প্রিয়তে তুমি প্রাণ পর্ব ১৩

প্রিয়তে তুমি প্রাণ পর্ব ১৩
মিমি মুসকান

মৌনতা আর আশিকের বাগদান আজ। হুট করেই সবটা ঠিক হয়ে গেল। সবার জোরাজুরিতে প্রান্তিক প্রিয়তাকে নিয়ে হাজির হলো। সবাই উদগ্রীব হয়ে ছিল তার বউ কে দেখার জন্য। এভাবেই বন্ধু মহলে ছড়িয়ে গেছে, প্রান্তিক বউ পাগলা হয়ে গেছে। এখন আর কোনো মেয়েকে তার ভালো লাগছে না। কারো দিকে ফিরেও চাইছে না। তাই প্রিয়তার প্রতি আকর্ষণ সকলের যেন বেড়ে গেল। সকলে দেখতে চায়, এই প্রান্তিকের মতো এতো সুদর্শন, উতলা মনের প্রাণীটিকে কে বশ করে রাখল। কিভাবে তার মনে একাই রাজত্ব করছে সেই মেয়ে। আদৌও সম্ভব নাকি! এমন একটা পুরুষকে নজরে রাখা কি চাট্টিখানি কথা!

আজ প্রান্তিকের চেয়েও সবার আকর্ষণ বেশি প্রিয়তার উপর। মেহমান যাদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছে তার চেয়েও মানুষ আজ বেশি। অলৌকিক ভাবে জেনে গিয়েছে প্রান্তিক অনুষ্ঠানে সাথে করে তার বউকে নিয়ে আসছে। ব্যস! অধিকাংশ মানুষই এসেছে কেবল তার বউকে দেখতে। দূর থেকেই চলছে তাদের আলোচনা।
বউ সুন্দরী কম নয়! দুজন একপাশে দাঁড়ালে মেইড ফর ইচ আদার মনে হয়। তবুও সহজ, সরল, মায়াবী মুখখানি অধিকারী মেয়েটার পাশে যেই পুরুষ দাঁড়িয়ে সে যেই সেই পুরুষ তো আর নয়। মেয়েটার ক্ষমতা আছে বলতে হবে? কিন্তু ক্ষমতা কিসের? ভালোবাসার!
বাগদান পর্ব চুকিয়ে মৌনতা এসে জাপ্টে ধরেছে প্রিয়তাকে। পরনে তার লাল রঙের জর্জেটের শাড়ি। তার পাশেই সুট টাই পরা ভদ্রলোক প্রান্তিক চৌধুরী। তার হাত নিশপিশ করছে বারের ওদিকটা যাবার জন্য। কিন্তু প্রিয়তার জন্য আজ সেই আশা বাদ দিতে চাইছে সে। এখানে বসে মাত’লামো করলে তার বউয়ের নিশ্চিত ভালো লাগবে না। মনের গোপন ইচ্ছাকে আর প্রশ্রয় দিলো না সে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আশিক আর আলফি হা হয়ে দেখছে। মান্নাত তো আগেই দেখেছিলো। নতুন ভাবীর সাথে ভাব করার তর সইছে না তাদের। মৌনতা বহু কষ্টে তাদের মধ্য থেকে প্রিয়তাকে আলাদা করে নিয়ে এলো। এদের মধ্যে কথা বলা যায়নি। দশটা কথার মধ্যে নয়টাই বলে অভদ্র কথা। বন্ধু বান্ধব হলে যা হয় আর কি। এই তো! আরেকটু হলেই বলে দিচ্ছিল প্রান্তিকের প্রাক্তনদের কথা। প্রান্তিকের চোখ রাঙানি দেখে আশিক অর্ধেক কথাই গিলে ফেলল। আলফি এভাবেও কম কথা বলে। যতটুকু বলে শ্রুতিগ্রাহ্য। মান্নাত আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে যায়নি। আগে থেকেই তো জানে সবটা। এছাড়াও প্রিয়তার সামনে নিজের একটা ভালো ইমেজ তৈরি করতে চাইছে সে। আরো দুই চারটে কলেজের বন্ধু জুটে গেছে। এরা কেউই আর প্রান্তিকের স্বভাব সম্পর্কে অনাগত নেই।
প্রিয়তার মনে আগে থেকেই খুঁত খুঁত করছে। প্রান্তিকের গার্লফ্রেন্ড ছিল? থাকতে পারে। এতোটুকু ভাবনা সে আগে থেকেই ভেবে নিয়েছে। বড়লোকের নাতির মেয়ে বন্ধুর অভাব হবে না আবার! কিন্তু তবুও লিমিটেশনের একটা ব্যাপার আছে। প্রিয়তা ভাবতেই পারেনি তার বর মশাই সেই লিমিটেশনর উর্ধ্বে চলে গেছে। দূরে মৌনতার সাথে দাঁড়িয়ে আড়চোখে দেখছে। এ অবধি কতো গুলো মেয়ে এলো। এতো গুলো ছেলের মধ্যে সকলেই এসেই প্রান্তিকের গায়ের উপর ঢুলে পড়ছে। প্রান্তিক হাতের অনামিকা আঙুল তুলে চোখের সামনে বলল, “প্রান্তিক চৌধুরী এখন ম্যারিড, তাই নো চান্স! সরি ডার্লিং!”

