প্রেম ও অসুখ পর্ব ১২
নবনীতা শেখ
-“অর্ণব ভাইয়া? কিছু মনে কোরো না। জানোই তো.. তোমার বোন কেমন..”
গম্ভীরমুখী অর্ণব বোনের ছেলেমানুষীতে না হেসে পারল না,
-“ইটস ওকে, কিছু মনে করিনি। তুমি ফ্রেশ হও, খাও কিছু..”
আচ্ছা, অদিতির বুকের ভেতর শুরু হওয়া এই অকস্মাৎ তাণ্ডবকে সে কীভাবে নেভাবে? কীভাবে সামলাবে নিজেকে? নির্দিষ্ট এই পুরুষটার চোখের দিকে তাকালেই দিন-দুনিয়া হারিয়ে যায়, তার আওয়াজ শুনলে বুকের ভেতরটা ছলকে ওঠে, তার কল্পনায় বিভোর হয়ে কেটে যায় অম্লান দিবানিশি। এমনটা তো অদিতির আগে হয়নি। তার সাথে যে চূড়ান্ত অনুভূতির খেলা চলছে, তা অদিতি বুঝতে পারছে। অথচ সমস্যা একটা জায়গাতেই। প্রতিপক্ষ সাংঘাতিক রকমের পাষণ্ড!
ক্লান্ত হৃদ সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে লজ্জাবতী অদিতিকে সিঁড়িতেই পেয়ে গেল। অদিতি হৃদকে দেখে মিইয়ে গেল, ভাঙা ভাঙা শব্দে বলল,
-“ভাইয়া.. কী অবস্থা ভাইয়া! ভালো? সব?”
হৃদ ওপর-নিচ মাথা ঝাকাল,
-“হুম, ভালো। এখানে কী করছো?”
-“তেমন কিছু না।”
-“কেমন কী, তা বোঝা যাচ্ছে। রুমে গিয়ে আগে মিররে নিজেকে দেখে নিও।”
অদিতি আরও খানিকটা লজ্জা পেয়ে গেল। দমে গিয়ে বলল,
-“ভাইয়া, সাঁঝ ছাদে গেছে।”
-“তাই নাকি?”
ঠাট্টার স্বর, সেই সাথে মস্তিষ্কে ঘুরছে খানিক দুষ্টুমি। হৃদ অদিতিকে বিদায় জানিয়ে ফ্ল্যাটে না গিয়ে সোজা ছাদে চলে এলো।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আকাশ ভেঙে ঝুম বৃষ্টি তখন, মেঘেদের তাণ্ডব, ওদিকে বৃষ্টির সাথে বিলাসিনীর এহেন বেলাল্লাপনায় হৃদ দৃষ্টি সরাতে প্রথমত হিমসিম খেল। আবছা ঝাপসা হয়ে আছে সম্মুখের সবটা। তার মধ্যে দিয়েই ডাক্তার সাহেবের মাইনাস পাওয়ারের চশমা দিয়ে শাণিত চোখ দুটো দেখে নিয়ে গেল প্রিয় স্ত্রীর সবটায়।
শ্যামাঙ্গে শুভ্র শাড়ি জড়ানো অপ্সরা বৃষ্টিবিলাস করছে। চোখ-মুখে উপচে পড়ছে হাসি। দু-হাত ছড়িয়ে রাখা। সে ঘুরতে লাগল। ঘুরতে ঘুরতে আচমকা এইদিক ঘুরে দাঁড়াল। চোখ দুটো খুলে তাকাল সোজা সামনে। সরাসরি হৃদের দিকে। চমকায়নি সে, বিস্মিতও হয়নি। যেন সব স্বাভাবিক। বিষয়টা হৃদকে ভাবাল। আর তারমধ্যেই মেয়েটা বিড়বিড় করে কিছু বলল। শুনতে পায়নি সে। শুনতে তাগিদ দেখায়নি।
তারপর আরেকটা বিদ্যুৎ ঝলক, চোখের নিমিষেই সিঁড়িঘরের দরজা থেকে গায়েব হয়ে গেল হৃদ। সাঁঝ আনমনে হেসে গেল। আর তার মিনিট পাঁচেকের মধ্যে ছাতা হাতে হৃদ সামনে এসে দাঁড়াল, একদম মুখোমুখি। তার প্রতিটি পদক্ষেপ যেন একটি একটি করে দূরত্ব মেটানোর সংজ্ঞা। তার দূরত্ব বাড়িয়ে এত কাছে আসা যেন, গোটা মহাবিশ্ব ঘুরে পূর্বের স্থানে ফেরা। এবারেরটায় সে আরও অভিজ্ঞ, প্রচণ্ডতায় অনুভূতিপ্রবণ।
ধীরে ধীরে হৃদ কাছে এসে মধ্যেতে অর্ধ-হাতের তফাত রেখে দাঁড়িয়ে পড়ল। তাকিয়ে রইল সাঁঝের বৃষ্টিতে ভেজা অশ্রুসজল চোখ দুটোর দিকে। কী মায়াময় চাহনি! আর তাতে কী ঝাঁজালো শাসানি!
