প্রেমতৃষা পর্ব ৩৮ (২)

প্রেমতৃষা পর্ব ৩৮ (২)
ইশরাত জাহান জেরিন

‘ আমার মাংস কেটে দেই বিরিয়ানি করে খাও। বউয়ের ক্রেভিংস বলে কথা। না করি কেমন করে?’ তৃষা হাসল। হেসে বলল, ‘আরে মজা করছি।’
‘আই নো।’
‘বাসায় কখন যাব।’
‘বাসায় তো যাচ্ছি না বউ। আজকে জঙ্গলেই রাত কাটাব।’
‘কি?’
‘আরে হ্যাঁ। তুমি বিদায় নিয়ে বাইকের কাছে যাও। অংকুর সব ব্যবস্থা করে রেখেছে।’

তৃষা ঘড়ির দিকে তাকালো। তাকে চিন্তিত মনে হলো। কিছুক্ষণ চুপ থেকে উঠে গিয়ে সকলের থেকে বিদায় নিলো সে। তারপর চেপে বসল প্রেমের বাইকে। তার বাইকটা আজকে সে সঙ্গে করে নিয়ে আসেনি। বরের বাইকে না বসলে মজা লাগে না। পেছন থেকে বরটাকে চেপে না ধরলে শান্তি লাগে না। কেমন কেমন জানি ফাঁকা লাগে। তারচেয়ে মজা লাগে পেছনে বসে বসে স্বামীকে বিরক্ত করতে। প্রেম পাহাড়ি পথে বাইক চালায় ভালোই স্পিডে। হঠাৎ প্রেম হেলমেটের নিচ থেকে বলল, ‘এই শালীর ঘরের বউ দূরত্ব বজায় রাখ। এত ঘষাঘষি করিস না বাল, যখন বাইক থামিয়ে জঙ্গলে নিয়ে যাব তখন বুঝবি।’
তৃষা মুখ ভেংচি দিয়ে হাসল। তারপর বলল, ‘শখ কত!’

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

রাত একেবারে নিস্তব্ধ। পৃথিবী ঘুমিয়ে পড়েছে জঙ্গলের কোলে। গাছের মাথায় কুয়াশা, পাতা থেকে টুপটাপ শিশির ঝরছে। দূরে কোথাও ঝিঁঝিঁর একটানা ডাক। সেই নিস্তব্ধতার মাঝখানে জ্বলছে একটা অগ্নিকুণ্ড। জঙ্গলের বুক ফুঁড়ে উঠে আসা আগুনের লাল শিখাগুলো কাঁপছে বাতাসের সঙ্গে।মতৃষা হাঁটু মুড়ে বসে আছে আগুনের পাশে, উলের শালটা জড়িয়ে। তার মুখে আলো আর ছায়ার খেলা—এক মুহূর্তে লাল, পরের মুহূর্তে ছায়াময়। পাশে বসে আছে প্রেম। প্রেমের হাতে ধোঁয়া ওঠা কফির মগ। “ঠান্ডা লাগছে?” প্রেম জিজ্ঞেস করতেই তৃষা এক চিলতে হাসে, চোখ তুলে তাকায়,, “না।” প্রেম হেসে ওঠে। এক মুহূর্ত পর উঠে তৃষার গলায় শালটা একটু শক্ত করে জড়িয়ে দেয়। তার হাত ছুঁয়ে যায় তৃষার গাল, হালকা কাঁপুনি খেলে যায় তৃষার শরীরে। আগুনের আলোয় দু’জনের ছায়া এক হয়ে যায়। তৃষা তাকিয়ে থাকে আগুনের দিকে। বলে, “জানো প্রেম, এই আগুনটা যেন আমাদের মতো একটু কাছে গেলেই পুড়িয়ে দেয়, আর দূরে গেলেই নিভে যায়।”

