প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ৩১ (৩)

প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ৩১ (৩)
Zannat Xhowdury

নিস্তব্ধ পুরো হলরুম । কারো মুখে যেন কোনো শব্দ নেই। হঠাৎ যেন এক অদৃশ্য ভার চেপে বসেছে ঘরের উপর। সবার চোখ এখন এক জায়গায় রত্না চৌধুরী।
হলরুমের এপাশে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি, চোখে আগুন, মুখে রাগের ছায়া, ঠোঁট দুটি কাঁপছে হালকা, আর নাক দিয়ে বেরিয়ে আসছে গরম নিঃশ্বাস একদম যেন ফোঁস করে ফোনা তুলা সাপের মতো। তার চোখের চাহনিতেই যেন ভস্ম করবে সব কিছু

‘ অসভ্য ইতোর ছেলে পেটে ধরেছি। পুরো ঘর ভর্তি মানুষের সামনে ইজ্জতের মুড়ি মাখা বানিয়ে বিলি করছে ।
রাগে গজগজ করতে করতে দাঁতে দাঁত চেপে কথাগুলো বলছেন তিনি।
একদম ঠিক মাদার- ইন্ডিয়া তোমার সো কল্ড মা*ল পোয়া মানে ভাইয়ের পোলা ছাড়া আমরা সকলেই ইতোর। এই যেমন ধরো ভাই হলো অসভ্য , রোজ তো অবাধ্য মেয়ে আমি ইতোর।
তা তোমার দুধ ধোঁয়া তুলসি পাতার সিরাপ খানি কোথায় ডাকো একটু , তার গোবর মুখ না মানে চাঁদ মুখ খান দেখে কলিজা টা ঠান্ডা করি। ভবিষ্যতে ওর কবর তো আমাকেই বানাতে হবে ।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

‘ কবর মানে ?
‘ ও থুক্কু ভুল হয়ে গেছে কবর না ওইটা হবে কাপড় মানে বিয়ের শেরোয়ানি আর কি?
সকলে মুখ চেপে হাসছে সকলে। রায়হান চৌধুরীর হাসতে হাসতে প্রায় কাশি উঠে গিয়েছে। রিধিমা দ্রুত এগিয়ে গিয়ে পানি দেয়।
‘ বড্ড পেকেছো দেখছি ?
তা পাকবে না। গাছ যেমন ফল তো তেমনি হবে তাই না ছোটমা বলো ?
একদম সঠিক ব্রো।
নির্ণয় বলা কথার টোন টেনে উত্তর করে রিয়ান। মুখে খুশির ঝলক , পুরো হলরুমে যেন কোনো সিনেমা চলছে আর সকলে বসে মজা লুটছে। কাঁদো কাঁদো গলায় রত্না চৌধুরী বলেন
“বংশের বড় শয়তান যেদিকে যায় , বাকি গুলো একি পথে হাটে তা যেন নিজের চোখে দেখছি।
কি দেখছো আম্মু!
আমার পোড়া কপাল !

এমা তোমার কপাল কিভাবে পুড়েছে মেডিসিন লাগিয়েছো। আল্লাহ ডাক্তার , অ্যাম্বুলেন্স, হসপিটাল। কে কোথায় আছো জলদি উড়ে এসে আমার মাকে আইসিইউতে ভর্তি করে, স্যাভলন দিয়ে ব্রেন্ড পরিষ্কার করে আনো।
ধুর !
রিয়ানের বলা প্রতিটি কথা যেন সুচের মতো বিধছে রত্না চৌধুরীর শরীরে তিনি আর তর্কে না পেরে দ্রুত পায়ে গট গট করে সিঁড়ি বেয়ে উপড়ে চলে যান।
রত্না চৌধুরী স্থান ত্যাগ করতেই নিঃশ্বাস চেপে রাখা পুরো ঘরে হাসির রোল পড়ে যায়। একেক জন প্রায় হাসতে হাসে উল্টে পড়ছে
কেউ সোফায় গড়াগড়ি খাচ্ছে, কেউ পেছন ফিরে মুখ চাপা দিয়ে হাসছে, আবার কেউ রীতিমতো চেয়ার ছেড়ে নিচে পড়ে গেছে।
সকলে হাসিতে রিয়ান কিছুটা নাটকীয় ভঙ্গিতে বলতে থাকে,
যাহ বাবা “কি করলাম এমন? আমি তো শুধু মায়ের জন্য আইসিইউ রেডি করতে বলছিলাম আর কি ?
হঠাৎ কানে টান অনুভব করাতে ব্যথায় ককিয়ে উঠে রিয়ান। উল্টো ঘুরে হাতে মালিক কে খুঁজতেই নজরে আসে নাজমা চৌধুরী।

