তাকাচ্ছিস কেন? আমার সন্দেহ কখনো ভুল হয় না। তুই খেয়াল করেছিস কিনা জানি না প্রথম থেকেই আপু সারহান ভাইকে নিয়ে বেশী ভাবছে। আজ সবাই আড্ডা দিচ্ছিলো তখনো ইফা আপু ভাইয়ের রুমের দিকে তাকিয়ে ছিলো।তুই খেয়াল করিসনি?
অরিত্রিকার তখনি মনে পরলো সন্ধ্যার সেই ঘটনাটি। সেও তো ইফাকে সারহানের রুমের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখেছে। কিন্তু সে বিষয়টা স্বাভাবিক ভাবে নিয়েছে।এখন ইশরার কথা শুনে মনে হচ্ছে আসলেই কোনো গন্ডগোল আছে। আবার উঁকিঝুঁকি মারছে সারহানের রুমে। কোনো তো কাহিনী আছে।অরিত্রিকা ভাবুক হয়ে বললো~ আমারও কেমন যেনো সন্দেহ হচ্ছে।শোন তুই আর আমি ইফা আপুর ওপর নজর রাখবো।
ইশরাও চিন্তিত স্বরে বললো~ ঠিক আছে। আমাদের মিশন হলো ঘরের ছেলেকে অন্য বাড়ির জামাই হতে দিবোনা।

অরিত্রিকাও সায় দিয়ে আবার থেমে বললো ~ একদম ঠিক।এই এক মিনিট! মানে কি বললি?
ইশরা বেফাঁস কথা বলে ফেঁসে গেছে।তার তো এখনো সন্দেহ যাচ্ছেনা যে অরিত্রিকা আর সারহানের মাঝে কিছু নেই।ইশরা না বোঝার ভান করে বললো~ কই কি বলেছি?
অরিত্রিকা চোখ ছোট ছোট করে বললো~ একটু আগে বললি যে সারহান ভাইকে অন্য বাড়ির জামাই হতে দিবি না এসবের মানে কি?
ইশরা হেসে কথা উড়িয়ে দিলো।সে বললো~ আরে তেমন বলতে ভুল হয়েছে।কিন্তু ইফা আপু কিন্তু সুন্দরী। বড় মামীও কেমন প্রশংসা করলো শুনলি না? আমার মনে হচ্ছে মামীরও ইফা আপুকে ভালো লেগেছে।এখন যদি মামী ইফা আপুকে ছেলের বউ বানাতে চায় তখন কি হবে?

অরিত্রিকার মস্তিষ্কে অনেকটা প্রভাব ফেললো।সে গভীর ভাবনায় মত্ত হয়ে গেলো।আসলেই কি এমন কিছু হবে?যদি বড় মা সত্যি বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসে তখন কি হবে। সে তার মামীকে চিনে এমন সুপাত্র নিশ্চয়ই হাতছাড়া করবেন না। মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়েই ছাড়বেন। এসব আকাশ কুসুম ভাবনা তাকে জেঁকে ধরলো।সে কল্পনা করতে লাগলো।দুজনকে পাশাপাশি বিয়ের সাজে কেমন লাগবে?ভাবতেই তার ছোট্ট সত্তা অনামিশায় ডুবে গেলো।কোনো কারণ বশত মন ভার হলো তার।অরিত্রিকার মনে হলো বক্ষে কেমন অস্থিরতা কাজ করছে। সে দুজনের বিয়ের কথা ভেবেই ধক করে উঠেছে যেনো।কেমন যেনো সব কিছু এলোমেলো লাগছে। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আসছে তার।

ইশরা অরিত্রিকাকে চুপ করে গভীর ভাবনায় বিভোর থাকতে দেখে বললো~ এই কই হারাইলি?
অরিত্রিকার ভাবনার সুতো ছিড়লো তখনি। সে ইশরার দিকে নির্মল তাকিয়ে বললো~ কোথাও না।তুই ফ্রেশ হয়ে নে।
~ঠিক আছে।
~তুই রুমে থাক আমি পানি নিয়ে আসি নিচ থেকে।
~আচ্ছা যা।
অরিত্রিকা উঠে টেবিল থেকে ওয়াটার পটার নিয়ে নিচে চলে গেলো।

