প্রেমসুধা পর্ব ৬৭

প্রেমসুধা পর্ব ৬৭
সাইয়্যারা খান

পৌষ’কে রুমে এনে সোজা বাথরুমে নিলো তৌসিফ। এই মেয়ের মাথা খারাপ হয়েছে তা ঢের বুঝা হয়েছে তার। পা থেকে চুল আপাতত তেঁজে জ্বলজ্বল করছে। কেমন ফসফস শব্দ করছে। তৌসিফ ভাবছে এই বুঝি তার উপরও ঝাঁপিয়ে পড়লো। তাতে অবশ্য চিন্তা নেই। বউ মানুষ, জামাই এর উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। তৌসিফ সামলে নিবে বরং ভেতর ভেতর তার ভালোই লাগবে।

পৌষ’কে সামলানো যেন আজ কষ্টসাধ্য। তৌসিফ ওর হাত দুটো বেসিনে নিয়ে পানি ছেড়ে দিলো। পৌষ অবশ্য শান্ত দাঁড়িয়ে নেই। সে যথেষ্ট নড়াচড়া করছে। অগত্যা তৌসিফ ওকে নিয়ে শাওয়ার চালু করে দাঁড়িয়ে গেলো। শক্ত করে বুকে চেপে নিলো। দু’জনের শ্বাস প্রশ্বাস তখন শব্দ করছে। পৌষ শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তৌসিফ ওর পিঠে হাত বুলাচ্ছে। প্রায় বিশ মিনিট এই নীরবতা পালন হলো। পানির শব্দ গুলো এখন কানে ঝুমঝুম শব্দ তুলছে। তাল মিলিয়ে ছন্দ পতল হচ্ছে হৃদকম্পনের। পৌষ হঠাৎ শরীর ছেড়ে দিলো। এতক্ষণের থাকা শক্ত দেহটা এখন ভর ছেড়ে দিয়েছে। তৌসিফ সামলে নিলো। জড়িয়ে রাখলো বুকের সাথে। পৌষ হঠাৎ কেঁদে ফেললো। কাঁপতে থাকা দেহটায় তখন কম্পন বাড়লো কান্নার দাপটে। তৌসিফ শাওয়ারটা বন্ধ করে দিলো ব্যস্ত হাতে। পৌষ’র দেহের সাথে সেটিয়ে থাকা কাপড় দেখে গলা যেন শুকালো। পুরুষ মনটা তখন হু হু করে উঠে। তৌসিফ চাইলেও আস্কারা দিতে চাইলো। পৌষ’র ঘাড়ে মুখ রাখতেই টের পেলো পৌষ টলছে। তৌসিফ নিজেকে সামলায়। পৌষ’কে ধরে কাপড় বদলে দিয়ে নিজেও চেঞ্জ করে নিলো। পৌষ’কে কোলে তুলে রুমে ঢুকা মাত্রই দেখলো ওর দাঁতের সাথে দাঁত লেগে যাচ্ছে। তৌসিফ তারাতাড়ি ওকে কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে নিজেও ভিতরে ঢুকে শক্ত করে পৌষ’কে বুকে জড়িয়ে রাখলো। মাঝেসাঝে টুকটাক কথা বললো তৌসিফ,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

— গরম কিছু খাবে? ঘুমাও নাহয়। পৌষরাত, তোমার কি শরীর খারাপ লাগছে?
পৌষ কোন উত্তর করে না। তৌসিফ ওর মাথায় হাত বুলায়। কপালে চুমু খেয়ে আদরমাখা কণ্ঠে বলে,
— জান আমার, কি হয়েছিলো তোমার? এমন কেন করলে? ছোট্ট বাচ্চাগুলো কাঁদছিলো।
পৌষ বুকে মুখ গুজে ঘ্রাণ নিলো অতঃপর সরতে চাইলো বুক থেকে। তার শরীর উষ্ণতা পেয়েছে। বুকের থেকে ছাড়া পেতে পৌষ দাঁতের ব্যবহার করলো। বুকের মধ্যে শক্ত করে কামড়ে ধরতেই তৌসিফ ওকে ছাড়লো। টিশার্ট খুলে ছুঁড়ে মা’রে তৌসিফ। বুকের উপর দিকে কামড়টা দিয়েছে। দাঁত বসেছে একদম। টিসটিস করছে জায়গাটা। পৌষ’র দিকে না তাকিয়েই বললো,

