বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ২৭

বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ২৭
shanta moni

একঘন্টা পর হসপিটালের সামনে গাড়ি থামে। গাড়ি থেকে বেড়িয়ে শুভ্র হসপিটালের ভিতরে যায়।
কিছুক্ষণ আগে হসপিটাল থেকে কল আসছিলো। সেদিন সেই মহিলার বিষয়ে। শুভ্র এতদিন ফোন দিয়ে খোঁজ খবর নিছে, ডাক্তার বলছে জ্ঞান ফিরলে শুভ্রকে জানাবে। মহিলাটির জ্ঞান ফিরছে, কিন্তু তার অবস্থা খুবই খারাপ।
শুভ্র হসপিটালের করিডোরে আসতেই, ডক্টর আহান কেবিন থেকে বেরিয়ে আসে, চিন্তিত হয়ে। শুভ্র কাছে এসে বলে
এই রোগী পরিচিত,

শুভ্র ভ্রু কুচকে তাকায় ডক্টর আহানের দিকে, তারপর বলে,,
শুভ্র: নাহ, ডক্টর
ডক্টর : রোগী শুধু শুভ্র নামে কাউকে ডাকছে, আর রোগী রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে যে, সে এর আগেও তার মাথায় গভীর আঘাত পেয়েছিলো। যার জন্য তার সৃতি শক্তি ছিলো না। আর সেই আঘাতের যায়গা, আবার আঘাত পেয়েছে, রোগীর বাঁচার চাঞ্জ খুব কম।
শুভ্রের নিজেকে খুব অপরাধী মনে হয়। তার জন্য একজন মানুষ মৃত্যু মুখে,
ডক্টর আহান আবার বলে উঠে,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

ডক্টর : মিস্টার শুভ্র আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে, আপনার পরিচয় কেউ হতে পারে। আপনি দেখা করুন,
কথা গুলো বলেই ডক্টর আহান চলে যায়। ডক্টর চলে যেতেই, শুভ্র কেবিনে দরজা খুলে ভিতরে ডুকে, সামনে তাকাতেই দেখে দুজন নার্স মহিলাটির দুই দিকে দুহাত ধরে রেখেছে, মহিলা মুখ থেকে শুভ্র শুভ্র নাম ধরে ডাকছে, শুভ্র ভ্রু কুচকে আসে, সামনে আরো দুকদম এগিয়ে যায়। মহিলার সামনে যেতেই শুভ্রের চোখ বড় বড় হয়ে যায়, কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে উঠে,
শুভ্র: র,,হি মা, খালা আপনি এখানে,,
কারো কন্ঠ স্বর পেতে সাথে সাথে সামনে তাকায় মহিলাটি,, শুভ্রকে দেখেই চুপ হয়ে যায়। কাঁপা কাঁপা হাত বাড়িয়ে দেয়, শুভ্রের দিকে, শুভ্র হতবাক এতো বছর পর রহিমাকে এখানে দেখে, রহিমা কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে উঠে, তুই শুভ্র বাবা, শুভ্র মাথা নাড়ার, রহিমা কাঁপা কাঁপা হাতে শুভ্রের হাত চেঁপে ধরে, মুখ থেকে অক্সিজেন মাস্ক খুলে, আস্তে আস্তে কিছু বলে উঠে,

রহিমা: শুভ্র বাবা, আল্লাহ হয়তো সত্য জানানোর জন্য এখনো আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে,,
কথা গুলো বলতে বলতে চোখ ভিজে উঠে,
শুভ্র অস্থির হয়ে বলে উঠে,
শুভ্র: খালা আপনি শান্ত হন, আগে সুস্থ হন, তারপর আপনার সব কথা শুনবো,
রহিমা: না বাবা আজ না বলতে পারলে, আমি আর কখনোই বলতে পারবো না, আমার আর সময় নেই, বাবা। সব কিছু তোমাকে বলে যেতে না পারলে, আল্লাহ আমাকে পর ওপারে মাফ করবে না।
শুভ্রের কপাল কুচকে আসে, কি এমন সত্য বলতে চায়, যা সে জানে না,
রহিমা কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে উঠে,,
রহিমা: তোমার মা, কে রোদ খুন করেনি, আর না রোদের কোনো দোষ ছিলো, তোমাকে আমি মিথ্যা বলেছিলাম বাবা।

