প্রেমঘোর পর্ব ৮৭+৮৮

প্রেমঘোর পর্ব ৮৭+৮৮
নার্গিস সুলতানা রিপা

সকাল নয়টা বাজে………
নৌশিন এখনো ঘুমাচ্ছে।
রাতে বেশি তো ঘুমাতে পারে নি আজও।
আর শরীরও তো বেশি ভালো যাচ্ছে না।
কিন্তু বাইরের চেঁচামেচি শোনে ঘুম ভেঙে যায়।
উঠে ড্রয়িংরোমের দিকে যায়।
উপর থেকে নিচে চোখ দিতেই অবাক হয়ে যায়।
ওর বাড়ির সবাই বসে হাঁসিহাঁসি করছে খুব।
এমন ভাব যেমন টা বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম বিশ্বকাপ পেলে সার্পোটরা যেমন হরতকল করে তেমন।
নৌশিন হাবলার মতো দাঁড়িয়ে বুঝার চেষ্ঠা করছে।
সাদাদের মায়ের চোখ উপরের দিকে পড়তেই,

“ঐ যে আমার মা মনি,উঠপ গেছে……..” উপরে এসে নৌশিনকে নিচে নিয়ে আসে।
নৌশিনের মা তো এসে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে,সবার সামনে চুমুতে ভরিয়ে তুলছে।
“মা আমার……….”
“কখন…..”
পাশ থেকে নৌশিনের বাবা মেয়ের প্রশ্ন শেষ না করতেই বলে উঠে,
“সকালে এসেছি আমরা।সাদাদ,গিয়ে যা বললো!!!!”
নৌশিন তো লজ্জায় শেষ।
বুঝে গেছে;যে সাদাদ সবাইকে বলে দিয়েছে।
হঠাৎ করে কেউ একজন নৌশুনের মুখে জোর করে মিষ্টিপুরে দিলো।
“উমমমমম…….”পাশে তাঁকাতেই দেখে স্বয়ং শশুড়।
সাদাদের বাবার এমন কান্ড দেখে সবাই তো হাঁসতে হাঁসতে শেষ।
রাফসা নৌশিনকে টেনে নিয়ে সোফায় বসায়।
“বাপ বা,যানেন আন্টি আপনার মেয়ে না কাল মিষ্টি করছিলো……আমি ভাবমাল এমনি করছে হয়তো!!!কিন্তু……”
মুঁচকি হাঁসলো নৌশিন……

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

সাথে বাকী রাও খুব খুশি…..
“আর করলো তো করলো সবার আগে ভাইয়াকে দিলো….”(প্রাপ্তি)
“হয়েছে,করছে বেশ করছে……কত মিষ্টি এনেছে ভাই-ভাবী(নৌশিনের বাবা-মা)খা যতখুশি খা……আর নৌশিনের মায়ের বানানো মিষ্টিও তো আছে…..”(সাদাদের মা)
“হ্যাঁ…হ্যাঁ…..লাগলে আরও আনবো……”(প্রাপ্তির বাবা)
“আব্বু……আমি আমার বন্ধুদেরও খাওয়াবো…..”
“এই…..না আগে বেবী হোক……”(নিপা)
“আপুনি…..প্লিজ……”
“না প্রাপ্তি……বেবী আগে হোক তারপর তোমার যা খুশি করো…..”
“তাহলে পরে কিন্তু আমি ফ্রেন্ডসদের নিয়ে পার্টি দিবো…..”
“ওকে ওকে ডান……আমি পে করবো তোমায়……”
“অহ আপুনি……সো সুইট……”
“আচ্ছা শোনো অনেক হয়েছে……বউ মা এবার আমার কথা মন দিয়ে শোনো……সাদাদ কোথায় গেলো??”(প্রাপ্তির মা)

“ভাইয়া কই জানি!!!”(প্রাপ্তি)
“আচ্ছা,যাই হোক…….নৌশিন মনিকেই বলছি……এখন থেকে একদম লাফালাফি করবে না….আর অরূপকে যখন তখন কোলে নিবে না……”
“কাকী!!!!অরূপ…..”
“হ্যাঁ অরূপ…..কোলে নিবে না ওকে……আর কাজে তো হাত লাগাবেই না…..আর খাওয়ার কথা তো বলবো না কিছু তোমাকে সেটা সাদাদ আর রাফসার দায়িত্ব…..সাদাদ আসুক আমি সব বুঝিয়ে বলবো তাঁকে……..”
“কাকী…..সব মানলাম বাট অরূপকে একটু কোলে ই তো নেই আমি….তাতে কি হয়??”
“ঐ চুপ কর…..ছেলে আমার একুশ কেজি হয়েছে এখন…..আর যদি দেখেছি তোর কোলে খবর খারাপ আছে….”
“ভাবী!!!!!!!
“হ্যাঁ….বস এখানে……..

