প্রেমঘোর পর্ব ৭+৮
নার্গিস সুলতানা রিপা
!সাদাদ নৌশিনের সব কথা শুনছে আর ভাবছে”এমন আধুনিক হয়েও কি সুন্দর চিন্তাধারা-আসলে এটাই দরকার….আধুনিকতার নামে অশালীনতা পোষণ করা নেহাতই বোকামী বলতে গেলে এক ধরণের ভন্ডামীও”
“তোমার এই মেনটালিটির জন্য তোমাকে শ্রদ্ধা করতে মন চায় আমার”(সাদাদ)
“ধুর,কি বলো??আমি তোমার বড় আপু নাকি যে শ্রদ্ধা করবা….অনলি বউ সো নো শ্রদ্ধা টদ্ধা….শুধু ভালোবাসা”(নৌশিন)
“ও আচ্ছা…”(মুচকি হেসে)
“জি মাই ডিয়ার”(সাদাদকে জড়িয়ে ধরে)
!সাদাদও নৌশিনকে আগলে নিলো নিজের বুকে!
“এই শোনো না…”(নৌশিন)
“হুম,শুনি বলো”(সাদাদ)
“আমি কিন্তু আজ থেকে রোজ তোমার বুকে ঘুমাবো”(নৌশিন)
“কেন,কেন?”(সাদাদ)(মজা করে)
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
!নৌশিন সাদাদের বুক থেকে মুখ তুলে একটা রাগী মোড নিয়ে”কেন মানে কি???ইচ্ছা তাই শুবো… আমি এখন আপনার ভার্সিটির জুনিয়র না…আপনি এখন ভার্সিটিতে নেই কিন্তু জবে..আর আমি আপনার ঘরের বউ সো র্যার্গের ভয় আর পাই না..এখানে আমিই যার্গিং করবো আপনাকে সো আমার কথায় লাস্ট কথা…আর আমার যা ইচ্ছা তাই করবো..ইচ্ছা হলে সারা রাত ঝগড়া করবো…ইচ্ছা হলে আপনাকে নাচাবো….সো বুকে ঘুমাবো এটাই লাস্ট কোনো কোয়েশ্চেন হবে না…😃”
“বাহ্….সাহসের তারিফ না করে পারছি না…যে দেখলে ভয়ে কান্না করে দিতো তার মুখে এত্ত কথা….বাহ্… তা মিসেস সিনিয়র…”শুধু কি টরচার ই করবেন নাকি ভালোও বাসবেন একটু?☺”(সাদাদ)
“আমি তোমার মতো নাকি যে”অসহায় কাউকে নিযার্তন করবো?”…নিজে তো ফার্স্ট ডে তে ভার্সিটিতে আমায় কান্না করাইছো ইচ্ছা করে”(নৌশিন)
“আরে বুদ্ধু..তোমাকে ঐ যদি ভয় দেখিয়ে না বলতাম”মিস জুনিয়র ছেলেদের সাথে আপনি কথা কম বলবেন..আপনাকে দেখে তো পাকনা পাকনা মনে হয়.. সো এই জাবি তে IBA তে পড়তে গেলে…MBA এর ভাইদের কথা শুনবেন”
আর নিজে তো ভয়ে ভে ভে শুরু করে দিয়েছিলে☺…তবে কান্না করা প্রথম লোকটাতে আরও ফিদা হয়ে গেয়িছিলাম
ফার্স্ট ডে তে সবার সামনে ঐ কথা বলছি..যেন তেমাকে কোনো ছেলে ইভেন ২য় /৩য় বর্ষের ছেলেরা ডির্স্টাব না করে..করার আগে ভাববে যে”সাদাদ ভাই পরে আবার মেয়েটাকে বাঁশ দিবে”সেজন্যই সে ভাবে বলেছিলাম..
কি করতাম প্রথম দিনই যে ভালোবেসে ফেলেছিলাম তাই প্রথম দিন ই আটকে ফেলেছিলাম..যেন আমি ছাড়া আর কেউ সুযোগ না পায়…..☺☺”(সাদাদ)
“হুম..তবুও…আর আমার তো পর থেকে তোমাকে দেখলেই ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যেতো…বাপ রে মনে হতো”আজকে আমি র্যাগ খাবোই” বাট পরে আস্তে আস্তে দেখলাম সবাই র্যাগ খায় একমাত্র আমি ছাড়া কেউ একজন আছে যে আগলে রাখে…পর তো পরই ১ ইয়ার পরে প্রোপোজ ই পেলাম..☺☺…ভয়েই আমি রাজি হয়ে গেয়েছিলাম..ইভেন আমি তো মনে মনে এটাও ভাবে রেখেছিলাম”এই গোন্ডার সাথে শুধু বাঁচার জন্যই প্রেম প্রেম নাটক করে যাবো..তার পর ওর স্টাডি শেষ হলেই আমি সব রিলেশনের বারোটা বাজাবো..”বাট কখন যে আমার মনেরই বারো টা বেজে গেলো..হঠাৎ এক দিন ঔ যে ঝড়ের কারণে লোড সেডিং হলো আর ফোন অফ… সারা রাত একটুও কথা হয় নি.. আমার কেন জানি বার বার মনে হয়েছিল “এই ছেলের সাথে কথা না বললে আমি মরেই যাব…”খালি ওয়েট করা শুরু করলাম -কখন সকাল হবে আর কখন কথা বলবো…. ঐ দিন ই বুজলাম যে গোন্ডাটাকে ছাড়া তো দূরের কথা কথা না বললেই আমার জীবন শেষ….ঐ দিন থেকে আসল প্রেম করা শুরু করলাম”(নৌশিন)
