বর্ষণের সেই রাতে সিজন ২ পর্ব ৫৫

বর্ষণের সেই রাতে সিজন ২ পর্ব ৫৫
লেখিকা: অনিমা কোতয়াল

রাত সাড়ে এগারোটা বাজে। অনিমা টেবিলে বসে পড়ছে। কিন্তু পড়ার তেমন মনোযোগ দিতে পারছেনা। একেতো আদ্রিয়ানকে মিস করছে। তারওপর আর্জুর ঘটনার কথা আরও বেশি করে মনে পরছে ইদানীং ওর। তাই পড়তে বসেছিল যাতে মনোযোগটা অন্যদিকে নেওয়া যায়। কিন্তু সেটা সম্ভব হল না। বইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারছেনা বেশিক্ষণ। তাই রাতের ঔষধ খেয়ে চুপচাপ বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরল। ঘুমাতে পারলে হয়তো ভালো লাগবে। ফোনের রিংটন শুনে চোখ খুলে তাকাল ও। ফোনটা হাতে নিয়ে দেখতে পেল এটা আদ্রিয়ানই ফোন করেছে। অনিমা ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠল। শত কষ্ট বা মন খারাপের মাঝেও এই মানুষ ওর মন ভালো করার জন্যে, ওকে শান্তি দেওয়ার জন্যে যথেষ্ট। ও ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে আদ্রিয়ান বলল,

” ঘুমিয়ে পরেছিলে?”
” না, এমনিই শুয়ে ছিলাম।”
আদ্রিয়ান একটু দুষ্টুমির স্বরে বলল,
” আমাকে মিস করছিলে, জানপাখি?”
অনিমা একটা লাজুক হাসি দিলেও সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে স্বাভাবিক করে নিয়ে বলল,
” আমার কাজ নেই না-কি আর?”
” এখনতো নেই। কিন্তু একবার তোমাকে ঘরে এনে তুলি। তারপর না হয় এই সময়টাতে তোমাকে ব্যস্ত রাখা যাবে।”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

অনিমা ভ্রু কুচকে ফেলল। বেশ অনেকটা সময় লাগল ওর আদ্রিয়ানের কথার মানে খুঁজে বেড় করতে। ব্যাপারটা বুঝে লজ্জায় গুটিয়ে গেল একপ্রকার। ভাগ্যিস আদ্রিয়ান সামনে নেই তাহলে তো লজ্জায় মরেই যেত।
” আচ্ছা শোন, নাহিদ একটু কথা বলবে তোমার সাথে।”
অনিমা অনেকটাই অবাক হল। নাহিদ ওর সাথে কথা বলতে চায়? তাও এখন? কিন্তু কেন? ও অবাক কন্ঠেই বলল,

” নাহিদ ভাইয়া?”
” হুমম, নাহিদ একটু কথা বলবে।”
” আচ্ছা দিন।”
কিছুক্ষণ পরেই ফোনের ওপাশ থেকে নাহিদের কন্ঠস্বর ভেসে এলো,
” কেমন আছো অনু?”
অনিমা মুচকি হেসে বলল,
” ভালো ভাইয়া। আপনি?”
” হ্যাঁ ভালো আছি। কী করছ এখন?”
” তেমন কিছুই না। শুয়ে আছি।”
” ঘুম আসছে?”
” এখনো না।”

” কেন? কোন সমস্যা হচ্ছে? শরীর ঠিক আছে?”
” মাথা হালকা ঝিমঝিম করছিল। এখন ঠিক আছি।”
” এমনিতে আর কোন সমস্যা নেইতো?”
নাহিদের এরকম প্রশ্নে খুব অবাক হচ্ছে অনিমা। এগুলো জিজ্ঞেস করতে ফোন করেছে? এগুলো জেনে তার কী লাভ? আর এভাবে খুটিয়ে খুটিয়ে ওর খোঁজ কেন নিচ্ছে? তবুও নিচু গলায় বলল,

