প্রিয় বেগম পর্ব ১৭

প্রিয় বেগম পর্ব ১৭
পুষ্পিতা প্রিমা

হাবীবকে দেখতে চেয়েছিলে কেন রূপা?
পাটের চটের উপর ফুলকলি আর কুমু, টুনুর সাথে বসে খাচ্ছিল অপরূপা। ভাত মেখে লোকমা মুখে তোলার আগেই হামিদার এরূপ প্রশ্নে থেমে গেল সে। ইতস্তত বোধ করলো। বিব্রত মুখটা দেখে খোদেজা ভুরু কুঁচকে তাকালো। মৃদু হেসে অপরূপা জবাব দিল,
সিভানের মতো একটা লোক দেখেছিলাম পূর্বে। মনে হয়েছিল ওটা সিভানের মামা হবে। তাই দেখতে চেয়েছিলাম।
ওহহ। তাই তো বলি রূপা কেন তাকে দেখতে চাইলো। আচ্ছা খাও। আর একটু মাংস দেব?

অপরূপা ঘাড় নাড়ালো।
আচ্ছা, লাগলে বলো। এই ফুলি দেখিস ওর কিছু লাগে কিনা।
জ্বি বেগম।
সিভান রসাইঘরে পা রাখলো। অপরূপাকে দেখে কোমরে হাত দিয়ে গাল ফুলিয়ে বলল,
সুন্দর বউ তুমি আমারে রেখে একা একা খেয়ে ফেলছ?
অপরূপা লোকমা মুখে ওর দিকে চেয়ে রইলো। হামিদা বলল, তোমার রেখে মানে? তুমি তো তোমার আপাদের সাথে খাবে।
সুন্দর বউও তো আপাদের সাথে খাবে।
না আপাদের সাথে খাবে না বলছে ও। ওর নাকি ওখানে বসে খেতে লজ্জা করবে।
অপরূপা ওকে ডাকলো। সিভান ওর পাশে এসে বসলো। অপরূপা বলল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আমি খাইয়ে দেই দুটো?
নাহ। দুটোতে হবে না।
অপরূপা হাসলো। লোকমা তুলে দিয়ে বলল,
আচ্ছা যত খেতে পারো।
হামিদা বলল,
লাই দিচ্ছ। মাথা খাবে তোমার।
অপরূপা হাসলো। শাহানা হেসে বলল,
ভাইজানদের সাথে খাবে না তুমি?
সিভান মজা করে খেতে খেতে বলল,
ভাইজানরা খাওয়ার সময় কঠিন কঠিন কথা বলে। আমার তাদের সাথে বসে খেতে ইচ্ছে করেনা। শোনো বউ, তুমি মামাকে দেখে ওভাবে হেসেছিলে কেন?

সবাই অপরূপার দিকে দৃষ্টি তাক করলো। অপরূপা কি বলবে এখন? এত মিথ্যে আর বলা যাচ্ছে না। সে সিভানের মামাকে রহমান ভেবেছিল! অথচ রহমানের সাথে এতটুকু মিল নেই লোকটার তাই বড্ড হাসি পেয়েছিল।
হামিদা বলল, তুমি বোধহয় ওর হলুদ পাঞ্জাবি দেখে হাসলে। আসলে ও এমনই। ওর পছন্দের রঙ হলুদ, কমলা, তোতা, টকটকে লাল এসব। এত বলি তারপরও শোধরায় না। ওর নাকি এসব রঙ পছন্দ।
কুমু আর টুনুরা সবাই খিকখিক করে হেসে উঠলো। অপরূপা তাদের হাসি দেখে মৃদু হাসলো। সিভান বলল, এজন্য হাসছিলে! আমি মামাকে বলব। মামা আমাকে ডেকে ডেকে জিজ্ঞেস করছে তোমার সুন্দর বউ আমাকে দেখে ওভাবে হাসছিলো কেন?
শাহানা বলল,

