প্রেমঘোর পর্ব ২
নার্গিস সুলতানা রিপা
সাদাদ ডায়েরী পড়তে পড়তে রাত ৩টা বেজে গেছে।ভালোই লাগছিল ওর নৌশিনের সাথে কাটানো দুষ্টু মিষ্টি কথা গুলো মনে পড়ে.।হঠাৎ খাটের দিকে চোখ যায়… দেখলো নৌশিনের আচল টা ওর বুক থেকে সরে গেছে আর বেনারসি টাও পায়ের একটু উপরে হাটুর নিচে হলেও ফর্সা পা টা টেবিল লাইটের অল্প আলোয় কেমন শিউরে তুলছে সাদাদকে।সাদাদ কোনো কিছু না ভেবেই বারান্দায় চলে যায়।(কারণ এখানে থাকলে ও নিজেকে কনট্রোল করতে পারবে না আর..)
অপরদিকে নৌশিনের এই দিন টা নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল বাট ক্লান্ত হয়ে ঘুমাচ্ছে।কিন্তু রাতে এক টানা ঘুমানোর অভ্যাস ওর নেই।খেয়ে দেয়ে ১১টায়ই ঘুমায় সে আবার ১/২টায় উঠে পড়াশোনা করে ৩/৪ টায় ঘুৃমায় আবার ৫.৩০ টায় এলার্ম দেওয়া থাকে ওঠে নামায পড়ে কোরআন তিলাওয়াত করে আবার ঘুমায় একদম ১০ টা পর্যন্ত (মা -বাবা যতই ফেন ওফ করুক বকা বকি দিক কানে বালিশ চেপে ঠিক ঠাক ১০ টায় একদম)
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
অভ্যাসবসত ৩.৩০ টায় হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়…এমনি এমনি অবশ্য ক্লান্ত বলে ঘুম পড়ে ভাঙার কথা কিন্তু সাদাদের ভাইব্রেট করা ফোনের কম্পনে উঠে পড়ে।দেখে রোমে কেউ নেই.. এসি অফ..ফ্যান চলছে তবুও এপ্রিল মাসের গরম তো ফেনে ততটাও কমে না।এত রাতে কিসের নটিফিকেশন ওর ফোনে মনে মনে এটা ভেবেই ফোনটা হাতে নিল..আবির (ওর ফ্রেন্ড)এর এসএমএস”কি রে মামা রাত কেমন কাটে তোর..কি চলতেছে..ভাবী কি ঠিক আছে নাক্কি?….তুৃমি তো কাজ সারলা আমার কিছু করো আমার তো শরীর মন কোনোটাই আর মানে না..কাল ইনটারভিউ আছে একটা তো এত রাতে তোমার কথা মনে পড়ল… বেশি কিন্তু কিছু করো না বুঝলা ভাবী আবার রাগ করবে..আবার কমও করিস না তবে আবার ভাববে তুই পারস ই না যতই হোক লাভ মেরেজ তো বেশি চাওয়া টাই স্বাভাবিক..আমি কিন্তু আগে থেকেই ক্লিয়ার জানাইছি ওরে সব কিন্তু করব এক রাতেই তাই প্রেম করে ইজি রিলেশন করছি না হলে আবার বিয়ের রাতে বলবে” আমাকে আপনার একটু সময় দেওয়া উচিত চেনার জন্য”২৯/২৮ বছর পরে বিয়ে করে রাতে বউ নিয়া ঘুমাবো ব্যাপারটা ঠিক ঠাক না..আচ্ছা চালিয়ে যা তোরও তো লাভ মেরেজই সংকোচ কম কাজ বেশি😛😛”
