প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ১২
আদ্রিতা নিশি
পুরুষালী শক্ত হাত দ্বারা বন্দি অরিত্রিকার ওষ্ঠযুগল।অনেকটা জোড়ালো ভাবেই মুখ চেপে ধরেছে সারহান।অরিত্রিকা হতবিহ্বল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সারহানের মুখ পাণে।সে স্তব্ধ হয়ে গেছে যেনো হঠাৎ এহেন কান্ডে।সারহান ঘাড় ঘুরিয়ে আশে পাশে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে অবলোকন করছে ঘুম থেকে কেউ চিল্লানোর আওয়াজে উঠে যায়নি তো?কেউ তাদের এই অবস্থায় দেখলে নিশ্চয়ই ভালো কিছু হবে না।চারিদিকে অনেকক্ষণ ধরে তাকিয়ে কাউকে দেখলো না। অরিত্রিকার এমন আবদ্ধ অবস্থায় থাকতেই গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আসছে। বক্ষ মাঝে যেনো উত্তাল ঝড় উঠেছে।শরীর কেমন শীতল হয়ে আসছে । সবকিছু বেসামাল লাগছে। সে কখনো কোনো পুরুষের এতোটা সন্নিকটে আসেনি এই প্রথম সে কারো এতোটা কাছে এসেছে।তবুও নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে সে।
সারহান আশেপাশে অবলোকন করে দেখলো কেউ জাগেনি। সে হাঁপ ছেড়ে বাচঁলো।অরিত্রিকার দিকে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বললো~ এভাবে কেউ চিৎকার করে?কেউ যদি জেগে যেতো আর আমাদের এভাবে দেখতো তখন কি হতো জানিস?সবাই অন্তত ভালো চোখে দেখতোনা বিষয়টা।
অরিত্রিকা কয়েকবার নেত্রপল্লব ঝাপটালো।সে কথা বলার জন্য উম উম করে লাগলো। এদিকে অনেকটা সময় পার হয়ে যাওয়ায় শ্বাস আটকে আসছে অরিত্রিকার।দমবন্ধকর পরিস্থিতিতে পরেছে সে।সে সারহানের হাত ধরবে মুখ থেকে হাত সরানোর জন্য তখনি সারহান উত্তর না পেয়ে আবারও কিছু বলতে যাবে দেখলো অরিত্রিকা ছটফট করছে।এটা দেখে সে কিছুটা ভড়কে গেলো।সারহান দ্রুততার সহিত তার হাত সরিয়ে নিলো অরিত্রিকার মুখশ্রী হতে।অরিত্রিকা আর দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে ধপ করে বসে পরলো মেঝেতে। হাঁপানি রোগীর ন্যায় জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগলো। সারহানের মুখ কাঠিন্য রইল না।মুখ স্বাভাবিক হয়ে এলো। চোখের সামনে অরিত্রিকার এমন অবস্থা দেখে অনেকটাই চমকালো সারহান। সে তো ভুলেই গিয়েছিলো অরিত্রিকার দমবন্ধকর পরিস্থিতি সহ্য করতে পারেনা।ওহহ,শীট এটা কি করলো সে?অরিত্রিকা দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে শ্বাস নিতে নিতে চোখ বন্ধ করলো।সারহান অরিত্রিকার পাশে বসে বিচলিত ভঙ্গিতে বললো~ এই অরিত্রি ঠিক আছিস? আ’ম সরি। আমি ভুলে গিয়েছিলাম তোর শ্বাসক/ষ্টের প্রবলেম আছে।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
সারহানের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে অপ/রাধবোধ। সে ইচ্ছে করে মুখ চেপে ধরেনি।কিন্তু এখন এর ভোগান্তি পোহাতে হবে অরিত্রিকাকে। নিজের এহেন কাজে নিজেই বিরক্ত হলো।
