বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৪১
shanta moni
“কিছু দূর থেকে একজন গার্ডের চিৎকার করে উঠে…
শুভ্র তাড়াতাড়ি উঠে দৌড়ে যায়, সেই দিকে,গার্ডটি শুভ্রকে উদ্দেশ্য করে বলে…
গার্ড: স্যার এইখানে একটা জুতো পেয়েছি। মনে হচ্ছে মেডাম আসে পাশেই আছে..
শুভ্র লোকটার হাতে থাকা জুতোর দিকে তাকায়, এটা তো রোদের আর একটা জুতো, একটা তারা খাদের পাশে পেয়েছিল। আর একটা এই গভীর জঙ্গলে।
শুভ্র অজানা ভয়ে কেঁপে ওঠে’
তার রোদ কোনো বিপদে নেই‚ তো,
শুভ্রের অস্থিরতা আরো বাড়ে, ঘনঘন শ্বাস ফেলে, মনে হচ্ছে রোদ বিহীন তার প্রানটা চলে যাবে…!
শুভ্র কয়েক সেকেন্ড ঘনঘন শ্বাস ফেলে, নিজেকে শান্ত করে!
“রবিনকে ডেকে বলে উঠে…!
শুভ্র: রবিন আসে পাশটা ভালো করে খোঁজ, রোদ এই আসে পাশে আছে।
রবিন দ্রুত আসে পাশে লোক ছড়িয়ে দেয়।
এইদিকে রুহি,নীলা,হেনা বেগম, নিলয়
শুভ্রের ফার্ম হাউজে, রুহি কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে গেছে। নীলা হেনা বেগম নিলয় এখনো জেগে আছে। রাত প্রায় একটা..
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
হটাৎ ড্রয়িং রুম থেকে কলিং বেলের শব্দ আসে। এতো রাতে কলিং বেলের শব্দ তিনজন কপাল কুচকে ফেলে। নিলয় সাথে সাথে উঠে’ দাঁড়ায়,তাঁরপর ড্রয়িং রুমে দিকে যায়।
হেনা বেগম নীলাও আসে পিছে পিছে,একা দাড়ে কলিং বেল বেজেই যাচ্ছে। দরজা কাছাকাছি আসতেই, আরাফ চৌধুরী কণ্ঠ স্বর শোনা যায়।
নিলয় সাথে সাথে দরজা খুলে দেয়।
দরজা সামনে আরাফ চৌধুরী, আর পাশে অয়ন দাঁড়ানো, হেনা বেগম আরাফ চৌধুরী,অয়নকে দেখে, সামনে এগিয়ে যায়। আরাফ চৌধুরী অয়ন রুমের ভিতরে ডুকে, দুইজনকে দেখা বোঝা যাচ্ছে, তারা কত চিন্তিত চেহারা মলিন,
অয়নের মুখ শুকনো। আরাফ চৌধুরী ব্যস্ত কন্ঠ হেনা বেগমের দিকে তাকিয়ে বলে উঠে..
আরাফ চৌধুরী: মা রোদ কোথায়?
রোদের কোনো খোঁজ পেলে..?
হেনা বেগম আঁচলে মুখ গুজে কেঁদে উঠে, কাঁদতে কাঁদতে বলে…!
হেনা বেগম: আরাফ আমার রোদের কোনো খোঁজ পাইনি, এখনো”তুই আমার রোদকে এনে দে বাবা এনে দে,
আরাফ চৌধুরীর চোখে মুখে চিন্তার ছাপ,
অয়নের চোখ মুখ ফেকাসে, বাড়িতে এতো বড় বিপদ আর তারা দুইজন বিদেশ অফিসের কাজে গিয়ে আটকে গেছে। ফ্লাইট টিকিট পাইনি, যে আসবে
জামেলার জন্য এতো দিন আটকে ছিলো বিদেশে। আরাফ চৌধুরী দীর্ঘশ্বাস ফেলে হেনা বেগমকে আসস্থ করে বলে…!
