প্রেম ও অসুখ পর্ব ১৭

প্রেম ও অসুখ পর্ব ১৭
নবনীতা শেখ

-“বড়ো করে শ্বাস নাও।”
-“নিলাম।”
-“স্বাভাবিক হও।”
-“হলাম।”
-“চোখ বন্ধ করো।”
-“করলাম।”
-“গা ছেড়ে নরম হয়ে বসো।”
-“বসলাম।”
-“এখন আরও একবার শ্বাস টানো।”
-“হুঁ।”
-“ভালোবাসো?”

সর্বাঙ্গে বিদ্যুৎ খেলে গেল সাঁঝের। বন্ধরত চোখের পাতা কেঁপে উঠল। প্রশস্ত হাসিটাও সংকোচনে অস্থিরতার প্রতিকীরূপে ধরা দিলো। সাঁঝের উত্তরের অপেক্ষায় হৃদ তাকিয়ে আছে।
সাঁঝ একটু আগে হৃদের সামনে চেয়ার টেনে বসেছিল। হৃদ তার দু’পাশে হাত রেখে চেয়ারটাকে আরেকটু কাছে টেনে নিল। দেহে ঝাঁকি লাগল সাঁঝের, অকস্মাৎ প্রতিক্রিয়ায় চোখ খুলে ফেলল। সরাসরি তাকাল হৃদের চোখের দিকে। আর সেখানেই তাকিয়ে রইল। তার আর কিছু ভাবার প্রয়োজন পড়ল না, কোনো বোঝাপড়াও করল না। মনের সাথে সংযুক্তি স্থাপনে অবিলম্বে বলে উঠল,
-“হুম..বাসি!”
হৃদের চাহনি আরও গাঢ় হলো, চোখাচোখির এই মুহূর্তে হৃদের ঠোঁটের কার্ণিশ ঘেঁষে থাকা হাসি মেয়েটার দেখা হলো না। নির্নিমেষ চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতেই গম্ভীর পুরুষটির মুখ থেকে বের হলো ধীর স্বরের সেই রাশ ধ্বনি,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-“ইউ শিওর?”
-“হুম।”
-“কতটা?”
-“নাইন্টি নাইন পয়েন্ট নাইন নাইন পার্সেন্টেজ।”
সাঁঝের দু’দিক থেকে হাত সরিয়ে হৃদ শব্দ করে হেসে ফেলল। নিজেও কিছুটা পিছে সরে বসল। তাকে হাসতে দেখে সাঁঝ কপাল কুঁচকে ফেলল। ছোট্ট শ্যাম মুখটা হয়ে উঠল গম্ভীর,
-“হাসির কী আছে?”
হৃদ উঠে দাঁড়াল। টাওয়ালটা নিয়ে বারান্দায় চলে গেল। সাঁঝও পিছে পিছে গিয়ে দাঁড়াল,
-“কী হয়েছে, বলুন!”
হৃদ রেলিংয়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে বলল,
-“তুমি এখনো ভালোবাসতে পারোনি।”

সাঁঝের মুখ থমথমে হয়ে এলো। বললেই হলো নাকি! সে কতটা নিশ্চিত তা তো বলেছেই। তাও এভাবে বলার কী আছে! এটা তো রীতিমতো অপমান! সাঁঝের খুব কষ্ট লাগল। সে ফিরে যেতে গেলেই হৃদ বলে উঠল,
-“ম্যাডাম?”
পিছে না তাকিয়েই সাঁঝ উত্তর নিল,
-“কী?”
-“ভালোবাসার নিশ্চয়তা পার্সেন্টেজে নয়, হ্যাঁ/না-তে হয়।”
ঘাড় ঘুরিয়ে হৃদের দিকে তাকাল সাঁঝ,
-“আপনি নিশ্চিত যে আমার ভালোবাসায় এখনো ত্রুটি আছে?”
-“জি।”
-“তবে চলুন, অনুভূতির দাবিদাওয়ায় নিশ্চিত না হওয়া অবধি যোগাযোগ সীমিত করে ফেলি। এবার বোঝাপড়াটা নিজের সাথেই করব। আমিও দেখতে চাই, দূরত্ব কি দূরে যাওয়ার বাহানা বানায় না-কি কাছে আসার তৃষ্ণা বাড়ায়!”
সাঁঝ চলে গেল এটুকু বলেই। হৃদের জ্বর আচমকা কেমন মাথাচাড়া দিয়ে বাড়তে লাগল। একুশের টগবগে স্পৃহা নিয়ে যুবক যেমন দৃঢ় অঙ্গীকারে আবদ্ধ হয়, ঠিক তেমন করে হৃদ হাসল, বিড়বিড় করে অদৃশ্যতায় অশ্রবণীয় আওয়াজে বলে উঠল,