এসএমএস টা দেখে নৌশিনের কেমন জানি লাগলো.. (ও কি সাদাদকে ইগনোর করলো এই রাতে যতই হোক সাদাদকে একটু হলেও টাইম দেওয়া উচিত ছিল আর কিছু না হোক গল্প করা(মনে মনে))…
আর ওর রো কেমন মনে হচ্ছে বার বার ভাবীর কথা গুলো…কেমন একটা অন্যরকম লাগছে মেয়েটার..শাড়ি পড়া অবস্থায় একবার সাদাদ ওকে দেখে ছিল…ভার্সিটিতে
(ভার্সিটির কোনো একটা প্রোগ্রামে নৌশিন শাড়ি পড়েছিল…সিম্পল একটা শাড়ি।।।সাদাদের সাথে তখন ওর বেশ ভালোই রিলেশন চলে…সাদাদ ওই দিন নৌশিনের থেকে চোখ সরাতে পারে নি…এক সময়.. সাদাদ খেয়াল করেছিল নৌশিনের পেট টা একটু বের হয়ে আছে তাই ও নৌশিনকে সবার আড়ালে নিয়ে কথাটা বলতে যায়…অন্যএকটা রোমে…নৌশিনকে বলে শাড়িটা ঠিক করার জন্য কারণ সাদাদ চায় না নৌশিনের দিকে কারও বদ নজর পড়ুক…আর সাদাদ নৌশিনের কথা মতো ঠিক করা শুরু করলো…মেয়েটা সাদাদকে রোম থেকে সরতেও বলে নি,জাস্ট অন্য দিকে ঘুরে ঠিক করার চেস্টা করছে আর সাদাদও চোখ ঘোরাতে পারছে না…নৌশিন নিজে শাড়ি পড়তে পারে না তাই পিন আপ করে ভালো ভাবে ঠিক করতে পারছিল না তাই আচলের পিন টাও খুলে ফেলেছিল..বাট হিতে আরও বিপরীত হয়ে যায়..শাড়িটা আরও নষ্ট হয়ে যায়..সাদাদ বুঝতে পারে””কি ব্যাপার শাড়ি নিজে পরো নি”
নৌশিন:”নাহ তো.. ”
“আজব কাহিনী ভালোই”(সাদাদ)
নৌশিন:”প্লিজ সাদাদ একটু আশাকে ডেকে দাও না..এভাবে তো বের হওয়া যাবে না”
সাদাদ:ওকে(রেগে)…দরজা ভেতর থেকে লক করো…আমি ডাকলেই খুলবে বা আশা…
নৌশিন;হুম…কিচ্ছুক্ষণ পর সাদাদ আসে..
সাদাদ:Nousin open the door..
নৌশিন দরজাটা খুলে কোনো রকম হাত দিয়ে ধরে রেখেছে শাড়িটা…
নৌশিন:আশা স্টেজে উঠে গেছে ওর ড্রামা পার্ট চলে…অনেক টাইম লাগবে ওর… আর তোমার কোনো ফ্রন্ডকেই দেখলাম নয় আশে পাশে…স্নেহা ছিল বাট এরপর ওর এনকারিং তাই ডাকি নি।।।তুমি যতটা পারো টাইম নিয়ে ঠিক কর আমি বাইরে দাড়ালাম…
নৌশিন ঠিক করার জন্য শাড়ি টানাটানি করাতে শাড়ির কুচি গুলোও নষ্ট হয়ে যায়…এবার কোনো কিছু না ভেবে কান্নাই করে বসে তার আরও একটা কারণ হলো ভয়…সে প্রথম প্রথম সাদাদকে অনেক ভয় পেত..সাদাদ যদি বকাবকি করে এটা ভেবে কান্না করতে থাকে..বাট ওর তো রোম থেকে বের হতে হবে কান্না করলে চলবে না…ওর হঠাৎ মনে হলো “হুম সাদাদ ই একমাত্র অপশন এখন সাদাদ ই হেল্প করতে পারে…না হয় একটু বকা খেল তবুও তো বের হতে পারবে।।
তাই কোনো কিছু না ভেবে..
নৌশিন:সাদাদ…এই সাদাদ
সাদাদ:হুম…হলো তোমার…?
