বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ১৮

বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ১৮
shanta moni

এখন সময় ১১:০০
রোদ শুভ্রের রুমেই শুয়ে আছে, রুম থেকে বের হয়নি, হেনা বেগম রাতের খাবার রুমেই দিয়ে গেছেন,
রোদ বিছানার উপর শুয়ে এ পিট ওপিট করছে ঘুম আসছে না, বিছানা থেকে উঠে বেলকনিতে চলে যায়, সেখানে দাঁড়িয়ে আছে, রোদ,
কিছুক্ষণ বেলকনিতে দাঁড়িয়ে থেকে রুমের ভিতরে এসে ওয়াশ রুমে চলে, ফ্রেশ হয়ে ওয়াশ রুম থেকে বেড় হয়, রুমের ভিতরে ডুকে শুভ্র, রোদ শুভ্রকে দেখে থতমত খেয়ে যায়।কেনো যানি অস্থির লাগছে সব কিছু।
ধীর পায়ে রোদের কাছে হেঁটে যায়, শুভ্র কিছুই বলছে না।এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে রোদের দিকে, শুভ্র হটাৎ রোদের গলা চেঁপে
ধরে আর রাগে চোয়াল শক্ত করে বলতে থাকে,

শুভ্র: তুই যদি ভেবে থাকিস, যে আমি তোকে স্ত্রী অধিকার দিব, নিজের কাছে টেনে নিব তো ভুল তুই,আমার রুমে থাকবি, আমার পাশে থাকবি,কিন্তু তাঁরপরও কখনো ভালোবাসা পাবি না, তোকে সারাজীবন কষ্ট দেবার জন্য বিয়ে করেছি আমি, তোর জীবন আমি নরক বানিয়ে ছাড়বো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

শুভ্র রোদকে ধাক্কা দিয়ে কিছুটা দূরে সরিয়ে দেয়, তাঁরপর রুম থেকে বেড়িয়ে যায়,
শুভ্র রুম থেকে বেড় হতেই, জানালার পাশ থেকে কারো ছায়া সরে যায়।
রোদ ফ্লোরে বসে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়ে,
রাত ১:৩০ দিকে রুমে আসে শুভ্র রোদকে ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখে ছুঁটে যায়, রোদের কাছে,শুভ্র রোদকে কোলে করে নিয়ে বিছানায় শুয়ে দিয়ে তাকিয়ে আছে রোদের দিকে।
এইদিকে হাসি বেগম একটা অন্ধকার রুমে দাঁড়িয়ে আছে, কারো সামনে কিছু একটা বলছে,
হাসি বেগম : আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে শুভ্র সব কিছু যেনে যাইনি তো
অপর পাশের লোকটি বলে উঠে›››
নাহ কিছুই জানতে পারেনি, শুভ্র রোদকে বিয়ে করেছে শুধু প্রতিশোধ নিতে তা ছাড়া কিচ্ছু না, এতো চাপ নিবার দরকার নেই,
হাসি বেগম শান্ত হয়,তাঁরপর বলে
হাসি বেগম : এর পর যা করতে হবে, ভেবে চিন্তে, কোনো ভুল হলেই এতো দিনের খেলা এক নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে,
হাঁসি বেগম চলে আসে।

অয়নের চোখে ঘুম নেই, ইচ্ছে করছে ছুঁটে চলে যেতে রোদের কাছে, ইচ্ছে থাকলেও তার অধিকার নাই,
অয়ন আন মনে বলে উঠে,
কেনো তুমি আমার হলে না, রোদ আমি তোমাকে ছাড়া কি করে বাঁচবো, ভেবেছিলাম দাদিকে বলে তোমার আমার বিয়ের কথা বলবো, যাতে তোমাকে আমি সারা জীবন আমার করে পাই,খুব আদর যত্ন রাখতে চেয়েছি, আমার হৃদয় পিঞ্জরে,কিন্তু তুমি এখন অন্য কারো কাছে বন্ধি,
রোদ আমি ভালো করে যানি, শুভ্র তোমায় ভালোবাসে না, নিজের উপর রাগ আর জেদ নিয়ে তোমাকে বিয়ে করেছে, আমি বেঁচে থাকতে, তোমাকে ওই নরকে পুড়তে দিব না, যে করেই হোক, আমি তোমাকে ওই নরক যন্ত্রনা থেকে মুক্ত করবো,
শুভ্র এখনো রোদের দিকে তাকিয়ে আছে,
যখন উঠে যেতে যাবে,রোদ শুভ্রের হাত টেনে ধরে, শুভ্র পিছন ফিরে তাকায়,
শুভ্র যখন রোদকে কোলে নিয়ে বেডে শুয়ে দেয়, তখনি রোদের ঘুম ভাঙে শুভ্র কি করছে দেখার জন্য এতক্ষণ ঘুমের ভান ধরেই ছিলো,

রোদ শুভ্রের হাত ধরে নিজের দিকে টান দেয়। শুভ্র রোদের গায়ের উপরে পড়ে যায়,
রোদ শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে,
রোদের লম্বা চুল গুলো খোলা এলোমেলো
কান্না করার জন্য চোখ মুখ লাল হয়ে আছে,
শুভ্রের কেনো যানি নেশা ধরে যাচ্ছে, আর কিছুক্ষন এখানে থাকলেই,কিছু একটা ঘটে যাবে,
শুভ্র উঠতে যাবে এমন সময় চোখ পড়ে রোদের ঠোঁটের দিকে, চোখে পানি টলমল করছে, মুখ ফুলে আছে, ঠোঁট দুটো কাঁপছে,