অরিত্রিকা সারহানের কন্ঠস্বর শুনে ভিজে নেত্রে তাকালো।সারহান মুখ মলিন করে তার দিকে তাকিয়ে আছে। তার মনে হলো সারহান ভাই হয়তো নিজেকে অপ/রাধী ভাবছে! গলা শুকিয়ে আসায় অরিত্রিকা ধীর কন্ঠে আওড়ালো~ পানি খাবো সারহান ভাই।পানি দিন আমায়।
সারহান আর দেরী না করে চপল পায়ে খাবার টেবিলের কাছে গিয়ে জগ থেকে এক গ্লাস পানি নিয়ে আসলো।সে বসে পানির গ্লাস অরিত্রিকার সম্মুখে ধরলো।অরিত্রিকা হাত দিয়ে গ্লাস ধরতে যাবে তখনি সারহান আদুরে স্বরে বলে উঠলো~ আমি খাইয়ে দিচ্ছি।
অরিত্রিকা তার হাত নামিয়ে নিলে।সারহানের আদুরে স্বর শুনে কিছুটা আহ্লাদী হলো সে। চোখ ভিজে এলো অরিত্রিকার। সারহান সহজে কারো সাথে এমন আদুরে কন্ঠে কথা বলে না কখনো। সারহান সযত্নে নিজ হাত দ্বারা অরিত্রিকাকে পানি খাইয়ে দিলো।সারহান গ্লাসটা মেঝেতে রেখে শান্তস্বরে বললো~ এখন কেমন লাগছে?
কিছুটা সময় এভাবেই কেটে গেলো চোখের পলকে।
অরিত্রিকার শ্বাসকষ্ট একটু কমেছে। সে অতি ধীরে উত্তর দিলো ~ এখন একটু ভালো।
~রুমে যেতে পারবি?
অরিত্রিকার মুখে অসহায়ত্বের ছাপ স্পষ্ট। সে একা সিঁড়ি মাড়িয়ে হেটে যেতে পারবেনা।ক্ষীণ দৃষ্টি ফেললো সারহানের পাণে। সারহান তা দেখে বুঝলো অরিত্রিকা একা যেতে পারবেনা।সে বললো ~ পাঁচ মিনিট ওয়েট কর ইশরাকে ডেকে দিচ্ছি তোকে নিয়ে যাবে।
অরিত্রিকা দুর্বল চিত্তে বলে উঠলো ~ইশরা হয়তো ঘুমিয়ে পরেছে।জেগে থাকলে আমার খোঁজে নিচে চলে আসতো।
সারহানের মুখশ্রী গম্ভীর হলো।এভাবে তো সারারাত এখানে বসে থাকা যায় না। সে কিছুটা চিন্তিত হয়ে বললো~ তাহলে কি করার। চল আমি তোকে রুমে রেখে আসি।
অরিত্রিকা ভাবলো সারহানের কথা না শুনে উপায় নেই। সে সায় জানিয়ে বললো~ ঠিক আছে।
সারহান দাঁড়িয়ে অরিত্রিকার দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো।অরিত্রিকা না বুঝে সারহানের দিকে তাকালো। সারহান তা দেখে বললো~ হাত ধরে উঠে দাঁড়া।
অরিত্রিকা অস্বাচ্ছন্দ্যে হাত বাড়িয়ে সারহানের হাত ধরে উঠে দাঁড়ালো। সারহান তার আরেক হাতে প্যান্টের পকেটে ফোন পুরে অন্য পকেট হতে রুমাল বের করলো।সে রাতে এসে আর ড্রেস চেঞ্জ করেনি। কারণ সময় হয়নি। এসেই এমপি মহোদয়ের সাথে কথা বলছিলো।অরিত্রিকা সারহানের হাতে রুমাল দেখে ভাবলো এটা আবার কি করবে?সারহান রুমাল দ্বারা অরিত্রিকার মুখের কালি ধীরে ধীরে মুছে দিতে লাগলো।অরিত্রিকা যেনো থমকে গেলো।স্তম্ভিত নয়নে সে সারহানের দিকে তাকালো।তার সবকিছু কেমন অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। এটা সে কি দেখছে সারহান তার নিজ হস্তে মুখমন্ডলে থাকা কালির আস্তরণ তুলে দিচ্ছে?সারহানের স্পর্শে অরিত্রিকা বিচলিত হলো।