বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৩৯
shanta moni
“নীলা কান্নার জন্য কথা বলতে পারছেনা! শুভ্র কান্নার শব্দ পেয়ে বিচিলিত হয়ে হয়ে বলে..!
” কি হয়েছে রুহি কাঁদছিস কেনো…?
“নীলা কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠে….!
” ভাইয়া আমি রুহি না” নীলা…!
“শুভ্র উত্তেজিত হয়ে বলে উঠে”
“কি হয়েছে নীলা’ রোদ রুহি কোথায়..?
‘ঠিক আছে তো রোদ রুহি..?
“নীলা কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠে…
” ভাইয়া কোনো কিছু ঠিক নেই’ রোদকে খুঁজে পাচ্ছি না। সবাই বলছে রোদ নাকি পাহাড়ের খাদ থেকে পড়ে গেছে। রুহি সেন্সলেস হয়ে পড়ে আছে। ভাইয়া আপনি কিছু ক…
কথা গুলো শেষ করার আগেই ফোন কেটে যাওয়া শব্দ আসে। শুভ্রের হাত পা থর থর করে কাঁপছে, মাথা ঘুরে পরে জিতে নিবে’ তখনি পাশে থাকে চেয়ারে হাত রেখে নিজেকে ব্যালেন্স করে। বুকের ভিতর মোচড় দিয়ে উঠছে। বার বার একটা কথায় কানে বাজছে রোদ খাদ থেকে পড়ে গেছে। শুভ্র সাথে সাথে রুহি নাম্বারে কল দেয়। কিন্তু ফোন বন্ধ বলছে”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
শুভ্রের ভয়টা যেনো আর চার গুণ বাড়িয়ে দেয়। কপাল বেয়ে ঘাম ঝরছে..
শুভ্র চেহারা রক্তিম চোখ দুটো অসম্ভব লাল, কি করবে বুঝে উঠতে পারছেনা। হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কিছুক্ষন পর নিজের হুসে আসতেই পাশে টেবিলে রাখা ফোন হাতে নিয়ে ফোন দেয়। পার্সোনার এ্যাসিস্টেন রবিনকে,, রবিন সাথে সাথে ফোন তুলে,,
শুভ্র রবিন কিছু না বলতে দিতেই বলে উঠে,,
শুভ্র: আধা ঘণ্টা মধ্যে বাংলাদেশে ফিরার টিকিট কাট রবিন। যত দ্রুত এক সেকেন্ড দেরি হলে তুই জানে বাঁচবি না।
কথা শেষ করেই, সাথে সাথে ফোন কেটে দেয়’ শুভ্র। রবিন হতভম্ব এতো তাড়াতাড়ি কি করে টিকিট কাটবে,
আর তারা যে অফিসের কাজের জন্য এনেছিল। তা তো শেষ হয়নি। রবিনের শুভ্রের বলন কথা মনে পড়তেই ভয়ে শরীর থেকে ঘাম জড়ছে, তাড়াতাড়ি ফ্লাইট টিকিট কটতে যায়। আজ যদি ফ্লাইট টিকিট কাটতে না পারে, তো তার জীবন শেষ।
এইদিকে শুভ্র রোমানকে কল দিয়ে যাচ্ছে। রোমান কল তুলছে না। তিন বারের বার কল তুলে রোমান। শুভ্র বিচিলিত হয়ে বলে উঠে…!!