”তেমন কিছুই না।”
” শিওর?”
” ইয়া।”
” আচ্ছা নিজের খেয়াল রেখো। রাখছি।”
বলে আদ্রিয়ানকে ফোন ধরিয়ে দিল। অনিমা অনেকটাই বোকা বনে গেল। কী হল ঠিক বুঝে উঠতে পারল না ও। আদ্রিয়ানের ডাকেই ওর হুশ ফিরল। আদ্রিয়ানের সাথে কথা বলতে বলতেই অনিমা আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে পরল অনিমা। আদ্রিয়ান যখন দেখতে পেল যে অনিমার কোন আওয়াজ আসছে না তখন বুঝতে পারল যে অনিমা ঘুমিয়ে পরেছে। তাই ফোনটা রেখে দিয়ে ওও ঘুমিয়ে পরল। কারণ ইতিমধ্যে অনেক রাত হয়ে গেছে।

সকালবেলায় রঞ্জিত চৌধুরী আর কবির শেখ সোফায় বসে চা খাচ্ছিলেন। একবারে রেডি হয়েই নিচে নেমে এসছেন ওনারা। চা খেতে খেতে গত সপ্তাহে ওনাদের দুটো গোডাউন বন্ধ করতে হয়েছে সেই বিষয়েই কথা বলছেন। স্নিগ্ধা রান্নাঘর থেকে ওনাদের নাস্তা এনে রাখল টেবিলে। বেশ কিছুক্ষণ পর ওপর থেকে একদম রেডি হয়ে রিক নেমে এলো। একটা নীল পাঞ্জাবী আর হোয়াইট জিন্স পরে নিচে নেমে এল। রঞ্জিত চৌধুরী আর কবির লেখ দুজনেই অবাক হলেন। এই কয়েকমাসে আজ প্রথম কোথায় বেড় হওয়ার জন্যে রেডি হয়েছে রিক। স্নিগ্ধাও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। রিক এসে সোফায় বসতেই রঞ্জিত চৌধুরী জিজ্ঞেস করলেন,

” কোথায় যাবে?”
রিক পাঞ্জাবীর হাতা গোটাতে গোটাতে বলল,
” পার্টি অফিসে! অনেকদিন যাইনা। এবার তো যেতে হবে না-কি?”
কবির শেখ অবাক হয়ে বললেন,
” সত্যিই যাবে?”
রিক ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলল,
” না যাওয়ার তো কিছুই নেই। ঐ একটা মেয়ের জন্যে কী সারাজীবন রুমে বসে থাকব না-কি?”
কবির শেখ আর রঞ্জিত চৌধুরী বোকার মতো একে ওপরের দিকে তাকালেন। কিন্তু কিছুই বললেন না। এই ছিলের মাথা কখন বিগড়ে যায় ঠিক নেই। যদি মত বদলে ফেলে তাহলে? তাই ওনারা চুপচাপ খেয়ে উঠে গেলেন। রিক বলল ও খেয়ে নিজের গাড়ি করেই আসছে। ওনারা চলে যেতেই স্নিগ্ধা রিকের খাবার নিয়ে এলো। খাবারটা টি-টেবিলে রিকের পাশে বসে বলল,

” কী করছ কী তুমি? তুমি জানো সব সত্যি। তবুও __”
রিক স্নিগ্ধার কথায় পাত্তা না দিয়ে ফোন স্ক্রোলিং করতে করতে বলল,
” খাইয়ে দে তো।”
” রিক দা তুমি__”
” তুই খাওয়াবি না আমি উঠে যাবো?”
স্নিগ্ধা ছোট্ট একটা শ্বাস ফেলে রিক কে খাইয়ে দিতে শুরু করল। কিছুই ভালো লাগছে না ওর। অনেক কষ্টে এই কয়েকদিনে মদের নেশাটা ছাড়িয়েছে। যদিও এতে অনিমার ভূমিকাও আছে কিছুটা। কিন্তু অনেকটা খাটতে হয়েছে স্নিগ্ধাকে। কিন্তু এখন আবার না কোন ভুল করে বসে। হঠাৎ করেই রিক বলে উঠল,

