বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৩০
shanta moni
“সকাল ৭:০০ টা ঘুম ঘুম চোখে পাশে হাত রাখে’ কিন্তু কাউকে হাতের নাগালে না পেয়ে সাথে সাথে চোখ খুলে তাকায় শুভ্র’ পাশে রোদ নেই। শুভ্র কালকে রাতে রোদ ঘুমে থাকা অবস্থায়, নিজের রুমে নিয়ে আসে। কিন্তু তার বউ কই, তাকে তো দেখতে পারছে না।
রোদ নিজের রুমে এসে নামাজ পড়ে বসে আছে। সে কোনো ভাবেই বুঝতে পারছে না। শুভ্রের রুমে কি করে গেলো। সকাল সকাল ঘুম ভাঙতেই শুভ্র শক্ত হাতের বাঁধনে নিজেকে পায়। প্রথমে ভয় পেলেও পরে নিজেকে শান্ত করে আস্তে আস্তে শুভ্র ঘুম থেকে উঠার আগেই নিজের রুমে চলে যায়।
শুভ্রের মেজাজ চরম পর্যায়ে খারাপ, এই টুকু মেয়ে তার অবধ্য হয়। এই মেয়ে তো শিক্ষা দিতেই হবে।
সকাল ১০:০০ শুভ্র অনেক আগেই রেডি হয়ে অফিস চলে গেছে। রোমানও সাথে গেছে, রোদ নিজের রুমে বসে আছে, রুহি নিলা রোদের রুমে আসে।
রুহি নিলা রোদ গিয়ে জড়িয়ে ধরে তিনজন মিলে অনেকটা সময় গল্প করে কাটায়”
” দুপুর গড়িয়ে বিকেল, রোমান রুহিকে খুঁজতে, অফিস থেকে এসে রুহির অনেক খোঁজ করেছে, কিন্তু কোথাও দেখতে পারছে না’ আর এ-ই দিকে রুহি নিজ থেকেই রোমানের সামনে যাচ্ছে না’
রোমান ছাদে এসে দেখেই রুহি ছাঁদে দাঁড়িয়ে আছে’ রোমান হটাৎ রুহিকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ঘাড়ে নাক ডুবায়, রুহির পুড়ো শরীর শিউরে উঠে, বুকের ভিতর যেনো কেউ ঢোল পিটাচ্ছে।
পিছন থেকে রোমান বলে উঠে,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
রোমান: হে আমার বোকা নারী, আর কতো পাগল বানাবে আমায়!
রুহি রোমানের কন্ঠ পেতেই রোমানকে ধাক্কা দিয়ে কিছুটা দূরে সরিয়ে দেয়”
বলে উঠে ‘
রুহি: কি সব অসভ্যতা করছেন আপনি?
রোমান মুচকি হাঁসে তাঁরপর বলে উঠে’
রোমান: সব কিছু তো জানো তুমি, তাহলে আবার কেনো জিজ্ঞেস করছো হ্যা” আর বউয়ের সাথেই তো অসভ্যতা করবো না’ কার সাথে করবো”
রুহি রাগি চোখে তাকিয়ে আছে রোমানের দিকে, পুনরায় রাগে কটমট করতে করতে বলে উঠে’
রুহি: এই কে আপনার বউ হ্যা ‘
রোমান: কেনো তুমি আমার বউ।
রুহি রেগে ছাদ থেকে যেতে নেই’ এমন সময় রোমান রুহির হাত ধরে টান দিয়ে ছাদের দেয়ালের সাথে চেঁপে ধরে, রুহি চোখের দিকে তাকিয়ে বলে উঠে’
রোমান: আমার ভালোবাসাকে কেনো তুমি প্রত্যাখান করছো রুহি’ আমি তোমাকে সত্যি খুব বেশি ভালোবাসি।
রুহি মুখে কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বলে উঠে”
রুহি: এটাকে ভালোবাসা বলে না’ আর আপনি যে আমাকে ভালোবাসেন ভালোবাসেন বলছেন, এটা আমার কাছে মজা ছাড়া কিচ্ছু না’
রোমান: সিরিয়াসলি রুহি এতো এতো মেয়ে থাকতে আমি তোমার পিছনে মজা করার জন্য এই ভাবে পড়ে আছি’ তুমি কি কিছুই বুঝতে পারছো না।
রুহি: ঠিক বলেছেন’ আমার মতো একটা কালো মেয়ের পিছনে কেনো পড়ে আছেন হ্যা’ এতো এতো সুন্দরী মেয়ে থাকতে।
রুহি আর কিছু না বলেই নিজেকে রোমানের কাছ থেকে ছাড়াতে নেই’
রোমান রুহিকে আরো জোড়ে চেঁপে ধরে বলে উঠে’
