প্রেম ও অসুখ পর্ব ২০

প্রেম ও অসুখ পর্ব ২০
নবনীতা শেখ

-“এত দূর্বলতা ম্যাডামের জন্য ঠিক না, বি স্ট্রং।”
দূর্বলতা না ছাঁই! এমন জায়গায় সাঁঝ দূর্বল হবে না তো কোথায় হবে? তিন কবুল করা স্বামী তার। বড়ো আয়েশ করে গায়ের ভার ছেড়ে দিলো, কাঁধের ওপর গিয়ে মাথা ঠেকল।
উত্তরের প্রেক্ষিতে সাঁঝের নিস্তেজ আওয়াজটা এলো তার কিছু সময় পর,
-“উঁহু।”
হৃদের আওয়াজ শীতল ও অশান্ত হয়ে উঠল,

-“জ্বালিয়ো না, মেয়ে। আমি কিন্তু খুব বেশিক্ষণ ভালো হয়ে থাকতে পারব না।”
চমকে উঠল সাঁঝ। হৃদ কখন যে তার হাত ছেড়ে দাঁড়িয়েছে, তা বোঝেনি সে, খেয়াল করেনি। ফলাফলে, কড়াইয়ের ওপর ধরে রাখা খুন্তিতে তার একাকী হাত ঢিলে হয়ে এলো। হাত সরে এলো তারও অধিক দ্রুত। খানিকটা নুন-মশলা ও সবজিকে গায়ে লেপটে ঠিক পায়ের ওপর এসে খুন্তিটা পড়ল। ঘোর কেটে গেল সাঁঝের। কিছুটা সড়ে আসা ব্যতীত কোনো প্রতিক্রিয়া তার মধ্যে দেখা গেল না।
হৃদ ব্যস্ত হয়ে পড়ল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-“লেগেছে?”
অন্যমনস্ক সাঁঝ বিড়বিড় করে বলল,
-“কী জানি!”
হৃদ পায়ের দিকে তাকাল। সাঁঝের হাত-মুখের তুলনায় পা ফরসা। সেই পা দুটোয় তেল-মশলা মেখে আছে। হৃদ নমনীয় কণ্ঠে শুধাল,
-“জ্বলছে?”
তারপর বেশ কিছু সময় উত্তরের অপেক্ষায় রইল। ওপাশ থেকে ভেসে আসা নিঃশ্বাসের শব্দটাও অশ্রবণীয়। হৃদ সাঁঝের দিকে তাকিয়ে দেখতে পেল মেয়েটা একদৃষ্টে তার দিকে তাকিয়ে আছে।
কিছু কিছু মুহূর্ত বড়ো থমকানো হয়। নিঃশ্বাস নেওয়ারও ফুরসত পাওয়া যায় না। সাঁঝ এখন তেমনই এক মুহূর্ত উপভোগে ভীষণ ব্যস্ত। হৃদ তা টের পেয়ে উৎকণ্ঠিত হলো। একটা চেয়ার টেনে এনে সাঁঝকে বসালো।
প্রকৃতি মাঝেমধ্যে আমাদেরকে অদ্ভুত ও অনিন্দ্য কিছু মুহূর্ত উপহার দেয়। সাঁঝের বুক জুড়ে ছড়িয়ে থাকা চিনচিনে সুখের কাছে সামান্য জ্বলুনি পরাজিত হলো। সে হা হয়ে হৃদকে দেখে গেল। হৃদের উতলাভাবটা সবার আগে চোখে পড়ছে। সে একটা কাচের বাটিতে ঠান্ডা পানি ও বরফ নিল। তারপর সাঁঝের সামনে হাঁটুমুড়ে বসল। একটা নরম কাপড় দিয়ে তার পা পরিষ্কার করার উদ্দেশ্যে স্পর্শ করতেই সাঁঝ কেঁপে উঠল। চোখ-মুখ দিয়ে বিস্ময় ঠিকরে পড়তে লাগল।