শুভ্র বসা থেকে উঠে পড়ে, হাত পা কাঁপড়ে থাকে, কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে উঠে,
শুভ্র: খালা আপনি এই সব কি বলছেন।
রহিমা চোখ দিয়ে পানি পড়ছে,,শ্বাস বেড়ে গেছে, জোরে জোরে শ্বাস নিতে নিতে বলে।
রহিমা: বাবা সেদিন, আমি লোভে পড়ে, মিথ্যা বলেছিলাম। যার জন্য শাস্তি আমি পেয়েছি, আর তোমাকে যে ছবি গুলো দেখানো হয়েছিল। সব কিছু মিথ্যা ছিল বাবা, আমি আমার পাপের শাস্তি পেয়েছি, তোমরা আমায় মাফ করে দিও,
শুভ্র রহিমা কাছে গিয়ে বলে,

শুভ্র: খালা রোদ যদি কিছু না করে থাকে, তাহলে কে করেছে, এই সব, বলো খালা, কে আমার মায়ের খুনি, আর কেনো বা রোদের নামে মিথ্যা বলেছো।
রহিমা চারদিক অন্ধকার হয়ে, আসে, জোরে জোরে শ্বাস নিতে নিতে বলে,
রহিমা: তোর সব থেকে আ প ন জন এই সব করেছে,, রোদকে তোর থেকে দূড়ে করার জন্য এই সব করছে, ওরা সবাই মিলে, তোর মা বাবা কে,,তোর চা
আর কিছু বলতে পারে না, শুভ্র চোখ লাল হয়ে আছে, হাত পা থর থর করে কাঁপছে, রহিমা খালাকে চিৎকার করে ডাকে কিন্তু কোনো সারা শব্দ পায় না।
এই প্রথমবার শুভ্রের বুকে হাহাকার সৃষ্টি হয়। পুড়ো শরীর থর থর করে কাঁপছে, তার মনে পড়ে যায়, রোদের প্রতি করা প্রতিটা অন্যায়,

শুভ্রের চিৎকারে
ডক্টর এসে বলে, রোগী আর বেঁচে নেই,
শুভ্র ধপ করে নিচে বসে পড়ে, ডক্টর নার্স শুভ্রকে এমন দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। তারা যত দূর জানে, এই শুভ্র চৌধুরী অনেক শক্ত মনের মানুষ, অনেক কঠোর তাকে এই ভাবে ভেঙে পড়তে দেখে, কিছু নার্স যায় তুলতে, শুভ্র হাত দিয়ে থামিয়ে দেয়।

রাত এখন ১২:০০
অন্ধকার রুমে বসে আছে শুভ্র, হাত দিয়ে রক্ত পড়ে, পুড়ো ফ্লোর বেয়ে বেয়ে যাচ্ছে।
হাত থেতলে ফেলেছে, রুমে দেয়ালে রক্ত লেগে আছে। শুভ্র চোখ গুলো লাল, শার্ট এলোমেলো, চুল গুলো অগোছালো, এই অবস্থায়, শুভ্রকে দেখলে, যে কেউ ভয় পাবে। শুভ্র এতো কিছু করেও যেনো রাগ কমছে না। রাগে আবার দেয়ালে ঘুষি দিতে থাকে, হাত দিয়ে গল গল করে রক্ত পড়ছে, শুভ্র চিৎকার করে বলতে থাকে।
শুভ্র: এই হাত দিয়ে আমি আমার ছোট্ট ফুলটাকে আঘাত করেছি, এই হাত আমি রাখবো না, রাখবো না, এই হাত।কি করে পারলাম এতোটা নিষ্ঠুর হতে, শুভ্র ক্লান্ত হয়ে বসে পড়ে, রাগে নিজের চুল চেঁপে ধরে। বলতে থাকে,,
শুভ্র: কেনো সত্যিটা খুঁজলাম না, সামান্য কিছু ছবি, আর ওদের কথায় কেনো বিশ্বাস করলাম। আমি আমার ছোট্ট পাখিটাকে কি করে পারলাম এতো কষ্ট দিতে।
শুভ্র ডুব দেয়, অতীতে,🍁🍁
অতীত,🍁🍁

