প্রেমঘোর পর্ব ১৭
নার্গিস সুলতানা রিপা
সবাই ডিনার করতে বসে…নৌশিনের ফ্রেন্ডরাও ডিনার করছে……আর নিজেদের মধ্যে গল্প করতে থাকে….
“যাই বলিস সাদাদ ভাই আর নৌশিনকে কিন্তু হেব্বি মানিয়েছে……”(আশা)(
“ঠিক তাই…এমনি ই তো আমাদের নৌশিন টা একদম ডলের মতো আর আজ যেমন সেজেছে সাদাদ ভাইয়া তো আবারও প্রেমে পড়ে যাবে….”(রিয়া)
“আচ্ছা,আমি সব বুঝলাম..বাট একটা জিনিস বুজলাম না…”(মুগ্ধ)
“কি বুজলে না তুমি??”(তাহ্না)(মুগ্ধের জি এফ)
“নৌশিনেরর রিশেপশন,ঠিক আছে ও এভাবে সেজেছে!গুড!বাট তোরা সাজলি কেন??তোদের কি বিয়ে টিয়ে নাকি…..আচ্ছা এটাও মানলাম তোদের ফ্রেন্ডের বিয়ে তোরা সাজলি…বাট এই যে এত এত সাদা মেয়ে আসচ্ছে এখানে ওরা কেন সাজছে???এই তোদের সাদা সাদা মেয়েদের ব্যাপার টা আমার মাথায় ডুকে না….”(মুগ্ধ)
“এই…তুমি কি সাদা সাদা করছো…আর নেই পচ্ছন্দ করার মতো মেয়ে তুমি কি করে জানলে???তার মানে তুমি এখানে এসে মেয়ে দেখছো??😡😡”(তাহ্না)(মুগ্ধর জিএফ)
“তাহ্না তুই এখন বুঝলি??আমি তো সেই কখন থেকে দেখছি এই মুগ্ধের নজর টা তোর থেকে অন্য মেয়েদের উপর বেশি..☺☺”(অনামিকা)
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“কিহ্…দেখ তোর যত মেয়ে দেখার ইচ্ছা দেখ…আমার সাথে কোনো দিন কোনো কথা বললে তোর মাথা ফাটিয়ে দিবো আমি”(রাগে গিজ গিজ করে তাহ্না ওঠে চলে যায়)
“ঐ তাহ্না দাড়াও…..”(মুগ্ধও পেছনে ছোটতে থাকে)
“দিলি তো খেপিয়ে মেয়েটাকে….বেচারা মুগ্ধ এখন বিপদে পড়বে…”(রিয়া)
“আরে যেখানে রাগ বেশি সেখানে রোমান্স বেশি রে বুদ্ধু…রাগ উঠিয়ে দিয়ে ভালোই করেছি”(অনামিকা)
“খাবি তোরা নাকি বক বক করে যাবি??”(হৃদয়)
“আরে…দাড়া মুগ্ধ আসুক তাহ্না কে নিয়ে…পড়ে শুরু করি…”(অনামিকা)
“হুম সেটাই বেটার….ওয়েট করি…..তাহ্নার রাগ ভাঙাতে মুগ্ধর দশ মিনিটও লাগবে না…ততক্ষণ ওয়েট করাই যায়..”(রিয়া)
“আমি এই সময় টাতে তখন যে পিক গুলো আপ করলাম দেখতে সেগুলো দেখি….”(আশা)
….আশা পিক দেখছে….আর ঐ দিকে তাহ্না রাগে সেন্টারের বাইরে চলে যায়….পেছন পেছন মুগ্ধও…..
