প্রিয় প্রণয়িনী পর্ব ৫

প্রিয় প্রণয়িনী পর্ব ৫
জান্নাত নুসরাত

দুপুরের খাবার শেষে সবাই যে যার রুমে রেস্ট করতে চলে গেল। ইসরাত ছাদে গিয়ে শ্বাস নিল। মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিয়ে নিজেকে কেমন মুক্ত মুক্ত লাগছে। ছাদের প্রাচীর ঘেঁষে দাঁড়ালো, কোনো জায়গায় রঙ উঠে গিয়ে শেওলা পড়ে গিয়েছে। বাড়ির ছাদ থেকে ফসলের জমি দেখা যায়।ফসলের জমি খালি পড়ে আছে। পিছন থেকে কারোর পায়ের শব্দ শোনে ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে তাকালো ইসরাত।জায়িনের হাতে সিগারেট আর লাইটার দেখে চুপচাপ পাশ কাটিয়ে চলে যেতে চাইলো কিন্তু, তা আর সম্ভব হলো না।

“ডিস্টার্ব করলাম।
” না ভাইয়া। ডিস্টার্ব কেন করবেন?
“না মনে হলো। আমি আসতেই তুমি চলে যাচ্ছ।
” তেমন কিছু না। আমি চলে যেতাম, আপনি না আসলেও।
“তোমার সাথে তো কথা হয়নি, তোমার বিষয়ে বল।
হা হয়ে তাকলো ইসরাত। নিজের বিষয়ে কি বলবে? কোনো প্রশ্ন না করলে! ইসরাত কে চুপ থাকতে দেখে জায়িন জিজ্ঞেস করলো,” এইবার কোন ক্লাসে?
“ডিপ্লোমা করছি।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

” হুম ভালো। কি নিয়ে ডিপ্লোমা করছো? আর সেমিস্টার কত?
“ফেশন ডিজাইনিং। ৭ নং সেমিস্টার শেষ করব এবার। আর কিছু দিন পর পরীক্ষা।
নিশ্চুপ পরিবেশ,দু জন মানব মানবীর নিশ্বাসের শব্দ শোনা যাচ্ছে। ইসরাত জায়িনকে স্পেস দিয়ে নিচে চলে গেল। তার জন্য বেচারা সিগারেট খেতে পারবে না। এটা তো সে মেনে নিতে পারে না।
জায়ান নিচ তলা থেকে চিৎকার করে সবাইকে ডাকছে, ফুচকা খাওয়াতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। রেস্টুরেন্টে যাবে,সবাইকে রেডি হতে বলছে। ইসরাত যাওয়ার জন্য অমত প্রকাশ করলো। জায়ান কাউকে ছাড়ার পাত্র না, বগলদাবা করে সবাইকে নিয়ে যাবে। চিন্তা যখন করেছে একবার এখন সবাইকে নিয়ে এই বাড়ির বাহিরে পা রাখবে।
” জায়িন তুই ও আমাদের সাথে জয়েন কর?
“এই সকল আনহেলথি খাবার আমি খাই না,তুই জানিস? তোরা যা গিয়ে ইনজয় করে আয়!
অনিকা কিছুটা ন্যাকামি করে ডাকল ,

” ভাইয়ায়ায়া।
ইসরাত মুখ বিকৃত করলো,
“এ আবার নতুন নাটক শুরু করেছে।
চোখের পাতা ফেলতে ফেলতে বলল,
“আসো না আমাদের সাথে।অনেক মজা হবে?
নুসরাত শান্ত নয়নে দেখলো অনিকাকে। চুপচাপ তাকিয়ে হাঁটা দিল অনিকার উদ্দেশ্যে। অনিকার মুখের কাছে নিজের মুখ নিয়ে অনিকার উদ্দেশ্যে কানে কানে বলল,”ন্যাকামি করে কথা বলবি না? আরেকদিন এমন করে কথা বলবি এক লাথ দিয়ে কোমর ভেঙে ফেলবো।

