প্রেমসুধা সিজন ২ পর্ব ৩২
সাইয়্যারা খান
ক্লাস একটা শেষ হতেই পৌষ এসেছে মাঠে। হাতে চায়ের একটা প্লাস্টিকের কাপ। এদিক ওদিক নজর ঘুরিয়ে ফুটবল গ্রাইন্ডে পেলো আদিত্যকে। দেখেই দ্রুত পায়ে এগিয়ে এসে ডাকলো,
“অ্যই আদি, অ্যই।”
আদিত্য বোধহয় শুনলো। দৌড়ের উপর ফুটবলটাকে লাথি দিয়ে এগিয়ে এলো পৌষের দিকে। কপালের ঘাম মুছে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বললো,
“আজ এলে? চাচ্চু দিলো আসতে?”
“না দিয়ে যাবে কই? আমি কি মূর্খ থাকব নাকি?”
“আরে তা না।”
“চা খাবে?”
“মাত্র ফুটবল খেললাম। গরম লাগছে।”
“তুমি বাসায় যাবে এখন?”
“ক্লাবে কাজ আছে। আপাতত আধ ঘন্টা ফাঁকা আছি। চলো বসি।”
পৌষ মাথা নেড়ে রাজি হলো। দু’জন গিয়ে বসতেই পৌষের চোখ দুটো চকচক করে উঠলো। আদিত্য খানিকটা অবাক হয়েই প্রশ্ন করলো,
“খুব চমৎকার কিছু ঘটেছে নাকি?”
“হুঁ।”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আদিত্য একটু সিরিয়াস হয়ে বসলো। পৌষ তা দেখেই মুখটা হাসি হাসি করে বললো,
“সম্রাট চেয়ারম্যানকে গতরাতে দেখেছি।”
“কিহ!”
মুখে মাত্র দেওয়া পানিটা ছিটকে বেরিয়ে এলো। খুক খুক করে কাঁশলো আদিত্য। পৌষ ওর দিকে তাকিয়ে বললো,
“থামো নাহলে পিঠে কিল দিব।”
আদিত্য থামলো। অবাক স্বরে বললো,
“মেঝ চাচ্চু জানে তুমি এই কাজ করেছো? একা একাই গিয়েছিলে? তাহমিনা ফুপি দেখে নি?”
“আরে তোমার চাচ্চুই নিয়ে গেলো। আমার এত বছরের ইচ্ছেটা পূরণ হয়ে গেলো। মনে হচ্ছিলো জীবিত উনি।”
“চাচ্চু নিয়ে গেলো? চাচ্চু?”
“হ্যাঁ, তো? ওসব বাদ। তোমাকে ডেকেছি ভিন্ন কাজে।”
“তাতো জানি। প্রয়োজন ছাড়া ডাকো নাকি?”
“নিমকহারাম ছেলে। তোমাকে আদর করে গোস্তো খাওয়াতে গিয়ে কাঁচা বাঁশ খেতে নিয়েছিলাম। ভুলে গেলে?”
আদিত্য মুখটা গোমড়া করে নিলো। মিনমিন করে বললো,
“ছোট ফুপি এমন করবে আমরা কেউ ভাবি নি।”
“আমি ভেবেছিলাম। ওনাকে শুরু থেকেই পছন্দ না আমার। তোমার বাকি তিন ফুপি গুলো ভালো। যদিও আমার সাথে প্রথমে খারাপ করেছে। তাহমিনা আপাও ভালো অনেক। তায়েফা আপাও আমাকে আদর করে।”
“তায়েফা ফুপি হচ্ছে বেস্ট ফুপি বুঝলে। তাহিয়া ফুপি একদম চুপচাপ আবার। ওনার থেকে তুমি কখনো কারো নামে কিছু শুনবে না।”
পৌষ ব্যাগ থেকে একটা বক্স বের করে তা দিলো আদিত্যর হাতে। আদিত্য খুলেই খাওয়া শুরু করেছে। পৌষ জিজ্ঞেস করে,
“কেমন?”