“কি হলো…দাঁড়াতে বলছি না তোমায়…..”(মুগ্ধ)
…তাহ্না হেঁটেই চলছে কোনো কথা শুনছে না..মুগ্ধ দৌঁড়ে গিয়ে তাহ্নার হাতটা ধরে ফেলে……
“ছাড় আমায়…যা তোর সব সাদা সাদা মেয়েদের দেখ…রিশেপশনে কত মেয়ে আছে তো…আমার কাছে কেন আছসিস??”(তাহ্না)
“একটা থাপ্পর দিয়ে না….বেশি বুজো নাকি??”(মুগ্ধ)
“আমি কি করলাম…তুমিই তো বললে😭😭😭”(তাহ্না)
“এই যে…এতক্ষণ রাগে ফুলে বেলুন হয়ে গিয়েছিলা…আর এখন একটু ধমক দিলাম কি দিলাম না বেলুন ফেঁটে জল বের হচ্ছে”(মুগ্ধ)
“তুমি মেয়ে দের দেখো😭😭😭”(তাহ্না)
“কান্না বন্ধ করো……”(মুগ্ধ)
“শয়তান,কুত্তা হারামি,তোর জন্য আমি সারা দিন কত কষ্ট করে কত্ত কত্ত ফ্যাসপেক নিলাম….আর তারপর আসার সময় কত কি করে সাজলাম…তবু তুই অন্য মেয়েদের দেখলি এইভাবে”(তাহ্না)(কান্না করতে করতে)
“ওরে….আমি তো দেখি ই নি…আসলে কি বলো তো!! সাদাদ ভাইয়ের আপুটা কে দেখে না বেশ ভালোবাসতে ইচ্ছা করছিলো…দেখে তো বুজা যাচ্চিলো না বিয়ে হয়ে গেছে…..তারপর আরও কয়েকটা দেখলাম বেশ সুন্দর বাট যাদেরই ভালো লাগলো আমার ওদের সবার হয় বিএফ না হয় বর সাথে এসেছিলো….তোমাকে মে বি সেই সব মেয়েদের চেয়ে কম সুন্দর লাগছিলো-তাই চোখে পড়ো নি”(মুদ্ধ সারা টা ক্ষণ তাহ্না কেই দেখেছে…তবুও ক্ষেপানো জন্য বলছে এইসব)
“এতো খারাপ তুমি…আমাকে এতোই খারাপ লাগছে এখন যে চোখেই পড়ি না আমি….!!ছাড়ো যেতে দাও….তবে তোমার কোনো দিন ভালো হবে না…তোমার ঘরের বউ আস্ত সাতচুন্নি হবে এই বলে দিলাম”(তাহ্না)
“হলে হবে তাকেই মন প্রাণ দিয়ে ভালবাসবো…আদর করবো…আর যাই হোক আমার বাচ্চার মা হবে মেয়েটা ওকে তো ভালবাসতেই হবে….”
“😰😰😰😰😰😰ছাড় তুই হারামি…এই যখন মনে ছিলো আমায় কেন প্রেমঘোরে আটকে দিলি..বল????তুই তো অন্য মেয়েকে নিয়ে সুখে সংসার করবি-বাচ্চা হওয়াবি??আমার পেট খালি থাকবে কেন বল????আমার এতো বড় সর্বনাশ করতে পারলি তুই???”