” তুই খেয়েছিস?”
স্নিগ্ধা মাথা নেড়ে বলল,
” না, তুমি চলে গেল তারপর খাবো।”
” এখনই খা।”
” এটা তো তোমার জন্যে এনেছি। তুমি খাও আমি খেয়ে নেব পরে__”
রিক বিরক্তি নিয়ে বলল,
” একটু বেশিই কথা বলিস তুই আজকাল। চুপচাপ খেয়ে নে আমার সাথে। এক কথা বারবার বলতে ভালোলাগেনা।”

স্নিগ্ধাও আর কোন উপায় না পেয়ে রিকের সাথে খেতে আরম্ভ করল। রিকের খাওয়া শেষে পানি খেয়ে স্নিগ্ধার ওড়নাতেই নিজের মুখ মুছে উঠে দাঁড়াল। একটু এগিয়ে গিয়েও পেছন ঘুরে তাকিয়ে আসছি বলে চলে গেল। স্নিগ্ধা শুধু একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল সেদিকে। কেমন অদ্ভুত এক শিহরণ, অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করে ওর ভেতরে। বেশ বুঝতে পারছে যে দিনদিন ও রিকের প্রতি দুর্বল হয়ে পরছে। কিন্তু ওর তৈরী হওয়া এই অনুভূতির কী কোন মূল্য দেবে রিক? রিকের সবটা জুড়ে তো এখনই তাঁর নীলপরীরই বসবাস। ওর কী এখানেই থেমে যাওয়া উচিৎ? না-কি রিককে আরও কিছুদিন সময় দেওয়া উচিত।

দেখতে দেখতে এক মাস কেটে গেল। এই একমাসে অনিমা আর আদ্রিয়ানের যোগাযোগের প্রধান মনে মাধ্যমই ছিল ফোন। খুব কমই সামনাসামনি দেখা হয়েছে। তাও আদ্রিয়ান এসছিল ভার্সিটিতে। আর আরেকটা মজার পরিবর্তন হলো ঐদিনের পর হাসান কোতয়াল বাড়ির দুজন সার্ভেন্টকে ঠিক তার পরেরদিনই তাদের ছাড়িয়ে দিল। অনিমার মামা-মামি যখন কারণ জানতে চাইল। তখন হাসান কোতয়াল সোজাসুজি বলল, বাড়িতে ওনারাই যেহেতু ফ্রিতে বসে আছে তখন আর কাজের লোকের কী দরকার? বাড়িতে থাকতে হলে এটুকু তো করতেই হবে। অনিমা তখন অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল নিজের বাবার দিকে। কারণ নিজের বাবার এরকম রূপ এর আগে ও দেখেনি। তবে একটা জিনিস সত্যি মানুষ যতই উদার হোক, নিজের সন্তানের অপরাধিকে কেউ ক্ষমা করতে পারেনা।

অনিমা আজ বেশ দেরী করেই ভার্সিটি এসে পৌঁছেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠতে বেশ দেরী হয়ে গেছে ওর। ভার্সিটির গেইটটের সামনেই দেখা হল রবিনের সাথে। অনিমাকে দেখেই রবিন কেমন ভয়ে পেয়ে সরে বেশ দূরে গিয়ে দাঁড়িয়ে মাথা নিচু করে ফেলল ওর গ্যাং এর লোকরাও একই কাজ করল। অনিমার বেশ হাসি পেল কিন্তু হাসিটা ভেতরে চেপে রেখেই পাত্তা না দিয়ে চলে গেল ওখান থেকে। ক্যাম্পাসে ভেতরে ঢুকে দেখল তীব্র আর অরুমিতা বিল্ডিং এর সিঁড়িতেই বসে আছে। ও ভ্রু কুচকে ফেলল। এতক্ষণে তো ক্লাস শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। ওরা এখানে বসে আছে কেন? ও এগিয়ে গিয়ে ওদের সামনে গিয়ে বলল,

