প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ৮
Zannat Xhowdury
কি করছেন নির্ণয় ভাই হাত ছাড়ুন আমার হাতে অনেক ব্যাথা লাগছে । ছাড়ুন বলছি ।
রোজার কোনো কথা যেন নির্ণয়ের কানে পর্যন্ত পৌঁছায় না সে রোজা কে টেনে এনে একপ্রকার বিছানায় ছুড়ে মারে তারপর উল্টো ঘুরে বিশাল আয়না বিশিষ্ট ড্রেসিং টেবিলের এগিয়ে যায় । ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার থেকে একটা বক্স নিয়ে ফিরে আসে রোজার কাছে ।
তারপাশেই বাবু হয়ে বসে কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে রোজা কে ।
হাত টা এদিকে দে ?
লাগবে না নির্ণয় ভাই , আমার নিজের কাজ আমি নিজে করে নিতে পারি ।
তোর বালের পেচাল শুনতে চাইনি হাত চেয়েছি হাত দে ।
বলছি দিবোনা আমাকে যেতে দিন ।
যা কে আটকে রেখেছে তোকে । কথাটা বলেই বেডে হেলান দিয়ে রইলো নির্ণয় । রোজা একবার তার দিকে তাকিয়ে মুখ বাকালো তারপর উঠে যেতে নিলেই নির্ণয় তার হাত ধরে আবার বসিয়ে দিলো । এবার কোনো কথা না বলেই হাত নিয়ে এন্টিসেপ্টিক লাগাতে শুরু করলো ।
আপনি বড় নিষ্ঠুর পুরুষ নির্ণয় ভাই । আগে তো এমন ছিলেন না কেন এমন হলেন । মনে মনে কথা গুলো বললো রোজা তবে মুখে তার বলার সাহস হলো না চোখে কোন বেয়ে পানি এসেছে জমেছে তার গালে । নির্ণয় রোজার দিকে তাকিয়ে দেখলো তার চোখে পাখি ,অসহায় সুরে বললো
ব্যাথা করছে পাখি , একটু সহ্য কর এখনি হয়ে যাবে , কেন এমন করলি বলতো ।
উহু একটুও ব্যাথা করছে না , এই ব্যাথার থেকে হাজার গুণ ব্যাথা আপনার তখনকার করা ব্যবহারে পেয়েছি ।
নির্ণয় শুনলো রোজার কথা তবে কোনো উত্তর করলো না। হাতের ব্যান্ডেজটা লাগানো শেষে উঠে যেতে নিলেই হাত ধরে ফেলে রোজা ।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
নির্ণয় ভাই ,
নির্ণয় রোজার কাছ থেকে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বক্সটি যেখান থেকে এনেছিল সেখানে রেখে দেয়, পকেট থেকে ফোন বের করে কাউকে কল করে খাবার নিয়ে আসতে বললো । তারপর ফোন রেখে ওয়াস রুমের উদ্দেশ্যে পা বাড়ালো ।রোজা তার যাওয়ার পানে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল।
১০ মিনিটের মাথায় দরজায় কারো নক পড়তেই বিছানা ছেড়ে উঠে দরজার কাছে গেলো রোজা। এক হাতে দরজা খুলতেই দেখলো রিয়ান খাবার হাতে দাঁড়িয়ে আছে ।
কিরে বোনু ঠিক আছিস তুই ভাইয়া কি তোকে খুব ।
রোজা মাথা নাড়িয়ে না বুঝালো তবে কোনো উত্তর করলো না । রিয়ানে মন তাতেই শান্ত হলো ।
