প্রণয়ের সুর ২ পর্ব ১৭

প্রণয়ের সুর ২ পর্ব ১৭
মহুয়া আমরিন বিন্দু

তাহমিদা বেগমের সামনে বসে আছে শহিদুল চৌধুরী, শহিদুল চৌধুরী আবেগী হলেন তবুও স্ত্রীর মন গলাতে পারলেন না তিনি। তার সহধর্মিণী যে বেশ অভিমানী তা তিনি ভালো করেই জানেন, না হয় কি এভাবে চলে আসতে পারতো তাকে ছেড়ে!
শহিদুল চৌধুরী আবার বলে উঠলো–,,ফিরে চলো তাহমিদা,বলতে পারো আমি স্বার্থ”পর হচ্ছি, হ্যাঁ আমি তোমাকে ছাড়া আমার মেয়েদের কে ছাড়া ভালো নেই।তোমাদের ছাড়া একটা দিনও আমার ভালো কাটেনি।আমি নিজের ভালোর জন্য হলেও চাই তুমি ফিরে চলো।আমাকে বাঁ’চাতে ফিরে চলো,ওই বাড়িতে আমার কেমন দ”ম বন্ধ লাগে তোমাদের ছাড়া!

তাহমিদা বেগম এবার হেসে উঠলেন–,,সত্যি তুমি আমাদের ছাড়া ভালো নেই?যদি ভালো নাই থাকতে, আমাদের খোঁজ করতে,কিন্তু তুমি তা করোনি মাঝরাতে তোমার স্ত্রী সন্তান কোথায় গিয়েছে বেঁচে ছিলো নাকি ম’রে গেছিলো তা নিয়ে তোমার কোনো মাথা ব্যাথা ছিলো না, তোমার কাছে তোমার ই’গো তোমার পরিবার বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমরা কেউই না তোমার জীবনে আমাদের কোনো অস্তিত্বই নেই,আজ এসে বলছো তুমি ভালো নেই?বিষয়টা কেমন হাস্যকর হয়ে গেলো না!
শহিদুল চৌধুরী লজ্জায় মাথা নত করলো তার আসলেই ক্ষমা চাওয়ার মুখ নেই।সে কাপুরু”ষের মতো নিজের স্ত্রী সন্তান কে একা ছেড়ে দিয়েছিলো,সমাজের বেড়া’জালে আঁটকে সম্মানের কথা চিন্তা করে মেয়েকে মানিয়ে নিতে বলে ছিলো।আজ কি করে তিনি চাইছেন তাকে তার স্ত্রী হাসি মুখে মেনে নিক!
বাড়িতে আসলো রাহা,শহিদুল চৌধুরীকে বসে থাকতে দেখেও কিছু বললো না।সে নিজের মতো করে রুমে চলে গেলো যেনো বসার ঘরে কেউই উপস্থিত ছিলো না।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

রাহার প্রত্যাখ্যান মেনে নিতে কষ্ট হলো শহিদুল চৌধুরীর,ভার্সিটিতে মেয়েটার সাথে রোজ দেখা হয় তবুও দুজন অচেনা ব্যক্তির মতো থাকে।রাহা তাকে শুধু স্যারই সম্বোধন করে,মেয়েটার মুখে কতোদিন বাবা ডাক শোনা হয় না!আর নেহা?নেহা শহিদুল চৌধুরীর সবচেয়ে আদরের তার প্রথম সন্তান,তার কাছেই তিনি প্রথম অপরাধী তার পর সবার কাছে,মেয়েটা তার দিকে ফিরেও তাকায় না অভিমানে,বাবা হয়ে এসব মেনে নেওয়া সত্যি বড় কষ্টের!
তাহমিদা বেগম ভনিতা ছাড়াই বললেন–,,তুমি চাও তোমার পরিবারে আমি আবার ফিরে যাই তাই তো?যাবো যেদিন আমার মেয়েরা নিজ ইচ্ছেতে তোমার বাড়িতে ফিরে যাবে তোমাকে আবার বাবা বলে ডাকবে সেদিন যাবো,তার আগে তুমি আমাকে বার বার অনুরোধ করে লজ্জিত করো না,আমার তোমাকে ফেরাতে কষ্ট হবে জানি,তার পরও আমার মেয়েদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে আমি কিছু করবো না, নিজে ভালো থাকার চেয়ে আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমার সন্তানের ভালো থাকা!