হালিমা খালা খাবার টা নিয়ে এসো……”
নৌশিন পুরো থ।ঘুম থেকে উঠেই খাবে নাকি!!!যদিও নয়টা বাজে;সে তো উঠলো মাত্র।মিষ্টিও খেয়েছে একটা,তাতেই গা গুলাচ্ছে।
খাবার এসে গেছে।
“ছোট মা জান,পুরা ডা ই খাইবেন….”(হালিমা)
“খালা,এতো!!!!”
“কি আর অমন?কয়ডা ফল ি তো…..”
নৌশিন আর কিছু বলার সুযোগ পায় নি।রাফসা জোর করে আঙ্গুর,আপেলের টুকরা খাওয়াচ্ছে নৌশিনকে।
এক পর্যায়ে নিজের মুখ চেপে ধরে নৌশিন।মাথা নেড়ে না করছে আর পারবে না।
সবাই তো হাঁসি দিয়ে গড়াগড়ি করছে পারলে;নৌশিনের এমন অসহায় অবস্থা দেখে।

বিকালের দিকে নৌশিনের বাবা মা চলে যায়।রাফিন(নৌশিনের ভাতিজা)এর জন্য ওর ভাবী আসতে চেয়েও পারে নি।
বাসায় পৌঁছে ওর মা ফোন করে মেয়েকে।
নৌশিন তো ভয় পাচ্ছিলো;ওর মা যদি বেবীর কথা শোনে রাগ করে।কিন্তু না খুব খুশি হয়েছে ওর মা।বার বার ফোন করে খবর নিচ্ছে কখন কি করছে….
বেশ খুশি নৌশিন।সবাই কত্ত খুশি।সাদাদ অফিসে যাওয়ার আগে সবাইকে নৌশিনের পেছনে লেলিয়ে দিয়ে গেছে;খেয়াল রাখার জন্য।
নৌশিন যে পরিমাণ খেয়েছে গর্ভবর্তী মহিলার জন্য পর্য়াপ্ত।
কিন্তু নৌশিন নিতে পারে নি।
তিন চার বার বমি করছে।আর মেয়ে টা এতো ভাবে যে কারও যেনো মন খারাপ না হয় সেজন্য বমির কথা কাউকে বলে না।

পরের দিন নৌশিনের ভাইয়া আর ভাবীও আসে রাফিনকে নিয়ে।রাফিনকে পেয়ে নৌশিনও মহা খুশি।অরূপ,তুবা আর রাফিনকে পেলে নৌশিনের যেনো আর কিছু লাগে না।
খাওয়া,বমি,সাদাদের শাসন সবার হাজার টা ভালোবাসার শাসন দিন কাল খুব ভালো কাটছে।আর দিন দিন রিদির বিয়েটাও এগিয়ে আসছে।

আজ একুশ তারিখ,সামনেই এক তারিখ।
বাড়িতে বিয়ে নিয়ে বেশ আলোচনা।ব্যস্ত সবাই নৌশিন আর রিদিকে নিয়ে।
নিপা জোর করে রিদিকে অফিস থেকে এজ মাসের ছুটি নিইয়েছে;নভেম্বরের পনেরো থেকে ডিসেম্বরের পনেরো।
পরশও রিদিকে ছাড়া আজ কাল অন্য কিছু ভাবতে পারে না।পারে তো সারাক্ষণ আগলে রাখতে চায়।এসবের মাঝেও রিদি বার বার নৌশিনকে দেখে।ভাবে,যদি আজ ও সাদাদের বউ হতো তাহলে তো!!
আবার পরক্ষণে ভাবে না….
‘হতো’ বলে কোনো শব্দ হয় না।
হয় আর হচ্ছে এটাই বাস্তবতা।
আর কিছু না।আর ওর বতর্মানের সবটা জোরে পরশের অসিত্ব।সাদাদের প্রবেশ মানবে না সে,হ্যাঁ মানবে না।সাদাদ ওর জন্য নিষিদ্ধ।

শুধু পরশ মহা সত্যি।পরশের বাচ্চা ধারণ করবে সে।যত কষ্ট ই হোক পরশকে নিয়ে ই বাঁচবে।
তবে ভয় হয় খুব;পরশ যদি ছেড়ে চলে যায়!!!!
রিদির মনেও দিন রাত ভয় কাজ করে।পরশের জন্য…..
ভালো যে বাসতে শুরু করেছে।তার ই তো পূর্ব লক্ষণ।
রিদি পরশের সাথে ফোনে কথা বলছিলো। রাত প্রায় সাড়ে দশটা………..তখন নিপা নক করে রিদির রোমে।
“কে??”
“সিস্টার ইন ল….আমি….”