হৃদ পায়ে বরফ ছোঁয়াতে ছোঁয়াতে বলল,
-“জ্বলছে?”
দু’ধারে মাথা নাড়ল সাঁঝ,
-“ন..নাহ!”
হৃদ তাকাল, আর সঙ্গে সঙ্গে সাঁঝ বলল,
-“তুমি এভাবে তাকিয়ো না… চোখ দুটোয় মরন এসে যায়।”

বিগত দেড়মাস ধরে রাফি আর পূর্বিকাকে কল দেয়নি। প্রতিবার পূর্বিকা নিজ থেকে কল দেয়, টেক্সট করে, দোষ না করেও সরি বলে। রাফি অভ্যস্ত সেসবে। তাকে দিয়ে দিয়ে এমন এক পর্যায়ে এনেছে পূর্বি যে সে জানে, মেয়েটা নিজেই লেজ নাড়তে নাড়তে চলে আসবে।
আর এসবের মধ্যে রাফি ভুলেই গেছে যে, মানুষ একদিন ফিরে আসে, দুইদিন, তিনদিন, চারদিন, পাঁচদিন ফিরে আসে, ষষ্ঠদিনও এসে যায় নিজের সাথে যুদ্ধ করে। অথচ সপ্তম দিনটা ভয়াবহ। এই দিনটা যদি কখনো এসে যায়, পুরো পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে—তবু সেই মানুষটা ফিরবে না। সহ্যশক্তির সীমা অতিক্রম হয়ে গেলে, শেষান্তে থাকে বিচ্ছেদ।
পূর্বিকা সপ্তমদিনটায় পাথর হয়ে বসে আছে। সে কাঁদছে না, অনুতপ্ত হচ্ছে না, ফিরে যাওয়ার ইচ্ছেটাও দেখাচ্ছে না। অন্যমনস্ক হয়ে বসে আছে একাকী। আর পাশে কেউ থাকলে, তখন সহাস্যমুখে কথা বলছে।
পূর্বিকা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। তার চারটা ডায়ারি ও টুকিটাকি সবকিছু ঝুড়িতে রেখে আগুন জ্বালিয়ে দিলো। সেই জ্বলতে থাকা আগুনের দিকে তাকিয়ে মলিন হাসল। একটা কাগজ আর কলম হাতে তুলে নিয়ে শেষবারের মতো লিখল কিছু শব্দ।

“রাফি,
তুমি আমাকে কখনো ভালোবাসোনি…”
অল্প কয়টা শব্দ। তারমধ্যে দিয়ে পূর্বিকা মনের সকল অনুভূতি প্রকাশ করে দিলো। সেই কাগজটা জ্বলতে থাকা আগুনের মধ্যে পুড়িয়ে ফেলল। অনুভূতিরা এভাবেই পুড়ে যায়, নিঃশেষ হয়ে হারিয়ে যায়।
আর তারপর পূর্বিকা লম্বা একটা ঘুম দিলো। ঘুম ভাঙল রাতে। একটা কলে। কন্ট্যাক্ট নাম্বারটা সেভ করা আছে “বপ্পেন” দিয়ে। পূর্বিকা কল রিসিভ করার আগে কন্ট্যাক্টের নামটা মুছে দিলো। কেটে গেল। দ্বিতীয়বার রিং হলো। রিসিভ করল কিছু সময় পর।
ওপাশ থেকে রাফি কিছুটা রাগি স্বরেই বলল,