চৌধুরী বাড়ির চার পাশে ঘুরে ঘুরে দৌড়ে ১০ বছরের একটা বাচ্চা মেয়ে। কোমর পযন্ত চুল গুলো, দৌড়ানোর জন্য দুলছে, দৌড়াচ্ছে আর খিল খিল করে হাঁসছে, পেছন পেছন দৌড়াচ্ছে আরো একটা মেয়ে, গায়ের রঙ শ্যামবর্ন, চেহারা জুড়ে যেনো, মায়ার বসবাস।
হটাৎ কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে যায়। শুভ্রের পরিক্ষা শেষ, যার জন্য বাড়িতে এসেছে, ছোট একটা বাচ্চা সাথে ধাক্কা খায়, রাগি চোখে তাকায়, রোদ ব্যাথা পেয়ে জোরে জোরে কেঁদে দেয়।
রোদকে দেখে, শুভ্র মনে মনে বলে,

শুভ্র: এ তো তার ফিটার খাওয়া বাচ্চা বউ, কপাল তার,, ২০ বছর বয়সে তার মা বাবা মিলে,১০ বছরের এক ফিটার খাওয়া বাচ্চার সাথে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে, ইস কতো ইচ্ছে ছিলো, বউকে নিয়ে ঘুরবে, আদর করবে, সব সময় তার বউ তার যত্ন নিবে, কিন্তু তার কপাল, এই মেয়ে বড় হতে হতে, আমি তখন বুড়ো হয়ে যাবো। দীর্ঘ শ্বাস ফেলে শুভ্র রোদের হাত ধরে উঠে দাঁড় করাতে নেয়। কিন্তু রোদ দাঁড়াতে পারে না। রোদ ভ্যা ভ্যা করে কাঁদছে, শুভ্র কোনো কিছু না ভেবে রোদকে কোলে করে নিয়ে বাড়ির ভিতরে যায়৷ রোদের কান্নার শব্দ পেয়ে, রান্না ঘর থেকে বের হয়ে আসেন, আফরিন বেগম, শুভ্রকে দেখে বলে,

আফরিন বেগম : এই তুই রোদের সাথে কি করেছিস, হ্যা?
শুভ্রের বিরক্ততে নাক মুখ কুচকে আসে, আফরিন বেগমকে উদ্দেশ্য করে বলে,
শুভ্র: আম্মু তোমার এই টুকু মেয়ের সাথে কি বা করবো, হ্যা,ধরলেই তো ভ্যা ভ্যা করে। তুমি যেমন ভাবে বলছো, তোমার মেয়েকে আমি খেয়ে ফেলছি।
শুভ্র রোদকে সোফায় বসিয়ে দিতে দিতে বলে,
শুভ্র: তোমার মেয়ে বাইরে খেলতে গিয়ে পড়ে গেছে।
কথা গুলো বলেই, শুভ্র সিঁড়ি দিয়ে নিজের রুমে চলে যায়।
আফরিন বেগম, ব্যস্ত হয়ে বলে উঠে,
আফরিন বেগম : কতো বার বলছি, রোদ দৌড়া দৌড়ি করবি না, কিন্তু তুই তো আমার কথা শুনিস না, যখন মামনি থাকবে না, তখন বুঝবি,

কথা গুলো বলতে বলতে, আফরিন বেগম চোখে পানি চলে আসে৷
রোদ আফরিন বেগম কে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকে,
রোদ: খালা মনি তোমাকে আমি কোথাও যেতে দিব না।
আফরিন বেগম রোদকে জড়িয়ে ধরে,
আফরিন বেগম : আমি তোদের ছেড়ে কোথাও যাবো না।

