প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ২৪

প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ২৪
Zannat Xhowdury

অশান্ত রাত ,
আকাশ ভরা তারার মাঝে গোল থালার মতো জ্বলছে চাঁদ । হলুদ মৃদু আলোতেই ঘুমে আচ্ছন্ন এক অষ্টাদশীর রূপ যেনো‌ নেশা ধরিয়ে ছাড়ছে পুরো শরীরে , মস্তিষ্ক যেন অটোমেটিক কাজ করা বন্ধ করেছে ।
শুষ্ক ঢোক গিলে জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নেয় নির্ণয় ঘুমন্ত রোজার মুখের পানে তাকিয়ে হাসফাস করতে থাকে সে ।‌ মন চাইছে ওই গোলাপি ওষ্ঠের স্বাদ নিতে । তবে রোজার ঘুমের বিন্দু পরিমাণ সুযোগ না নিয়েই ! সিটে গা এলিয়ে চোখ জোড়া বন্ধ করেই নিজেকে কন্ট্রোলে আনতে গিয়েও যেন বারবার ব্যর্থ সে ।

চোখ মেলে আবারো তাকায় কোলে মাথা রেখে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকা ঘুম পরির পানে‌। বেশ বড় এক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আবারো চোখ বুজে নেয়!
মনে মনে চলছে কঠিন যুদ্ধ নেশা ভরা চোখ জোড়ায় যেন সব সর্বনাশের উৎস । ধীপ করে বন্ধ চোখ মেলে ‌, হাতের সাহায্যে ছুঁয়ে দেয় রোজের গোলাপি ঠোঁট জোড়া । জেল জাতীয় কিছু অনুভব হতেই ধীরে ধীরে হাত এগিয়ে আনে নাকের কাছে স্ট্রোবেরি ফ্লেভার, নাকে আসতেই আবারো নেশা চড়িয়ে দেয় পুরো শরীর জুড়ে রোজার ঠোঁটে ছুয়ানো আঙ্গুল জিভ দিয়ে চেটে নিয়ে , হালকা ঝুকে ঘুমন্ত রোজার মুখের দিকে, কানের কাছে আসতেই ফিসফিস বলে ।
“Do you like strawberry darling ,
I also love strawberry flavored ”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

উফফ তোর আর আমার কী মিল , তাই না মাই ফা*কিং রোজ পাখি । তাহলে শাস্তিটা না হয় পছন্দের স্ট্রোবেরিতেই হোক। তোর ডানা কাটতে না পারি ভাঙ্গতে তো ঠিকি পারবো। কি বলিস জান?
ঘন জঙ্গলের মাঝে বরাবর পথের শুরু, কিছু দূর গিয়েই রাত জাগার হিংস্র নেকড়ের দল প্রায় জানান দিয়ে যাচ্ছে রাতের শেষ প্রহর প্রায় উপস্থিত । জঙ্গলের পথ ধরে ছুটে চলছে নির্ণয়ের কালো রঙের গাড়িটি‌‌। ইতোমধ্যে সামনের সিটে বসা রিয়ান পাড়ি জমিয়েছে ঘুমের রাজপুরিতে , যেখানে নেই পাওয়া না পাওয়ার কোনো আক্ষেপ , থাকে না ক্লান্তি, থাকে কোনো চিন্তার ছাপ ,পুরো সময়টাই যেন শান্তিতে স্বস্তি ।
গভীর জঙ্গল পেরিয়ে ছোট এক গ্রামের শেষ মাথায় রয়েছে নির্ণয়ের বাগান বাড়ি । স্টিল আর টিনের তৈরি অসম্ভব সুন্দর এক কারুকাজের আময়িক রাজ্য ! প্রায় দেড় বিঘা জমির উপর তৈরি বাড়ির চারপাশে রয়েছে মস্ত প্রাচীরে ঘেরা। গ্রামের শেষ প্রান্তে হ‌ওয়ায় জনমানবের নেই তেমন আনাগনা । বাড়ির পিছনের দিকে বয়ে চলছে নদী । যার স্নিগ্ধতা মনকে আরো‌‌ শীতল করে তোলে।