রোমান: আমার কথা শেষ হয়নি রুহি ‘ তুমি কোথাও যেতে পারবে না’
রুহি: আপনার এই সব আজাইরা কথা শোনার সময় আমার নেই, প্লিজ ভাইয়া ছাড়ুন’ আর যাই হোক আপনার মতো একজন সুর্দশন পুরুষ কখনোই আমার মতো, কালো মেয়েকে ভালোবাসতে পারেনা। তাই প্লিজ যেতে দিন”
রোমান: সৌন্দর্য কি সব রুহি’
রুহি: হুম সৌন্দর্য এখন সব, মানুষ সৌন্দর্য পূজারী, আর যাই হোক আপনার মতো একজন সুন্দর পুরুষের সামনে আমার মতো শ্যামকন্যা বেমানান।
রোমানের হাত আগলা হয়ে আসে, সে এই মেয়ে কিভাবে বুঝাবে,
রুহি ছাদ থেকে যেতে যেতে বলে উঠে’
রুহি: ভাইয়া আপনি এখন মোহে আছেন। যখন মোহো কেটে যাবে, তখন আপনি নিজেই সৌন্দর্য খুঁজবেন। তাই প্লিজ আমার কাছ থেকে দূড়ে থাকবেন’ তাহলে আপনার এই মোহো কেটে যাবে।
কথা গুলো বলে রুহি আর দাঁড়ায় না’ দ্রুত ছাদ থেকে নিচে চলে আসে।
রাত : ৮:০০
সারাদিন রোদ রুমেই ছিলো, রুম থেকে এক বারের জন্য বেড় হয়নি’ শুভ্র কথায় ভাবছে, সে ভেবে পাচ্ছে না, শুভ্রের রুমে কি করে গেলো, আর কাল রাতে তার মনে হয়েছিলো৷ কেউ তাকে আষ্টে পিষ্টে জড়িয়ে আছে। গভীর ঘুমে ছিলো, তাই ঠিক আন্ধাজ করতে পারিনি।
রোদের এখন রুমে বসে থাকতে ভীষন বিরক্ত লাগছে, সেই সকাল থেকে রুমেই ছিলো’ নিজেকে কেমন বন্ধি বন্ধি মনে হচ্ছে”
এই নীলা রুহির কোনো খোঁজ নেই’ সেই কখন গেলো, কি জরুরি কাজ আছে বলে, কিন্তু এখনো আসলো না।
এই দিকে নীলা নিলয় ঝগড়া করছে, রুহি কোনো ভাবেই তাদের দুইজনকে থামাতে পারছে না”
বাচ্চাদের মতো দুইজন ঝগড়া করেই যাচ্ছে। রোদ বাহির থেকে নিলার গলার আওয়াজ পেতেই, রুম থেকে ধীর পায়ে বেড়িয়ে আসে” রোদ নীলা আর নিলয়ের ঝগড়া থামায়।
এইদিকে
শুভ্র সারাদিন ব্যস্ততা শেষ করে, গোসল করে, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল মুছতে ছিলো।
এমন সময় পিছন থেকে শুভ্রকে রিয়া জড়িয়ে ধরে’ প্রথমে কিছুটা অবাক হলেও, রিয়াকে দেখে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। ধাক্কা দিয়ে রিয়া সরিয়ে দিয়ে বলে উঠে’
শুভ্র: ছিহহ চাচি, আমি বিবাহিত’ আপনার ওই নোংরা হাত দিয়ে আমাকে স্পর্শ করে বউয়ের হক নষ্ট করবেন না।
রিয়া শুভ্রের কথা শুনে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে, জীবন প্রথম কেউ তাকে এই ভাবে চাচি বললো।
রিয়া আবার শুভ্রকে জড়িয়ে ধরতে আসতে নেয়। শুভ্র দু কদম পিছিয়ে বলে উঠে’
শুভ্র: ব্যাস ব্যাস ওইখানে থামেন। আর এক পা আমার দিকে এগোলে, নিজে পা আর পায়ের যায়গা থাকবে না’ হাতে ধরিয়ে দিব।
শুভ্র শান্ত কন্ঠে হুমকিতে রিয়া ভয় পেয়ে যায়। তারপর নিজেকে শান্ত করে মনে মনে সাহস যোগায়। যে করে হোক শুভ্রকে নিজের করতে হবে। রিয়া নেকা নেকা কান্না ভাব করে বলে উঠে’
রিয়া: আমি জানি শুভ্র তুমি ভালো নেই, আর রোদ তোমাকে কখনোই ভালো রাখতে পারবে না’ শুভ্র তুমি আমাকে একটা সুযোগ দাও, আমি তোমাকে অনেক সুখ দিব।
শুভ্রের রিয়ার কথা গুলো বুঝতে বেশি সময় লাগে না, রিয়া আসলে তাকে কি বুঝিয়েছে, রাগে চোখ লাল হয়ে গেছে,
