প্রেমের সমর সিজন ২ পর্ব ৩৭

প্রেমের সমর সিজন ২ পর্ব ৩৭
অলকানন্দা ঐন্দ্রি

মাঝখানে সময় অতিবাহিত হয়েছে প্রায় সাত সাতটা বছর! সিয়া এই সাত বছরে তার প্রিয় পুরুষটির একটি বারও দেখা পায়নি আর। কোন খোঁজ অব্দি পায়নি সে পুরুষটির। এই সাধারণ জীবনে তার আজকাল আক্ষেপ লাগে সাদের জন্য। একটা দীর্ঘশ্বাস বুকের গহীনে জমা হয়ে থাকে। সিয়া একটা কলেজে টিচার হয়ে জয়েন করেছে এই মাসখানেক হলো। এখন পরনের পোশাক হিসেবে প্রতিদিনই জায়গা নিয়েছে কিছু সাদামাটা শাড়ি। সিয়া আজও শাড়ি জড়াল শরীরে। মুখে তেমন সাজগোজ নেই। চোখে চশমা এঁটে যখন কর্মজীবনের জন্য রওনা হলো?

রিক্সা নিয়ে পথ এগোল? ঠিক তখনই অস্পষ্ট ভাবে অপর একটি রিক্সায় অনাকাঙ্খিত একটা মুখ ভেসে উঠল! সাদ! সিয়ার চিরচেনা পুরুষ! সিয়া চাহনি সরু করেই কতক্ষন তাকিয়ে থাকল। হ্যাঁ, সাদই! শুধু যে সাদ তেমন নয়, পাশে আছে খুব রূপবতী এক নারীও। সিয়া মনে মনে হাসে। এত বছর পর দেখা মিলেছে ঠিক, তবে সে পুরুষটি যে এখনও অবিবাহিতই আছে এমনটা ভাবা হাস্যকর। সিয়ার হাসি এল।অনুভূতিরা ঝং ধরে এল যেন হঠাৎ ই। হুট করেই সিয়া আবিষ্কার করল যে কোন নারীর মন থেকে কোন পুরুষের অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার জন্য সে পুরুষের জীবনে অন্য এক নারীর উপস্থিতিই যথেষ্ট। সিয়া আর যায় হোক অতোটক বেহায়া না, অতোটা ব্যাক্তিত্বহীন নয় সে। অতোটা সে ভালোবাসতে পারে নি যতটুকু ভালোবাসলে সে পুরুষটি অন্য এক নারীর জেনেও সে পাগলামো করবে। এতটা নিচু তো সিয়া নয়। সিয়া এটুকু ভেবেই মৃদু হাসল। মনে মনে আওড়াল,
“ ভালো থাকুন, দোয়া করি পৃথিবীর সবটুকু ভালো থাকা আপনার হোক সাদ। আমার কষ্ট নেই, সত্যিই কষ্ট হচ্ছে না। আপনি অন্য কারোর সাথে ভালো থাকলেও জীবনে খুব খুব ভালো থাকুন এটাই আমার সর্বোত্তম চাওয়া! ”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

রাহার কোলে আড়াই বছর এর একটা ছটফটে বাচ্চা মেয়ে। দেখতে একদমই রাহার মতো। চোখ হতে, মুখ হতে অবিকল রাহার চেহারা। রাহা কিছুক্ষন তাকাল বাচ্চা মেয়েটার দিকে। একটু আগেই সে অনেক কষ্টে মেয়েটাকে খাইয়েছে। বলতে গেলে প্রায় ঘন্টা দুয়েক চেষ্টা করে সে এক ছোটবাটি সমান খিঁচুড়ি খাওয়াতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু তার গুণধর মেয়ে একটু আগেই তার শরীরে গলগল করে বমি করে তার সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতার পরিচয় দিয়েছে বলেই রাহা মনে করে। রাহা ফোঁসফাঁস করে। অপর পাশে রোহানকে বসে হাসতে দেখে তৎক্ষনাৎ চ্যাৎ করে উঠে। বলে উঠল,

