প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ২৪
আদ্রিতা নিশি
কিশোরী চঞ্চল মন যেনো এখনো স্থির হচ্ছেনা। অরিত্রিকা অনেকক্ষণ ধরে নিজেকে শান্ত করার প্রয়াস চালাচ্ছে। বক্ষে এখনো ধুকপুক ধুকপুক করছে তার । আজ আবারও অরিত্রিকার সারহানকে অ/সভ্য উপাধী দেওয়ার ইচ্ছে জাগলো। দেওয়াই যায় কারণ একটা মেয়ের সামনে উন্মুক্ত শরীরে বসে থাকা ভদ্রতার কাতারে পরে না। সামনে দন্ডায়মান সুদর্শন গম্ভীর শ্যাম মানবটি কি জানে আরেকটু হলেই এক কিশোরীর দম আঁটকে যাচ্ছিলো। দম আঁটকে হয়তো পটল তুলতো সে।
তখন ব্রেকিং নিউজ হতো এক শ্যাম মানবের জন্য ছোট্ট এক কিশোরী দম আটকে অক্কা পেয়েছে। ব্যাপারটা হাস্যকর হতো বটে। অরিত্রিকা কিছুটা সময় পর সারহানের মুখ পাণে অস্বস্তি নিয়ে তাকালো।সারহান বিছানায় বসে সাহেবী ভঙ্গিতে কফিতে চুমুক দিচ্ছে। ভাবটা এমন করে আছে যেনো আশে পাশে কেউ নেই।সে আবারও দৃষ্টি নিচু করলো। আজ আবার নতুন অরিত্রিকার মনে চলছে একটি প্রশ্ন। সে কি সাহসীকতা নিয়ে প্রশ্ন টা করবে? এই মানুষটা যা ত্যাড়া না জানি প্রশ্নের উত্তরের বদলে আরও কতো কথা শুনিয়ে দেয়।সারহান খেয়াল করলো অরিত্রিকা গভীর চিন্তায় মগ্ন। চোখে মুখে ফুটে উঠেছে চাপা উৎকন্ঠা। চোখে কোনো জানার আগ্রহ।
সারহানের মনে হলো হয়তো কিছু বলতে চায় অরিত্রিকা। সে কফি খাওয়া শেষ করে মগটি হাত বাড়িয়ে টেবিলে ওপর রাখলো।দু হাতে ভেজা চুল পেছনে ঠেলে বললো~ এতো চিন্তা ভাবনা করে তোর ওই ছোট্ট মাথায় চাপ দিয়ে লাভ নেই। যা বলবি ফটাফট বলে ফেল।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আচমকা সারহানের কথা কানে পৌঁছাতেই চমকে গেলো অরিত্রিকা। সে নিজেকে ধাতস্ত করে সোজা হয়ে দাড়ালো। অরিত্রিকার ভেবে নিজের কাছে মনে হলো এতো ভেবে কাজ নেই অরিত্রিকা বলে দেওয়াই ভালো। না বললে পেটে কথা জমে ফুলে ফেঁপে বদহজমের কারণ হবে। তখন তাকে নিয়ে সবাই দৌড়াদৌড়ি করবে হসপিটালে।
অরিত্রিকা ঠোঁট ভিজিয়ে সাহস নিয়ে শুধালো~ আপনি কেনো এতো দ্রুত বিয়ের জন্য রাজি হয়ে গেলেন? তারমমানে আপনার কোনো পছন্দের মানুষ আছে তাই না? সেই কারণে মেয়ের বাড়ির সকলকে রাজি করানোর কথা বললেন?