রিয়া শুভ্রের কাছে এগিয়ে আসতে, শুভ্র ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। রিয়া ধাক্কার তাল সামলাতে না পেরে নিচে পরে যায়।
শুভ্র রিয়ার হাতের উপর নিজের পা রেখে জোড়ে আঘাত করে,রিয়া ব্যাথায় জোড়ে চিৎকার দিয়ে উঠে, শুভ্র রিয়ার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে রাগি চোখে তাকিয়ে বলে উঠে’
শুভ্র: তোর মতো নোংরা মেয়ের দিকে এই শুভ্র চৌধুরী ভুল করেও তাকাবে না। সস্তা জিনিস উপর কোনো ইন্টারেস্ট নেই, আমার,
রিয়া হাতে আরো জোড়ে চেঁপে ধরে বলে উঠে’
শুভ্র: শরীর নিয়ে যদি এতোই জ্বালা থাকে, তাহলে পতিতালয় চলে যাহ, অনেক লোক পাবি যাহ,
শুভ্র উঠে দাঁড়ায় রুম থেকে বেড় হতে, যেতে যেতে বলে,
শুভ্র; আজকে জানে মারলাম না, এর পর যদি এমনটা বলিস, বা আমার কাছে আসার চেষ্টা করিস তো, জানে মেরে ফেলবো। আমার রুমে এসে তোকে যেনো না দেখি’
কথা গুলো বলেই শুভ্র রুম থেকে বেড়িয়ে যায়।
রিয়া হাত নিয়ে ব্যাথায় কাতরাতে থাকে,
মনে হচ্ছে হাতের হাড় ভেঙে গেছে। এই শুভ্র চৌধুরীকে সে যতটা সহজ মনে করেছিলো। আসলে সে এতোটাও সহজ না। রিয়া ভয়ে শুভ্রের রুম থেকে উঠে, তাড়াতাড়ি নিজের রুমে চলে যায়।
রোদ রাতের খাবার খেয়ে বিছানার উপর চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে’ ভীষণ মাথা ব্যাথা করছে’
শুভ্র নিজের রুম থেকে বেড়িয়ে সোজা ছাদে চলে যায়। এখন তার মাথা প্রচন্ড গরম হয়ে আছে, ওই রিয়ার জন্য এই রাগ নিয়ে বউয়ে কাছে যাওয়া যাবে না।
আবার রাগের বসে কি না, কি করে বসে,
রাত এখন ১১:০০
রোদ অনেকক্ষণ ধরে চোখ বন্ধ করে আছে, কিন্তু ঘুম আসছে না’ তাই চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে”
শুভ্র আস্তে করে রোদের দরজা খুলে রুমে ডুকে, রোদ মাথার উপর এক হাত দিয়ে চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। শুভ্র ধীর পায়ে এগিয়ে যায়, রোদের দিকে,
রোদ শুভ্রের উপস্থিতি এখনো টের পাইনি।
শুভ্র রোদকে বিছানা থেকে নিজের কোলে তুলে নেয়। রোদ সাথে সাথে চোখ খুলে তাকায়, কিছুটা সময় লাগে কি হচ্ছে বুঝতে,
রোদ যখন বুঝতে পারে, সে শুভ্রের কোলে তখনি নামার জন্য নড়াচড়া শুরু করে দেয়৷ শুভ্র বিরক্ত হয়ে, গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠে,
শুভ্র: স্টপ রোদ, এই ভাবে নড়াচড়া করলে, একদম নিচে ফেলে দিব।
রোদ ভয়ে থেমে যায়। এই লোকের বিশ্বাস নেই’ ফেলে দিতেও পারে’
শুভ্র রোদকে নিজের রুমে এনে, বেড শুয়ে দেয়।
রোদের যেনো আর এই সব সহ্য হচ্ছে না। সে আর যাই হোক এই লোকের সাথে একই রুমে কোনো ভাবেই থাকবে না।
রোদ বিছানা থেকে উঠে যেতে নেয়। শুভ্র রোদের হাত টেনে ধরে বিছানার উপর রোদকে কোলে নিয়ে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে। রোদ ছোটাছুটি করছে, যাওয়ার জন্য, শুভ্র বিরক্ত হয়ে বলে উঠে,
লেখিকা:শান্তামনি