ব‌উকে খোজার ফন্দি সাজিয়ে বাংলাদেশ এসে এক চুল পরিমান রেস্ট নেওয়ার সুযোগ হ‌ই নি । এসে থেকেই মাথায় যেন এক চিন্তাই ভড় করেছে “রোজ চাই “। অবশেষে ব‌উ নিয়ে ফিরেছে নিজের বাগান বাড়িতে । অতল ঘুমের মাঝে ডুব দিয়ে থাকা রোজাকে পাঁজাকোলা করে নিয়ে বাড়ি ভেতরে প্রবেশ করে নির্ণয়। নিজের বরাদ্দকৃত ঘরের গিয়ে বিশাল এক বিছানায় ঠিক মাঝ বরাবর শুয়ে দেয়। শুয়ে থাকা রোজার দিকে কিছু সময় তাকিয়ে ভ্রু জোড়া কুঁচকে নেয় সে। পড়নে শর্ট ক্রপটপ নিচে প্লাজু টাইপ জিন্স নাভির কাছে জায়গাটা বেশ অনেকটাই উন্মুক্ত , যার থেকে পেটের কালো তিল টি মাঝে মাঝে উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে । ফোস করে দম ছেড়ে দ্রুত পায়ে এগিয়ে রোজার টপ কিছুটা টেনে নিচে নামিয়ে দেয় নির্ণয় । ঘুমের রানী, ঘুমের মাঝে পাড়ি জমালে শরীরে কাপড়ের ঠিকঠিকানা থাকে না ।

কিছুক্ষণ আগের ঝকঝকে তারা আর চাঁদের সমাহারে মিলিত আকাশ এখন কালো চাদরে ঢাকা। থেকে থেকে বিজলী চমকানোর শব্দ কানে আসছে। জানালায় পর্দা থাকার কারনে ঝড়ো বাতাস এসে উড়িয়ে দিয়ে আবারো আঁচরে ফেলছে জানালার গ্রিলে । বাতাসের প্রকোপে রোজার কাপালের বেবি হেয়ার গুলো উড়ে এসে পড়ছে মুখে।
নেশাত্মক চোখ জোড়ায় যেন পিপাসা আরো বাড়িয়ে তুলছে এই
আবহাওয়া।

মিলনের সুখ যেন প্রাণের মাঝে দোলা উড়িয়ে চলছে কঠিন খোলসের মানব টির। বাচ্চা এক মেয়ের প্রেমে মত্ত হয়ে‌ এত বছর পড়ে আবারো দেশের মাটিতে পা পড়ছে তার ‌
রোজার থেকে চোখ সরিয়ে জানালার দিকে এগোতে এগোতে গায়ের ব্লাক শার্টের বোতামগুলো এক এক করে খুলে ,উন্মুক্ত হয় চোওড়া বুক। ধীর হাতে খুলে মাটিতে ছুড়ে ফেলে গায়ে অর্ধাংশে লেগে থাকা শার্ট। একটু একটু করে উন্মুক্ত হয় পুরো শরীর, অসম্ভব সুন্দর তার পেটানো বডি যা মেয়েদের বুকের হার্টবিট বাড়াতেই যথেষ্ট । উন্মুক্ত গায়ে গিয়ে দাড়ায় জানালার কাছে , ঝুলতে থাকা পর্দা এক পাশে টেনে দিতেই হুহু করে ঠান্ডা শীতল বাতাস এসে গায়ে শিহরণ ধরিয়ে দেয় ।
নির্ণয় চোখ বুজে উপলব্ধি করতে থাকে বাতাসের শিহরণ । মন মস্তিষ্কে যেন ভালোলাগা অনুভুতি ছেয়ে যায়
এরি মাঝে ঘটে যাওয়া স্মৃতিতে পাড়ি জমিয়ে নেয় ……