“ এই মেয়ে জীবনেও আমার হতে পারে না, দেখতে হয়েছে অবিকল আমার মতো অথচ সারাক্ষন বাপ বাপ করে। কি পল্টি’বাজ মেয়ে। ”
রোহান হাসল একটু। এগিয়ে এসে মেয়েকে বমিভর্তি শরীরে ওভাবেই কোলে তুলে নিল। মেয়েটা তার ভীতু প্রকৃতির। যার দরুণ বমি করে ভাসিয়েই চোখ টলমল করছে। ঠোঁট কাঁপছে। এক্ষুনিই হয়তো রুম কাঁপিয়ে কেঁদে উঠবে, কিন্তু মায়ের চিৎকারে ভয়ে বোধহয় তাও করতে পারছে না। রোহান মেয়েকে আদরে কোলে তুলে নিয়ে বলল,
“ দুনিয়ার সব বাচ্চাকে দেখলেই তোমার আদর আদর পায় নবনী, অথচ আমার বাচ্চাটার বেলাতেই তোমার যত অনাদর। আমার মেয়েটা এমনিতেই ভীতু। ”

রাহা আবার ফোঁস করে উঠে। চোখ রাঙ্গিয়ে বলে উঠে,
“ ও মোটেই ভীতু না। ভীতু হলে ও এভাবে জ্বালাত আমায়? ”
রোহান মেয়ের দিকে তাকাল। যেন বহু কষ্টে কান্নাটা আটকে রেখেছে। শান্তস্বরে মেয়েকে শুধাল,
” আম্মু? জ্বালাবে না আর এই মেয়েকে। এবার থেকে আব্বুর সাথে সাথে থাকবে হু? আব্বুর সাথে সাথে অফিস নিয়ে চলে যাব আব্বু তোমাকে। কেউ বকবে না তোমায়। ”
রাহা মুহুর্তেই চোখে মুখে বিস্ময় ফুটিয়ে তুলল। কপাল কুঁচকে বলল,
“ বকতে পারব না আমি আমার মেয়েকে? ”
রোহান তাকায়। বলে বসল,

“ একটা বাচ্চা সামলিয়েই এমন বকাবকি করলে বাকি বাচ্চাকাচ্চার কি হবে নবনী?তোমার তো আবার বাচ্চাকাচ্চার শখ বেশি।”
“ রোহান…”
রোহান হাসে এবারে। মেয়েকে নিয়ে যেতে যেতে বলে,
“ ওকে পরিষ্কার করাতে নিয়ে যাই? তোমার প্রেম পরে গ্রহণ করছি কেমন? ”
বলে রোহান ওয়াশরুমে প্রবেশ করার আগেই জামাকাপড় নিয়ে প্রবেশ করল রাহা। রোহান তা দেখে দ্রুত শুধাল,
” মা মেয়ে দুইজনকেই পরিষ্কার করে দিতে হবে নাকি? আমার অবশ্য সমস্যা নেই, পরিষ্কার হলে হতে পারো আমার সামনে।”
রাহা কেমন করে যেন চাইল। বলল,
“ মোটেই না। ওকে আমায় দিন, গোসল করিয়ে পাঠাচ্ছি আপনার কাছে।”
রোহান হতাশ হয়ে বলে,

“ তোমাকে তো জ্বালাচ্ছে বললে..”
রাহা দ্রুত মেয়েকে নিজের কাছে টেনে নিল। রেগে রোহানকে শুধাল,
“ তো? জ্বালালে বলব না আমি? মেয়ে কি আমার না? নাকি আপনার অন্য কোন বউ এর? সরুন! ”
এটুকু বলেই বেচারা রোহানের মুখের উপরেই দরজাটা লাগাল রাহা। রোহান ছোটশ্বাস টেনে ফের বিছানায় গিয়ে বসে। তার ঠিক কিছুক্ষন পরই তার মেয়ের দেখা মিলল।পরনে ছোট শুভ্র রং এর ফ্রক আর ছোট প্যান্ট। চুলগুলো ভিজে আছে একটু একটু এখনো। ভেতর থেকে রাহা ততক্ষনে চেঁচিয়ে বলল,
“ ওর চুলগুলো আরেকটু মুঁছে দেন। ভেজা আছে একটু একটু। ”