তার শরীর যেনো অসাড় হয়ে আসছে।সে কিছুটা পিছিয়ে গেলো।সারহান তখনি পুরুষালী মুঠো দ্বারা অরিত্রিকার হাত শক্ত করে ধরলো। অরিত্রিকার কাছে সবকিছু অস্বাভাবিক লাগলেও সারহান স্বাভাবিক আছে।কালি মুছতে মুছতে সারহান গম্ভীর কণ্ঠে বললো~ আর কোনোদিন এমন উদ্ভট সাজবিনা। আর আমার সামনে এমন উদ্ভট পোশাকে আসবিনা।কেমন পেতনির মতো দেখাচ্ছে তোকে। আয়নার সামনে গিয়ে একবার নিজেকে দেখবি কেমন লাগছে? আমার জায়গায় যদি আফ্রিদি থাকতো তখন কেমন হতো? লজ্জায় দাঁড়াতে পারতিনা তার সামনে।
অরিত্রিকা অবুঝের ন্যায় চোখ পিটপিটিয়ে তাকালো।সারহান তা দেখে শ্বাস ফেলে বললো~ বড় হচ্ছিস,সব কিছু বুঝতে শিখেছিস। ভদ্রভাবে চলাফেরা করবি।
সারহান সুন্দর ভাবে অরিত্রিকার মুখশ্রীর কালি মুছে দিলো।হালকা হালকা কালি এখনো লেগে আছে মুখে। পানি দিয়ে মুখ না ধুলে উঠবেনা।সারহান বললো~ এই কালি কোথায় পেয়েছিস?
অরিত্রিকা মিনমিনিয়ে উত্তর দিলো~ সাদাত কয়লা কিনে এনেছিলো।
সারহান তা শুনে ফোঁস করে নিঃশ্বাস ফেললো। এদের দ্বারা সব সম্ভব। এসব উদ্ভট কান্ডের জন্য কেউ কয়লা কিনতে যায়? সারহান আর কথা না বাড়িয়ে বললো~ ~চল।
~কোথায়?
সারহান রুঢ় গলায় বললো~ এখানেই দাঁড়িয়ে থাকার ইচ্ছা আছে?তাহলে থাক আমি আমার রুমে চললাম।
অরিত্রিকা করুণ স্বরে বললো~ আমি একা যেতে পারবোনা।
~তাহলে চল।
অরিত্রিকার চোখে ঘুম নেই।সে শুধু এপাশ ওপাশ করছে। ঘুম আজ হয়তো চোখের পাতায় ধরা দিবে না।তবুও চোখ বন্ধ করে বিছানায় পরে রইল। পাশেই দুই কুম্ভকর্ণ ঘুমাচ্ছে আরামসে। এদিকে অরিত্রিকা বিরক্ত হয়ে গেছে কখন ঘুম আসবে চোখে?চোখ বন্ধ অবস্থায় মনে পরলো তখনকার কথা।সারহান তাকে হাত ধরে সাবধানে রুমের সামনে রেখে গিয়েছিলো।রুমে আসতেই দেখলো ইশরা আর ইফা আগেই ঘুমিয়ে গিয়েছে।অরিত্রিকার তৎক্ষনাৎ সারহানের বলা কথা মনে পরে গেলো।সে দুর্বল চিত্তে হেঁটে গেলো আয়নার সামনে। যেতেই তার চোখ বড় বড় হয়ে গেলো। সে এই অবস্থায় নিচে গিয়েছিলো ভাবতেই নিজের মাথায় নিজেই বারি দিতে ইচ্ছে হলো।এই কারণেই সারহান তাকে ওসব বলেছিলো।টি শার্ট আর লুঙ্গিতে অদ্ভুত লাগলেও সে যে ওড়না নিতে ভুলে গিয়েছিলো নিচে যাওয়ার সময়।এতোটা গর্দভ কেনো সে?অরিত্রিকা নিজেকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখতে লাগলো আয়নার সামনে ।দেখতে মোটেও খারাপ লাগছে না। টি শার্ট যথেষ্ট ঢিলেঢালা আর সেও মোটা নয়।তবুও এভাবে কারো সামনে যাওয়াটা খারাপ দেখায়। সে ভাবছে সারহানের সামনে তার মান সম্মান শেষ।লজ্জায় তো সামনেই যেতে পারবেনা।তাকে নিশ্চয়ই সারহান ভাই বেয়াদব উপাধি দিয়েছে আজকে।এতেই হতাশায় ডুবে গেলো সে। আর ভাবতে পারলোনা। এতোটা কেয়ারলেস কেনো সে?সবসময় ভুলভাল কাজ তার দ্বারাই কেনো হয়?