“আমি জানতাম প্রথম দিন তুমি আমাকে ভয়ে ই-হ্যাঁ বলেছো..তবে আমার বিশ্বাস ছিলো -প্রেমে তুমি পরবেই তাই সবটা মেনে যেন প্রমে পড়ো সে ভাবে চলতাম..”(সাদাদ)
“আমার তোমার সাথে রাতে কথা না হওয়ায় কতটা কষ্ট লাগছে-আর তুমি ভার্সিটিতে ডুকার সাথে সবার সামনে কিভাবে বকা বকি করলে”এই মেয়ে..ফোন অফ কেন???ভালো লাগে না কথা বলতে??নাকি অন্য কারও সাথে কথা বলতে চাও -তাই ফোন অফ করে সেটা কানটিনিউ করো??😡😡…”কি যে কষ্ট লাগছে 😞😞 তখন”(নৌশিন)
“আরে মাথা গরম হয়ে গেছিলো..হঠাৎ সারা রাত ফোন অফ পেয়ে ভেবেছিলাম-তুমি আমার প্রেমে আসলেই পড়বা না নাকি -তাই সে ভাবে বলেছিলাম..বাট যে কান্না শুরু করে দিয়েছিলে…সেটা দেখে রাগ আর থাকে নি।। বুজতে পেরেছিলাম ফোন অফ থাকার কিছু কারণ তো আছেই…তাই তো হাত ধরে রোমে নিয়ে গেলাম..”(সাদাদ)
“আমি তখন অনেক ভয় পেয়ে গেছিলাম – আমি ভাবলাম -তুমি মে বে আমাকে রেগে চড় টর কিছু দিবা তাই ফাঁকা রোমে নিয়ে গেছো বা সে সব না করে যদি কিস টিস করো জোর করে-তো ২ টায় আমার জন্য মেনে নিতে কষ্ট হবে তাই কান্নার স্পিড বাড়িয়ে দিয়েছিলাম যাতে তোমার মন গলে যায়…আর রোমে….নিয়ে চেয়ারে বসিয়ে…
“সরি😞😞।।তুমি কেন ফোন অফ করে রেখেছিলে বলো তো-কথা না বলে তো থাকতে পারি না আমি…”(সাদাদ)
“…😭😭😭😭”(নৌশিন)
“বললাম তো সরি..এভাবে বকা দেওয়ার জন্য…”(চোখ মুছে দিয়ে)
“হুম😞😞😭😭😭।।আমি কি ইচ্ছে করে ফোন অফ করে রেখেছিলাম নাকি..অফ হয়ে গিয়েছিল আর সাথে সাথে তো😭😭লোড সেডিং ও…আর তুমি বলো”আমি অন্য কারও সাথে😭😭😭😭😭””(নৌশিন)
“সরি তো আর এমন হবে না…”(সাদাদ)
“😞😞😞”(নৌশিন)
“উমমম্মা…(কপালে)লাভ ইউ সো মাচ”(সাদাদ)
“ছাই😡”(নৌশিন)
“☺☺☺হুম সে যাই হোক এবার তো হাসি মুখ টা দেখি”(সাদাদ)(নৌশিনের গাল টেনে)
“শয়তান..খালি বকতেই পারে☺☺”(নৌশিন)
“না তো ভালবাসতেও পারি”(সাদাদ)
“হয়েছে আমাকে অনেক বকা দিলা তো… তাই এখন আমাকে অনেক অনেক কিছু খাওয়াতে হবে…এন্ড সবার আগে ফুচকা☺☺”
…..ওফফ সে দিন থেকে রিয়েল লাভ শুরু☺☺(নৌশিন)
“হুম তাই তো.. ঐ দিন তোমার মাঝে অনেক পরিবর্তন দেখে আমি সিউর হয়ে গেলাম তুমিও প্রেমে হাবোডুবো☺☺….যেমন প্রথম নিজে থেকে আমার হাত ধরে টেনে ফুচকার সামনে নিয়ে যাওয়া..অথচ তুমি জানতে যে ফুচকার ধারে কাছেও যাই না আমি তবুও ঐ দিন প্রথম আমার কাছে নিজে থেকে খেতে চাইলা তাই না করতে পারি নি…অন্য দিন হলে ফুচকা খাওয়াতাম ই না…”(সাদাদ)
“ইশশশ…..এখন থেকে তো তুমিই ভার্সিটিতে দিয়ে আসবা আর আমাকে রোজ ই কিন্তু ঐ দিনের মতো অনেক অনেক ফুচকা খাওয়াতে হবে”(নৌশিন)
“হুপপপ…ফুচকা আন হেলদি… পচাঁ… একটা অখাদ্য…আর যাই হোক সেই দোকানের সামনে দাড়াতে পারবো না…দরকার হলে রোজ বড় কোনো..”(সাদাদ)
