প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ৯

প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ৯
Zannat Xhowdury

কালো রঙের মার্সিডিজের বেক সিটে মাথা এলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে রয়েছে নির্ণয় । সামনেই দুই বাদর একে অপরের সাথে তর্ক করছে। তাদের দেখে বোঝার জোড় নাই তারা কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে এসেছে । তর্কের এক পর্যায়ে রিয়ান চোখ গেল তৃধা কাধে করে তাদের শিকার নিয়ে আসছে ।
এ্যানসি তৃধা ইজ কামিং।
রিয়ানের কথায় আয়ান ও নড়ে চড়ে ড্রাইভিং সিটে বসলো ।
তৃধা ছেলেটিকে নিয়ে , এসে পিছনের বেক সিটে বসিয়ে নিজেও বসে পড়লো । আয়ান সাথে সাথে গাড়ির স্টার্ট দিলো ।

ফজরের আজান পড়তেই ঘুম হালকা হয়ে এসেছে রোজার , তবুও কম্ফোটার গায়ে জরিয়ে আছে, কি মিষ্টি একটি সুবাস , এইটাই তো সে চন্দন কাঠের সুবাস যার গন্ধ আসে নির্ণয় চৌধুরী গায়ে থেকে তার বেড থেকেও একি সুবাস । কেমন যেন নেশা ধরানো সুবাস একটা । রোজা বুক ভরে একবা নিঃশ্বাস নিলো । পরক্ষণেই মনে পড়লো
রোজা নির্ণয়ে ঘরে , তাহলে নির্ণয় কোথায় । চৌকিতে চোখ খুলে তাকালো রোজা ।
আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসতেই , সামনে যা ছিল তা দেখার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলো না সে । তার দিকে চোখ লাল করে তাকিয়ে আছে একটা কুত্তা
আ আ আ জোড়ে চেঁচিয়ে ইতোমধ্যে বাড়ি মাথায় তুলে ফেলছে সে
বেচারা টাইগার রোজার চিতকারে সেও ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছে , অসহায় চোখে তাকিয়ে আছে রোজা দিকে হয়তো বলার চেষ্টা করছে ,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আমাক দেখে চিল্লানোল কি আছে রে মেয়ে , আমি কি তোকে খেয়ে ফেলবো নাকি ।
মাত্রই বাহিরের কাজ শেষে বাড়িতে ঢুকেছে রিয়ান আর নির্ণয় । রোজা চিৎকার কানে আসতেই একজন অপরজনের মুখে মুখে তাকিয়ে আছে , আসলে কি হলো ব্যাপার টা মস্তিষ্কে প্রোসেসিং হতে নির্ণয় এক ছুটে এসে দাড়ালো রুমে সামনে ।
রুমে প্রবেশ করেই দেখতে পেলো রোজা বেডের এক কোণে দাঁড়িয়ে দু হাতে চোখ ডেকে রয়েছে । টাইগার দরজা পাশে দাঁড়িয়ে তাকে দেখছে।
নির্ণয় এগিয়ে গেলো রোজা কাছে ।
রোজ আর ইউ ওকে ।

চেনা পরিচিত কন্ঠ কানে আসতেই মুখ থেকে হাত সরিয়ে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরলো নির্ণয় ।
নির্ণয় ভাই আপনি কোথায় ছিলেন আমাকে একা রেখে কোথায় গিয়েছিলেন আপনি ।
এ্যাঁ এ্যাঁ । টাইগারদের উপর আবারো চোখ পড়তেই আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে নিলো নির্ণয়কে
ওটা এএএখানে কেন ওওওটা কে বের করুন । প্লিজ নির্ণয় ভভাই।
লিসেন রোজ ও কিছু করবে না তোকে , আমি বাহিরে গিয়েছিলাম তাই ওকে রুমে পাহাড়া রেখে গিয়েছিলাম । কথাটা বলেই রোজকে কোলে তুলে নিলো নির্ণয় । রোজা এখনো ভয়ে দুচোখ খিচে বন্ধ করে রয়েছে ।
রোজ মেরি বাচ্চা , লুক অ্যাট মি প্লিজ ।