আহ ! বড় মা লাগছে কিন্তু , আমি এখন বড় হয়েছি ইয়ে মানে আমার একটা মান সোলেমান আছে আর কি ?
তোর আবার মান সম্মান , খুব ফাজিল হয়েছিস? মার পিছনে এভাবে কে লাগে শুনি ?
আহা বড় ব‌উ আমার দাদুভাইয়ে ব্যাথা লাগছে তো। ছাড়ো তো বাচ্চা ছেলে। এই বয়সে মজা না করলে কবে করবে শুনি ?
র‌ওশনা চৌধুরী আদুরে কথায় রিয়ান কান ছেড়ে পাশে দাড়ায় নাজমা চৌধুরী। কানে ছাড়া পেতেই নিজের হাত বুলাতে লাগে রিয়ান ।
এই না হলো আমার ডার্লিং , লাভ ইউ সুইটহার্ট উম্মা !

দূরে গিয়া মর যাহ ! খালি আমার ব‌উয়ের উপর নজর , চলো তো গিন্নি আমরা বরং ঘরে গিয়ে বসি ।
রিয়ানে করা কর্মকান্ডে যেন জেলাস রায়হান চৌধুরী। অতি দ্রুত ব‌উয়ের হাত ধরে হাটা ধরেন নিজের ঘরের দিকে। নজমা চৌধুরী আর দাঁড়িয়ে না থেকে সিঁড়ি বেয়ে চলে যান নিজের ঘরে।
আহ ! এতো ক্ষণে একটু শান্তির দেখা পেলাম !
সকলে বিদায় হতেই সোফায় গা এলিয়ে হাফ ছাড়ে রোজা। যেন এতোক্ষণ , কেউ জোর করে মুখে টেপ প্যাঁচিয়ে দিয়েছিলো মাত্র‌ই মুখ খুলা পেয়েছে। শান্তিতে একটু কার্টুন দেখবে ভেবেই যেই না টিভির রিমোর্ট হাতে নিবে ঠিক তখনি এক শান্ত এক কন্ঠ থমকে যায় সে।
‘কেউ যদি একটু কফি খাওয়াতো তাহলে হয়তো আমার শরীরের শক্তি পেতাম , আপাতত আমি ভীষণ দুর্বল।
পুরো ঘর যেন থমকে গিয়েছে সকলে গোলগোল আলুর মতো চোখ করে তাকিয়ে রয়েছে নির্ণয়ের দিকে তারা ভাবছে আসলে কি শুনেছে তারা । রোজা নিজেও যেন কোথায় হাড়িয়েছে হাতে মুষ্টিবদ্ধ রিমোট থমাকানো তবে দৃষ্টি নির্ণয় চোখে।

What ?
I know আমি Handsome তাই বলে সবাই চোখ দিয়ে গিলে খাবি বলে যুক্তি করেছিস ।
মাত্র‌ই পানিতে এক চুমুক দিয়েছিলো রিয়ান নির্ণয়ের বলা কথায় যেন পানি তার নাকে মুখে উঠে যায় বেচারা কাশতে থাকে। ধ্যান ভাঙ্গে সকলের , রিধিমা এগিয়ে গিয়ে মাথায় ফু দিতে থাকে রিয়ানের।
রোজ ?
নির্ণয়ের ডাকে রিয়ানের থেকে চোখ সরিয়ে আবারো নির্ণয়ের দিকে তাকায় রোজা। চোখ দুটে কুচকে ফোস করে এক নিঃশ্বাস ছেড়ে উত্তর করে
কী?
অনলি ৫ মিনিট সময় ছুটে গিয়ে দৌড়ে কফি বানিয়ে আনবি?
আমি পারবো নাহ !