-“কী রে ভাই? বিয়েশাদি করে ফেললা নাকি? কল-টল দেও না। কাহিনি কী? এত ব্যস্ত কীসে তুমি?”
পূর্বিকা শান্ত কণ্ঠে বলল,
-“তুমিও কল দেওনি।”
-“একটা ম্যাসেজ দিতে হাত ক্ষয় হয়ে গেছিল তোমার?”
-“তোমার তরফ থেকেও কোনো ম্যাসেজ আসেনি।”
সাংঘাতিক রেগে গেল রাফি,
-“কী আজব! কমপিটিশন লাগাও আমার সাথে? তোমার মতো শুয়ে-বসে থাকি? কাজ-কাম করা লাগে। ব্যস্ত থাকি আমি।”
-“ওও আচ্ছা।”
পূর্বিকার অসম্ভব শীতল আওয়াজে ভড়কে গেল রাফি। নিজেকে শান্ত করার প্রচেষ্টায় একটু আওয়াজ নরম করে বলল,

-“তোমার কী হইছে বলো তো। কোনো সমস্যা?”
-“না।”
-“কিছু হইছে? কোনো কারণে আপসেট?”
-“না।”
-“বাড়িতে ঝামেলা?”
-“না।”
-“রেগে আছো আমার ওপর।”
-“না।”
আর ধৈর্যের সাথে খেলতে পারল না রাফি। অত্যাশ্চর্য হয়ে গিয়ে বলল,
-“ঢং কম কইরো, পূর্বি। কিছু না হইলে এত কাহিনি মারাইতেছো কেন?”
-“কী কাহিনি করলাম?”
-“নতুন পোলা পাইছো?”
-“পেলে পেলাম, তোমার কী?”
রাফি দুইসেকেন্ড চুপ থাকল। এরপর আবারও শান্ত হতেই পূর্বিকা বলে উঠল,

-“আমি ব্রেকআপ করতে চাই তোমার সাথে, রাফি।”
চমক ও বিস্ময়ের দরুণ রাফি শব্দ হারাতে লাগল। এর আগে কখনো পূর্বিকা এটা বলেনি। রাফি নিজেই বার বার ব্রেকআপ ব্রেকআপ করত, পূর্বিকা হাতে-পায়ে ধরে তখন তাকে সম্পর্ক ঠিক করতে রাজি করাত। এবার কী হলো? কী হলো আসলে? রাফির মাথায় আসে না। রাগে মস্তিষ্ক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে,
-“নতুন পাইছোস? আমারে চিট করতেছোস? শালি! তোর চরিত্র যে খারাপ হয়ে গেছে, এটা আগে জানলে এক সেকেন্ডও তোর সাথে থাকতাম না। লাত্থি মেরে ব্রেকাপ করে নিতাম।”
-“এখন তাই করছি। আমাকে কখনো কল-টেক্সট দেবে না।”
-“ব্রেকআপ তুই না, আমি করব। তোর মতো মাইয়ারে দিয়ে পোষাবে না আমার। ব্লক করে দেবো। আর আমারে চিট করে ভাবতেছিস শান্তিতে থাকবি? তোর জীবনটা নষ্ট না করে দিলে আমার নামও রাফসান রাফি না।”
পূর্বি গম্ভীর হলো,

