প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ২৮ (২)
Zannat Xhowdury
গলির মোড় পেরোতেই যেন হঠাৎই বাতাস থমকে যায়। নিঃশব্দ রাত্রির
বুক চিরে দু’দিক থেকে দমকা শব্দ তুলে ছুটে আসে তিনটি কালো গাড়ি , কুয়াশায় ঢাকা, নিচু, যেন হিংস্র জন্তু। মুহূর্তেই থমকে দাঁড়ায় , নীরকুঞ্জের ঠিক সামনে।
চাকার ঘর্ষণে ছিটকে ওঠা ধুলোতে গা ঢাকা পড়ে যায় পথের ধারের শিউলি ফুল। হেডলাইটের আলোয় ঝলসে ওঠে নীরকুঞ্জের পুরনো লোহার গেট জং ধরা, কিন্তু আজ যেন আরও ভারী, আরও ভয়ানক।
গাড়িগুলোর দরজা খুলছে না, কেউ নামছেও না।
সময় যেন থেমে আছে। তিনটি গাড়ি দাঁড়িয়ে, নিঃশব্দে। ইঞ্জিন বন্ধ, আলো নিভে আসছে ধীরে ধীরে। তবুও কেউ দরজা খোলে না, কেউ নিচে নামে না।
অতিক্রম হয় আরো কিছু সময় , এবার যেনো নিরবতা পাহাড় ভেঙে প্রথম গাড়ি থেকে এক এক করে নামতে শুরু করলো সকলে , প্রথমে আয়ান , ড্রাইভিং সিট ছেড়ে নেমে এসে এক এক করে সকলকে গাড়ির দরজা খুলে বেরোতে সাহায্য করলো।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
গাড়ির দরজা খোলা পেতেই দ্রুত পায়ে গাড়ি ছেড়ে নেমে দাঁড়ায় তৃধা। চোখে হাজারো কৌতুহল লুকানো তার।
ধীরে ধীরে অপূর্ব, রিধিমা, আর সকলেই যেন গাড়ি ছেড়ে নামে । অপূর্বের কানে মোবাইল , রিধিমা যেন ক্লান্ত শরীরে চারপাশ দেখে কাঁধ ঝাঁকাচ্ছে, গাড়ির দরজা খোলা, ঠাণ্ডা বাতাস হালকা কাঁপিয়ে দিচ্ছে জানলার কাঁচ অথচ এখনও একজন নামেনি।
গাড়ির ভিতরেই শরীর এলিয়ে পড়ে আছে একজন। তার স্বভাবই এমন সব কিছুতেই ঢিলেমি, যেন সময়কে নিজের মতো করে চালায়। সিটে হেলান দিয়ে আধশোয়া অবস্থায় চোখ দুটো বন্ধ তার , নিঃশ্বাস ভারি। বাইরের গুঞ্জন, পায়ের আওয়াজ, বাতাসের সুর কোনোটাই তাকে টানে না। ঘুমের ভেতরেও সে যেন নিজের এক জগতে বন্দি। রিয়ানের এই খাটাস স্বভাবে বেজায় বিরক্ত সকলে , কোনোভাবে না পেরে , গাড়িতে থাকা পানি বোতল হাতে তুলে নেয় আয়ান । প্রথম পর্যায়ে বেশ কয়েক বার ডাকে সে রিয়ান কে
রিয়ান এই রিয়ান ।
ঘুমের মধ্যে রিয়ানের কোনো সাড়া নেই, যেন সে স্বর্গ ভ্রমণে হারিয়ে গেছে সে । নিস্তব্ধতা মুখে শান্তির ছায়া, চোখ বন্ধ, নিঃশ্বাস ধীরে ধীরে পড়ছে।আয়ান এবার একটু জোরে বিরক্তি মেশানো কণ্ঠে বলে,
শালা উঠবি নাকি এখানেই ঘরবাড়ি বানিয়ে ছাড়বি ।