“এই আমি কবে তোমার সর্বনাশ করলাম???আমি তো কোনোদিন তোমাকে তেমন কিছু করি নি…”
“করিস নি মানে???তুই আমার কত রাতের ঘুম হারাম করেছিস…আমি তোর জন্য কত স্বপ্ন বুনে রেখেছিলাম…কত আশা করেছিলাম আমার এখানে(পেটে হাত দিয়ে)তোর বাচ্চা থাকবে…আর তুই কিনা তোর বউয়ের কথা বলছিস….??ওকে আদর করবি???আমার কপালে এটা ছিলো?😭😲😲নৌশিন কত ভাগ্যবান যাকে ভালবেসেছে ওর বাচ্চার মা হবে…আর আমি যাকে সবটা দিয়ে ভালোবাসলাম তার বাচ্চার মা হওয়া হবে কিনা অন্য মেয়ে….আমি সারাটা জীবন কি করে একা একা বাঁচবো???এটা কি করলি তুই আমার সাথে??কি অপরাধ ছিলো আমার???একটু শ্যামা?কিন্তু ভালো তো বেসেছিলাম অনেক😭😭😭”(তাহ্না)
“আল্লাহ্…রাগে কান্না করলে এত্ত কিউট লাগে…ইশ!!!!”………..হাতটা টান দিয়ে তাহ্নাকে আলো থেকে সরিয়ে নেন মুগ্ধ…তাহ্না কিছু বলার আগেই হাতটা ছেড়ে দিয়ে কমড়ে হাত দিয়ে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নেন….ঘাড়ে হাত দিয়ে মুখটা কাছে আনে ঠোঁট ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়…..তাহ্না ছটফট করতে থাকে…মুগ্ধ থামলো তো….পাগলের মতো কিস করে করতে থাকে তাহ্নার ঠোঁটে-কামড়ে ব্লাশিং করতে থাকে-তাহ্নার দম বন্ধ হয়ে আসছে প্রায়-মুগ্ধ তাহ্নার লেহেঙ্গার উপরের পার্ট টা আরও উপরে তুলে নেন-যেন পেটে হাত দিয়ে পারে…তাহ্না তখনও ছটফট করতে থাকে…মুগ্ধ কমড় থেকে পেটের দিকে ব্লাশিং করতে থাকে….নাভীতে আলতো করে ছুয়ে দিচ্ছে….ঠোঁট চুষে নিচ্ছে-তাহ্নার ছটফটনী কমে গেছে একদম এতক্ষণ মুগ্ধকে সরানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়…মুগ্ধের আদরে হারিয়ে গেছে একমুহুর্তে-শিউরে ওঠে মুগ্ধের ছোঁয়ায়…আকড়ে ধরে মুগ্ধের শার্ট….মুগ্ধ ঠোঁট সরিয়ে নেয়-গালে গলায় কিস করতে থাকে…তাহ্নার শ্বাস এতটাই দ্রুত হয়ে গেছে মুগ্ধ আরও উত্তেজিত হয়ে যায়…তাহ্নার ঘাড়ে নাক ডুবিয়ে দেয়-ইচ্ছে করেই তাহ্নার ঘারে নিজের খোচা খোচা দাড়ি জোরে জোরে ঘসতে থাকে….তাহ্নার সব রাগ কোথায় উবে গেলো….হারিয়ে গেলো কোথায় সে নিজেই….মুগ্ধ তাহ্নার ঘারে আরও খোচা দিতে থাকে…….”উহু……লাগছে”(অস্ফট স্বরে বলে উঠে তাহ্না)
মুগ্ধ এবার তাহ্নার গালে দাড়ি ঘসে দেয়…..”উহু….”(আবারও তাহ্নার অস্পট স্বর)……তাহ্না আর পারছে না….শক্ত করে জড়িয়ে ধরে মুগ্ধকে…মুগ্ধও জড়িয়ে নেয় খুব শক্ত করে…এতটাই কাছে দুজন একসুতা পরিমাণ ফাঁকা নেই….দুজনের বুকের স্পন্দন দুজনে অনুভব করতে পারছে…..এতক্ষণ হয়ে যাচ্ছে দুজন একইভাবে জড়িয়ে আছে….আরও গাড়ি পার্কিং এর শব্দে ঘোর কাটে তাহ্নার…মুগ্ধকে ছেড়ে দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে চায় বাট পারলো না কারণ মুগ্ধ এখনো তাহ্নাতেই ডুবে আছে….তাহ্না হালকা করে ধাক্কা দেয় মুগ্ধকে সরে যাওয়ার জন্য-তাহ্নারও যে সরে যেতে ইচ্ছা করছে না-সারাজীবন এভাবে আটকে থাকতে ইচ্ছা করছে ওর-কিন্তু ওরা যে অন্য কারও রিশেপশনে এসেছে…..”কি হলো…ছাড়ো…”(তাহ্না)
“না….”(মুগ্ধ আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে-চুলের গন্ধ নিতে শুরু করে)….কিভাবে ছাড়ানো যায় ওকে…একটু পরেই তো গেস্ট রা বেরুতে শুরু করবে…উপায় না পেয়ে চিমটি কাটে মুগ্ধের হাতে….”সরো….ছড়ো এবার…”(তাহ্না)
….মেয়ে মানুষের নখ-চিমটি কি কম জোড়ে লাগছে নাকি”!!আর তাহ্না ইচ্ছে করেও আরও জোড়ে দিয়েছে…..মুগ্ধর এবার ছাড়তে বাদ্ধ হয়……”ইশ…..কি হলো এট??”