-“যদি দেখো তোমার পাশে কেউ নেই, মনে রেখো, বাতাসেই ছড়িয়ে থাকব আমি। কিংবা ধরে নিয়ো, তোমার গায়ের সুবাসেই মিশে থাকব। তবু আমার প্রিয়তমা স্ত্রী শোনো, তোমাকে একা রাখব না। তুমি নিশ্চিত হও…”
হৃদ হাসি থামিয়ে ফেলল। আড়চোখে তাকাল অন্ধকারাচ্ছন্ন আকাশের দিকে। ফের বলে উঠল,
-“এরপর যখন তুমি আমার কাছে আসবে, আমার পৃথিবী এলোমেলো করা প্রবল জলোচ্ছ্বাসের মতো ভালোবাসা নিয়েই আসবে। সেদিন আমি তোমাকে সর্বোচ্চ প্রেম চেনাব..”

সাঁঝ, অদিতি, উপমা! তিনজন স্কুলের বন্ধু। প্রতিটা স্কুলেই একটা তিন বন্ধুর সার্কেল থাকে। যেখানে একজন সাঁঝের মতো উদাসীন, একজন অদিতির মতো খামখেয়ালিপনায় সারাটাক্ষণ মশগুল থাকে, তো আরেকজন উপমার মতো সবকিছুতে ভীষণ সিরিয়াস। উপমা সবসময় টপ করে এসেছে ক্লাসে। তবে এডমিশনের সময় মেয়েটা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পা পিছলে পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়। পরীক্ষা দিতে পারে না। এখনো বেডরেস্টেই আছে।
ওহ! উপমা সাঁঝের ফুপাতো বোন। যেহেতু উপমা বেশিরভাগ সময় সাঁঝেরই বাড়িতে থাকত, কাজেই সঙ্গলোভে অদিতিও চলে আসত। এভাবেই একদিন একদিন করে, ধীরে ধীরে অর্ণবের প্রতি অদিতির অনুভূতি জন্মেছিল। যা এখন মাটির কত গভীরে শেকড় ছড়িয়েছে, বেচারি ধরতে পারে না। ধরে অবশ্য কাজ নেই।
অনুভূতির ব্যাপার জটিল। এর জটিলতা বোঝা যায় কেবল, খোলা যায় না। অদিতি সে চেষ্টাও করে দেখে না। তবে কৈশোরের প্রথম ভালো লাগাকে যে সে কবে থেকে বুকের ভেতর আগলে রেখেছে, তা কাউকে জানায়নি, জানতে দেয়নি।