আরাফ চৌধুরী: মা তুমি চিন্তা করো না।
রোদ মাকে খুব তাড়াতাড়ি খুঁজে আনবো।
কথা শেষ করে বেড় হয়ে আসেন বাড়ির থেকে সাথে সাথে অয়নও,,
আরাফ চৌধুরী নিজের বর্ডিগার্ড নিয়ে বেড় হয়, রোদকে খুঁজতে সাথে অয়নও,
এইদিকে রোদ পাশে থাকা একটা টেবিলের সাথে পিছতে পিছতে নিজের পিঠ ঠেকায়। পিছনে যাওয়ার, আর কোনো যায়গা নেই!
রোদ বার বার আল্লাহ ডাকছে, আর বিড়বিড় করে বলছে…!
রোদ: আল্লাহ আমার ইজ্জত রক্ষা করুন। এই জা*নো*য়ারের কাছ থেকে বাঁচান আমায়।
সামনে থাকা লোকটা আরো বিচ্ছিরি ভাবে হাঁসে…
রোদ ঘৃনায় চোখ মুখ অন্যদিকে ফিরিয়ে নেয়।
মনে মনে বলে উঠে রোদ..
শুভ্র ভাই কোথায় আপনি, প্লিজ বাঁচান আমায়, প্লিজ…!
রোদ জোরে শব্দ করে কেঁদে উঠে,
আর সামনে থাকা লোকটি যেনো রোদের কান্নায় মজা পাচ্ছে,,
রোদের বার বার শুভ্রের মুখটা ভেসে উঠছে চোখের সামনে,
রোদ কিছুক্ষণের জন্য চুপ করে যায়, আর সামনে থাকা লোকটি আরো এগিয়ে আসে। রোদ আসে পাশে আড় চোখে তাকায়, মনে মনে নিজেকে শক্ত করে। টেবিলের নিচে একটা হেরিকেনের মতো,
রোদ আস্তে করে হাত বাড়িয়ে
এক হাত দিয়ে শক্ত করে চেঁপে ধরে রোদ চুপ করে সেই, অবস্থায় বসে থাকে। লোকটা এগিয়ে রোদকে ধরতে যাবে। এমন সময় রোদ হেরিকেন দিয়ে মুখে সজোরে আঘাত করে। লোকটা জোরে মুখ ধরে চিৎকার করে উঠে, রোদ বসা থেকে উঠে দরজার দিকে যায়। তাড়াতাড়ি দরজা খুলতে যায়। কিন্তু দরজা কোনো ভাবেই খুলছে না।
লোকটা পিছন থেকে রোদের হিজাবের উপর থেকে চুলের মুঠি ধরে, রাগে বিচ্ছিরি ভাষায় বলে,
“মা***** তোর তেজ কতো হ্যা, আমাকে আঘাত করিস। তোকে তো আমি শেষ করে ফেলবো।
রোদ ব্যথায় কুকিয়ে উঠে,,
লোকটা রোদের চুলের মুঠি ধরে নিজের দিকে ঘুরায়,
রোদ ছুটাছুটি করতে থাকে,,লোকটা দাঁত কেলিয়ে হাঁসতে হাঁসতে বলে,,
আজ তোকে কেউ, বাঁচাতে পারবে না।
আজ তুই শেষ,
রোদকে একরকম টেনে টেনে নিয়ে যায়। বিছানার দিকে, রোদকে ধাক্কা দিয়ে বিছানার উপর ফেলে। রোদ বার বার আল্লাহ ডাকছে, লোকটা যখনি রোদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে, রোদ সাথে সাথে অন্য দিকে সরে যায়। লোকটা রাগে আবার ফুঁসে ওঠে, রোদ উঠে আবার দরজার কাছে যায়। দরজার কাছে যাওয়ার আগে রোদের হাত শক্ত করে ধরে, নিজের দিকে ঘুরায়। লোকটা যখনি রোদকে জড়িয়ে ধরতে যাবে। এমন সময় রোদ একটা কাজ করে বসে, লোকটার পুরুষ অ*ঙ্গ বরাবর হাটু দিয়ে লাথি মারে, সাথে সাথে লোকটা চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে, পুরুষ অ*ঙ্গ হাত দিয়ে, রোদ পাশে পড়ে থাকা মদের বোতল দিয়ে সজোরে বারি মারে লোকটার মাথায়, লোকটা মাথা ধরে জোরে চিৎকার করে উঠে,
রোদ তাড়াতাড়ি দরজা খুলে বেড়িয়ে যায়। মাটিতে পড়ে থাকা লোকটা ব্যাথায় কাঁতরাতে থাকে, জোরে চিৎকার করে
তার সাঙ্গ পাঙ্গদের ডাকে, সবাই দৌড়ে এসে ঘরে ভিতরে ডুকে সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে!