তবুও রিয়ান নড়ে না। কোনো প্রকার হেলদোল নেই তার যেন ইচ্ছা করে সকলকে অবহেলা করছে।
বড় এক দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে আয়ান উপায়ান্তর না পেয়ে বোতলের মুখ খুলে হালকা ঝাঁকি দেয় আর ঠিক তখনই ঠাণ্ডা পানির ছিটা পড়ে রিয়ানের গালের ওপর। তবে এতেও যেন এক চুলও নড়ে না সে ,
বেশ চটে যায় তৃধা , বিরক্তি তার শিরায় শিরায় এসে ভর করে। মুখে একরাশ রাগ নিয়ে খেকে বলে
এভাবে পানি ছিটালে এই শা* লা বলদের ঢাকি জীবনে উঠবে বলে তোদের মনে হয় ? আমি দেখাচ্ছি কিভাবে কুঁড়ে মানুষের ঘুম ভাঙ্গাতে হয়।
কথা শেষ করেই আয়ানের হাতের পানির বোতল কেড়ে নেয় তৃধা । গাড়ির দরজা কাছে এগিয়ে এসে পুরো বোতলের পানি ঢেলে রিয়ানে মুখ বারাবর
ঠাণ্ডা জলের ঝাঁপটায় যেন বাজ পড়ার মতো লাগে।
রিয়ান চমকে উঠে বসে।
চোখ কুঁচকে তাকায় সকলের দিকে, চুল আর গাল বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে, ঠোঁট ঠাঁপ ঠাঁপ করছে ঠাণ্ডায়, জামা ভিজে গেছে অর্ধেক। মুখে তীব্র বিরক্তি, চোখ দুটো কুয়াশায় ঢাকা জাগা-না-জাগা ঘুমের মতো।
রিয়ান কাঁপতে কাঁপতে কাপড় থেকে পানি নিংড়াতে থাকে ভিজে পুরো একাকার , কাজের মাঝে মুখটা কুচকে বলে
“তোরা কি মানুষ রে ? আমার মতো এক অবলা, নিষ্পাপ, দুঃখী ছেলেটারে ঠাণ্ডা পানি ঢেলে চুবাইয়া মারার প্লান করিস?”
একটু থেমে হাঁচি দিয়ে চিৎকার করে আবারো চিৎকার করে সে
আহ নিউমোনিয়া হইলে , বুক বন্ধ হইয়া গেলে? তখন কি হবে মরে গিয়ে কি স্বর্গে জানলা খুলে তোদের নাটক দেখব!
তৃধা চোখ উল্টে নেয়, মুখটা তিক্ত করে মাথা চুলকে ভাবে
এক বোতল পানিতে কার নিউমোনিয়া হয়? সাথে আবার মৃত্যু! এতো ড্রামা তো সিরিয়ালেও চলে না!”
তারপর আবার ঘাড় ঘুরিয়ে রিয়ানের দিকে তাকায় রিয়াকে মুখ পানে বিরক্ত স্বরে বলে , তোরে সত্যিই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া দরকার ভাই। ঠিক ওভার অ্যাক্টিং ক্যাটাগরিতে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট! অভিনয়ে এতোই যখন আগ্রহ তাইলে তোরে একটা নাটকের ফেস্টে পাঠায় দিই রে, দয়া করে এখানে না আর করিস না
আয়ান হেসে কুল পায় না, উপস্থিত সকলেই যেনো হেসে লুটোপুটি খাওয়ার মতো অবস্থায়
সে পরে দেখা যাবে , আগে বল শাকচুন্নীর বাচ্চা তুই আমার মুখে পানি দিয়েছিস কেন ?