!কথা টা শেষ করতে দিলো না নৌশিন……”না না না…..রোজ ফুচকা..না হলে খবর আছে…এখন কিন্তু আমি বউ-প্রমিকার আবদার না রাখলে বিপদ নেই কিন্তু বউয়ের সব দাবী কিন্তু মানতে হবে…না হলে খারাপ হয়ে যাবে….”(নৌশিন)
“আচ্ছা..আচ্ছা…বক বকানি বুড়ি…এত্ত কথা বলে রে…”(সাদাদ)
“তোমার কি”(মুখ ভেঙিয়ে)(নৌশিন)
“আমার আর কি..তবে ফুচকার অনেক গুন…সেই দিন ফুচকা খাওয়ানোর পর তো মিনিয়াম দশ বার “লাভ ইউ”বলেছিলে””(সাদাদ)
“আরে ঐ দিন তো প্রথম রিয়েল প্রমে পড়েছিলাম তাই আগে যে ভয় পেয়ে “লাভ ইউ”টা বলেছিলাম সেটা ভুলে যাওয়ার জন্য এত্ত এত্ত বার বলেছিলাম কথাটা…আর কি বলো তো- প্রথম প্রেমে পড়ায় দিন টা ছিল একটা বিশেষ দিন আমার কাছে তাই আমার লাইফের সব চেয়ে বিশেষ মানুষের কাছেই আমার সবচেয়ে প্রিয় খাবার টা খেয়ে নিয়েছিলাম”(নৌশিন)
“ওরে.তাই নাকি??☺☺”(সাদাদ)
“হুম – তাই”(নৌশিন)
…আচ্ছা শোনো অনেক গল্প হলো ১০ টা বেজে গেলো তো..তুমি এক কাজ করো একটু ঘুমিয়ে নাও ১২ টা পর্যন্ত.. না হলে বিকেলে রিসেপশনের টাইমে দেখতে আসলেই রোগা রোগা লাগবে..এখনি মুখটা শুকিয়ে আছে….(সাদাদ)
“হুম…কাল তো অনলি টু আওয়ার ঘুমানো হলো তাই এমন দেখাচ্ছে…আর এমনি তো আমি দশটার আগে উঠিই না…☺☺….তবে এখন সেই আরামের ঘুম টা আমার হারাম হয়ে যাবে…শশুড় বাড়ি তো আর দশটা অবদি ঘুমানো যাবে না(একটা বড় শ্বাস ফেলে)(নৌশিন)
“হুম শুধু কি দশটা পর্যন্ত ই ঘুম মিস না কি…রাতেও তো ঘুমাতে দিব নারে”(নৌশিনের কানের কাছে গিয়ে☺☺☺)(মুচকি হেসে)
!নৌশিন লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে রাখে!
“যাও তো☺☺..বেশি বেশি তোমার”(নৌশিন)
“ওম হু…যা সত্যি তাই বললাম”(সাদাদ)
“হয়েছে তোমার সত্যি বলা..হয়ে গেলে আমি শুয়ে পড়ি??”(নৌশিন)
“হুম…আর দেরি করা ঠিক হবে না..ঘুমাও একটু..আমি এসে ডেকে দিবো…ততক্ষণ ঘুমাও”(সাদাদ)
“কেন বের হবে কোথাও তুমি??”(নৌশিন)
“হুম..একটু কাজ আছে বাইরে..বিকেলে তো আর করা হবে না..আবার তো তোমার বাসায়ও যাওয়া লাগবে নাকি আজ.. তাই কাজটা সেরে আসি-এখন না হলে লেট হয়ে যাবে”(সাদাদ ওঠে রেডি হতে হতে কথাগুলো বলছে)
“হুম।।কিন্তু তুমি তো রাতে ঘুমাও নি.. অসুস্থ হয়ে না যাও..আমি তো তবুও ২ ঘন্টা ঘুমিয়েছি”(নৌশিন)
“অসুস্থ হবো না গো রানী..ভার্সিটিতে তো আমিও খালি ঘুম আর ঘুম..বাট এখন জবে এসে রাত জেগে কাজ করতে করতে অভ্যাস হয়ে গেছে..বুজলেন??”(সাদাদ)
“হুম….বুজলাম বাট আসবা কখন??”(নৌশিন)
“কেন???মিস করবে নাকি??☺☺”(সাদাদ)
“আজিব তো… জানতে চাইলাম শুধু… “(নৌশিন)
“হুম হুম…তা জানতেই পারো.. বউ যখন”(সাদাদ)
“তো…. বলো না কেন??”(নৌশিন)
“এই তো ১ ঘন্টার মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে…তখনি এসে যাবো”(সাদাদ)
“তাড়াতাড়ি এসে পড়ো-আর সাবধানে ড্রাইভ করো☺”(নৌশিন)
“তবে এতদিনে আমার যাবার বেলায় সাবধান করে দেওয়ার মানুষ জুটলো কপাল☺”(জোরে শ্বাস নিয়ে হেঁসে)(সাদাদ)
“☺☺”(নৌশিন)
“লাভ ইউ☺”(নৌশিনকে চুমু দিয়ে)
“লাভ ইউ টু জান”(সাদাদকে জড়িয়ে ধরে)
“আচ্ছা-আসি??হুম”(সাদাদ)
“হুম☺☺”(মাথা নাড়িয়ে)(নৌশিন)