অরিত্রিকা পেটে জমে থাকা কথাগুলো উগ্রে দিয়ে ক্ষ্রান্ত হলো। মনের মাঝে প্রিয় মানুষকে হারানোর ভয় জেঁকে ধরেছে। তবুও নিজেকে শক্ত রেখেছে। অরিত্রিকা নিজেই নিজেকে বুঝিয়েছে সবসময় ভেঙে পরলে হয় না। সাহসীকতার সাথে কঠোর ভাবে মোকাবেলা করতে হয়।সারহানের দৃষ্টি অরিত্রিকার মুখশ্রীতে আবদ্ধ। কর্ণকুহরে বেজে চলেছে কিশোরীর বলা কথাগুলো। সারহান অরিত্রিকার কথায় ফিচেল হাসলো। হাসলো কেনো তা না হয় কিশোরীর কাছে অজানায় থাক। অরিত্রিকা সারহানের হাস্যরত মুখ দেখে কিছুটা বিচলিত হলো। মানুষটা এভাবে হাসছে কেনো? সেকি ভুলভাল কোনো প্রশ্ন করে ফেলেছে?
সারহান অরিত্রিকায় ভাবনায় বাঁধা প্রদান করে বললো~ তুই কি বুঝতে পারছিস তোর সাহস বেড়েছে? আজ কাল আমার পার্সোনাল বিষয়ে তদারকি করছিস। পার্সোনাল বিষয়ে কারা ইন্টারফেয়ার করে জানিস?
অরিত্রিকা সন্দিহান দৃষ্টিতে অবলোকন করলো সারহানকে। সে বুঝলো না এই মানুষটির মনে কি কি চলছে। মানুষ এতো চাপা স্বভাবের কিভাবে হয় সে বুঝে উঠতে পারে না। আর তার করা প্রশ্ন কি আসলেই ব্যক্তিগতভাবে সারহানের সাথে জড়িত? আসলেই তাই। অরিত্রিকা মনে হলো সে সারহানের সকল বিষয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠা করছে।কিন্তু এখনো সেই জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি সে। এতো দ্রুত কি হিসেবে অধিকার খাটাচ্ছে সে। ভালোবাসার মানুষ হিসেবে?
~আমার পার্সোনাল লাইফে কারো ইন্টারফেয়ার আমি পছন্দ করি না। আমার লাইফে এই মুহুর্তে কি চলছে সেদিকে ফোকাস না করে নিজের লাইফে ফোকাস কর।পড়াশোনায় মনোযোগী হো।আমার তো পড়াশোনা কমপ্লিট। নিজেকে একটা স্থানে বসিয়েছি। রাজশাহী সিটিতে সবাই আমাকে এক নামে চিনে। বলতে পারিস যা চেয়েছি তাই করে দেখিয়েছি।চাচার স্বপ্ন বৃথা যেতে দিস না। এবার অন্তত পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স পেয়ে চাচাকে খুশি কর।নিজের জীবনকে নিজ হাতে গুছিয়ে নে দেখবি যা চাইবি তাই সহজে পেয়ে যাবি।
সারহানের শান্তস্বরে বলা কথাগুলো অরিত্রিকার অশান্ত মন শান্ত করতে সক্ষম হলো।তার মনে হলো এক টুকরো আশার আলো সে দেখতে পেয়েছে। এটা ভেবেই মনে মৃদু ভালোলাগার দোলা দিচ্ছে। অরিত্রিকার বলতে ইচ্ছে করছে “সারহান ভাই আমি আমার জীবনকে নিজ হাতে গুছিয়ে নিবো।তখন যদি আপনাকে চাই পাবো তো? আমি যখন মন উজাড় করে বলবো সারহান ভাই আমি আপনাকে চাই তখন কি আপনি আপনার হাত আমার হাতে রেখে বলতে পারবেন আমিও তোকে চাই,তুই আজন্ম আমার হয়ে আমার বক্ষে রাণী হয়ে থাকবি”।অরিত্রিকা নিজ মনে দমিয়ে রাখলো কথাগুলো। অদৃশ্য মায়া জালে আবদ্ধ হয়েছে তার মন সত্তা। মন আর মস্তিষ্কে চলছে নিরব যুদ্ধ। সামনে বসে থাকা মানবটিকে আজ আর কিছু বলবে না সে। সময় একদিন সবার সামনে মন মাঝারে লুকানো সত্যি মেলে ধরবে। সেই প্রতীক্ষায় প্রহর গুনবে সে।
অরিত্রিকা ওষ্ঠকোণে হাসি বজায় রেখে বললো~ আমি কি সত্যি যা চাইবো তাই পাবো?
