প্রিয় পূর্ণতা পর্ব ৩৯

প্রিয় পূর্ণতা পর্ব ৩৯
তানিশা সুলতানা

পঁচিশ বার কল করার পরেও কলখানা রিসিভ করা হয় না। ইশান পাগলের মতো এপাশ হতে ওপাশ পায়চারি করে যাচ্ছে। অভি কখনোই এমন করে না। বরাবরই একবার কল করলেই তাকে পাওয়া যায়। তবে আজ কি হলো? বিপদে সময় মানুষ পাওয়া মুশকিল। কথাটা সঠিক সেটারই প্রমাণ পাচ্ছে ইশান।
ছাব্বিশ বারের মাথায় ওপাশ থেকে ভেসে আসে মেয়েলি কন্ঠস্বর। যিনি স্পষ্ট ভাষায় বলছে “আপনার কাঙ্ক্ষিত নাম্বারটিতে এই মুহুর্তে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিছুক্ষণ পরে আবার চেষ্টা করুন”
হতাশ হয়ে ফোন খানা কান থেকে নামায় ইশান। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে। চিন্তায় হাত পা মৃদু কাঁপছে। বুকের ভেতর দানা বেঁধেছে ভয়ের দল। সন্দেহের তীর গিয়ে ঠেকেছে নিজ পরিবারের মানুষদের ওপর। নিশ্চয় তারা কিছু করেছে।

কমলা নামের নতুন কাজের মহিলা যাকে ইফতিয়ার পূর্ণতার ওপর নজর রাখতে পাঠিয়েছেন দীর্ঘ দিন আগেই। আঠার মতো পূর্ণতার চারিপাশে লেগে থাকা এবং সমস্ত খবরাখবর ইফতিয়ারকে প্রদান করাই তার একমাত্র উদ্দেশ্য। একটু আতটু বাড়ির কাজেও হাত লাগায় যাতে কেউ সন্দেহ না করে। আজকে তিনি রান্নার কাজে শিউলিকে সাহায্য করে এগোচ্ছিলো পূর্ণতার কক্ষের পানে। সকাল হতে এটা ওটা কাজে ওনাকে আটকে রেখেছিলো মনা এবং শিউলি।
মাঝ পথ হতেই তাকে থামিয়ে দেয় মনোয়ার। তার সাথে যেতে বলে কক্ষে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

কমলার স্বামী এই জমিদার বাড়িতেই দারোয়ানের কাজে নিযুক্ত। একদম নিম্নবিত্ত পরিবারে বিলম্ব করে তারা। নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। তবে সুখের কমতি নেই তাদের সংসারে। দুই পুত্র এবং এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তিন সন্তানের ভরনপোষণের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে পারছে না বলে কমলা নিজ উদ্যোগ কাজ করতে নেমেছে। কমলার স্বামী জালাল বহুবার বউকে বলেছে “বউ তুমি কামে যাইয়ো না। জমিদাররা ভালা না। তোমার ওপর নজর দিবো। আমার সংসার ভাইঙা দিবো। আমি যা কামাই করি তাই দিয়াই নুন ভাত খাইয়া থাকমু। তুমি যাইয়ো না কামে”

কিন্তু কমলা স্বামীর কথা উপেক্ষা করেছে। তিনি ভরসায় রয়েছে ইফতিয়ারের। মনে মনে বিশ্বাস করে ইফতিয়ার তাকে রক্ষা করবে।
মনোয়ার নিজ কক্ষে নিয়ে যায় কমলাকে। দূরদূর বুক কাঁপছে তার। জনসম্মুখে শুনে এসেছে মনোয়ার ভীষণ ভালো মানুষ। জমিদারের এই একটামাত্র পুত্রই মানুষ হয়েছে। বাকি দুটো পশু। তাছাড়া এতোগুলো দিন হলো জমিদার বাড়িতে পা রেখেছে কখনো মনোয়ারকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকাতে দেখে নি। কখনো কোনো মেয়ের সঙ্গেও দেখে নি।
এসব ভেবে মনকে একটু শান্ত করে কমলা।
দরজার সম্মুখে দাঁড়িয়ে কমলা জিজ্ঞেস করে

“সাহেব ডাকলেন কেন?
কাবাড থেকে একটা খাম করে মনোয়ার। এবং কমলার নিকট এসে মৃদু হেসে বলে
“এটা তোমার জন্য। অভি দিয়েছে।
কমলা বুঝতে পারে বেতম দেওয়ার জন্যই ডেকেছিলো। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে খামখানা হাতে তুলে নেয়।
কৃতজ্ঞতার হাসি হেসে চলে যাওয়ার অনুমতি চায়। মনোয়ার বলে ওঠে