সারহান এতোক্ষণ এমপি মহোদয়ের সাথে কথা বলছিলো কিছুদিন পরেই ভোটে দাড়াবে যে সকল প্রার্থী তাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। মনোনয়ন নিতে দলের কিছু সংখ্যক নেতা কর্মীকে নিয়ে ঢাকা যেতে হবে। সেগুলো নিয়ে অনেকক্ষণ ধরে কথোপকথন চলেছে তাদের মাঝে।এর মাঝেই সারহান খবর পেয়েছে কিছুসংখ্যক মানুষ সাধারণ মানুষদের কাছে তাদের দলের নামে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে যা একেবারেই খুবই অনুচিত। এগুলো যে নয়ন তালুকদার তার দলবল দিয়ে করাচ্ছে এটা নিশ্চিত সারহান। অন্য কোনো মানুষের এতো সাহস হবে না যে সারহানের পরিচিত এলাকায় মিথ্যা গুজব ছড়াবে ।সে সবাই কে শিক্ষা দিতে পারতো এমন কর্মকান্ডের জন্য কিন্তু সারহান নিজে চাইছেনা এই মুহুর্তে এসব নিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি হোক।এই মুহুর্তে কোনো ঝামেলায় জোড়ালে নিশ্চয়ই তাদের দলের জন্য খারা/প হবে। তাই সে এসব দেখেও রা/গ দমিয়ে চুপ করে আছে। মামা- ভাগ্নে কোথাও গিয়ে তাকে শান্তি দেয় না।

এই দুজনের জন্য যতো সমস্যা।দুজনেই সমস্যা করার মূল হোতা। নিশাদ ছিলো সারহানের ব্যাচমেট। এই রাজনৈতিক কারণেই দুজনের কখনো বনিবনা হয়নি।নিশাদ ভার্সিটিতে পড়াকালীন অনেক উশৃংখল জীবনযাপন করতো। প্রতিনিয়ত অন্যায় কাজ নিয়ে মেতে থাকতো।ক্যাম্পাসে ছোট ছোট বিষয় নিয়ে ঝামেলা, মা/রামারি লেগেই থাকতো আর এগুলোই সারহানের পছন্দ ছিলোনা।সে নিশাদের অন্যায় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতো। এই কারণে নিশাদ সারহানকে শ/ত্রুর চোখে দেখতো,অবশ্য এখনো দেখে। ভার্সিটি লাইফের শ/ত্রুতা রুপ নিয়েছে বড় আকারে। সে জানে অরিত্রিকাকে বিয়ে করতে চাওয়ার পেছনে নিশাদের বড় কোনো উদ্দেশ্য ছিলো।তবে সারহান তা পূরণ করতে দেয়নি। তবুও নিশাদকে বিশ্বাস নেই কখন কি করে বসে।
সারহান বেলকনি থেকে কথা বলা শেষ করে রুমে প্রবেশ করলো।আজ সারাদিন অনেক প্রেশার গিয়েছে তার ওপর দিয়ে। শরীরটাও মেজমেজ করছে। এর মাঝেই মাথা ব্যথা ও শুরু হয়ে গিয়েছে।মেজাজটাও খিটখিটে হয়ে আছে। কফি খেলে হয়তো একটু ভালোলাগতে পারে।সে ঘড়িতে সময় দেখে নিলো। বারোটা পয়তাল্লিশ বাজে।এখন নিশ্চয়ই কেউ জেগে নেই। সবাই গভীর ঘুমে তলিয়ে গেছে।তারমানে তারই কফি বানাতে হবে। সে আর সময় নষ্ট না করে কিচেনের উদ্দেশ্যে পা বাড়ালো।

সারহান সিঁড়ি দিয়ে নামতেই তার চোখ পরলো ফ্রিজের দিকে। সিড়ি থেকে কিচেন পুরোটা স্পষ্ট দেখা যায়। সে খেয়াল করলো ফ্রিজটা আধখোলা। সেখান হতে হালকা হলদেটে আলো নিঃসরণ হচ্ছে।এটা দেখেই কিছুটা সন্দেহ হলো সারহানের। এতো রাতে ফ্রিজটা এমন করে কে রেখেছে? সে আশে পাশে তাকালো। নাহ কেউ তো নেই। ডাইনিং রুমের সকল লাইট অফ করা সেই কারণেই কিছু দেখা যাচ্ছেনা তেমন।সিঁড়ি পেরিয়ে সারহান ধীর পায়ে এগিয়ে আসতে লাগলো।হাতে থাকা ফোনের ফ্ল্যাশ অফ করে নিলো সে।নিশ্চয়ই কোনো চো/র চুরি করতে এসেছে।তার একটাই ভাবনা ঘুরছে এতো সিকিউরিটি থাকতে কীভাবে বাড়ির ভেতরে আসলো?।অস্পষ্ট কারো অবয়ব ফ্রিজের হালকা আলোয় বোঝা যাচ্ছে কিছুটা।সার ফ্রিজের ভেতরে কেউ কিছু খুঁজে চলেছে।টুংটাং শব্দ ভেসে আসছে সারহানের কানে।সে সাবধানতা বজায় রেখে দাঁড়ালো। তখনি সেই মানুষটি কাঙ্খিত বস্তুটি ফ্রিজ থেকে নিয়ে ফ্রিজ আটকে দিলো। পুরো ডাইনিং রুম আবারও অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে গেলো।