হৃদের আওয়াজ বরাবরের মতোই কর্কশ, কণ্ঠে গাম্ভীর্যের সাথে লেপটে আছে ঐশ্বরিক যত্ন,
-“অসময়ের বৃষ্টি এটা.. অসুখ করবে।”
সাঁঝের বুকের ভেতরটা প্রথমদফায় কেঁপে উঠল, বাইরে ঝোড়ো হাওয়ার সাথে তাণ্ডব মাতানো বৃষ্টি অথচ গলাটা শুকিয়ে এলো নিমিষেই। সাঁঝ তাকিয়ে রইল অপলক, ছোট্ট ঠোঁট দুটো কাঁপছে, বিড়বিড় করছে কিছু বলার প্রচেষ্টায়। হৃদ শুনতে পেল সে বলছে,
-“বুকের ভেতরে ধ্বংসাত্মক ঝড় বইছিল। মনের আকাশে মেঘ জমেছিল, ধূসর রঙের। অবশেষে বৃষ্টি নামল। যেন এক নতুন শুরু… বুঝতে পারছো?”
হৃদ বুঝতে পারছে। লুকোচুরির খেলাটার সমাপ্তি যে এত শীঘ্রই টানা লাগবে, উভয়পক্ষ তা টের পায়নি। কে কীভাবে জানল, কীভাবে বুঝল, কেউই তা নিয়ে মাথা ঘামাল না। এই সময়ে, এই অবস্থায়, সবকিছুর ঊর্ধ্বে কেবল বেহায়া অনুভূতিগুলো। হৃদ সাঁঝের জটলা পাকানো কথার মর্ম বুঝতে পারল। মাথা নাড়ল একবার। সাঁঝের দৃষ্টি জ্বলজ্বল করে উঠল। শুধিয়ে উঠল অবিলম্বে,
-“এত ছলনা কেন, ডাক্তার সাহেব?”
এ প্রশ্নের উত্তরটা হৃদের মুখ ফুটে দেওয়া লাগল না। দক্ষিণা বেগে বাতাস ছুটল, বৃষ্টির দিক পরিবর্তন হলো। বৃষ্টি আর ছাতা মানল না। গা ভিজিয়ে দিলো তুমুল উদ্যোমী হয়ে। হৃদ দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ছাতা ফেলে দিলো। মুহূর্তেই ভিজে গেল দু’জন। গম্ভীরমুখো রাজপুত্র তখন বলে উঠল,
-“তুমি এমনটাই চেয়েছিলে।”
-“এমনটা? কী চেয়েছি?”
-“নাটকীয় প্রেম..”
-“পেয়েছি?”