সারহান শীতল দৃষ্টিতে অরিত্রিকার দিকে তাকালো।সে বুঝলো কিশোরী মন হয়তো কোনো বড়সড় আবদারের ইঙ্গিত দিচ্ছে।অরিত্রিকার সারহানের শীতল চাহনীতেই রক্ত যেনো হীম হওয়ার জোগাড়।এই চোখে হয়তো কিছু আছে তাই হয়তো বেশীক্ষণ তাকানোর সাহস নেই তার। সে আমতা আমতা করে বললো~ আমি যা চাইবো তা কখনই আমার বাবা আমায় দিবেন না।বাড়ি,গাড়ি,টাকা চাইলে তা দিতেন কিন্তু আমি তো সেগুলো চাই না। আমি তো…….
~একটা কথা মনে রাখবি মানুষ মন থেকে যা চায় তাই সে কোনো একসময় অনায়াসে পেয়ে যায়।
অরিত্রিকার ওষ্ঠকোণে এক চিলতে হাসির রেখা ফুটে উঠলো।সারহানের সেই দৃশ্য দৃষ্টিগোচর হলো না। সে বরং মুহুর্তটা উপভোগ করলো বটে। অরিত্রিকা টেবিল থেকে কফি মগটি নিয়ে আর দেরী করলো না। সারহানের রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো দৌড়ে।
সারহান বিছানা থেকে উঠে দরজা লাগিয়ে লাইট অফ করে শুয়ে পরলো বিছানায়। বিছানা হাতরে ফোনটা পেলো সে।ফোন ওপেন করতে তিন চারটা ম্যাসেজ চোখের সামনে ভেসে উঠলো। সবগুলো সিন করলো কিন্তু রিপ্লাই দেওয়ার মোটেও ইচ্ছে জাগলো না। ফোনটা বালিশের পাশে রেখে চোখ বন্ধ করলো সারহান।
অরিত্রিকা রুমে একা একা পায়চারী করে চলেছে। একবার বেলকনিতে যাচ্ছে তো আরেকবার নিজ রুমের বিভিন্ন স্থানে গোলগোল ঘুরছে। এভাবে প্রায় ঘন্টাখানেক নিজের ওপর জুলুম করে ধপ করে বিছানায় বসে পরলো।হাতের সন্নিকটে থাকা নিজ ফোনে সময়টা দেখে নিলো।এগারোটা বেজে গেছে। আর এক ঘন্টা পরেই তার জন্মদিন। কিন্তু কারও যেনো কোনো খেয়ালই নেই। সবাই নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত। আজ সারাদিন সে সকলের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করেছে। সবাই প্রতিদিন যেভাবে নিয়ম করে চলে তেমনই চলছে। কোনো ভাবগতির পরিবর্তন লক্ষ করা যায় নি। নিশ্চয়ই সকলে তার জন্মদিন ভুলে বসেছে। অরিত্রিকার মন খারাপের পরিমাণ যেনো বেড়েই চলেছে। অন্তত একজন আগে উইশ করলে মনটা ভালো হয়ে যেতো। সে তো সকলের জন্মদিনের তারিখ মনে রাখে। বারোটার সময় কেক দিয়ে উইশ করে। অথচ এইবার তার জন্মদিনের কথা মনেও রাখেনি? ভাবতেই কান্না পাচ্ছে অরিত্রিকার। সে ম্যাসেন্জারে ইশরা আর তিশাকে কল করবে দেখলো দুজনেই এখন অফলাইনে। অরিত্রিকা মুখ গোমড়া করে ফোন রেখে শুয়ে পরলো। আর কারও উইশের অপেক্ষা করবে না সে।