“দরজাটা চাপিয়ে ঘুমাও-লক করোও না, পরে বেশি ঘুমিয়ে গেলে ডাকলে তো তুমি আবার জাগতে পারবে না…কেউ আসবে না-আমি বলে যাব প্রাপ্তিকে তুমি ঘুমাচ্ছো তাহলেই বাইরের কাউ কে ঐই রোমে আসতে দিবে না…যতই পাগলী হোক বোন আমার কেয়ার করতে জানে।”(সাদাদ)
“হুম..আল্লাহ হাফেজ এন্ড আসসালামু আলাইকুম”(নৌশিন)(ঠোঁটের কোণে মিষ্টি হাঁসি ফুটে ওঠে মেয়ে টার)(সাদাদ ও মুচকি হাঁসে)
“হুম আল্লাহ হাফেজ…বাট হঠাৎ সামনা সামনি সালাম….আগে তো শুধু ফোনে দিতে-সামনে তো দাও নি☺☺”(সাদাদ)
“হুম..আগে লাভার ছিলে তাই শুধু ফোনে..মানে কম কম শান্তি কামনা করতাম আর কি(দুষ্টু কণ্ঠে)..আর এখন তো স্বামী তাই সবসময় যেন শান্তি বর্ষিত করেন আল্লাহ্ সেজন্য এখন শুধু ফোনে নয় সামনা-সামনিও দিবো….বুজলে মাই ডিয়ার?☺”(সাদাদের নাকে ছুঁয়ে নাক টা নাড়িঁয়ে)
“হুম☺☺☺জান….বুজলাম আর ওয়ালাইকুম আস-সালাম…..উম্মাহ্…কিছু দরকার হলে প্রাপ্তি/ভাবী/আপু তো আছেই আর নাহলে আমাকে ফোন করো…কেমন?☺”(সাদাদ)
“আচ্ছা☺-নো টেনশন”(নৌশিন)
“হুম-রেস্ট নাও একটু এখন-আসছি না হলে লেট হয়ে যাবে আবার☺”(সাদাদ)
“হুম☺☺…হেভ এ সেভ জারনি☺”(নৌশিন)
!!সাদাদ একটা অসীম তৃপ্তি নিয়ে রোম থেকে বেরিয়ে যায়!
!নৌশিনও শুয়ে পড়ে…!
!আর কাল রাতের সেই সময় গুলো ভেবে নিজেকে পৃথিবীর সব চেয়ে সুখী মানুষগুলোর তালিকায় আওতাভুক্ত করে ফেলে☺!
…….ভাবনার জগতে থেকেই মেয়েটা ঘুমিয়ে পড়ে….
……১২ টা বেজে গেছে……..
নৌশিন এখনো বেঘোরে ঘুমাচ্ছে…….সাদাদ এক ঘন্টায় কাজ টা শেষ করতে পারে নি………
বাসায় আসতে আসতে ১২.১৫………
“কী রে প্রাপ্তি???তোর ভাবী ওঠে নি??”(সাদাদ)
“নাহ্ তো…আমি ডাকতে চাইলাম আপু বলল একটু পরে ডেকে দিতে”(প্রাপ্তি)
“ওহ……তুই কি লাগাস??এগুলা কি এতো???”(সাদাদ)
“দেখো না,মেহেদী…”(প্রাপ্তি)
কালকের আগের দিনও তো দিলি আজ আবার….ঢঙ কই খিসতেছিস এতো??”(সাদাদ)
“আম্মু……জেঠি……দেখো ভাইয়া কি বলতেছে আমাকে😡😡………তোমার কি???আমি ১০০ বার দিবো….হাজার বার ঢঙ করবো….😡😡”(প্রাপ্তি)
“থাপ্পর দিবো একটা…..ভাব- কম সাজবি তুই……আর শোন ঐ ছেলেটা কে?? “(সাদাদ)
“কিহ্??”(ঘাবড়ে গিয়ে)(প্রাপ্তি)
“হুম…কম সাজবি….আমি চাই না তোর পিছনে ছেলের এতো লাইন লাগুক…আর সাবধান না হলে থাপ্পর খাবি”(সাদাদ)
“ভাইয়া😞😞😞”(প্রাপ্তি)
“হুম….কাল রাতে ফোন কই ছিলো তোর??”(সাদাদ)
“জানি না।।।মনে ছিলো না…আম্মু সকালে রোমে দিয়ে আসছে”(প্রাপ্তি)….(ভয় পাচ্ছে সাদাদের এমন সব কথায়)…
“ড্রয়িং রোমে ফেলে রেখেছিলি…আর তখন….”(সাদাদ)
…..কেউ আসছে ড্রয়িং রোমে তাই কথাটা থামিয়ে দেয় সাদাদ…….”চল রোমে চল আমার”(সাদাদ)
…..প্রাপ্তি আসলেই অনেক ভয় পেয়ে যায়…..
“ভাইয়া😞😞”(কাঁদো গলায়)
“রোমে আয় কথা আছে..”(বলেই সাদাদ উপরে চলে যায়)
……আল্লাহ ভাইয়া কি বলবে আমাকে😞😞😞।।।।কোন ছেলে….আমি তো কিছু করি ই নি….
ভাবতে ভাবতে সাদাদের রোমের দিকে যেতে থাকে….
….নৌশিন এখনও ঘুমের মধ্যেই আছে……
সাদাদ এসে শার্ট চেন্জ করছে…
প্রাপ্তিও রোমে ডুকলো….
“ভাইয়া….বিশ্বাস করো…আমি কিচ্ছু করি নি😞😞”(প্রাপ্তি)….
