প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ২১
Zannat Xhowdury
পানি , পানি ।
জেল কাস্টারিতে পানির জন্য কাতরাচ্ছে সুমন তবে আশেপাশে কোথাও পানির ছিটেফোঁটার দেখা নেই। চেয়ারের সাথে হাত পা বাধা অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে তাকে । শরীরে রয়েছে বিভিন্ন ক্ষতের দাগ । কিছু কিছু জায়গায় রক্ত জমে কালো হয়ে গিয়েছে।
ব্যাথায় পুরো শরীর যেন টনটন করছে তার ।
পানি চাই পানি ?
কারো কন্ঠে চোখ জোড়া হালকা মেলে আবারো বন্ধ করে সুমন ।
বাকা হেসে এগিয়ে এসে সুমনের সামনের চেয়ার টেনে বসলো প্রেম। হাতে তার এক গ্লাস পানি ।
বেশ শব্দ করেই পানির গ্লাস রাখলো দুজনের মাঝখানের টেবিলে।
কি হলো পানি চাই ?
আমাকে এখানে আনা হয়েছে কেন ?
সুমনের করা প্রশ্নে হো হো করে হেসে উঠলো প্রেম ! যেন পৃথিবীতে এর থেকে মজার জোকস কখনো শুনেনি সে । আসলেই শুনেনি হয়তো ,
ব্যাপারটা এমন যেন , চোরের ঘরেই চুরি হয়েছে ।
প্রেম এবার ভনিতা ছাড়াই বলতে শুরু করলো ।
রয়্যাল ক্যাসিনো , কার অন্ডারে শেয়ারে কে কে আছে , কার হয়ে কাজ করছিস সব ইনফরমেশন চাই ।
ঠোটে বাকা হাসি ফুটিয়ে কাঁধ কিছু বাকালো সুমন । এতেই যেন সারা শরীরে রক্ত টগবগ করে ফুটতে শুরু করেছে প্রেমের ।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
তোদের কি মনে হয় , আমাকে আটকে রাগতে পারবি তোরা ?
তোর কোন বাপে ছাড়াবে তোকে
অযাচিত শব্দ গুলো কানে আসতেই দুজনের দৃষ্টি স্থির হলো জেল গেটের দিকে । লোহার তৈরি কারাগারে দরজায় গা ছাড়া ভাবে দাড়িয়ে আছে রোজা । পুরো মুখ ওড়নায় কাভার করা পড়নে গেবাডিং এর সাথে হোয়াইট শার্ট ইন করা । বুকের ওপরের দুটো বোতাম খোলা । হাতে রলেক্স ওয়াচ ।
মেহরি..
হাতের সাহায্যে প্রেম কে থামিয়ে দিলো রোজা ! এগিয়ে এলো চেয়ারে বেঁধে রাখা সুমনের কাছে
কি রে বল ? কোন বাপে আসবে তোর ?
নিশ্চুপ সুমন । মুখে নেই কোন আওয়াজ , গলা স্বর কেউ থামিয়ে দিয়েছে তার । সুমনের দিকেই তাকিয়ে। বাকা হাসলো রোজা, মুখ ঢাকা থাকায় কারোর নজরে এলো না তা ।
স্যার কাইন্ডলি লিভ দ্যিস প্লেজ । আই নিড সাম টোক টু হার !
ইয়েস ক্যারি অন !
রোজাকে রেখেই রুম ত্যাগ করলো প্রেম তবে যাওয়ার আগে একবার নজর বুলিয়ে নিলো সুমনের দিকে ।
টেবিলে রাখা পানির গ্লাস হাতে তুলে নিলো রোজা । ধীর পায়ে এগিয়ে গেল সুমনের কাছে । গ্লাস এগিয়ে দিলো মুখের কাছে ।
পানি দেখা পেতেই। ঢকঢক করে পুরো পানি সাভার করে দিলো সুমন ।
গ্লাস যথা স্থানে রেখে সামনের চেয়ারে পায়ের উপর পা তুলে গা এলিয়ে দিলো রোজা ।
সুমন অবাক চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো তার পানে বয়স অল্প হলেও কারেন্ট বেশি মেয়েটার ।
চল একটা ডিলে আসি ?
