প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ১৫

প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ১৫
Zannat Xhowdury

বলছি তো যা….
কথা শেষ করার আগেই রোজা অনুভব করলো কেউ তাকে সাপের মতো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিয়েছে ।
আমার থেকে দূরে যাওয়ার সাহস কোথায় পেলি তুই ?
নির্ণয়ের গম্ভীর স্বরের কথায় হুস ফিরলো তার !
উফ বাপরে ; একি নির্ণয় ভাই এভাবে
শক্ত করে ধরেছেন কেন ? মনে হচ্ছে আমার শরীরের হাড় গুলো গুঁড়ো করে দিবেন । আর ব‌উ থাকতে আমাকে জড়িয়ে ধরার মানে কি ?

আমার ইচ্ছা ।
আপনার ইচ্ছেতেই সব হবে নাকি ? এখন তো দেখছি মাথার সাথে আপনার চরিত্রেও সমস্যা আছে । দূরে যান বলছি ,
যদি না যাই ?
মেরে ফেলবো ;
তোর জন্য আমি মরতেও রাজি রোজ ।
মানে ?
মানে ৫ মিনিট টাইম , বেডের উপর শপিং থেকে ড্রেস বের করে রেডি হবি । আমি বাহিরে আছি ,
রেডি কেন হবো ?
এতো প্রশ্ন করিস না তো !

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

সন্ধ্যা ৭ টা পাতায় সি বিচের কাছেই‌ ফাকা এক স্থানে বেশ সুন্দর ডেকোরেশন করছে রিয়ান ,তৃধা , রিধিমা , আয়ান , অপূর্ব। জায়গা বেশ আকর্ষণীয় লাগছে , কিছু টা দূরেই রয়েছে সমুদ্রের সৌন্দর্য। যা মন ভালো করার অন্যতম কারণ।
তৃধা এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সমুদ্রের পানে হয়তো মনের সকল অপূর্ণতা কে ভাসিয়ে দিচ্ছে সমুদ্রের বড় বড় ঢেউয়ের মাঝে। নিষ্পল সেই দৃষ্টিতে কত শত বেদনা লুকিয়ে রেখেছে মেয়েটা যার হদিস হয়তো কেউ জানেনা। হাতে জলন্ত সিগারেট , ধোঁয়া ছাড়ছে। কিছু সময় পর পর যার স্থান হচ্ছে তৃধার হালকা মিষ্টি কালার লিপজেল দেওয়া ঠোঁটে। এক এক করে টান দিয়ে ধোয়া ছাড়ছে সমুদ্রের পানে ।

কিছুটা দূরেই হ‌ই হ‌ই করছে সকলে। রিয়ানের চোখ তৃধার উপর পরতেই বুকের ভেতর ধুক করে উঠলো তার । ভিতর ছেড়ে ধীর পায়ে এসে দাড়ালো তৃধার পাশে । পা থেকে মাথা অবধি বেশ ভালো করেই পর্যবেক্ষণ করলো । হালকা কাশি দিয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দিতেই খেক করে উঠলো তৃধা ।
এই শালা তোর কী যক্ষ্মা রোগ ধরা পড়েছে নাকি বাল ?
রিয়ান পুরোই থ হয়ে গিয়েছে কাশলেই কি যক্ষ্মা হয় ! তার মনে এখন এই প্রশ্ন ঘুরোঘুরি করছে । নিজকে সামলে প্রশ্ন ছুঁড়লো তৃধার পানে ।

আচ্ছা জান বলতো আল্লাহ তোকে কোন চিজ দিয়ে বানাইছে ।
তা বলবো ! আগে বল আমাকে জান বললি কোন সাহসে ?
আমার জানকে তো জান বলব তাইনা।
কে তোর জান?
কে আবার এই আমার সামনের মেয়াটা😌।
তোর জানের উপর ঠাডা পরুক পানিতে ডুবে মরুক ।
মরে যা হ । আমি চল্লিশার আয়োজন করতেছি ।
তবে রে ,
বলেই হাতে সিগারেট ফেলে দিয়ে রিয়ান কে ধরতে পিছনের ছুটলো তৃধা ।
এই গাভি খেপেছে !
রিয়ান দাঁড়া বলছি ?
ধরে লেখা?

শপিং হাতে নিয়েই যেন আকাশ থেকে পড়লো রোজা । ব্যাগে ব্লাক কালার অসম্ভব সুন্দর একটা শাড়ি । সাথে মেচিং ব্লাউজ পেটিকোট।
জানতাম আমাকে বাঁশ দেওয়ার মতো কিছু থাকবে । হনুমান টা ভালো কিছু আনবে নাকি !
কিন্তু এখন এই শাড়ি পড়বো কিভাবে ?
বিড়বিড়য়ে কথাগুলো বললো রোজা । জিবনের প্রথম আজকে শাড়ি পড়বে সে। শপিং ব্যাগ থেকে পেটিকোট আর ব্লাউজ পড়ে নিলো সে । এবার পালা শাড়ি পড়ার বেশ কিছু ক্ষণ চেষ্টার পরেও যেন ব্যর্থ সে ।
না হচ্ছে না এখন কি করি ! ক সাহায্য করবে আমাকে নির্ণয় ভাই কে কি ডাকবো।
নির্ণয় কথাটা মথায় আসতেই , মাথা দুষ্টু বুদ্ধি চেপে বসে । কন্ঠে মধুর এনে । মিষ্টি স্বরে ডাকতে শুরু করে
নির্ণয় ভাই! ও নির্ণয় ভাই , একটু ভেতরে আসুন না ।

রোজার মিষ্টি করে বলা যেন নির্ণয়ের মোটেও সুবিধা লাগছেনা তবে মনের সন্দেহ মনেই রেখে ঘরে ঢুকে এলো নির্ণয় ।এসে যা দেখলো তাতেই যেন চোখ রসগোল্লা হয়ে গিয়েছে ।
নির্ণয় ধীর পায়ে এগিয়ে আসছে পেটিকোট আর ব্লাউজ পড়িহিত বেড়ে রোজাকে বেশ লাস্যময়ী লাগছে । চোখ ফেরানোই যেন দায় হয়ে উঠেছে ।

প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ১৪

দেখুন না নির্ণয় ভাই আমি শাড়ি পড়তে পারছি না ।
রোজার বলা কথাগুলো যেন তার কর্ণদ্বয় হচ্ছে । নেশা ভরা চোখে এগিয়ে আসছে সে অষ্টাদশীর পানে । এই মেয়ে কী জানে তার এই রূপে পাগল হচ্ছে তার সামনের পুরুষ টি । নিজেকে কন্ট্রোল করা যে বড় দায় হয়ে যাচ্ছে তার

প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ১৬