শহিদুল চৌধুরী বললো–,,তার মানে তোমরা যাবে না?না যাও সমস্যা নেই আমিও এখানেই থাকবো!
রাহা তড়িৎ গতিতে রুমে থেকে বের হয়ে বললো–,,না তুমি এখানে থাকবে না, তুমি তোমার বাড়ি গিয়ে থাকো!
শহিদুল চৌধুরী সোফায় আরাম করে বসে বললেন–,,রাহা ভুলে যাস না আমি ও তোর বাপ।তুই যদি ত্যা’ড়া হোস আমি তোর থেকে ও বেশি ত্যাড়া!
তাহমিদা বেগম হতাশ শ্বাস ছাড়লেন এই বংশের আসলে র’ক্তে দোষ আছে, বাপ পোলা সব হয়েছে এক ধরনের, তার শ্বশুর মশাই ও তো কম ঘাড়’ত্যাড়া ছিলো না।
রাহা রেগে বললো–,,মা চৌধুরী বাড়ির সুপুরুষ কে তার বাড়িতে গিয়ে এসব ভাব দেখাতে বলো,আমি কিন্তু এখানে তাকে তার দু মিনিটও স’হ্য করবো না!

তাহমিদা বেগম বিরক্ত হয়ে বললো–,,এই থামবি তোরা, উ’ফ সব জ্বা’লা যেন একা আমার,তুই তাকাস না তুই তোর মতো থাক,এই লোক যা খুশি করুক আমি গেলাম এখান থেকে,আমার মেয়েটা গেলো আবার রেগে, না জানি ওখানে গিয়ে কি বাঁধিয়েছে। তোদের বংশসুদ্ধ সব পা”গল!
শহিদুল চৌধুরী বলে উঠলো–,,দেখো দেখে তাহমিদা বংশ তুলে বলবে না একদম!
তাহমিদা বেগম তেড়ে এসে বললো–,,ওমনি না? গায়ে লেগে গেলো যেনো?একশো বার বলবো হাজার বার বলবো,তোমার বংশের সব পাগ’ল,ঘাড়”ত্যাড়া!
শহিদুল চৌধুরী বলে উঠলো–,, এই মহিলা ভালো হবে না বলছি!
রাহা বোকার মতো তাকিয়ে আছে,কি থেকে কি হলো ঝ’গড়া থামাতে গিয়ে এরা নিজেরাই লেগে গেছে।
অদ্ভুত সব মানুষ!
রাহা নিজেই ধ”মকে বলে উঠলো–,, থামবে তোমরা!যত্তসব পাগ’লের কারখানা।
রাহা বিরক্তি নিয়ে ছাদে চলে গেলো।

ছাদে দাড়িয়ে দাড়িয়ে ফোন টিপছে রাহা,হুট করেই তার চোখে পড়লো সামনে দাড়িয়ে থাকা একটা পরিচিত মুখ।
রাহা মনোযোগী হলো রেলিং থেকে কিছুটা ঝুঁকে দেখলো মানুষটির পাশে থাকা মেয়েটিকে,হাতের মোবাইলটা তখনই কাজে লাগালো,টুপ করে একটা ছবি তুলে নিলো।
রাহার তাকিয়ে থাকার সেই মুহুর্তেই সেদিকে তাকালো রৌফ,পাশে তার মেহেরিন।মেহরিন কে পঁ’চানি দিচ্ছিলো রৌফ।কারন মেহেরিন তরতাজা একটা ছে”কা খেয়েছে, তার পরে আবার পরের দিনই সং সেজে পাত্র পক্ষের সামনে দাড়াতে হবে তাকে।দুই ভাই বোন হাসি মজায় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে।
রাহা রৌফের তাকানো দেখে সেখান থেকে সরে পড়লো।
মেহেরিন ও তাকিয়েছিলো তার দৃষ্টি অনুসরণ করে।