রিয়ান দরজা থেকে রুমে উঁকি দিয়ে নির্ণয় কে দেখছিলো তবে দেখা না পেয়ে ভেতরের উদ্দেশ্যে পা বাড়াতেই কেউ ছো মেরে হাত থেকে খাবার গুলো নিয়ে নিলো । রিয়ান রোজা দুজনেই হতবাক ।
এখন আসতে পারিস , তোর কাজ শেষ যা ভাগ ।
এটা কি হলো ভাই , কাজে সময় হাজি আর কাজ ফুরালেই পাজি । এইটা কিন্তু ঠিক হলো না
এখান কোনটা ঠিক কোন টা ভুল সেই জ্ঞান ও আমার তোর কাছে নিতে হবে । তবে রে শালা ,
ভুল বললে আমি তোমার শালা না সুমন্ধি হবো ।
তুই যাবি নাকি টাইগার কে ডাকবো ।
আরে বাবা যাচ্ছি তো ওরে আবার ডাকতে হবে কেন। কথাটা বলেই কটমট করতে করতে স্থান ত্যাগ করলো রিয়ান ।
নির্ণয় দরজা লাগিয়ে খাবার হাতে এসে বেডে বসলো ।
রোজার দিকে তাকাতেই দেখলো সে মুখ ফুলিয়ে দরজা কাছেই দাঁড়িয়ে আছে ।
২মিনিট টাইম দিচ্ছি কেউ যদি এর মধ্যে এসে আমার পাশে না বসে । পরবর্তীতে কি ” হবে আই হ্যাভ নো আইডিয়া ”
অনলি টু মিনিট’স । কথা শেষ করেই ঘড়ি দিকে তাকালো নির্ণয় । তবে এতেও যেন রোজা একটুও টললো না ।
কিরে কি হচ্ছে উপরে , এ্যানসি কি মেয়ে টাকে মারধর করবে নাকি । আর ও এমন বিহেভিয়ার কেন করছে বুঝতে পারছিনা । তৃধা চিন্তিত কন্ঠে কথাগুলো বললো ,
তৃধা ,আয়ান , অপূর্ব , রিধিমা সকলেই ডাইনিং টেবিলে বসে ছিলো সকলের চিন্তিত মুখ , তৃধার কথাগুলো কানে আসতেই সকলে তার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।
এভাবে তাকাচ্ছিস কেন আমার মুখে কি গু লেগে আছে নাকি রে হারারখোড়ের দল ।
রাগি স্বরে কথা গুলো বললো তৃধা ।
আপু চিন্তা করিও না রিয়ান উপরে গেছে আসলেই জানা যাবে । কথাগুলো বলেই সিঁড়ির দিকে একবার তাকালো রিধিমা ।দেখলো রিয়ান বিড়বিড় করে কিছু বলতে বলতে এদিকেই আসছে ।
রিয়ান কে আসতে দেখে টেবিল ছেড়ে উঠে এলো রিধিমা দৌড়ে রিয়ানে সামনে এসে দাড়ালো ।
ভাই কি ওকে মেরেছে রিয়ান । উপরে কি হচ্ছে কি দেখে এলি । রিধিমার কথা পাত্তা না দিয়ে টেবিলের গিয়ে বসে ফ্রুটস এর ঝড়ি থেকে একটা আপেল হাতে নিয়ে মনের সুখে খেতে লাগলো সে ।
রিয়ানের গা ছাড়া ভাবে খেপে গেলো তৃধা এতগুলো মানুষ চিন্তায় মরে যাচ্ছে ও কিনা আপেল চিবোচ্ছে ।
এই মাতারি , উপরে কি হচ্ছে তা না বলে তুই আপেল চিবাচ্ছিস, বাই**** । আপেল না খেয়ে গু খা শালা , আমরা চিন্তায় মরে যাচ্ছি আর তুই
তো মরে যা কে বেঁধে রেখেছে, আর শোন লজ্জা মেয়েদের ভুষণ বুঝলি তুই, তোর মধ্যে তো মেয়েদের কোন গুণ দেখি না তুই কি আদেও মেয়ে আমি কনফিউজড।