রেস্টুরেন্টে টেবিলে সবাই গোল হয়ে বসে আছে। জায়িনের এক পাশে অনিকা অন্য পাশে ইসরাত। জায়িন মোবাইল স্ক্রল করছে। জায়িনের এখানে আসার কোনো ইচ্ছে ছিল না। এসব মেয়েলি জিনিসে তাকে নিয়ে আসার কি প্রয়োজন ছিল? সে বুঝে না! এই জায়ানটা ও হয়েছে মেয়েদের মতো, ফুচকা আবার ছেলেরা খায় না কি? চেয়ার থেকে উঠলো জায়িন। রেস্টুরেন্টের সামনের করিডোরে গেল। পকেট থেকে গ্যাস লাইট ও সিগারেট বের করলো জায়িন। সিগারেট ঠোঁটে গুজে টান দিয়ে ধোঁয়া নাক মুখ দিয়ে বের করলো।

আশপাশ দেখতে গিয়ে কাঁচের দেয়ালের বাহিরে চোখ আটকালো ইসরাতের। হৎপিন্ডের বেগ হালকা বাড়লো।গোলাপি ঠোঁট গুলো কেঁপে উঠলো। হাত দ্বারা হাতে চিমটি কাটলো নিজেকে। নিজের চোখ সংযত করে ফিরিয়ে আনলো টেবিলের উপরে। চোখ নামিয়ে টেবিলের দিকে তাকিয়ে তাকলো।
জায়িনের মোবাইলে কল আসলো। পকেট থেকে মোবাইল বের করার পর ওয়ালপেপারে ভেসে উঠলো “লাভ।
কল ধরে সিগারেট ঠোঁটে গুজলো। ধোঁয়া বের করে বলল,
” হু বল!
“আমি আসছি বেংলাডেশ দু -এক সপ্টাহের মড্যে।
” হু!
বলে জায়িন ফোন রেখে দিল।

বাংলাদেশের ঋতুর এখন ঠিক ঠিকানা নেই। গ্রীষ্ম কালে এখন বৃষ্টি হয়! আর শীত কালে ও বৃষ্টি হয়! আকাশের দিকে তাকিয়ে এসকল চিন্তা ভাবনা করছিল নুসরাত। সকালে রোদের জন্য মাথা ব্যথা শুরু হয়েছে,আর এখন ঝড়ের সাথে বাতাসের জন্য শীত শীত লাগছে। বাতাস দেওয়ার সাথে সাথে কারেন্ট নিয়ে নিয়েছে। এখানে এই এক সমস্যা হালকা বাতাসেই কারেন্ট চলে যায়। রুম অন্ধকার হয়ে আছে। বিকেলের দিকে সবাই ফুচকা খেতে রেস্টুরেন্টে গিয়েছে। নাজমিন বেগম নুসরাত কে যেতে দেননি পেট ব্যথার জন্য। এসব খেলে আরো বেশি পেট ব্যাথা করবে নাজমিনের মতামতে। একা একা বোর হয়ে গিয়েছে বাসায় থেকে নুসরাত।

“আমার মতো একজন ব্যাক্তি কে ছাড়া ওরা চলে গেল।আমাকে নিল না। শালা খবিসের দল। এই কারেন্ট ওয়ালা জানুয়ারটা কারেন্ট নিয়ে এর মধ্যে বসে আছে ভালো লাগে না।
নিজের সাথে নিজেই কথা বলল নুসরাত।
মাঝারি আকারের কার্লি চুলগুলো হাত খোপা করলো। ব্যাগ্গি জিন্স টেনে টেনে পেটের উপর থেকে কিছুটা নিচে নামালো।হাত দুটো উপরে তোলে আড়মোড়া ভাঙলো। জানালার কপাট একটা বন্ধ করে রাখলো,আর আরেকটা খোলা রাখলো,যাতে ভিতরে বাতাস আসতে পারে। বাহিরে মুষুলধারে বৃষ্টি হচ্ছে, দরজার বাহির থেকে নক হলো।
” আম্মা আসছো?
বাহির থেকে উত্তর আসলো না নুসরাত মনে করলো নাজমিন বেগম এসেছেন,”দরজা খোলা আছে আম্মা। ভিতরে আসো।
নিজে নিজে কথা বলল,

