প্রিয়তে তুমি প্রাণ পর্ব ৩৭

প্রিয়তে তুমি প্রাণ পর্ব ৩৭
মিমি মুসকান

আফরিন গাড়ির পিছনের সিটের মাঝে বসে চকলেট খাচ্ছে আর চার জনের কথা শুনছে। তার একপাশে আলফি বসা। অন্যপাশে মৌনতা। বাচ্চার চকলেট খাওয়ার দৃশ্য দেখে মৌনতা চোখ মুখ কুঁচকে আলফির দিকে তাকাল। চোখে চোখেই যেন বলছে, “ও এখনো বাচ্চা মানুষ ভাই!”
আলফি লজ্জায় ঠোঁট কামড়ে চোখ নামিয়ে নিল। সামনের সিটে আশিক সেই মজা নিচ্ছে। কেবল পিছনের সিটে দেখছে আর মিটিমিটি হাসছে। অন্যদিকে মান্নাত নিশ্চুপ। তার মাথা‌ চিন্তায় ভরপুর। এখানে আসার আগেই আমরিশাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে এসেছে। আলফির ফোন বাজছে। আফরিনের মায়ের ফোন। আলফি ফোনটা আফরিনকে এগিয়ে দিল। আফরিন কথা বলছে। মৌনতা ভ্রু উঠিয়ে ইশারা করছে। এর অর্থ এই যে, “শাশুড়ির নাম্বার ও জুটিয়ে ফেলেছিস!”
আলফি লজ্জায় কারো সঙ্গে চোখ মিলাতে পারছে না। আফরিন কথা বলা শেষ করে ফোনটা ফেরত দিল। আশিক মিটিমিটি হেসে বলল,

“প্রান্তিক জানে?”
মৌনতা বলল, “আলফি তো নিজেই মাত্র জানল ও প্রান্তিকের শালি। প্রান্তিক জানবে কিভাবে? জানলে কি আর আ*স্ত থাকত?”
আফরিন চকলেট খেতে খেতে বলে, “কেন? ভাইয়া জানলে কি হবে?”
“তুমি তোমার দুলাভাইকে চিনো না বাবু, তাই বুঝবে না। ওর বন্ধুরা খুব ভালো চিনে তাকে!”
কথাটা বলে আশিক ঘাড় বাঁকিয়ে দেখল আলফিকে। আলফি ঠোঁট কামড়াচ্ছে। মান্নাত বলে উঠলো, “এতো বছর পর প্রেমে পড়লি। জীবনের প্রথম প্রেম তাও কি না!”
পরের কথাটা আর শেষ করল না। আফরিনের খুব শখ শোনার। সে লাফিয়ে উঠল, “তাও কি না এরপর কি?”
আলফি ধমকে উঠে বলল, “চুপ থাক!”
মৌনতা বলল, “আহা বাচ্চা মেয়ে। ধ*মক দিস কেন?

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আশিক মজা করে বলে উঠলো, “বাচ্চা পালার বয়সে বউ পালবে আমাদের আলফি!”
আফরিন রে*গে গেল। আচমকা বলে উঠলো, “আমি বাচ্চা না। সামনের মাসেই ১৮ হবো!”
মৌনতা তার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল, “বাহ অনেক বড় হয়ে গেছো!” বলেই আলফির দিকে চোখ রা*ঙালো। আশিক বলে উঠলো, “ও তোমার কতো বড় জানো? ওর প্রেমের প্রস্তাব তুমি একসেপ্ট করলে কি করে? ও তো বুড়ো হয়ে গেছে!”
“কে বলল আমার আলফি ভাই বুড়ো হয়ে গেছে। সে এখনো হ্যান্ডসাম। আপনার থেকেও বেশি হ্যান্ডসাম। আর প্রপোজ তো আমি করেছিলাম!”
আশিক আর মৌনতা দুজনেই চমকে উঠল। এই মেয়ে দারুণ চালাক দেখছি। মান্নাত মুখ টিপে হেসে বলল, “আমিও তাই ভাবি এই বাচ্চা মেয়েকে আলফি রাজি করালো কি করে?”
“এই আমি বাচ্চা না!”