আচ্ছা, কেন ওকে সুন্দর বউ ডাকছো? ও কি বউ? ওর তো বিয়েই হয়নি।
অপরূপার ম্লানমুখে ভাত খেতে লাগলো। সিভানকেও খাওয়ালো। সিভান ভাত চিবোতে চিবোতে বলল,
আমি ওকে সুন্দর বউ-ই ডাকবো।
অপরূপা বলল, আচ্ছা ডেকো।
তক্ষুণি শেহজাদের প্রবেশ। গায়ে এখনো রাজকীয় শেরওয়ানি। চোখেমুখে নিদারুণ উৎকন্ঠা।
সে প্রবেশ করতেই আতরের সুগন্ধে ম ম করে উঠলো রসাইঘর। রহমানও ঠিক এমন একটা আতর দিয়েছিল অপরূপাকে। সুগন্ধিটা নাকে এলেই মনে হয় রহমান আশেপাশে আছে।
ঘেমে উঠেছে শেহজাদ। দেখতে অশান্ত, চিন্তান্বিত মনে হচ্ছে । অধীর গলায় বলে উঠলো,

আম্মা একটু গরম পানি দিন । মিঠুর মুখ থেকে রক্ত ঝড়ছে। দ্রুত করুন।
খোদেজা প্রশ্ন করে, কি হয়েছে মিঠুর?
জানিনা কি হয়েছে। ওর মুখে রক্ত দেখা যাচ্ছে।
একটু সময় দাও। পানি দিচ্ছি।
শাহানা আর হামিদা গরম পানি দেয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়লো। ওদিকে ফুলকলিদের খাওয়া বন্ধ হয়ে গেল। তারা আতঙ্কিত চোখে চেয়ে রইলো। শেহজাদ তাদের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি বুলাতে গিয়ে দেখলো অপরূপা পাতের দিকে তাকিয়ে চুপচাপ খাচ্ছে। সিভান তার পাশে বসে হাড্ডি চিবোচ্ছে।

নগরের মানুষকে খাবারের মোড়ক বিতরণ করা শেষ হয়েছে। নগরের উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে মহামান্য ব্যাক্তিবর্গের সাথে সভা বসেছে। সেই সভায়
তিনজন লোক উপহার নিয়ে প্রবেশ করলো মহলের সদর কক্ষে।
হুজুর একটা আর্জি।
শেরতাজ সাহেব বললেন,
বলে যাও। সম্রাট উপস্থিত আছে।
উপহারগুলো নীচে রেখে লোকগুলো হাঁটুমুড়ে বসলো। শেহজাদকে উদ্দেশ্য করে বলল,
সাহেব! বছর কয়েক আগে একডা বিবাহযোগ্যা কন্যার লা*শ পাইছিলাম আমাগো বাড়ির গোয়ালের পিছনে বস্তাবন্দি অবস্থায়। সেকথা হক্কলে জানে। আমার বাড়িতও দুইডা বিবাহযোগ্য কন্যা আছে। এলাকায় ডাকাতের উৎপাত বাড়তেছে দিনদিন। কন্যাদের নিয়া আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতাছি। আমার রাতের ঘুম হারাম হইয়্যা গেছে। আমি আপনের কাছে আমার কন্যা দুইডার ইজ্জতের নিরাপত্তা চাই সাহেব। আমারে ফেরাইবেননা। আমারে যেকোনো একটা ফয়সালা দিন।
শেহজাদ মনোযোগ দিয়ে পুরোটা শুনে বলল,