তার এসব কথা প্রিয়তা দূর থেকে না শুনলেও বুঝতে পারছে প্রান্তিক মেয়েগুলোর সাথে মশকরা করছে। মশকরা করারই বা কি দরকার? সে এখন একটা ছেলের সাথে কথা বলে দেখুক না? সাপে’র মতো ফ্যাস’ফ্যাস করতে থাকবে। অসহ্য! নিজের সময়ই কেবল ষোলো না। প্রিয়তা নিজের ভাগ চাইছে না। তার ইচ্ছেও নেই কোনো ছেলের সাথে কথা বলার। কিন্তু তার বর মশাই কেন বলছে?
মেয়েগুলো প্রান্তিকের রসিকতা বুঝতে পেরে আবার তার গায়ের উপরেই পড়ে যাচ্ছে। প্রান্তিক খুব বাঁচা বেঁচে যাচ্ছে। দূর থেকেই দেখছে, বউ যেভাবে তাকাচ্ছে মনে হচ্ছে এই আস্ত গিলে খাবে। মেয়েগুলোর সাথে বউকে পরিচয় না করানোই উত্তম কাজ। কখন কি বলে ফেলে আর কি হয়ে যায়?
মৌনতার একের পর এক প্রশ্ন। প্রিয়তার বিষয়ে জানার এক অতীব আগ্রহ তার। প্রিয়তা মিষ্টি হেসে একের পর এক উত্তর দিচ্ছে। মেয়েটিকে তার পছন্দ। এতো গুলো মেয়ের মধ্যে এই একটি মেয়েকেই তার পছন্দ। কারণ সে প্রান্তিকের কাছে গিয়ে ঢলাঢলি করছে না।

“আচ্ছা, তোমরা কয় ভাই-বোন?”
“চার বোন!”
“বাহ জোশ তো। তুমিই বড় তাই না?”
“হ্যাঁ আমিই।”
“জানো আমি ভাই কে চিনি ছোট থেকেই। তখন আমি স্কুলে পড়তাম।”
প্রিয়তা কিঞ্চিত হাসল। মেয়েটার গলার স্বর ভীষণ আদুরে। কিন্তু এই মেয়েটাও তার বড়। তবুও এমন ভাবী ভাবী করে ডাকছে, প্রিয়তার নিজেকেই এখন বড় বলে মনে হচ্ছে। বয়সের ভারে নয় সম্পর্কের ভারে!
“আচ্ছা মৌনতা, একটা কথা জিজ্ঞেস করি তোমায়?”
“হ্যাঁ করো!”
“তোমার ভাইয়ের গার্লফ্রেন্ড ছিল তাই না?”