সেবার শীতের আমেজে উত্তর বঙ্গের চৌধুরীদের পৈতৃক নিবাসে পুরো পরিবার সমেত এসেছিলো নির্ণয় রোজা । শীত এলেই যেন সকলের কুয়াশাঢাকা উত্তরবঙ্গের কথা মনে হয়। আর উত্তরবঙ্গ মানে ঘন কুয়াশায় ঢাকা মেঠো পথ, খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহানো কিংবা বিভিন্ন স্বাদের পিঠে-পুলি। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে উত্তরবঙ্গের শীত স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি।আকাশে মেঘ না থাকলে পঞ্চগড়ের যেকোনো জায়গায় দেখা মিলে হিমালয়ের কাঞ্চনজঙ্ঘা চূড়া।

কনকনে শীতের মাঝেই বাইক রাইডের জন্য বের হবে নির্ণয় । ফুল রেডি হয়ে‌ হাতে চাবি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে যেইনা সদর দরজা অতিক্রম করবে ঠিক সেই মুহূর্তেই হাতে টান অনুভব হতেই থেমে যায় তার পা । চোখে মুখে রাগের ছাপ ফুটিয়ে পিছনে তাকতেই অসম্ভব সুন্দর পরীর মতো লাল ড্রেসে দাঁড়িয়ে থাকা বাচ্চা মেয়েটি নজর কাটে তার । চোখ জোড়া স্থির হয় তার ফর্সা মুখশ্রীতে , ঠোঁটে উপরের তিল যেন কামুকতার শিহরণ ।
৮বছরের বাচ্চা , তবে শরীরের গঠন বরাবরই বাঁধিয়ে রাখার মতোই যেন পুরো শরীর ছাপিয়ে যায় রোজার ।
নির্ণয়ের টেনে ধরা হাত ধরেই সামনের দিকে টেনে সজা হয়ে দাঁড় করিয়ে দেয় রোজাকে । কপালে ভাঁজের উদয় হয় তার , এক ভ্রু নাচিয়ে আবারো তাকায় মেয়েটির পানে ।

কোথায় যাচ্ছো নীড় ভাই ?
তোকে বলে যেতে হবে বুঝি ?
কেন নয় ?
কে হোস আমার তুই ?তোর বালের প্রশ্নের উত্তর কেন দিতে যাবো আমি।
আমিও যাবো তোমার সাথে নির্ণয় ভাই .!
তোকে নিচ্ছি না আমি !

আমাকে তোমার সাথে নাও না নির্ণয় ভাই , আমি তোমাকে আমার সব ডল আর চকলেট দিয়ে দিবো !
নিজের হাত এক ঝটকায় ছাড়িয়ে নিয়ে রাগি চোখে তাকায় নির্ণয় । এতো টুকু মেয়ে কিনা তাকে ঘুস দিতে চাইছে ,
দাঁত কটমটিয়ে রাগি চোখে তাকায় রোজার দিকে
বোকা রোজা সে রাগ বুঝলো কিনা কে জানে
নির্ণয়ের চোখে চোখ পড়তেই খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে সে !

রাগের মাঝে বেশ অবাক হলো নির্ণয় পুচকে একটা মেয়ে তার রাগকে বাল ছেড়া করছে ভেবেই বিরক্ত হলো সে, তবে কথা না বাড়িয়ে চলে যেতে নিলেই আবারো থামিয়ে দেয় হাটা । নিজেকে কিছুর সাথে জড়িয়ে আছে বুঝতেই পেটের দিকে নজর দেয় সে । লম্বা সুঠামদেহী শরীরের মাঝে ছোট খাটো এক পিঁপড়ে ছানা এসে পড়েছে ।
ছোট ছোট দুটি হাতের বাঁধনে আটকে গেছে নির্ণয় পিছন থেকে তাকে ছোট ছোট হাতে জড়িয়ে নিয়েছে রোজা এগোতে চেয়েও ব্যর্থ হয়ে দাঁড়িয়ে যায় সে ।
কি হচ্ছে রোজ ?