“ভাবী এসেছে,আমি রাখছি….”বলে ফোন কেটে দিয়ে দরজা খুলে দেয়।
“ভাবী…….আসো……”
“কি করছিলে??”
“এই তো…..”
“পরশ????”
“ভাবী!!!!!!…..”
“আহা রে ননদিনী দেখি লজ্জাও পায়।”
“ধুর তুমি না কোথায় লজ্জা পেলাম……”
“আচ্ছা রে বাবা বেশ বেশ,লজ্জা পাচ্ছিা না তুই।”
“হয়েছে এখন বলো কি বলবে???তুবা ঘুমিয়েছে?”
“হ্যাঁ প্রাপ্তির সাথে ঘুমিয়েছে,নৌশিনের কাছে শুবে বলে বায়না করছিলো কিন্তু পাঠায় নি,খুব হাত পা ছড়ায় ঘুমের মাঝে…..নৌশিনের শরীর এমনিতে খারাপ……তাই।।।।”

“ও।।।।।”
“হ্যাঁ……এবার শোনো।সিলেটে গিয়ে এতো কালো কেনো হয়েছো???আমি তো ঠিক ই আছি…..”
“ভাবী!!!আমি কি করবো…..সিলেটে এজন্যই যেতে মন চায় না……তোমরা আসায় গেলাম…….”
“কি অবস্থা মুখের…..আগেও তো সিলেট ছিলে এমন দেখাতো না তো……”
“আসলে ভাবী…..”
“রাত জাগা হয় বেশি তোমার…….পরশকে বলো এতো রাত অবদি কথা বলার এখন কোনো দরকার নেই…..আর তো মাত্র নয় দিন পরে না সারা রাত যা খুশি করার করবে……”
“ভাবী!!!!!!!!!!চুপ……যাও তুমি…..”

“ওরে,আমি বললেই দোষ…..আর নিজে….”
“খুব না….আমি মনে হয় জানি না কিছু….ভাইয়াও তো…..”
“ঐ….মাইর খাবি…..আচ্ছা শোন….আসলেই এতো রাত জাগিস না।বিয়ের আগে একটু কম কথা বল।বারো টায় শুয়ে পড়িস।আর কাল সকালে পার্লারে যাবো তোকে নিয়ে রেডি থাকিস।”
“ওকে…..যাবো….যাও তুমি এখন…..”
রিদির একটু বেশিই তাড়া নিপা কে রোম থেকে বের করার।
ফোনের লাইট যে জ্বলছে বার বার।সাইলেন্ট মোড তাই নিপা বুঝতে পারছে না।
জোর করে নিপাকে পাঠিয়ে দিলো রিদি।
অবাক হয়ে ফোনের দিকে তাঁকিয়ে আছে।নয় টা মিসড কল!!!!
বেচারী তো বললোই ভাবী এসেছে;আর এই পাগল ফোনের উপর ফোন দিয়ে চলেছে।
মনে অনেক সাহস নিয়ে কল ব্যাক করলো রিদি……

আর ওপাশ থেকে শুরু হয়ে যায় চরমের লেভেলের ঝারি।
রিদি চুপচাপ শুনে যাচ্ছে সব;আর যার সাথে যাই করুক না কেনো…পরশের সাথে পেড়ে উঠা মুশকিল।
রিদির তো এখন ইচ্ছা হচ্ছে পরশের মাথা টা ফাটিয়ে দিতে।শুধু একটু সাহসের দরকার আর কি!!!
রিদি কোনো কথা বলছে না;তবুও তার দোষ……..
“এই চুপ করে আছো কেনো,রাসকেল কোথাকার…..”
“……….”
“হ্যায় স্টুপিড গার্ল…….”
“কি???”

“থাপ্পর দিয়ে তোর কি বের করবো হারামী……”
“পরশ!!!!আমি কি করলাম???আপনি ই তো…..”
“চুপ…….তুই….. ”
“পরশ প্লিজ…….এতো রেগে যান কেনো সব সময়??”
“তো কি করবো আমি হ্যাঁ??”
“প্লিজ পরশ…….ভাবী এসেছিলো তো…..”
“তো ফোন টা ভাবীর সামনে ধরলে কি হতো??”
“ভাবী পরে দুষ্টুমি করতো….তাই…..”

“তো????ভাবীর কাজ সেটা করবে…???বিয়ের রাতের পরেও তো করবে সেটা…..”
“পরশ!!!!!!এতো খারাপ আপনি……”
“খারাপের কি দেখলি….সব তো বাকী এখনো……”
“ধুর রাখেন তো……”
“ঐ রাখলে রোমে গিয়ে উঠবো……বাসর রাতের কাজ আজই….”
“উফফ…….আপনাকে না আমি চিনে উঠতে পারি না।এই রাগে পরমানু বোমা আর পরে বেহায়া…….. ”
“মাডার মুভি…..”
“কিহ???”
“বুঝে নাও…..”
“পরশ!!!!!!………আপনি…..”
“ফোন রাখলে খবর আছে।আজ ই মাডার মুভি একশন করবো তোর সাথে…….”
“……..”