-“পাচ্ছো।”
সাঁঝ হেসে উঠল। হাস্যোজ্জ্বল চোখ দুটোর পাতার ভাঁজেও বৃষ্টি জমেছে। সেই বৃষ্টির সাথে যে জল ধরা ছুঁইছে, তা মূলত নোনাজল। প্রকৃতিবিলাসে এক অদ্ভুত শান্তি আছে। চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়া দুঃখগুলোকে এত কাছ থেকেও কেউ দূর্বলতা হিসেবে দেখতে পারে না, বৃষ্টির জলের সাথে মিলিয়ে ফেলে।
সাঁঝ হৃদের চোখ দুটোতে অকস্মাৎ কিছু দেখতে পেল। অদ্ভুত কিছু, অনিন্দ্য কিছু! তার পুরো দুনিয়াটা এদিক-ওদিক দুলে উঠল। অশান্ত আওয়াজে ডেকে উঠল সে,
-“ডাক্তার সাহেব?”
-“হু-উম? বলো।”
-“ভালোবাসো আমায়?”
-“তোমার কী মনে হয়?”
-“বাসো..ভালোবাসো। কিন্তু কতটা? বলো?”
-“তুমি জানো, তুমিই বলো।”
-“অপরিসীম।”
-“আর?”
-“ব্ল্যাকহোল!”
-“তোমার চোখ।”
-“আর আপনার চোখদুটোয় আমায় দেখতে পাচ্ছি..”
হৃদ মোহগ্রস্তের ন্যায় বলল,
-“এখানে এসেই আমার পৃথিবী থেমে গেছে।”
সাঁঝ এক খণ্ড হাসল। তারপর কেমন গম্ভীর হয়ে গেল। ঠোঁট বেঁকে গেল উলটো দিকে। মলিন হয়ে এলো চোখ দুটো। হৃদ নিজের হাত সাঁঝের গালের দিকে ওঠাতে ওঠাতে জিজ্ঞেস করল,
-“কী হয়েছে?”
সাঁঝ উদাসীনতায় দু’কদম পিছিয়ে গেল। তার চাহনিতে জ্বলজ্বল করছে অভিমান, আত্ম অহংবোধ। ঠোঁট তিরতির ভঙ্গিমায় বলে উঠল,
-“প্রিয় অসুখ, মনের সাথে সন্ধি ঘটানোর আগে স্পর্শ নিষিদ্ধ।”
ফিচকে এক হাসির সাথে হৃদ মাথা নাড়ল,
-“নোটেড, ম্যাডাম।”
সাঁঝ আর একবার হৃদকে দেখে রুমে চলে গেল। আর গিয়ে নিয়ে সোজা মেঝেতে বসে পড়ল। হাত-পা থরথর করে কাঁপছে তার। অদিতি ফেসবুকিং করছিল। ভিজে চিপচিপে সাঁঝকে এরকম অবস্থায় দেখে বিচলিত হলো। এগিয়ে এসে সাঁঝের সামনে হাঁটু মুড়ে বসল। ওর ভেজা গালে আলতো হাতে দু’বার চাপড়ে ডাকল,
-“সাঁঝ? সাঞ্জি? এই ছেমরি? কি হইছে তোর? তাকা।”
সাঁঝ তাকাল, ডাকশোনা জবাবে বলল,
-“কী?”
-“তোরে এমন পাগলের মতো লাগতেসে কেন? সব ঠিক আছে? আমারে বল। বল না!”
অদিতির আওয়াজ কেমন কাঁপতে লাগল! কাঁদো কাঁদো আওয়াজ বড়ো করুণ শোনাল। সাঁঝের মোটেও করুণা হলো না। সে হেসে ফেলল অনায়াসে। পাগলের মতো সে হাসি। বড়ো দাপুটে আওয়াজে বলে উঠল,
-“অদি? আজ আমি আমার মানুষটাকে কাছ থেকে দেখেছি। মাশাআল্লাহ! সে এত সুদর্শন! আমার পাগল পাগল লাগছে..”