মাটিতে পড়ে থাকা লোকটা বাজে ভাষায় বলে উঠে..
শা*লিকে ধর, আজ যেনোও পালাতে না পারে।
ঘরের ভিতরে থাকা লোক গুলো বেড়িয়ে যায়।
রোদ একবার রুমে থাকা মেয়ে গুলোর ঘরে দিকে যেতে নেয়। এমন সময় কিছু একটা পা বেজে পড়ে যায়,মাটিতে উপর হয়ে। রোদ ব্যাথায় আহ বলে চিৎকার করে উঠে, পায়ের নক মনে হয়, ভেঙে গেছে, রোদ উঠে বসে অন্ধকারে সে রকম কিছু দেখা যাচ্ছে না। রোদের পায়ের কাছে নিজের কাধের ব্যাগটা, রোদ উঠে যেতে নিবে, এমন সময় পিছন থেকে শব্দ আসে। একজন লোক বলছে,
ওই তো ছে*রি ধর ছে*রিরে রোদ ভয়ে হাতে থাকা ব্যাগটা শক্ত করে চেঁপে ধরে।
কোনো ভাবেই এই লোক গুলোর কাছে ধরা পরলে চলবে না। এখন যদি সে ওই মেয়ে গুলোর কাছে যায়। তো সে ওই বাজে লোক গুলোর কাছে ধরা পড়ে যাবে। তখন আর কেউ বাঁচতে পারবেনা।
রোদ ব্যাথা পায়ে উঠে দাঁড়ায় লোকগুলো কাছাকাছি এসে গেছে। রোদ হাতে থাকা ব্যাগটা শক্ত করে চেঁপে ধরে,
অন্ধকারে প্রানপনে দৌড়াতে থাকে!
অন্ধকারে কিছুই দেখতে পারছে না।
বার বার হোতট খাচ্ছে। পিছন থেকে লোকগুলো আসার শব্দ আসছে।
রোদ এতো দৌড়াচ্ছে যেনো পথ আগাচ্ছে না। পুড়ো শরীর থর থর করে কাঁপছে।
বার বার আল্লাহ ডাকছে আর বলছে,,
রোদ: আল্লাহ তুমি আমাকে বাঁচাও, আমাকে শক্তি দাও,
গায়ে পা পযন্ত গাউন থাকায় বার বার পেচিয়ে পড়ে যাচ্ছে। রোদ একহাতে ব্যাগ অন্য হাতে জামার এক কোনা উপর করে ধরে জোরে দৌড়াচ্ছে, পিছনে হাতে মশাল নিয়ে লোকগুলো রোদের পিছনে দৌড়াচ্ছে,
রোদ সামনে অন্ধকার ছাড়া কিছুই দেখছে না।
পিছন থেকে শব্দ আসে_
ওই তো শা*লি দৌড়াচ্ছে ধর শা*লিকে,
রোদ পিছন ফিরে আর তাকায় না।
আরো জোরে দৌড়াচ্ছে, শরীর আর কুলাচ্ছে না। রোদ একটু দূরে এসে একটা জোপের পাশে লুকিয়ে পড়ে।
আশে পাশে লোক গুলো এসে খুঁজতে থাকে, আর বলে উঠে
‘এইখানে তো দেখলাম, কোথায় গেলো,
শা*লিকে যে করে হোক ধরতে হবে, তা না হলে একবার পুলিশের কাছে পৌঁছালে আমরা শেষ।
তাদের মধ্যে একজন বলে উঠে,
এই সামনের দিকে চল, ওই দিকে গেছে মনে হয়।
সবাই লোক গুলোর কথায় সায় জানিয়ে সামনের দিকে চলে যায়।
রোদ মনে মনে বলে উঠে,
তার মানে এই লোক গুলো জঙ্গলি না। সাধারণ মানুষ, মেয়েদের ধরে বিদেশে পাচার করে। রোদ কাঁপা কাঁপা হাতে নিজের এক হাতে থাকা ব্যাগটা ধরে। পর মুহূর্তে কিছু একটা মনে আসে। রোদের সমস্ত শরীর এখনো থর থর করে কাঁপছে কাঁপা হাতে অন্ধকারে হাতরে ব্যাগটা খুলে, নিজের ফোন বের করে। পাশে টিপ দিতেই দেখে ফোন ওফ। আস্তে করে ফোন খুলে, আসে পাশে অন্ধকারে চোখ ভুলায়। ফোনটা খুলে নিজের পেটের সাথে চেপে ধরে। ফোন খুলতে চোখে পড়ে রুহির নীলার অনেক গুলো কল।