“ইয়াম্মি।”
“বাড়ীর পেছনে গিয়েছিলাম। ওখানে দেখলাম কচুর ক্ষেত। নিয়ে এসে রান্না করেছিলাম। পরে বেঁচে যাওয়া থেকে এই কাটলেট বানালাম।”
চারটা খেয়ে পঞ্চমটা তখন আদিত্য মুখে দিয়েছে। মুখটা হা করে আদিত্য আশ্চর্য হয়ে বললো,
“এটা কচুর ছিল? আমি কচু খাই না পুষি।”
“চারটা খেয়ে রঙ্গ দেখাও আমাকে? চুপচাপ শেষ করো। টেনে আনলাম তোমার জন্য।”
“এখন বলো কি বলবে।”
“সম্রাটের ঐ লাল গাড়িটা কোথায় আদি? ওনার বাগান বাড়ীতে?”
আদিত্যর নাকেমুখে উঠে গেলো। পৌষ পানি দিতেই ঢকঢক করে গিলে জিজ্ঞেস করলো,
“লাল গাড়ি? তোমাকে কে বলেছে?”
“সবাই জানে আদি। ওনার লাল ঐ গাড়িটা দেখতে চাই আমি। শুধু গাড়িটা না বরং ওনার ঐ বাগান বাড়ীটাই ঘুরতে চাই।”
“ওখানে কেউ যায় না পুষি।”
“আমি তো গিয়েছিলাম।”
“কি বলছো এসব? চাচ্চু জানে? ওখানে কেউ যায় না। তুমিও যেও না৷ আমি একবার গিয়েছিলাম তা ছাদ থেকে দেখেছিলো আম্মু। মানুষ দিয়ে আমাকে আনিয়ে ডাল ঘুটনী দিয়ে পিটিয়েছিলো। এরপর থেকে ভয়ে আর যাই নি।”
“এত বছরেও কৌতুহল জাগে নি?”
আদিত্য মাথা নাড়লো। পৌষ চোখের পলক ঝাপ্টে বললো,
“চলো আমরা দু’জন যাই।”
“কেউ শুনলে রেগে যাবে।”
“কে জানবে? কেউ জানবে না৷ আমরা দু’জন যাব, দেখব, চলে আসব।”
“মেঝ চাচ্চু জানলে তো ঝামেলা হবে।”
“কে জানাবে তাকে? আমি গিয়েছিলাম কিন্তু দরজা পাই নি। কি অদ্ভুত। দরজা পেলে কাল একেবারে ট্যুর দিয়ে আসতাম।”
আদিত্য কিছুটা ভাবুক হলো। তার সাথে কি ঘটেছিলো? ক্লাস টেনে পড়াকালীন গিয়েছিলো নিছক কৌতুহলি হয়ে। সেও দরজা পায় নি। তাই এদিক ওদিক খুঁজতে গিয়ে কাঁটাযুক্ত গাছের ওখানে পড়েছিলো। ফলাফল সরূপ তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। সামান্য কাটাছিঁটায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে এক সপ্তাহ কাটানো মুখের কথা না অথচ আদিত্য ছিলো।
পৌষ পুণরায় তাড়া দিলো,
“কি হলো যাবে?”
“যদি ধরা খাই?”