নৌশিন:নাহ😭😭
সাদাদ বুঝতে পারলো ওর গলা শোনে যে কান্না করতেছে..
সাদাদ:কি হলো??
নৌশিন:…
সাদাদ:এই মেয়ে কি হলো..(দরজায় নক করতে থাকে)
নৌশিন কি বলবে ভাবছে।।
সাদাদ:এই মেয়ে…
নৌশিন…..
সাদাদ:ওকে দরজা টা খুলো..
নৌশিন দরজাটা খুললো..সাদাদ দেখে সবটা বুঝতে পারে ও শাড়ি ঠিক করতে না পেরে আরও নষ্ট করে ফেলেছে চোখে মুখে একটা ভয়ের ছাপ…
নৌশিনকে এভাবে দেখে সাদাদ ভিমরি খায়…নাভী টা বের হয়ে আছে… আর এমন সময় সাদাদ কিছু বলার আগেই… নৌশিন:প্লিজ সাদাদ একটু হেল্প করো না😭😭😭
সাদাদ:আরে কান্না করার কি হলো এটা….
বাট নিজে মনে মনে ভাবতেছে কি করবে… নিজেকে কনট্রোল করে শাড়ি ঠিক করতে গেল…
ফার্স্টে কুচিটা দিতে বলে নৌশিনকে…..বাট গুজার সময় আবারও নষ্ট করে দেয় নৌশিনের হাতটা অজানা কারণেই কাপছিল তাই পরের বার সাদাদ নিজই গুছে দিতে যায়…নৌশিনের পেটে চোখ পড়তেই সাদাদ আটকে যায়…নাভী টা ওকে টানছে নৌশিনের কাছে…ও গুজার জন্য নৌশিনের পেটে হাতটা লাগায় গুজতে হলে ওকে আরও ভেতরে হাত দিতে হবে এবং তাই দেয়।। সাদাদ নৌশিনকে প্রথম স্পর্শ করলো ওর সব কিছু গুলিয়ে যাচ্ছে… হঠাৎ নৌশিনের মুখের দিক তাকায়..মেয়েটা আর কান্না করছে না কিন্তু চোখ বন্ধ করে আছে ঠোটে ঠোট চেপে অন্য দিক মুখ করে আছে…সাদাদ এই লজ্জামাখা মুখে আগে কোনো মেয়েকে দেখে নি এভাবে কোনো মেয়েটা যে এতটা অকর্ষণীয় লাগে আজ বুজতে পারল…আচলটা বুকের দিকে ঠিক করে দিল নৌশিন এখন চোখ খুলছে না নৌশিনের নিশ্বাস ঘন হয়ে আসায় ওর গরম নিশ্বাস সাদাদের বুকে পড়তে থাকে আর পিন আপ করার সময় আবারও নৌশিনের বুকে গলায় নজর যায় ওর এবার সাদাদও কনট্রোল রাখতে পারছে না আর নৌশিন কেমন জানি শিহরন দিচ্ছিল…..
সাদাদ পিন আপ করতে যাবে হঠাৎ নৌশিন চোখ বদ্ধ অবস্থায় পাশে থাকা ব্যাগটাকে হাত দিয়ে চেপে ধরে…নিজেরে ঠোট নিজেই কামড়ে ধরে…
সাদাদ আর পাড়ছে না…
সাদাদ পিন আপ করার জন্য আচলের যে অংশটুকু ভাজ করেছিল সেটা খুলে ফেলে….নৌশিনের চোখটা আচমকাই খোলে যাওয়ায় দুজনের চোখ পরে যায় একে অপরের দিকে…
নৌশিন সাদাদকে এভাবে চেয়ে থাকতে দেখে পিছিয়ে যেতে যেতে এক সময় দেয়ালে আটকে যায়..সাদাদ এগুতে এগুতে ওর একদম কাছে চলে যায়..সাদাদ কি করবে নিজেও জানে না…
নৌশিন আবারও চোখ বন্ধ করে নিয়েছিল..