উমহু , রোজা ঘাড় নাড়িয়ে জবাব দিলো মানে সে মাথা তুলবে না
বিলিভ মি রোজ ও তোকে কিছুই করবে না ।
আপনি ওটাকে দুরে সরান আমার চোখের সামনে থেকে ।
হাড় মেনে নিয়ে নির্ণয় টাইগার কে ইশারায় করতেই সে স্থান ত্যাগ করলো ।
এখন তো মুখ টা তোল , চলে গেছে ।
নির্ণয় কথায় কাধ থেকে মুখ তুললো রোজা ।
নির্ণয় রোজা মুখের দিকে তাকাতেই যেন চোখ আটকে গেল তার । কান্না করে ফেস পুরোই লাল বানিয়ে ফেলেছে ,নাকের উপরের অংশ বেশ লাল হয়ে আছে । চোখে পানির দাগ ইতোমধ্যে মুখে বসে গিয়েছে । নির্ণয় রোজাকে কোলে করে ওয়াস রুমের সামনে নামিয়ে দিয়ে আসলো ।
ফ্রেশ হয়ে আয় আমি ওয়েট করছি ।
রোজা ওয়াস রুমের গিয়ে ব্রাশ করে হাত মুখ ধুয়ে বেরিয়ে এলো। বেডের কাছে যেতেই দেখলো কিছু শপিং রাখা । তার পাশেই বসে নির্ণয় ফোন ঘাটছে।
রোজা ব্যাগ গুলো দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থেকে নির্ণয়ে সামনে এসে হাঁটু ভাজ করে বাচ্চা দের মতো ঠোট ফুলিয়ে বসলো।

ও নির্ণয় ভাই , আজকে একটু বাহিরে ঘুরতে নিয়ে যাবেন আমাকে , রোজার কথায় ফোন থেকে চোখ সরিয়ে রোজার দিকে তাকালো । তারপর গম্ভীর স্বরে বললো
আমার তোকে নিয়ে ঘুরার মতো বেহুদা সময় নেই রোজ । রিয়ান কে বলিস ও নিয়ে যাবে
আমি ভাইজানের সাথে যাবো না আপনার সাথেই যাবো । আর আপনি নিয়ে যাবেন আমাকে।
পারবোনা , তোর বাপ কি আমাকে চাকর রেখেছে।
আসলেই নিয়ে যাবে না তো ,
না
সত্যি নিয়ে যাবেন না
সত্যি নিবোনা ,

ঠিক দরকার নেই । বলেই ছুটে বেড়িয়ে গেলো রোজা , নিজের বরাদ্দকৃত রুমে গিয়ে ধুপ করে দরজা লাগিয়ে দিলো । দরজা এতো জোরে লাগানোর শব্দে রিয়ান গিয়ে বেশ কয়েক বার ডাকলো রোজা কে ।
রোজা এই রোজা দরজা খোল বলছি রোজা ।
রোজা দরজা খুলছে না দেখে রিয়ান নীড়ে রুমে দিকে পা বাড়ালো ।
রিধিমা এসেছিলো খাবার জন্য রোজা কে ডাকতে , বেশ কয়েকবার ডাকার পরেও যখন সাড়া পেলো না তখন নিজের ঘরে চলে গেলো ।

রিয়ান এসেছে নির্ণয়ের ঘরে , ভাই বোনু দরজা খুলছে না ভাই ‌ । তুমি কি ওকে কিছু বলেছো ভাই,
হুম বলেছি ওকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর মতো বেহুদা সময় নেই আমার ।তাতে তোর বোনের রাগ ,
কেন ভাই ওকে নিয়ে বের হতে সমস্যা কোথায় তোমার । ওর রাগ ভাঙ্গাও জলদি গিয়ে নাহলে আমার বোনকে তোমার থেকে সরানোর জন্য প্রথম শত্রু আমি হয়ে দাঁড়াবো বলে রাখলাম ।
বাই এ্যনি চান্স তুই কি আমাকে থ্রেট দিচ্ছিস ।
সাবধান করলাম ভাই , আমার বোনের চোখে পানি আমি সহ্য করবো না। কথা শেষ করেই গটগট করে বেড়িয়ে গেল রিয়ান ।