“হ্যাঁ, হ্যাঁ বোন তুমি অনেক বড়!”
আশিক মুখ টিপে হেসে বলল, “তুমি এতোই বড় যে বড় হয়ে তালগাছ হয়ে গেছো। তোমায় নিয়ে কথা নেই। আমার দুঃখ হচ্ছে আলফিকে নিয়ে। বন্ধু তো আমার। প্রান্তিক যে কি অবস্থা করবে তোর? আমি সেটাই ভাবছি!”
মান্নাত বলে উঠলো, “উল্টো ঝু*লাবে?”
আফরিন চোখ মুখ কুঁচকে বলে উঠলো, “কেন? উ*ল্টো কেন ঝুলাবে?”
মান্নাত জবাব দিল,
“কারণ আলফি তার শালির সাথে প্রে*ম করছে তাই!”
“আপনাকে ঝু*লিয়েছে বুঝি?”
“কেন? আমায় কেন ঝুলাবে?”
“বাহ রে! আপনিও তো মেঝো আপার সাথে প্রেম করেন। আপনাকে ঝুলায়নি তো আলফি ভাইকে কেন ঝুলাবে!”
মান্নাত গাড়ির কন্ট্রো*ল হারিয়ে ফেলল সাথে‌ সাথে। কোনোমতে ব্রেক কষল। আফরিন আরেকটু হলেই সামনের সিটের সাথে ধা*ক্কা খেত। তার আগেই আলফি তাকে টেনে জড়িয়ে ধরল। আশিক পেছন ফিরল। মৌনতা দম ফেলছে শব্দ করে। চার চোখ এবার অদ্ভুত ভাবে মান্নাত কে দেখছে। মান্নাতের রক্ত*শূন্য মুখ, মূহূর্তেই ফ্যাকাসে হয়ে উঠেছে।

আরফিন কে পৌছে দিয়ে সবাই এলো গ্যারেজের উপরের সেই ঘরটাতে। মৌনতা সামনে বসা। দুজন বসে আছে সোফার দুই কোণায়। মুখটা শুকনো। মৌনতা দাঁতে দাঁত চেপে শাসা*নো স্বরে বলে উঠলো, “তোরা কি আর মেয়ে পাচ্ছিলি না? দুজনেই গিয়ে প্রেম করলি প্রান্তিকের শালিদে*র সাথে। কেন রে? মেয়েদের অভাব পড়েছিল নাকি?”
আলফি চাপা স্বরে বলল, “আমি কি জানতাম ও প্রান্তিকের শ্যালিকা?”
মান্নাত বলল, “আর আমরিশা যথেষ্ট বড়। ভার্সিটিতে পড়ছে। আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি। অপ*রাধ তো করিনি। এটলিস ও বাচ্চা তো না!”
আলফি চোখ পা*কিয়ে এদিক তাকাল। আশিক খুব চেষ্টা করছে হাসি থামানোর। সম্ভব হচ্ছে না তার। উচ্চ স্বরে হেসে উঠল সে। মৌনতা তাকাল চোখ ঘুরিয়ে। আশিক বলল, “জোশ! ভাব তোরা তিনবন্ধু এক বাড়িতে জামাই আদর গেলি। দারুণ ইন্টারেস্টিং ব্যাপার। আমায় নিতে ভুলিস না কিন্তু!
মৌনতা বলে উঠলো, “তোমার এই কথার মানে কি?”