সাদাদ ওর কমড়ে হাত দিয়ে হাতটা আস্তে আস্তে ওর নাভীর কাছে নিয়ে যায়..নৌশিনের ঠোটগুলো কাপতে থাকে…সাদাদ ওর ঠোটে নিজের ঠোট চেপে নেয়…নৌশিন দিশা হারিয়ে সাদাদের শার্ট চেপে নেয়…
সাদাদ নৌশিনের গলায় ঘারে কিস করতে থাকে…নৌশিনকে ওর কোলে তুলে নেয় পাশে থাকা বেডে ফেলে দেয় নৌশিনকে….নিজের শার্টটাও খুলে ফেলে ও…নৌশিনের বুকের ভাজটা খুব ভালোভাবে বুঝা যাচ্ছে…সাদাদ হামলে পরে মেয়েটা ওপর… ইচ্ছা মতো কিস করে ঠোটে গলায় ঘারে…কমড়ের পেচানো শাড়িটাও ছুড়ে ফেলে… নৌশিন সাদাদের পিঠে খামচি দিতে থাকে…সাদাদ আরও পাগল হয়ে যায়..
সাদাদ নৌশিনের ব্লাউজ টাও খুলে ফেলে…/একটা যুবক কি করে এমন যুবতী মেয়েকে দেখে থাকবে আর যাকে ও ভালবাসে/
সাদাদ নৌশিনের বুকের নরম অংশ হাত দেয়… এক পযার্য়ে মুখ নিয়ে যায়…নৌশিনের সব শক্তি শেষ না পারছে কিছু বলতে..না কিছু করতে..
সাদাদ নৌশিনের বুকে হামলে পড়ে…কিস করা শুরু করছে আর তখনি নৌশিন উল্টো হয়ে যায়..সাদাদ আরও উত্তেজিত হয়ে পড়ে নৌশনের পিঠে বিট দিতে থাকে… নৌশিন এবার ছাড়াতে চেস্টা করছে কস্ট করে..
“সাদাদ প্লিজ ছাড়ো..(নৌশিন)
সাদাদ মেয়েটার পিঠে কামড় দিয়ে দেয় জোরে তখন একটা…
আমি আর পাড়ছি না “I want u… I want u….. বলেই নৌশিনের ঘারে কিস করে…
নৌশিন:হাপিয়ে হাপিয়ে বল”সাদাদ আমি অবিবাহিত…”
সাদাদ:বাট আই ওয়ান্ট ইউ ফোল্লি
নৌশিন:”সাদাদ এটা পাপ…আমার চরিত্রের…
(বলার আগের হুপিয়ে কান্না করে দেয়)
সাদাদের নৌশিনের কান্নায় হোস ফিরে…
সাদাদ ওঠে যায়..বাট নৌশিন সে ভাবেই কান্না করতে থাকে….সাদাদ বুঝতে পারে একটা মেয়ের জন্য এটা কতটা হার্ডলেস কাজ.. আর এই চরম ভুলটা ও নিজেই করে ফেলেছে আরও যাচ্ছিল..মেয়েটা ওকে বিশ্বাস করল আর ও…ভাবতে থাকে সাদাদ…
কিন্তু নৌশিনের কান্নার শব্দে ফিরে আসে ভাবনার জগত থেকে..ভার্সিটির অনুষ্ঠান শেষ পর্যায় রাত হয়ে এসেছে ১০ টার মতো…
সাদাদ নিজের শার্ট টা পড়ে নেয়…সাহস নিয়ে নৌশিনের কাছে যায়… ওর কাধে হাত রাখতেই
“সাদাদ আমরা আন মেরিড ছিলাম😰😰😰😰(নৌশিন)
সাদাদ:প্লিজ আমায় ক্ষমা করো… আমি কন্ট্রোল করতে পারছিলাম না আর
নৌশিন:😰😰😰
সাদাদ:প্লিজ..আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি এভাবে কাদবে না প্লিজ আর তোমার ভার্জিনিটি তো আছে তুমি প্লিজ এভাবে ছোট করে দেখ না নিজেকে…তবে আমি নিজেকে কোনো দিন ক্ষমা করতে পারবো না..