অরিত্রিকা এতোক্ষণ ফ্রিজের সাথে যুদ্ধ করে অবশেষে আইসক্রিমের বাটিটি পেলো।প্রায় দশমিনিট ধরে খুঁজে চলেছে। রুমে গিয়ে আরাম করে বসে আইসক্রিম খাওয়া যাবে। অরিত্রিকা আইসক্রিম হাতে দুই কদম আগাতেই কেউ তার বাহু ধরে দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো। তখনি আইসক্রিমের বাটি হাত থেকে ছিটকে পরলো মেঝেতে। সেদিকে অরিত্রিকার খেয়াল নেই তার হাত এতোটা শক্ত করে ধরেছে যে সে ব্যথায় আর্তনাদ করে উঠলো।ব্যথায় অশ্রুতে ভিজে এলো চোখ। সে ব্যথাতুর কন্ঠে বলে উঠলো ~ কে?
তখনি সারহান হাতে ধরে থাকা ফোনটি উঁচিয়ে অরিত্রিকার মুখের দিকে ধরলো।অরিত্রিকা অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকালো মানুষটির দিকে।তাকাতেই দেখতে পেলো শ্যাম পুরুষ টির গম্ভীর মুখের আদল। তার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে। পুরুষালী শক্ত তালুর মাঝে এখনো তার নরম বাহু আবদ্ধ। সে দাঁতে দাঁত চেপে ব্য/থা সহ্য করে বললো~ সারহান ভাই আমার হাতে লাগছে।

সারহানের হাত নরম হয়ে এলো। সে তখনি অরিত্রিকার বাহু ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে দাঁড়ালো। অরিত্রিকা তার আরেক হাত দিয়ে ব্যথা পাওয়া স্থানটি চেপে ধরলো।সারহান ফ্ল্যাশের আলোয় দেখলো ব্যথায় নীল হয়ে যাওয়া অরিত্রিকার মুখ।সে রান্নঘরের লাইটটি অন করে শান্ত কন্ঠে বললো ~ এতো রাতে এখানে কি করছিলি?
~ আইসক্রিম নিতে এসেছিলাম।
~ লাইট জ্বালাসনি কেনো? আর একটু হলেই তো চোর ভেবে মা/র দিতাম তখন কি হতো?
অরিত্রিকা নিচু গলায় বললো ~ লাইট জ্বালালে যদি কেউ জেগে যেতো তাই জ্বালাইনি।
সারহান বিরক্তি প্রকাশ করে বললো~ ইডিয়েট একটা। আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে এতোক্ষণ তোর অবস্থা ওই নিশাদের মতো হতো।
অরিত্রিকা কতা শুনেও চুপ করে আছে। সে ভাবছে সারহান যদি তাকে চোর ভেবে মার/তো তাহলে তো সব হাড় ভেঙ্গে যেতো।

প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ১০

সারহান অরিত্রিকার দিকে খেয়াল করতেই দেখলো মেয়েটা টি শার্ট আর লুঙ্গি পরে আছে। এটা দেখে সারহান বিস্মিত হলো।মুখেও কালির আস্তরণ দিয়ে দাঁড়ি, গোঁফ বানিয়েছে। এমন সাজে যে কোনো মানুষের সামনে গেলে পাগল বলবে। সারহান অরিত্রিকাকে ধমকে বললো~ এগুলো কি পরে আছিস তুই? দেখতে জ/ঘন্য লাগছে।
অরিত্রিকার মনে পরলো সে তো জামা কাপড় চেঞ্জ না করেই নিচে এসেছিলো।তারমানে সারহান ভাই তাকে এই জোকার সাজে দেখে ফেলেছে? তার সম্মান সব শেষ হয়ে গেলো। ভাবতেই অরিত্রিকা হাতের ব্য/থা আঁতকে চিল্লিয়ে উঠলো~ আআআআআআআ।
তখনি সারহান তার হাত দ্বারা অরিত্রিকার মুখ চেপে ধরলো।

প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ১২