“যা হওয়ার তাই হলো…কখন থেকে ছাড়তে বলছি…কথা কানে যায় না?”(তাহ্না)
“না যায় না…পেট নাকি খালি থাকবে.???দিবো পেটে কিছু….(চোখ টিপ দিয়ে)(কমড়ে হাত দিয়ে আবারও কাছে নেয়)
…এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে তাহ্নার মুখের দিকে…তাহ্না মুগ্ধের চোখে আর চোখ রাখতে পারছে না-লজ্জায় রাঙা হয়ে গেছে একদম…নিচের দিকে তাঁকিয়ে”ইশ!!কি হচ্ছে??ছাড়ো….কেউ এসে যাবে….”
“এদিকে কেউ আসবে না…করবো কিছু?পেট খালি থাকবে বলে তো অনেক কান্না কাটি করলে একটু আগে….আমার কোনো প্রবলেম নেই দিয়ে দিতে পারি আমি….পেট মে বি আর খালি থাকবে না….রাজি??”(মুচকি হেঁসে)
….তাহ্না লজ্জায় মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে যেন….”প্লিজ ছাড়ো….”
“কেন??যাকে ভালোবেসেছো তার বাচ্চা চাই তো তোমার…আমিও তো ভালোবাসি-ভালোবেসে করে দিই শুভ কাজটা???”(তাহ্না কে লজ্জায় ফেলবেই ছেলেটা-রাগ কিভাবে থাকে সেটাই দেখবে)
“ছিঃ মুগ্ধ…কি বলছো এসব…”(তাহ্না চোখ বন্ধ করে ফেলেছে অনেক আগেই-খুলতে পারছে না লজ্জায়…কি সব বলে চলছে মুগ্ধ)……..
“ও…আমি বলেই ছিঃ,তাই না??আর তুমি যে বলছিলে??”(মুগ্ধ)
“আমি তো আমার স্বপ্নগুলোর কথা বলেছি শুধু….”
“আমি তো স্বপ্ন পূরণ করার কথাই বললাম….”
“এখন তো না….বিয়ের পরের স্বপ্ন এটা….তুমি তো….”
“আমি তো…কি??”
“অন্য মেয়ে পেটে বাচ্চা দেওয়ার কথা বললা…তোমার বউকে আদর করবে,ভালোবাসবে-তোমার বাচ্চাও নাকি ওর পেটেই থাকবে…”
“হুম…যা সত্যি তাই বলেছি…”
“কিহ্……”(কাঁদো গলায়)
“এখন কাঁদলে না এই হোটেলের কোনো একটা রোমে তালা দিয়ে রেখে যাবো-সারা রাত আটকে থাকবা”
“তো কি বলো তুমি??”
“তো তোমার কি এখনি বাচ্চার মা হওয়ার শখ নাকি??”
“এখন কি করে হবো??”
“আমি করে দিবো…”
“এই না…বিয়ের পর…..”
“তো বিয়ের পর পর যে করছো খালি???তাহলে আমি বউয়ের পেটে বাচ্চা দিবো বললাম তাতে রাগ আর কান্নার কোনো মানে আছে নাকি???বিয়ের পর তো আপনি আমার বউ ই হবেন….তো আমি আমার বউকে বাচ্চা দিবো তখন….”
…নৌশিন চোখ খুলে অট্ট হাঁসি দেয়….মুগ্ধর দিকে তাকিয়ে “এই তার মানে তুমি আমার কথায় বলছিলে???☺☺”
“এটা বুজতে এতো সময় লাগে!!! আল্লাহ সারা জীবন সব কিছু এভাবে বুজাতে হবে!!!আগেই রাগা রাগি না করে মাথা খাটানো শিখবা কবে তুমি???”