কি হলো ব্যাপারটা । দুই ভাইবোন মিলে তো আমার মাথায় উঠে নাচতে শুরু করছে রিতিমতো।
রোজ তোকে যে আজকে কি করবো “আই হ্যাভ নো আইডিয়া” বলেই ফোন পকেটে রেখে বেরিয়ে রোজের ঘরের দিকে গেলো নির্ণয় । দরজা সামনে এসে ডাকতে লাগলো
রোজ এই রোজ ।
রোজ দরজা খোল ,রোজ ।
ভেতর থেকে কোনো সাড়া না আসায় । রাগ যেন তিরতির করে বাড়ছে তার ।বড় একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে নিজেকে শান্ত করে আবারো ডাকতে শুরু করলো ।
রোজ পাখি প্লীজ দরজা খোলা । ঘুরতে নিয়ে যাবো এই যে ওয়াদা করছি ।
না এবারেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া এলো না ।
নির্ণয় এবার যেন বেশ অধৈর্য হয়ে পড়েছে ।

রোজ লাস্ট ওয়ার্নিং দিচ্ছি হয় দরজা খুলবি না হলে আমি ভেঙ্গে ভিতরে আসবো । এতে যেন কোন লাভ হলো না । আর অপেক্ষা করতে পারলো না নির্ণয়। জীম করা বলিষ্ঠ শরীর নিয়ে। জোড়ে জোড়ে দরজা ধাক্কা দিতে থাকলো । কয়েক মিনিটের মধ্যেই। দরজা খুলে গেল। নির্ণয় দৌড়ে ঘরে ঢুকলো তবে ঢুকে যা দেখলো তাতে তার শরীর অবস হ‌ওয়ার উপক্রম ।
মেঝেতে শুয়ে আছে রোজা । পাশেই একটা ছুরি পড়ে আছে । হাত থেকে রক্ত গড়িয়ে পরে ইতোমধ্যেই মেঝে ভেসে যাচ্ছে ।
নির্ণয় এগিয়ে গিয়ে হাঁটু গেড়ে বসলো রোজার পাশে তারপর নিজেকে সামলে রোজার মাথা কোলে তুলে নিলো । হাত পা ঠান্ডা হয়ে আছে । নিঃশ্বাস পড়ছে তবে খুব ক্ষীণ । নির্ণয়ের চোখ শান্ত অনুভুতি শূন্য । নির্ণয় পকেট থেকে রুমাল বের করে বেধে দিলো রোজার হাতে । তারপার কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিলো । দ্রুত ফোন বের করে কল করলো ডাক্তার কে ।

রেস্টুরেন্টে উদ্দেশ্যে বেরিয়েছে নীলিমা । বাসা থেকে রেস্টুরেন্ট কাছে হ‌ওয়ায় সে হেঁটেই পৌছায় সেখানে । আজো তাই , ফাঁকা রাস্তায় তেমন গাড়ি চলাচল নেই । রেস্টুরেন্টে কাছাকাছি যেতেই একটা গাড়ি এসে থামলো তার পাশে । কিছটা চমকে তাকালো নীলিমা ।
ফরমাল গেটাপে গাড়ি থেকে নামছে অপূর্ব। চুল গুলো জেল দিয়ে বেশ সুন্দর করে সেট করা চোখে কালো সানগ্লাস । লম্বায় কত‌ই বা হবে ৫ ফিট ১০ । নীলিমা বেশ খুটিয়ে খুটিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে তাকে । অপূর্ব ধীর পায়ে এগিয়েই আসছে তার দিকেই । নিলীমার যেন কোনো দিকে খেয়াল নেই সে তো ব্যাস্ত তার সামনে ব্যক্তি টি কে পর্যবেক্ষণ করতে । অপূর্ব ভ্রু কুঁচকে নীলিমার সামনে তুড়ি বাজাতেই যে হুস ফিরলো তার ।
আআআ আপনি এ এএখানে ।
কেন আসা বারণ বুঝি ।