/////হুম ঠিক ধরেছেন এই বিচ্ছু মেয়ে সাদাদকে খুব ভয় পায়…..কারণ এই পুরো বাড়িতে একমাত্র সাদাদ ই ওকে মাঝে মাঝে শাসন করে…..//////
“আমি তোকে তো কিছু বলি নাই…ছেলেটা কে??”(সাদাদ)(রাগী চোখে)
“আমি কি জানি নাকি😰😰😰….কোনো ছেলে পিছু নিলে আমি কি করবো….😭😭😭….আমি সত্যি ই জানি না তুমি কার কথা বলছো😭”(প্রাপ্তি)
“কান্না শুরু করলি নাকি😡😡😡….রায়ান কে???ওর এসএমএস দেখলাম কাল তোর ফোনে????বল কে???”(সাদাদ)(ধমকাতে শুরু করে)
……সাদাদের ধমকের শব্দে নৌশিনের ঘুম ভেঙে যায়…..
“কি হলো এসে গেছো…ডাকো নি কেন??”(নৌশিন)(ঘুমস্বরে)
….নৌশিনের কথা সাদাদ খেয়াল করে নি…..
……”কি হলো???Ans me….😡😡….Who is Rayan???”(সাদাদ)
….নৌশিন এতক্ষণে ভালো করে চোখ খুলে দেখলো-সাদাদ প্রাপ্তিকে বকছে আর প্রাপ্তি কান্না করছে….
…..তাড়াহুড়ো করে ওঠে প্রাপ্তির কাছে যায়…..
“কি হলো কাঁদছো কেন??”(নৌশিন)
“ভাবী…..ভাইয়া ভুল বুঝছে আমায়😰😰😰…”(প্রাপ্তি)
“কি বললি???আমি কি তোর মতো বাচ্চা নাকি যে তোকে ভুল বুঝবো??বল রায়ান কে???”(সাদাদ)
“😭😭😭😭😭”(প্রাপ্তি)
“আহ্….সাদাদ প্লিজ….এমন করে কেন বলছো ওকে???স্টপ দিস প্লিজ”(নৌশিন)
“ভাবী😭😭😭…রায়ান আমার ক্লাসমেট….ও কিছু দিন আগে আমাকে প্রপোজ করেছিলো কলেজে কিন্তু আমি সাথে সাথে ওকে না বলে দিয়েছি😭😭😭”(প্রাপ্তি)
“মানে কি সাদাদ????তুমি এই জন্যে ওকে বকছো….আর্শ্চয তো “(নৌশিন)
“তুমি চিনো ওকে???এই বয়সেই বেশি পেকে গেছে অনেক টা…কেউ কিছু বলে না তাই ওর সাহস বেড়ে চলেছে দিন দিন”(সাদাদ)
“তো তোর ক্লাসমেট….কালকে ঔ সব এসএমএস করলো কেন??”(সাদাদ)
“ভাইয়া….আমি কি করবো বলো তো….ও তো আগে আর আমাকে প্রপোজ করে নি তাই না??…ক্লাসমেট ই আমার তাই ফোন নম্বর ছিল ওর কাছে….আর আমি তো সকালে দেখতে পারি যে রায়ান এসএমএস করছে…বাট ভাবী আমি রিপ্লে দিই নি”(প্রাপ্তি)
“ওকে পরের বার বলবি যেন তোর সাথে কোনো কথাবার্তা না বলে”(সাদাদ)
….. প্রাপ্তি আর এক মুহুর্তও দেরি না করে দৌড়ে চলে যায় নিজের রোমে…..
“প্রাপ্তি শোনো….এই প্রাপ্তি….প্লিজ আপু…”(নৌশিন)
…..পিছু ডাকতে থাকে….কিন্তু প্রাপ্তি না শোনে নিজের রোমে যায়……
“কি হলো এটা সাদাদ???তোমার না সবার সাথে রাগারাগি করা একটা বাজে অভ্যাস হয়ে গেছে….ধুর মেয়েটা কিভাবে কান্না করতেছে”(নৌশিন)
“বাদ দাও ওর কথা…”(সাদাদ)
“কেন বাদ দিবো….আর রায়ান যদি ওর ফ্রেন্ড না হয়ে বফ ও তোমার আপত্তি কি তাতে???নিজেও তো রিলেশন ই করেছিলে….তবে???(নৌশিন)
“সেটা না নৌশিন….বোন রিলেশন করলে আমার আপত্তি নেই….কিন্তু ও এখনো সে ভাবে রিয়েলিটি কিছুই বুঝে না…দুই দিনে ই তুমি বুঝে যাবা সেটা……আর দেখলে তো সকালে একটু হলেও বুঝছে হয়তো কতটা আবেগী ও…..একটু বেশি বকবক করে বাট বুঝে কম….যে কেউ ওকে এক চুটকি তে ঠকিয়ে চলে যাবে ও বুঝবেও না…তাই আমি চাই ও আগে নিজেকে চিনুক…বুঝুক…তার পর বাকী সব…কেবল তো স্টার্ট লাইফের…অনেক সময় আছে”(সাদাদ)
“তাই বলে…তুমি ও ভাবে ধমকাবে…কতটা খারাপ লাগছে ওর বলো তো….এই ভাবে না বললেও হতো….সাধারণ ছিল বিষয় টা “(নৌশিন)
…….”হুম ছিল তো…..(নৌশিনের কাছে এসে)….একটু ধমকাবো কান্না করবে তাতে তো মজা তাই না??”(সাদাদ)
“অদ্ভুত….এটা কোনো কথা???”(নৌশিন)
“ও হাতে দেখলাম হাফ মেহেদি দিয়েছে…..আর তুমি যে ভাবে বললা….রিসেপশনে মেয়েটার মুখ ভার থাকবে….আজকে না করলেও পারতা কাজটা”(নৌশিন)
“আরে মাথা গরম হয়ে গেছিলো….রায়ানকে তো চিনি ই আমি….আসার টাইমে দেখলাম বাসার সামনে ই দাড়িয়ে আছে….তাই মাথাটা চটে গেছে…আর এসে প্রথমে প্রাপ্তি কেই পেলাম বাসায়…. তাই আর কি”(সাদাদ)