“শুনলাম তোমার বড় ছেলে না কি পড়ালেখায় ভালো? কোনো সাহায্য লাগলে আমাকে বলবে। আমি আছি।
ভরসা পায় কমলা। তার বড় ছেলে দুর্দান্ত রেজাল্ট করে বরাবরই। এই-বার জেএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে। তার পড়ালেখার জন্য কোনো টাকাপয়সা নেয় না স্কুল হতে। ইচ্ছে আছে ছেলেকে ডাক্তার বানাবে। জমিদাররা সাহায্য করলে ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন পূরণ হবেই। মনের কোণে মনোয়ারের প্রতি ভালো মনোভাব সৃষ্টি হয়। ভালো মানুষের কাতারে ফেলেন তাকে।

পূর্ণতাকে ভীষণ ভালোবাসে ইশান। তার ব্যাপারে খুবই যত্নশীল। এই ভালোবাসায় লালসা কিংবা মোহ নেই। আছে অফুরন্ত শ্রদ্ধা।
যতক্ষণ না পূর্ণতার হাসিমুখ খানা দেখতে পারবে ততক্ষণ শান্তি লাগবে না ইশানের। এদিকে পূর্ণতার কক্ষে প্রবেশ করতে ইতস্তত বোধ করছে। না জানি কেমন অবস্থায় আছে। সম্মতি না পেলে ঢোকা সঠিক হবে না।
আরও কয়েকবার চেষ্টা করে অভিকে কল করতে কিন্তু বারবারই ব্যর্থ হয়। অবশেষে না পেয়ে এবার মিষ্টিকে কল করে। মায়ের সাথে মার্কেটে গিয়েছিলো সে। ইশানের কল পেয়ে খানিকটা চিন্তিত হয়৷
শিউলিকে এক দোকানে রেখে বের হয় কথা বলতে। কল রিসিভ করে কানে তুলতেই শুনতে পায় ঈশানের ভেজা কন্ঠস্বর

“আপু ভাবি দরজা খুলছে না।
এক মুহুর্ত আর দেরি করে না মিষ্টি। প্রাণপণে দৌড়াতে থাকে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে। মাকে বলার প্রয়োজন বোধটুকুও করে না।

বাংলাদেশ হতে ৫০ জন নারীকে চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে বিদেশিদের কাছে। এসব নারীকে নিয়ে বিদেশিরা বিনা পয়সায় ফ্যাক্টরি কিংবা বাড়ির কাজ করাবে। প্রতি রাতে রক্ষিতার দায়িত্বও তাদের দিয়ে পালন করা হবে।
ব্যাপারখানা এমন সারাদিন সমস্ত কাজ সামলে রাতে মালিকের খাবার হতে হবে।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে দাঁড়িয়ে আছে মুখে মাক্স পড়া এক লোক। দুটো চোখ ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছে না তার। লোকটার পাশে লাঠিতে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে জমিদার সাহেব। মুখে তার কুটিল হাসি। তারও পাশে দুই বিটকেস টাকা ধরে দাঁড়িয়ে আছে দুজন কালো পোশাকধারী গার্ড।

“মেয়েগুলোর হাতে পাসপোর্ট দিয়ে একে একে ভেতরে প্রবেশ করাও ওদের।
মাক্স পড়া লোকটার হুঙ্কারে সকলের পাসপোর্ট হাতে দেওয়া হয়। এবং একজন একজন করে এয়ারপোর্টের ভেতরে প্রবেশ করানো হয় ওদের।
সর্বশেষ মেয়েটি ছিলো বিশ বছর বয়সী। এই মেয়েটির সাথে মাক্স পরিধান করা লোকটির রয়েছে ঘনিষ্ঠ কিছু মুহুর্ত, স্মৃতি এবং দীর্ঘ শ্বাস।
সে ছলছল দৃষ্টিতে লোকটার পানে তাকায়। খানিকক্ষণ সময় নিয়ে দেখে বিলাই চোখ জোড়া। এবং দীর্ঘ শ্বাস ফেলে ধরে আসা গলায় বলে

“আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুক। পৃথিবীর সব সুখ আপনার হোক। অভিশাপ দিলাম না।
অদ্ভুত ভাবে বুক কেঁপে ওঠে লোকটার। হৃদয়ের এক কোণায় চিনচিনে ব্যথা করে।
চিন্তিত হয়ে পড়ে। জমিদার সাহেব লোকটার পিঠ চাপকে বলে
“প্রেমে পাগল হয়ে গিয়েছে। এদের পাত্তা দিতে হয় না। পতিতালয়ের মেয়ে গুলো বিছানায়ই সুন্দর বাড়িতে নয়।
মাক্স ওয়ালা লোকটার হৃদয় হতে কেউ চিৎকার করে বলে ওঠে
“পতিতালয়ে মেয়েরা স্বইচ্ছায় যায় না। আপনাদের মতো কিছু কাপুরুষের দাপটে যেতে হয়।