“সারা জীবনেও শিখবো না…আর আমি কিন্তু প্রথমে এই কথার জন্য রাগ করি নি-তুমি অন্য মেয়ে দেখছো তাই রাগ করেছিলাম বাট পরে এই কথায় আরও বেশি…”
“অন্য মেয়ে দেখছি ই তো…বলছি ই তো সামনে থাকলে দেখবো না….চোখ বন্ধ করে রাখবো নাকি…আর আমি ইচ্ছা করেই জোড়া জোড়া দের দেখছি…কেমন করে বউকে কি করে একটু দেখছিলাম বাট একা কোনো মেয়ের দিকে ইচ্ছা করে দিই নি…কারণ আমার তাহ্না বুড়ি যে আমার নয়ন আটকে রেখেছিলো….যাদের দেখছি ওরা জাস্টট চোখে পড়েছিলো কারণ আমি তো চোখ বন্ধ করে রাখতে পারবো না…কিন্তু তোমার দিকে শুধু চোখ পড়ে নি-অনুভবে আটকে নিয়েছিলাম তোমায়…”
“তাহলে কেন শুধু শুধু রাগও আমায়???”
“আমি কোথায় রাগালাম…নিজেই তো অনামিকার কথা শোনে রেগে গেলো…পরে কান্না শুরু…জোশ লাগে আমার তোমার রাগী চোখে কান্না দেখলে…খুব আদর করে ভুলিয়ে দিতে ইচ্ছে হয়-তাই আমি আরও বেশি রাগিয়ে দিলাম যেন সেই লুক টা দেখে পাগল হয়ে যাই আর আদর করতে পারি….”
“ও….এই কথা….চালাক খুব তাই না…”
“হুম চালাক-তুমি তো বোকা তাই”
“হয়েছে হয়েছে…চলো এবার…ক্ষুদা লাগছে”(তাহ্না)
“কত কিছু দিলাম তবুও খাবা এখন??”(মুগ্ধ)
“হুম….এগুলোতে পেট ভরে নি… মন ভরেছে এখন বন্ধুর রিশেপশনে খেয়ে পেট ভরাবো আমি সিউর সব কয়টা ওয়েট করছে আমাদের জন্য”
“ওকে…ম্যাম চলুন…..”
“দাড়াও…একটু ঠিক ঠাক হও…কি করলাম এতক্ষণ এমন লাল হয়ে ভেতরে গেলে লজ্জায় পরে যাবে…লেহেঙ্গাটা ঠিক করো একটু উঠে আছে একটু…মুখটা মুছো ওয়াটার প্যাক দেখছিলাম তো ব্যাগে-মুখটা তো লাল একদম…”(মুগ্ধ)
…”ইইইই…”(তাড়াতাড়ি করে সব ঠিক ঠাক করে নেয় তাহ্না)
….”বাঁচালে….”(তাহ্না)
“হুম…বাঁচাতে তো হবেই…আমি ই যে মারবো😎😎”
“ধ্যাত চলো তো….”
…..দুজনে ভেতরে চলে যায়….
“আরে…শেষ হলো রাগ অভিমান তোদের….”(রিয়া)
“কি বলে মেয়ে??রাগ নয় বলো রোমান্স….”(অনামিকা)
…সব ফ্রেন্ডরা হেঁসে উড়িয়ে দিচ্ছে একদম…
“এই অনেক হয়েছে…চল প্লিজ খাই এখন… আর সহ্য হচ্ছে না এতো ভালো খাবার সামনে নিয়ে আর বসে থাকতে পারছি না”(আশা)
প্রেমঘোর পর্ব ১৬
…….সবাই ডিনার শুরু করে……
….আর অপর দিকে সাদাদ আর নৌশিন বসে থেকে ক্লান্ত… বিশেষ করে নৌশিন……..