মৌনতা কিছুক্ষণ মৌন থেকে ভাবল, কোন গার্লফ্রেন্ডের কথা বলছো? কিন্তু মুখের উপর বলল, “না ছিলো না তো।
“ভাইয়ের সাফাই গাইছো।”
“সে তো একটু আধটু সকলেই প্রেম করে।”
“কিন্তু আমি যে করিনি!”
“তুমি সত্যিই প্রেম করোনি?”
“না। তবে এখন করছি। তোমার ভাইয়ের সাথে।”
মৌনতা হেসে উঠল। ক্ষণিকের আলাপে মেয়েটাকে তার ভারী পছন্দ হলো। হাতটা চেপে ধরে বলল, “মানুষের অতীত ম্যাটার করে তোমার কাছে?”
প্রিয়তা যেন একটু অবাকই হলো। কোনো এক অজানা ভয় তাকে আকড়ে ধরছে।
“কি বলছো?”
“না না ভয় পেয়ো না। ভাইয়ের মা বাবার কথা তো জানোই। জেনে রাখো, আমার ভাইটা পদে পদে ঠকেছে। সব মানুষকে বিশ্বাস করতে চাইতো না। তবে যাকে বেশি বিশ্বাস করতো তার থেকেই ঠকতো। এরপর বিগড়ে গেল। এখন অবশ্য তোমার কল্যাণে শুধরে গেছে। তুমি আসলেই ভাইয়ের জীবনে স্বর্গীয় দূত হয়ে এলে।”
“কি বলছো এসব? থামো তো!”

“বলছি শোন। আমার ভাই হচ্ছে রসগোল্লা! বুঝলে তো, রসগোল্লার পিছনে মাছি ভনভন করবেই। দেখো, মেয়েগুলো দেখছো। এরা সবাই জানে আমার ভাই ম্যারিড। তবুও কিভাবে ঘিরে রেখেছে দেখছো?”
“তোমার ভাই তো ঠাঁই দিচ্ছে, নাহলে কি পারে তারা?”
মৌনতা হেসে উঠল। আচমকা হাসিতে মেয়েটি ঝলমল করে উঠল। তার অনামিকা আঙ্গুলে নতুন আংটির হীরে এখনো চকচক করছে।
“আমার ভাই পাত্তা দেয় না বুঝলে। এই দেখবে এখানে চলে আসবে!”
সত্যি সত্যি তাই হলো। প্রান্তিক এবার উঠে প্রিয়তার পাশে এসে দাঁড়াল। ভারী কণ্ঠে বলে উঠলো, “কি কথা হচ্ছিল হ্যাঁ?”
“ভাবী তোর গার্লফ্রেন্ডের খবর নিতে চাইছিলো?”
প্রান্তিক চোখ রাঙালো। মৌনতা ভয় না পেয়ে হেসে উঠল। লজ্জায় কুঁকড়ে গেল প্রিয়তা। প্রান্তিক তার হাত ধরে বলল, “এসব কথার পাত্তা দিও না তো। চলো আমার সাথে!”