দরজায় ঠকঠক আওয়াজ হচ্ছে।বাহির থেকে ভেসে আসছে গুনগুন আওয়াজ। একের অধিক মানুষের গলার স্বর প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।বেশ কয়েকবার নক করার শব্দে অরিত্রিকার কাঁচা ঘুম ভেঙে গেলো।সে একটু আগেই চোখের পাতা এক করেছে । এই অসময়ে আবার কে এলো! তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখ কচলে দরজার দিকে তাকালো। মনে হচ্ছে কেউ বাহিরে আছে।মা আসেনি তো?আসতেই পারে। আগেও অনেকবার রাতে এসে অরিত্রিকাকে দেখে গেছেন সাথী বেগম। আজ সে দরজা লাগিয়ে শুয়েছে সে কারণে হয়তো নক করছে।সে ঘুমুঘুমু চোখে দরজা খুলে কে এসেছে না দেখেই বিছানায় ধপ করে শুয়ে পরলো।
হ্যাপি বার্থডে টু ইউ
হ্যাপি বার্থডে টু ইউ
হ্যাপি বার্থডে টু ইউ ডিয়ার অরিত্রিকা, হ্যাপি বার্থডে টু ইউ
পরিচিত কয়েকজন মানুষের গলায় বার্থডে উইশ শুনেই হচকচিয়ে উঠলো অরিত্রিকা। অন্ধকার রুমে আলো জ্বালানো হয়েছে। সে সামনে তাকাতেই খেয়াল করলো সাদাত,ইশরা,অরিন,তানিয়া বেগম,সাথী বেগম দাঁড়িয়ে আছে।অরিত্রিকা বিস্মিত নয়নে সকলের দিকে তাকিয়ে আছে। তারমানে সকলের তার জন্মদিনের কথা মনে আছে।ভাবতেই মন ভালো হয়ে গেলো তার।
ইশরা অরিত্রিকাকে চুপচাপ বসে থাকতে দেখে দেখে বললো~ কিরে! থম মেরে বসে আছিস কেনো?আমাদের দেখে খুশি হোস নি?
অরিত্রিকা অবাকতা নিয়েই বললো~অরিন আপু আর ইশরা কই থেকে আসলো?
সাদাত তাড়া দিয়ে বললো~ তোকে পরে বলবো। বারোটা বেজে গেছে কেক কাটতে হবে।
অরিত্রিকা এবার মুখ ভার করে বললো~আমি তো ভেবেছি সবাই আমার জন্মদিন ভুলে গেছো। এখন দেখছি কেউ ভুলেনি বরং আরও দুজন মানুষকে সারপ্রাইজ হিসেবে নিয়ে এসেছো।কিন্তু আইডিয়াটা কার?
অরিন অরিত্রিকা কথায় পাত্তা না দিয়ে বললো~ পরে জানবি। আগে বিছানা থেকে ওঠ।
অরিত্রিকা বিছানা থেকে উঠতেই অরিন তার হাতে রাখা কেকটি বিছানার ওপর রাখলো।সাথী বেগম মেয়ের জন্য নিজ হাতে পায়েস বানিয়েছেন। তিনি কেকের পাশে রেখে দিলেন।
অরিন সাদাতকে বললো~ তোকে টি টেবিল আনতে বলেছিলাম এনেছিস?
সাদাত মাথা চুলকে আমতা আমতা করে বললো~ এই রে ভুলে গেছি।এক্ষুনি আনছি।
~যা তাড়াতাড়ি।
সাদাত দৌড়ে গিয়ে একটা টি টেবিল আনলো। ইশরা আর অরিন কেকটি টেবিলে রাখলো।সাথী বেগম বললেন~ একটু পরে আনন্দ কর। আমি অরিত্রিকাকে পায়েস খাইয়ে চলে যাই।
সাদাত বললো~ তুমিও থাকো চাচী অনেক মজা হবে।
~নাহ রে বাপ। তোদের মতো আনন্দ করার বয়স কি আছে আর?
