বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৩৩
shanta moni
সকাল ৭:০০ টা, শুভ্র বেড থেকে উঠে,
ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে আসে।
সারা রাত চোখে ঘুমের ছিঁটে ফোটাও ছিল না। বউটার জন্য মনটা সারারাত ছটফট করছে, কোনো ভাবেই নিজেকে শান্ত করতে পারছে না। এখন তার বউ নামক ভিটামিন প্রয়োজন, বউকে কাছে পেলেই, তার অশান্ত মন শান্ত হবে।
সারা রাত নীর ঘুম কাটানোর জন্য, শুভ্রের চোখ লাল হয়ে আছে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা গুলো ভেবে আনমনে বলে উঠে,
শুভ্র): ওই টুকু মেয়ে, ৪০০ গ্রামের বাচ্চা, আমার সারা রাতের ঘুম হারাম করে দিছে, ওকে তো শাস্তি পেতেই হবে,
কথা গুলো বলে, রুম থেকে বেড়িয়ে যায়। হেনা বেগমের রুমে এসে দেখে রুম খালি, হেনা বেগম নিচে আছে। শুভ্র মুচকে হেঁসে রোদের রুমে দিকে পা বাড়ায়, রুমের দরজা হালকা চাঁপানো।
শুভ্র রুমের ভিতর ডুকে, রোদ ফ্রেশ হয়ে, ওয়াশরুম থেকে বের হয়। মুখ মুছতে মুছতে’ মুখের কাছ থেকে তোয়ালে সরাতেই, শুভ্রকে সামনে দেখে হাত থেকে তোয়ালে পড়ে যায়। শুভ্র কেমন করে যেনো তাকিয়ে আছে, রোদের দিকে,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
রোদ নিজের দিকে খেয়াল করতেই, দেখে গায়ে ওড়না নেই। তাড়াতাড়ি ফ্লোর থেকে তোয়ালে তুলে, নিজের গায়ে জড়িয়ে নেয়। মুখ ভেঙিয়ে মনে মনে বলে উঠে,
রোদ): কতো পরিমান লুচু হলে, এই ভাবে গরুর মতো তাকিয়ে থাকে ছিহ,লজ্জা সরম কিছু নেই।
রোদ শুভ্র এড়িয়ে চলে যেতে নিলেই, শুভ্র রোদের লম্বা চুল গুলো টেনে ধরে, রোদ আহহ বলে শব্দ করে, নিজের চুল ধরে পিছন ফিরে তাকায়।
শুভ্র রোদের চুল ধরে মুচকি হাঁসে,
রোদ ভ্রু কুচকে বলে উঠে,
রোদ: কি সমস্যা, চুল ধরেছেন, কেনো, ছাড়ুন বলছি।
শুভ্র রোদের চুল ধরে নিজের এক হাতে পেচাতে পেচাতে রোদের কাছে গিয়ে দাঁড়ায়৷ রোদ কিছুই বলছে না, শুভ্র রোদের দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ মেরে, দুষ্ট হেঁসে বলে উঠে,
শুভ্র): ইসস এমন করলে, কেনো বউ, আর একটু দেখতাম।
শুভ্রের কথা শুনে রোদের চোখ বড় বড় হয়ে যায়।
শুভ্র রোদকে জড়িয়ে ধরে এক হাত দিয়ে রোদের কোমর পেচিয়ে ধরে, নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। রোদ ছোটাছুটি করতে থাকে, নিজেকে ছাড়ানোর জন্য, শুভ্র বিরক্ত হয়ে বলে উঠে,
শুভ্র:) এই পুঁটি মাছের শরীর নিয়ে আসছো, আমার কাছ থেকে ছুটে যেতে হ্যা, চুপচাপ থাকো রোদ, শুধু শুধু নিজের শরীর শক্তি অপচয় করো না।
রোদ আরো ছটফট করতে থাকে, নিজেকে শুভ্রের কাছ থেকে, ছাড়াতে ছাড়াতে বলে উঠে,
রোদ): ছাড়ুন বলছি, অসভ্য লোক ‘জড়িয়ে কেনো ধরেছেন হ্যা,
শুভ্র বিরক্তিতে নাক মুখ কুচকে তাকায়, রোদের দিকে, তারপর বলে উঠে,
