প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ৭ (২)

প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ৭ (২)
Zannat Xhowdury

এই সা* ন্ডা*র নাতি-নাতনিরা তোদের কি আমি মারামারি করতে আসতে বলছি । আর বাকি বলদ দুইটা ক‌ই ?
দেখ না ভাই , ওই আখাইতার বাচ্চা , ভোটকির বাচ্চা , বালফালার নাতনি , আমারে কামরাইয়া আমার গোশতো তুলছে ভাই ।
এই মুখ সামলে কথা বল , এইবার তো কামড় দিয়েছি , বেশি কথা বললে বংশের বাতি ফুটো করে দিব ।
ওদের করো কথা নীড়ের কানে ঢুকলো কি ঢুকে নাই কে জানে , নীড় তো রোজাকে দেখতে ব্যাস্ত .
আমার বিড়াল আমারেই কয় ম্যাঁও , দিস ইজ নোট ফেয়ার রোজ পাখি . তোরে রাগে থাকতে দেখলে যে আমার বাসর বাসর পায় , দাদার পোলায় কি জিনিস বানাইছে রে পুরা শরীর ভরা কারেন্ট।

এ্যানসি,
তৃধার ডাকে হুঁশ ফিরলো নীড়ের , ভ্রু জোড়া কুঁচকে তৃধার দিকে তাকালো ।
কি সমস্যা বল ।
এদিকে এক ধ্যানে নিজের ভাইকে দেখছে রিধিমা । আজ কতগুলো বছর পর ভাইকে চোখের দেখা দেখছে সে । তার একমাত্র ভাই , চৌধুরী বংশের বড় ছেলে । নীড় কখনোই রিধিমা কে সৎ ভাবে নাই , নিজের বোন ভেবে এসেছে রিধিমা ও তাই ।হোক না মা আলাদা তাতে কি তাদের রক্ত তো এক ।
রোজ ওখানে কি করছিস , এখানে আয়
রোজা রুমে যাওয়ার জন্য পা বাড়াচ্ছিলো ,রিয়ালের কথা থেমে গেলো

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

রিয়ানে কথায় সবার নজর গেলো সিঁড়ির উপর দাঁড়িয়ে থাকা রোজার দিকে । ব্লাক টি-শার্ট , সাথে প্লাজু পড়া । কোমড় ছাড়িয়ে পড়া চুল গুলো দুভাগে হ্যালো কিটটি ব্যান্ড দিয়ে খুব যত্নে বেধে রাখা , টানা টানা হরিণি চোখ জোড়ায় , হালকা কাজলের প্রলেপ প্রকাশ পাচ্ছে । সব দিয়ে দেখতে যেন , ছোট খাটো একটা পুতুলের মতো।
রোজা কে দেখে অপলক তাকিয়ে আছে সকলেই শুধু মাত্র একজন ছাড়া সে হলো নির্ণয় চৌধুরী ।
সকলের নীরবতা ভেঙে তৃধা দৌড়ে গিয়ে সিঁড়ি থেকে রোজাকে টেনে হল রুমে নিয়ে আসলে
এই কিউট বার্বি ডল টা কে রে এ্যানসি ,
কথাটা বলে যেই না রোজার গাল ধরতে তখনি এক গম্ভীর গলার স্বরে হাত থেমে গেলো তৃধা ।
ডোন্ট টাচ হার ” সি ইজ অনলি মাই প্রপার্টি ” কথা বলে ছোঁ মেরে রোজাকে তৃধার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে আনলো নীড়।

এক মূহুর্তের জন্য পুরো রুমে নিরবতা বিরাজ করছে । রোজা যেন তার কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না । কি বললো তার নির্ণয় ভাই , রোজা তার নিজের । পরক্ষণেই মনে পড়লো সে ভয়ংকর রূপের কথা , তাহলে তখন ওই ব্যাবহার করার মানে কি ,শালার বেটা আমারে রাগ ও দেখাবে আবার নিজের বলেও দাবি করবে । কি পেয়েছি কি হুঁ । মূহুর্তেই নিজের মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি গুলো সজাগ হলো তার , নির্ণয়কে ভেংচি কেটে সোজা গিয়ে জড়িয়ে ধরলো তৃধাকে ।
আরে আপু আমি রোজা চৌধুরী , রিয়ান ভাইয়ে বোন । তারপর তৃধাকে ছেড়ে , রিধিমাকে ইশারা করে দেখালো আর ও হলো , রিধিমা নির্ণয় ভাইয়ার বোন আমাদের কাজিন ।
ওওও হাউ সুইট , রিয়ানের মতো উগান্ডার যে তোমার মতো একটা কিউট বোন আছে জানতাম না তো । কিরে এ্যানসি তুই ও তো কখনো বলিস নাই তোর দুটো বোন আছে।
একে তো তৃধাকে জড়িয়ে ধরাতে রাগে চোখ লাল হয়ে আছে নির্ণয়ের ।তার মধ্যে বোন কথাটা কর্ণপাত হতেই যেন রাগ সপ্তম আকাশে ছুঁয়ে গেছে । চোখ বন্ধ করে বৃধা নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে ।
এরিমধ্যে দরজা দিয়ে ঢুকলো অপূর্ব আর আয়ান। ।