এমা তা কেন হবে । আআআ আসলে আমি তা বলতে চচাই নি ।
তো কি বলতে চেয়েছেন শুনি।
না কিছু না ।
তা মিস নীলিমা । আমরা কি কোথাও বসতে পারি।
ইয়ে মানে আসলে।
কি মানে মানে করছেন ।
আমার তো রেস্টুরেন্টে যেতে হবে ।
মানে ?
সামনেই রেস্টুরেন্টে আমি পার্ট টাইম জব করি । ততাই আমার এখন যেতে হবে ।
আচ্ছা তাহলে চলুন ওখানেই বসি ।
না মানে ।
কোনো মানে না । বলেই হাটা ধরলো অপূর্ব , নিলীমা ও কোনো কথা না বলে পেছনে যেতে লাগলো ।

ডাক্তার এসে। হাতে ড্রেসিং করে দিয়েছে রোজার । সেলাইন চলছে , আর পাশেই বসে আসে , রিধিমা । রিয়ান গেছে ডক্টর কে এগিয়ে দিতে ।
রিধিমা বোনের পাশে বসে চোখের জল ফেলে যাচ্ছে । কে জানতো তার এত আদরের বোন এই কান্ড করে বসবে ।
নির্ণয় দরজার কাছে দাঁড়ানো নিষ্পল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রোজের দিকে । তার যেন অনুভুতিরা গুরম ধরে রেখেছে । চোখ দুটো লাল বর্ণ ধারণ করেছে । কিন্তু কেন ছেলেরাও কি কাদে ,হয়তো কাদে নির্ণয় কি কেদেছে ।
ডাক্তার কে এগিয়ে দিয়ে বোনকে দেখার জন্য আবারো এসেছে রিয়ান । নির্ণয় কে দরজায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে । কাঁধে হাত রাখলো তার ,
ভাই ।
নির্ণয় শান্ত দৃষ্টিতে তাকালো তার দিকে , তবে মুখে কিছু বললো না।
ভেঙ্গে পরো না ভাই , সব ঠিক হয়ে যাবে ।
এবারেও চুপ নির্ণয় ।

রিয়ান আর কিছু না বলে ভেতরে গেলো বোনের কাছে । রোজা কাছে গিয়েই, সেলাইন চেক করলো । তারপর বোনের মাথায় হাত বুলিয়ে রিধিমা মা কে ইশারায় বাহিরে যেতে বললো । রিধিমা কান্না চেপে বেরিয়ে যেতে নিলেই নির্ণয়ের দিকে একবার তাকালো , চোখ নামিয়ে আবারো ছুটে চলে গেলো। রিয়ান ও বেরিয়ে গেলো রুম থেকে ।
সকলে বেরিয়ে যেতেই নির্ণয় দরজা লাগিয়ে দিয়ে ধীর পায়ে এগিয়ে এলো বিছানায় শুয়ে থাকা নিস্তেজ হয়ে শুয়ে থাকা রোজো কাছে ।
বিছানায় কাছে আসতেই হাটু ভাজ করে মেজেতে বসে তাকিয়ে র‌ইলো রোজার মুখ পানে । টুপ কথে দুফোটা চোখের জল গড়িয়ে পড়লো তার।
আমি খুব খারাপ তাই না রে রোজ । আমি কখনোই তোকে প্রটেক্ট করতে পারি নাই । তুই কেন এমন করলি রোজ । আমাকে এতো কষ্ট দিয়ে কি শান্তি পাস তুই । আজকে তোর কিছু হলে আমি কি নিয়ে বাচতাম বলতে পারিস ।
থেমে গেলো নির্ণয় হাত দিয়ে চোখ মুছে নিলো । শুষ্ক ঢোক গিলে । হাত রাখলো রোজার মুখে ,
আবারো বলতে শুরু করলো