শুভ্রদ): চুপ থাক বেডি, আমি আমার বউকে জড়িয়ে ধরেছি, তাতে তোর কি হ্যা,
রোদ): অসভ্য লোক, ছাড়ুন বলছি, ভালো হবেনা বলে দিচ্ছি।
শুভ্র রোদের দিকে ঝুকে, ঠোঁট কামড়ে হাসে, তারপর বলে উঠে
শুভ্র): ভালো কিছু করতে হবে না,,চলো খারাপ কিছু করি,, তো আগে তুমি, শুরু করো বউ, লেডিস ফাস্ট,
এক চোখ টিপ মেরে কথা গুলো বলে শুভ্র,
রোদ শুভ্রের লাগাম ছাড়া কথা গুলো শুনে চোখ কটোর থেকে বেড়িয়ে আসার উপক্রম।
শুভ্র রোদের দিকে তাকিয়ে আছে, কেমন নেশালো দৃষ্টিতে, রোদ শুভ্রের চোখের দৃষ্টি দেখেই, বুঝে যায়, শুভ্র কি সব ইংগিত করছে। রোদ অজানা ভয়ে ঢোগ গিলে, জিব দিয়ে নিজের ঠোঁট ভেজায়।
শুভ্র রোদের হাত ধরে পিছন ঘুরিয়ে, রোদের গাড়ে নিজের নাক ঘষে। রোদ থর থর করে কেঁপে উঠে, অজানা শিহরণে, রোদের ভয়ে প্রান বেড়িয়ে যাচ্ছে। শুভ্র রোদের পিছন থেকে, কোমর পেঁচিয়ে ধরে, শক্ত করে।
রোদের কানের লতিতে চুমু খেয়ে, কানে ফিসফিস করে বলে উঠে
শুভ্র): বউ চলোনা, ইটিসপিটিস করি।
রোদের দম বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম, কোনো ভাবেই শুভ্রের এই রকম লাগাম ছাড়া কথা, আর স্পর্শ সহ্য করতে পারছে না, রোদের গলা কেঁপে ওঠে, চোখে পানি টলমল করছে। কাঁপা কাঁপা গলায় রোদ বলে উঠে।
রোদ): প্লিজ ছাড়ুন, আমায়,
শুভ্রের কোনো হেলদোল হয়না, শুভ্র হুট করেই, রোদকে কোলে তুলে, রুম থেকে বেরিয়ে নিজের রুমে হাঁটা দেয়।
রোদ ছুটার জন্য ছোটাছুটি করলেও, শুভ্র রোদকে একরকম জোর করেই, নিজের রুমে নিয়ে আসে।
রোদকে একরকম ছুড়ে ফেলে, বেডের উপর, রোদ বিছানা থেকে নেমে যেতে নিতেই, এমন সময় শুভ্র রোদকে বেডের সাথে চেপে ধরে, গলায় নাক ডুবাই, রোদের চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে, নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে,, শুভ্র নেশালো কন্ঠে ফিসফিস করে বলে উঠে,
শুভ্র: বউ আমার খুব ছুয়ে দিতে, ইচ্ছে করছে, খুব করে ইচ্ছে করছে বউ,
খুব বাজে ভাবে ছুঁয়ে দিতে।
শুভ্র রোদের গলায় চুমু খেয়ে কানের কাছে, মুখ নিয়ে পুনরায় ফিসফিস করে বলে উঠে,
শুভ): কালকে সারারাত গলা কাটা মুরগীর মতো ছটফট করেছি বউ, তোর অভাবে, আমার বউয়ের কাছ থেকে ভিটামিন প্রয়োজন, তা না হলে ভিটামিনের অভাবে মরে যাবোই।
শুভ্র এমন নেশালো কন্ঠে কথা শুনে রোদের ছোটাছুটি বন্ধ হয়ে যায়।
মুখ দিয়ে কি়ছুই বলতে পারছে না।
শুভ্রের প্রতিটা স্পর্শ গাড়ো হতে থাকে,পুড়ো শরীর জুড়ে শুভ্রের হাতের বিচারন। রোদের নিশ্বাস আটকে আছে, কোনো ভাবেই শ্বাস নিতে পারছে না,আর না শ্বাস ছাড়ছে, শুভ্র আজ বদ্ধ উম্মাদ, কোনো ভাবেই, নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছে না। এমনি সে এটাও ভুলে গেছে, যে রোদ এখনো সব কিছু কোনো ভাবেই মানতে পারছে না, কিন্তু এই সব কোনো হুস যেনো তার মধ্যে নেই, শুভ্র রোদের