— ব্যথা লাগিয়ে দিলে হানি। ব্যথা কমাতে এখানে একটা উম্মা দাও।
পৌষ ততক্ষণে উঠে যেতে চাইলো। তৌসিফ খপ করে হাত ধরে। পৌষ রাগে দাঁত দিয়ে দাঁত পিষে বললো,
— হাত ছাড়ুন।
তৌসিফে’র বরাবরই অপমান বাক্য সহ্য হয় না। তারমধ্য বয়সে এত ছোট মেয়ে তাও কিনা আপন বউ এভাবে দাঁত পিষে কথা বললে তা মানা মুশকিল। পুরুষ ইগো তা মানতে নারাজ। তৌসিফ তবুও সয়ে গেলো। শান্ত স্বরে বললো,
— দাঁত ছেড়ে কথা বলো।
— ছাড়ুন আমাকে। চোরের হাত ধরতে লজ্জা লাগে না। আপনার ভাবীর হাত ধরুন গিয়ে….
— পৌষরাত!
পৌষ কথাটা বলতে চায় নি। মুখ ফঁসকে বেরিয়েছে। তৌসিফ চোখ গরম করে তাকিয়ে বললো,

— থাপ্পড় খাবে একটা বেয়াদবি করলে। কখন থেকে ফাইজলামি শুরু করেছো? কতটা দৌঁড় খাওয়ালে? দোষ কি ছিলো আমার? চোর ডেকেছি? কথা শুনো কখনো পুরোটা? মন চায় এক চটকানা মা’রি। ওগুলো তুমি লুকিয়ে আনো নি? তাই বলেছি। এতটা ক্ষেপার মতো কি হয়েছিলো? ঐ বাড়ী গিয়ে কি করলে? বাচ্চাগুলো কাঁদছিলো। মায়া লাগলো না? আমার সাথে তেজ দেখাও তুমি। কিছু বলি এতে? তুমি জানো আমি কেমন তবুও তুমি অবাধ্য হচ্ছো। আমাকে আজ কতটা নিচে নামালে পৌষরাত।

ছোট্ট বাচ্চাকে দেয়া উপহারটা কিভাবে চেয়ে নিয়ে এলে? আমি নিজে গিয়ে দিয়েছিলাম পৌষরাত ওটা। আমাকে কতটা অপমান করলে তুমি। একবার ভাবো। মাথাটা ঠান্ডা করে চিন্তা করো। কথার প্রেক্ষিতে বলেছি। তোমাকে কবে চোর বলেছি আমি? যা সত্যি তা বলেছি। তুমি কি ভাবো আমি জানি না। তোমার খবর পইপই করে রাখি আমি। তোমার ভাই-বোন এসেছে শুনা মাত্র বাসায় খাবার দাবার পাঠিয়েছি। তুমি কি করলে ওদের ভাগিয়ে দিলে? কেন? আমি কি অসামাজিক? জা’নোয়ার ভাব আমাকে?
পৌষ’র সাহস দেখে এবার তৌসিফ অবাক হলো কারণ পৌষ ভুল বুঝতে পারলে এতক্ষণে কেঁদে ফেলতো। বুকে চলে আসতো কিন্তু না ও শক্ত হয়ে বসে আছে। চোখে মুখে এখনও রাগ ছড়িয়ে। এটা অভিমান না। এটা রাগ। ক্ষোভ। তৌসিফ দেখলো। পৌষ সরাসরি প্রশ্ন করলো,