“কিছু না বাবু? আচ্ছা প্রান্তিকের কয় শালি? প্রিয়তা ভাবী কয় বোন?”
মান্নাত বলল, “ভাবী সহ চারজন? আমরিশা মেজো!”
আলফি বলল, “আফরিনের পরেও একটা আছে!”
আশিক আফসোসের সুরে বলল, “ওহ বেশি ছোট হয়ে গেছে তাহলে!”
মৌনতা চোখ দুখান বড় বড় করে বলল, “তোমার কি পাখনা গজিয়েছে?”
“আরে বাবু মজা করছিলাম!”
মৌনতা আড়চোখে তাকাল। অতঃপর তার পাশ থেকে উঠে দাঁড়াল। ঘরের দরজায় কলিং বেল বাজছে। প্রান্তিক বোধহয় এসে পড়েছে। রাত্রির এখন বাজে প্রায় ১ টা। প্রান্তিকের মুখ থমথমে। এতো রাতে ফোন করে ডেকে আনার মানে কি? ভাগ্যিস তার বউ ঘুমাচ্ছে। জেগে থাকলে আসার নামও করতে না। এখন বেরুতে হবে তাড়াতাড়ি। বউয়ের ঘুম ভাঙার আগেই।
প্রায় সভার মতো বসেছে সবাই। টেবিলের একদিকে প্রান্তিক চৌধুরী। সামনের দিকে মান্নাত আর আলফি। দুই পাশে মৌনতা আর আশিক দাঁড়িয়ে। আশিক তার হাতটা ছুঁতে গেলেই মৌনতা সরে দাঁড়ায়। প্রান্তিক চৌধুরী ইয়া বড় হামি ছেড়ে বলে,

“কি দরকার? এতো রাতে কেন ডেকেছিস? কি হয়েছে?”
দুজনের মুখই গুমরানো। প্রান্তিক চোখ মুখ কুঁচকে মাথা চুলকাচ্ছে। কি হয়েছে এদের! মান্নাত কেশে উঠল। এর অর্থ সেই শুরু করছে। শান্ত গলায় বলল,
“বিয়ে করব!”
“আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো খবর!”
বলেই চারদিক তাকাল। তার মুখে হাসি থাকলেও বাকিদের মুখ দেখে সেই হাসি উধাও। কিছু একটা তো হয়েইছে। এবার সরাসরি জিজ্ঞেস করল,
“মেয়েটা কে?”
“তুই চিনিস!”
“আমি চিনি মানে? আমার কোনো এক্স নাকি? আমি না তোদের বললাম ওদের বিয়ে করিস না। মেয়েদের অভাব রে? নাম কি?”
মান্নাত ঢোক গিলল। চাঁপা স্বরে বলল, “মেয়েটার নাম আমরিশা!”
“কি? শুনতে পেলাম না। সাগরিকা? কি আজব তুই কেন এতো শরম পাচ্ছিস মেয়েদের মতো? ছবি দেখা?”
মৌনতা চোখ রাঙি*য়ে তাকাল। শা লা বিয়ে করবি বলছিস না কেন মুখ ফুটে। প্রেম করার সময় তো এতো ভাবিস নি। এখন কেন ভাবছিস?

আলফি ফট করে বলে উঠলো, “ও তোর শালির সাথে প্রেম করে। আমরিশার সাথে,‌তাকে বিয়ে করার কথা বলছে!”
মান্নাত ফট করে বলে উঠে, “হ্যাঁ এবার তোমারটাও বলো। ও জানিস কার সাথে প্রেম করে? আফরিনের সাথে? তোর সেকেন্ড শালি। ভাব ওই পিচ্চি মেয়েটার সাথে?”
আলফি ঠোঁট চেপে এদিক তাকাল। মান্নাত মুখ ভেংচি কাটলো। প্রান্তিক কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে উঠলো, “তোরা কি বললি? কে কার সাথে প্রেম করে? আমরিশা আফরিন!”
তার মাথায় ব্রেইন এখনো লোডিং হচ্ছে। লোডিং হওয়া শেষ হতেই ধড়ফড় করে উঠে দাঁড়াল। বসার চেয়ার মেঝেতে পড়ে গেল। প্রান্তিক হতভম্ব স্বরে বলল, “এই তোরা কি বললি? কার সাথে প্রেম করিস?”
মান্নাত এবার সাহস জুগিয়ে বলল, “আমি আমরিশাকে ভালোবাসি। দুজন দুজনকে! ওকে বিয়ে করব। সাতদিনের মধ্যে বিয়ে ঠিক করে দে!”
“অ্যাহ আসছে, মামাবাড়ির আবদার।”
“মামাবাড়ি না হোক বন্ধুর বাড়ি আবদার।”
“আমি তোর সাথে কেন ওর বিয়ে দিতে যাবো। সি ডির্জাভ বেটার। নিজেকে গিয়ে আয়নায় দেখ শা*লা। আর প্রেম করছিস মানে? কবে থেকে?”
“তোর বিয়ের পরপর!”