রোহান তাই করল। মেয়েকে কোলে নিয়ে চুমু আঁকল কপালে। পরপরই ভালো করে মাথা মুঁছে দিল। তারপর বিছানার একপ্রান্তে বাপ মেয়ে দুইজনে সময় কাঁটাতে কাঁটাতে কবেই যে মেয়েটা তার কোলে ঘুমিয়ে গেল রোহান বুঝলই না। রোহান হাসে। তার মিষ্টি মেয়েটাকে আরো একটা চুমু উপহার দিয়ে শুঁইয়ে দিল বিছানায়। আশপাশে সুন্দর করে বালিশ দিয়ে দিল। কোলবালিশটা টেনে রাখল মেয়ের হাতের নিচেই। রাহা গোসল করে, কাপঁড় ধুয়ে বের হলো তার একটু খানি পরই। মেয়েকে ঘুমিয়ে পরতে দেখে জিজ্ঞেম করল,

“ ঘুমিয়ে গেল?”
উত্তরে রোহান বলে,
“ বাচ্চার আম্মু এতক্ষন যাবৎ গোসল করলে বাচ্চা তো ঘুমিয়ে যাবেই, তবে বাচ্চার আব্বু কিন্তু ঘুমায়নি। বাচ্চার আম্মুর প্রেম গ্রহণ করার জন্য অপেক্ষা করছিল… ”
রাহা হেসে ফেলল এবারে। বালতি ভর্তি কাপড় গুলো নিতে নিতে বলে উঠল,
“ বাচ্চার আম্মু আপনাকে প্রেম নিবেদনের জন্য বসে নেই! ”
রোহান বড্ড আপসোসের সাথে ফের বলল,
”বাচ্চার আব্বু প্রেম নিবেদন করলে গ্রহণ করবেন? না মানে, বাচ্চার আম্মুকে আজকাল খুব ব্যস্ত লাগে! বাচ্চার আম্মুকে তো আজকাল পাওয়াই যায় না। ”

ড্রয়িং রুমের এককোণে বসে আছে স্নিগ্ধ।হাতে একটা কিউব। দেখে মনে হচ্ছে সে খুব করে কিউবটা মিল করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। অথচ হচ্ছে না। অন্যদিকে সোফার এককোণে বসে সাদাফ এবং নিধির দুই জমজ ছেলে সাদিদ এবং আবিদ। দুইজনই খুবই উৎসুক ছুটির আর আবিরের বেবি নিয়ে। তারা জানে তাদের জন্য একটা নতুন ডল আসবে। তাদের সাথে খেলা করার জন্য একটা ডল আসবে। এটুকু শোনার পর থেকে তাদের দুটোর শান্তি নেই আজ অনেক দিন। শুধু অপেক্ষা করছে কবে ডল আসবে। এই যে তারা স্নিগ্ধদের বাসায় বেড়াতে এল? এখানে এসেও ছুটিকে তারা ভিডিও কল করেছে। জানতে চেয়েছে ডল কেমন আছে? কি করছে? সাদাফ আর নিধি অবশ্য হাসে এসব দেখে। আজও ব্যাতিক্রম হলো না। সাদাফ সোফায় বসামাত্রই সাদিদ বাবার গলা জড়িয়ে ধরল। দ্রুত বলল,