“খেলে খাব। কেউ তো আর মেরে ফেলবে না আমাদের।”
আদিত্য খুব আস্তে করে বললো,
“তুমি কাউকে চিনলে কোথায় পুষি।”
তৌসিফ বসা থানায় সাথেই বসা এডভোকেট জুনায়েদ। পল্লবে আদালতে তুলা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে যেই রায় এসেছে তাতে মূল আসামি পল্লব নিজে। তার বাপ-চাচা কুত্তা পাগল হয়ে আছে। এলোমেলো সবকিছু। চেয়ারম্যান, মন্ত্রী কিছুই কাজে আসছে না। ভীষণ চিন্তায় সামাল দিতে গিয়ে ভালোই জটলা পাকিয়ে ফেলছিলো। এক কথায় তারা ডুবন্ত পথহারা মানুষ। জনগণ ক্ষেপেছে। খবরের কাগজগুলোকে দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না। তার উপর গা হীম করা এক খবর এসেছে। নিজের আপন চাচাতো বোনকেই পল্লব গোপনে বিয়ে করেছিলো যা বাসার কেউ মেনে নেয় নি। দুই পক্ষই এই বিয়ের বিরুদ্ধে ছিলো। এখন হঠাৎ করেই মাহিরা প্রেগন্যান্ট। কাঁদতে কাঁদতে অবস্থা খারাপ করে ফেলেছে। দুই দিন পরপর দেখা করতে ছুটে যায়। বাসা থেকে বাচ্চা নষ্ট করার কথাও বলতে সাহস পাচ্ছে না কেউ। পল্লবের সন্তানে হাত দিলে পল্লব কাউকে বাঁচতে দিবে না আবার বিয়েরাও মেনে নিতে পারছে না। উমায়ের তাদের এই পারিবারিক কূটনামিতে জড়াতে চায় নি। শুধু মাত্র মন্ত্রী বিষয়টা দেখতে বলেছে বিধায় সে তৌসিফকে ডেকেছে। সব শুনে তৌসিফ চুপ করে আছে। বেশ কিছু সময় ও বললো,
“মাহিরাকে মালোশিয়া পাঠিয়ে দাও। ওখানে তো ওর বাবার বাসা আছেই। বাকি পড়াশোনাটুকু শেষ করুক সেখানে আগে। ততদিনে পল্লবের বিষয়টা আমরা যতটুকু পারি সমাধান করি। সাফিনের পরিবার ঠান্ডা হলেই ঝামেলা মিটে যাবে।”
“ছোটলোক গুলা টাকা খেয়ে দমলেই হয়।”
উমায়েরের কথায় তৌসিফ তাকালো সরাসরি ওর চোখে। উমায়ের বোধহয় ভরকালো। খানিকটা সময় নিয়ে তৌসিফ এডভোকেট জুবায়েরকে বললো,
“টাকার চিন্তা নেই। মামলা আমাদেরই জিততে হবে।”
জুনায়েদ গম্ভীর মুখেই আছে। কিছুটা শক্ত চোয়ালে তাচ্ছিল্য করে সে,
“টাকা দিয়ে তো মানুষের জীবন পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলে নিশ্চিত সাফিনকে কিনে আনতেন মন্ত্রী সাহেব। সাফিন হত্যা মামলার সাক্ষী সাধারণ জনগণ। কেস কঠিন। আশা রাখছি কিছু করা যাবে।”
উমায়ের কিছুটা শ্বাস ফেলে। থানায় থাকা পুলিশকে বলে দেখা করতে যায় পল্লবের সাথে। জুনায়েদ তখন তাকায় তৌসিফের দিকে। তৌসিফ ভাবহীন ভাবে ফোন চালাতেই জুনায়েদ হেয়ালি করে বললো,
“আগুন নিয়ে এত নড়াচড়া করতে নেই।”
“হাত পুড়ে যাওয়ার ভয় তৌসিফ তালুকদার করে না।”