প্রেম মৃদু হেসে তার আঙুল ধরে বলে, “তাহলে ঠিক মাঝখানে থাকি… যেখানে জ্বলা আর নিভে যাওয়া—দুটোই আমাদের।” একটা শুকনো ডাল আগুনে পড়তেই হঠাৎ ছিটকে ওঠে স্ফুলিঙ্গ। তৃষা চমকে প্রেমের বুকে হেলে পড়ে। প্রেম এক হাত দিয়ে তাকে আঁকড়ে রাখে, আরেক হাতে তৃষার কপালের উপর চুল সরিয়ে দেয়। তাদের নিঃশ্বাস মিশে যায় ঠান্ডা বাতাসে, এক মুহূর্তের জন্য জঙ্গলটা নিঃশব্দ হয়ে যায়। উপরে তাকিয়ে দেখা যায়, আকাশজুড়ে তারার ভিড়। প্রেম বলে, “এই তারাগুলোর মতোই থাকবো আমরা, তৃষা—যতই দূর হই না কেন, এক আকাশের নিচে।” তৃষা তার কাঁধে মাথা রাখল। তৃষা তাকায় আগুনের দিকে, ঠোঁটের কোণে অদ্ভুত এক হাসি, “আগুনটা দেখুন, প্রেম। কত সহজে জ্বলে ওঠে… কিন্তু কেউ জানে না, কতটা কষ্টে সে জ্বলতে থাকে?” প্রেম তাকিয়ে থাকে তার মুখের দিকে। আগুনের শিখা কাঁপে, আর তার আলোয় তৃষার চোখে ধরা পড়ে অচিন এক গভীরতা। সে ধীরে ধীরে হাত বাড়িয়ে তৃষার শালের কিনারা টেনে নেয় নিজের দিকে।

“তাহলে আমাকেও জ্বলে থাকতে হবে, যতক্ষণ না তুমি নিভে যাও।” তৃষা নিঃশ্বাস ফেলে।
“আপনি পুড়বেন প্রেম, আমি ছাই হয়ে যাবো।”
“তবুও থাকবো তোমার মাঝেই।” বলল প্রেম।
“তবে একটা কথা কি জানেন? ভালোবাসা আগুন নয় তবুও পুড়িয়ে দেয়। ”
প্রেম জবাব দিলো না। এই মেয়ে কি না কি বলছে? নিজেই ভালো জানে কি হয়েছে। সে হঠাৎ তৃষাকে নিজের দিকে তাকাতে বলল। তৃষা তাকাতেই প্রেম বলল, ‘তোমার চোখে…’
তৃষা নিজের চোখে হাত দিলো। অতঃপর বলল, ‘আমার চোখে? আমার চোখে কি?’
প্রেম হেসে তৃষাকে বুকে জড়িয়ে দিলো। তারপর তৃষাকে আকাশের দিকে তাকাতে বলে গান ধরল,

~ ‘তোমার চোখে আকাশ আমার,
জাদু জানে পূর্ণিমা,
ভেতর থেকে বলছে হৃদয় তুমি আমার প্রিয়তমা।~
তৃষা লজ্জা পেল। বলল, ‘ইশ আপনিও না প্রেম নেওয়াজ।’
বৃষ্টি শুরু হলো হঠাৎই। জঙ্গলের গন্ধে ভিজে গেল চারদিক। আগুনের শিখাগুলো একে একে নিভে যেতে লাগল, আর আকাশ থেকে নামল ঝরনার মতো টুপটাপ শব্দ। তৃষা ভিজে চুল সরিয়ে চোখ তুলে তাকাল প্রেমের দিকে, “চলুন, টেন্টে যাই… ঠান্ডা লাগবে।”