গলা থেকে মুখ তুলে, যখন জামা পিছনে চেইনে হাত দেয়। এমন সময় বাহির থেকে দরজা ধাক্কানোর আওয়াজ কানে আসে, শুভ্র প্রথমে বিষয়টি পাত্তা দেইনা, কিন্তু আবার যখন রোদের দিকে আগায়, তখন আবার দরজা ধাক্কানোর আওয়াজ পাই, মনে হচ্ছে বাহিরে যে, সে দরজা ভেঙে ভিতরে ডুকবে, শুভ্র মুখে রাগে ছাপ, রাগে চোয়াল শক্ত করে, বেড থেকে উঠে, দাড়ায় দ্রুত পায়ে দরজা সামনে গিয়ে দরজা খুলে একটু ফাক করে দাঁড়ায়, সামনে নিলয় দাঁত বের করে হাঁসছে, শুভ্র নিলয়কে এমন সময় এইখানে দেখে রাগে ফুসতে থাকে,
এই বাড়ির লোকদের সমস্যা কি, এদের কাজ কি আমার পার্সোনাল মোমেন্ট বেগড়া দেওয়া হ্যা।
নিলয় শুভ্র এমন রাগতে দেখে, হাঁসি হাঁসি মুখে বলে উঠে,
নিলয়: এমন ভাবে রাগ করছো কেনো Bro, দেখে মনে হচ্ছে তুমি এই দিনে দুপুরে বাসর করছো, আর আমি সেই, বাসর ঘরে সাপ ছেড়ে দিয়েছি, সেই জন্য এই রকম রাগে ফুসছো।
কথা গুলো নিলয় মজা করেই বলে,
শুভ্রের রাগটা যেনো আরো দ্বিগুন বেড়ে যায়। রাগে রি রি করতে করতে বলে উঠে,
শুভ্র: কি চাই তোর, এখানে এসেছিস কেনো।
নিলয় দাঁত বের করে আবার হেঁসে উঠে,
তারপর শুভ্রকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে,
নিলয়: দরজা ধরে, এই ভাবে দাঁড়িয়ে আছো কেনো, রুমেও কি ডুকতে দিবে না, সরো তো দেখি অতিথি আসলে, রুমের ভিতর ডুকতে দিতে হয়, হুম সরো সামনে থেকে।
শুভ্র রাগে দাঁত চেঁপে বলে,
শুভ্র: তুই কি আমার বিয়াই লাগোছ। যে তোকে রুমে ডুকিয়ে, মেহমান ধারি করতে হবে।
শুভ্র এমন কথায় নিলয় মুখটা চুপসে যায়। তারপর বলে উঠে
নিলয়: এভাবে কেনো বলছো, ভাই মনে হচ্ছে রুমের ভিতরে মূল্যবান সম্পদ আছে, তাই রুমে ডুকতে দিবে না।
শুভ্র : হুম রুমে মূল্যবান সম্পদ আছে, এখন যাহ এখান থেকে
নিলয়: আমিও একটু দেখি, কি এমন মূল্যবান সম্পদ,
শুভ্র রাগি চোখে তাকিয়ে বলে উঠে
শুভ্র: যাবি তুই এখান থেকে
নিলয়: নাহ আগে রুমে যেতে দাও, তারপর যাবো।
শুভ্র: তুই যদি এখন এই মূহুর্তে এখান থেকে না, যাস তাহলে আমি তোর ঠ্যাং ভেঙে এই খানে বসিয়ে রাখবো।
শুভ্র এমন কথা শুনে নিলয় ভয় পেয়ে যায়। হাঁসি হাঁসি মুখ নিয়ে বলে উঠে,
নিলয়): এমন কেনো বলছো ভাই, মনে হচ্ছে রুমের ভিতর বউকে নিয়ে বিড়াল মারছো।
শুভ্র বিরক্ত হয়ে, বলে উঠে।
শুভ্র: বিড়াল মারতে আর দিলি কই, তার আগেই তো ভিলেনের মতো এসে, হাজির হয়ে গেলি,
কথা গুলো বলেই নিলয়ের মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেয় শুভ্র, শুভ্রের এমন কথায় হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নিলয়।
সব কিছু মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।
নিলয় শুভ্রের দরজা থেকে সরে নিচে চলে যায়। হেনা বেগমের সামনে দাঁড়ায়, হেনা বেগম জিজ্ঞেস করে
হেনা বেগম : শুভ্র কোথায়?