দুই কন্যাই যেহেতু বিবাহযোগ্য সেহেতু নিকাহ পড়িয়ে দিন। যোগ্য পাত্রের সন্ধান পেলে মহলে এসে হাজিরা দিয়ে যাবেন। সমস্ত খরচাপাতি দেয়া হবে। বিনিময়ে খাজনা পরিশোধ করা থাকতে হবে। কোনো অনৈতিক কাজের সাথে যুক্ত আছেন এমন তথ্য পাওয়া গেলে শাস্তি পেতে হবে। জমিতে উৎপাদিত ফসলাদির বিশ শতাংশ মহলের মজুদঘরে জমা দিতে হবে। যান। এরপরের জন বলুন।
সম্রাটের হাজার বছর আয়ু হোক” বলেই লোকটা নতজানু হয়ে বিদেয় নিল।
এরপরের লোকদুটোকে দেখে সাফায়াত বলল,
ভাইজান এরা একে অপরের প্রাণের শত্রু বলা চলে। গতকাল মারামারি করে একে অপরের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমি তাদের খবর পাঠিয়েছিলাম খাবার বিতরণের পরেই যেন সভায় হাজির হয়। তাই এসেছে।
শেহজাদ প্রশ্ন করলো,
মারামারির বিষয়বস্তু কি ছিল?
লোকদুটো ভীতু দৃষ্টিতে চাইলো। একজন বলে উঠলো,

হুজুর তার পোলা ভেড়াপালে। আমার কন্যারে নিকাহ করবার লাগি পরাণ দিতাছিল। আমি আর আমার বেগম রাজী আছিলাম না। আমার অল্পবয়সী কন্যা দুনিয়াদারির হিসাব বুঝেনা তাই ওই রাখাল পোলার লগে পলাইছে। আমার মাথা গরম হইয়্যা গেছিল তাই আমি এরে গালাগাল করছি, আর এ আমারে মাথা ফাডায় দিছে। আমিও দিছি।
শেহজাদ কেদারায় পিঠে এলিয়ে বসে প্রশ্ন করলো,
কত বয়স কন্যার?
ষুলো বৎসর সাহেব।
শেরতাজ সাহেব বলে উঠলেন, মাথামোটা, চৌদ্দ বছরে মেয়েদের নিকাহ দিচ্ছে আর ষোল বছর কম? তারা সাবালক হয়েছে। নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরা নিতে পারবে।
শেহজাদ বলল,

ওরা একে অপরকে পছন্দ করে?
হ, তাই কয় সাহেব কিন্তু…
কোনো কিন্তু না। ছেলের পিতাকে বলছি আপনি পুত্রবধূকে স্বসম্মানে ঘরে তুলবেন। আর কন্যার পিতাকে বলছি, আপনিও মেয়েজামাইকে সম্মান দিয়ে কথা বলবেন। মারামারি করে যেহেতু দু’জনেরই মাথা ফেটেছে সেহেতু বিচার সেখানেই সমাপ্ত। এর পরের বার যদি এরূপ কোনো খবর আসে তাহলে দুজনের জায়গা অন্ধ কারাগারে। সোজা হিসেব। যান।
ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে লোকদুটো প্রস্থান করলো।
সাদা রঙের পর্দা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছিল মহলের নারীদের জন্য। যাতে তারা ভবন চত্ত্বরে দাঁড়িয়ে নীচতলার কার্যক্রম দেখতে পারে। পর্দা সরিয়ে বিচার কার্যাদি দেখতে থাকা যুবতীদের সাথে অপরূপাও ছিল। সবার সাথে সেও হেসে উঠলো লোক দুটোর পালানো দেখে। তটিনী অপরূপাকে বলল,
তুমিও সাবালিকা। পালিয়ে ভালো কাজ করেছ। দেখো রূপনগরের সম্রাট তা সমর্থন করে। উনার ফয়সালা সবসময় উত্তম হয়।