আমি যাবো তোমার সাথে নির্ণয় ভাই ! আমাকে নিয়ে চলো
দূরে যা বলছি নাহলে থাপ্পরে গাল লাল বানিয়ে দিবো । ছাড় আমাকে ,
উঁহু আগে আমাকে সাথে নাও । তারপর ছেড়ে দিবো এই তোমার প্রমিজ।
ভ্রু জোড়া কুঁচকে নেয় নির্ণয় । সন্দিহান চোখে তাকায় রোজার মুখশ্রীতে
আমার নামে প্রমিজ করছিস কেন , আমাকে মেরে আমার সব সম্পত্তির মালিক হতে চাস ।
তোমার সম্পত্তি তো আমার চাইনা নির্ণয় ভাই , তাই তোমারে মারার প্রশ্ন‌ই আসেনা !
তাহলে কি চাই তোর ?

এক ভ্রু নাচিয়ে রোজা দিকে তাকিয়ে থাকে নির্ণয়। বাচ্চা মেয়ে টা হঠাৎ করেই কেমন ব্লাশ করতে থাকে ।
আমার তো তোমাকে চাই নির্ণয় ভাই , বড় হয়ে আমাকে বিয়ে করবে তো তুমি ।
এইটুকু এক মেয়ে মুখে বিয়ে নিয়ে কথা শুনতেই নির্ণয়ের রাগ যেন তিরতিরে বাড়তে থাকে । মুখে গাম্ভীর্য আর রাগি চোখে রোজার পানে তাকিয়ে , ধমকের স্বরে বলে,
নাক বরাবর এক পাঞ্চ মেরে থোবরাই পাল্টে দিবো তোর ,
তখন একাই বিয়ের শখ মিটে যাবে , বজ্জাত মেয়ে ।
সে তুমি যাই বলো , মারো কাটো ,আদর করো ব‌উ তো আমি তোমারি হবো , মনের মনে কথাগুলো বলে নিজেই মুসকি হাসলো রোজা । এই পরিস্থিতিতে তার কিনা ভয় পাবার কথা, সেই পরিবেশে অনায়াসে হেসে চলছে সে । এতে অবাক না হয়ে পেরে উঠলো না নির্ণয় । ঘড়ির দিকে তাকাতেই বেরোনো জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠে ওঠে সে ।
“রোজ ভেতরে যা ;

নির্ণয়ের কথার থুরি পাত্তা দেয় রোজ , ধপ করে নির্ণয়ের পায়ে কাছে বসে পা জড়িয়ে নেয় , সে বিরক্তিতে চ সূচক শব্দ আওরায় নির্ণয় । তাকে এখুনি যেতে হবে ,এই মেয়ে তাকে ছাড়তেই চাইছে না।
“হোয়াট হ্যাপেন্ড..? এভাবে পায়ে পড়েছিস কেন তুই ,
লিভ মি রোজ।
নির্ণয়ের পা থেকে চোখ সরিয়ে মুখের দিকে তাকিয়ে কাঁদো কাঁদো ফেস বানিয়ে বলে
“আগে বলো আমাকে নিবে তোমার সাথে , জানো তোমার সাথে যাবো বলেই আজ পাপা কে বলে স্কুল বাঙ্ক করেছি ।
রোজার মুখের পানে তাকিয়ে মাস্কের ভিতর থেকেই দীর্ঘশ্বাস ফেলে নির্ণয় । নিজেকে শান্ত করেই আবারো তাকায় মাটিতে বসে থাকা মেয়েটির দিকে
“পা ধরে বসে থাক বা অন্য কিছু আমি তোকে সাথে নিচ্ছি না ।
নির্ণয়ের এক কথায় চোখ উপচে অঝোরে পানি গড়িয়ে পড়তে লাগে রোজার । ছোট মনের জমছে ঘন কালো মেঘ । মুখ নিচের পানে রেখেই টুপ টুপ করে ফেলছে চোখের পানি । হাস্যোজ্জ্বল মুখটা মূহুর্তেই মিয়ে যায় গভীর অতলে । কন্ঠে এক রাশ অভিমান জমিয়ে কান্না মিশ্রিত কন্ঠে বলে ,