নিলয় অবাক রেশ কেটে, বলে উঠে
নিলয়: তোমার নাতি, বিড়াল মারে দাদি, এই মূহুর্তে তার সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না, সে বিড়াল মারতে ব্যস্ত।
হেনা বেগম অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে নিলয়ের দিকে,
হেনা বেগম : এই গাঁধা কি বলছিস। বিড়াল মারছে মানে, বাসায় বিড়াল আসলো কোথা থেকে,
নিলয় : ডাংলিং বাসায় বিড়াল আছে ভালো করে দেখো, বুঝতে পারবে
হেনা বেগমের মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে, নিলয়ের কথা, হেনা বেগম পুনরায় বলে উঠে
হেনা বেগম : কিসের বিড়াল মারছে, আর বিড়াল কোথা থেকে আসলো।
নিলয়: bro বাসর রাতের বিড়াল তো মারতে পারেনি। তাই এখন চেষ্টা করছে, মনে হয়।
হেনা বেগমকে আর কিছু না বলতে দিয়ে নিলয় শীশ বাজাতে বাজাতে বাসা থেকে বেড়িয়ে যায়। নিলয়ের কথার মানে এতক্ষণ বুঝতে না, পারলেও হেনা বেগম এখন ভালো করেই বুঝতে পারছে। হেনা বেগম কিছুদিন ধরে খেয়াল করছে, শুভ্রের ব্যবহার চালচলন কেমন যেনো বদলে গেছে। কাল রাতে কেমন তার সাথে বউ বউ করছিলো৷ হেনা বেগম সোফা থেকে উঠে, দাঁড়ায় উদ্দেশ্য তার শুভ্রের রুম, তার নাতি কিসের বিড়ার মারছে, এই সকালে
এইদিকে শুভ্র দরজা লাগিয়ে বিছানার দিকে এগিয়ে আসে, রোদ নিস্তেজ হয়ে পড়ে আছে, বেডের উপর, শুভ্র রোদের কাছে এসে গালে হালকা থাপ্পড় দেয়, কোনো সারা শব্দ নেই, রোদের পাশ থেকে উঠে, রাগে দাঁতে দাঁত চেঁপে বলে উঠে,
শুভ্র: বালের বাসর করতে এসেছি, ছেহ বউ ছুয়ার আগেই সেন্সলেস এইটুকু স্পর্শ সহ্য করতে পারছে না, আর সে কিনা এই মেয়ের সাথে বাসর করতে এসে ছিলো, মনে তো হচ্ছে তার বউয়ের পুঁটি মাছের থেকেও দুর্বল।
শুভ্র রাগে দুংখে মাথার চুল গুলো টেনে ধরে, কতোটা না ইচ্ছে ছিলো, তার ছোট্ট বউটাকে আদরে আদরে ভরিয়ে দিবে,,কিন্তু তার কপাল টাই ফুটু, বউ ছুঁতে গেলে, বউ অজ্ঞান, বালের বাসর করবে এই পুচকি মেয়ে নিয়ে।
শুভ্র কথা গুলো মনে মনে ভাবছিলো, এমন সময় আবার দরজা ধাক্কানোর শব্দ পায়৷ শুভ্র রাগে চোয়াল শক্ত করে বিড়বিড় করে বলে,
শুভ্র: নিলয়ের বাচ্চা তোকে, তো আজ আমি দরজা সামনেই পুতে ফেলবো।
কথা গুলো বলে দরজা খুলে দেয় শুভ্র, কিছুটা অবাক হয়, কিন্তু তার পর মনে মনে বলে,
তার বউ আর তার মধ্যে ভিলেন গুলো এসে গেছে।
হেনা বেগম হন্তদন্ত হয়ে রুমের ভিতরে ডুকে, শুভ্রের বেডের কাছে, গিয়ে দেখে, রোদ বেডে এলোমেলো হয়ে শুয়ে আছে, হেনা বেগম রোদের কাছে গিয়ে রোদকে ডাকতে থাকে, কিন্তু রোদের কোনো সারা শব্দ পায় না।
শুভ্র গিয়ে বেডে পাশে দাঁড়ায়, হেনা বেগম কান্না করতে করতে বলে।
হেনা বেগম); কি করেছিস শুভ্র, আমার এই টুকু বাচ্চা নাতনির সাথে কেনো এই সব করলি হ্যা