“রিদি,জাস্ট সাপোজ……কি করবো আমি তোমার…… ”
“কি ভাববো…..”
“মাডার মুভির চেয়েও বেশি রে বউ……”
“আপ…….”
“সব শেষ তোমার…..সব শেষ……আর কয় টা দিন…..”
কুকড়ে যাচ্ছে রিদি পরশের প্রতিটা কথায়।তবুও পরশের কথা থেকে বাঁচার উপায় নেই।
অবশেষে পরশের সব রকমের একশন শেষ হয় রাত দুটোয়।
রিদি তো হাফ ছেড়ে বাঁচলো।

লম্বা একটা ঘুমে সকাল আট টা…………তবু এমনি এমনি আর উঠতে পারে নি…..তুবার ডাকে ঘুম ভাঙে।
সকাল দশটার দিকে নিপা রিদিকে নিয়ে পার্লারে যায়।
তুবা আর অরূপ এমনি হলে যাওয়ার বায়না করতো কিন্তু এখন আর করে না কারণ সাদাদ যে বলে দিয়েছে সব সময় নৌশিনকে দেখে রাখার জন্য।সাদাদের প্রতিটা নিশ্বাসে তো নৌশিন অনেক আগে থেকেই।আর আজ কাল তার ভালোবাসার পাগলামে অনেকগুণ বেড়ে গেছে।
এখনো তুন মাস হয় নি,তবুও পেটের উপর কান পাতা শুরু হয়ে গেছে বেচারার।
সাথে তুবা আর অরূপকেও শিখিয়েছে কিভাবে পেটে থাকা বাচ্চার সাথে কথা বলতে হয়।
অফিসের যতটুকু কাজ বাসায় করা যায় সবটায় বাসায় করে।
সাদাদ বাসায় না থাকলে নৌশিন তবুও একটু হাফ পায়, থাকা অবস্থায় তো কোনো ভাবে এদিক সেদিক করার উপায় নেই।সব নিয়ম কানুন পালন করিয়েই ছাড়ে।

আজও তার ব্যতিক্রম হয় নি,
এগারোটায় অফিস গিয়েছে আর দেড় টায় বাসায়।
এমনিতে দুটোর পর আসে আর আজ!!!!!
নৌশিন জাস্ট তেঁতুলের বাটি টা নিয়ে বসেছিলো,এরমধ্যেই সাদাদ রোমে ঢুকে।
নৌশিন তো পুরো বোকা বনে।
হায় আল্লাহ্!!!কি হবে এখন???
নৌশিনের রক্তে যথেষ্ঠ হিমোগ্লোবিনের অভাব তাই ডক্টর বারবার না করেছে টক খাওয়ার জন্য।খুব বেশি হলে তরকারী তে দিয়ে খাওয়ার জন্য।আর তেঁতুল তো কোনো মতেই না।সাদাদ এজন্য রান্নাঘরের সব আঁচার রাফসাকে বলে সরিয়ে রেখেছিলো।

আর নৌশিন!!!!!
বেচারী এতো দিন লুকিয়ে লুকিয়ে একটু খেতো।
তেঁতুল খাওয়া হয় নি।
আজ!!!!রহিম চাচাকে কত পাম পট্টি দিয়ে একটু তেঁতুল আনালো,খাওয়ার আগে সাদাদ হাজির!!!!!!
কি করবে নৌশিন এখন………
সাদাদের চোখ অলরেডি নৌশিনের তেঁতুলের দিকে চলে গেছে…….নৌশিন ঢুক গিলছে শুধু।আজ আর রক্ষা নেই ওর……..

নৌশিনের কলিজা শুকিয়ে আসছে সাদাদের চাহনীতে।
সাদাদ কোনো কথা না বলে রোমে প্রবেশ করলো।
শান্ত দৃষ্টিতেই তাঁকিয়ে আছে নৌশিনের দিকে।
প্রশ্ন করে,”এটা কি খাচ্ছো??”
“……….”

মাথা নিচুঁ করে আছে নৌশিন।কি জবাব দিবে??
জাবাব দেওয়ার তো কিছু নেই😞😞😞।
“কি হলো?আন্সার মি…..”
কেঁপে উঠে নৌশিন।
খুব ভয় যে সাদাদ কে।
“স…..র…..রি……”
“ওয়াট দ্যা সরি…….রাবিশ…….এগুলো কি হ্যাঁ???”
“তেঁত তেঁতুল……”
সাদাদ আর কিছু না বলেই তেঁতুলের বাটি টা ছুড়ে ফেলে দেয় ফ্লোরে।
হা করে তাঁকিয়ে আছে নৌশিন।চোখ ছল ছল করছে। ফেলে কেনো দিলো!!!কত শখ করে আনিয়েছে…..কিন্তু খেতেও পারলো না।
কান্নাস্বরে বলো উঠে,