অরিত্রিকা আর না ভেবে চোখ মেলে ফোনটা হাতে নিলো।কিছু একটা ভেবে সারহানের ফেসবুক আইডিতে ঢুকলো।সারহান ফেসবুকে বেশী এক্টিভেট নয়। তবে তার নামে একটা পেজ আছে। সেটার মনিটরিং করে আবির নামের ছেলেটি।বিভিন্ন রাজনৈতিক পোস্ট,ছবি, ভিডিও শেয়ার করে পেজে।তা নিয়ে অরিত্রিকার কোনো মাথা ব্যথা নেই। রাজনীতি করতে হলে কতো কি করতে হয়। অরিত্রিকা ফোন স্ক্রোল করতে করতে একটা ছবিতে তার দৃষ্টি আঁটকে গেলো।ছবিটির মালিককে সুদর্শন লাগছে।সুঠাম দেহী শরীরে কালো শার্ট যেনো সৌন্দর্যের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।শ্যাম পুরুষকেও যে কালো শার্টে অতিরিক্ত মাত্রায় সুদর্শন লাগে তা হয়তো সারহানকে না দেখলে বিশ্বাস করতো না।ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে তিনঘন্টা আগে তাই এতো লাইক,কমেন্ট। সে আগ্রহী হয়ে কমেন্ট বক্স দেখতে লাগলো কে কি কমেন্ট করেছে।কমেন্টগুলোর অর্ধেকের বেশী মেয়ে মানুষের পুতুপুতু মার্কা কমেন্ট।সারহানের ফ্রেন্ডলিষ্টে মেয়ে খুব কম সংখ্যক রয়েছে। তারা সারহানের ফ্রেন্ড সার্কেলের সাথে যুক্ত।সারহানের প্রোফাইল লক্ষ না থাকায় সব মেয়ে মানুষ হামলে পরেছে কমেন্টে।এসব দেখে অরিত্রিকা বিরক্ত হলো। অন্তঃকোণে কোথাও রাগ লাগলো। মেয়ে মানুষ ভদ্র নম্র হবে কিন্তু এখানে পুরোই উল্টো।এসব আর দেখার ইচ্ছে হলোনা অরিত্রিকার সে ফোন রেখে দিলো।
ঘড়ির টিকটিক আওয়াজ হচ্ছে। সেই শব্দ নিস্তব্ধতায় যেনো অধিক জোরে শোনা যাচ্ছে। সে অন্ধকারাচ্ছন্ন রুমের দিকে তাকিয়ে আছে। অপেক্ষা করছে নিদ্রারত।
সারহান সোফায় বসে আরশাদ সাহেবের সাথে ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করছে।সারহান তার বাবার কথা শুনে বোঝার চেষ্টা করছে।সাদাত ঘুমো ঘুমো চোখে সাদাতের পাশে বসলো।তার এখনো ঘুম পরিপূর্ণ হয়নি। কাল প্রায় একটার সময় ঘুমিয়েছে আর এখন সকাল নয়টা বাজে।তবুও ঘুমের রেশ যেনো কাটছেই না।তানিয়া বেগম ছোট ছেলেকে ডেকে তুলেছেন। আরশাদ সাহেব কথা থামিয়ে সাদাতকে বললেন~ বাবা তোমার তো এখনো ঘুম কাটেনি। যাও আবারো ঘুমিয়ে পরো।
সাদাত বুঝলো তার বাবা ঘুমের জন্য ব্যগ্র করছেন তাকে।সে কথা গায়ে মাখলো না। উল্টো হেসে বললো~ আজ ঘুমাতে ভালো লাগছিলোনা তাই আগেই উঠে পরেছি। কাল থেকে ভাবছি বারোটা পর্যন্ত ঘুমাবো।
আরশাদ সাহেব বুঝলেন ছেলেটা বড্ড বদমা ইশ হয়েছে।তিনি আর এসব নিয়ে কিছু বললেন না।সারহান সাদাতের দিকে তাকিয়ে বললো~ রাতে কি করেছিস বাবা কে বলবো?