“আচ্ছা….ওকে…ওর রোম কোনটা?আমি ওর কাছে যাচ্ছি”(নৌশিন)
“কেন??কি দরকার???”(সাদাদ)
“ওফফ….বিকেলে অনুষ্ঠান…এখন না সামলালে তখন ও মোড ওফ থাকবে মেয়েটার….আর আমি সেটা চাই না”(নৌশিন)
“ওপরে ই ওর রোম….ডান দিকে যাবা….দরজাটা ব্লু গ্লাস করা… সেটা ই”(সাদাদ)
“ওকে আমি আসছি”(নৌশিন)
…..সাদাদ নৌশিনের হাত ধরে ফেলে”থাকুক না…..বাদ দাও…ওর মন খারাপ জাস্ট পাঁচ মিনটেই ওবে যাবে”(সাদাদ)
“তবুও”(নৌশিন)
“আমার কি হবে,আমি তো ভাবছি এক সাথে ফ্রেস হবো দুজনে☺☺….বাট”(সাদাদ)
“আস্ত একটা শয়তান তুমি….ছোট বোনটাকে ওভাবে কাঁদিয়ে এখন আমার সাথে ঢঙ হচ্ছে….গেলাম আমি”
“হপপপ….. যাও আর তাড়াতাড়ি এসবেন পাড়লে”
…………….নৌশিন প্রাপ্তির রোমের সামনে……….
“প্রাপ্তি….আপু দরজাটা খুলো না প্লিজ….”(নৌশিন)
“বোন প্লিজ…আমি বলছি তুমি আমার কথা শোনবে না বলো???”(নৌশিন)
….দরজা খুলে দিলো নৌশিন…..
“এ মা….প্রাপ্তি এখনো কাঁদছো…..এমন করো না বোন….তোমার ভাইয়া একটু রেগে ছিলো তো তাই-তোমার সাথে এমন বিহেভ করে ফেলছে”(নৌশিন)
“সে যাই হোক…বকতেই পারে ভাইয়া।।।।কিন্তু জানো ভাবী-আমি আজকে বুঝলাম যে ভাইয়া আমাকে একটু বিশ্বাস করে না😭😭😭…যদি করতো তাহলে আমাকে এমন করে বলতো না….😭😭😭”(প্রাপ্তি)
“এই নাহ্….এমনটা না…তুমি তো চিনো তোমার ভাইয়াকে বলো….ও একটু রাগী ই তো”(নৌশিন)
“হুম রাগী…বাট আজ তো বুঝলাম আমাকে মিনিমাম বিশ্বাসটুকু ভাইয়া করে না…আচ্ছা আমি যদি রিলেশন ই করতাম রায়ানের সাথে তো ওর এসএমএস এর আন্সারগুলো তো দিতাম নাকি???…বলো???…ভাইয়া কাল রাতের এসএমএস দেখলো তো আগের গুলোও দেখেছে তো অবশ্যই…আমি এসএমএস একটাও ডিলেট করি নি….সেগুলোরও তো কোনো আন্সার দেই নি আমি…ইভেন আমি ওর সাথে সেভাবে কথাই বলি না…আর ওই দিন কথাটা বলার পর তো একদম ই না”(প্রাপ্তি)
“না…তোমার ভাইয়া অনেক বিশ্বাস করে তোমায়….বাট দেখো তুমি তো অনেক ছোট তাই তোমার ভাইয়া চায় না তুমি এখনি কোনো রিলেশনে যাও তাই আর কি”(নৌশিন)
“😰😰😰😰”(প্রাপ্তি)
“হুম…..আর এক ফোঁটাও চোখের পানি যেন না পড়ে…আর দেখি-মেহোদী এমন হাফ কেন?”(নৌশিন)
“দিচ্ছিলাম ই তো তখন ই ভাইয়া এসে শুরু করলো😰”(প্রাপ্তি)
“ওকে…ব্যাপার না-তুমি যদি চাও আমি হেল্প করতে পারি?☺”(নৌশিন)
“না আমি দিব না আর..আর আমি এখন ঘুমাবো-তুমি যাও”(প্রাপ্তি)
“এখন ঘুমাবা মানে কি???বিকেলে তো অনুষ্ঠান-তুমি থাকবা না আমার পাশে??”(নৌশিন)
“তোমার পাশে তো তোমার বর ই থাকবে তখন-কত্ত লোক আসবে…আমাকে দিয়ে কি হবে😞?”(প্রাপ্তি)
“এই পাকা বুড়ি…এবার আমি বকবো কিন্তু…”(নৌশিন)
……নৌশিন লেট করছে তাই সাদাদ নিজে থেকে ই প্রাপ্তির রোমে আসে……
“এখনো হয় নি তোমার?ফ্রেস হবা কখন…আপু তাড়া দিচ্ছে তো-গোসল সারো এরপর তো পার্লারের লোক চলে আসবে…আবার সবাই মিলে সেন্টারে যেতো হবে….”(সাদাদ)
“হুম..কিন্তু ও তো বলছে ও এখন ঘুমাবে”(নৌশিন)
“১ টা বাজে প্রায়…আর দিনে কবে ঘুমাস তুই??যা রেডি হওয়ার জন্য যা যা করা দরকার কর”(সাদাদ)
“আমার মাথা ব্যাথা..আমি যাচ্ছি না”(প্রাপ্তি)
“তোমরা যাও…আর সেন্টার তো দূরে না..বাসার পাশেই ব্যাথা কমলে ঠিক কমে যাব”(প্রাপ্তি)
“ওহ্ তোর মাথা ব্যাথা..তবে এক কাজ কর মাথাটা আজকেরর জন্য খুলে রাখ একটু…আর রেডি হতে থাক”(সাদাদ)
“☺☺☺☺”(নৌশিন)
“আমি যাব না-বললাম তো”(প্রাপ্তি)
“তাহলে আমিও যাচ্ছি না…”(নৌশিন)
“কিহ্??”(প্রাপ্তি)
“তুমি না গেলে অনুষ্ঠান হবে নাকি….বৌ-ভাত ই তো বাদ হয়ে যাবে”(প্রাপ্তি)
“তো তুমি গেলে ই আমি যাবো না হলে সব কেন্সেল”(নৌশিন)
“এটা কিন্তু ব্ল্যাকম্যাল করছো আমায়”(প্রাপ্তি)
…নিচে কলিং বেল বাজচ্ছে…..