প্রেম মাথা নাড়িয়ে তার হাত ধরল। দু’জন দৌড়ে গেল আগুনের পাশে রাখা ছোট টেন্টটার দিকে। ভিতরে ঢুকতেই বাইরের পৃথিবীটা একেবারে থেমে গেল। শুধু বৃষ্টির শব্দ ক্যানভাসের ওপর টুপটাপ পড়ছে।
একটা লণ্ঠন জ্বলছে ভেতরে—নরম, কমলা আলোয় টেন্টটা সোনালি হয়ে উঠেছে। তৃষা কাঁধ থেকে শাল নামিয়ে রাখল পাশে। চুলের ডগা থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে গালে। প্রেম আস্তে করে বলল, “তুমি পুরো ভিজে গেছো…”
তৃষা ঠোঁট কামড়ে হাসল। “আপনি-ও তো কম ভেজেননি।” প্রেম তার দিকে এগিয়ে আসে। আলোটা দুলে ওঠে হাওয়ায়, আর তাদের ছায়া টেন্টের দেওয়ালে মিশে যায় একে অপরের সাথে। এক মুহূর্ত—দু’জনের চোখে চোখ হয়। বাইরে বজ্রপাতের আলো এসে ঝলকে যায়, আবার অন্ধকার। প্রেম তৃষার মুখের কাছাকাছি এসে থেমে যায়, ফিসফিস করে, “এই বৃষ্টি, এই রাত… যেন থেমে না যায় সোনা।”
তৃষা চোখ নামিয়ে বলে, “থামলে কি হবে?”
‘দেখতে চাও কি হবে?’
‘দেখান।’

‘আরে বউ তুমি চেয়েছো না দেখিয়ে থাকি কি করে?’ প্রেম গা থেকে শার্ট খুলে ফেলে দিলো। তৃষা তখনো নিচে দিকে তাকিয়ে আছে। লজ্জা করছে ভীষণ। প্রেম তৃষাকে নিজের দিকে তাকিয়ে হাস্কি স্বরে বলল, ‘তোমার জামা ভিজে গেছে। মে আই হেল্প ইউ?’
তৃষা তখনো জবাব দিলো না। প্রেম বাঁকা হেসে নিজের হাত বাড়িয়ে দিলো। দু’জনের মধ্যকার উষ্ণ দূরত্ব কমে আসতেই প্রেম হাসল। তৃষার দেহের রহস্যময় জাল খুলতে খুলতে গেয়ে উঠল,
~tu hi meri shab hai
subha hai
tu hi din hai mera
tu hi mera rab hai
jahaan hai
tu hi meri duniyaaaa
tu waqt ! mere liyeeeee
main hoon tera lamha
kaise rahega bhalaaaaa
hoke tu mujhse judaaaaa~

মধ্যরাত তখন। তৃষার পানির তৃষ্ণায় ঘুম ভাঙতেই সে উঠে বসল। প্রেমকে ডেকে তুলতেই প্রেম ওঠে বসে জিজ্ঞেস করল, ‘কি হয়েছে সোনা? খারাপ স্বপ্ন দেখেছো?’
‘না। ‘
‘তাহলে?’
‘একটু আগে তৃষ্ণা পেয়েছিল তবে এখন তো ক্ষুধা ক্ষুধাও লাগছে।’
প্রেম ট্যান্টের মধ্যে খাবার খুঁজে দেখল। বলল, ‘সব খেয়ে ফেলেছো?’
‘ইয়ে মানে…..’
‘আরে বউ সমস্যা নেই। তুমি খাবে না তো আর কে খাবে? যত খেতে হয় খাবে। চৌদ্দ গুষ্টির নাম ডুবিয়ে খাবে।’ বলেই প্রেম হাসল।
‘প্রেম।’

‘আরে সরি সোনা। বাই দ্য ওয়ে আমারও কিন্তু ক্ষুধা পেয়েছে।’ বলেই সে চুমু খেলো তৃষাকে। এত আরামের ঘুম বিসর্জন দিয়ে বলল, ‘বউয়ের জন্য ঘুম কেন? জীবনটাও বাজি লাগাতে পারি।’
বলে সে ট্যান্ট খুলতেই তৃষা থামিয়ে দিয়ে বলল, ‘এই এভাবে যাবেন। সম্পদ ঢাকুন।’ বলেই শার্টটা প্রেমের মুখে ছুঁড়ে মারল। প্রেম শার্টটা নিয়ে বলল, ‘শালার কপাল। পিচ্ছি মেয়ে যে কিনা আমায় দেখলে ভয়ে মুতে দিতো সে এখন মাঝ রাতে আমার শখের ঘুম ভাঙিয়ে নিজের খাবার আনাচ্ছে।’ বলেই বাইরে গেল সে। বাইক স্টার্ট দিতেই তৃষা হেলমেট পড়ে তার পেছনে বসে পড়ল। দু’জনে রাইড করে অনেকদূর চলে এলো। মাঝে প্রেমকে পেছনে বসিয়ে কিছুপথ তৃষা নিজে রাইড করে। কিন্তু বেশিক্ষণ করতে পারল কই? এই লোক যা মানুষ। তার আবার পেছন থেকে খোঁচানোর স্বভাব।