অরিত্রিকা আহ্লাদে মাকে জড়িয়ে ধরলো।সাথী বেগম ও মেয়েকে আগলে নিলেন।কিছুটা সময় পেরোতেই সাথী বেগম আরও তানিয়া বেগম অরিত্রিকাকে পায়েস খাইয়ে দিয়ে মন থেকে দোয়া করে দিলেন। অরিত্রিকা অল্পতেই অনেক খুশি হয়েছে। দুই মায়ের ভালোবাসা পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে।জন্মদিনের আনন্দ সকলের সাথে ভাগ করে নেওয়া তেও আলাদা ভালোলাগা কাজ করে। অরিত্রিকা জানে তানিয়া বেগম তাকে মেয়ের মতো স্নেহ করে। বাড়ির ছোট সদস্য বলে সবকিছুতেই তার ভাগ রয়েছে। সকলের ভালোবাসা কয়জন পায়। পরিবারের সকলের ভালোবাসার মধ্যমণি হয়ে থাকা সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার। সাথী বেগম আর তানিয়া বেগম দেরী করলেন না নিজ রুমে চলে গেলেন।
অরিত্রিকা বারবার দরজার দিকে তাকাচ্ছে।তার কল্প পুরুষ আজও কি আসবেনা? সকলেই তো এখানে আছে উনি আসলে কি এমন হতো? মন বলছে সারহান ভাই আজ এই স্পেশাল দিনে তার সাথে থাকুক। কিছু সুন্দর মুহুর্ত সবাই মিলে উপভোগ করতে পারবে সকলে মিলে।অবাধ্য মন বলছে হাত ধরে টেনে নিয়ে আসতে।কিন্তু ওই যে সাহস নেই।
অরিন কেকের বক্স ওপেন করতেই কেকের ওপর লেখা নামটা দেখে তার ভ্রু কুঁচকে গেলো। সে চুপ করে এক ধ্যানে তাকিয়ে রইল। অরিনকে থম মেরে থাকতে দেখে সাদাত বললো~ কি হয়েছে এভাবে কেকের দিকে তাকিয়ে আছো কেনো আপু?
অরিন নড়েচড়ে উঠে বললো~ নামটা চেঞ্জ হলো কিভাবে?
সাদাত বললো~ কেনো ঠিকই তো আছে। হ্যাপি বার্থডে টু ইউ ডিয়ার ফাইরুজ।
~আমরা তো সবাই অরিত্রিকা বলে ডাকি।তাই সেই হিসেবে নামটাও অরিত্রিকা লিখতে বলা হয়েছিলো। এখন দেখি নামও চেঞ্জ আর কেকের ফ্লেভারও চেঞ্জ।
ইশরার গোয়েন্দা মনোভাব জেগে উঠেছে।সে সন্দিহান দৃষ্টিতে অরিত্রিকার তাকালো।অরিত্রিকা কিছু না বুঝে অবুঝের ন্যায় কথা শুনে যাচ্ছে। তাহলে কি কেক চেঞ্জ হয়ে গেছে?
অরিত্রিকা অরিনকে জিজ্ঞেস করলো~ আপু কেমন কেক অর্ডার করেছিলে?
~ভ্যানিলা ফ্লেভার আর তোর নাম অরিত্রিকা লিখতে বলেছিলাম।
~ এখানে তো চকলেট ফ্লেভার আর ফাইরুজ লেখা। ফাইরুজ তো আমায়……..
প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ২৩
অরিত্রিকা আর কিছু বলতে পারলোনা তার কথা আটকে গেলো।সে যা ভাবছে সেটাই কি তাহলে সত্যি? সারহান অরিত্রিকাকে মাঝে মাঝে ফাইরুজ বলে ডাকে। তাহলে সারহান ভাই তার স্পেশাল দিনে নিজের পছন্দসই কেক অর্ডার করেছেন।ভাবতেই বাকরুদ্ধ হয়ে গেলো অরিত্রিকা। বুকের মাঝে অদ্ভুত অনুভূতি আন্দোলন শুরু করে দিয়েছে। সে দরজার দিকে তাকাতেই নড়েচড়ে ওঠা পর্দার ফাঁকা হতে আবছা কারো ছায়া দেখলো।সে ধীর পায়ে এগিয়ে গেলো ছায়ামূর্তির দিকে।দরজার কোণে এসেই কম্পনরত কন্ঠে অরিত্রিকা ডেকে উঠলো ~ সারহান ভাই।