প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ১৭

প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ১৭
Zannat Xhowdury

চুপচাপ দাড়াতো রোজ ?
না দাড়াবো না আপনি সবসময় আমায় এতো বকেন কেন ?
কোথায় বোকলাম তোকে?
বলবো তার আগে চোখের কাপড় খুলে দিন ।
রোজার কথাতে সাথে সাথে চোখের বাঁধন খুলে দিলো নির্ণয় । চারপাশ অন্ধকার করে রাখা কিছুই যেন চোখে পড়ছে না রোজার। অন্ধকার রাতে আকাশে অর্ধ চাঁদ ছাড়া চার পাশের সব কিছুই যেন এখন অন্ধকারে ডুবানো ।
একি নির্ণয় ভাই, এইটা কোথায় নিয়ে এসেছেন আমাকে? চারপাশে শুধু অন্ধকার আমি তো কিছুই দেখতে পারছি না । এমন কি আপনাকেও চোখে পড়ছে না আমার ।

সাধে কি আর বলি , তোর চোখে সমস্যা ?
হ্যা অন্ধকারের মাঝে দাঁড় করিয়ে রেখে, আমার চোখের পাওয়ার পরীক্ষা করতে আপনাকে কে দায়িত্ব দিয়েছে শুনি ।
তোর দায়িত্ব আমাকে দিতে হবে কেন ? তুই তো সম্পূর্ণ আমার ।
মানে ?
মানে তোর মাথার উপর চাঁদ দেখছিস ? ওটা দেখাতেই নিয়ে এসেছি তোকে ।
কিহ! এই চাঁদ তো আমি ঘরের জানালা থেকেও দেখতে পেতাম ।‌ চোখ বেঁধে আনার কি দরকার ছিলো ? কোথায় আমি আরো ভাবলাম সিনেমার হিরো দের মতো ক্যান্ডেল লাইট ডিনারের সারপ্রাইজ দিবেন তা না এই অর্ধ চাঁদ দেখাতে এনেছেন ।
তোর কেন মনে হলো তোকে আমি সারপ্রাইজ দিবো ?
মনে না হ‌ওয়ার কী আছে ,যেভাবে নিয়ে এলেন আমি তো ভেবেছিলাম নিশ্চয়ই বড় কিছু অপেক্ষা করছে । এখন তো দেখি…

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আমি কোনো সিনেমার হিরো ন‌ই রোজ ! আর না তুই হিরোইন । সিনেমার মতো করে জিবন চলে না বুঝলি ?
হ্যা বুঝেছি জ্ঞান এর ভান্ডার !
হোয়াট ভান্ডার ?
হোয়াট ভান্ডার না , জ্ঞানের ভান্ডার !
দুজনের ঝগড়া শুনে মিট মিট করে হেসে উঠলো রিয়ান । হাসির শব্দ বেশ জোরে হ‌ওয়ার কারণে তা কানে এলো রোজার ।
ভভভুত ভুত নির্ণয় ভাই।
বলেই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিলো নির্ণয়কে । নির্ণয় বেচারা যেন বেশ বড় শোক খেলো ।
হোয়াট হ্যাপেন রোজ ?
ভভভুত !
হোয়াট ?
ওখানেই ভুত আছে নির্ণয় ভাই । আমি স্পষ্ট কারো হাঁসির আওয়াজ শুনেছি ।
রিলেক্স রোজ কোন ভুত টুত নেই।
না আ…

রোজা কথা শেষ করার আগেই চারপাশে লাইট জ্বলে ওঠার কারনে সে জায়গা আলোকিত হয়ে গেলে । রোজা সে তো চোখ মুখ খিচে নির্ণয় কে জড়িয়ে আছে ।
চার পাশে থেকে সকলে একসাথে হ্যাপি বার্থডে বলে উইশ করতে লাগলো তাকে । আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হলো রোজা । নির্ণয় কে ছেড়ে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলো চারপাশ । আয়ান , তৃধা , অর্ণব , রিয়ান , রিধিমা সকলকে একসাথে দেখে যেন চোখ দুটো আলুর মতো বড় বড় হলো গেল তার ।
হ্যাপি বার্থডে রোজ পাখি ,
হ্যাপি বার্থডে আমার ফিউচার ।
হ্যাপি বার্থডে আমার হৃদয় হরণী।
হ্যাপি বার্থডে আমার অর্ধেক ।