আফরিন বেগমের বড্ড আদরের রোদ, নিজের মেয়ে থেকেও, এই মেয়েটাকে বড্ড বেশি ভালোবাসে, রোদের মা বাবা যখন মারা যায়, গাড়ি এক্সিডেন্ট, তখন রোদের বয়স সাত বছর।তখন রোদ এই চৌধুরী বাড়িতে আসে। আরাফ চৌধুরী আফরিন বেগম। কেউ মা বাবা অভাব বুঝতে দেইনি রোদকে, তাইতো নিজের প্রান প্রিয় ছেলের সাথে এক রকম জোর করে বিয়ে দেয়। আফরিন বেগম। কারন সে চায়না, রোদকে দূরে রাখতে। এখন হয়তো কিছু বুঝে না, কিন্তু বড় হলে, সব রোদ একদিন বুঝে যাবে। আর সে শুভ্রকেও দেখেছে, উপর উপর রাগ দেখালেও আড়াল থেকে রোদের খেয়াল রাখে। প্রথম প্রথম রাগ করে ছিলো, এতো ছোট মেয়ের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য, কিন্তু এখন তার মনে হচ্ছে শুভ্র সবটা মেনে নিছে।

রাত : ৯:০০
শুভ্রের রুমে আসে পাশে উকি দিচ্ছে রোদ। রুমে শুভ্রকে দেখতে না, পেয়ে, চুপি চুপি গুটি গুটি পায়ে রোদ রুমে ডুকে, বিছানার উপর অনেক গুলো চকলেট দেখে, চুপি চুপি চকলেট গুলোতে হাত বাড়ায়, শুভ্র সাথে সাথে রোদের হাত চেঁপে ধরে, রোদকে শুভ্রকে দেখে ভয় পেয়ে যাই। শুভ্র রোদের হাত টেনে ধরে, সামনে দাঁড় করিয়ে রোদকে বলে,

শুভ্র: এই তুই এখানে কি করছিলি, আর আমার চকলেট হাত দিছিস কেনো হ্যা।
রোদ ভয়ে ভয়ে তুতলিয়ে বলে উঠে।
রোদ: শুভ্র ভাই, আমি তো দেখেছিলাম, ও দুলা তি, ( ওই গুলো কি)
শুভ্র রাগি চোখে তাকিয়ে বলে,
শুভ্র: এ তুই কাকে ভাই বলছিস হ্যা, কে তোর ভাই হুম।
রোদ: কেনো তুমি ভাই,,
শুভ্র: আমি তোর ভাই না, জামাই
রোদ: জামাই কি, আমাকে কিনে দিবে ভাইয়া।
শুভ্র কপালে হাত দিয়ে বলে, হায়রে কপাল, আম্মু আমাকে কোন বলদ সাথে বিয়ে দিছে,
রোদ কিছু না বুঝে শুভ্রের দিকে তাকিয়ে আছে।
শুভ্র আবার বলে উঠে,

শুভ্র: এই যে কিছু দিন আগে যে আমাদের বিয়ে হইছে, এখন আমি তোর আর ভাই নেই, আমি তোর জামাই আর তুই আমার বউ, বুঝছিস।
রোদ মাথা দুলায়, তার মানে সে বুঝছে,
শুভ্র রোদকে আবার বলে উঠে,
শুভ্র: চকলেট খাবি,?
রোদ: হুম খাবো।
শুভ্র: চকলেট দিব, তবে একটা শর্ত আছে।
রোদ কিছু না বুঝে তাকিয়ে আছে, শুভ্রের দিকে।
শুভ্র বলে উঠে,

শুভ্র: তুই আমার গলা জড়িয়ে ধরে, আমায় যত গুলো চুমো খাবি। আমি তোকে তত গুলো চকলেট দিব।
রোদ খুশিতে গদ গদ হয়ে বিছানার উপর উঠে দাঁড়ায়, শুভ্র বিছানায় বসা, রোদ শুভ্রের গলা জড়িয়ে ধরে শুভ্রকে চুমু খেতে থাকে, গুনে গুনে, শুভ্রের শরীর কেঁপে উঠে অজনা অনুভূতিতে। রোদ শুভ্রের ঠোঁটে চুমু দিতে, শুভ্র রোদকে বুকের উপর নিয়ে বিছানার উপরে শুয়ে পড়ে, রোদের কপালে পড়ে থাকা চুল গুলো সরিয়ে, কপালে চুমু খায়। রোদের কপালে কপাল ঠেকিয়ে, নেশালো কন্ঠে বলে উঠে,
শুভ্র: বউ,,
রোদ আস্তে করে বলে উঠে
রোদ: হুম জামাই
শুভ্র: এই বউ কবে বড় হবি হুম। আমার যে খুব কষ্ট হয়, বউ খুব করে ছুয়ে দিতে ইচ্ছে করে, তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যাহ।