শুভ্র: রোমান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাঙামাটি যাহ, রুহি রোদ কেউ ঠিক নেই।
দরকার হলে হেলিকপ্টার নিয়ে আধা ঘণ্টা মধ্যে পৌঁছা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্লিজ।
রোমান: কি হয়েছে শুভ্র, রুহি রোদ ঠিক আছে,
শুভ্র: কেউ ঠিক নেই, তুই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যাহ৷ আর যত লোক লাগে সব পাঠা রাঙামাটি, প্লিজ,,,,রোদের যেনো কিছু না হয়।
রোমান তাড়াতাড়ি বের হয়ে যায়। চৌধুরী বাড়ি থেকে, ভয়ে তারও হাত পা কাঁপছে রুহির নাম্বারে কল দিচ্ছে কিন্তু বার বার বন্ধ বলছে, ভয়টা যেনো আর বেড়ে যায়।
রোমান কলেজ ট্রুরে স্যারদের ফোন দেয়। তারা কেউ কল ধরছে না। রোমান নিলয় বেড়িয়ে যায়। রাঙামাটি উদ্দেশ্য এইদিকে হেনা বেগম ভীষণ চিন্তিত রোদ রুহি কাউকে কল দিয়ে পাচ্ছে না।
সন্ধ্যা কাছাকাছি হন্নে হয়ে খুঁজছে সবাই , রোমান নিলয় এখন তারা রাঙামাটি আছে। সারাদিন ধরে খুঁজেও রোদের কোনো খোঁজ পাইনি। যেখানে রক্ত লেগে আছে, আর তার পরেই বিশাল গভীর খাদ,,,
পাথরে লেগে থাকা রক্ত সাথে কিছু দূরে রোদের জুতা,তা দেখে পুলিশ আর্মিরা শনাক্ত করেছে রোদ এই গভীর খাদ থেকে নিচে পড়ে গেছে। আর এতো গভীর খাদ থেকে নিচে পড়লে কোনো মানুষের বেঁচে থাকা সম্ভব না। আর নিচে ভয়ানক জঙ্গল।
রুহি নীলাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে যাচ্ছে। চারপাশে হাজার হাজার লোকের সরগম, পাগলের মতো সবাই খুঁজে যাচ্ছে এখনো। শুভ্র এখনো বাংলাদেশে আসেনি৷ রোমান নিলয়ের ভয়ে ঘাম ছুটে যাচ্ছে। সব কিছু প্রমান এটাই বলছে রোদ পাহাড়ি গভীর খাদে পড়ে গেছে।
আর গভীর খাদে নিচে জঙ্গলে ঘেরা, আর সেখানে যদি পরে বেঁচেও থাকে তো। বনের জন্তু জানোয়ার খেয়ে ফেলবে।আর এতো গভীর খাদ থেকে পড়লে কারো বেঁচে থাকা সম্ভব না।
হেনা বেগম পরে নিউজে সবটা জানে, সে পাগলের মতো ছুটে আসছে রাঙামাটি। প্রতিটা টিবি চ্যানেল দেখানো হচ্ছে৷ কলেজ ট্রুরে গিয়ে এখজন শিক্ষর্থী নিহত হয়েছে। এখনো তার কোনো লাশ এর হদিস পাইনি। তবে পুলিম আর্মিরা বলছে যে খাদ থেকে পড়ছে সেখান থেকে কোনো ভাবেই বেঁচে থাকা সম্ভব না।
রাত আটটা,, পাহাড়ি এলাকায় চারদিকে মানুষের আনা গোনা। হেনা বেগম রুহি নিলা। এক যায়গা বসে আছে। হেনা বেগমের শরীরের অবস্থা খুবই খারাপ, রোমান নিলয় এখনো খুঁজে যাচ্ছে। পুলিশ আর্মি সাথে পাহাড়ি লোকজন। শুভ্রের রাখা সব লোক পুড়ো জঙ্গল তন্নতন্ন করে খুঁজছে। কিন্তু কোথাও কোনো হদিস পাচ্ছেনা।
কলেজ স্যার ম্যাম শিক্ষর্থীরা সবাই অবাক একটা মেয়েকে খুঁজতে এতো এতো মানুষ সব কিছুই যেনো অবিশ্বাস।
হটাৎ সবার নজর যায়, আকাশের উপরে শব্দ হচ্ছে, আকাশে হেলিকপ্টার ঘুরছে হয়তো এখানেই নামবে। সবাই আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে সেই দিকে। হেলিকপ্টার নিচে নামতেই হন্তদন্ত হয়ে নেমে আসে শুভ্র। শুভ্র চৌধুরীকে সবাই এখানে দেখে অবাক। শুভ্র ঢাকা এয়ারপোর্টে নেমেই, হেলিকপ্টার করে, রাঙামাটিতে আসে।
শুভ্র দৌড়ে আসে রুহি নীলার কাছে, ভয়ে হাত পা এখনো
কাঁপছে’ চারপাশে মানুষের আনাগোনা
শুভ্র রুহি নীলার কাছে এসে জিগ্যেস করে…
শুভ্র: রুহি রোদ কোথায়..?