জ্বর ছেড়েছে পূর্ণতার। মলিন হয়ে গিয়েছে ফর্সা মুখখানা। রক্ত শুকিয়ে ফাটল ধরেছে গোলাপের পাপড়ির ন্যায় নরম এবং কোমল ওষ্ঠদ্বয়। ফুলে ফেঁপেও উঠেছে বেশ। স্তনে বিশাল জায়গা জুড়ে ঘা হয়েছে। কামড়ে ছিঁ ড়ে নিয়েছে যেনো।
বহু কষ্টে উঠে বসে পূর্ণতা। দুই হাতে মুখ ঢেকে হু হু করে কেঁদে ওঠে। অসয্য যন্ত্রণায় শরীর অবশ হয়ে আসছে। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। নরক যন্ত্রণা বুঝি এমন হয়?
দরজায় কড়া নারার শব্দে কান্না থামায় পূর্ণতা। পা টেনে খাট হতে নামে। সাদা বিছানা চাদরে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ।

চাদর তুলে নিজেকে তা দিয়ে মুরিয়ে বাথরুমে ঢুকে পড়ে।
পূর্ণতার কক্ষে পা রেখে হাঁপাতে থাকে মিষ্টি। দৌড়ে এসেছে এক কিলোমিটার। রিকশা অটো কিছুই পায় নি। অগত্য দৌড়েই আসতে হয়েছে গোটা পথ। মাঝ রাস্তায় জুতো ছিঁড়ে গিয়েছিলো। জুতো ফেলে খালি পায়েই দৌড়েছে। বাজে ভাজে পা কেটে গিয়েছে। কিন্তু সেদিকে হুশ নেই তার।
বাথরুম হতে বেরিয়েই মিষ্টিকে দেখতে পায় পূর্ণতা। দরজার সম্মুখে ইশানও দাঁড়িয়ে আছে।
একটু হাসার চেষ্টা করে পূর্ণতা বলে

“জ্বর এসেছে। তাই উঠতে পারি নি।
মিষ্টি চটজলদি পূর্ণতার নিকটে আসে। কপালে হাত ঠেকিয়ে জ্বর দেখে নেয়।।শরীরের তাপমাত্রা এখনো কমে নি। চোখ দুটো টকটকে লাল হয়ে আছে। পূর্ণতাকে ধরে খাটে বসায় মিষ্টি। হাত হতে গামছা নিয়ে মুছে দিতে থাকে লম্বা চুলের গোচ।
ইশান ততক্ষণে চলে গিয়েছে পূর্ণতার জন্য খাবার আনতে।
“তোমার দাভাই এর খবর জানো মিষ্টি?
মিষ্টি সঠিক জানে না। তবে ভোর রাতে দাদাভাইয়ের সাথে বের হতে দেখেছিলো। কথাখানা পূর্ণতাকে বলতে চাচ্ছে না। অভি বলতে বারণ করেছে।

“দেখি নি।
স্পষ্ট এবং সাবলীল ভাষায় বলে ফেলে মিষ্টি। পূর্ণতা ছোট্ট করে বলে “ওহহ”
মনের গভীরে চিন্তারা বাসা বাঁধে৷ কোথায় থাকে লোকটা রাতবিরোতে? কেনো করলো কাল রাতে এমন? শরীর ক্ষুধা এতোটাই প্রখর হয়ে উঠেছিলো? বউয়ের যে পিরিয়ড চলছে সেইদিকেও তার খেয়াল থাকলো না।
ফের অশ্রু জমে আঁখিতে। চটজলদি মুছে ফেলে। বুক চিঁড়ে দীর্ঘ শ্বাস বেরিয়ে আসে।
মিষ্টির ফোন বেজে ওঠে। মৃদু হেসে রিসিভ করে কল খানা। পূর্ণতার হতে খানিকটা দূরে যায় কথা বলতে। পূর্ণতা এক নজর তাকায় মিষ্টির পানে। ইফতিয়ার কল করলে আপনাআপনি মিষ্টির ঠোঁটের কোণে ফুটে ওঠে মনোমুগ্ধকর হাসি। চমৎকার উজ্জ্বল দেখায় মুখমন্ডল। এটাই বুঝি প্রিয় মানুষের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ?
ইফতিয়ারের উত্তেজিত কন্ঠস্বর। যেনো অপ্রত্যাশিত কোনো ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে সে। ঘনঘন শ্বাস টানছে। কথা বলতে পারছে না নিঃশ্বাসের তাপে।
চিন্তিত হয় মিষ্টি। হাস্যোজ্জল মুখখানা মুহুর্তেই কালো হয়ে যায়।