রোদ শুভ্রের বুকের উপর বসে বলে উঠে,
রোদ: আমি তো অনেক বড়, হইছি
তুমি আমাকে বড় হতে কেনো বলছো জামাই, আমি তো অনেক বড়।
শুভ্র হাঁসে, কি বলছে, তার ছোট্ট ফুল তাকে,
শুভ্র রোদকে বলে উঠে
শুভ্র: তুই বড়, কে বলেছে, আর আমাকে তুই জামাই বলছিস।
রোদ: মামনি বলছে আমি অনেক বড় হইছি, আর তুমি তো একটু আগে বল্লে তুমি জামাই, তাই তোমাকে জামাই ডাকছি,
শুভ্র: কতখানি বড় হয়ে গেছে আমার রোদ পাখি,
রোদ হাত দিয়ে দেখায় এততততত খানি,

জামাই,
শুভ্র আবার বলে উঠে
শুভ্র: জানিস বড় হলে জামাই আদর খেতে হয়।
রোদ না বুঝে শুভ্রের দিকে তাকিয়ে বলে
রোদ: আমি তো বড়ো, আমি খাবো আদর, আমাকে আদর কিনে এনে দাও,
শুভ্র রোদের গাল গুলো টেনে দিয়ে বলে,
শুভ্র: আদর তো কেনা যায়না পাখি, তবে বেশি বেশি খেয়ে বড় হয়ে যাহ, তারপর আমি তোকে আদর দিব।
শুভ্রের কথা শুনে রোদ খুশি হয়ে যায়, শুভ্র রোদকে ডেইরি মিল্ক চকলে সাথে কিটক্যাট আরো অনেক চকলেট বের করে রোদকে দেয়, রোদ চকলেট গুলো পেয়ে তো মহা খুশি, দৌড়ে শুভ্রের রুম থেকে চলে যায়। রোদ যেতেই শুভ্র হাঁসে,
এই ছোট্ট ফুলটার প্রতি তার অন্য রকম এক টান অনুভব করে। রোদকে যখন বিয়ে করেছিলো । তখন খুব রেগে ছিলো, তার মায়ের উপর, কিন্তু কেনো যানি এই বাচ্চা মেয়ের মায়া জড়িয়ে পড়েছে, রোদের বাচ্চামো গুলো তাঁর খুব পছন্দ,

আফরিন বেগম শুভ্র রুমের সামনে এসে বলে, আসতে পারি বাবা,,
শুভ্র তার মাকে দেখেই মুখে হাঁসি ফুটে, আফরিন বেগমকে বলে উঠে
শুভ্র : আম্মু আমার রুমে আসতে তোমার কোনো অনুমতি লাগবে না, তুমি আসো তো,
আফরিন বেগম হাঁসেন, শুভ্রের বিছানার উপর বসে, শুভ্র বিছানায় গিয়ে মায়ের কোলে শুয়ে পড়ে। আফরিন বেগম শুভ্রের মাথায় হাত ভুলাতে ভুলাতে বলে,
আফরিন বেগম : আমার মাফ করে দিস, বাবা, আমি তোদের ভালো জন্য এই সব করছি। আমার উপর রেগে থাকিস না।

শুভ্র মাথা তুলে মায়ের দিকে তাকিয়ে হাসি দিয়ে বলে উঠে,,,
শুভ্র; আমি তোমার উপর রেগে নেই আম্মু।
আফরিন বেগম শস্তির নিশ্বাস ফেলেন। শুভ্রকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে,,
আফরিন বেগম : আমাকে একটা কথা দিবি বাবা।
শুভ্র: কি কথা আম্মু?
আফরিন বেগম শুভ্রের হাত নিজের মাথায় রাখে তারপর বলে উঠে,,

বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ২৬

আফরিন বেগম : শুভ্র তুই আমার রুহি আর রোদকে দেখে রাখবি। ওদের কখনো কষ্ট দিবি না। আমরা যদি নাও থাকি। সারা জীবন রোদ রুহির ছায়া হয়ে। আগলে রাখবি।
শুভ্র: আমি কথা দিচ্ছি আম্মু আমি রোদ রুহিকে সব সময় আগলে রাখবো।কখনো কষ্ট পেতে দিব না।

বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ২৮

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here