সাদাত ভাইয়ের কথা শুনে ঢোক গিলে আমতাআমতা করে বললো~ আরে রাতে তো আমি ঘুমিয়েছিলাম।তুমি কিসের কথা বলছো?
সারহান ভ্রু কুঁচকে বললো~ বুঝতে পারছিস না?
~নাহ তো।
সাথী বেগম রান্নাঘরের সামনে সকাল আইসক্রিম পরে থাকতে দেখেছেন।পুরো মেঝে আইসক্রিম গলা পানিতে ছেয়ে ছিলো। তিনি ড্রয়িং রুমে এসে সাদাতকে জিজ্ঞেস করলেন~ সাদাত তুই কোনো বিড়ালকে দেখেছিস আমাদের বাড়ির আশে ঘুরতে?
সাদাত বললো~ না তো। কেনো কিছু হয়েছে।
সাথী বেগম মুখ গম্ভীর করে বললেন~ আর বলিস না। রাতে মনে হয় কোনো বিড়াল এসেছিলো বুঝলি। একবাটি আইসক্রিম ফেলে দিয়েছে মেঝেতে।কিন্তু বিড়ালটাকে তো খুঁজে পেলাম না।
~ বিড়াল আসলো কোথায় থেকে।কোনোদিন তো বাড়ির আশেপাশেও দেখলাম না।
সারহান এতোক্ষণে বুঝলো বিড়াল খোঁজার কারণটা। ভাবতেই সে মৃদু হাসলো।অরিত্রিকা সাথী বেগমের চিন্তিত মুখ দেখে এগিয়ে এসে বললো~ মা কিছু হয়েছে?
সাদাত তখনি বলে উঠলো~ চাচী বিড়াল খুঁজছে।
অরিত্রিকা না বুঝে বললো~ বিড়াল কি করেছে?
সাথী বেগম বললো~ আইসক্রিম ফেলে দিয়েছে।
অরিত্রিকা বুঝলো আসল গন্ডগোল কোথায়? সে কি করে বলবে বিড়াল খুঁজে লাভ নেই ওটা আমি করেছি।
সারহান অরিত্রিকার দিকে তাকিয়ে হাসির রেখা টেনে সাথী বেগমকে বললো~ চাচী আমি রাতে বিড়াল দেখেছি। বিড়ালটি খাবার চুরি করতে এসেছিলো।আইসক্রিম খাবে এমন সময় আমি দেখে ফেলি।আমায় দেখে বিড়ালটি ভয় পেয়ালা যায় তারপর আর কি বিড়াল আইসক্রিম ফেলে দিয়ে দৌড় দিলো।তুমি বিশ্বাস করবেনা বিড়ালটা কিন্তু অনেক বড় ছিলো।
প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ১১
সারহানের কথা শুনে অরিত্রিকা আশ্চর্য হলো।এক নিমেষে কি করে মিথ্যা বলে দিলো।আর শেষে কিনা তাকে বিড়াল বানিয়ে দিলো? অসহ্য।
সাথী বেগম একটু রাগ দেখিয়ে বললেন~ কি সাহস ওই বজ্জাত বিড়ালের?সুযোগ পেয়ে বাড়িতে ঢুকে পরেছে।
মায়ের মুখে নিজের নামে এসব শুনে সে কটমট দৃষ্টিতে সারহানের দিকে তাকালো।