অপরূপার মুখটা মলিন হয়ে এল।
বিচারকার্য শেষ হওয়ায় অপরূপা তার কক্ষের দিকে পা বাড়ালো। পথিমধ্যে ডাক্তার আবুল ফজলের সামনে পড়ে গেল। খাওয়াদাওয়া শেষে অতিথিকক্ষে আরাম করছিলেন তিনি। হঠাৎ মনে হলো অপরূপার সাথে জরুরি কথা বলার দরকার তাই ছুটে এলেন। অপরূপাকে উনাকে দেখে জিজ্ঞেস করলো,
আমাকে খুঁজতে যাচ্ছিলেন?
হ্যা রূপা। তোমার কি মনে হচ্ছে না তোমার দাদীজানের মৃত্যুটা অস্বাভাবিক? সবটা শোনার পর আমার তেমনটা মনে হচ্ছে।
অপরূপার মনে হলো পৃথিবীটা যেন দুলে উঠেছে।
অস্বাভাবিক!
হ্যা। অস্বাভাবিক। তুমি কাল আমায় বলেছ তোমার দাদীজান পানের সাথে শুকনো ফুলের পাঁপড়িও খেয়েছিল সেইরাতে।

হ্যা, দাদীজান প্রায়ই অমন খেতেন। সেদিন শুকনো ফুল ছিল না দাদীর কাছে । আমি আমার কাছ থেকে দিয়েছিলাম যেগুলো রহমান আমায় দিত।
হ্যা, তারপরের সকালেই তোমার দাদীকে মৃত দেখেছ।
অপরূপা অতি আশ্চর্যান্বিত চোখে চেয়ে বলল, কি বলতে চাইছেন স্পষ্ট করে বলুন।
ফজল সাহেব সোজাসাপটা রহমানের বিপক্ষে কোনো কথা বললেন না শেহজাদের বারণ থাকায়। শুধু বললেন,
তোমার কাছে যে ফুলের মালাটা ছিল সেটাতে আমি কিছু বিষাক্ত জিনিস পেয়েছি যা দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

কি জিনিস পেয়েছেন?
কোকেইন। কোকেইন চেনো?
অপরূপা ভাবান্বিত হলো।
হ্যা। মানুষ পাগল হয়ে যায় ওসব নাকে গেলে।
হ্যা। আর পেটে গেলে মৃত্যু।
কিন্তু ফুলগুলো তো রহমান দিয়েছিল। কেন বিষাক্ত কিছু থাকবে?
সেটা রহমানই বলতে পারবে।
অপরূপাকে বিষয়টা ভাবিয়ে তুললো। রহমান তাকে ভালোবাসে। সে এমন কোনো কাজ করবে না যার কারণে অপরূপার কোনো ক্ষতি হতে পারে।
তুমি ভাবো। তারপর আমাকে জানিও কি বুঝলে।
জ্বি।
ডাক্তার চলে গেল।

যাত্রাপালার শিল্পীরা গতকাল এসেছিল অভিষেক উপলক্ষে। আজ পালা বসবে। মহলের সবাই উত্তেজিত। সায়রা তটিনীরা পরিকল্পনা করছে কে কিভাবে কি পরিধান করে যাত্রা দেখতে যাবে। সাফায়াত এসে জানালো রূপাকেও তাদের সাথে নিয়ে যেতে।
সেইবার যাত্রাপালাটির পর আর কোনো যাত্রাপালায় যায়নি অপরূপা। এবার যাবে। কারণ এবার সাথে স্বয়ং সম্রাটের পরিবারের সাথে যাবে সে। ভয় নেই। ফুলকলির দেয়া নীল সাদা পোশাকটি পড়লো সে। কুমু আর টুনু সাজগোছে ব্যস্ত। কৌটো থেকে কালি বের করে কাজল পড়লো, লিপস্টিক বের করে ঠোঁট রাঙালো। তারপর মাথার চুল ঢাকলো ওড়না জড়িয়ে। অপরূপাকে বলল,
এই আসো। সাজাইয়া দেই। তোমারে আরও সুন্দর দেখাইবো।
অপরূপা হ্যা না বলে বাড়াবাড়ি না করে চুপচাপ ওদের হাতে সেজে নিল। পিতলের হাতলওয়ালা একটা আয়না ওর সামনে ধরে কুমুদিনী বলল,