— তখন আমার সাথে ঐ ভাবে কথা বললেন কেন? আপনার ভাবী এসেছিলো কথা বলতে। বিশ্বাস করেছি আমি? করেছি? করিনি। আমি জানি আপনি আমাকে ছাড়বেন না। আপনি আমাকে ভালোবাসেন। আপনার ভালোবাসার কোন ঠিকঠিকানা নেই। যখন তখন রেগে যান। আমার কি দোষ ছিলো? বলুন?
— দোষ তোমার অবশ্যই আছে পৌষরাত। মীরাকে দেখামাত্র জুতা পেটা করা উচিত ছিলো।
— তো আপনি কি করলেন?
— জানে ছেড়ে দিয়েছি।
পৌষ চমকালো। মনে পরলো মীরা’র গাড়ী উল্টেছে। ভেতরে হঠাৎ কামড়ে উঠলো। এই কাজ তৌসিফ করেছে? পৌষ আতঙ্কিত হয়ে প্রশ্ন করলো,
— আপনি করেছেন?
— কোন সন্দেহ?
— তার দোষ? শুধু ঐ কথা বলাতে….

— ভুল। ও আমার সংসার ভাঙতে চেয়েছে। আমার থেকে আমার ভালোবাসাকে দূর করতে চেয়েছে। ওকে জানে ছেড়েছি ভাতিজা, ভাতিজির জন্য। নাহয় আজ অস্তিত্ব থাকতো না ওর।
কত সহজ, সরল ভাবে তৌসিফ কথাগুলো বলে ফেললো অথচ ভয়ংকর এই কথা শুনে পৌষ’র আত্মাটা কেমন টিসটিস করছে। ভয়ে কলিজাটা গলায় উঠে এসেছে। পৌষ’র চোখে মুখে ভীতি দেখে তৌসিফ বাঁকা হাসলো। ফিচেল হাসি ঠোঁটের কিনারায় নিয়ে বললো,

— তুমি আমার অনেক সাধের। এত সহজে ছাড়ব? আমাদের মাঝে কখনো কেউ আসবে না। আমি আসতেই দিব না। পৌষরাত, তুমি বিশ্বাস করো আমাকে? বিশ্বাস করো আমি কতটা পা’গল তোমার জন্য? এই পা’গলামি আমি আগে কখনো করি নি। আমার এই বয়সে এই পা’গলামি মানায়ও না তবুও পা’গল হয়ে যাচ্ছি আমি। তুমি আমাকে কতটা বদলেছো বলো তো? আর কত বদলাবে আমাকে তুমি?
পৌষ’র ঠোঁট ভেঙে এলো। হাঁটুতে ভর দিয়ে এগিয়ে এসেই ঝাঁপ দিলো তৌসিফে’র বুকে। ওর কেমন ভয় ভয় লাগছে। তখন এমন আচরণ কেন করলো বুঝতে পারছে না পৌষ। মুহুর্তেই হু হু করে কেঁদে ফেললো। তৌসিফ ওর মাথায় হাত বুলালো। কপালে চুমু দিয়ে বললো,

— কেঁদো না। আমাকে শুধু বুঝার চেষ্টা করো। একবার চেষ্টা করো। আমার বিশ্বাস তুমি বুঝবে।
পৌষ’র হিচকি উঠে গেলো। কাঁদতে কাঁদতে বললো,
— আপনার ভাবী এমন কেন?
— কিছু মানুষ থাকে যারা অন্যে’র সুখ দেখতে পারে না৷ এরা নিজেরা খেয়েদেয়ে অন্যের হাড়িতে উঁকি দিয়ে দেখে কি আছে। যখনই কারো ভরা হাড়ি পায় তখনই পাথর ছুঁড়ে মা’রে। এটা তাদের বিনোদন। তারা মজা পায় এসব করে। মীরা ঠিক ওমনই একজন।
— আপনি ওনাকে আগে কেন ধমকালেন না? আমাকে কেন বকেছিলেন? এজন্যই কষ্ট পেয়েছি। আমি জানি না কেন আমি এমন করেছি।
তৌসিফ দুই হাতে পৌষ’র মুখ মুছে পরপরই চোখ দিয়ে পানি পরে। তৌসিফ হেসে ফেললো। বললো,