“আশেপাশে তো খেয়াল রাখা প্রয়োজন। নিজে না পুড়লেও অন্য কেউ পুড়তে পারে। হতে পারে সে প্রিয়জন।”
তৌসিফ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালো। উঠে দাঁড়িয়ে ফোনটা পকেটে পুরে বললো,
“কলিজা ছিড়ে কুকুর দিয়ে খায়িয়ে ছাড়ব তার। আমি তৌসিফ খোলসে আবৃত হতে পারি তাই বলে নিজেকে ভুলে যাই নি। আগের সেই তৌসিফই আছি আমি।”
ওখান থেকে হনহনিয়ে বেরিয়ে গেলো তৌসিফ। জুনায়েদ ওখানে ঠাই বসে ভাবলো কিছুক্ষণ অতঃপর নিজেও উঠে গেলো।
রাজনৈতিক প্রাঙ্গণে তৌসিফদের অবস্থান এখন কারো চোখে না পড়লেও তাদের কার্যক্রম ইদানীং ভাবিয়ে তুলছে সকলকে। এতবড় ক্ষমতাশালী মানুষ বিপরীত দলকে নানান ভাবে সাহায্য করছে অথচ তাদের সরাসরি আহবান করা হলে আবার প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। এই জটটা কেউ খুলতে পারছে না। উমায়ের শিকদারও না।
গাড়িতে বসা তৌসিফ দশ মিনিটের উপর। পৌষকে ফোন দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে না অগত্যা গাড়ি থেকে বেরিয়ে এলো তৌসিফ। হাঁটতে হাঁটতে ফোনও দিচ্ছে সে। এই মেয়েকে এত করে বলার পরও এখানে অপেক্ষা না করে কোথায় গিয়েছে কে জানে। সামনে জটলা দেখে তৌসিফ ভাবলো একটু দেখে যাবে এখানে পৌষ আছে কি না কিন্তু সামনে যেতেই ও চমক খেলো। আদিত্য দাঁড়িয়ে আছে, ওর নাকে রক্ত। পৌষ এক ছেলের কলার ধরে আছে। তৌসিফ তারাতাড়ি ভীর ঠেলে যেতে যেতে পৌষ এক কাজ করে বললো। ছেলেটার টুনটুনিতে লাথি দিয়ে চুল ধরে ঝাকালো। রাগে গজগজ করতে করতে শাসালো,
“কিরে শালা, মার এবার। সাহস কতো তোর? আদিকে মারিস? চিনিস আমাকে আমি কে?”
তৌসিফ দেখলো ছেলেটা কুঁকড়ে মাটিতে পড়েছে। ব্যথায় ছটফট করছে। ততক্ষণে আদিত্য হতভম্ব ভাব কাটিয়ে পৌষকে সরে আসতে বলছে। বারবার অনুরোধ করছে,
“পুষি, চলো। প্লিজ। সিনিয়ররা চলে আসলে ঝামেলা হয়ে যাবে।”
“হোক। ঝামেলা করব আমি৷ চিনে আমাকে? একদম বাপ বাপ ডাকিয়ে ছাড়ব।”
ততক্ষণে খবর ছড়িয়ে বাকি ছেলেপেলেরা আসতে নিলেই তৌসিফ তারাতাড়ি ঢুকে পৌষের বাহু টেনে ধরলো। পৌষ ক্ষেপে উঠে আদিত্য ভেবে ধমক দিতেই দেখে তৌসিফ। মূহুর্তে, একদম মূহুর্তের মাঝে থমকায় পৌষ। চমকায় আদিত্য। মেঝ চাচ্চু এখন রেগে গেলে কি হবে? পৌষকে চুপ দেখে তৌসিফ শুধু বললো,
“বাসায় চলো।”
চুপ করা পৌষ ক্ষেপাটে হলো আবারও। ফুঁসে উঠে বললো,
“আরে কিসের বাসায় যাব। এর সাঙ্গোপাঙ্গ আসুক আজ। দেখাব মজা। চিনে আমাকে, কে আমি?”
“কে তুমি?”