রিয়ানের চোখ কুঁচকে নেয় , ঠোঁট টেনে ধরে কথা বলছে। গায়ে ভিজে টিশার্ট, কাঁধ থেকে জল টপ টপ করে পড়ছে।
তৃধা হাত বুকের কাছে ভাঁজ করে , কন্ঠে কোমলতা এনে নাটকীয় ভঙ্গিতে বলে
ভাই রে ভাই তোর যে ঘুম উফফ আল্লাহ দুনিয়াতে যুদ্ধ লেগে যদি তোর উপর বোমা পড়ে তবুও ভাঙ্গবার নয় ।
রিয়ান দাঁত দাত কিড়মিড় করে , চোখে হালকা রাগের আভাস।
তাই বলে পানি দিবি ? দিলি তো ভিজিয়ে এখন যাবো কি করে আমি । ঘুম ভাঙ্গাতে দরকার হলে রুমাল ভিজিয়ে মাথায় রাখতি! কেউ পুরো বোতল ঢালে?
তৃধা কাঁধ ঝাঁকায় , মুখে বাঁকা হাসি টেনে বলে ,
তুই তো আর সাধারণ না, তোকে জাগাতে সাধারণ পদ্ধতি চলে না।
এবার আর হাসি আটকে রাখতে পারলো না আয়ান,
মূহুর্তেই হো হো করে হেসে উঠলো সে, সাথে সকলেই যেন ঠোট টিপে হাসতছে , হাসতে হাসতে আয়ান বলে ,
ভাই একটা কথা বলি, তোর মুখে পানি পড়ছিল, আর তুই শরবত ভেবে চেটে খেয়েছিস
রিয়ান এবার ঠোঁট কামড়ে নিজেকে বেশ শান্ত করতে চাইছে রাগে রি রিং করতে করতে ড়লে
এখনো ঠিকঠাক জেগে উঠিনি আমি , শরবতের মতো যদি কারো মুখে থাপ্পর পড়ে যায় দোষ হবে কি ?
ওদের কথার মাঝেই ঘুমন্ত রোজাকে কোলে তুলে হেটে আসছে নির্ণয়
রিয়ানের থেকে নজর সরিয়ে সবাই তাকায় তাদের দিকে।
রিয়ানের চোখ পড়তেই সে দ্রুত গাড়ি থেক নেমে দাঁড়ায়,সকলে এখন চোখ মেলে এক জায়গায় আবদ্ধ,
নিরবতা যেন চারপাশকে জড়িয়ে ধরে,
ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে যাওয়া ঘুমন্ত এক পরীকে কোলে নিয়ে, নির্ণয় ধীরে ধীরে এগিয়ে এসে দাঁড়ায় সকলের সামনে।মুখে এক অদ্ভুত হাসি ।হাতের মাঝে পরীর কোমল শরীর যেন এক রূপকথার ছবি হয়ে উন্মোচিত হয়েছে।সবাই কিছুক্ষণ নীরব হয়ে তাকিয়ে থাকে তাদের , মনে হচ্ছে সময় থমকে গেছে সেই মুহূর্তে।
ভ্রু কুঁচকে সামনে দাঁড়ানো সকল কে এক নজর পরখ করে নেয় সে । সকলে মুখ ভঙ্গি দেখে জোরে ধমকে উঠে
What ..
থতমত খেয়ে যায় সকলে । এক ধমকেই যেন কাশি উঠে যায় আয়ানের , রিয়ান উল্টো ঘুরে যায় নিজেকে বাঁচাতে। তবে তার আগেই নিজের কথায় ফাঁসিয়ে দেয় নির্ণয় ।
বোন আর বোনের জামাইয়ের রোমান্স দেখতে লজ্জা করলো না তোর ।
তওবা তওবা ভাই ..!! এসব কি বলছো আমি নমাজ পরি , এইসব কি আমি করতে পারি বলো ?