“আম্মা ছাদে যাই!
ওপর পাশ নিশ্চুপ।
” আম্মা কথা বলছ না কেন? রাগ করছো,আমি তো কিছু…
বলতে বলতে দরজার দিকে তাকালো নুসরাত! মুহুর্তেই ঠোঁট দুটো থামলো মেয়েটার। অসম্পূর্ণ রইলো গোছানো কথা। দরজার সামনে পকেটে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছে আরশ। মেয়েটার ঠোঁট কেঁপে উঠলো। মুখের কথা মুখের ভিতর রয়ে গেল। নিজ মনে নিজেকে গালি দিল, না দেখে এতো কথা বলার জন্য। কিন্তু সামনের ব্যাক্তির মনোভাব ঠিক বোঝা গেল না। নুসরাত নিজের দিকে তাকিয়ে দেখলো ওড়না গায়ে আছে কিনা। হ্যাঁ আছে ঠিকঠাক!সামনে তাকিয়ে হৃৎপিন্ড কেঁপে উঠলো।

আরশ কিছুটা ঝুঁকে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। কখন কাছে আসলো টের পেল না কেন? বাহিরে বাতাসের বেগ বাড়ল,শনশন করে বাতাস এসে ভিতরে প্রবেশ করে ছুঁয়ে দিল মানব -মানবী কে। আরশ হাত দ্বারা মেয়েটার চুল গুলো কপালের উপর থেকে সরিয়ে দিল। ঘেমে গিয়ে কপালে বিন্দু বিন্দু জল জমা হয়েছে এরই মধ্যে মেয়েটার। আরেকটু ঝুঁকে গেল আরশ, দূরত্ব কিছুটা ঘুচিয়ে দিল, আরেকটু কাছাকাছি গেল,চোখের দিকে তাকালো, নুসরাত ও চোখ বড় বড় করে আরশের চোখের দিকে তাকালো, একজনের নাক আরেকজনের নাকের সাথে ছুঁই ছুঁই। পিছনের দিকে সরে গিয়ে নুসরাত দু ইঞ্চি জায়গা বাড়িয়ে নিল নিজেদের মধ্যে। সামনের দিকে আরো কিছুটা ঝুঁকলো আরশ। চোখ আগের তুলনায় দ্বিগুন বড় করলো।

“চোখ নিচে নামা! বড়দের চোখের দিকে তাকাতে হয় না! জানিস না। চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে আছিস বেয়াদব মেয়ে! তোকে তো দেখছি কেউ ম্যানার্স শিখায়নি।
কাপড়ের দিকে ইশারা করে বলল,
” আর ছেলেদের মতো কাপড় পড়িস কেন? তুই কি ছেলে?তোকে কি কাপড় কিনে দেওয়া হয় না। এরকম ফকিন্নির মতো চেহারা নিয়ে ঘুরিস কেন? আর বাড়িতে এতো পুরুষ মানুষ তোর চোখে লাগে না। এসব কি পড়িস?
শান্ত অথচ গম্ভীর গলায় বলল আরশ।
এতো বড় অপমান সহ্য করার পাত্রী নুসরাত নয়,সে বলল,”নাহ আমার চোখে কোন পুরুষ মানুষ লাগে না!না আমাকে কাপড় কিনে দেওয়া হয় না! আমাকে যেরকম ফকিন্নির মতো দেখতে লাগে আমি ওই রকম ফকিন্নি। বুঝছেন!