নির্ণয়ের মধুর স্বরে বলা কথা গুলোতে যেন কেউ অ্যালকোহল মিশিয়ে দিয়েছে । কথাগুলো শ্রবণ হতেই যেন পুরো শরীরে নেশা ধরে যাচ্ছে অষ্টাদশীর । মনে সুপ্ত চাওয়া গুলো যেন বার বার বলতে চাইছে । আবার বলুন না নির্ণয় ভাই , কথাগুলো । প্রণয়ের অনুভূতিতে ভেসে চলছে রোজা ।
এ্যানিস কেক কাটবি নাকি এখানেই নাইট ক্লোজ করবি কোনটা ?
তৃধার কথায় ভাবনার ছেদ ঘটে রোজার সে তৃধার মুখের দিকে অবুঝের মতো তাকিয়ে থাকে । আজ তার‌ বার্থডে ছিল অথচ তার নিজের মনে এরা মনে রেখেছে ।

আচ্ছা নির্ণয় ভাই কি আগেও থেকে জানতো। নাকি ভাইজান জানিয়েছেন । নিজেকে প্রশ্ন করে বসলো রোজা তবে উত্তর নেওয়া আগেই হাত টান অনুভব করলো সে ‌ ।
হাতে দিকে তাকাতেই খেয়াল করলো তৃধা তাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে সামনে একটা টেবিলে কাছে । যেখানে অসম্ভব সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা । ডেকোরেশন অসম্ভব সুন্দর ।
এই নাও বার্বি ডল কেক কাটো ।
রোজা দিকে একটা ছুরি এগিয়ে দিতেই রোজা হাতে নিলো সেটি তবে দৃষ্টি তার শখের পুরুষের দিকেই স্থির । সে খুব করে চাইছে নির্ণয় তার পাশে এসে দাড়াক। একসাথে কেক কাটবে দু’জনে। তবে ইচ্ছে টা মনের মাঝে চেপে রাখলো ।
কি হলো বোনু কেক টা কাট।

রিয়ানের কথায় কেক কাটার জন্য হাত বাড়াতেই খেয়াল করলো তার হাতের উপর আরেকটি হাত । রোজা হাতে মালিক কে খুজার উদ্দেশ্যে তাকাতে খেয়াল করলো নির্ণয় তার দিকে তাকিয়ে আছে । রোজা তাকাতেই ভ্রু জোড়া নাচিয়ে নিলো নির্ণয় ।
নির্ণয় তার সাথে কেক কাটবে ভাবতেই । কালা চশমা গানে নাচতে ইচ্ছে করছে তার।
দুজনে মিলে কেক কাটা শেষ হতেই প্রথমে এক টুকরো কেক হাতে তুলে নিলো নির্ণয় । রোজা কে খাইয়ে। বাকি টা নিজে খেয়ে নিলো এই দৃশ্য যে হা করে পর্যবেক্ষণ করলো সকলে ।‌ব্যাপার টা রিয়ানের ঠিক হজম হলো না ।
ভাই আমার বোনের জন্ম দিনের কেক আমারে একটু দে খাই ।

নির্ণয় তেমন পাত্তা দিলো না রিয়ানের কথায় । রোজা বেশ লজ্জায় মাথা নুইয়ে নিলো ।‌
তা দেখে রিয়ান আবারো বললো বুঝেছি কেক আমাক‌ই নিয়ে খেতে হবে বলে রিয়ান এগিয়ে গিয়ে এক টুকরো কেক হাতে নিয়ে খেতে লাগলো ।
কেক খাওয়া শেষ হতেই সকলে এক এক করে গিফট দিলো রোজাকে । শুধু মাত্র নির্ণয় ছাড়া এতেই যেন বেশ অভিমান হলো রোজার । তবে এই অভিমান কি সেই পাথর লোকটি বুঝে।
তার কি কোন অনুভূতি নেই । হয়তো নেই ,নাহলে বার্থডে গার্লকে যে গিফট দিতে হয় তা কি সে যানে না ।
সকলে গিফট নির্দিষ্ট স্থানে রেখে । সুমুদ্রের পারে বসে গিটারে সুর দেওয়া ব্যাক্তিটির কাছে এগিয়ে এলো রোজা । অর্ধ চাঁদের মৃদু আলোতে লোকটাকে বেশ লাগছে । গিটারে সুর তুলতে যাবে এমন সময় পিঠে কারো ছোয়া অনুভব করলো নির্ণয় । চোখ বন্ধ করে শুকে নিলো মৃষ্টি মধুর একটি ঘ্রাণ ।

কিছু বলবি ?
কি করলেন বুঝলেন এটা আমি ? আমি তো ডাকি নি আপনাকে ,?
তোর নিঃশ্বাসের শব্দেও আমিও তোকে চিনতে‌ পারবো রোজ । রোজা নির্ণয়ের পাশে গিয়ে বসলো ।
কি বলবি বল!
সকলে আমাকে গিফট দিলো আপনি কেন দিলেন না ।
আমার কাছে ওসব নেই তোর কি লাগবে বল এনে দিবো ।
যা চাইবো তাই দিবেন ?
হ্যা দিবো !
প্রমিস করেন ?
বললাম তো দিবো !