“আমার তো খেতে মন চাইছিলো……..আমি খাবো…..”
“কিহ????আবার বলো তো…..”
“কি আবার খাবো আমি……মন চাই না বুঝি…..”
“না খাবে না…..”
“টক খেলে গা টা আর গোলায় না।ভালো লাগে…..তাই তো…..”
“চুপ………”
এই ধমকে এবার চোখের পানি বেরিয়েই এলো নৌশিনের।
“হোয়াট দা!!!!!চোখে পানি????”
“এটা তো প্রেগনেন্সির সময় সব মেয়েরা ই খায়…..”
“হ্যায়…..কাঁদছো কেনো তুমি???”
“😭😭😭😭😭😭😭।।।।।”

“ফেলে দিয়েছি তাই কাঁদছো…..থাপ্পর দিয়ে না কান্না বের করবো।।।।।।ফাজিল কোথাকার।তেঁতুল খেতে মন চায় শুধু,ফল-সবজি এগুলোতে মুড আসে না কখনো………
!
এই চোখ মুছো…….না হলে কিন্তু……”
“আমি কি করবো……”
“কিচ্ছু করা লাগবে না তোমার…….আমি দেখছি…..”
সাদাদ রাফসাকে ডাকা শুরু করে।

“কি হয়েছে???এতো ডাকছিস কেনো??”
“ওকে দেখো……”
“ও মা…..নৌশিন কি হয়েছে কাঁদছিস কেনো???”
“তেঁতুল খাচ্ছিলো ওনি…..ফেলে দিয়েছি তাই……”
“হায় আল্লাহ্……তুই তেঁতুল খাচ্ছিলি???”
“মুখেও তো দিতে পারি নি,ও এসে ফেলে দিয়েছে……”
“আল্লাহ……ভাগ্যিস এসে গেছিলো……ভালো করেছে…..শোন তুই আর যা খাওয়ার খা তেঁতুল একদম মুখে দিবি না…….আর বাসায় তো তেঁতুল নেই।কোথায় পেলি তুই তেঁতুল??”
“রহিম চাচা……”

“কি???রহিম চাচা এনে দিয়েছে তোমায়??”
“সাদাদ,আস্তে।রহিম চাচা কে জোর করেছিস নিশ্চয় তুই??”
মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলে নৌশিন।
“শোন,আর যেনো না শুনি তুই টক খেয়েছিস।আমি তো মাঝে মাঝে মাছ দিয়ে টকের ঝুল তরকারী করে দিই।।।।।আজও করে দিবো….বাট এইসব না প্লিজ”
মাথা নিঁচু করে বসে নৌশিন শুধু হুম হ্যাঁ করে যাচ্ছে।
রাফসা চলে গেলে,সাদাদ চেন্জ করে ফ্রেস হয়ে এলো।
নৌশিন আগের মতোই খাটের উপর বসে আছে।সার্ভেন্ট এসে ফ্লোর টা পরিষ্কার করে দিয়ে যায় আর রাফসা অন্য একজন সার্ভেন্ট কে দিয়ে সাদাদ আর নৌশিনের খাবার টা ওদের রোমে পাঠিয়ে দিলো যেনো দুজনে আলাদা ভাবে ভালো কিছু সময় কাটাতে পারে।
সাদাদের রাগ টাও কমবে আর নৌশিনকেও জোর করে বেশ খানিক টা খাওয়াতে পারবে।
সবার সাথে খেতে বসলে সাদাদ তো এতো বেশি জোর করতে পারে না আর সেই সুযোগ টা নৌশিন খুব ভালো করে নিতে জানে।

সাদাদ বিছানায় একটা দস্তরখানা বিছিয়ে,খাবার গুলো ভালো করে রাখলো।
একটা প্লেটেই খাবার পরিবেশন করে,প্রথম লোকমা টা নৌশিনের মুখের কাছেই ধরলো,
“হা করো……”
চুপ করে বসে আছে নৌশিন।
সাদাদ ধমকের বদলে মুঁচকি একটা হাঁসি দিয়ে বললো,
“বাবুর মা বাবুর অনেক খুদা লেগেছে…..খাও না গো……”
মুখ তুলে তাঁকায় নৌশিন।কিছু বললো না।
“হা করো……তোমার ভালোর জন্যই তো বলেছি জান।তোমার শরীর এমনিতেই খুব দুর্বল।আর ডক্টর তো বললো হিমোগ্লোবিনের অভাব খুব।তাই সব সময় ভয়ে থাকি আমি।কেনো শোনো না আমার কথা???”
নৌশিন সাদাদের হাত থেকে প্লেট টা নামিয়ে রেখে ঝাঁপিয়ে পড়লো সাদাদের বুকের উপর।