“পৌষরাত হক তালুকদার আমি। তালুকদার বাড়ীর বউ।”
সহজ একটা স্বীকারোক্তি তৌসিফের বিক্ষিপ্ত মেজাজ কিছুটা গুছিয়ে দিলো যেন। আশেপাশের দুই চার জন ছেলেটাকে তুলে মেডিকেলে নিতে নিলেই পৌষ হুংকার দিয়ে উঠলো,
“কিরে কই যাস এখন? চামচিকা একটা। যা তোর বাপদের ডেকে আন৷ দেখাব চমক।”
মুখে মুখে পৌষ সব উল্টে দিলেও হাতটা তৌসিফের হাতে। পৌষকে টেনে নিতে নিতে গম্ভীর কণ্ঠে আদিত্যকে উদ্দেশ্য করে বললো,
“আয়।”
আদিত্যর পা দুটো যেন চলছে না। ঠেলেঠুলে কোনমতে এগিয়ে আসছে ও৷ পেছনের সিটে বসেছে আদিত্য। গাড়িতে ড্রাইভার থাকায় আদিত্য অবশ্য সামনে বসতে নিয়েছিলো কিন্তু পৌষ বলায় পেছনে বসেছে। তৌসিফ উঠতেই পৌষ ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করে,
“ফাস্টএইড বক্স আছে?”
“জি।”
বলেই এগিয়ে দিলেন ড্রাইভার। মাঝে বসা পৌষ বক্সটা তৌসিফের হাতে দিয়ে স্যাভলন দিয়ে আদিত্যর নাক মুছতে মুছতে বললো,
“একদম উচিত হয়েছে। তোমার নাক ফাটানো উচিত ছিলো আদি। আমি আগেও সতর্ক করেছিলাম। ঐ ছেলেগুলো ভালো না। আজ বুঝলে মজা৷ দেখলে তো কত ধানে, কত চাল?”
আদিত্য চুপচাপ রইলো। পৌষ একটা পেইন কিলার দিয়ে বললো,
“খেয়ে নাও। তোমার আম্মু নিশ্চিত আজও জানলে ডাল ঘুটনী দিয়ে পিটাবে।”
বলেই হাসছে পৌষ। তৌসিফের কোল থেকে বক্স নিয়ে সামনে রেখে যখন তাকালো তখন দেখলো তৌসিফ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে পৌষকেই দেখছে। ফাঁকা ঢোক গিলে পৌষ মুখটা স্বাভাবিক রেখেই জিজ্ঞেস করে,
“কি হয়েছে? কিছু বলবেন?”
জলদগম্ভীর কণ্ঠে তৌসিফ প্রশ্ন করলো,
“মারামারি করছিলে কেন?”
“ওমা! সে কি কথা? আপনি জানেন কি হয়েছিলো? আদিকে ঐ ছেলে ঘুষি দিয়েছে তাও কিনা দোষ ওর নিজের। ফুটবল খেলায় আগেরবার হেরে ঐ ছেলের মাথা আউট হয়ে গিয়েছে।”
“তুমি চেনো তাকে?”
“হু, রাফিদ শিকদার।”
“উমায়ের শিকদারের ভাই ও।”
“উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাই?”
তৌসিফ তাকিয়ে আছে। পৌষ বুঝলো। হায়হায় করে উঠে বললো,
প্রেমসুধা সিজন ২ পর্ব ৩১ (২)
“উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাইকে কি না আমি সাবেক চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাইয়ের বউ হয়ে দাপট দেখিয়ে এলাম? কপাল, কাল আমাকে ধরলে তখন কি করব? অ্যই আদির বাচ্চা, তুই খেলতে গেলি কেন? তোর জন্য এখন আমার জান যায় যায় অবস্থা।”
আদিত্য মুখটা ছোট করে বসে আছে। তৌসিফ অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। তার বউ তাকে এতই তুচ্ছ ভাবে? কি পরিচয়টাই না দিলো, সাবেক চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাইয়ের বউ। কেন তাকে মাঝে সম্রাটকেই আনতে হবে। মৃত মানুষটার উপরও ভীষণ হিংসা হচ্ছে তৌসিফের। ভীষণ হিংসা।