শুভ্রের ঘোর লেগে যাচ্ছে, ধীরে ধীরে রোদের ঠোঁটের দিকে নিজের ঠোঁট এগিয়ে নেয়,
রোদ চোখ বন্ধ করে নেয়, আবেশে,
এমন সময় কিছুটা একটা মনে পড়তেই শুভ্রের চোখ রক্তিম হয়ে যায়, রাগে পুড়ো শরীর কাঁপছে, রোদের চুলের মুঠি ধরে শুভ্র রাগে চ শব্দ করে বলে,
শুভ্র: রুপ দিয়ে,আমাকে বস করতে চাইছিস,
৪০০ গ্রাম ওজন তো হবে না শরীরে এই টুকু মেয়ে, সে কিনা শুভ্র চৌধুরী কে শরীর দেখিয়ে কাছে পেতে চাইছে,
চুলের ব্যাথায় রোদের চোখ দিয়ে পানি পড়ছে
শুভ্র আবার রেগে গিয়ে বলতে থাকে
শুভ্র: এ তোর বয়স কতো, হ্যা এই টুকু টিকটিকির বাচ্চা সে আসছে, আমার সাথে ইন্টেমেট হতে, আমি তোকে কত বার বলছি, আমাকে উসকানি দিস না রোদ, তার বিপরীতে তোকে ভয়াবহ কিছু সহ্য করতে হবে,
রোদ ফুপিয়ে কেঁদে উঠে, রোদের এখন ভীষণ ভয় লাগছে, এতোক্ষন কিসের ঘোরে কি করেছে সে নিজেও যানে না,

শুভ্র রাগি চোখে তাকিয়ে বলে,
শুভ্র: চুপ একদম চুপ, একে বারে মেরে ফেলবো,একটা শব্দ করলে, আমার সামনে নিজেকে ওপেন করে রাখিস, কতো বার বারন করেছি, আমি কিন্তু ভালো মানুষ নই রোদ এক চুল পরিমান ছাড় দিব না তোকে,
শুভ্র রোদকে ছেড়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
সকাল ৮:০০ টা
শুভ্র সেই সকাল সকাল বেড়িয়ে যায়, অফিসের কাজে,
রোদ ঘুমিয়ে আছে এখনো,শরীর অসুস্থ থাকায়, হেনা বেগম আর ডাকেনি, রিয়া শুভ্রের রুমে ডুকে রোদের মুখে এক জগ পানি ঢেলে দেয়,
লাফ দিয়ে ঘুম থেকে উঠে যায়, রোদ,

সামনে তাকিয়ে দেখে রিয়া, রোদ কিছুটা অবাক হয়। সকাল সকাল রিয়াকে দেখে, ভ্রু কুচকে রোদ বলে,
রোদ: রিয়া আপু কি করছো, এই ভাবে পানি দিলে কেনো,
রিয়া কিছু না বলেই রোদের কাছে এসে বিছানা থেকে হাত টেনে ধরে দাঁড় করিয়ে চুল চেঁপে ধরে বলে।
রিয়া: এই রুপ দেখিয়ে শুভ্রকে ফাঁসিয়েছিস, তাই না, এখন তো রুমটাও দখল করছিস, যতই যা করিস৷ শুভ্র তোকে কোনো দিন, স্ত্রী অধিকার দিবে না৷ আর না তোকে ভালোবাসবে, শুভ্র শুধুই আমার
বলেই ধাক্কা দেয় রিয়া, রোদ ট্রি টেবিলের পাসে গিয়ে পড়ে, ট্রি টেবিলে ফল কাটা ছুড়ি হাতে নিয়ে উঠে রেগে রিয়ার গলায় চেঁপে ধরে বলে,

রোদ: আমার স্বামী আমাকে ভালো বাসুক বা না বাসুক সেটা পুড়োপুড়ি আমাদের বেপার, আর রইলো তো তোর মতো ডাস্টবিনের কথা, তো তুই কি ভাবছিস সব বিষয় আমি সহ্য করলেও, আমার স্বামী কে তুই আমার থেকে কেড়ে নিবি৷ তাকে নিয়ে আজে বাজে কথা বলবি,আমার আমি সহ্য করবো, হ্যা,
রোদের চোখ দিয়ে যেনো আগুনের ফুলকি বেড় হচ্ছে, ছুড়িটা আরো গলার সাথে চেঁপে ধরে দাঁত কটমট করে বলে
রোদ : আমি সবার অত্যচার সহ্য করলেও, নিজের স্বামি কে নিয়ে কারো সাথে কম্প্রমাইজ করবো না,আর শুভ্রের রুচি এতোটাও নিচে নেমে যাইনি, তোর মতো ডাস্টবিনে হাত দিয়ে নিজেকে নোংরা করবে,

বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ১৭

রিয়া ভয়ে ঢোগ গিলে এ কাকে দেখছে,সে’তো ভাবছিলো রোদকে অত্যাচার করবে, ভয় দেখাবে তাঁরপর শুভ্রের জীবন থেকে সরিয়ে দেবে, কিন্তু উল্টো সে তো ভয় পেয়ে ফেসে গেলো,
রোদ ধাক্কা দিয়ে রিয়াকে সরিয়ে দেয়, রিয়া ফ্লোরে পড়ে যায়, রোদ রাগি চোখে তাকিয়ে বলে,
রোদ:শুভ্র চৌধুরী বউ আমি, আমাকে এতোটাও অবলা মনে করিস না।
রোদ ধব ধব পা ফেলে ওয়াশরুমে চলে যায়।
রিয়া অবাক ভয় সব সক্ট এক সাথে হচ্ছে, দৌড়ে বেড় হয়ে যায় রুম থেকে,

বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ১৯

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here