যেমন!
সুমনের উত্তরে সোজা হয়ে বসলো রোজা !
ইনফরমেশন দিয়ে মরবি নাকি না দিয়ে মরবি । যদি দিয়ে মরিস তাহলে তোর পরিবারের দায়িত্ব ডিপার্টমেন্টে নিবে । আর না দিয়ে মরলে তোর ছেলে যাবে অনাথ আশ্রমে আর তোর বউ রোজ কারো কারো না কারো বিছানায় । নতুন নতুন পুরুষের মনোরঞ্জন করবেন । তোর ছেলে রাস্তায় ভিক্ষা করবে?
এখন ডিসিশন তোর ?
আরে শালি তুই কি ভেবেছিস
জীবন বাঁচাতে সব তথ্য তোকে দিয়ে দিবো ?
হো হো করে হেসে উঠলো রোজা ? ভয়ংকর সেই হাসি পিলে কিছু টা চমকে উঠলো সুমন তবে নিজেকে শান্ত রেখে ভিরিক্কি কন্ঠে
ফা*ক অফ ইয়োর ডিপার্টমেন্টে !
তা তুই কি ভেবেছিস তথ্য দিলেই তুই বেচে যাবি ! বাঁচিয়ে রাখবো তোকে ? তোর মতো নটির ছেলে জায়গা এই মাটির বুকে আবার হবে ।
শুষ্ক ঢোক গিলে নিলো সুমন । আমাকে মারলে কখনোই তার ধারে কাছে যেতে পারবে না তোর ডিপার্টমেন্টে কেউ ।
তোর মতো নরকের কিট এই সমাজের অভিশাপ তোকে বাঁচিয়ে রেখে কি লাভ ? তোরা দেশে খেয়ে দেশের সাথেই বেইমানি করছিস ?
শা… কথা শেষ করার বিকট শব্দে ছেয়ে গেলো চারপাশ। দেয়ালে ছোপ ছোপ রক্তের আভা । দ্রুত কদমে এগিয়ে এলো ইরফাজ আর প্রেম । ধোঁয়া ওঠা রিভালবারের নিলে ফু দিয়ে শান্ত করলো রোজা ।
বাইন***
হোয়াট ইজ দ্যিস মেহরিন ? এখন উপর মহলে কি জবাব দিবো আমরা । ওই একমাত্র ক্লু ছিলো আমাদের মিশনের ।
গা ছাড়া ভাব নিয়ে। জেলের গেটে দিয়ে বেড়িয়ে গেল রোজা।
স্যার এখন কি হবে ?
জানিনা !
আমার কাজের কৈফিয়ত আমি নিজে দিতেই ঢেড় পছন্দ করি ।
বলে গটগট করে বেড়িয়ে গেলো রোজা ।
ইতালি পশ্চিম ইউরোপের একটি প্রাচীন সংযুক্ত প্রজাতান্ত্রিক সংসদীয় রাষ্ট্র। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত একটি দেশ এবং এটি ইউরো অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত বিধায় এর মুদ্রা ইউরো। এই দেশে সংসদীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা চালু আছে। এর উত্তর সীমান্তে আল্পস পর্বতমালাসংলগ্ন ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ও স্লোভেনিয়া অবস্থিত এবং দক্ষিণে সম্পূর্ণ ইতালীয় উপদ্বীপ, ভূমধ্যসাগরসংলগ্ন দুই দ্বীপ সিসিলি ও সার্দিনিয়াসহ আরো বেশ কয়েকটি ছোট ছোট দ্বীপে পরিবেষ্টিত। সান মারিনো এবং ভ্যাটিকান সিটি নামের দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র ইতালির।