নৌশিন:ভার্জিনিটি আছে.. বাট আামার শরীর😞😞😭😭😭
সাদাদ:ওকে ওকে তোমার এটাই তো প্রব ” we r unmarried ”
নৌশিন:😭😭😭
সাদাদ:তুমি কি ভাবছো আমি তোমায় ঠকাবো??তোমাকে বিয়ে আমি করবো না বা তুমি তোমার স্বামীর হর নষ্ট করলে এটাই তো…ওকে হক নষ্ট করলে আমি যতটা করছি আমি আমার টা নষ্ট করছি..ওঠো তুৃমি আর এক ফোটা পানিও যেন না পরে চোখ থেকে …”
সাদাদ নৌশিনকে শাড়িটা ঠিক পড়িয়ে দেয়…বাইরে গিয়ে কাউকে ফোন করে…
নৌশিনকে টেনে গাড়িতে নিয়ে যায়..নৌশিন কোনো কথা বলে নি সে দিন…
সাদাদ ওর বাসার সামনে নিয়ে নৌশিনকে নিজের বাসায় নিয়ে যায়…(বিশাল অট্টালিকা)
….ড্রয়িং রুমে ডুকবে এমন সময় সাদাদ নিজেই নিজের হাত দিয়ে মেয়েটা চুল ঠিক করে দেয়..রুমাল দিয়ে মুখটা মুছিয়ে দেয়..
ড্রয়িং রুমে গিয়ে দেখে..
সাদাদের মা…নৌশিনের ফ্রেন্ড আশা..কাজী সাহেব..সাদাদের বাবা আরও ২ টা লোক..
সাদাদ:আমি তোমাকে আজি বিয়ে করব…
নৌশিন সাদাদের মুখের দিকে তাকিয়ে…..(অবাক হয়ে)
সাদাদের মা”আয় মা বস”
কাজী সাহেব বিয়ে পড়ানো শুরু করেন(সাদাদের বাবা)
নৌশিন কান্না করা শুরু করে…আশা আমার বাবা মা😭😭😭”.(আশাকে জড়িয়ে ধরে)
ওরা পরে তোমার আমার আবার বিয়ে দিবে(সাদাদ)
(সাদাদের বাবা মা কাহিনী জানে না…ওরা ভাবছে ওদের ছেলে মেয়েটাকে তুলে এনে বিয়ে করছে কারণ সাদাদ যা চায় সেটা ও নিবেই যে ভাবেই হোক…সাদাদের বাবা মা সবটা মেনে নিল…
সাদাদ ঔ রাতের ব্যাপারে কাউকে বলে নি কিছু কারণ ও চায় না নৌশিনের দিকে কেউ আঙ্গুল তুলুক…বিয়ে শেষ
কাজী সাহেব চলে যান”
“মা-বাবা আজ আমার বিয়ে হলো কেউ জানবে না শুধু আমরা ছাড়া…মা তুমি ওর বাসায় আমার আর ওর বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাবা যত তাড়া তাড়ি সম্ভব)
আশা তোমারও যেন মনে থাকে…
আশা তুমি থাক না আজ রাতটা আমাদের বাসায় তোমার হোস্টেল তো ওফ হয়ে যায় এত রাতে(সাদাদ)
আচ্ছা(আশা)
আমি কি একটু একা ওর (নৌশিনের সাথে কথা বলতে পারি(আশা)
হুম…(সাদাদ)