“সরি…..আর খাবো না ঐসব…..”
সাদাদ শক্ত করে আকড়ে ধরলো নৌশিনকে।
“পাগলী আমার।সরি বলতে হবে না।সেটা তো আমার বলা উচিত ছিলো,বকলাম যে…..”
“ইশশশ না তুমি কোনো দিন আমাকে সরি বললে না।ভালো লাগে না আমার……..”
“ওকে….তাহলে এবার খাওয়া যাক…..”
“হুম…….”
সাদাদ খাইয়ে দিচ্ছে নৌশিনকে।শিং মাছ দিয়ে চালতার ঝুল।ভালোই লাগছে নৌশিনের।সাদাদও খাচ্ছে মাঝে মাঝে।
“সাদাদ,এটা আবার কি??শিং মাছ টাই তো ভালো ছিলো….”
“কবুতরের গোস্ত…. ”

“হ্যাঁ…..আমি তো বুঝলাম এটা কবুতরের গোস্ত বাট সাদাদ এটা ভোনা তো ভালো লাগছে না……”
“কবুতরের গোস্ত রক্ত উৎপাদনে অনেক সহায়ক…..”
“খেলাম তো একটু এটা।আর না প্লিজ….পিঁয়াজের কেমন একটা গন্ধ আসে……”
“আচ্ছা আর দুটো লোকমা এটা দিয়ে……”
কি আর করার কবুতর দিয়েও খেতে হলো।সাদাদ খাইয়ে দিলে সাদাদ সবগুলো লোকমায় ভাতের চেয়ে তরকারী ই বেশি দেয়।যা নৌশিন আগেও খেতে পারতো না আর এখন তো খাওয়া আরও মুশকিল।
“সাদাদ আর না শিং মাছ,কবুতর তো খেলাম ই…..এখন সবজি টা দিও না প্লিজ…”

“টমেটো আর আলু ই তো শুধু।তুমি ই তো বললে শিং মাছের পরে এটা খাবে….”
“হ্যাঁ বলেছিলাম কিন্তু এখন আর পেটে ডুকবে না কিছু বমি বমি লাগছে।পরে যা খেয়েছি সব আউট হয়ে যাবে।এতটুকু ই থাক তবু কাজে লাগবে।”
সাদাদও আর জোর করলো না।যদি বমি করে তাহলে শরীর টা আরও ভেঙে পড়বে সাথে খাবারের পুষ্টি টাও কাজে দিবে না।
খাবার গুলো নিয়ে সোফায় চলে আসে বেচারা।যেনো নৌশিনের কোনো অসুবিধা না হয়।নৌশিনের গায়ে কম্বল মুড়ি দিয়ে এসে তারপর নিজে খাওয়া শুরু করে।

রিদি পার্লার থেকে এসে কল করে পরশকে।
“হ্যালো……”
“হুম…..”
“পার্লারের কাজ শেষ???”
“হুম……”
“আজকে বিকেলে আসবো আমি……”
“কিহ???”
“হ্যাঁ…..তৈরী থেকো…..”
“বাট পরশ আম সো টার্য়াড……”
“সেটা কোনো ব্যাপার না।আমি জাস্ট ঘুরবো এদিক সেদিক তোমাকে নিয়ে কাজ তো আর করাবো না……”
“পরশ!!!!!”
“কোনো কথা না ড্রালিং…..বাই….অফিসে আছি…..”
“ওকে……..”

“ওফফ।।।।অসহ্য…… “বলেই ফোন টা রেখে এসি অন করে দিলো।বাইরে এই নভেম্বর মাসেও বেশ গরম ঢাকা শহরে।
তাই এই অবস্থা।

রাফসা বিকালে একটু শুয়েছে মাত্র।অরূপ বাইরে খেলছিলো তুবার সাথে।কোথা থেকে কাঁদতে কাঁদতে হাজির হলো বাচ্চা টা।
চোখ লেগে এসেছিলো রাফসার। অরূপের কান্নার আওয়াজে হুড়মুড়িয়ে উঠে বসে।
“আব্বু,কি হয়েছে তোমার???”
“আমমমমম………”
“কি বাবা,এভাবে কাঁদছো কেনো????”
“আম্মু……”
“কি সোনা……”
“আম্মু।।।।নতুন বউ কি আর আমাকে আদর করবে না???”
“কেনো বাবা করবে তো….আগে দেখি চোখ টা মুছি আমার বাবার।পরে সব কথা….আর কাঁদবে না কিন্তু…..”
“দাদুন বলেছে,নতুন বউয়ের পেটে নাকি একটা ছোট্ট বাবু আছে,ও নাকি আমার মতো হবে। ও যখন আসবে আমাকে নাকি কেউ আদর করবে না….”

“পাগল রে আমার……তোমার দাদুন(প্রাপ্তির মা)তো তোমার সাথে মজা করেছে বাবা।তোমাকে সবাই সব সময় ভালো বাসবে আর তোমার নতুন বউয়ের যে বেবী আসবে সে তো অনেক ছোট হবে….তোমার মতো দৌঁড়াতে পারবে না…..তোমার মতো খেতে পারবে না।আস্তে আস্তে বড় হবে।তুমি তো ওর ভাইয়া হবে,তোমার তুবা আপু হবে আপুনি……..তোমরা সবাই মিলে ওকে হাঁটতে শিখাবে…খাওয়াবে….অনেক মজা হবে সোনা…….”
“তাহলে দাদুন যে বললো??”