“চৌধুরী সাহেব কি হয়েছে আপনার?
এমন করছেন কেনো?
“ ঠ….ঠিক আ….ছি আমি।
পূর্ণতা কেমন আছে?
“ভালো আছে। আমার সামনেই আছে। দিব্যি হাসছে।
জ্বরের কথা ইচ্ছে করেই লুকায় মিষ্টি। জ্বরের কথা শুনলে ইফতিয়ার পাগল হয়ে যাবে। ছটফট করবে প্রতিক্ষণ। যেটা ভালো লাগবে না মিষ্টির।
মনে মনে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে “আমি কি হিংসুটে হয়ে যাচ্ছি?”
পরমুহূর্তেই আবার মন বলে “নাহয় হলাম একটু হিংসুটে”
অতঃপর ভেসে আসে ইফতিয়ারের কন্ঠস্বর। সে স্পষ্ট ভাষায় বলে

“নিজের ভালোবাসার মানুষটার চোখে অন্য কারোর প্রতি মুগ্ধতা মেনে নেওয়ার ক্ষমতা সবার থাকে না। আমার আছে। প্রতিক্ষণ দেখছি তোমার ভাইয়ের প্রতি পূর্ণতার মুগ্ধতা। হাসি মুখে মেনে নিচ্ছি।
পাবো না জেনেও দীর্ঘ কাল অপেক্ষা করার মনোবলও সকলের থাকে না।
আমার রয়েছে। এক পূর্ণতার অপেক্ষায় সারাজীবন অনায়াসে কাটিয়ে দিতে প্রস্তুত আমি।
কিন্তু তোমার চোখে আমার প্রতি অগাধ ভালোবাসা দেখেছি। পাপের রাজ্য হতে বের হওয়া আকুতি দেখছি।
আমি তো তোমার প্রতি মুগ্ধ। তোমাকে বহুবার জানিয়েছি আমার তোমাকে ভালোলাগে। বহুবার বলেছি আমার হৃদয়ে তোমার স্থান হবে৷ তোমাকে রাজরানি করবো আমার রাজ্যের।

বিনিময়ে চেয়েছি পূর্ণতার নিরাপত্তা এবং তাকে মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি।
তুমি কথা রাখতে পারছো না মিষ্টি।
ধীরে ধীরে প্রমাণ করে দিচ্ছো তোমার শরীরে জমিদার বাড়ির রক্ত বইছে। বাবা চাচাদের মতো নিজ স্বার্থে বিভোর হয়ে উঠেছো। ছিহহহ মিষ্টি ছিহহহ
কল কেটে দেয় ইফতিয়ার। ফোনখানা বুকে জড়িয়ে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে মিষ্টি। নিজের ওপর ঘৃণা হয়। কেনো স্বার্থপর হয়ে উঠছে মন? কেনো?
পূর্ণতা চমকায়। দ্রুত পায়ে এগিয়ে আসে মিষ্টির নিকট। কাঁধে হাত রেখে চিন্তিত গলায় বলে
“কি হয়েছে মিষ্টি? কাঁদছো কেনো?

জবাব দেয় না মিষ্টি। কান্না থামিয়ে তাকায় পূর্ণতার মুখপানে। ঠোঁট এবং গলায় নজর পড়ে। গভীর ক্ষত দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না তার দাভাই ফুলের মতো পবিত্র মেয়েটাকে কষ্ট দিয়েছে। যার ফলে জ্বর এসেছে।
ঈশান চলে আসে খাবার নিয়ে। তরিঘরি করে চোখের পানি মুছে নেয় মিষ্টি। খাটের ওপর রেখে বলে পূর্ণতাকে উদ্দেশ্য করে ইশান বলে

“ভাবি খেয়ে নাও।
তখনই কল আসে ইশানের ফোনে। অভি কল ব্যাক করেছে। অতিদ্রুত কল রিসিভ করে অভি। এবং জিজ্ঞেস করে
“পূর্ণতা ভালো আছে?
ইমন এক পলক পূর্ণতার দিকে তাকিয়ে জবাব দেয়

প্রিয় পূর্ণতা পর্ব ৩৮

“ ভীষণ জ্বর। সেটা জানাতেই কল করেছিলাম।
“ডাক্তার পাঠাচ্ছি আমি। খেয়াল রাখিস।
বলেই কল কাটে অভি। ভীষণ অবাক হয় ইশান। একটুও চিন্তিত মনে হলো না অভিকে।

প্রিয় পূর্ণতা পর্ব ৪০