আজ উপমাকে কল দিলো সে। তার ধারণা উপমা প্রেম করছে। নয়তো হোয়াটসঅ্যাপের স্টোরিতে এসব কী দেয় প্রতিদিন! এত চকোলেটস, এত ফুল!
তাদের তিনজনের বন্ধুত্বে কোনো সিক্রেট কখনো ছিল না। যদি কেউ কোনোকিছু লুকিয়ে যায়, বাকি দুইজন টের পেলেও তা নিয়ে কিছু বলে না। অদিতিও সেই ব্যাপারটাই মেনে যাচ্ছিল এতদিন। তো যাই হোক! আজ কল দিলো। আর কল দিতেই ওপাশ থেকে হাস্যোজ্জ্বল উপমা বলে উঠল,
-“কী রে সিনিয়র? দিনকাল ভালো যায়?”
মেয়েটার এক বছর পিছিয়ে গেছে, এটা সে হাসিখুশিভাবেই মেনে নিয়েছে। তাই তো সাঁঝ আর অদিতিকে সিনিয়র বলে ডাকে। অদিতি মাথা নাড়ল, বলল,

-“ভালোই যায়। তোর? পায়ের অবস্থা কী?”
-“বেটার। অল্প অল্প হাঁটতে পারি। কিন্তু একটানা বেশিক্ষণ পারি না।”
-“আচ্ছা।”
-“বাড়ি আয় একদিন!”
-“হ্যাঁ, যাব।”
-“অদি, আমার তোকে আজকাল খুব অন্যমনস্ক লাগে। তুই কি ছ্যাকা ট্যাকা খেয়ে ব্যাঁকা হয়ে আছিস?”
-“কী যে বলিস! নাহ।”
-“মনে তো তাই হয়। শোন, এমন কিছু হলে আমাকে বলিস। আমার অনেক সুন্দর সুন্দর কাজিন আছে। তোর মাথা ঘুরে যাবে, এমন।”
হেসে ফেলল অদিতি। তার আসলেই মাথা ঘুরে আছে উপমার একটা কাজিনের ওপর। আচ্ছা এ কথা কি বলে ফেলবে এখন? বলা উচিত বোধহয়। অদিতি বলতে গিয়েও বলল না। চুপ করে শুনল। আর তারপর বলল,

-“আর তুই? আমাকে দেখে যদি মনে হয় ছ্যাকাখোর, তোকে তো লাগে প্রেমে…”
অদিতিকে কথা শেষ করতে দেওয়া হলো না। উপমা চকিতে বলে উঠল,
-“এ বাবা! আমাকে এখন জিজ্ঞেস করিস না। আমি পরে বলব।”
-“বলার মতো কিছু আছে? এটুকুই বল।”
উপমা বেশ লজ্জা পেয়ে বলল,
-“হ্যাঁ।”
আর তখনই উপমার রুমের দরজা খোলার শব্দ হলো। সঙ্গে সঙ্গে আরও এক পুরুষালি আওয়াজ শুনতে পেল অদিতি। বেশ অস্পষ্ট। খানিকটা ঝাপসা। আর অনেকটা পরিচিত। সে উপমাকে বলল,
-“তোর চকোলেটস আর ফ্লাওয়ার্স নিয়ে আমার তোকে কিছুক্ষণ দেখার সুযোগ করে দে। কার সাথে কথা বলছিস? ফোন সরা তো!”
উপমা তড়িঘড়ি করে কল কেটে দিলো। ওদিকে অদিতি থম মেরে বসে রইল। বুকের ভেতর কী যেন হচ্ছে! আশঙ্কা শব্দটা এত খারাপ কেন? মস্তিষ্ক ফেঁটে যাচ্ছে if এবং if not এর দ্বিধায়। এমন অবস্থায় সাঁঝ রুমে প্রবেশ করল। ধড়ফড়িয়ে উঠে বসল অদিতি। নিজেকে লুকোনোর সর্বোচ্চ চেষ্টা তার।
প্রেমে পড়লে মানুষ অভিনয় শেখা শুরু করে, প্রেমে ব্যথিত হলো মানুষ অভিনয় শিখে ফেলে। অদিতি সম্ভবত এইমাত্র দ্বিতীয় ধাপে এসে পা ফেলল। চোখ দুটো অত্যাধিক শান্ত। আওয়াজও তেমন শীতল। সাঁঝকে দেখেই বলল,