“ পাপা? ছুটি আন্টির কি ডল বেবি আসবে?”
সাদাফ হাসে। ছেলে যে এমন প্রশ্ন করবে বা করতে পারে তা তার জানা। হেসে বলে,
“ হ্যাঁ, আব্বু। ডল বেবি আসবে।”
সাদিদ বেশ আগ্রহ নিয়ে শুধাল,
“ ডলের মতো চুল থাকবে ওর পাপা? ”
সাদাফ হেসে বলে,
“ অবশ্যই থাকবে। ”
এবারে আবিদ তাকাল আগ্রহ আগ্রহ দৃষ্টিতে। জানতে চাইল,

“ ও কি পুতুলের মতো মিষ্টি হবে? ”
সাদাফ উত্তর করে,
“ হ্যাঁ আব্বু। ”
সাদিদ দ্রুতই বলল,
“ পাপা? ও আমার সাথে খেলবে? ”
সাদাফ ছোটশ্বাস টেনে বলল,
“ তোমাদের সবার সাথেই খেলবে আব্বু। ”
সাদিদ মানল না। দ্রুতই প্রতিবাদ করে বলে উঠল,
“ না আব্বু, ও আমার সাথে খেলবে। আবিদ পঁচা। ”
আবিদও বলল প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই
“ আব্বু, সাদিদ পঁচা।ওর সাথে ডল খেলবে না। ”

এই নিয়েই লেগে গেল দুইজনের মধ্যে ঝগড়া! সাড়ে ছয় বছরের দুই বাচ্চার এমন ঝগড়া প্রায়সই সাদাফ দেখে। তাই আজও পাত্তা দিল না। চুপ করে উঠে গেল। অন্যদিাে স্নিগ্ধ এই দুইজনের প্যা প্যা শুনে মুখ তুলে চায়। এতক্ষন সব শুনলেও সে কথা বলেনি। উত্তর করেনি। তবে এখন করবে বলে এগোল সে। বলল,
“সাদিদ? আবিদ?ছোটরা কি খেলতে পারে নাকি? ঝগড়া করিস কেন তোরা? ”
আবিদ মুহুর্তেই স্নিগ্ধির দিকে চেয়ে বলল,

“ পারে না? ”
স্নিগ্ধ বড়দের মতো উত্তর দিল,
“ না! ”
আবিদ ফের বলল,
“ তুই খেলবি না ডলের সাথে? ”
“ নাহ! ”
সাদিদ তখন কিঞ্চিৎ রেগে বলল,
“ ভালো, আমার ডল। আমার সাথেই খেলবে। ”

ছুটি জানালার ধারে দাঁড়িয়ে।মাত্রই সাদিদ আর আবিদের সাথে ভিডিও কলে কথা বলেছে সে।এত মিষ্টি এই বাচ্চাগুলো। দেখা হয়েছে প্রায় সপ্তাহখানেক হচ্ছে। ছুটি একবার হাসে। নয়মাসের ভরা পেটের জন্য কিছুটা উঁচু দেখাচ্ছে তার পেট। মুখটা আগের থেকে গোলাগাল হয়েছে। আবির তা দেখে। এই গোলগাল চেহারার মিষ্টিমতন মেয়েটাকে দেখে হাসল সে। পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে থুতনি রাখল মেয়েটাে কাঁধে। হাত জোড়া বড্ড আদুরে ভাবে ছুঁয়ে গেল ছুটির উঁচু হওয়া পেটে। ছুটি প্রিয় পুরুষের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত শুধাল,
”যদি আরো আগে কনসিভ করতাম এতদিনে আমার সাদিদ আবিদের সমান একটা বাচ্চা থাকত। কিন্তু আপনি, আপনি মানুষটা তা হতে দিলেন না। ”
আবির হাসল। জানতে চাইল,