মেহেরিন রৌফ কে খোঁচা মে’রে বললো–,,বাহ্!বড় ভাই তুমি তো কোনো মেয়ের দিক তাকানো তো দূর মেয়েতে নাকি তোমার এলার্জি,জ্বর,সর্দি সব হয় এখন দেখছি ঘাড় ঘুরিয়ে উঁচিয়ে যেভাবে পারছো দেখছো?কি খবর!
রৌফ মেহেরিনের দিক তাকিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই জবাব দিলো–,, আমার স্টুডেন্ট!
মেহেরিন রসিকতা করে বললো–,,কম বয়সে শিক্ষকতা করলে তো বউ ছাত্রীই হবে,এটা আহামরি কোনো বিষয় না!
রৌফ মেহেরিনের মাথায় চাপড় মে’রে বললো–,,আজাইরা কথা বলবি না মেহেরিন।
মেহেরিন নিজের মাথায় ঘষে বললো–,,হুহ্ দেখবো তো, আমি নিশ্চিত তুমি এই মেয়েরে গোপ’নে লাইন মা’রো,দেখো ভাই তোমার বড় ভাইয়ের মতো মামি রে ছেঁ’কা না দিয়ে আগে ভাগে বলে দিয়ো,মহিলার হার্টের যা কন্ডিশন তুমি ও যদি এসব কান্ড ঘটাও না যানি কি করে বসেন!
রৌফ বিরক্তি নিয়ে বললো–,,তুই আস্ত একটা কু”ফা নিঝুম ভাইয়ার জন্য এখনই আমার কষ্ট হচ্ছে!
মেহেরিন ভ্রু কুঁচকে বললো–,,নিঝুম ফিঝুম কে আবার ভাই?

রৌফ অবাক হয়ে বললো–,,তুই কেমন মেয়ে মানুষ রে,ন্যা’কার ষষ্ঠী মেয়ে গুলা তো বিয়ে ঠিক হওয়ার কথা শুনলেই শুধু জামাই না তার এ’ক্সের ও চৌদ্দ গোষ্ঠীর খবর বের করে ছাড়ে আর তুই কিনা হবু বরের নাম টুকুও জানিস না!
মেহেরিন কিছু বলতে যাবে তার আগেই একটা গাড়ি এসে রাস্তার সব কাঁদা ওর গায়ের উপর মার’লো।মেহেরিনের মেজা’জ মুহুর্তেই বিগড়ে গেলো।কি অভদ্র চালক, দেখে গাড়ি চালাবে না নাকি?মেইন রোড ছেড়ে তাকে ফুটপাতের এতো কাছে এসে গাড়ি চালাতে কে বলেছে!
মেহেরিন ফিরে তাকাতেই গাড়ি চালক গাড়ি থামালো।
গাড়ির কাঁচ সরাতেই নিঝুম কে দেখে রৌফ কে’টে পড়লো।সে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো গাছের আড়ালে, মেহেরিন শান্ত গোছের মেয়ে কিন্তু রেগে গেলে থামাতে বেশ বেগ পেতে হয়।

নিঝুম গাড়ির কাঁচ নামিয়ে যেই না স্যরি বলতে যাবে তখনই মেহেরিনের তোপের মুখে পড়লো।
মেহেরিন আঙুল উঁচিয়ে ধম’কে বলে উঠলো–,,এই নিজেকে কি মনে করুন বলেন তো, রাস্তা কে কি নিজের প্রাইভেট সম্পত্তি মনে করেন?যেমন খুশি শুধু চালাতে পারলেই হয়,আশেপাশে কেউ আছে কিনা খেয়াল করবেন না?অদ্ভুত মানুষ, বিরক্তকর একেবারে কি হাল করেছেন আমার,আপনারা তো ভাই গাড়ি কিনে নিজেকে কি না কি মনে করেন।ম্যানার”লেস কোথাকার!
নিঝুম বেআ”ক্কেলের মতো শুনলো,মেয়েটা অযথা তাকে এতো গুলো কথা শুনিয়ে দিচ্ছে আর সে ও কিনা শুনেই যাচ্ছে!সে তো আর ইচ্ছে করে দেয়নি,রাস্তায় পানি জমেছে খেয়ালই করেনি।
মেহেরিন কথা গুলো শুনিয়ে জামা ঝাড়তে ঝাড়তে সেখান থেকে সরে আসলো।নিঝুম হতাশ হয়ে গাড়ি চালাতে শুরু করলো।
মেহেরিন আসতেই রৌফ হো হা করে হেসে বললো–,,ছোট বইন তোমার জন্য কাল একটা বড় সড় সারপ্রাইজ আছে!
মেহেরিন গা ছাড়া ভাব নিয়ে বললো–,,দেখো ভাইয়া এমনিতেই পাত্র পক্ষ দেখতে আসা সারপ্রাইজের থেকে কোনো অংশে কম না!