“এতোদিন! তুই এতোদিন আমার থেকে লুকিয়ে রেখে এখন কেন বলতে আসলি? শা*লা দূরে সর এখান থেকে। আমি তোর সাথে কখনোই আমরিশার বিয়ে দিবো না। আমি এর পুরোপুরি বিপক্ষে!”
মান্নাতের মাথায় হাত। প্রান্তিক এ কি বলে? অথচ সে ভেবেছে এই সমস্যা দেখে একমাত্র উদ্ধার কেবল প্রান্তিকই করতে পারে। ও তো বেঁকে বসলে যে!
মৌনতা প্রান্তিক কে ঠান্ডা করার চেষ্টা করছে। প্রান্তিক এখনো সদমা থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না। তার বন্ধুরা তারই পিছনে এতোবড় কাজ করে ফেলল! আলফি বলে উঠলো,
“আমি জানতাম না ও তোর শালি!”
“তো জানলে কি প্রেম করতি না?”

“আলবাদ করতাম। কিন্তু বলেই করতাম। মান্নাতের মতো না আমি।”
“এই তুই আমায় জড়াবি না? আফরিন এখনো ছোটো।”
“আমি তো এখন আর বিয়ে করতে চাইছি না!”
“ তোকে বিয়ে করতে করতে তুই বুড়ো হয়ে যাবি।”
প্রান্তিক গলা মিলিয়ে বলল, “কি ইয়ার? আর মেয়ে পেলি না। শেষে আফরিন ওই বাচ্চা মেয়ে ভালোবাসার কি বুঝে!”
আশিক বলল, “তোর চেয়ে বেশি বুঝে। কথা শুনে যা বুঝলাম!”
আলফি পায়ের উপর পা তুলে বলে উঠলো, “এখন কেন এই কথা বলছিস? সেদিন তো তুই বললি আর কেউ সার্পোট করুক আর না করুক তুই আমার দলে। আমায় সার্পোট করবি। এখন কি হলো?
“ও তোর খুব ছোট!”
মান্নাত বলে উঠলো, “হ্যাঁ প্রায় ১১ বছর!”

“তো তাতে কি? আইজ যাস্ট ইজ অ্যা নাম্বার। বিয়ে করে বউ সামলালেই তো হলো। সেই ক্যাপাবেল আমার কাছে। আমাদের নিজেদের বিজনেস আছে। আইম রিচ এন্ড হ্যান্ডসাম। তোর আর কি চাই?”
প্রান্তিক কিছু বলার আগেই আলফি বলে উঠলো, “এন্ড অলসো আই লাভ হার। সেও আমায় ভালোবাসে তাহলে অসুবিধে কোথায়? তুই তো বলেছিলি তুই আমার পাশে থাকবি!”
প্রান্তিক এবার নিজের কথায় নিজেই ফেঁসে গেল। আশিক হাসছে কারণ প্রান্তিক মাইকা চিপায় পড়েছে। মান্নাত এবার বলে উঠলো, “দেখ তুই আমার ফ্রেন্ড বলেই বিয়ের কথা বলেছি। রাজি না হলেও আমার কাছে আরো ধাপ আছে?”
“আরো ধাপ কি হ্যাঁ? আমি ওর দুলাভাই, ওদের বড় বোনের স্বামী।‌‌আমার কি মান সম্মান আছে সেই বাড়িতে জানিস। আমি মত না দিলে এই বিয়ে কখনো হতে পারবে? আর তুই কিসের থ্রে*ড দিচ্ছিস আমায়? পালিয়ে যাবি ওটা বলছিস!”