3
2
1
Your time start now!
এ্যাঁ পারবো না বলছি তো ,
ব্লাক কফি উইথ আউট সুগার।
ও ভাইজান !
রোজার ডাকে চোরের মতো এদিক ওদিক তাকাতে থাকে রিয়ান যেন সে এই দুনিয়াতেই নেই কি হচ্ছে কেন হচ্ছে কিছুই কানে আসে তার। এদিকে রোজা কাঁদো কাঁদো ফেস দেখে মায়া হয় রিধিমার এগিয়ে এসে বলে ,
বলছি কি ভাই রোজ থা‌ক আমি বর…
বাকি কথা বলার আগেই চোখা পাকায় নির্ণয়। মাঝপথেই থেমে যায় রিধিমা। রোজা অসহায় ফেস বানিয়ে উঠে দাড়ায় পা এক ঝাড়া মেয়ে হেটে যায় কিচেনে
বেশ কিছু সময় পর কফি হাতে আবারো হলরুম ফিরে আসে রোজা। সকলে যেন তার অপেক্ষায় ছিলো। একটু একটু স্লো মোশনে হেটে হেটে নির্ণয়ে কাছে এসে দাঁড়ায় সে। হাতে থাকা ব্লাক কালার কফির কাপ এগিয়ে ধরে নির্ণয়ের সামনে।

নিন ধরুন !
তা কয় ফোটা বিষ মিশিয়ে এনেছিস আমাকে মেরে আমার সব সম্পত্তির মালিক হতে!
ভরকে যায় রোজা। আসলে সে কোথায় রয়েছে এটা দেখতেই এদিক ওদিক তাকিয়ে নিজের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে নেয়। না সে তো তার বাসায় আছে তবে এইটা কি শুনলো ,ঠিক শুনেছি কি নিশ্চিত হতে নির্ণয় দিকে তাকিয়ে থাকে
বল কয় ফোটা দিয়েছিস আমাকে মারতে।
বিষ না হারপিক দিয়েছি ৩ফোটা মরবেন না একটু পেট জ্বলবে এই আর কি এখন খাবেন নাকি ফেলে দিবো।
-আগে একটু খেয়ে দে ?
কিহ!

-আরে কফি আগে তুই একটু খা তোকে বিন্দু পরিমাণ বিশ্বাস নেই কি দিতে কি দিয়ছিস ।
রাগে দুঃখে রোজার এখন চোখে থু থু দিয়ে কাদতে ইচ্ছে করছে দাঁত কিরমির কারতে করতে চুমুক দেয় কফিতে। তবে মুখে নিতেই চোখ দুটো অটোমেটিক বড় হয়ে যায়। কোনো মতে ঢোক গিলে চেঁচিয়ে উঠে সে
-ইয়ো তিতা!
ছো মেরে রোজার হাতে কফি কেড়ে নেয় নির্ণয় যেন বেশি দেড়ি হলে তার ভাগ্যে এই কফি জুটবার নয়। এক চুমুকে শেষ করে পুরো কফি। সকলেই যেন হা করে তাকিয়ে আছে নির্ণয়ে কর্মকাণ্ডে
-ভাই আস্তে খা, গলা আটকে মরবি তো!
আয়ানের কথার ততক্ষণাত কোনো উত্তর করে না নির্ণয়। পুরো কফি শেষ করে বলে উঠে
-অমৃত ! এতো মজার কফি আমি জিবনেও খাই নি।
-আমি ধন্য হলাম আপনার প্রশংসায় মহারাজা এবার অনুমতি দিলে আমি আসি !
এত যাই যাই করছিস কেন ? ঘরে নিশ্চয়ই কেউ বসে নেই তোর জন্য ।
বিরক্ত হলেও এগিয়ে যায় রোজা। মুখ পুরোটাই ঝুলিয়ে দিয়েছে সে।
জ্বি বলুন ?