সেখান থেকে একটু দূরে নিরিবিলি জায়গায় এসে দাঁড়াল। আচ্ছা সে কি বলবে তার অতীত নিয়ে। বলা কি খুব দরকার। না বললে কি হবে? কিন্তু প্রিয়তার কাছে তো কিছু অজানা থাকবে না। সে সব জানবে। জানুক! কিন্তু এই ভয়ানক সত্য বলার মতো সাহস যে তার মধ্যে নেই। ভয় হয়, বললেই যদি দূরে সরে যায়!
মানুষ যখন ভালোবাসতে শুরু করে তখন চারদিক থেকে অজানা ভয় তাকে আকড়ে ধরে। ক্ষুদ্র এবং ভিত্তি হীন ভয়কেও তার কাছে তুচ্ছ মনে হয় না। কেবল ভয় হয় ভালোবাসার মানুষকে হারানোর। প্রিয় মানুষকে হারানোর বেদনা বড়ই তীব্র। বুকের মধ্যে যন্ত্রণার পাহাড় যেন ধসে পড়ে, উথালপাথাল সমুদ্র গ্রাস করে ফেলে সমস্ত আবেগ, অনুভূতি আর ভালোবাসা। এই স্বাদ বড়ই তিক্ত, যন্ত্রণাদায়ক। প্রান্তিক এই অনুভূতির সাথে পরিচিত। দীর্ঘদিনের সম্পর্ক বলে যায়। তার বহু নামিক সম্পর্ক ভেঙে গেলেও এই সম্পর্ক ভাঙেনি। দুঃখ কখনোই তার পিছু ছাড়েনি। তার আর দুঃখের যেন আত্মার টান, একে অপরকে ছাড়া বাঁচা মুশকিল। সুখ ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে কিন্তু দুঃখ ছাড়া এক মুহুর্ত এই পৃথিবীতে টিকে থাকা সম্ভব না। কারণ যার দুঃখ ফুরিয়ে যায় তার জীবন ও ফুরিয়ে যায়!
একটু একটু করে প্রিয়তার মায়ায় জড়িয়েছে সে। প্রেম, ভালোবাসা যে কেবল স্বামী স্ত্রীর মধ্যেই পবিত্র এই কথা এখন হারে হারে টের পাচ্ছে সে। বিয়ের পবিত্র বন্ধনে তারা যে বাঁধা পড়েছে তার মুগ্ধতা আর স্নিগ্ধতার সাথে সাথে ভার ও কতোখানি তা আর বুঝতে বাকি নেই।

পেছন থেকে হিন্দি গানের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। অনুষ্ঠান ছেড়ে এখানে আসার কারণ কি? প্রান্তিক কেমন হাঁসফাঁস করছে যেন। তাকে হাঁসফাঁস করতে দেখলে প্রিয়তার বড্ড কষ্ট হয়। মানুষটিকে এতো দিনে অনেকখানি চিনেছে সে। এই মানুষটি খুব ভালো করে দুঃখ লুকিয়ে রাখতে পারে। সেদিন গাড়ির মধ্যে যেমন সহজ গলায় বাবা মা বিচ্ছেদের মতো এমন তিক্ত যন্ত্রণাদায়ক কথা বলে গেল এরপর থেকেই মানুষটির প্রতি তার ভীষণ মায়া জন্মেছে। বন্ধু বান্ধব সকলের সামনে হাসি তামাশা করছে বলে তার মনে শান্তি আছে এমনটা নয়। সেদিন বলেছিলো, দুঃখের কথা শোনানোর মানুষ পাওয়া গেলেও দুঃখের সময় কাউকে পাওয়া যায় না!
সত্যিই যায় না। দুঃখের সময়টুকু কেবল আমার আর দুঃখের। তখন আমি আর দুঃখ একসাথে থাকব, কাঁদব ঝগড়া করব। দুঃখ তো এটাই চায়। আমাদের মাঝে তৃতীয় কেউ এসে পড়ুক দুঃখ এসব নিতে পারে না। হিংসায় জ্ব’লে পুড়ে যায়। কেবল ছাই হয় না। বরং আরো দ্বিগুন দুঃখ জমিয়ে পরের বার আসে। দেখিয়ে দেয়, দেখো আমি আর তুমি! আর কেউ নেই, কেউ আসবে না। তোমার আমার সম্পর্ক পাকাপোক্ত করতে গেলে যে আর কাউকে আসতে দেওয়া যাবে না!