ইতালির বিলাস বহুল এক আলিশান বাড়িতে নিজের কামড়ায় মদ্য পানে ব্যস্ত এক ২৮ বছরের তাগড়া যুবক । পুরো শরীর উন্মুক্ত কাধ অবধি ঝুলছে সিলকি চুল গুলো । গায়ের রং উজ্জল ফর্সা নয় শ্যামা । শ্যাম বর্ণ যেন এই পুরুষের সৌন্দর্যে প্রধান উংস ।
ডান ভ্রু উপরে রয়েছে বেশ গাঢ় এক কাটার দাগ ।
এঁকে পর এক ওয়াইনের গ্লাস খালি করছে সে দৃষ্টি কাঁচের দেয়াল ভেদ করে বাহিরের পানে । নিশানা মন গহ্বরে হরিণী শিকারে ।
তুমি জানো না , তুমি জানো না রে প্রিয়
তুমি মোর জিবনের সাধনা ।
তোমায় প্রথম যেদিন দেখেছি মনে
আপন মেনেছি
অসময়ে বিশ্রী ভাবে বেজে ওঠা ফোনে বেশ বিরক্ত হলো যুবটি । ওয়াইনের গ্লাস হাতেই তুলে নিলো পাশে বাজতে থাকা । শালার বেটা ফোন কে ।
হ্যালো …
অপর পাশে বলা কথাতেই যেন মগজে আগুনে ফুলকি জ্বলতে শুরু করছে যুবকটি । এক হাতে আঁচরে ফেলে হাতে থাকা মোবাইল টি ওয়াইনের গ্লাস এক চুমুকে শেষ করে সেটিও মাটিতে ফেলে।
আমার এতো দিনের ক্যাসিনো এভাবে শেষ হতে পারে না । কখনোই না ।
ডিভেনে গিয়ে গা এলিয়ে দেয় যুবকটি ।
তবে মিনিট পাঁচেক এর মাথা আবারো সোজা হয়ে বসে হো হো করে হেসে উঠে সে । চোখে মুখে উন্মাদের ছায়া ।
বুলবুলি !
পুরো ঘর মেতে উঠে অট্টো হাসিতে । যা তার দেয়ালে মাঝে বাড়ি খেয়ে রুমে ঘোরপাক খাচ্ছে ।
রুমে বেড সাইড টেবিলে থাকা লাল এক সুইচের চাপ দিয়ে আবার গিয়ে বসে ডিভেনে হাতে ওয়াইনের বোতল অপর হাতে জলন্ত সিগারেট ।
ওয়াইনের বোতলে চুমুক দিতেই ঘরের প্রবেশ করে অল্পবয়সী এক লাস্যময়ী তরুণী। পড়নে স্লিলকের শাড়ি সাথে ডায়মন্ডের হালকা পাতলা কিছু জুয়েলারি । ঠোঁটে গাঢ় লাল লিপস্টিক । হিলের ঢকঢক শব্দে যুবকের আর বুঝতে বাকি রইল না কে প্রবেশ করেছে তার ঘরে ।
Bby you wanna spend some time with me ?
ওয়াইনের গ্লাসে মনযোগ রেখেই ঠোঁটে কোনে সিগারেট রাখে যুবক টি মুখ ভর্তি ধোঁয়ার গ্লাসে উপর ছুড়ে । রুমে যে সে ব্যতিত কেউ আছে সে দিকে কোন খেয়াল নেই তার ।
রো ……
রক্ত গরম চোখে মেয়েটির দিকে তাকাতেই কিছু টা বরকে যায় মেয়েটি । তবে নিজেকে যথা সম্ভব শান্ত রেখেই এগিয়ে এসে বসে ডিভেনে গলা জড়িয়ে নেয় যুবকটির ।
বিরক্ত যেন ছেয়ে যায় যুবকটি চেহারায় ।
লিভ মি জারা ।
বেবি আই লাভ ইউ !
বাট আই’ম নট ।
এবার ও যেন বেশ শান্ত জারা । এ যেন আজ নতুন প্রত্যাখ্যান নয় এর আগেও বেশ কয়েকবার হয়েছে সে । তবুও বারবার ফিরে আসে এই পুরুষের কাছে কিসের আশায় আজো তার অজানা ।
পেয়েছ তাকে ?
হারিয়েছে কবে !
অন্য কারো বউ সে ?