রিয়ানের গা ছাড়া ভাবে এবার অপূর্ব গিয়ে রিয়ানের হাতের আপেল নিয়ে নিলো ।
কিরে ভাই , বল না উপরে কি হচ্ছে । আমাদের টেনশন হচ্ছে বুঝিস না তুই।
রিয়ান চেয়ার থেকে উঠে এসে অপূর্ব কাঁধে হাত দিলো অপূর্ব বিরক্তে চোখ মুখ কুঁচকে নিলো ,
আরে রোজ ইজ ফাইন ওরে কিছুই করে নাই ভাই ।
আর করবেও না । যত্ন করে হাতে ঔষধ লাগিয়েছে দেখে এলাম ।
কথাটা শুনেই সবাই যেন হাফ ছেড়ে বাচলো ।
তোদের এ্যানসি রোজা কে নিয়ে একটু বেশি ডেসপারেট
কিনা ।
৪ ,৩,২,১ সময় শেষ কথাটা বলতে বলতে এগিয়ে এসে ছোট করে রোজা কে কাধে করে বিছানায় আনে বসিয়ে দিলো নির্ণয় । কি হলো ব্যাপার টা মস্তিষ্কে প্রোসেস হতেই , চেঁচিয়ে উঠলো রোজা ।
এই অসভ্য লো…. কথা শেষ করার আগে এক লোকমা ভাত পুরে দিলো রোজার মুখে রোজা মুখ কুঁচকে নিলো ।
তারাতাড়ি শেষ করে মুখের টা , তোর পিছনে পড়ে থাকার মতো সময় নেই আমার ।
রোজা তাড়াতাড়ি মুখের ভাত গুলো গিলে ফেললো
কে বলেছে আপনাকে সম….. আবারো এক লোকমা ভাত পুরে দিলো মুখে রোজা রাগে বিরক্তিতে , চোখ বন্ধ করে নিলো । না এইভাবে হচ্ছে না এই লোক তো ভারি চালাক ক্ষণিকেই দুষ্টু বুদ্ধি নাড়া দিলো রোজার মাথায় ,
ভদ্র মেয়ের মতো ভাত খেতে লাগলো রোজা তবে খাওয়ার মাঝে নির্ণয়ের হাতে কামড় দিতে ভুল করলো না ।
মূহুর্তেই
তার মুখে ফুটে উঠলো জয়ের হাসি । কিন্তু একি এই লোক কিছু বলছে না কেন তাকে?
তোর খরগোশের মতো দাঁতের কামড়ে আমার কিছুই হবে না। তাই নিজের শক্তি নষ্ট না করে চুপচাপ খা । শক্তি জমিয়ে রাখ কাজে লাগবে।
ওরে হনুমানের বাচ্চা লাগবে কী করে , তোর ওইটা শরীর নাকী খাম্বা তাই ভাবি আমি ।
আমার জীম করে বানানো বডি কে তুই খাম্বা বানিয়ে দিলি , সিরিয়াসলি রোজ ।
দিনশেষে এই খাম্বার তলে তো থাকতেই হবে ।
মানে ,
তোর মতো মোটা মাথায় এইসব ঢুকবেনা । তাই চুপাচাপ খা।
রোজা আর কথা বললো না । খাওয়ায় মনোযোগ দিলো ,
বড় বড় লোকমা করে পুরো এক প্লেট ভাত খাইয়ে দিয়ে প্লেট নিয়ে পাশের টি টেবিলে রেখে এলো নীড় ।
হাতে এক পাতা ব্যাথার ট্যাবলেট , তার মধ্যে ট্যাবলেট খুলে হাতে নিয়ে এক গ্লাস পানি হাতে রোজা দিকে এগিয়ে আসতেই রোজা উঠে বেডের এক কোনে দাঁড়িয়ে পড়লো ।
নির্ণয় ভ্রু কুঁচকে তাকালো রোজার দিকে ।
” হোয়াইট হ্যাপেন রোজ ” ওখানে কি করছিস তুই নিচে নেমে আয় বলছি ।
আপনি কি আমার উপর খুব রেগে আছেন নির্ণয় ভাই । হাতে কামড় দেয়ে ছি বলে কি অনেক ব্যাথা পেয়েছেন । আচ্ছা আমি খুব সরি । তবুও আমাকে ওতো বড় ঔষধ খেতে বলবেন না নির্ণয় ভাই ।