‘ কী ব্যাপার তোরা এভাবে বসে আছিস কেন? ক্লাস শুরু হয়নি?’
তীব্র কান থেকে হেডফোন নামিয়ে একটা মেকি টাইপ হাসি দিয়ে বলল,
‘ উমহুম! তোর জন্যেই ওয়েট করছে সবাই। তোকে ছাড়া ক্লাস হয় না-কি? কী যে বলিস!’
অনিমা ঠোঁট বাকিয়ে তীব্রর মাথায় একটা চাটা মেরে পাশে বসে ব্যাগটা কোলে রাখতে রাখতে বলল,
” লেগপুল না করে আসল কেসটা বলে দিলেই তো হয়।”
তীব্র মাথা ডলতে ডলতে বলল,

” মানুষ দিন দিন শান্ত হয়। আর তুই দিন দিন ফাজিল হচ্ছিস। এরকম অত্যাচার ঠিক না!”
অরুমিতা হেসে দিয়ে বলল,
” আরে এই বাঁদরের কথা ছাড়তো! আসলে আজ অয়ন স্যার আসেন নি তাই এই ক্লাসটা হবেনা। ওনার মা অসুস্থ তাই।”
অনিমা আর তীব্র অবাক হয়ে একে ওপরের দিকে তাকাল। অনিমা অরুমিতাকে একটা খোঁচা মেরে বলল,

‘” বাহ! তুমিতো দেখছি স্যারের ঘরের খবরও রাখো। কী ব্যাপার? কী চলে হুম?”
অরুমিতা বিরক্তি নিয়ে বলল,
” আর খবর। নিজেই নিজের সব খবর দেয় আমাকে। রোজ অকারণেই মেসেজ করবে। মাঝেমাঝে ফোনও করে। ভালোলাগেনা এসব এখন আর এসব আর।”
অনিমা একটু ভাবুক হওয়ার ভান করে বলল,

” হুম বুঝলাম।”
” কী বুঝলি?”
” যে স্যার তোর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে একেবারে।”

বলে অনিমা হেসে ফেলল সাথে তীব্রও। অরুমিতা মুখ গোমড়া করে বসে রইল। অরুমিতাকে এতোটা সিরিয়াস দেখে অনিমা ভ্রু কুচকে ফেলল। ও কিছু বলতে যাবে তখনই ওখানে আশিস এসে দাঁড়াল। আশিস কে দেখে ওরা তিনজনই বেশ অবাক হল। অরুমিতা তো বেশ রেগে গেল। লোকটা ওর পেছনে এভাবে পরে আছে কেন? অনিমা মুখে একটু হাসি ফুটিয়ে কিছু বলতে হবে, তার আগেই আশিস অরুমিতাকে উদ্দেশ্য করে বলল,

” আমার কথা আছে তোমার সাথে।”
তীব্র আর অনিমা বেশ অবাক হয়ে গেল। আশিস অরুমিতাকে পার্সোনালি চেনে না-কি? এভাবে কথা বলছে যে? অরুমিতা ঝট করেই উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
” আমার কাজ আছে। আমি বাড়ি যাব।”
বলে চলে যেতে নিলেই আশিস অরুমিতার হাত শক্ত করে ধরে বলল,

” আমার তোমার সাথে জরুরি কথা আছে।”
অরুমিতা রেগে হাতটা এক ঝকটায় ছাড়িয়ে বলল,
” যার-তার সাথে হুটহাট কথা বলার মতো সময় আমার নেই।”
বলে লম্বা লম্বা পায়ে হেটে চলে গেল। অনিমা অনেকবার ডাকার পরেও পেছন ফিরে তাকায়নি সে। তীব্র বোকার মতো তাকিয়ে রইল অরুমিতার যাওয়ার দিকে। অনিমা আশিসের দিকে তাকিয়ে থেকে বলল,
” ভাইয়া__”