হোক না অন্য কারো আমার ভালোবাসার অধিপত্য বিস্তার আজো বাকি তার শরীরে । আমার ছোঁয়া না পাওয়ার পর্যন্ত যে সারাজীবন আমার কাছে নতুন । এতে হাজার বার যদি অন্য কারো হয় তবুও সে আমার । আমি তাকে চাই , উন্মাদের মতো চাই , আমার ছোট জিবনের একমাত্র চাওয়া সে ?সে শুধু ই আমার যতক্ষণ না আমি তাকে ভাঙ্গবো সে শুধুই আমার ।
হো হো করে হেসে উঠে জারা । তা খেয়ালে এলছই ভ্রু জোড়া কুঁচকে নেয় যুবকটি।
হোয়াট রাবিশ ! হাসছো কেন ?
তোমার কি মনে হয় রোহান , নির্ণয় চৌধুরী কাচা খেলোয়াড় । যে কিনা বহু বছর আগেই তোমার নাকে ডোগা থেকে শিকার ছিনিয়ে নিয়েছে , সে এতো সহজেই চুপ করে থাকবে । তার বউ কে তুমি তার কাছ থেকেই কেড়ে নিবে ।
রহস্য ময় এক হাসি ফুটে ওঠে রোহানের ঠোঁটে ! তবে তা জারার চোখের অগোচরে ।
নির্ণয় চৌধুরী আমার লেভেলে ছিলো কবে জাড়া । আমার শিকারের আমানত কারী তাকে রেখেছি । তার মানে এই না শিকারী সে ।
মেহরিন কেন আমি নই কেন রোহান ।
মেহরিন , যে চোখ জোড়া ভর্তি মায়া , সে চোখ জোড়ায় আমার ধ্বংস। যে হাসিতে মুক্ত ঝড়ে সেই হাসি আমার অস্তিত্ব বিলীনের ক্ষমতা রাখে। যাকে বহু বছর আগে থেকে চাই , তাকে ভুলানো তোমার কর্ম নয় জারা।
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর অনুভূতি কি জানো রোহান , প্রেম পড়া । আর সবচেয়ে ভয়ংকর আর ধ্বংসাত্মক অনুভুতি হলো সেই ভালোবাসা না পাওয়া ।
আমি চেয়েছি তোমাকে নিজের সমস্ত কিছু উজার করে চেয়েছি তোমাকে । তবে কেন আমার হলে না রোহান
জাড়ার চোখে পানি চকচক করছে । প্রকাশ করছে কতটা ব্যাথা জমানো তার মনে ।
অনুভুতি পাহাড়ের উঠো না জাড়া তল দেশে তলিয়ে যাবে ।
বাকি টা কোথায় রেখেছি । নিজে সব কিছুই বিসর্জন দিয়ে তোমার হতে চেয়েছি । নিজের সমরাজ্য ছেড়ে এ দেশের ছুটে এসেছি । রানী না হয়ে দাসীর জায়গা চেয়েছি সব শেষে তোমাকে চেয়েছি
কেন রোহান আমাকে ফিরিয়ে দিলে ।
কলিজায় ভয় আনো জাড়া আমি আগুন , আমার তাপে জ্বলা তোমার কাম্য নয় । দেশে ফিরে যাও ,
ফোন হাতে অস্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে রিয়ান । এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ এর বেশি কল ঢুকানো হয়েছে রাই নামে সেভ করা নাম্বারে তবে প্রতিবার একি টোন বেজে উঠছে ।
কোথায় তার বোন ।
একমাত্র বোনে কে হারিয়ে গেছে ভাবতেই গা সিউরে উঠেছে তার ।
বাংলাদেশি নাম্বারে ও কল করছে বহুবার ।
মাথায় হাত দিয়ে ধোপ করে বিছানায় বসে পরে রিয়ান । মাথা পুরো হ্যাং হয়ে গিয়েছে তার। এত চাপ আর সহ্য হচ্ছে না বাসায় কি জবাব দিবে সে । তার ভরসাতেই তো এত দূরে পাঠানো হয়েছিল তাকে । আর ভাই তাঁকেই বা কিভাবে সামলাবে সে ।
ওহ না আর পারছি না । কোথায় গেলি তুই রোজ ।
চোরের মতো পা টিপে টিপে রুমে প্রবেশ করছে রিধিমা । রিয়ানকে মাথা চেপে বসে থাকতে দেখে বুকের ভেতর ধক করে উঠলো তার একমাত্র বোন চোখের মনির খোঁজ না পেয়ে বেকুল হয়ে গেছে ছেলেটা । হাসি খুশি ছেলেটার মুখে পড়ছে চিন্তার ছাপ ।
রিধিমা এগিয়ে গিয়ে বসে রিয়ানের পাশে হাত রাখে রিয়াকে কাঁধে।
ভাই !