সামনের দিকে দু’টো রাস্তা চলে গেছে। একটা সদরের দিকে। প্রেম অন্যটা দিয়ে যেতে নিলে তৃষা বাঁধা দিলো। বলল সদর দিয়ে যান। ওখানে ভালো ভালো দোকান আছে। প্রেমের মন সায় দিচ্ছিলো না। খাবারের জিনিসই তো। কাছ থেকে নিলেই হতো। কিন্তু বউয়ের কথা ওই যে ফেলতে পারে না। বাইকের গতি প্রেম বাড়িয়ে দিলো। তৃষা হঠাৎ পেছন থেকে বলল, ‘আমি চলন্ত বাইক দাঁড় হই? আপনার সামনে এসে উল্টো হয়ে বসি?’
‘সোনা ইন্ডিয়ান মুভি একটু কম দেখো। নইলে বাইক থেকে কিক মেরে ফেলে নতুন আরেকটা বিয়ে করব।’
‘শালা মুখের কি ছিঁড়ি। বিয়ে করলে আপনার সম্পদ কেটে সদকা দিব।’
‘শালীর ঘরের বউ আমার।’

প্রেম আরেকটু গতি বাড়িয়ে সামনে যেতেই হঠাৎ করে ট্রাফিক বিভাগের লোক রাস্তার সামনে দাঁড়াতেই প্রেম বাইক থামিয়ে দিয়ে হেলমেট খুলে। গাড়ির সামনে দু’জন লোক দাঁড়িয়ে ছিল। ফোনের দিকে একবার তাকিয়ে প্রেমের দিকে এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করে, ‘আপনার লাইসেন্স আছে।’
‘সব আছে।’
‘আপনি প্রেম নেওয়াজ?’
প্রেম ভ্রু কুঁচকে তাকালো। এই লোক তার নাম কি করে জানে? প্রেম কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই লোকটি অপর লোকটিকে কিছু বলতে সে গাড়ির কাছে গেল। তারপর প্রেমকে বলল, ‘আপনার নামে মামলা আছে। অপহরণের মামলা। আপনাকে থানায় যেতে হবে। এখানকার লোকাল থানায়।’
প্রেমের মাথা গরম হয়। এই লোক বলছে কি? কাকে অপহরণ করেছে সে? ‘কিসের অপহরণ? এখানে সার্কাস চলছে?’
হঠাৎ অফিসারদের পেছন থেকে একটা গলা ভেসে এলো। গম্ভীর সেই কণ্ঠের মালিক বলল, ‘সার্কাস চলেনি এখন চলবে।’

লোকটি সামনে আসতেই তৃষা থমকে যায়। তবে প্রেম স্বাভাবিক। তৃষা কিছু বলতে যাবে তার আগেই প্রত্যুষ তার লোকেদের আদেশ করল। ‘ এক মুহূর্ত বসে না থেকে হ্যান্ডকাফ পড়াও।’ তৃষা সামনে এসে জিজ্ঞেস করল, ‘কিন্তু কোন অপরাধে? আর এসব কি হচ্ছে প্রত্যুষ?’
প্রেম প্রত্যুষের দিকে এগিয়ে এসে বলল, ‘তাহলে তুমি আইনের লোক আসল ফর্মে চলেই এসেছো? আর কতদিন ভালো হয়ে থাকতে বলো? এখন ছোট ভাইকে হিরোর মতো মাঝ রাস্তায় আঁটকে কি প্রমাণ করতে চাইছো?’
‘ আর নিজে যে বড় ভাইয়ের বউ নিয়ে চলে এসেছো?’
‘বউ না, হবুবউ। তোমার না হওয়া সুন্দরী এখন আমার মিসেস। মিসেস প্রেম নেওয়াজ।’
প্রত্যুষ রাগে হাত মুষ্টি বদ্ধ করল। একটা নিশ্বাস ছেড়ে তৃষাকে বলল, ‘তৃষা আমি জোর করার আগেই আমার সঙ্গে আসো।’
‘যাবে না আমার বউ তোর মতো ছাগলের সঙ্গে।’
‘তৃষা!’
তৃষা তখনো চুপসে দাঁড়িয়ে আছে। প্রত্যুষ তার দিকে তাকিয়ে আছে। ‘জলদি আসো। এসে গাড়িতে বসো। অনেক নাটক হয়েছে।’