আরুশি বসে আছে ডক্টর শেলির সামনে, শেলির সাথেই অন্য একটি মেয়ে।
আরুশি আশেপাশে রনি কে দেখলো না,ছেলেটাকে কোথায় নিয়ে গেছে কে জানে,তার মনটা কেমন কু ডাকছে, এই একজন মানুষই ছিলো যাকে আরুশি আপন মনে করতো নিজের ভাইয়ের মতো ছিলো ছেলেটা,এই নি”র্মম পৃথিবী আজ হয়তো এ মানুষটিকেও তার থেকে কে’ড়ে নিলো।
আরুশি কে চুপচাপ দেখে শেলি ধ’মকের সুরে বললো–,,এই মেয়ে কথা কানে যায় না তোর?বল কার কাছে আছে ওই সকল রিপোর্ট!

ডক্টর শেলির উদ্দেশ্য পাশে থাকা মেয়েটি বলে উঠলো–,,দেখুন শেলি আপনি যা করার দ্রুত করেন।ভাইয়া আপনাকে ওয়া”র্নিং দিয়েছে,যদি আপনার জন্য তার কোনো ল’স হয় আপনাকে ছেড়ে দিবে না একদম!
শেলি বিরক্ত হলেন, এই ভাই বোন দুইটাই শয়’তান!বোনটা তো দুশ্চ”রিত্র আর ভাইটা অমা”নুষ।
শেলি বলে উঠলেন–,,দেখো শিলা তোমার ভাই কে বলে দাও যদি বিশ্বাস না থাকে আমার সাথে কাজ না করতে।বেই’মানি ডক্টর শেলি করে না!
শিলা বিরক্তি ভরা কন্ঠে বললো–,,দেখুন ডায়লগ অন্য কোথায় গিয়ে মার’বেন আমাদের কাজ নিজেদের কে সেই’ফ করা আপনার জন্য নিজেদের কে বিপ’দে ফেলতে তো পারবো না আমরা!
এর মধ্যে আরুশি হেসে বললো– ছি!তোদের থেকে ভালো বিশ্বাস মুরগি শেয়াল কে করে।
শিলা আরুশির মুখ চেপে ধরে বললো–,,এই বেশি পক পক করবি না এখনই উপরে পাঠিয়ে দিবো!
আরুশি হেসে বললো–,,তুই একটা পোলার জন্য পাগ”ল ছিলি না?জানোস সেই পোলা এখন বউ সন্তান নিয়া সেই সুখে আছে!

শিলার হাত আপনাআপনি থেমে গেলো সে বলে উঠলো–,,নিখিলের সন্তান আছে?
আরুশি আর কিছু বললো না।ডক্টর শেলি আরুশির থেকে কোনো কথা বের করতে পারলো না।রাগে সে আরুশিকে পানির ট্যাংকের ভিতর চুবি”য়ে দিলো!আরুশি হাসতে হাসতে বললো–,,মে’রে ফেলার হলে একবারে মে’রে ফেল এতো নাটক করছিস কেনো?যত যাই করিস না কেনো কিছুতেই সেই ফাইলের কথা বলবো না আমি।মানুষের জীবন বাঁচানোর বদলে যে ডক্টর মানুষের জীবন কে’ড়ে নিতে উঠে পড়ে লাগে, তার বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই,আমি যদি ম’রেও যাই অন্য কেউ হলেও তোকে শা’স্তি দিবে তুই যার কথায় এসব করেছিস ওর মৃ”ত্যু হবে সবচেয়ে ভয়ং”কর!যত গুলো মানুষ কে কাঁদিয়েছিস তোরা সবার অভিশা”পে ধ্বং”স হয়ে যাবি তোরা!
শিলা রাগে দুঃখে ইচ্ছেমতো চ”ড় থা”প্পড় মা’রে আরুশির মুখে,মেয়েটার রোগা পাতলা শরীরটা নেতিয়ে পড়ে ট্যাংকের মুখে।কোঁকড়া চুল গুল ভিজে চুপসে যায় সেখানেই,তবুও মলিন মুখে হাসিটা লেগেই থাকে!