কিছুটা থেমে নুসরাত আবার বলল,
অন্যের দোষ ধরতে আসছেন নিজে কি পড়েছেন? ঘরে এতো গুলো বোন রেখে থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট আর ওভার সাইজড গেঞ্জি পড়ে সারা বাড়ি ঘুরছেন। বাহ, নিজের বেলায় ষোল আনা আমার বেলায় চার আনা ও না। মনে মনে গালি দিল নুসরাত,”শালা খবিস,বদমাস!
শ্যামলা বর্ণের মেয়েটার দিকে তাকিয়ে তাকলো আরশ। ওর কাঁধ সমান মেয়ে আর ওর সাথে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করছে। কত ফুট হবে মেয়েটা? ৫’৫ নাকি ৫’৬! হ্যাঁ পাঁচ ফিট ছয় ইঞ্চি হবে! কপালে হালকা টোকা দিয়ে বলল আরশ, “এতো লম্বা কীভাবে হলি? দেশে যখন আসছিলাম তখন তো ইসরাতের কাঁধের নিচে পড়তি। এখন দেখি ইসরাতের থেকে লম্বা হয়ে গেলি। আর নাক উঁচু হলো কীভাবে আগে তো বোঁচা ছিল?
ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করলো আরশ।
আরশের আজগুবি কথা শোনে নুসরাতের মাথা গরম হয়ে গেল। আরশকে ধাক্কা দিয়ে পাশ কাটিয়ে বইয়ের টেবিলের পাশে চলে গেল।

“আপনি এসব আজব কথাবার্তা বলতে আসলে, দরজা খোলা আছে দয়া করে চলে যেতে পারেন।
আরশ চুপচাপ এক পা এক পা করে নুসরাতের দিকে এগিয়ে গেল যেখানে নুসরাত দাঁড়িয়ে।
নুসরাত হাত ধরে মুচড় দিয়ে বলল,
“অনেক সাহস হয়েছে তোর? পাথর দিয়ে মাথা ফাটিয়ে ছিলাম তার চিহ্ন এখনো যায়নি আর তুই আমার সাথে গলা ফাটিয়ে কথা বলিস। তোর এই অভ্যাস টা আমার মোটে ও পছন্দ না। কেউ কিছু বললে সহজে মানতেই চাস না। মেয়ে মানুষ এতো ত্যাড়ামি করিস কেন?
মুখ দিয়ে চুকচুক শব্দ করল আরশ।

হাতে আরেকটু জোর দিয়ে মুচড় দিল এবার। নুসরাত মুচড় খেয়ে উফ শব্দ করলো না, শুধু তাকিয়ে তাকলো উজ্জ্বল শ্যামলা বর্ণের ছেলেটার দিকে,”তুই আগের মতো রয়ে গিয়েছিস রে নুসরাত মার খেলে উফ শব্দ করিস না। তুই আমার হাতে মার খেতে মনে হয় পছন্দ করিস।
হাত ছেড়ে দিল আরশ। দরজার বাহিরে যেতেই নুসরাত নিজের সর্বশক্তি দিয়ে ঠাস করে আরশের পিঠে থাপ্পড় মারলো। এতোক্ষণ চুপ ছিল এই সুযোগের অপেক্ষায়!
আরশ দরজা ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢুকার চেষ্টা করতে লাগলো। মেয়েটার এতো বড় সাহস তাকে মারে
এপাশ থেকে নুসরাত দরজা লাগানোর জন্য ধাক্কা দিচ্ছে আর ওপাশ থাকে আরশ খোলার জন্য ধাক্কা দিচ্ছে।আরশের শক্তি কাছে নুসরাতের শক্তি কিছুই না। দরজা ধাক্কা দিতে দিতে বলল, “হাতের কাছে পেয়ে নেই বেয়াদব! একটা দাঁত জায়গায় থাকবে না। দরজা খুল অসভ্য মেয়ে! বড় ভাইয়ের উপর হাত তুলিস। আজ তোর একদিন কি আমার একদিন?