নির্ণয় যেন কোনো পাত্তাই দিলো না রিয়ানের কথার । গা ছাড়া ভাব ধরে সকলে দিকে তাকিয়ে বললো ।
Every body follow me
রিয়ানের করা এতোক্ষণে নাটকে মুখ চেপে হাসছিলো সকলে তবে নির্ণয়ের বলা এক কথায় যে , সকলে মূহুর্তেই সিরিয়াস হয়ে যায় ।
সকলে একসাথে পা বাড়ায় নীরকুঞ্জের দিকে
আরে শালা, বাবু! আমাকে রেখেই চললে যে!
তা, আমাকে কি নিবে না শুনি?
নীরকুঞ্জের মৃদু আলোয়, সোনালী ছায়ায় পা ফেলে চলতে চলতে হঠাৎ সবাই থেমে গেল। কোথা থেকে যেন গম্ভীর এক কণ্ঠস্বর তাদের পথরোধ করল।
এত রাতে কে এলো এখানে?
গম্ভীর, কঠোর, এমন এক কণ্ঠ যা মুহূর্তেই পরিবেশের গতি বদলে দিলো।চৌকিতে মাথা ঘুরিয়ে দেখলো নির্ণয় ।
উল্টো ঘুরে, অনাকাঙ্ক্ষিত সেই মানুষটির চেহারা নজরে পড়তেই নির্ণয়ের চীবুক শক্ত হয়ে ওঠে।
দাঁতে দাঁত কিচেন ধরে সে কেঁপে উঠতে থাকে তার শরীর , অন্তরের গহীন দাউদাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে।
রিয়ান নিজেও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ,যাকে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও পাওয়া যায়নি,সে কিনা এতো সহজে এসে হাজির নীরকুঞ্জে।
এক মুহূর্তে তার চোখে ঝলকে ওঠে বিস্ময় ঠিক পর মুহূর্তেই পুরোনো কথা গুলো যেন দাগ কাটে মনে । ওসব ভেবেই যেন মস্তিষ্কের শিরা টনটন করে ওঠে।হাতদুটো মুষ্টিবদ্ধ করে ফেলে সে আঙ্গুলের হাড় কড়কড়ে শব্দে যেন প্রতিজ্ঞা উচ্চারণ করে।
চোখ জ্বলে ওঠে, পায়ের পাতা শক্ত হয়ে মাটি আঁকড়ে ধরে।
সে কিছু বলতে গিয়েও থেমে যায় তার ভিতরে যে প্রশ্ন জমে আছে বছরের পর বছর,
হেই ব্রাদার্স!
“আমার পরীটা বুঝি ঘুমায়!”
তার কথাটা শেষ হতে না হতেই, রিয়ানের মুখ ঝলসে ওঠে রাগে।
চোখেমুখে আগুন, “তোকে তোহ … বলেই রাগে রিরি করে এগিয়ে রেহানে দিকে এগোতে যায় রিয়ান,
তবে ঠিক তখনই, ঠান্ডা অথচ তীক্ষ্ণ চোখে রিয়ানের দিকে তাকায় নির্ণয় , চোখে ইশারা পেতেই থেমে যায় রিয়ান ।
দুজনের উত্তাপে জমে ওঠা মুহূর্তে বাকা হাসে রেহান । তবে ঠোঁটে গলিয়ে বাহিরে বেরোয় না সেই হাসি । বেশ রহস্য ঘেরা ।
রোজাকে তখনো কোমলভাবে কোলে নিয়ে আছে নির্ণয়।কোনো শব্দ না করে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসে সে ,চোখে নীরব দৃঢ়তা, আর বুকে রোজার নিঃশ্বাসের ভার।
রিয়ানের ঠিক সামনে এসে একবার চোখে চোখ রাখে নির্ণয় ।