আমাদের ছাড়া কি নিয়ে গল্প হচ্ছে এখানে কথাগুলো বলতে বলতে‌ই নীড়ের পাশে এসো বসলো তারা ।
আয়ান কে দেখে রিধিমা খানিকটা লজ্জা পেলেও চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো।
আয়ান রোজাকে দেখে খুশি হয়ে গেলো , হেই কিউটি পাই কেমন আ…….. কথাটা শেষ করার আগেই নীড়ে চোখে চোখ পড়লো তার । নীড় যেন চোখ দিয়েই তাকে ভস্ম করে দিবে তা দেখে কাশি উঠে গেলো তার । রিধিমা দৌড়ে পানি এনে দিলো আয়ানের হাতে । আয়ান ঢকঢক করে পানিটা শেষ করে রিধিমার হাতে গ্লাস দিলো । রিধিমা গ্লাস নিয়ে সকল কে উদ্দেশ্য বললো । তোমারা কি কফি খাবে , সকলে মাথা নড়ালো , তবে নীড় কিছু বললো না । রিধিমা এবার নীড়ের সামনে এসে বললো ভাই তুমি কি কফি খাবে ।নীড় মাথা না তুলেই বললো ব্লাক কফি ।
রিধিমা চলে যেতেই রিয়ান আর তৃধাও গিয়ে বসলো নীড়ের সামনে ।

রিধিমা কিচেনে গিয়ে কফি বানাতে শুরু করলো আর রোজা পাশে বসে মনে সুখে ফল কেটে খাচ্ছে ।নীড় একবার আড়চোখে সেদিকে তাকিয়ে সমানে থাকা সকলের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিলো
তোদের যেই কাজ দিয়ে ছিলাম হয়েছে সে কাজ ?
সকলের দৃষ্টি এখন নীড়ের দিকে, আয়ান বলতে শুরু করলো , ব্রো তৃধার দেওয়া লোকেশনে আমরা পৌঁছানোর আগেই। কেউ ওই মাদা**** খালাস করে দিয়েছে ।
ওই শুয়োরের পুরো ঘর সার্চ করেছি কিচ্ছু পাওয়া ‌ যায় নাই । নিশ্চয়ই আমাদের গার্ডদের মধ্যে কেউ বেইমানি করছে ভাই ।

অর্ণব ল্যাপটপে কাজ করছিলো এতক্ষন এবার , নীড়ের দিকে তাকিয়ে বললো ভাই তথ্যমন্ত্রীর ছেলে হোটেল “ড্রিম নাটে ‘ উঠেছে , । ওরে ধরতে পারলে ওর বাপেরে হাতে আনা যাবে । তৃধা ওর রুমের পাস‌ওয়ার্ড আমাদের হ্যাক করতে হবে। তাহলে …. অর্ণবকে থামিয়ে দিলো নীড়
আজকের মিশনের জন্য তৈরি থা…..
কিচেন কান্না শব্দ কানে আসতেই কথা থেমে গেলো নীড়ের , রিয়ান দৌড়ে গেলো কিচেনে দিকে যা দেখলো
রোজা হাত থেকে অনাবৃত রক্ত পড়ছে , রিধিমা কোনো রকমের হাত চেপে আছে , তাও রক্ত পড়ছে।
ভাই জলদি এসো এখানে , রিয়ান রোজার হাত ধরে হলরুমে দিকে নিয়ে আসতে আসতে নীঢড় কে ডাকছে
রোজার হাতে রক্ত দেখে নীড় ছুটে এলো রোজার কাছে রিয়ানের কাছ থেকে রোজার হাত ছাড়িয়ে নিলো ।
রিয়ান জলদি এন্টিসেপ্টিক নিয়ে আয় ,

নীড়ে কথা রিয়ানে কানে যেতেই ছুট লাগালো দোতলা ঘরের দিকে।
এতক্ষনে আয়ান , অর্ণব আর তৃধাও চলে এসেছে রোজার কাছে ।
এ্যানি ওকে নিয়ে টেবিলে বসা । কিভাবে হলো এসব রিধিমা । তৃধার কথায় রিধিমা একবার তৃধা আর একবারে নীড়ে দিকে তাকিয়ে। তারপর কান্না জমা কন্ঠে বলতে লাগলো আমি তো কককফি বানাচ্ছিলাম আমি খেয়াল করিনি ও কিভাবে কেটেছে ,বলেই কান্না শুরু করলো সে ,

প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ৭

Stop crying , নীড়ে ধমকে চমকে উঠলো রিধিমা , রোজা সহ উপস্থিত সকলে ।
এত সাহস কোথায় পেলি তুই রোজ আমার উপড়ে জেদ করে হাত কাটিস , রোজা নিশ্চুপ । কি হলো বল
কত বড় কলিজা নিয়ে গুরিস তুই
আজকে তোর কলিজার ভুনা খিচুড়ি বানাবো আমি
কথা শেষ করেই টেনে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে নিয়ে যেতে লাগলো । উপস্থিত সকলে হতবাক কি হচ্ছে কেউ বুঝে উঠতে পারছে না । নীড় কারো দিকে না তাকিয়ে সোজা রুমে নিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো ।

প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ৮