নৌশিন যা হয়েছে ভালো হয়েছে সাদাদ অনেক ভালো আর তুই বিশ্বাস রাখ তোর বিয়ে তোর বাবা মা দারিয়ে থেকে দিবে..আর আমি কাউকে এই বিয়ের ব্যাপারে কিচ্ছু বলবো না..হঠাৎ সাদাদ হাটু গেরে বসে পরে”আমি তোমাকে এটা বিশ্বাস করানোর জন্য বিয়েটা করলাম যে,আমি শুধু তোমার,,যে কোনো মূল্যেই তুমি শুধু আমার.. আর তোমার বাবা মা আমাদের বিয়ে দেওয়া না অবদি আমি ভুলে যাব তোমার আমার বিয়ে হয়েছে আমি তোমার বয় ফ্রেন্ড হয়েই থাকবো..স্বামীর অধিকার কোনো দিন চাইবো না যত দিন তুমি না চাও তোমার বাবা মা বিয়ে দেওয়ার পরও না..তুমি যে দিন চাবে ঠিক সে দিন..প্রমিজ ইউ)”…(সাদাদ নৌশিনের বাসা কাছে হওয়ায় ওকে বাসায় দিয়ে আসে..আশা সাদাদের কাজিন(তুবা)এর সাথে থেকে পরের দিন হোস্টেলে চলে যায়…আশা এমন একটা মেয়ে ও কোনো দিন কারও কথার খেলাপ করে না তাই স্বাভাবিক ভাবেই ও বিয়ে টা চেপে যায় শুধুমাত্র এই বিয়ের একটা সাক্ষী হয়ে…)
এটা ৬ মাস আগের কাহিনী..আশা ওর বিয়েটা এমন ভাবে ইনজয় করেছে যেন নৌশিনের সাথে কিছু হয় নি… তাই নৌশিনের অনুরোধে আজও আশাই ওর পক্ষের একজন সাক্ষী হয়েই সাইন করে..আর সাদাদ এই ৬ মাসে ওর সাথে এতটাই বিনয়ী ব্যবহার করেছে নৌশিন সে রাতের একটু ভুলটার কথা আর ভাবে নি(সবার জীবনে কোনো না কোনো সময় হয়তো একটু ভুল হয়..আর স্বামীর হক নষ্টের কোনো প্রশ্ন আসার কথা উঠে নি ওর মনে কারণ ওর ভার্জিনিটি ছিল আর যে ওর শরীরে হাত দিয়েছে সেও উপায় না পেয়েই দিয়েছে যতই হোক ২৮ বছরের একটা ছেলে ভালোবাসার মানুষকে ও ভাবে দেখলে হারিয়ে যাবে এটাই নরমাল)আর সাদাদ তো ওকে ও রাতেই বউ হিসেবে মেনে নিয়েছে…)জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে…এই তিন বিধাতা নিয়ে..কথাটা নৌশিন বিশ্বাস করে আর কোনো দুটানায় থাকে নি…ছোট্ট জীবনটাকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার হাজার হাজার নতুন স্বপ্ন বুনতে থাকে মনে মনে👌👌
সাদাদের সাথে ওর আজকের বিয়েটা সবার সামনে হয়েছে..কেউ জানে না ওরা ৬ মাস আগে বিয়ে করছে..
প্রেমঘোর পর্ব ১
((সাদাদের সেই কথাগুলো ওর কানে বাজচ্ছে…
“ওর নিজের কেমন জানি মায়া হচ্ছে সাদাদের দিকে তাকায় বারান্দায়।।সাদাদ খেয়াল করে নি ও উঠে গেছে….নৌশিন একটা শ্বাস ফেলে))
মনে মনে কাছে যেতে চায় ও সাদাদের আবার ওর ছোয়া চায় স্বামীর পরশ চায় ওর শরীর মন…'”হুম আমি আজ তোমায় অধিকার দিব…হুম আমি চাই আজ(মনে মনে)
((কিন্তু সরাসরি তো বলা যায় না যতই হোক মেয়ে তো))