একটু ঘাড় মেসার্স করে দে তো ভীষণ ব্যাথা।
এ্যাঁ খেতে দিলে শুতে চায়!
রাগে কটমট করছে রোজা। এক রাশ বিরক্তি যে তার সর্বশরীল দখলে নিয়েছে। ‌নাক দিয়ে ফোঁস ফোঁস করে নিঃশ্বাস ছাড়ছে সে।
আমি আবার শুয়ে খেতেই ভীষণ ইনজয় করি
তুই বললে আমি ঠিক অন্য ভাবেও খেতে পারি।
New পজিশন , New style !
To much নির্লজ্জ ।
বাকা হাসে নির্ণয় , ঠোট গলিয়ে পড়া অসম্ভব সুন্দর সেই হাসি যেন আজ আর আড়াল হয় না রোজার চোখের। মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রয় সে পুরো ঘর স্তব্ধ। মূহুর্তে শিরশির এক হাওয়া বয়ে যায় পুরো ঘর জুড়ে শীতল করে একটি অশান্ত মন।
দে না রোজ দেখ ,দেখ ভীষণ ব্যাথা করছে?

—আ মলো যা ঢং দেখলে আর বাঁচি না । আমি ফ্রি তে কোনো কাজ করি না নির্ণয় ভাই !
হাহ জানতাম ! স্বার্থপর
‘ সে তুমি যাই বলো কাজ করে নিতে হলে পারিশ্রমিক আমা চাই!
—তা বলুন কি চাই !
আউটিং
দুটো কন্ঠ যেন একসাথে খুশিতে গদগদ হয়ে চেঁচিয়ে উঠে থতমত খায় নির্ণয়। তৃধা মুখে হাত চেপে ধরে। নির্ণয় একবার তৃধা আরেক বার রোজার দিকে তাকাচ্ছে
আর কি?
—হাজির বিরিয়ানি খাওয়াবেন শুধু এতটুকুই !
ব্যাস এতটুকু ! হাহ আমাকে কে কি তোর ফকিন্নি মনে হয়।
তুই চাইলে স্ট্রোবেরি ,চকলেট ও নিতে পারিস ।
I know you like strawberry .
ইসস কি রোমান্টিক!

তৃধার কোথায় মনোযোগ ক্ষুণ হয় সকলের ।এতোক্ষণে পুরো নাটক গুলো যেন মনোযোগ দিয়ে দেখছে তারা । নীর কুঞ্জে আসার পর দূরে কোথাও তেমন ভাবে বেড়োনো হয়নি তাদের , যাক এবার প্লান সাকসেস।
আজ কেউ রাজি হলো না বলে ,
নয়তো স্ট্রোবেরি চকলেট কেনার
টাকা আমারো কম ছিলো না।
আহা লে ,ওলে লে, ওরে গুদু গুদু বাচ্চু লে।
খষ্টে আমার চুইচাইড করতে মনে ধরছে।
তো করে গে যাহ ! আমারো ও একটা চল্লিশা খাই। বিশ্বাস কর তোর চল্লিশায় পেট পুড়ে খাবো । মজো কিনার টাকা না হয় আমি দিবো।
ড্রেনে পচা পানি খা তেলাপোকা
আহহহহ তেলাপোকা !

তৃধার মুখে তেলাপোকা শুনেই চেঁচিয়ে ওঠে রোজা মূহুর্তে পুরো ঘর কাঁপিয়ে দেয় তার‌ গলার আওয়াজ রিয়ান দুহাতে চেপে ধরে‌ নিজের কান , সকলে অবাক কিহ বুঝতে চাইছে সকলে
—আহ ! তেলাপোকা দেখে ভয় পাওয়া আমার বিষাক্ত নাগিন।
আস্তে চিল্লাও সোনা। এখানে রোমান্স নয় গল্প চলছে তোমার আওয়াজ তো বদ্ধ ঘরেই মানায়।
নির্ণয় ভাই !
হো হো করে মূহুর্তেই হেসে উঠে সকলে ,রোজা যেন বেশ লজ্জা পেয়ে যায় কারো সাথে কোনো কথা না বলেই বড় বড় পা ফেলে রুমের দিকে পা বাড়ায় সে।