জানিস রোজ , আসলেই তোর মতো কেউ হবে না। তোর মধ্যে আলাদা কিছু একটা আছে ‌! সবার থেকে অন্যরকম , এক অন্যরকম শান্তি যা পৃথিবীর কোথাও খুজে পাওয়া যাবে না । ওইটা তোর কাছে আছে !!
কিছু তো আছেই নাহলে কেন আমি এতো বছরেও ভুলতে পারিনি তোকে । কেন আমার অনুভূতি জুড়ে শুধুই তুই । মন খারাপ একাকিত্ব যখন আমাকে গ্রাস করে অমানুষে পরিনত করেছে , তোর ছবি আমাকে প্রশান্তি দিত ।
আমি অমানুষ রোজ ধ্বংসের আরেক নাম নির্ণয় চৌধুরী । তবে তোর কাছে আমি তোর প্রিয় নির্ণয় ভাই । এতো পাপের মাঝে তুই নিষ্পাপ রোজ ।
আমার রোজ !
আমার শান্তি ।
থেমে গেলো নির্ণয় । হঠাৎ চোয়াল শক্ত হয়ে এলো তার।
পৃথিবীতে যেদিন প্রথম এসেছিলি সেদিন তোকে আমার করে নিয়েছি । তোর জন্ম‌ই হয়েছে আমার জন্য ‌। আমার গড়ে তোলা তুই ‌ , আমার এতদিনের কষ্ট আমি বৃথা যেতে দিবো না । বাংলাদেশ ফিরবো খুব শিঘ্রই ফিরবো ।
কথা শেষ করেই উঠে দাড়ালো নির্ণয় । ঠোট ছুয়ালো রোজের কপালে , তারপর বেরিয়ে গেলো রুম থেকে ।

বিছানায় পাশেই টি -টেবিলে ওয়াইনে বোতল রাখা তার পাশেই কুশনের উপর বসে সিগারেট টানছে তৃধা এক হাতে ওয়াইনের গ্লাস অপর হাতে সিগারেট । নিজের অব্যক্ত জিবন নিয়ে তার ভাবনার শেষ নেই । ঘৃণা হয় এই জিবন নিয়ে তার । শালার বাপ মা জন্ম দিয়েই যার যার মতো চলে গেলো ছ্যাৎ !
একের পর এক ওয়াইনের গ্লাস খালি করছে তৃধা । পাশে রাখা ভাইব্রেট করা ফোন টা কেপে উঠতে ওয়াইনের গ্লাস রেখে ফোন হাতে তুলে নিলো সে ।
“দেশি ভ্যাড়া ” নামে সেভ করা নাম্বারে চোখে পড়তে ভ্রু কুঁচকে নিলো সে । কিছুক্ষণ নাম্বারে দিকে তাকিয়ে থেকে চলে গেলো দরজা কাছে ।। দরজা খুলে দিলো কাঁদো কাঁদো মুখ করে ভিতরে প্রবেশ করলো রিয়ান । তৃধা দরজা লাগিয়ে এসে আবার কুশনে বসতে বসতে বললো
তুই এখানে কেন , কি চাই ?

চাই তো অনেক কিছুই , তার আগে এইটা বল এইভাবে নেশা করছিস কেন ।
বাল ফালানো জন্য ।
ফা**ক ।
কম অন আয় , দেখি কতো জোড় ‌ ।
ওহ রিয়েলি বেবি , আই’ম কামিং । বলেই শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে এগিয়ে গেলো রিয়ান তৃধা কাছে আসতেই রিয়ানের শার্টের কলার চেপে ধরলো সে ।
হাঁটু ভাঁজ করে উসটা দিলো রিয়ানের পায়ে । ব্যাথার চোখ মুখ খিচে নিলো রিয়ান।
শখ মিটেছে ?

প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ৮

তৃধার কথার প্রতি উত্তর করলো না । ব্যথা কমে আসতেই বিছানায় গিয়ে বসে পরলো । তৃধা একটা গ্লাসে ওয়াইন ঢেলে এগিয়ে দিলো তার দিকে ।
কেন এসেছিস ।
ভালো লাগছিলো না রে । রোজ হাতের কেটেছে , জেদ করে । এখন মনে হচ্ছে ওকে জার্মানি না আনলেই বোধ হয় ভালো হতো ।
কি বলিস বার্বি ডল এমন করছে কেন ।

প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ১০