না করেন পিংকি প্রমিস করেন তারপর বলবো ?
ওইটা আরো কিভাবে ‌করে।
আপনি বলেন পিংকি প্রমিস ।
আচ্ছা যা পিংকি প্রমিস । এখন বল কি চাই ,
আমায় বিয়ে করবেন নির্ণয় ভাই ?
আমায় বিয়ে করবেন নির্ণয় ভাই ?
নির্ণয় শান্ত চোখে তাকালো রোজার পানে । শান্ত দৃষ্টিতেই পর্যবেক্ষণ করে নিলো রোজা কে । এই মেয়ে কি বলছে আমি কি ঠিক শুনলাম ।

কি হলো‌ নির্ণয় ভাই ! বলুন না বিয়ে করবেন আমাকে ?
আমাকে বিয়ে করতে চাওয়ার কারণ কি তোর ?
জানিনা ! শুধু জানি আমার আপনাকে লাগবে ।
আমি কি বাজারের কোনো পন্য যে চাইলি আর কিনে নিলি ?
এই কথাগুলো অনেক পুরনো দিনের কথা নির্ণয় ভাই । নতুন কিছু ট্রাই করুন।
Are you kidding with me ?
No
তাহলে ?

বলেই গিটার হাতে বসা থেকে দাঁড়িয়ে পড়লো নির্ণয় । রোজা নিজেও উঠে দাড়িয়ে হাটা ধরলো নির্ণয়ের পিছনে।
ভালোবাসি নির্ণয় ভাই , ব‌উ হতে চাই আপনার । একটা সংসার চাই , আপনার বাচ্চার মা হতে চাই । হতে চাই আপনার অর্ধাঙ্গিনী , হতে চাই আপনার সব কিছুর‌ পাসওয়ার্ড । পেতে চাই আপনার ইনস্টাগ্রামের পাসওয়ার্ড । আপনার সাথে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে চাই ।
কথা শেষ করতেই খেয়াল করলো , নির্ণয় ইয়া বড় হা করে তার দিকেই তাকিয়ে আছে । রোজা হাত দিয়ে মুখ বন্ধ করে দিতেই বেশ বড় একটা শুষ্ক ঢোক গিলে নিলে নির্ণয় ।
বাই এনি চান্স , তুই কি আমাকে কোনো ভাবে প্রোপোজ করছিস রোজ।
কোনো ভাবে না সরাসরি প্রপোজ করে দিলাম । আপনার আশায় থাকলে তো আমার সংসার বাচ্চা কিছুই হবে না ।
কথা বলতে বলতে দুজন এসে পৌঁছালো রিসোর্টে ।

রোজ ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে । জলদি যা ,
আমি বিয়ে করবো নির্ণয় ভাই !
নির্ণয় রোজের কথায় পাত্তা না দিয়ে , তাকে পাশ কাটিয়ে নিজের রুমের দিকে হাটা ধরলো । তা , দেখে বেশ রাগ লাগলো রোজার সেও যেন নাছর বান্দা । পেছেনে যেতে লাগলো নির্ণয়ের মুখে শুধু এক বুলি। বিয়ে করবো নির্ণয় ভাই , বিয়ে করবো । রুমে এসেই গিটার ছুড়ে মারলো বেডের উপর , ব্লাক শার্টের বুকের উপরের দুটো বোতাম খুলে , এসির পাওয়ার বাড়িয়ে দিলো নির্ণয় ঠান্ডা আবহাওয়ায় ও শরীরের ঘাম ঝড়ছে তার , কারণ সেতো ওই মেয়েটা যে কিনা বিয়ে করবো করবো করে মাথা খেয়ে নিচ্ছে ।
ও নির্ণয় ভাই । রোজার কথাতে বেশ চমকে উঠলো নির্ণয় ,
তোকে বলেছিলাম ঘরে যেতে ?