“কি ব্যাপার কখন থেকে বেল বাজছে-সবাই কোথায়…কেউ ই খুলছে না কেন?”(সাদাদ)
“সবাই মে বে ছাদে…কাজ করছে মনে হয়…”(নৌশিন)
“হুম….ছাদে সবাই-আম্মু যাওয়ার সময় বলে গেছে তাই তো নিচে বসে ছিলাম-আর তখনি ভাইয়া😞”(প্রাপ্তি)
“আচ্ছা…আমি খুলছি-তোরা তোদের কাজ কর”(সাদাদ)
“এই না…দাঁড়াও-তুমি যাবা না,প্রাপ্তি তুমি যাও…তোমার ভাইয়ার সাথে দরকার আছে আমার”(নৌশিন)
“ওকে..😞😞😞…যাচ্ছি”(প্রাপ্তি)
….প্রাপ্তি নিচে চলে যায়…..
….সাদাদ আর নৌশিনও নিজেদের ঘরে চলে যায়….
“কি দরকার বললা??”(সাদাদ)
“নাহ এমনি প্রাপ্তিকে পাঠানোর জন্য ই সেকথা বলেছিলাম”(নৌশিন)
“তা কেন পাঠালে-রোমান্স করবে নাকি??☺”(সাদাদ)
“ধুর-তোমার না খালি রোমান্স……দেখ প্রাপ্তি আসবে আমাদের রোমেই তখন বুজবে কেন ওকে পাঠালাম”(নৌশিন)
“আচ্ছা☺☺….তখন যা জানার জানবো…আগে তো তোমাকে জানি”(সাদাদ)(পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে)
“ছাড়ো….কি করছো☺”(নৌশিন)
“উমম…..যা করার তাই করছি”(সাদাদ)
…..সাদাদ নৌশিনের ঘারে অসংখ্য চুমু দিতে থাকে…..সাদাদ একদম ঘোরে চলে যায় নৌশিনকে কাছে পেলে……নৌশিন চোখ বন্ধ করে সাদাদের আদরে মতোয়ারা হয়ে যাচ্ছে……তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে বলল
“কি গো…ছাড়ো না….আবার কিন্তু দরজা খোলা…..”(নৌশিন)
…সাদাদের সে দিকে হুশ নেই….