সাঁঝ ভেজা কাপড়ে অদিতিকে জড়িয়ে ধরল। অদিতি সংকোচ করল না ভিজে যাওয়ার, বোনের মতো বান্ধবীকে দুই হাতের আঁজলায় আগলে নিয়ে বলল,
-“পৃথিবীর সর্বোচ্চ সুখভাগ্য তোর হোক।”
সাঁঝ হাসতে লাগল শব্দ করে,
-“ওই মানুষটা আমৃত্যু আমার ভাগ্যে থাকুক।”
শকুনতলা বাড়িটা মূলত বেশ শৌখিন ও নান্দনিক। পারিপার্শ্বিক সব দিক দিয়েই এর নান্দনিকতা এলাকায় সুবিদিত। অথচ ভেতরটার প্রতিচ্ছবি ভিন্নই বটে। আবু বকর সাহেবের রিটায়ার্ড হবার পর থেকে তিনি হারিয়েছেন নিজের কাঠিন্য আর বাড়ি হারিয়েছে কঠোর শাসন। আর তাই তো খামখেয়ালিপনায় এ বাড়িতে আজকাল ঔদ্ধত্য দেখিয়ে যাচ্ছে পরের বাড়ির এক মেয়ে।
দোতলার একটি রুমে আজও যেন ঝড় বয়েছে। সবকিছু লণ্ডভণ্ড। মাসকয়েক আগে নতুন করে লাগানো ড্রেসিং টেবিলের আয়নাটি পুনরায় ভেঙে গুড়িয়ে রয়েছে। ভাঙা কাঁচ দিয়ে মেয়েটি পাগলের মতো নিজের হাতে দাগ কেটে যাচ্ছে। কাঁদছে অথচ বোঝা যাচ্ছে না। শব্দ হচ্ছে কেবল গোঙানোর। পাগল হয়ে যেতে আর বাকি রাখেনি একটুও।
সে রক্তমাখা হাত দিয়ে চোখের পানি মুছল। হাতের রক্ত গায়ে মুছল। এরপর ডায়ারি তুলে লিখতে লাগল, “আমার সবটুকু সুখ..”
থামল ঊর্মি। পৃষ্ঠাগুলো ওলটাল। আর তারপর প্রথম পৃষ্ঠা থেকে পড়ে যেতে লাগল..
“প্রিয়তম সুখের অসুখ,
আমার বয়স তখন পনেরো ছুঁইছুঁই। বাবা কার এক্সিডেন্টে মারা গেল। …….. দীর্ঘশ্বাস! তিনভাইয়ের একমাত্র আদরের বোন হয়ে আমার মা ওই বাড়িতে মানিয়ে নিতে পারল না। চলে এলো এখানে, আমাকে নিয়ে। ইদের সময়। তুমি সপ্তাহের ছুটিতে এসেছিলে। আমি জানি না ওই মুহূর্তে আমার কী হলো! আমার ছোটবেলা থেকে তোমার প্রতি হিংসাত্মক ব্যবহার এক নিমিষেই বদলে গেল।
বিশ্বাস করো, অস্বীকার করার জো নেই। আমি একটু একটু করে পুরো দুনিয়া এলোমেলো করা ভালোবাসাটা বেসে ফেলেছিলাম..তোমাকে! আর তারপরের আটটা বছর তোমাকে ভালোই বেসে গেলাম; একতরফাভাবে ভালোবেসে গেলাম।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার কী শোনো, আমি তোমাকে না পেলেও তোমার সবটা পেয়ে গেছি। কীভাবে? তুমি কখন ঘুমাও, রাতে ক’বার ঘুম ভাঙায় তুমি বারান্দায় আসো কিংবা লাইট জ্বালাও, কফিতে কতটুকু পরিমাণ চিনি পছন্দ করো, রাতে কী খাওয়ার ক্রেভিংস হয় তোমার, কোন রংগুলো পছন্দ করো, কোনগুলো দেখতে অসহ্য লাগে তোমার.. কয় কদম পর পর হাঁটতে গিয়ে অন্যমনস্কতায় মাটির বিপরীতে লাথ মারো, চুল কতটুকু হয়ে গেলে কেটে ছোট করো, কতটুকু ছোট করো, কখন বিষণ্ণ লাগে তোমার, কখন খুব উল্লাসে থাকো.. সব জানি আমি। মুখস্ত আমার। তুমি নিজেকেও সম্ভবত অতটা জানো না, যতটা তোমায় আমি জানি। আর সেই জানা থেকে বাইরেই রইল তোমার মনটা।
আমি যখন একটু একটু করে গোটা তুমিতে মরছিলাম, তুমি তখন অন্য এক নারীকে নিয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুনছিলে! হৃদ! আচ্ছা বলো তো! কী কমতি ছিল আমার মধ্যে? আমি দেখতে সুন্দর, পড়ালেখায়ও ভালো আর তোমায় ভালোও বাসতাম খুব করে। তবে তুমি কেন আমার হলে না?