রুহি শুভ্রকে দেখে ডুকরে কেঁদে উঠে,,
ফুঁপাতে ফুঁপাতে হাত দিয়ে ইশারা করে, পাহাড়ের নিচে গভীর খাদে। শুভ্র রুহি দেখানো পাহাড়ের গভীর খাদে নজর যায়। শুভ্র মাটিতে বসে পড়ে। হাত পা আরো বেশি কাঁপতে থাকে। জোরে জোরে শ্বাস ফেলে, রোমান নিলয় ছুঁটে আসে’ শুভ্রের কাছে, শুভ্রের কাছে এসে শুভ্রকে মাটি থেকে তুলে,, পাশ থেকে এখজন পুলিশ অফিসার বলে উঠে,,
“স্যার আমরা জঙ্গলে প্রতিটা যায়গা তন্নতন্ন করে খুঁজেছি। কোনো খোঁজ পাইনি। আর আমরা যে প্রমান পেয়েছি,তাতে মনে হচ্ছে উনি খাদে পড়ে গেছে। আর এতো গভীর খাদ থেকে পড়ে মনে হচ্ছে না, যে বেঁচে আছে। উনি হয়তো মা-রা,,, আর কিছু বলতে পারেনা। সাথে সাথে গর্জে উঠে গলা চেঁপে ধরে শুভ্র পুলিশ অফিসারের। পুলিশ অফিসার ভয়ে থর থর করে কাঁপছে, শুভ্র রাগে গর্জে উঠে বলে উঠে,,,
সকাল হওয়ার আগে, আমি আমার বউকে আমার চোখের সামনে দেখতে চাই,,কি করে আনবি কিভাবে আনবি জানিনা। কিন্তু সকাল হওয়ার আগে দেখতে পাই যেনো। তা না হলে এখান থেকে একটাও জীবিত ফিরে যেতে পারবি না।
রোহান নিলয় শুভ্রকে এক রকম জোর করেই ছাড়াই, শুভ্র রবিন বলে চিৎকার করে বলে উঠে,,
রবিন সাথে সাথে শুভ্রে কাছে যায়। শুভ্র রবিনকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে,…
শুভ্র: আর্মি ফোর্স আরো বাড়িয়ে দে,, আরো লোক খবর দে৷ পাহাড়ের খাদে লোক পাঠা,, জঙ্গলের প্রতিটা কোনা তন্নতন্ন করে খোঁজ,, যেনো কোথাও কোনো কিছু বাদ না থাকে,,,
যে করেই হোক সকাল হওয়ার আগে, আমি আমার রোদকে সামনে দেখতে চাই।
রবিন: স্যার এতো রাতে পাহাড়ি গভীর খাদে যাওয়াটা বিপদজনক,,
শুভ্র: আমি তোকে যা বলেছি তাড়াতাড়ি কর।
রবিন সাথে সাথে হ্যা বলে দৌড়ে যায়।
পাথরে রক্ত লেগে আছে,আসে পাশে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে শুভ্র,, শুভ্র মনটা অস্থির হয়ে আছে। রাত ১২ ছুঁই ছুঁই চারদিক কেমন জিম মেরে আছে৷ শুভ্র মাটিতে বসে আছে। গায়ে থাকা শার্টে ময়লা লেগে আছে। পরিপাটি ছেলেটাও আজ যেনো এক নিমিষেই সব কিছু এলোমেলো লাগছে। শুভ্রকে দেখে কেউ চিন্তে পারছেনা। এই কি সেই শুভ্র চৌধুরী,, আর্মি ফোর্স কিছুক্ষণ আগেই এসেছে, তারা পুরো জঙ্গলে আসে পাশে সব যায়গা দেখেছে,,, এখন সুধ বাকি পাহাড়ের নিচে গভীর খাদে ঘন জঙ্গল দেখা।
তারা সবাই শনাক্ত করেছে, যে রোদ আর বেঁচে নেই। আর এই গভীর খাদ থেকে নিচে পড়েছে। সব প্রমান সেই সব বলছে। আর এই খাদ থেকে পড়লে বেঁচে থাকা কথাও নাহ। গভীর রাত হওয়াতে কেউ আর পাহাড়ি গভীর খাদে যাইনি। যেখানে দিনের বেলা খুব বিপদ সেখানে এতো রাতে কেউ নিজের জীবনের রিক্সা নিয়ে যাবেনা। সবাই সকাল হওয়ার অপেক্ষা করছে। তবে সবার এটাই ধারনা যে রোদ এই গভীর খাদে পড়ে গেছে।