কিন্তু অনমা কথাটা শেষ করার আগেই অাশিস চলে গেল। অনিমা কিছুই বুঝল না আশিস আর অরুমিতার ব্যাপারটা। ওর আগেই সন্দেহ ছিল যে অরুমিতা আর আশিসে আগে থেকেই পরিচয় আছে। কিন্তু আজ ও নিশ্চিত হয়ে গেল যে ওদের আগে থেকেই কোন সম্পর্ক আছে। কিন্তু সেটা কী? অনিমা তীব্রর দিকে তাকিয়ে দেখল ওও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। কারণ পুরো ব্যাপারটাই ওর মাথার ওপর দিয়ে গেছে।

বাড়ি ফিরে অরুমিতা আর আশিসের ব্যাপারটা ভাবতে ভাবতেই অনিমা নিজের রুমে ঢুকলো। কিন্তু রুমে ঢোকার সাথেসাথেই কেউ ওর হাত টেনে একদম নিজের বুকের ওপর ফেলল। অনিমা প্রথম বেশ চমকে উঠেছিল। কিন্তু মাথা তুলে তাকিয়ে ওর আরও অবাক হল। কারণ আদ্রিয়ান দাঁড়িয়ে আছে। এই ছেলেটা কী জ্বীন-টিন টাইপ কিছু না-কি? হুটহাট যেখানে-সেখানে কীকরে চলে আসে? দেখে মনে হচ্ছে অনেক্ষণ আগেই এসছে। পরনে স্যান্ডো গেঞ্জি আর জিন্স। অনিমা ভ্রু কুচকে বলল,

বর্ষণের সেই রাতে সিজন ২ পর্ব ৫৪

” আপনি এখানে?”
আদ্রিয়ান দুহাতে অনিমার কোমর জড়িয়ে ধরে বলল,
” কেন? খুশি হওনি?”
অনিমা আদ্রিয়ানের চোখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল,
” বউকে খুব মিস করছিলেন বুঝি?”
আদ্রিয়ান অনিমার কপালের চুলগুলো সরাতে সরাতে বলল,
” তোমাকে মিস? সেতো প্রতিদিন, প্রতিমিনিট, প্রতিসেকেন্ড করি। কিন্তু আজ তোমাকে নিতে এসছি।”
অনিমা অবাক হয়ে বলল,

” মানে?”
” এতো খুশি হওয়ার কিছুই নেই। তোমার বাবা পার্মানেন্টলি তোমাকে আমার কাছে দেবেনা এতো তাড়াতাড়ি। দুজনকেই নিতে এসছি।”
অনিমা কিছুই বুঝতে না পেরে বলল,
” কিন্তু কেন? হঠাৎ নিতে এলেন যে?”
” সেটা এখন বলা যাবেনা সোনা। কিন্তু হ্যাঁ, একটা গুড নিউস দিতে পারি।”

অনিমা জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল আদ্রিয়ানের দিকে। আদ্রিয়ান বেশ খোশ মেজাজে বলল,
” মিনিস্টার রঞ্জিত চৌধুরীর কিছু অবৈধ বিজনেস ফাঁস হয়ে গেছে। সেসব কম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে এন্ড ওনাকে আজ সকালেই অ‍্যারেস্ট করা হয়েছে। সাথে আমার মামাকেও পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এন্ড ওল ক্রেডিট গোস্ টু মিস্টার সিনিয়র।”
অনিমা হতভম্ব দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল আদ্রিয়ানের দিকে। কীভাবে কী হল? আর যদি এটা সত্যি হয় তাহলে আদ্রিয়ানই বা এতো স্বাভাবিক কীকরে? যেনো এটাই হওয়ার ছিল।

বর্ষণের সেই রাতে সিজন ২ পর্ব ৫৬