হাঁসতে হাঁসতে রোমে ডুকে প্রাপ্তির মা। সাথে তুবাও এসেছে।
“মামি মনি দেখো না অরূপ শুধু শুধু কাঁদছে……ছোট নানু তো মজা করছিলো ওর সাথে…….”
“হ্যাঁ…..তাই তো।দেখেছো অরূপ তোমার আপু কত্ত বুঝে।আর তুমি???”
“অরূপ তোর আপু আর তোর আম্মু তোঁকে ঘোল দিচ্ছে,বোকা বানাচ্ছে।তুই দেখিস তোর নতুন বউয়ের কোলে বেবী আসলে তোর কাকাই,নতুন বউ তোর আম্মু-আব্বু কেউ আর এখনকার মতো ভালোবাসবে না……”
হাঁসতে শুরু করলো সবাই।
অরূপ মন খারাপ করে বসে আছে।
তুবা অরূপের পাশে বসে,হাত টা নিজের হাতে নিয়ে খেলতে খেলতে বললো,
“শোন অরূপ,আমি তো তোর বড় তাই না…….”
অরূপ তুবার দিকে একবার তাঁকিয়ে বললো……”হুমমমম”

“তাহলে কে আগে এসেছে বল তো??”
“তুমি ই তো এসেছো….ফুপ্পির পেটে ছিলে তুমি আর আমি আম্মুর পেটে।তুমি তো দুই বছর আগে এসেছো…..ফুপ্পি বলেছিলো তো একদিন…..”
“হ্যাঁ….ঠিক বলেছিস।তাহলে তুই আসার পরে কি আমাকে কেউ আদর কম করে???আমাকে তো সবাই তোর মতোই ভালোবাসে…..বাসে না???”
অরূপ বেশ খানিকক্ষণ ভাবলো।
তারপর বিশ্বজয়ী একটা হাঁসি দিয়ে তুবাকে জড়িয়ে ধরে বললো,
“আপু,তাহলে নতুন বউয়ের বেবী হলেও সবাই আমাকে এক রকম ই আদর করবে। তাই না বলো???”
“হ্যাঁ রে বোকা হ্যাঁ…..”

রাফসা আর প্রাপ্তির আম্মু তো অবাক।এই টুকু মেয়ে কি সুন্দর করে বুঝাতে পার!!
রাফসা তুবাকে নিজের কোলে বসিয়ে,আদর করছে…”ওরে আমার পাঁকা বুড়ি রে….কতবুদ্ধি!!!!”
“মামি মনি…….আমি তো বড় হয়ে গেছি….. ”
“হ্যাঁ বাবু টা বড় হয়ে গেছো তুমি….আরও বড় হতে হবে…..”
“কি আর করার তাহলে….অরূপের আপু তো ওকে সব বুঝিয়ে ফেললো।আমার আর মজা করা হবে না……”
“না না দাদুন।মজা করবো তো আমরা…..আপু নামো আসো আমরা খেলবো……আম্মু তুমি ঘুমাও……”
“আরে অরূপ তোমার আপু ব্যথা পাবে আস্তে নিয়ে যাও…..”

রাফসা খুশি মনে শুয়ে পড়ে আবারও ওরা চলে যাওয়ার পর।বেশকিছক্ষণ ঘুমানোর পর,শরীর ভারী কিছুর অনুভবে ঘুম টা ভেঙে যায়।
চোখ মেলে তাঁকিয়ে বড় সড় ধাক্কা খায় একটা………
“কি?????”(ঘুম ঘুম গলায়)
সাদ রাফসার গলায় মুখ দিতে ব্যস্ত।
“উমমমমমমম………সাদ……”
সাদ রাফসার ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে বলে,”হুশশশশশশশ……চুপ একদম……”
“কখন এলে তুমি??”
“মাত্র……কোনো কথা না রূপসী।রোমান্স চলবে শুধু…..”
“ঘুমাচ্ছিলাম তো……”