কাঁধে কারো স্পর্শ পেয়ে মাথা ঘুরে তাকায় রিয়ান । কাছের কউকে এই মূহুর্তে ভীষণ দরকার ছিলো তার । ছেলেদের যে কষ্ট হয় আপন মানুষ হারালে তাদেরও যে মন পুরে এ কথা প্রকাশ করার ক্ষমতা হয়তো ছেলেরা রাখে না
কান্না ভেজা চোখে বোনকে জড়িয়ে ধরে রিয়ান ।
রিধু আমার রোজা কোথায় চলে গেলো !
রিধিমা হাত রাখে ভাইয়ের মাথায় শান্তনা দেবে নাকি সত্যি বলবে বেশ দ্বিধায় ভুগছে সে । বোন কে দেওয়া কথা আর ভাইয়ের অসহায়ত্ব কোন দিকে যাবে বুঝতে পারছে না সে ।
আমি এবার বাসায় কি বলবো বল না । রোজ কোথায় চলে গেলো ।
শান্ত হো রিয়ান । আমি জা…
কথা শেষ না করেই থেমে যায় রিধিমা । এতেই যেন বেশ খটকা লাগে রিয়ানের ।
কি বলতে চাইলি তুই ?
কি কি ব ব বলতে চাইলাম ! কি কি কিছু না তো
রিধিমা কে ছেড়ে বসে রিয়ান । সন্দিহান চোখে তাকায় তার পানে বেশ কাচুমাচু হয়ে যায় রিধিমা ।
দেখ রিধু আমাকে কসম দিতে বাধ্য করিস না আর না নির্ণয় ভাই কে বলতে , আমি জানি রোজ কই তুই জানিস। প্লীজ বল না আমার বোন কই ?
আ আ আমি কিছু জানিনা বিশ্বাস কর ?
বলবি কি না ?
আমি কিছু জানিনা কথা শেষ করে বিছানা ছেড়ে উঠৈ রোজা । ছুটে বেড়িয়ে যেতে নিলেই হাত ধরে ফেলে রিয়ান ।
আমি শেষ বার বলছি রোজ কোথায় ।
বেশ ধমকের স্বরে কথাটি বলে রিয়ান । রাগিব দৃষ্টি দেয় রিধিমার পানে । রাগে লাল বর্ণ ধারন করা চোখ জোড়া দেখেই ভয়ে পিটিয়ে যায় রোজা । তোতলিয়ে বলে ওঠে
বা বা বাংলাদেশে ?
বজ্রপাতের ন্যায় কথাটি পুরো ঘরে ছেয়ে যায় দেয়ালে বাড়ি খেয়ে বার বার ফিরে আসে মস্তিষ্কে ।
কী ?
বাংলাদেশে !
প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ২০
নিজের হাত রিয়ানের হাতের বাঁধন থেকে ছাড়িয়ে ছুটে বেড়িয়ে যায় রিধিমা । এখনো স্তব্ধ রিয়ান হাত পা যেন চলছে না তার । পুরো শরীর কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে ।
অবাক হয়েছিস ,
গম্ভীর কণ্ঠের আওয়াজে ধ্যান ভেঙ্গে বাস্তবে ফিরে সে ।
ভাই ,
তোর গোয়েন্দা বোন নিজের মিশনের দেশে ফিরেছে !
মানে ?