ওই ঔষধ আমার গলা দিয়ে নামবে না ।
কোথায় ওতো বড়ো ঔষধ এইটুকু নি তো চোখ বন্ধ করে গিলে ফেল দেখবি গলায় আটকাবে না ।
না আআআ আমি খাবো না সরান ওটাকে আপনি ।
এই মেয়ে এই, এতো বড় মেয়ে হয়ে এই ফাকিং ঔষধ ভয় পাচ্ছিস । নিচে আয় এখনি নাহলে আমি উপড়ে আসলে কিন্তু তোকে শাস্তি পেতে হবে রোজ ।
রোজা মনে হলো নির্ণয়ের কথা একদম শুনতেই পায়নি এমন ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো ।
রোজ নিচে নেমে আয় বলছি । নিচে নামলে চকলেট দিবো , ঔষধ খাওয়াবো না আয় ।
সত্যি বলছেন তো নির্ণয় ভাই , চকলেট দিবেন তো ।
হ্যাঁ দিবো আয় । চকলেটর কথা শুনেই
বিছানা থেকে নিচে নেমে এলো রোজা । নীড় পকেট থেকে একটা চকলেট বেড় করে রোজার হাতে ধরিয়ে দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলো । রোজা মনের সুখে চকলেট খেতে লাগলো ।
কিছুক্ষণের মধ্যেই রুমে ফিরে এলো নির্ণয় । এসে দেখে রোজা চকলেট দিয়ে পুরো মুখ মাখিয়ে ফেলছে । তা দেখে মুচকি হাসলো সে ।
একাই খাবি আমাকে দিবি না
আপনি চকলেট খাবেন নির্ণয় ভাই ।
দিবি আমাকে । রোজার নিজে খাওয়া চকলেট থেকে একটু ভেঙ্গে নির্ণয়ের দিকে এগিয়ে দিলো । নির্ণয় রোজার হাত থেকে চকলেটা মুখে পুরে নিলো ।
চকলেট খাওয়ার শেষ হতেই রোজার হাতে এক গ্লাস পানি ধরিয়ে দিলো নির্ণয় ।
পুরো পানিটা শেষ করবি, একটুও যেন অবশিষ্ট না থাকে । রোজা কোন কথা না বাড়িয়ে পানি খেয়ে নিলো । নির্ণয় রোজার মুখ মুছে দিয়ে ওকে রেস্ট নিতে বললো ।
আমি কি ঘরে যাবো নির্ণয় ভাই ।
একদম মাটিতে পা রাখবিনা বলে রাখলাম ।
আমি তো ঘরে যেতে চেয়েছি ।
কি আনতে হবে আমাকে বল ।
রোজা মুখ বাঁকিয়ে উল্টো ঘুরে শুয়ে পড়লো খুব ঘুম ঘুম পাচ্ছে তার । রোজাকে শুতে দেখে নির্ণয় ওয়াস রুমের উদ্দেশ্যে পা বাড়ালো । মাথাটা ভীষণ ধরেছে তার শাওয়ার নিতে হবে ।প্রায় আধাঘণ্টা লম্বা শাওয়ার নিয়ে বেড়িয়ে এলো নির্ণয়, উন্মুক্ত শরীর , কোমরে জোড়ানো ব্লাক রঙের একটা টাওয়াল । চুলে পানি গুলো ঝাড়তে ঝাড়তে বেড়িয়ে এলো সে । সামনের দিকে চোখ পড়তেই দেখলো তার প্রয়সী গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন । ঘুমোবেই না কেন একটু আগে সেই তো পানির সাথে স্লিপিং ড্রাগ মিশিয়ে দিয়েছে । ঘুমের মধ্যে বাচ্চা দের মতো ঠোঁট উলটে রেখেছে রোজা । কে বলবে এই মেয়ে কোন ছেলের মন চুরি করছে ।