“ভোরের সকালটা যেন আজ ভীষণ অন্যরকম।সূর্যটা ধীরে ধীরে যেন নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। আকাশের কোণে ছড়িয়ে পড়ছে সোনালি আভা, পাখিরা একটানা ডাকছে, আর চারপাশটা যেন নিঃশব্দ এক আশীর্বাদের মতো লাগছে। প্রকৃতি আজ যেন নতুন করে শ্বাস নিচ্ছে।”
সকাল সকাল যেন রোজার ঘরের উপর বয়ে গিয়ে বেশ বড়সড় এক ঝড়। কাবাট থেকে একটা একটা ড্রেস মাটিতে ছুড়ে বিছিয়ে সেগুলোর উপর বসে কালার মেচিং করতে বসেছে রোজা। তবে এতো কাপড়ের মাঝেও পছন্দ স‌ই কিছুই যেন খুঁজে পাচ্ছে না সে। একটা একটা করে গায়ে জড়িয়ে আবারো ছুড়ে মারছে এদিক সেদিক।
মাত্রই ঘুমে আড়মোড়া ভেঙে ঘর থেকে বেরিয়েছিল রিয়ান। চোখেমুখে এখনো ঘুমের ছাপ, শরীরে ক্লান্তির ঢেউ। কিন্তু রোজার ঘরের সামনে এসে হঠাৎ পা থেমে যায় তার।
ভেতর থেকে আসছে অসংলগ্ন কিছু আওয়াজ একটু কান পাততেই বোঝা যায়, রোজা একা একা কিছু বলছে। না, বলছে না

যাহ বাবা পাগল টাগল হলো নাকি ।
নিজে নিজে বকবক করে দরজার পর্দা সরিয়ে রুমের ভিতর কিছুটা উঁকি দেয় রিয়ান তবে ঘরের অবস্থা দেখে তার মাথায় হাত। আশেপাশে না তাকিয়ে ঘরে ডুকেই রোজার মাথায় এক টোকা দেয় সে ।
‘ সকল সকল কোন ভুতে আচর করেছে তোকে ?
মাথায় ব্যথা অনুভব হতে উল্টো ঘুরে যায় সে পেছেনে রিয়ান রোজার বিছানায় বসতে বসতে আবারো জিজ্ঞেস করে
কি হয়েছে ,কি সমস্যা একবার শুধু বল , তুরি সব সমাধান করে দিবো।
এ্যাহ আসছে , আমি পারছি না তুই পারবি ঢং।
‘বলেই দেখ ,

লাগবেনা সর তো ।
ওকেই ভালো ভেবে সাহায্য করেতে চেয়েছি না নিলে নাই আমি যাই গা !
কথা শেষ করে রিয়ান উঠে দাঁড়িয়ে দরজার দিকে হাঁটা। রোজা তখনো বসা । কিছুটা এগিয়ে যায় রিয়ান তবে পেছন থেকে আসা মৃদু কন্ঠে থেমে যায় সে ,
ও ভাইজান !
উল্টো ঘুরে আবারও রোজার দিকে তাকায় সে ঠোটে বাকা হাসি। কন্ঠে নাটকীয়তা এনে বলে ,
কান খোলা আছে , বলতে থাক আমি শুনছি
বলছিলাম কি , চুলায় মাংস কষিয়ে পানি দিয়ে ২০মিনিট রান্না করে যেই কালার আসে ওই কালারের চুরিদার এর সাথে কি কালার ওড়না ভালো লাগবে বলো‌ তো !
থতমত খায় রিয়ান এ আবার কেমন প্রশ্ন বেশ কিছু সময় ভাবতে থাকে সে। হঠাৎ টিউবলাইট জ্বলে ওঠে তার মাথায়… হাতে চুটকি বাজিয়ে বলে ,

প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ৩১ (২)

মাংস দিয়ে ভাত খেয়ে, হাগু করার পর যেই কালার আসে ওই কালারের ওড়না একদম পার্ফেক্ট
বাহ বাহ কেয়া বাত এতো সুন্দর , কালার সেন্স তোমাকে জুতার নোবেল দেওয়া উচিত ভাইজান।

প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ৩২