শুভ্র: এইভাবে ছোটাছুটি করে, কোনো লাভ নেই, বউ আমি তোমায় ছাড়তে আছি না।
লেখিকা: শান্তামনি
বলেই রোদের গাড়ে নিজের নাক ঘসতে থাকে, রোদের যেনো প্রানটা বেড়িয়ে যাচ্ছে’ শুভ্রের এমন করাই কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না।
শুভ্রকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে রুম থেকে বের হতে যায়।
লেখিকা: শান্তামনি
দরজা কাছে যেতেই, দেখে দরজা লক করা” রোদ দরজা ধাক্কাতে থাকে কিন্তু দরজা খুলছে না।
শুভ্র দুষ্ট হাঁসে, সে ভালো করেই জানে তার এই বউকে মানাতে তার অনেক কাট ঘর পোড়াতে হবে, তাই সে রোদকে যে করেই হক নিজের কাছে কাছে রাখতে হবে। আর সবার আগে, খুঁজে বেড় করতে হবে তার মায়ের খুনি কে, আর সেদিন রাতে আসলে কি ঘটে ছিলো।
লেখিকা ‘ শান্তামনি
রোদের চোখ দিয়ে পানি পড়ছে অনবরত,শুভ্র রোদের হাত ধরে হেচকা টানে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। রোদের কোমর অবধি চুল গুলো খুলে গেছে।
মুখের কাছে কিছু চুল পড়ে আছে। শুভ্র রোদের চুল গুলো সরিয়ে কানের পাশের গুজে দেয়। রোদের চোখ দিয়ে পানি পড়ছে, ঠোঁট দুটো থর থর করে কাঁপছে’
রোদের ভীষণ ভয় লাগছে, শুভ্রকে দেখে, সে মনে করছে শুভ্র হয়তো তাকে মারবে, আবার হয়তো কোনো কিছুর জন্য প্রতিশোধ নিবে, রোদ ভয়ে সিঁটিয়ে যায়। ছটফটানি বন্ধ হয়ে যায়’ শুভ্র এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে রোদের দিকে’ কান্না জন্য কিছুক্ষণ পর পর রোদের ঠোঁট কেঁপে উঠছে, চেহারা ফুলে গেছে, নাকে ডগা রক্তিম হয়ে আছে’ শুভ্রের সিড়ায় উপসিড়ায় ঠান্ডা স্রত ভয়ে যায়। শুভ্র আর কিছু ভাবতে পারে না’ ঠেঁট ডুবিয়ে দেয়’ রোদের ঠোঁট, রোদের চোখ বড় বড় হয়ে যায়। মনে হচ্ছে চোখ বেড়িয়ে আসবে। শুভ্রের নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। রোদ হাইটে ছোট হওয়াতে, শুভ্র রোদকে একহাতে কোমর পেচিয়ে উপরে দাঁড় করায়’ আর এক হাত দিয়ে রোদের পিছনে চুল চেঁপে ধরে ডিপলি, কিসস করতে থাকে’ রোদ নিশ্বাস নিতে পারছে না। আর কতখন এই রকম থাকলে হয়তো প্রানটা বেড়িয়ে যাবে। শুভ্রের ছাড়ার কেনো নাম নেই”
মনে হচ্ছে এতো বছরের ক্ষুধার্থ ছিল। আর সে তার ক্ষিদে মিটাচ্ছে।
রোদের চোখে সামনে অন্ধকার হয়ে আসে। হাত পা নেতিয়ে যায়। মনে হচ্ছে মরে যাবে, শুভ্রকে নিজ থেকে দূড়ে সরাবে সেই শক্তি টুকু যেনো তার শরীরে নেই”
রোদ শরীর পুড়ো ভর শুভ্রের উপর ছেড়ে দেয়। শুভ্রের হুস আসে, রোদকে ছেড়ে, দিতেই দেখে রোদ অজ্ঞান হয়ে গেছে,
তাড়াতাড়ি কোলে নিয়ে বিছানায় শুয়ে দেয়।
বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ২৯
রোদকে শুয়ে দিয়ে রোদের দিকে তাকাতেই, দেখে, ঠোঁট দিয়ে রক্ত পড়ছে’
মাথা চুলকে শুভ্র রোদের দিকে তাকিয়ে বলে উঠে,
শুভ্র: বালের কপাল, জীবনে প্রথম বউকে কিসসস করলো,কিন্তু মন ভরে কিসস করতে পারলো না। তার আগেই, তার বউ অজ্ঞান, কিসসস সহ্য করতে পারেনা, তাহলে এই বউ দিয়ে তার বাসর কিভাবে হবে।