তবে প্রিয়তা চায়, তার প্রিয় পুরুষের দুঃখের সময় সঙ্গী সে হোক। এই পর’কিয়া দুঃখ নিতে পারবে না। সে এবার বন্ধুত্ব করবে দুর্ভাগ্যের সাথে। তাদের লক্ষ্য কেবল একটাই, জ্ব’লিয়ে পুড়ি’য়ে ছারখার করে দিবে মানুষটিকে। পর’কিয়া করলে এই একটি মাত্র শাস্তি যে পাওনা থাকে। সে কি তারা জানে?
জানে না! জানলে কি আর দুঃখের সময় সঙ্গী খুঁজতো‌। দুঃখ নামক সঙ্গীকে ভুলে গিয়ে নতুন কাউকে খুঁজতে গেলে তা যে পর’কিয়ার সামিল। এই সত্য থেকে তাঁরা অজ্ঞাত! অজ্ঞাত বলেই বার বার দুঃখ এসে হানা দেয় তাদের জীবনে। কি আশ্চর্য মানবজীবন! তাদের আশেপাশে সুখ, দুঃখ, শান্তি, শাস্তির যে অস্তিত্ব এটা তারা ভুলে যায়!
প্রিয়তা এগিয়ে এসে প্রান্তিকের ঘাড়ে হাত রাখল। প্রান্তিক বিস্মিত হলো। তার পানে চেয়ে রইল খানিকক্ষণ। শান্ত সুশ্রী মুখশ্রীর অধিকারী তার বউ। তার মুখখানা দেখলেই যেন সব দুঃখ কষ্ট ভুলে যেতে ইচ্ছে করে। কেন তাদের দেখা আগে হলো না? কেন বসন্তের মতো ভালোবাসার বার্তা নিয়ে প্রিয়তা এলো না তার জীবনে। এতো দেরি কেন করলো?

শক্ত দুই হাতের মুঠোয় নরম তুলতুলে হাত দুটো আঁকড়ে ধরল। প্রিয়তা চিন্তায় অস্থির! কি হলো উনার? প্রান্তিক হাসল। সামনের এক পাটি দাঁত বের করে হাসল। তার অমায়িক হাসির কারণ প্রিয়তার জানে নেই। থাক! সবকিছু জানতে নেই। প্রান্তিক আচমকা তাঁকে জড়িয়ে ধরল। প্রিয়তা তখন প্রান্তিকের হৃদয়ের ধ্বনি শুনতে ব্যস্ত হয়ে উঠল। তাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেই যেন তার সকল দুঃখ হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। প্রান্তিক ফিসফিস করছে।
“তোমায় দেখলে বিশ্বাস হয় না আমি এতোটা ভালো থাকাও ডিজার্ভ করি। মানে তুমি বেস্ট। বাট বিলিভ মি। আমি তোমায় অনেক সুখে রাখব।”
প্রিয়তা হেসে উঠল। সে কি দুঃখে আছে? সুখেই তো আছে। এই সুখ পাখা মেলে তার চারদিকে উড়ছে। রঙিন প্রজাপতি উড়ে উড়ে আসছে তার শরীরের চারদিক থেকে। কি আশ্চর্য! কি অদ্ভুত শান্তির অনুভূতি! এর থেকেও শান্তির আর কি হতে পারে?

প্রিয়তে তুমি প্রাণ পর্ব ১২

এই যে দুই মানব মানবী দুঃখ কে ভুলে সুখকে আলিঙ্গন করে নিল, দুঃখ কি তাদের ভুলে যাবে? না যাবে না তো। সুখ সব ভুলে গেলেও দুঃখ কিছু ভুলে না। ভালোবাসায় মগ্ন তারা। আশপাশ দেখার কি সময় আছে? কে আছে কে নেই? এই যে একজোড়া দৃষ্টি কাঁপা কাঁপা দৃষ্টিতে তাদের দেখছে সেই খবর কি তাদের আছে? নেই তো! থাকবে কেমন করে? সুখ কে পেয়ে তারা যে দুঃখ কে ভুলে গেলো। মনে রাখেনি তো!

প্রিয়তে তুমি প্রাণ পর্ব ১৪