রোজা গা ছাড়া ভাব নিয়ে নির্ণয় কে পাশ কাটিয়ে বেডের উপর পড়ে থাকা নির্ণয়ের সাদা টিশার্ট আর টাওয়াল নিয়ে এগিয়ে গেলো ওয়াস রুমে দিকে ।
ওদিকে কোথায় যাচ্ছিস ?
দেখছেন না ফ্রেশ হতে যাচ্ছি ! চোখে কি সমস্যা হয়েছে
আমার টিশার্ট কেন নিয়েছিস ? দে ওটা ,
আমি একটা টিশার্ট নিলে কি কম পড়বে আপনার নির্ণয় ভাই ?
তুই আমার পুরো সম্পত্তি নিলেও কম পড়বে না ।

সম্পত্তি চাই না আপাতত টিশার্ট নিয়ে যাচ্ছি । বলেই উল্টো ঘুরে বড় বড় হা ফেলে ওয়াস রুমে ঢুকে গেলো রোজা । নির্ণয় যাওয়ার পানে তাকিয়ে , মাথায় হাত দিয়ে বেডের উপর বসে পড়লো।
১৫মিনিট পড় শাওয়ার নিয়ে ভেজা চুল টাওয়ালে পেঁচিয়ে বেড়িয়ে এলো রোজা ।
বেশশ স্নিগ্ধ লাগছে তাকে। গোলাপি ঠোঁট জোড়া হালকা কেপে কেপে উঠছে বারংবার ।
রুমে রাখা ভেনেটির সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে নিজের চুল ঝাড়ছে রোজা।
রুমে যে কেউ আছে সেদিকে কি তোর খেয়াল নেই রোজ ।
তো আমি কি জামা কাপড় ছাড়া দাঁড়িয়ে আছি নাকি যে আপনি থাকলে লজ্জা পেতে হবে ।
বেয়াদব এখনি বেড়িয়ে যা আমার ঘর থেকে ?

যাবো আগে বলুন বিয়ে করবেন আমাকে !
না হ !
ভালোবাসি নির্ণয় ভাই ! ভীষণ ভালোবাসি ।
ভালোবাসি কথাটি শ্রবণ হতেই মস্তিষ্ক শীতল হয়ে গেল নির্ণয়ে । আজ তার পাগলি তার বাচ্চা ব‌উ বিয়ে জন্য পাগলামি করছে । তবে সে তো জানে আরো বহু বছর আগেই সে তাকে নিজের করে নিয়েছে , তার অধিকার নিজের করে নিয়েছে । রোজার পাগলামিতে খুশি হলে মুখে গাম্ভীর্য টেনে ধমকে উঠলো নির্ণয়
তোর কি লজ্জা করে না ? মেয়ে হয়ে একটা ছেলেকে প্রোপোজ করতে ।
না একদমই না । এতো লজ্জা করলে বাচ্চা নিবো কি করে বলুন তো । আর বরের আদরি বা কেমনে খাবো ।
এই তুই কি ড্রাংক? কিন্তু আমিও তো ওদের ..

আমি একদম সুস্থ মস্তিষ্কে আছি ।
আমি বিয়ে করবো নির্ণয় ভাই !
তাহলে নিশ্চয়ই জ্বর হয়েছে , দেখি দেখি ;
উফ আপনিও না নির্ণয় ভাই !
কিহ আমি ?
এখন বলুন বিয়ে করবেন কিনা ?

নাহ এই মেয়েকে এই ভাবে থামানো যাবে না । মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি এঁটে নির্ণয় এগিয়ে গেলো রোজে কাছে ।
হাত বাড়িয়ে কাছে সাপের মতো পেঁচিয়ে নিলো রোজার চিকন সরু কমোড় । রোজ নিজেও সিডিউস করতে চাইছে নির্ণয় কে মুসকি হেসে কিছুটা পিছিয়ে । সজোরে ধাক্কা মারে নির্ণয়ের বুকে । বেচারা নির্ণয় তাল সামলাতে না পেড়ে পড়ে যা নরম কুশনের বেডে । নিজেকে সামলে তোলার আগেই তার বুকের উপর আবিষ্কার করে ছোট খাটো একটা মশার বাচ্চার মতো কিছু । নির্ণয়ের মতো লম্বা সুঠামদেহী শরীরের উপর রোজাকে সামান্য মশার বাচ্চাই মনে হচ্ছে ।