-“চিট কে কাকে করেছে, সেটা না-হয় বাদই থাকুক, রাফি। দেড়মাস, ৪৫ দিন, ১০৮০ ঘন্টা, ৬৪৮০০ মিনিট! এই ৬৪৮০০ মিনিটে কি তোমার একটুও সময় হয়নি আমার জন্য? দুই মিনিটও না? আচ্ছা, মানলাম তুমি ব্যস্ত ছিলে। মানলাম, তুমি কাজের প্রেশারে ছিলে। তাই বলে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করেছো, ঘুমাওনি রাতে? এই সময়ে কি দুইটা মিনিট আমার জন্য ছিল না?
আচ্ছা, এটাও মানলাম যে সময় ছিল না। আমি এদিকে মিছে অপেক্ষা করতে করতে মারা পড়ি, খেতে গিয়ে কেঁদে ফেলি বা অসুস্থ হয়ে হসপিটালে এডমিট থাকি! তোমার কিছু আসছে না, যাচ্ছে না। আমি কীসের জন্য তোমার কাছে যাব?
আচ্ছা, সেই কথাটাও বাদ দিলাম। বাবা-মায়ের দিনের পর দিন বিয়ের প্রেশারটা মাথায় নিয়েও তোমার সাথে শান্ত হয়ে থাকা, বাবা-মায়ের আজেবাজে কথা শুনেও তোমার সাথে মুচকি হেসে কথা বলা.. এসবের পর যখন তোমাকে বললাম, চলো বিয়ে করি! তোমাকে বললাম, আমার তেমন খরচ নেই, জাস্ট বিয়েটা করো! সেই তুমি নানান অজুহাত দেখিয়ে গেলে। এখন না, এখন সুযোগ নেই, ক্যারিয়ার গড়ার টাইম.. প্রেম করার সময় তোমার এগুলো মাথায় আসেনি? এখন তোমার এসব অজুহাতগুলো দেখেও কীভাবে তোমার জন্য অপেক্ষা করি? বলো আমায়?

অল্পতেই সন্তুষ্ট ছিলাম বলে আমাকে যে ভালোটুকু রাখা লাগবে, সেই খেয়ালটুকু তোমার কখনো ছিল না। আমার কোনো চাহিদা ছিল না বলে তুমি আমাকে সময়টুকু দিতেও কার্পণ্য করে গেছো। আমি চুপ থাকি বলে ভেবেছো কষ্টটুকুও পাই না? যখন যা মুখে আসে, বলে গেছো! আমি তোমার সামনে কান্না লুকিয়ে হাসিমুখে ছিলাম বলে নিজের দোষগুলো নিয়ে অনুতাপ তো দূর, সামান্য সরি অবধি বলোনি।
যেই মানুষটা আমার মন বোঝে না, অভিমান বোঝে না, অভিযোগ বোঝে না, আমায় ভালো রাখার কোনো তাগিদ নেই.. কেবলমাত্র তোমায় ভালোবাসি বলে সব সয়ে নিয়েছিলাম, বার বার আত্মসম্মানকে ফেলে তোমার কাছে ফিরে এসেছিলাম। আর তুমি তো আমাকে স্বস্তা ভেবে নিয়েছো।”
চুপচাপ সবটা শুনল রাফি, পূর্বির বলা থামতেই সে বলল,
-“তুমিও আমাকে কখনো বোঝোনি, পূর্বি। আমি পুরুষমানুষ, বাইরে কাজ করি, মানুষের সাথে মিশি, রাগ থাকবেই। স্বাভাবিকভাবে নেওয়া লাগবে। কম্প্রোমাইজ সব মেয়েদেরই করা লাগে। তোমারও করা লাগবে। আমায় বিয়ে না করে অন্য কোথাও করো, সেখানেও স্যাক্রিফাইস কম্প্রোমাইজ.. এসবই করা লাগবে।”
হেসে ফেলল পূর্বি,

-“স্টিল ইউ আর নট অ্যাশেমড ফর হোয়াট ইউ ডিড! বড়ো গলায় নিজেকে পুরুষমানুষ দাবি করে আমার সব অভিযোগকে ঠুনকো প্রমাণ করার অযথা চেষ্টা করে যাচ্ছো। তুমি কি জানো, এগুলো কাপুরুষোচিত আচরণ?”
-“কিছু বলছি না বলে যা-তা বইলো না। ভাষা ঠিক করো।”
-“সরি, পারছি না। একটু বেয়াদবি করব আজ।”
পূর্বি লম্বা করে শ্বাস টেনে ফের বলল,
-“নারী পুরো সমাজের কাছে অবহেলিত, মাথানত করে রাখে। কেবলমাত্র প্রেমিকের কাছে মাথা উঁচিয়ে বাঁচতে চায়। প্রেমিকার কাছে নত হলে পুরুষের জাত যায় না।”
-“আমি কেন নত হব? কী দোষ করেছি আমি?”
পূর্বিকা আবারও হাসল,
-“আচ্ছা! দোষ করোনি, মানলাম। তো বলো! তোমার বিয়ের প্ল্যান কবে?”
-“তিন/চার বছর পর।”
-“তখন তোমার বয়স কত হবে?”
-“ত্রিশ।”
-“আর আমার?”
-“আটাশ।”