— আর কাঁদে না তো হানি। মীরা’কে বকি কি কে বললো? প্রথম ঝাড়িটা তাকে তৌহিদের কাছে খায়িয়েছিলাম। এদিক থেকে তোমাকে শাসনে রেখেছি যাতে বখে না যাও। বউ আমি শাসনে রাখব। আমিই ভালোবাসব। চলবে?
— ছাগলের বেগে দৌড়াবে।
পৌষ তৌসিফে’র হাঁটুর দিকের টাউজারে নাক মুছলো। টু শব্দ করে না তৌসিফ। পৌষ’র শুকিয়ে আসা ঠোঁটে আলতো স্পর্শ করে বলে,
— কত কথা বলো তুমি। তোমার সাথে থেকে বাচাল হয়ে যাচ্ছি।
— উম। ঘুমাব।
— খাবে।
— একটু পর।
বলে তৌসিফে’র গলা জড়িয়ে ধরে পৌষ। তৌসিফ ছাড়ায় না। আস্তে করে বিছানায় গা এলিয়ে দেয়। মিনিট খানিক যেতেই পৌষ ঘুমিয়ে যায়। তৌসিফ তাকিয়ে রয় ওর দিকে। তৌসিফ’কে চার হাত পায়ে পেঁচিয়ে ঘুমাচ্ছে ও। চোখ বুজে তৌসিফ। বিরবির করে বলে,

— আরেকবার তুমি গুটি চালো মীরা। তোমাকে রাস্তায় নামিয়ে ছাড়ব আমি। স্বভাব বদলালেও মানুষ আমি আজও একই আছি। তৌসিফ তালুকদার কে তা তুমি ভুলেছো। কার কথায় এসব করছো তা আমার খুব করে জানা। তোমাদের জানে ছেড়েছি তার শুকরিয়া আদায় করো। আমার কলিজায় হাত দিলে ঐ হাত কাটতে আমি তৌসিফ সময় নিব না।

শরীরে বেয়ে বেয়ে কিছু উঠছে। পৌষ টের পায় তিন চারটা হাত ওর সারা অঙ্গে হাতাচ্ছে। টু ট্যা শব্দ হচ্ছে। মাঝেমধ্যে পুরুষ গলা শোনা যাচ্ছে। এরমধ্যে আবার কেউ একজন ওর পায়ের আঙুল ধরে টানছে। ঘুমের মধ্যেই পৌষ ভয় পায়। ডান হাত বাড়িয়ে খুঁজে তৌসিফ’কে। না, নেই সে। পৌষ ভয় পেয়ে গেলো। চোখ দুটো খুলা যাচ্ছে না। হঠাৎই তখন ওর চোখের পাপড়ি গুলো টেনে ধরে চোখ খুলতে চায় কেউ। পৌষ লাফিয়ে উঠে। জোরে জোরে শ্বাস টানতেই ইনি, মিনি একসাথে ডেকে উঠে,

— আপাআআআ।
পৌষ বড়বড় চোখ করে তাকালো। অবাক হয়ে তাকিয়েই রইলো। ওর শরীরের সাথে বোন তিনটা লেগে আছে। পায়ের আঙুল এখনও জৈষ্ঠ্য ধরে টানাটানি করছে। চৈত্র তার পাশে বসা। কোলে হেমন্তের বাবুটা। ফাঁকা ঢোক গিলে পৌষ। এদিক ওদিক তাকায়। হ্যাঁ, এটা তারই বেডরুম। বিলাস বহুল তৌসিফ তালুকদারের মাস্টার বেডরুমে আছে ওরা সবাই। পৌষ’কে হাবলার মতো তাকিয়ে থাকতে দেখে পাঁচ ভাই-বোন একত্রে ডেকে উঠলো,
— আপা!
হায় হায়! পৌষ কেঁদে উঠলো। যতটুকু মেলা যায় হাত মেলে ভাই-বোনদের জড়িয়ে ধরলো। সবগুলো হাসছে। এদিকে পৌষ কাঁদছে। পিহা বোনের চোখ মুছে বললো,