-“কই গেছিলি? ঠিক আছিস?”
সাঁঝ মুচকি হাসল,
-“বর মহাশয়ের কাছে ছিলাম। জ্বর এসেছে তো? খেদমত করলাম। অথচ তার ধারণা আমি নাকি তাকে ভালোই বাসি না। তার ধারণা পানপাতার সাথে চিবোতে ইচ্ছে করছে। চল, নিচের টঙ থেকে পান কিনে আনি।”
-“তুই যা, আমার ঘুম পাচ্ছে।”
-“আলসেমি পাচ্ছে। আচ্ছা..ফুডপান্ডায় পান অর্ডার করা যাবে?”
-“হ্যাঁ..তোর শ্বশুর স্টল দিয়ে রেখেছে না?”
-“আমার শ্বশুরের চুনের বিজনেস, পানের না।”
চোখ-মুখ কুঁচকে ফেলল অদিতি,
-“চুনের বিজনেস? সিরিয়াসলি?”
সাঁঝ ভুংভাং করে বলল,
-“ওই আর কী.. চুন মানে বোঝাচ্ছি কসমেটিকসের বিজনেস। মেয়েরা সাদা ক্রিম কিনে আমার শ্বশুরের দোকান থেকে। আমিও ভাবছি কিনব কি না। আমার স্বামী আমার চেয়ে দশ সেড ফরসা। ধুর! কী মনে করিয়ে দিলি রে অদি। বুকে জ্বলছে। দেখি, সর তো সামনে থেকে। আমারে বিছানায় চিত হতে দে।”
অদিতি সড়ে সাঁড়াল আর সাঁঝ সত্যি সত্যি বিছানায় লাফিয়ে শুয়ে পড়ল। বুকের ভেতরে আজ তার অন্যরকম প্রশান্তি।

সাঁঝের নিজের অনুভূতির নিশ্চয়তায় হ্যাঁ/না পেতে অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে। একদিন, দুইদিন, আড়াইদিন, তিন দিন, একসপ্তাহ, দুইসপ্তাহ, আধমাস, পোনেমাস, একমাস, সোয়ামাস…
হতবিহ্বল হয়ে বসে রইলো সাঁঝ। অনুভূতির এহেন অনিশ্চয়তায় সে হৃদকেও মুখোমুখি পাচ্ছে না। আগে তো তাও হুটহাট সামনে পড়ে যেত। ইদানিং সেটা হচ্ছে না। কল আসছে না। টেক্সট সকালে একটা, দুপুরে একটা, বিকেলে একটা করে করে দিনে ৫/৭টা এখন কেবল রাত্রের টেক্সটে গড়িয়েছে। প্রতিরাতে হৃদ নিয়ম করে টেক্সট করে, সেগুলো কিছুটা এরকম হয়,

-“Is everything okay?”
-“Don’t skip food.”
-“রাত করে বাইরে থেকো না।”
-“Don’t stay up too late.”
-“Text if you need something.”
-“Stop overthinking.”
-“আনহেলদি খাওয়া কমাও।”
-“No need to act okay all the time.”
-“It’s been a long day. Rest.”
এরকম প্রতিরাতে একেকটা টেক্সট। গতরাতে জিজ্ঞেস করেছিল, হেডেক কমেছে কি না, মেডিসিন নেয় যেন। অথচ সাঁঝ তাকে একটাবারও মাথাব্যথার কথা জানায়নি। কীভাবে কীভাবে যেন জেনে যায়। বুঝে যায়। সাঁঝ উপভোগ করে আর অপেক্ষা করে।

তেমনই একরাত আজকেরটা৷ অন্যান্য সময়ের মতো রাতের সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে এগারোটার মধ্যে হৃদের টেক্সট আসবে। সাঁঝ ঘড়ি দেখে ফোন হাতে নিয়ে বসে রইল।
আজ আর টেক্সট এলো না। বারোটা বেজে গেল। সাঁঝ প্রচণ্ড অস্থির ও অতিষ্ঠ হয়ে উঠল। অদিতি ঘুমোচ্ছে। সে বারান্দায় গিয়ে বসল। নিজ থেকে টাইপ করতে লাগল একটা টেক্সট,
-“ডাক্তার সাহেব! আমি ধীরে ধীরে তোমার দূরে সরে যাওয়া দেখে আঁতকে উঠছি। তুমি কি এটাই চাইছো? নাকি ইচ্ছে করে আমাকে শায়েস্তা করছো? আমি পারছি না আসলে..