শুভ্র পাগলের মতো করছে,
হেনা বেগম শুভ্রের এমন অবস্থা দেখে খুবই ভয়ে আছেন। একদিকে রোদের নিখোঁজ আবার একদিকে শুভ্রের এমন পাগলামি। আরাফ চৌধুরীকে খবর দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সে এখন দেশের বাহিরে বাংলাদেশে আসতে আসতে সকাল হয়ে যাবে। আর এখন কোনো ফ্লাইট টিকিট পাচ্ছেন না যে আসবে।
রোমান নিলয় সাথে আরো অনেক লোকজন এখনো তন্নতন্ন করে খুঁজছে। শুভ্র একের পর এক পাগলামি করেই যাচ্ছে। রুহি নীলা নিজেদের দোষ দিচ্ছে, তারাই রোদের খেয়াল রাখতে পারিনি। শুভ্র পাগলের মতো বলছে,সে ওই গভীর খাদে যাবে। হেনা বেগম মুখে কাপড় চেঁপে কাঁদছে, রোমান নিলয় শুভ্রের কাছে এসে দাঁড়ায়, সবার চোখে পানি, শুভ্রের এমন বিধস্ত অবস্থা দেখে,, রোমান আস্তে করে বলল…!
রোমান: শুভ্র জঙ্গলের প্রতিটা যায়গা তন্নতন্ন খুঁজেছি, রোদের ছিটেফোঁটা নেই।
তবে সব কিছু এটাই প্রমান দিচ্ছে রোদ গভীর খাদে পড়েছে, আর সেখান থেকে কোনো বে
আর কিছু বলতে পারেনা রোমান, শুভ্র গর্জে উঠে বলল,,,
শুভ্র: স্টপ রোমান আর একটা শব্দ মুখ থেকে বের করবিনা। ওইখানে থাম,,,
রোমান সাথে সাথে চুপ হয়ে যায়। তারও ভিষন কষ্ট হচ্ছে প্রান প্রিয় বন্ধুকে এমন অবস্থায় দেখে। আল্লাহ কাছে বার বার দোয়া করছে রোদকে যেনো সুস্থ ভাবে পায়। হেনা বেগম শুভ্রের কাছে এসে শুভ্রকে শান্ত করতে,, হেনা বেগম কাছে আসতেই শুভ্র হেনা বেগমকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বসে পড়ে মাটিতে,, আজ প্রায় অনেক বছর পর শুভ্রকে কাঁদতে দেখছে হেনা বেগম। শুভ্র একজন শক্ত মনের মানুষ, নিজের মায়ের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে শেষ কাঁদতে দেখেছিল। আর আজকে দেখছে
এমন কান্না করতে,, হেনা বেগম শুভ্রকে কি বলে শান্তনা দিবে,, তার ভাষা জানা নেই তার। অঝোরে তার চোখের পানি পড়ছে গাল বেয়ে। শুভ্র হেনা বেগমের কোমর জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠে…
শুভ্র: আমি ব্যর্থ হয়েছি দাদি, আমি ব্যর্থ হয়েছি। আমি আমার ছোট্ট ফুলের খেয়ার রাখতে পারিনি দাদি, পারিনি আমি,,
রোমান নিলয় নীলা রুহি সবার চোখে পানি, হেনা বেগম দাঁড়িয়ে আছে,,আচ্ছা সে কি বলে শান্তনা দিবে,,তারও তো বুকটা ফেটে যাচ্ছে কষ্টে। শুভ্র হেনা বেগমকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলল…!