শুভ্র ভ্রু কুচকে ফেলে,
হেনা বেগম মরা কান্না শুরু করেছেন। শুভ্র অবাকের চরম পর্যায়ে, হেনা বেগম শাড়ির আচল দিয়ে নাক মুছতে মুছতে বলে
হেনা বেগম): এতো বিড়াল থাকতে তুই আমার বাচ্চা নাতনির উপরে কেনো নজর পড়লো তোর হ্যা, হতচ্ছাড়া কি অবস্থা করেছে আমার নাতির।
শুভ্র): ছোয়ার আগেই তোমার নাতনি সেন্সলেস, আর এই পুঁটি মাছের সাথে কি বা করবো, কাছে যেতে পারলাম না, তার আগেই, মহারানি অজ্ঞান।
হেনা বেগম: তা হবে না অজ্ঞান, তোর মতো হাতি যদি, আমরা নাতনির কাছে আসে অজ্ঞান তো হবেই।
শুভ্র রাগি গলায় বলে উঠে
শুভ্র: আমি হাতি,
হেনা বেগম : তা নয় তো কি, তোর মতো হাতিকে আমার নাতনি,সামলাবে কিভাবে হ্যা।
শুভ্র রাগে রি রি করতে করতে বলে উঠে
শুভ্র: তোমার নাতনিকে বলে দিও, এই হাতিকে তার সহ্য করতে হবে,আর সারা জীবন সামলাতেও হবে। তাই সব কিছু ভালো মতোন শিখিয়ে পড়িয়ে, আমার কাছে পাঠিও, কেমন।
কথা গুলো বলেই রুম থেকে ধব ধব পা ফেলে চলে যায়।
শুভ্র রুম থেকে বেড়িয়ে বাড়ির বাহিরে আসে, উদ্দেশ্য তার অফিস,
নিলয় শুভ্রের সামনে এসে দাঁড়ায়
নিলয়কে দেখে, রাগটা আবার বেড়ে।
নিলয় দাঁত কেলিয়ে হেঁসে বলে উঠে
নিলয়: এবার তো আর মিস হয়নি ব্রো, বিড়াল মারতে পেড়েছো তো।
শুভ্র: সামনে থেকে দূড় হ, নিলয়।
নিলয়: ব্রো তুমি মনে হয়৷ এই বার বর্থ হয়েছো। সমস্যা নেই,আমার কাছে ভালো একটা উপায় আছে। তোমাকে আমি হারবাল এনে দিব, এটা আমাদের মধ্যে গোপন থাকবে, কেউ জানবে না।
নিলয় হাঁসি হাঁসি মুখে নিয়ে শুভ্রের দিকে তাকিয়ে বলে উঠে
নিলয়: বিড়াল মারতে তাহলে আর বার বার বর্থ হবে না।
শুভ্রের রাগে চোখ লাল হয়ে আছে, পিছ থেকে গান বেড় করে, নিলয়ের দিকে তাক করে, সামনে গান দেখে নিলয়ের প্রান যায় যায় অবস্থা, সে তো তার ভাইয়ের উপকার করতে এসেছিল, কিন্তু তার ভাই কিনা, উপকারের প্রতিদান এই ভাবে দিচ্ছে। নিলয় যখন তুতলিয়ে কিছু বলতে যাবে। শুভ্র রাগে দাঁতে দাঁত চেঁপে বলে উঠে
শুভ্র: আর যদি মুখ থেকে একটা শব্দ বেড় হয় তো, তোকে এইখানে শেষ করে দিব।
নিলয় সাথে সাথে চুপ হয়ে যায়, আর ভয়ে থর থর করে কাঁপতে থাকে, উপকার করতে এসে৷ কোন বিপদে ভেসে গেলো। সব সময় তার সাথে কেনো এমন হয়। উপকার করতে এসে তার পিছনে লাল বাতি জ্বলে,
শুভ্র পুনরায় বলে উঠে
বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৩২
শুভ্র: হারবাল খাওয়াতে হলে, ৪০০ গ্রামকে খাওয়া। আমার মধ্যে ফুল এর্নাজি আছে। আমার কোনো হারবালের প্রয়োজন নেই।
কথা গুলো বলে, চলে যায়।
নিলয় ধপ করে মাটিতে বসে পড়ে, মনে হচ্ছে জমের দুয়ার থেকে প্রানটা ফিরিয়ে এনেছে।
রাত ৯:০০ টা কি ৯:৩০
শুভ্রের রুমে বসে ছিলো রোদ, হটাৎ
কারো হাসির শব্দ সামনে তাকায়।