নিখিলের সাথে ত’র্ক করছে মিহির,সে আজ বেশ চ”টে আছে,না মানে কোনো কথা ওর বোনের জন্য সে এখনো বিয়ে করতে পারছে না, আর এদিকে নিখিল তার ছোট ভাইয়ের বিয়ের খুশিতে তাকে মুড়ি খাওয়াতে নিয়ে যেতে চাইছে,এসব অবিচার কি মেনে নেওয়া যায়!
নিখিল হাই তুলে বললো–,,তুই বৃষ্টি কে রাজি করা আমি তো বিয়েতে অমত করছি না!
মিহির রেগে বললো–,, চুপ হারা”মজাদা! তোর দোষে এখন তোর বোন বিয়ে প্রেম এসবে বিশ্বাস করে না আমি আছি মহা জ্বা’লায়,প্রেম তো না একদম বি”ষ কাটা হয়ে গলায় আটকে আছে!
নিখিল বলে উঠলো–,,আচ্ছা নেহা কে বলছি বৃষ্টিকে বুঝাতে!

মিহির কপাল দেয়ালে ঠু’কে বললো–,,আর কোনো মানুষ পেলি না,নেহা শুনবে তোর কথা?এ ও সম্ভব!
নিখিল ভাব নিয়ে বললো–,,মা শুনবে না মানে আমার মেয়ে আছে না মাকে টাইট দেওয়ার জন্য মেয়েই যথেষ্ট!
মিহির হতাশ হয়ে বললো–,,কি কপাল আমার,বন্ধু বিয়ে করে বাপ হয়ে গেলো আমার কপালে শা’লা বউই জুট”লো না।তার উপরে আরেক বন্ধু ইউনিক স্টাইলে বিয়া সাদি কইরা ফেললো।হায় হায় আমার কপালে কি বিয়ার ফুল আর ফুটবে না!
বৃষ্টি আর জেরিন আসলো তখনই,বৃষ্টি বলে উঠলো–,,ভাইয়া তুমি যাও তো নেহা তোমাকে ডাকছে, রেগে আছে দেখলাম।

জেরিন বললো–,,মিহির ভাই তুমি দাঁড়িয়ে আছো কেনো,যাও তো নিঝুম ভাইয়া কে একটু রেডি করিয়ে দাও!
মিহির বৃষ্টির দিক তাকিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে বললো–,,জেরিন তোর বোনকে বলে দে এটাই লাস্ট ওয়া”র্নিং,পরের বার না তুলে নিয়ে বিয়ে করে ফেলবো আমি,কপাল পো’ড়া তো তাই ছোট ভাইকে বিয়ের জন্য রেডি করাতে হচ্ছে!
সাব্বির হুড়োহুড়ি করে এসে বললো–,,ইশ!মিহির ভাই আমার ভাইটাও যদি তোমার মতো করে তার ছোট ভাইটাকে বিয়ের জন্য রেডি করে দিতো তাহলে কতো ভালোই না হতো!
জেরিন নাক ছিটকে বললো–,,আন্টি যদি শুনে না তুই বিয়ে করার জন্য এমন ছেছ”ড়ামি করছিস তোর সারাজীবনের জন্য বিয়ে করা বন্ধ করে দিবে!
সাব্বির বললো–,, তোর মুখ দিয়ে কি একটু ভালো কথা বের হয় না বইন?এতো শত্রু”তা কেন তোর আমার সাথে?নাকি তুই মনে মনে আমার মতো চা”র্মিং কিউট ছেলেটার উপর ক্রাশ খেয়েছিস।যার জন্য অন্য কারো হতে দিতে চাস না!

জেরিন তওবা কে’টে বললো–,,আল্লাহ মাফ করুক,তুই আবার ক্রাশ?বাঁশ খাওয়ার সখ জাগে নাই আমার, দূরে গিয়া ম”র!
সাব্বির বুকের বা পাশে হাত দিয়ে বললো–,,হায় কি কষ্ট, বুকে লাগে রে!
রোহান এসে বললো–,,এই যে সব ড্রামাবা”জের দল দ্রুত নিচে চলো,ওইদিকে বড়সড় সিনেমা চলছে,নিখিল ভাই আর তার শ্বশুর তো স্টুডিও খুলে বসবে দুদিন পর।

প্রণয়ের সুর ২ পর্ব ১৬

সাব্বির দ্রুত ভঙ্গিতে বললো–,,কি হয়েছে বল তাড়াতাড়ি!
নিশাত সিড়ি বেয়ে এসে বললো–,,আরে সিনেমা তো শেষ হয়ে যাচ্ছে!
সবাই মিলে ছুটলো নিচে নিশ্চিত মজার কিছুই দেখার আছে!

প্রণয়ের সুর ২ পর্ব ১৮