“চুপপপ…….”বলেই ঠোঁটে ঠোঁট মিশিয়ে নেয়।
গলার ভাঁজে,মুখে,ঘাড়ে,ঠোঁটে ভালোবাসার আবেশে ভরিয়ে তুলে সাদ তার প্রিয়তমাকে।
উপভোগ করছে দুজন দুজনকে।
রাফসা সাদকে সরিয়ে দিয়ে,নিজেকে কন্ট্রোল করে বললো,
“রোমান্স রাজা।আর না গো…..অফিস থেকে এসেছো…..ফ্রেসস হয়ে খাবে আগে……”
“তোমাকে খাবো আগে জান……”
বলেই শাড়ির আঁচল সরিয়ে নিলো কাঁধ থেকে।হার মানাচ্ছে রাফসার সকল বারণকে।
সময় থেকে সময়ে অগ্রসর হচ্ছে তাদের ভালোবাসা।পরন্ত বিকেল বেলা জানালার গ্রিলের কাঁচগুলো বন্ধ,ফ্লোরে এক এক করে আঁচড়ে পড়ছে সাদের কোর্ট,শার্ট,গেন্জি রাফসার শাড়িটাও যে বাকী নেই,ব্লাউজের ফিতা টাও উন্মুক্ত।দুজন দুজনের পোশাকে পরিণত হয়েছে।
!
“সাদ,সরো……”
“উমমমমম……..”
“ছেলের খেলা শেষ হয়ে যাবে একটু পরেই।চলে আসবে।প্লিজ সরো……সাওয়ার নিতে হবে তো……”
“আসুক…..ছেলে মেয়ে সব আসুক…..”
“সাদ!!!!উঠো না……….”
“আর একটু থাকো…… ”
“না প্লিজ….বিকাল বেলা তো…..”
“উমমম…..তাহলে রাতে কিন্তু আবারও শেষ করবো এভাবে……”
“যাহ……..”

“ইশশশশ…..লাল বউ রে।এতো লজ্জা!!!!ভয় নেই ডাক্তারনী তোমার স্বামীর কোনো কষ্ট হবে না,যথেষ্ঠ পাওয়ারফুল সে চাইলে বার বার……”
রাফসা সাদ কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে ওয়াশ রোমে চলে যায়।সাদ অট্ট হাঁসিতে মেতে উঠে।
রাফসা সাওয়ার নিয়ে এসে,রোম টা ঠিক করপ নেয়।
কাপড়গুলো যে ভাবে ছিটানো ছিলো!!!!
জোর করে ধাক্কা ধাক্কি করে সাদকে সাওয়ারের জন্য পাঠায়।আর আল্লাহর রহমতে এতক্ষণ একবারও ছেলে রোমে আসে নি।রাফসা ড্রায়ার করে চুল শুকিয়ে তাড়াতাড়ি নিচে চলে আসে,সাদের জন্য খাবার নেওয়ার জন্য।
মানুষ টা লান্স বাইরে করে,আজ যাও বিকালে এসেছে বাসায়।এসেই কাহিনী শুরু।তাই রাফসা যতটা সম্ভব সাদের যত্ন নিতে উঠে পড়ে লেগেছে।ডাক্তার বলে কথা এসব বিষয়ে একটু বেশিই দক্ষ।

পরশ রিদিকে বাসায় এসে নিয়ে গেছে।লং ড্রাইভে আছে দুজনে।
শাড়ি পড়ে এসেছে রিদি পরশের কথা মতো।
কেউ কোনো কথা বলছে না অনেকক্ষণ। পরশ শুধু শুধু মাঝে মাঝে রিদিকে দেখে যাচ্ছে।
দুজনে সারা বিকাল থেকে সন্ধ্যা শহর ছেড়ে গ্রামেও গাড়ি নিয়ে ঘুরেছে।
রাত হতে চললো,পরশ রিদিকে নিয়ে একটা পুরানো বাসায় ডুকে।গ্রামের বাড়ি একটা।
রিদি কিছু জানতে চায় নি।
চেয়েও খুব বেশি লাভ হবে না।
বাসাটায় কেউ নেই।

পরশ রিদিকে গাড়ি থেকে নামতে ইশারা করলে নেমে দাঁড়ায় রিদি।
আচমকাই রিদিকে কোলে তুলে নেয় পরশ।
“আরে কি করছেন??”
“ঘরে নিচ্ছি……কোনো কথা না…..”
ঘরে ডুকে রিদি তো আরও অবাক।পুরানো মাটির ঘর হলেও সব সুন্দর করে গুছানো।ছোট ছোট প্রদীপ জ্বালানো পুরো ঘরে।বেশ সুন্দর লাগছে সবটা।এককথায় বলতে গেলে চরম।

প্রেমঘোর পর্ব ৮৫+৮৬

“আজ তোকে এখানে নিয়ে এসেছি একটাই কারণে……যেটা কখনো জানিস না তুই জানাবো তোকে আজ………. ”
রিদি বুঝতে পারছে না।কি হচ্ছে??কি বলছে পরশ???কি জানাবে ও???ভয় লাগছে খুব……খুব……খারাপ কিছু নয় তো???খারাপ হলে এতো সুন্দর করে সাজানো একটা ঘরে আনালো কেনো তাঁকে।
আর এখনো তো কোলে ই রেখেছে নামায় নি তো।তাহলে??
অনেক রকমের উল্টা পাল্টা চিন্তা করে যাচ্ছে রিদি।উত্তর পাচ্ছে না……গুলিয়ে যাচ্ছে সব।আমার পাঠক-পাঠিকা আপনারা যারা আছেন প্লিজ রিদিকে একটু সাহায্য করুন……..

প্রেমঘোর পর্ব ৮৯+৯০