” এএএ আপনি কি করবেন তা দেখে নেব? বড় বড় কথা বলা বন্ধ করে ভাগুন এখান থেকে। আমি আপনার সাথে মারামারি করতে গিয়েছিলাম,নিজেই এসে মারামারি লাগিয়ে দিলেন? আমার থেকে দূরে থাকবেন না, নাহলে মাথা ফাটিয়ে দিব।
“দরজা খুলতে পারলে তোর কি অবস্থা হবে নুসরাত তুই চিন্তা ও করতে পারবি না?
কাঁধ দিয়ে সর্বশক্তি দিয়ে আরশ ধাক্কা দিল। আরশের এক ধাক্কায় দরজা খুলে গেল রুমের ভিতরে প্রবেশের পূর্বে জায়ান এসে টেনে নিয়ে গেল আরশ কে দরজার সামনে থেকে।
” কি? বাচ্চাদের মতো ঝগড়া করছিস কেন? রুমের দরজা নিয়ে টানাটানি করছিস কেন? হ্যাঁ, দরজা ভেঙে হাতে নিয়ে নিবি নাকি?

“ওই বেয়াদব মেয়ে আমাকে থাপ্পড় মেরেছে ছোট ভাইয়া।
দরজা পা দিয়ে আঘাত করে বলল আরশ,
” এই দরজা খোল? থাপড়ে উপরের পাটির দাঁত সোজা করে ফেলবো।
রাগে চিৎকার করতে লাগলো আরশ। দাঁতের সাথে দাঁত কিড়মিড় করল। কপালে হালকা ঘাম জমা হয়েছে তা হাত দ্বারা মুছে নিল। ঝাকড়া চুলগুলো পিছনের দিকে ঠেলে দিল আরশ।

” ও এমনি এমনি তো আর মারেনি, তুই কি করেছিস সেটা বল?আমি জানি তুই আগে কিছু করেছিস তারপর ও কিছু করেছে। আর তুই ওর রুমে কি করছিস আরশ? নিশ্চয়ই মেয়েটাকে জ্বালাতে আসছিস? ওর থেকে দূরে থাকবি? ও এমনি তোর সাথে ঝগড়া বাঁধিয়ে দিবে এটা আমাকে বিশ্বাস করতে তুই বলিস? আমি তোকে ওয়ার্ন করলাম। ওকে তুই কিছু করলে আমি তোর মাথা ফাটাবো। যে যার নিজের রুমে যাও।
জায়ানকে নুসরাতের পক্ষ পাতিত্য করতে দেখে রাগে দরজায় লাত্তি মারলো। ফোসফাস করে বলল,হাতের কাছে পেয়ে যাই তোকে, তারপর দেখিস তোর কি করি আমি?সাবধানে থাকবি,আমার সামনে পরবি না, পড়লে তোর কি হয় এক আল্লাহ জানে? আমি তোকে আস্তো রাখবো না।

রাগে গজগজ করতে করতে নিজের রুমে চলে গেল আরশ।
ইসরাত নিরব দর্শক হয়ে এতক্ষণ এই সব দেখছিল। সবাই এখানে হাজির হলেও এক ব্যাক্তি এখান থেকে উধাও।
” দ্যা গ্রেট সৈয়দ জায়িন হেলাল।
নুসরাত রুমের দরজা খোলার পর ইসরাত রুমে ঢুকলো।

প্রিয় প্রণয়িনী পর্ব ৪

“কি হয়েছে?
“……..নিশ্চুপ
নুসরাত কে সময় দিল। ইসরাত জানে সময় হলে নিজে থেকে জানাবে নুসরাত। কি হয়েছে আরশের সাথে? চুপচাপ ওয়াশরুমে চলে গেল। বাড়িটা নিস্তব্ধ ছিল এদের ঝগড়ার পর আরো বেশি নিস্তব্ধতা ঘেড়ে বসেছে।

প্রিয় প্রণয়িনী পর্ব ৬

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here