— আপা কেন কাঁদছো? আমরা এসেছি তো।
— কে আনলো? কখন এলি?
চৈত্র হাতের কড় গুনে বললো,
— আড়াই ঘন্টা।
জৈষ্ঠ্য বললো,
— তুমি তো ঘোড়া বেঁচে ঘুমাচ্ছিলে। নাকও টেনেছো। তোমার নাক টানার শব্দে আমাদের ভাতিজা উঠে গিয়েছে।
পৌষ তাকালো। দেখলো ছোট্ট সোনাটা টুকটুক করে দেখছে সবাইকে। পৌষ হাত বাড়িয়ে ওকে কোলে তুললো। আলগোছে বুকে জড়ালো। বাবু বাবু গন্ধটা যেন ওর মাতৃত্ব জাগিয়ে তুলে। পৌষ চোখ বুজে। টুপ করে পানি পরতেই ইনি, মিনি বলে,

— দুলাভাই তোমাকে কাঁদলে না করলো তো আপা।
পৌষ চোখ তুলে তাকালো। গলা খেঁকিয়ে বললো,
— কে এনেছে তোদের?
সবগুলোর একত্রে উত্তর,
— দুলাভাই?
— কোনটা?
— কয় বিয়ে তোমার?
আচমকা তৌসিফ প্রশ্ন করায় পৌষ চমকালো। গলায় আটকালো যেন কিছু। ঠিক ওমন ভাবে কাঁশি দিলো দুটো। ঐ দিকে যে তৌসিফ বসা তা দেখে নি ও। পৌষ ওর চোখের দিকে তাকাতেই তৌসিফ চোখে হাসলো। পৌষ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে। তার বুক ভরে উঠে। দেখে রুমে হেমন্ত ঢুকছে শ্রেয়া’কে নিয়ে। পৌষ সুযোগ বুঝে আবদার ধরে,

— সবাই থেকে যাও।
মিনু খেতে ডাকা মাত্রই তৌসিফ ছোট দুই শালীকে কোলে তুলে। পৌষ’র দিকে তাকিয়ে বলে,
— মুখ ধুয়ে এসো হানি।
সবার সামনে এভাবে ডাকায় পৌষ লজ্জা পেলো। লজ্জায় তার পেটের নাড়িভুড়িতে যেন দুটো প্যাঁচ লেগে গেলো। হায়! কার নজর লাগলো। পৌষ বাথরুমে ঢুকেই বমি করে দিলো। চাপা স্বরে ডাকলো তৌসিফ’কে। তৌসিফ এসেই যেন মাথায় হাত। বেসিন ছড়িয়েও ফ্লোর মেখেছে পৌষ। কমোডের উপর বসে হাঁপাচ্ছে। তৌসিফ তারাতাড়ি ওকে ধরলো। পৌষ কেঁদে ফেলে বললো,

প্রেমসুধা পর্ব ৬৬

— আমার অনেক খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে ম’রে যাব। এখনই ম’রে যাব। শুনুন….
কথাটা বলার আগেই পৌষ টলে পড়ে। তৌসিফ চারপাশে তখন অন্ধকার দেখে। হঠাৎ কি হলো? তার সুখের ঘরে ঢুকার পথে এত কেন কাঁটাতার। কার নজর লাগে তার সুখে। কেন লাগে?

প্রেমসুধা পর্ব ৬৮