-“বুকে হাত রেখে একটা সত্য বলো। তুমি তোমার বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়ে আমাকে বিয়ে করতে পারবে?”
রাফি ইতস্তত করতে লাগল সত্য বলতে। সে কখনোই বাবা-মায়ের অবাধ্যে গিয়ে বিয়ে করবে না। পূর্বিকা তার নিশ্চুপতায় উত্তর পেয়ে গিয়ে বলল,
-“তোমার কি মনে হয়, তোমার বাবা-মা একটা আটাশ বছর বয়সী, আহামরি দেখতে শুনতে ভালো নয়, ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ডও যেমন-তেমন! এমন এক মেয়ের সাথে তোমাকে বিয়ে দেবে?”
-“না।”
-“অ্যান্ড দ্যাটস ইট, রাফি। যেটা পরে হওয়ার ছিল, সেটা আজ হোক।”
-“মানে সত্যিই ব্রেকআপ চাইতেছো?”
-“হ্যাঁ।”
-“ওকে।”
রাফির খারাপ লাগছে না এখন। পূর্বিকা ইদানিং অনেক বোরিং হয়ে গেছে, দেখতে-শুনতে অনাকর্ষণীয়, আহামরি ভালো লাগছিল না। বিয়েটা এমনিতেও করত না। তবু অনেকদিন একসাথে থাকতে একটা পোষা কুকুরের প্রতিও মায়া জন্মে যায়…
তার এসব ভাবনা চিন্তার মধ্যে পূর্বিকা ফের বলে উঠল,

-“স্ত্রী আর প্রেমিকা ভিন্ন জিনিস। তাকে যত্নে রেখো, ভালোবেসো। তাকে নিজের করার আগে দায়িত্ব শিখে নিও। ভালো থেকো, দোয়া করি।”
-“পূর্বি, তু…”
ওপাশ থেকে রাফির আর কোনো কথা শোনা গেল না। কল কেটে দিয়ে ব্লক, তারপর ফোন বন্ধ করে ফেলল। এরপর কিচেনে গিয়ে এককাপ চা বানিয়ে অদিতির রুমে চলে এলো। তার অদ্ভুত শান্তি লাগছে আজ। দীর্ঘসময় পর পা থেকে লোহার শিকল খুলে গেলে যেমন স্বস্তি, আরাম লাগে না? তেমনটা লাগছে। বুকে থেকে নেমেছে পাথর।

প্রেম ও অসুখ পর্ব ১৯

ওদিকে অদিতিও হেসেখেলে গল্প করছে পূর্বিকার সাথে। অথচ তার ভেতর দিয়ে যে কী যাচ্ছে, ঘুণাক্ষরেও কেউ টের পেল না।
দুনিয়াটা একটা রঙ্গমঞ্চ। যে যত প্রতিক্রিয়া দেখাবে, সে তত বেশি ও নাটকীয় অনুভূতিদের চাপে মরে যাবে। পৃথিবী কাউকে সর্বোচ্চ সুখ দেয়, কাউকে একপাক্ষিক যন্ত্রণা দেয়, কাউকে দেয় সবকিছু সয়ে নেওয়ার এক অপরিসীম শক্তি। আর নারী নিষ্ক্রিয় হতে শিখে গেলে, পুরো দুনিয়ার মানুষ তাকে ভয় পায়, মান্য করতে বাধ্য হয়ে যায়।

প্রেম ও অসুখ পর্ব ২১