শুভ্র: আমার বুকটা খালি খালি লাগছে, নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। আমার রোদকে এনে দাও দাদি। রোদকে আমার চাই। দম বন্ধ হয়ে আসছে আমার প্লিজ..!
হেনা বেগম শুভ্রের সামনে বসে শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কেঁদে উঠে,, গভীর রাতে কান্নার শব্দ যেনো চারপাশে জিম মেরে আছে। হেনা বেগম শুভ্রকে শান্তনা দিয়ে বলে,,,
হেনা বেগম: দাদু ভাই, কিচ্ছু হবেনা রোদের শান্ত হও,,আল্লাহ সব ঠিক করে দিবে। মাথা ঠান্ডা করে কাজ করো।
এতোকিছু বলেও হেনা বেগম শুভ্রকে শান্ত করতে পারছেনা। বাচ্চাদের মতো করে কেঁদে যাচ্ছে। তার এখন এক কথা তার রোদকে এখন চাই তার,,।।
হেনা বেগম মনে মনে ভিষন ভয়ে আছেন। আল্লাহ না করুক রোদের যদি সত্যি সত্যি কিছু হয়ে যায়। তো এই শুভ্রকে সে কি করে সামলাবে কি করবে।
আল্লাহ কাছে বার বার দোয়া করছেন। রোদের যেনো কিছু না হয়।
রাত ১:০০ টা চারদিকে নিস্তব্ধতা আকাশেও কোনো চাঁদ নেই আজ,,চারদিকে কেমন যেনো গম্ভীর হয়ে আছে। গাছ পালা সব কিছু নিরব,, কেমন যেনো গা জিম জিম করা পরিবেশ,,
শুভ্র মাটিতে বসে অন্ধকার আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। কারো চোখে ঘুম নেই৷ হেনা বেগম রুহি নিলাকে নিলয় পাশে একটা হোলেট বুক করে সেখানে রেখে আসছে। সকাল হলে তারা আবার আসবে। হেনা বেগমের শরীরের অবস্থা খুবই খারাপ,,অনেকটা অসুস্থ হয়ে গেছে।
রুহি কয় একবার জ্ঞান হারিয়েছে,,নীলার একই অবস্থা সেন্সলেস হয়নি। তবে কাঁদতে কাঁদতে অবস্থা খারাপ করে ফেলেছে। সারাদিন কেউ কিছু খাইনি, নিলয় সবাই খাওয়া দাওয়া করিয়ে হোটেল দিয়ে এসে আবার শুভ্রের কাছে যায়। এখনো পুলিশ শুভ্রের লোকজন আশে পাশে খুঁজে যাচ্ছে। শুভ্রের কথা হচ্ছে যে করেই হোক তার বউকে তার চাই মানে চাই,,যতক্ষণ না পাবে ততক্ষণ খুঁজে যাবে। সবার খুঁজতে খুঁজতে সকাল হয়ে যায়। শুভ্র এমন কিছু দেখেনি যেটা অন্য কিছু ইঙ্গিত করবে বা সন্দেহ হবে। শুধু রক্ত আর পায়ের জুতো ছাড়া। শুভ্র সেই একভাবে বসেই সারারাত কাটিয়ে দেয়।
বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৩৮
সকাল ৮:০০ টা চারদিক সূর্যের কিরনে আলোকিত শুভ্র সেই একই যায়গা বসে আছে। পাহাড়ি নিচে ভোরে আলো ফুটতেই দল বেধে লোক যায় খুঁজতে’
কিছুক্ষণ পর খবর আসে,,
নিচে একটা লাশ পেয়েছে,,ক্ষতবিক্ষত অবস্থায়,মনে হচ্ছে জঙ্গলের জন্তু জানোয়ার খুবলে খুবলে খেয়েছে। ভালো ভাবে দেখা যাচ্ছে না।
রোমান এই খবর পেয়ে হাত থেকে ফোন মাটিতে পরে যায়। এক নজর তাকায় বসে থাকা শুভ্রের দিকে,,চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে,, তার মানে কি ওই টা রোদের লাশ। শেষ মেষ তারা হেরেই গেলো।