“ তো এখন কে হতে দিয়েছে? আমি না?”
ছুটি ছোটশ্বাস টেনে শুধায়,
“ আগে তো রাজি হননি। ”
আবির নিজের দিকে ফেরাল ছুটিকে। মুখটা দুইহাতে আগলে নিয়ে শান্তভঙ্গিতে শুধাল,
“ আগে ওদেশে যেমন তোর জন্য ডিফিকাল্ট হতো,তেমনই আমার বেবির জন্যও কঠিন হতো। তার চেয়ে এখানে সবার মাঝে এসে এই সিদ্ধান্তটা নেওয়া ভালো হলো না? ওখানে আমরা সামলাতে পারতাম না। তুই জানিস ছুটি? আমার এখনও স্বপ্ন স্বপ্ন লাগে। আমি এখনও একটু একটু নার্ভাস ফিল করি নতুন বাবা হচ্ছি ভেবে। আমি এখনও ভাবি প্রথমবার আমি আমার মিষ্টি পুতুলটাকে কি করে কোলে তুলব? হাত কাঁপবে না আমার? ”
“মোটেই না। হাত কেন কাঁপবে। আপনি খুশি হবেন না ওকে দেখে?”
আবির হাসল৷ উত্তরে বলে,

“আমার খুশির পরিমাণ অত্যাধিক হবে বলেই আমি নার্ভাস ফিল করছি মাঝেমাঝে।”
ছুটি ছোটছোট চোখে তাকায়। বোকার মতে জিজ্ঞেস করে,
“নার্ভাস ফিল করলে কোলে নিবেন না ওকে?”
আবির নিঃশব্দে হাসে। মেয়েটার কপালে ঠোঁট ছুইয়ে শুধায়,
“ বোকাপাখি! তুই বোকাই থাকলি সবসময়।”
“আর অল্পকয়টা দিন। আর কয়টা দিন পর ও আমাদের কোলে চলে আসবে তাই না বলুন? আপনি কিন্তু ওকে অনেক ভালোবাসবেন।”
এটুকু বলতেই ছুটির চোখ বেয়ে গড়াল পানি। আবির ভ্রু কুঁচকে শুধায়,
“ কাঁদছিস কেন? ”
ছুটি জড়িয়ে ধরল প্রিয় পুরুষকে। বলল

“ আমার একটা আদর, একটা মিষ্টি, আস্ত একটা পৃথিবী ও জানেন? যদি আমার কিছু হয়ও, ওকে কখনো অনাদর করবেন না প্লিজ। ”
আবির ভ্রু কুঁচকে জানতে চায়,
” কি হবে তোর? ”
ছুটি ইতস্থত বোধ করে বলে,
” হয়না কিছুক্ষেত্রে… ”
এই পর্যায়ে আবির হঠাৎই দৃঢ় স্বরে বলে উঠল,

“ মন থেকে নেগেটিভিটি সরা ছুটি। নয়তো রেগে যাব আমি। তোর কিচ্ছু হলে আমি কিন্তু তোর বাচ্চাকে মোটেও কোলে তুলব না। একবারও না। বলে রাখলাম। ”
ছুটি ফ্যালফ্যাল করে। আবির রেগে গেছে? ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়েই শুধাল,
“ মানে? আমার কিছু হলে ও মাও পাবে না, বাবাও পাবে না? ”
“ হ্যাঁ, পাবে না। ”

প্রেমের সমর সিজন ২ পর্ব ৩৬

“ এমন হলে আমি রাগ করব। এখন কত আদর দেখাচ্ছেন ওর প্রতি।”
আবিরের ছুটির বাচ্চা বাচ্চা কথায় হাসি পায় যেন। তবুও দৃঢ় স্বরে বলে,
” দুইজনকেই তো আদর দেখাচ্ছি, তাহলে একজন আসলে অন্যজন আসবে না এমন ভাবনা ভাববে কেন? ”
” আসব না তা বলিনি, যদি এমনটা হয় তাই বললাম….”
ফের কঠিন গলায় আবির বলল
” হবে না, যদি হয় তবে তোকে আমি ম’রে গেলেও ছাড়ব না,প্রমিজ!”

প্রেমের সমর সিজন ২ পর্ব ৩৮