“প্লিজ ছাড়ো…”(নৌশিন)
“উমমমম……না”(সাদাদ)
“আমি গোসল করে রেডি হবো তো নাকি…..১ টা বাজে তো”(নৌশিন)
“ওফফফ….তোমার খালি বাহানা কেন??”(সাদাদ)(নৌশিনকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে)
“আহা রে…..মি.বর সব সময় কি আপনি এইভাবে ই আটকে থাকবেন নাকি আমার সাথে”(নৌশিন)
“হুম…থাকতে তো চাই বাট আপনার তো কত রকমের বাহানা…”(সাদাদ)
“দরজাটা খোলা ছিলো…ছাদ থেকে নামার সময় কিন্তু সবাইকে এই রোমের সামনে দিয়েই নিচে যেতে হবে…দেখলে কি হতো???”(নোশিন)
“দেখলে দেখতো…আমার বউ আমি আদর করছি তাতে কার কি..”(সাদাদ)
“যা…তুমি না যা তা একদম…”(নৌশিন)
……..”ভাবী, ভাবী….”(প্রাপ্তি)…..দৌড়ে আসছে নৌশিনের রোমের দিকে…
“বলেছিলাম না আসবে…?”(নৌশিন)
“হুম….আমার তো কাজ নাই তাহলে…একটু হাত পা মেলে শুই আমি…গোসল সেরে নিও তারপর আমি সারবো”(সাদাদ)
“ওকে☺☺”(নৌশিন)
প্রাপ্তি দৌঁড়ে এসে নৌশিনকে জড়িয়ে ধরে ঘোরানো শুরু করে……”ভাবী u r great…..ummmmmaaahhaa…ummhhhaa”
“এই তোর কি হলো”(সাদাদ)
“কি হলো…আস্তে পড়ে যাব তো☺”(নৌশিন)
…প্রাপ্তি আরও জোড়ে ঘুড়াতে থাকে…
“কি রে বাবা….এতো খুশি….??ছাড়ো এবার..না হলে সত্যি সত্যি ই পড়ে যাব”(নৌশিন)…এতক্ষনে ছাড়লো…
“ওফফ…দম বন্ধ হয়ে গেছিলো প্রায়…তোমার ভাইয়াও তো এতো জুড়ো জড়িয়ে ধরে না যে ভাবে তুমি ধরলা☺”(নৌশিন)
….কথাটা বলেই জিহ্বায় কামড় দিলো..কি বলল এটা…সাদাদ চোখ বড় বড় করে তাঁকিয়ে আছে নৌশিনের দিক….প্রাপ্তি তো হাসতে হাসতে ই শেষ…
“ভাইয়া কি ভাবে ধরে জানি না।।।তবে তুমি ভালো জানতাম বাট এতো ভাল সেটা জানতাম না”(প্রাপ্তি)
“কি ব্যাপার তোর??এতো খুশি কেন?একটু আগেই তো কান্না করছিলি?”(সাদাদ)
“তোমাকে বলার প্রয়োজন মনে করছি না আমি😒😒…তুমি আমাকে মিনিমাম বিশ্বাস টুকু করো না ভাইয়া😞….তো আমার খুশি/মন খারাপের কারণ কেন শেয়ার করব তোমার সাথে😞😞?”(প্রাপ্তি)
….সাদাদ বুঝতে পারে বেশি রিয়েক্ট করে ফেলেছে আজ বোনটার সাথে তাই কষ্ট পেয়ে বলছে এই সব….
“কিহ্….কথা তো ভালোই শিখছিস”(সাদাদ)
“হুম….তোমার ই তো বোন😞”(প্রাপ্তি)
“আহ্….আবার শুরু হলো তোমাদের….আর এই মেয়ে কে বলেছে তোমার ভাইয়া তোমায় বিশ্বাস করে না??একটু বেশি রেগে গিয়েছিলো তাই…প্লিজ আর মন খারাপ করো না”(নৌশিন)
“এইদিকে আয়..☺”(সাদাদ)
……প্রাপ্তি নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে……
“কি হলো যাও….ডাকছে তো তোমার ভাইয়া☺”(নৌশিন)
“আসতে বলছি কাছে…আমি ঔঠে গেলে তোর কাছে একটা কান মলা খাবি কিন্তু”(সাদাদ)
…..প্রাপ্তি সাদাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়….সাদাদ শোয়া থেকে ওঠে বসে…..
“বিশ্বাস করি না তোকে????কে বলছে???”(সাদাদ)
“তুমি যদি বিশ্বাস করতে তাহলে ওভাবে বলতে নাকি?😞”(প্রাপ্তি)
“থাপ্পর চিনিস?”(সাদাদ)
“বা রে…এতক্ষণ বকলে এখন আবার মারবে😞😞….আচ্ছা ছেলেরা যদি আমার পিছনে ঘোর ঘোর করে তো আমার কি করার আছে…আমার তো আর তোমার মতো জিম বডি না যে পিটাবো”(প্রাপ্তি)
…..নৌশিন দূরে দাঁড়িয়ে মুচকি হেসে চলেছে ওদের কথা শোনে……
“তোর পিটাতে হবে না তুই শুধু বলবি…বাকীটা আমি দেখে নিব”(সাদাদ)
“এই তুমি আবার রায়ানকে পিটাবে না তো….??”(প্রাপ্তি)
“আরে….ও তো তোর মতো ই বাচ্চা…কই পিটাবো ওরে শরীরে আছে কি ওর???😃😃”(সাদাদ)
“এখন দেখা হাতটা দেখা….কেমন মেহেদী দিলি!!”(সাদাদ)
…হাত বাড়িয়ে…”দেখ কি দেখবা…হাফ দিয়ে ই তো ধুয়ে আসলাম তুমি কেমন করতেছিলা😞”(প্রাপ্তি)
“এখন যা….এটা বাকীটা ঠিক কর নাহলে বাজে দেখাবে…”(সাদাদ)
“ঠিক করে কি হবে??আমি তো যাব ই না”(প্রাপ্তি)
প্রেমঘোর পর্ব ৫+৬
“এই মেয়ে…এইবার আমি তোমাকে মারবো…..কেন যাবে না তুমি??”(নৌশিন)
“কি করে যাব…ভাইয়া তো সরাসরি না বলে দিয়েছে আমি যেন না সাজি…😞😞…তো সেখানে কত্ত লোক আসবে আমি যদি এভাবে যাই-আমাকে খেত খেত লাগবে…..আর আমি চাই না আমাকে দেখে কেউ মজা নিক,তাই না যাওয়া ই ভালো”(প্রাপ্তি)
“😃😃😃😃😃😃……আরে বুদ্ধু তুই তো এমনি ই সবার চেয়ে সুন্দর…তোর সাজা লাগে নাকি”(সাদাদ)
“ঠিক তাই”(নৌশিন)
“মোটেই না…..তোমরা বেশি বেশি বলছো…”(প্রাপ্তি)
!