জানো আজ আমার বেস্ট ফ্রেন্ড তানিয়ার বার্থডে ছিলো , আমাকে বারবার বলেছিলো স্কুলে যেতে । পাপা ও বলেছিলো আমায় স্কুলে যেতে। তবে আমি আজকে তোমার সাথে সময় কাটাবো বলেই তো মাম্মাম কে আমার শরীর ভালো লাগছে না বলেই স্কুল বাঙ্ক করলাম আর সেই তুমি কিনা এখন এমন করছো ।
“আমি কি তোকে একবারে বলেছি আমি তোকে সাথে নিয়ে ঘুরবো ?
রোজা মাথা নাড়িয়ে না বোঝায় ।
আমি কি তোকে বলেছি স্কুল না যেতে ?
এবারো মাথা নারে রোজা।
তাহলে সকাল সকাল আমাকে না জ্বালিয়ে , তোর ভাইকে গিয়ে জ্বালাতে পারিস না । আমাকে ছেড়ে তাকে গিয়ে ধর মেরি মা ।

এ মা তুমি আমাকে মা ডাকছো কেন আমি তো তোমার মা ন‌ই , আমি তোমাকে এত এত ভালোবাসি নির্ণয় , আমি তো তোমার ব‌উ হতে চাই মা নয় । তোমার সাথে সময় কাটাতে আমার ভালো লাগে বলেই তো স্কুল যাইনি আমি , “এমন কি তানিয়ার জন্মদিনেও নয় ।
কতটা ভালোবাসিস আমাকে?
নির্ণয়ের এই প্রশ্নের মানে কমল হৃদয়ের মেয়েটি কি বুঝলো কে জানে , নির্ণয় পা ছেড়ে উঠে দাড়িয়ে ভেজা চোখ জোড়া হাতের সাহায্যে মুছে নিয়ে চোখে চোখ মেলালো নির্ণয়ের । কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি তুলছে সে। তবে নিজেকে শান্ত করার বিন্দু পরিমাণ প্রয়াস যেন নেই তার মাঝে
সকলের থেকে বেশি !

তিরতির করে কাঁপতে থাকা ঠোঁট সাথে সমান তালে হেঁচকি দুটোর সংমিশ্রণে এই উত্তর নির্ণয়ের মনকে শান্ত করতে পারলো কিনা কে জানে তবে হয়তো এতোটাও আশা করেনি সে । ঠোঁটের কোনে অদ্ভুত এক হাঁসির রেখা তার।
বাতাসে একটা ভেজা গন্ধ। তারপরই শুরু হলো রিমঝিম বৃষ্টি। চারপাশ নিস্তব্ধ, শুধু বৃষ্টির শব্দ—টুপ টাপ টুপ টাপ🖤
জানালার ভেদ করেই হেচা বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিতে থাকে নির্ণয়ের উদাম শরীরে , ইতোমধ্যেই ফোটা ফোটা পানির কোণা এসে জমা হয়েছে প্রসস্থ বুকের । খালি শরীরে নরম দুটো হাত আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিয়েছে তাকে , পানির ফোঁটা গুলো যেন লেপে দিচ্ছে পুরো শরীর । নরম ওষ্ঠের ছোঁয়া পিঠে পেতেই চোখ বুঝে নেয় সে
অতিতের সমাপ্তি টেনে হাত রাখে নরম হাতে,

” ছলনায় মেতেছিস ?
উঁহু।
নরম হাত দুটো যেন আরো অনাবরত বিচরণ করতে থাকে নির্ণয়ের বুকে ,ফোস করে নিঃশ্বাস ছেড়ে , বুক থেকে হাত টেনে ঠোঁট ছুঁয়ে দেয় তাতে ।
তোকে পাওয়া এত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে কেনো রোজ ।

প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ২৩

কেন তোকে না পাওয়ার তীব্র যন্ত্রণায় আমাকে ক্ষয় হতে হচ্ছে ।
তোকে যে আমার ভীষণ প্রয়োজন ।
তবুও কেন প্রতিনিয়ত আমাকে হারানোর ছলনায় নেমেছিস তুই ।

প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ২৪ (২)