ক্যাম্পাসে যাওয়ার সময় মাঝেমধ্যেই মনে হয় তুমি আশেপাশে আছো। বাসায় আসার সময়ও তোমার উপস্থিতি টের পাই। সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে আরেক জোড়া পায়ের শব্দ শুনি। বাজার করতে গেলে ওই মাছের গন্ধের মধ্যে থেকেও আমি তোমার নিজস্ব স্মেল পাই। এলোমেলোভাবে উদ্দেশ্যহীন পথ হাঁটতে গিয়ে মনে হয়, আমার ঠিক পিছেই একই পথে আরও একজন হাঁটছে। আমি চমকে যাই, পিছে তাকাই। আর প্রতিবারই কাউকে পাই না।
আচ্ছা..এটা কেন হচ্ছে? অনিশ্চিত অনুভূতি কি এমন প্রগাঢ় হয়? সর্বোচ্চ দৃঢ়তায় দৃষ্টি দিয়ে পাথরকে তুলোয় পরিণত করা যায়, বরফকে জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ড আর শূন্যতায় তোমার উপস্থিতি। তুমি কি এখনো বলবে যে, আমার অন্তরআত্মা তোমাকে অন্তরে স্থান দেয়নি? আমি সে কথা মানব না। বিশ্বাস করব না।
আমার মনে হয় তোমার থেকে নেওয়া আমার সময়গুলোর সমাপ্তি টানার সময় এসে গেছে। আমার মনে হয়, এখন তোমার কাছে ফেরার উপযুক্ত সময়। মনে হয়, এবার যদি দেরি করি..আমি দারুণভাবে হারব। আমি হারতে চাই না…”

সাঁঝ টাইপ করতে করতেই তার ফোনে কল চলে এলো। সেই টেক্সটটা আর পাঠানো হলো না। হুট করেই বুকটা ধক করে উঠল। স্ক্রিনের ওপরে জ্বলজ্বল করছে “ডাক্তার সাহেব” নামটা। বিগত আটত্রিশ দিন ধরে কলে কথা হয়নি।
সাঁঝ সময় নিয়ে কল রিসিভ করল। ওপাশ থেকে ভেসে এলো।গম্ভীর পুরুষালি কণ্ঠ,
-“ম্যাডাম, বেশিই দেরি করছেন না?”
সাঁঝের নিঃশ্বাস গলার কাছে আটকে। ওপর-নিচ মাথা নাড়ল সে। তবে মুখে কিছু বলতে পারল না। হৃদ তা বুঝে নিয়ে বলল,

প্রেম ও অসুখ পর্ব ১৬

-“ফ্ল্যাটে আসতে পারবেন আগামীকাল সকালে? একটু প্রয়োজন আছে।”
সাঁঝ ত্বরিতে উঠে দাঁড়াল। টালমাটাল অবস্থায় পা সোজা ফেলতে পারছে না। কোনোমতে দু’কদম এগিয়ে দেয়াল ধরে দাঁড়িয়ে পড়ল। শান্ত কণ্ঠে বলল,
-“এখন আসলে সমস্যা?”
ওপাশে গম্ভীর পুরুষটির ঠোঁটের কার্ণিশে ফুটে উঠল মুচকি হাসি,
-“যা কিছু.. সব আপনারই। দ্রুত আসুন।”

প্রেম ও অসুখ পর্ব ১৮