তারপর নিঃশব্দে, নিজের প্রাণপাখিটাকে তুলে দেয় রিয়ানের হাতে।রোজার ছোট্ট মুখটা তখন ঘুমে ঢলে পড়া, কিন্তু মুখে এক অদ্ভুত শান্তি।
রিয়ান দুই হাত বাড়িয়ে আগলে নেয় রোজাকে একটা ঝাঁকুনি দিয়ে যেন ভিতরের রাগ, অভিমান, তিক্ততা সব সরে যায়।
সে শুধু এখন ওর দিকে একবার তাকিয়ে আবারো তাকায় রেহানের দিকে ।
তখনো রেহানের ঠোঁটের কোণে সেই বাকা হাসির । চোখে যেন সরযন্ত্রের খেলনা ।
“ভেতরে যাও সবাই।”
নির্ণয়ের গলা ঠান্ডা, কিন্তু আদেশে কোনও জড়তা নেই।
একটুও সময় নষ্ট না করে রিয়ান , রোজাকে শক্ত করে ধরে পা বাড়ায় নীরকুঞ্জের পথে চোখে তখনো আগুনের আঁচ, তবু পায়ে নির্ভরতার ছাপ।
ধীরে ধীরে পা ফেলে ঢুকে পড়ে নীরকুঞ্জে।
চারপাশটা নিস্তব্ধ, বাতাসে এক অদ্ভুত গন্ধপুরনো দিনের,
সকলেই নীরকুঞ্জে ঢুকে পড়তেই,
একটু নাটকীয় ভঙ্গিতে ধীরে ধীরে রেহানের দিকে এগিয়ে আসে নির্ণয়।চোখে চোখ রেখে একেবারে সামনে গিয়ে দাঁড়ায়, যেন প্রতিটি পা মেপে রাখা যুদ্ধের ঘোষণা।চারপাশটা শান্ত, শুধু পায়ের আওয়াজ আর বাতাসে জমে থাকা টান।
ফেরা হলো তবে ?
অদ্ভুতভাবে হেসে ওঠে রেহান এটা যেন নিঃশব্দ, বিকৃত, অর্থবহ হাসি।ঠোঁটের কোণে আটকে রাখা সেই হাসি যেন চাইলেও পুরোটা ছাড়ে না, নিচের ঠোঁটে হালকা চাপে জমে রয়
হিসাব এখনো বাকি,
পাওনা জিনিস ছিনিয়ে নেওয়া বাকি ।
আমার আমানত কেড়ে নেওয়া বাকি ।
কথা শেষ আবারো বাকা হাসে রেহান , হালকা ঝুকে আসে নির্ণয়ের মুখের কাছে ।
নিশ্চয়ই নির্ণয় চৌধুরী আমানতের খেয়ানত কারী নয় ?
একদম নয় ।
সহজ সরল স্বীকারোক্তি নির্ণয়ের ।যেন তার মতো এক কথার মানুষ দুটো নেই দুনিয়ায় ।
এতোক্ষণে হাস্যোজ্জ্বল মুখ পানসে হয়ে আসে রেহানের এত সহজ উত্তর হয়তো সে আশা করে নি ।
মেহের আমার !
রেহানের পানসে মুখে তাকিয়ে কিছু টা হাসলো । নাটকীয় ভঙ্গিতে মাথা চুলকে নেয় । এবার যেন সেও কিছুটা ঝুকে আসে রেহানের দিকে
আম আমি আগে খেয়েছি এখন
আঁটি তুই নিলে আমার কোনো সমস্যা নেই।
আমি আবার ভোগে নয় ত্যাগে বিশ্বাসী !
থতমত খেয়ে যায় রেহান , কন্ঠ ধরে আসেছে তার । খেলা এত সহজ হবেনা ভেবেই এত সহজ হবেনা ।
গাছ আমার ফল আমার ,
প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ২৮
সে গাছের সামান্য একজন পাহাড়াদার তুই ?
রেহান এই কথায় যেন আরো জোড়ে হেসে উঠলো নির্ণয় । কন্ঠে হেঁয়ালি টেনে বলে
বাহ কী কপাল আমার, পাহাড়াদার হয়ে মালিকের ফল খেয়েছি ।