আচ্ছা.. বিনা সাধনায় তোমাকে যেই নারীটি পেয়ে গেল, সে কি জানে—তোমাকে চাইতে চাইতে একটা মেয়ে নিজের জীবন-যৌবন নষ্ট করে ফেলেছে? সে কি জানে, তোমার সামান্য সর্দি হলে একটি মেয়ে মোনাজাতে বসে পুরো রাত কাটাত? সে কি জানে, তোমার মুখখানিতে একটুকরো হাসির লোভে হাজারটা পাগলামো করে বেড়াত একটা মেয়ে? সে কিছু জানে? জানে না। জানবে না।
সে শুধু এটুকুই জানবে, একটা মেয়ে তার সংসার নষ্ট করতে চেয়েছিল। সে শুধু এতটুকুই জানবে, একটা মেয়ে তার স্বামীকে তার থেকে কেড়ে নিতে চেয়েছিল।
কিন্তু হৃদ, আমার থেকে বিচ্ছিন্ন হৃদ! তুমি তো জানো, জানো না? তুমি জানো না, তোমার ঊর্মিমালা অমন নয়? জানো নিশ্চয়ই? সে অনায়াসে তোমাকে অন্যের হতে দিতে পেরেছে। কিন্তু একটু একটু করে ওই নারীটা তোমাকে পুরোপুরি নিজের করে নিচ্ছে, তা দেখতে পারছে না।
বুকে কী ভীষণ ব্যথা!”
এ অবধি লেখা ছিল। ঊর্মি পুনরায় কাগজ-কলম ফেলে নিজের রক্তাক্ত হাত চেপে ধরল। সেই রক্ত নিয়ে পুরো কাগজ রক্তিম করে তুলল। অদ্ভুত লাল চোখ দুটোয় কী ভীষণ জ্বালা! বাস্তবের আঁচে ভেঙে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে ওঠা স্বপ্নের কাঁচ!
ঊর্মির হাত কাঁপছে ভীষণ। এমনভাবেই কাঁপছে তার চোখ দুটো, ঠোঁটের ভাঁজ, সমগ্র গা। সে কাঁপা কাঁপা হাতে শেষটুকু লিখল,
“হৃদ? আমি ভেবে অবাক হই জানো? তোমাকে নিয়ে আমার দেখা সব স্বপ্নই পূরণ হবে। অথচ প্রকৃতি সহজ কিছু মানতেই পারে না। আমার দেখা সব স্বপ্ন ঠিকই পূরণ হবে। কিন্তু আমার জায়গায় থাকবে ওই মেয়েটা। কী যেন নাম? সাঁঝ! সন্ধ্যা! আচ্ছা.. হৃদ-ঊর্মি এর চেয়ে হৃদ-সাঁঝ বেশি ভালো শোনাচ্ছে, তাই না?
ইতি?
প্রেম ও অসুখ পর্ব ১১
আমাকে দেওয়া তোমার কোনো ডাকনাম কখনোই ছিল না।
পুনশ্চ: আচ্ছা, তোমার বউ কি তোমাকে অতটা মুগ্ধ হয়ে দেখে, যতটা মুগ্ধতায় তোমাকে নিয়ে আমি স্বপ্ন সাজাতাম? তুমি তাকে জড়িয়ে ধরো নিশ্চয়ই? চুমুও খাও? বুকে নিয়ে ঘুমাও?”