তৃষা তখনো চুপ। প্রেম তাকে বলল, ‘আমি অংকুরকে কল করছি। তুমি শিমলা আর অংকুরের সঙ্গে বাড়ি যাও।’
‘উঁহু বললাম না তৃষা আমার সঙ্গেই যাবে।’ প্রত্যুষ মাঝ দিয়ে বলল। প্রেম রাগে তার দিকে চেয়ে বলল, ‘দেখ ভাই মাথাটা বিগড়ে দিস না। এখানে বালের নাটক মারাতে আসেনি প্রেম। ‘
প্রেম অংকুরকে কল করতে যাবে তার আগেই প্রত্যুষের আদেশে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটি ফোন কেড়ে নেয় প্রেমের। প্রেমের এবার পা অব্দি মাথা পর্যন্ত জ্বলছে। তৃষা একবার তার দিকে তাকায়। অন্যবার প্রত্যুষের দিকে। প্রেম মুখ বাঁকিয়ে বলল, ‘শালার ভাই কাহিনি খতম করো। এখানে সিন্নি বিলাচ্ছি না বাল। আমার বউ তোর মতো বালের সঙ্গে যাবে না। তুই সামনের থেকে সরতো।’

‘দেখবি ভাই তোরটা আমার সঙ্গে যায় কিনা?’ বলেই প্রত্যুষ তৃষার দিকে তাকিয়ে হাসল। আর কিছু বলতে হলো না তাকে। তার আগেই তৃষা তার দিকে এগিয়ে গেল। প্রেম সেই দৃশ্য দেখে অবাক। কিছু বলার আগেই পাশের লোক তার হাতে হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে দিলো। তৃষা প্রেমের সামনে প্রত্যুষের গাড়িতে উঠে গেল। প্রেমকে আইনের লোক দু’জন টেনে পেছেনের গাড়িতে উঠানোর চেষ্টা করছে। প্রেমকে টেনে নিয়ে যেতে পারছে না। প্রেম বার বার চিৎকার করে বলছে, ‘তৃষা নেমে পর। খোদার কসম জানে মেরে ফেলব। প্রত্যুষের সঙ্গে গেলে মেরে ফেলব কিন্তু তৃষা। তুই অন্তত আমার হাতে জবাব হতে চাস না? এই তৃষা।

প্রেমতৃষা পর্ব ৩৮

বউ নেমে পড়। আমি বাড়ি ফিরলে শনি আছে তোর কপালে। বউ, নাম প্লিজ, প্লিজ নাম।’ প্রেমের হাহাকার তৃষার কানে পৌছাল কি? প্রেমকে গাড়িতে বসানো হলো। তৃষা কথা বলছে না। নিচের দিকে তাকিয়ে সিটে বসে আছে। প্রত্যুষ গাড়িতে ওঠার আগে প্রেমের গাড়ির কাছে যায়। লোকেরা প্রেমকে আঁটকে রাখতে পারছে না। প্রেম পারছে না সবাইকে এখানেই শেষ করে ফেলে। রাগে শরীরের রগ নীল হয়ে এসেছে। প্রত্যুষ গর্ভের সহিত প্যান্টের পকেটে হাত গুঁজে সালাম ঠুকে বলল, ‘থানায় দেখা হবে বেইআইনের লোক।’

প্রেমতৃষা পর্ব ৩৯

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here