কাজলচোখী তোমারি দু নয়নে আমি আমারে দেখি!
অপরূপা হেসে উঠে বলল, সুন্দর! এটা কার লেখা?
কক্ষে সায়রা প্রবেশ করতেই তার জবাব দিল,
বিন্দুবাসিনীর লেখক সম্রাট শেহজাদের। বিন্দুর অর্ধাঙ্গ তাকে মুগ্ধ চোখে দেখে বলেছিল,
কাজলচোখী তোমারি দু নয়নে আমি আমারে দেখি।
তোমার অধরো হাসিতে আমার মরণ লিখি।
আমার সারাটা নিশীথে আমি তোমারে রাখি।
শোনো হে কাজলচোখী, আমি তোমারি আঁখিতে আঁখি রাখিয়া পুষি ভালোবাসার পাখি।
আমি শয়নে-স্বপনে তোমারে দেখি, তোমারে আঁকি, তোমারে ডাকি।
কাজলচোখী তুমি জানো কি?
আমি তোমারে আমার মনের ভিতরে বড়ই যতনে রাখি।
অপরূপা মুগ্ধকন্ঠে বলল, চমৎকার। কিন্তু কি হলো শেষমেশ! বিন্দু তো কখনোই তার অর্ধাঙ্গকে ভালোবাসেনি।
কারণ বিন্দু ছিল নিষ্ঠুরপ্রিয়া।
অপরূপা বিড়বিড় করলো, নিষ্ঠুরপ্রিয়া! নিষ্ঠুর কন্যা তাও সে প্রিয়া? এমনও হয়?

কক্ষের দরজার কাছে এসে মিঠু আবারও থামলো। কিছু একটা নিয়ে খেলা করছে, খাচ্ছে।
অপরূপা দেখলো একটি শুকনো গাঁদাফুল। অপরূপা তার কাছে গিয়ে কোলে তুলে নিল। ফুলটা নিয়ে ফেললো। বলল,
আজ আবারও এসেছ?
খরগোশটা মুখ দিয়ে তার হাতে কিছু একটা খুঁজছে। নরম তুলতুলে মুখটা হাতে লাগতেই সুড়সুড়ি লাগলো অপরূপা। সে হাসলো।
তন্মধ্যে শেহজাদ মিঠি মিঠি ডেকে ডেকে পায়ে হেঁটে এগিয়ে আসে। বিদ্যুৎ চলে যায় তখুনি। শেহজাদ লাইটার জ্বালায়। এদিকওদিক চোখ বুলিয়ে সাবধানে পা ফেলে হাঁটে।
অপরূপা মিঠিকে কোলে নিয়ে তার দিকে এগিয়ে যায়। কোমল স্বরে বলে, মিঠু এখানে।
শেহজাদ ঘাড় ঘুরিয়ে অপরূপাকে দেখে আগুনের লেলিহান শিখার আবছা আলোয়। অপরূপা হাসিমুখে বলে,
ও খেলছিল এখানে। আপনার কয়টা খরগোশ?

অনেক। ও মিঠু নয়, মিঠি। মিঠুর বান্ধবী।
বন্ধুকে রেখে ও বাইরে বাইরে কি করছে?
বন্ধুর সাথে রাগ করেছে হয়ত।
অপরূপা হেসে ফেললো।
ওদের আবার রাগ আছে নাকি?
আছে।

প্রিয় বেগম পর্ব ১৬

অপরূপার কোল থেকে মিঠিকে নিয়ে ফেললো শেহজাদ। চট করে লাইটার বন্ধ হয়ে যেতেই অপরূপা কেঁপে উঠলো। শেহজাদ আবারও লাইটার জ্বালিয়ে অপরূপার চুপসে যাওয়া মুখখানা আর মোটা কাজলের আলপনায় আঁকা চোখদুটো দেখে হেসে উঠে বিড়বিড়িয়ে বলল..
আমার বিন্দুবাসিনী!
কাছে তবু শত দূরের তুমি, দূরবাসিনী।

প্রিয় বেগম পর্ব ১৮