মান্নাত উঠে দাঁড়াল। থমথমে মুখে বলল, “তা না হয় গেলাম!”
“তোর মনে হয় আমি তোকে পা*লাতে দিবো!”
মান্নাত জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিল। সে বেশ জানে প্রান্তিকের সাথে সে পারবে না। তাকে নিজের দিকে টানা খুব মুশকিল। তবে সেই মুশকিল কাজ সহজ করে দিল আলফি। বলে উঠলো, “তুই ওভার রিয়েক্ট করছিস!”
“আমি? তাও ওভাররিয়েক্ট!”
“হ্যাঁ, অবশ্যই। আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলে একমাত্র প্লে বয় তুই। সেই প্লে বয় হয়ে ভাবীর মতো এতো লক্ষ্মী বউ পেলে আমরা কেন বেটার ডির্জাভ করি না।”
মান্নাত সুযোগ পেল। বলে উঠলো, “ভাবী জানে তোর কীর্তিকলাপ!”
প্রান্তিক চাপা স্বরে বলল, “সবই তো জানে!”
“আর তোর শ্বশুর বাড়ির লোক? আফরিন খুব চটপটে মেয়ে। ওকে একবার বলে দেখব, কেবল শ্বশুড় বাড়ি না পুরো এলাকা জানবে। দেখব তখন তোর মান সম্মান কই থাকে!”

প্রান্তিক চোখ পাকি*য়ে শুধাল, “এনি হাউ তোরা আমায় ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছিস?”
মান্নাত আর আলফি একসঙ্গে বলে উঠলো, “হ্যাঁ!” বলেই দুজন দুজনের দিকে তাকাল। প্রান্তিক চৌধুরী নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছি না। মৌনতা মনোযোগ দিয়ে দেখছে, পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। আলফি আর মান্নাত কম সেয়ানা পাবলিক না। আশিক তার কানে ফিসফিসিয়ে বলল, “প্রান্তিক তো গেলো!”
মৌনতা দাঁতে দাঁত চেপে বলল, “হ্যাঁ, তুমিও যাবে। বাসায় গিয়ে তোমাকে জামাই আদর দিচ্ছি!”
“আরে বাবু, ওটা তো আমি মজা করে বলে ফেলেছি। এতো কেন রাগ করছো?”
মৌনতা তার মুখের দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসল।‌ এর অর্থ, আজ তো তুই শেষ বাছাধন!” আশিকের মুখের রঙ উড়ে গেল।

প্রিয়তে তুমি প্রাণ পর্ব ৩৬

প্রান্তিক হতভম্ব গলায় বলল, “তোরা আমার ফ্রেন্ড হয়ে আমায় ব্ল্যাকমেইল করবি? এটা তোরা করতে পারবি?”
“আমার আর আফরিনের মাঝে এলে আমি অবশ্যই করব।”
মান্নাত শুধায়, “তুই তো আমাদের ফ্রেন্ড, কই ফ্রেন্ড হিসেবে হেল্প করবি তা না করে আমাদের মাঝে এসে দাঁড়াচ্ছিস। ফ্রেন্ড হয়ে কেউ এমনটা করে?”
প্রান্তিক রাগে দুই ঠোঁট চেপে ধরল। রাগে ফুঁস*ছে সে। আলফি প্রায় শান্ত। কারণ প্রান্তিক কে সে ভালোভাবেই ফাঁসিয়ে দিয়েছে। মান্নাত মৃদু হাসছে। প্রান্তিকের তাদের দলে না এসে উপায় নেই কোনো। অতঃপর প্রান্তিক কোনো কথা না বলে হনহন করে বেরিয়ে গেলো।

প্রিয়তে তুমি প্রাণ শেষ পর্ব