বুকে উপর হালকা পা ঠেলে রোজা এগিয়ে এলো নির্ণয়ের ঠিক মুখের কাছে
ভালোবাসি নির্ণয় ভাই
রোজার গরম নিঃশ্বাস আঁচরে পড়ছে নির্ণয়ের মুখের উপর । এই মেয়েটা কি তাকে একবারে জানে মেরে দিবে বলে কি ঠিক করে নিয়েছে।
নিজেকে শান্ত রাখার প্রান পণ চেষ্টা করছে নির্ণয় । তবে রোজা সে আজ কোনো বাধা মানতেই রাজি নয় ।
I need you নির্ণয় ভাই ।
নির্ণয়ের নিঃশ্বাস ঘন হয়ে আসছে । বারবার জিভ দিয়ে ঠোট ভিজিয়ে নিচ্ছে সে। রোজা নিজের মুখ হালকা এগিয়ে নির্ণয়ের কানে কাছে এগিয়ে নিলো ।

এখনো বলবে ,বিয়ে করবে না আমায় । চাই না আমাকে ,
রোজার নিঃশ্বাসের শব্দ বড্ড টানছে নির্ণয়কে পুরুষত্ব হার মানছে তার, এই নারীর ছলনায় কাছে ।
রোজ শোন ,
রোজ আমার না মুড পাচ্ছে !
কিসের ?
Something new !
মানে …
একটু টাচ .. একটু আদর ,একটু অন্য রকম কিছু !
ওমা তাই !
হ্যাঁ !
ইস্ নির্ণয় ভাই আমার না এখন মুড নেই । বলেই নির্ণয় কে ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো রোজা । এগিয়ে গিয়ে বসলো ডিভেনে
আয় আমি মুড তৈরি করে নিবো ।

এখন ইচ্ছে করছে নাহ তো ।
ওহ রোজ একটু বোঝার চেষ্টা কর দেখ আমি মরে যাচ্ছি ।
আদর না করলে বুঝি কেউ মরে নির্ণয় ভাই‌?
আয় না রোজ আমি আর নিজেকে সামলাতে পারছিনা ।
বললাম তো মুড নেই ।
প্লীজ রোজ পা ধরছি তোর একবারি তো কিছু হবে না ।
নো মিনস নো !

নির্ণয়ের চোখে মুখে অসহায়ের ছাপ স্পষ্ট ফুটে ওঠেছে । চোখ দুটো লাল হয়ে উঠছে । কাঁদো কাঁদো গলায় আবারো এগিয়ে এলো। রোজার কাছে রোজা আরাম করে ডিভেনে বসে পা দোলাচ্ছে ।
রোজ শোন না একবারই তো
দেখু….
কথা শেষ করার আগেই নির্ণয় গিয়ে ঠোঁট জোড়া দখল করে নিলো তার
উমম উমম … মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না রোজা । নির্ণয় তৃপ্তির সাথে গ্রহন করছে রোজার ঠোঁটের সাধ।
নিজের মনের খায়েশ মিটিয়ে ছেঁড়ে দিলো রোজার ঠোট ।

রোজা ডান হাতে উল্টো পৃষ্ঠের সাহায্যে নিজের ঠোট মুছে নিলো । এমন ভাবে ঘসে ঘসে মুছলো যেন ঠোঁটে কোন ময়লা লেগেছে । নির্ণয় তার দেখে ভ্রু জোড়া কুঁচকে নিলো ।
এভাবে ঘসছিস কেন মনে হয় আমি নোংরা লাগিয়ে দিয়েছি।
নোংরাই তো । আপনার সব থু থু আমাকে খাইয়ে দিলেন ছিঃ।
এখন তো আমার বমি বমি পাচ্ছে ।
কিহ !
ওয়াক থু !

একটু আগেই না বললি বিয়ে করবি । মিটেছে বিয়ের শখ ! আমাকে বিয়ে করলে কিন্তু রোজ এইভাবে থু থু খাও….
নির্ণয়ের কথা শেষ করার আগেই অনুভব করলো কেউ তার ঠোট জোড়া বন্ধ করে দিয়ে শুষে নিচ্ছে । নির্ণয় তাতে তাল মিলিয়ে চলছে । সে জানে এই ঠোঁটে মালিক কে , কিছুক্ষণ আগের স্ট্রোবেরি লিপজেলে যেই সাধ সে রোজার ঠোট থেকে নিয়েছিল । এখনো সেই সাধ । নির্ণয় ধীর হাতে খামচে ধরলো রোজা চুল ।
এভাবে কত সময় পাড় হলো কারোর জানা নেই ।

প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ১৬

দুজনের নিঃশ্বাস ঘন হয়ে আসছে । নির্ণয়ের নিজেও বেসামাল হয়ে উঠেছে । চুম্বন অবস্থায় দুহাতে জড়িয়ে কোলে তুলে নিলো রোজাকে । প্রেয়াসীর ঠোটে ঠোট ডুবানো অবস্থায় আবারো এগিয়ে চললো বেডের দিকে।

প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ১৮