কাবাড থেকে একট ব্লাক টিশার্ট আর ট্রাউজার বের করে পরে নিলো নির্ণয় । নিজের চুলগুলো কে আরো একবার ঝেড়ে এগিয়ে এলো তার ঘুমন্ত রাজকুমারীর দিকে ।” রাজকুমারী” হ্যাঁ রাজকুমারীই তো , তার রাজকুমারী । এই বাচ্চাটা মেয়েটি তো তার মন কেড়েছে আজ নয় বহু বছর আগেই । সে কথা কি এই মেয়ে জানে ,
ঘোড় লাগা চোখে রোজাকে দেখছে সে ।
সি ইজ মাইন , ইয়েস সি ইজ অনলি মাইন.. বলেই রোজের কপালে ভালোবাসার পরশ একে দিলো নির্ণয় তারপর সেও পাশে শুয়ে পড়লো। রোজাকে ঘুরিয়ে নিজের বুকে নিলো ।এখন শান্তি লাগছে তার ভীষণ শান্তি ।
শরীরে ঠান্ডা হাতে ছোয়া পেয়ে ঘুমের মধূ বার বার কেঁপে উঠছে মেয়েটা ।
রাত প্রায় সাড়ে ১২টার কাছাকাছি ভাইব্রেট মডে থাকা ফোন টা বাড়বার কেপে উঠছে । ঘুম চোখে ফোনটা হাতে তুলে নিলো নীড় । অর্ণবের ফোন ।
হ্যালো ,
………….
অপর পাশে কি বললো ঠিক শুনা গেলো না ।
আসছি বলেই ফোন কেটে শোয়া থেকে উঠে পরলো নির্ণয় । পাশেই তার ঘুমন্ত পরী । সে মনে ভরে তাকে দেখে বিছানা ছেড়ে উঠে পড়লো । আজকে মিশনে তাকে যেতেই
কালো পোশাকে জড়িয়ে নিলো নিজেকে । হাতে Rolex এর কালো বেল্টের ঘড়ি জড়িয়ে টাইম সেট করে নিলো । নিজের পছন্দে চন্দনকাঠের পারফিউম টা দিয়ে নিলো ।
চুল গুলো হাত দিয়ে ব্রাশ করে আয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে হাসলো সে। হাসির মাঝেই তার মুখে হিংস্রতা প্রকাশ পাচ্ছে। নীল মনির চোখ জোড়ার সাদা অংশটুকু ইতিমধ্যে লাল রং ধারণ করেছে ।
Matrix club in Berlin …
“ম্যাট্রিক্স ” ক্লাব বার্লিনের সবচেয়ে সেরা ক্লাবের মধ্যে এটি একটি । রাত প্রায় ১টা কাছাকাছি লাউড স্পিকারের গানে তালে নেচে চলেছে বেশ কিছু মেয়ে ছেলে হাতে কারো কারো ওয়াইনের গ্লাস । কেউ কেউ নারী সঙ্গে মশগুল
সেখানেই খানিকটা দূরে একপাশে বসে একের পর এক ওয়াইনের গ্লাস খালি করে চলছে এক যুবক । গায়ের গড়ন বেশ দেখতে , বড়লোক বাপের বোখে যাওয়া ছেলে । হয়তো প্রতিদিন জীম করে বডি টাকে এতো আকর্ষণীয় বানিয়েছে।
প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ৭ (২)
এক পা দু পা করে তা দিকে এগিয়ে আসছে এক অতিব সুন্দরী তরুণী , পড়েন ওয়েস্টার্ন শরীরের বেশ কিছু জায়গা উন্মুক্ত , দেখতে বেশ লাস্যময়ী , মেয়েটি এগিয়ে এসে বসলো ছেলেটির পাশে হাতে এক ওয়াইনের বোতল তুলে নিলো তার তা ছেলেটির গ্লাসে ঢালতে লাগতো।
Hey handsome ,You wanna stay one night with me . চৌকিতে থাকলো ছেলেটি , চোখে মুখে হাসি ফুটে উঠল তার
Yes baby why not বলেই মেয়েটর কাঁধে হাত রাখলো
Let’s go baby . বলেই উঠে দাঁড়িয়ে সে , নেশায় পুরো মত্ত হয়ে আছে ,