আর সাথে শুভ্রের কল লিস্টে নাম্বার, রোদ ফোনের আলো কমিয়ে আসে পাশে চোখ ভুলিয়ে কল, দেয়।
শুভ্রের নাম্বারে। কল রিং হচ্ছে কিন্তু কেউ ফোন তুলছে না। একবার দুইবার করে করে রোদ ৫ বার কল করে শুভ্রকে।
রোদের ভয়টা যেনো আরো বেড়ে যায়।
মুখে কাপড় চেঁপে ডুকরে কেঁদে উঠে,
আল্লাহ ডাকছে বার বার, একটা বার যেনো ফোনটা তুলে,
এইদিকে শুভ্র হন্নে হয়ে খুঁচ্ছে এই প্রথম বার তার নিজেকে বড্ড অসহায় মনে হচ্ছে,
এইদিকে যে প্যান্টের পকেটে থাকা ফোনটা যে বেজে যাচ্ছে, সেই খেয়াল নেই।
শুভ্রের কাছে রবিন এসে, মাথা নিচু করে শুভ্রকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে
রবিন: স্যার ওইদিকে যতগুলো জঙ্গল আসে পাশে এলাকায় আছে, সব খোঁজা শেষ। এখন শুধু পিছনে এক জঙ্গল খোঁজা বাকি আছে।স্যার সেটা নাকি খুব ভয়ানক আসে পাশে অন্ধকার, আর সেইদিকে নাকি জঙ্গলিদের বসবাস। খুবই বিপদজনক।
রবিন আবার কিছু বলতে যাবে। তখনি শুভ্রের ফোন বেজে উঠে,
রবিন সাথে সাথে শুভ্রকে বলে উঠে,
রবিন: স্যার আপনার ফোন বাজছে,
শুভ্রের তখনো কোনো হেলদোল নেই।
রবিন এবার খুব জোরে বলে উঠে,
রবিন: স্যার আপনার ফোন বাজছে,
শুভ্র এবার রবিনের দিকে ভ্রু কুচকে তাকায়, রবিন বিষয়টা বুঝতে পেরে।
শুভ্রকে ইশারা করে, শুভ্র এবার খেয়ার করে ফোন বাজতে সাথে সাথে ফোন হাতে নেয়।
ফোনে স্কিনে ছোট্ট ফুল নামে, একটা নাম্বার ভেসে উঠে, শুভ্রের চোখে মুখে খুঁশির ঝলক, কাঁপা কাঁপা হাতে ফোন রিসিভ করে কানের কাছে নিতেই,
ফোনের অপর পাশ থেকে রোদ বলে,
রোদ: শুভ্র ভাই কোথায় আপনি, প্লিজ আমাকে বাঁচান, আমার গায়ে কলঙ্কের দাগ লাগতে দিয়েন না। আমি মরে যাবো ওই পশু গুলো আমাকে নোংরা হাতে স্পর্শ করলে। প্লিজ আমাকে বাঁচান,
আমার শরীরে পর পুরুষের স্পর্শ লাগতে দিয়েন না।
শুভ্র রোদের এমন কথা রোদকে হারানোর ভয়ে যেনো। পুড়ো শরীর কাঁপছে, চোখের কাছে পানি।
শুভ্র বিচিলিত হয়ে বলে উঠে,
শুভ্র: কিচ্ছু হবে না, পাখি কিচ্ছু হবেনা। আমি আসছি, আমি বেঁচে থাকতে তোমার গায়ের একটা লোম কেউ স্পর্শ করতে পারবেনা।
রোদ শুভ্রের এমন কথা শুনে, জোরে শব্দ করে কেঁদে উঠে, হটাৎ একজন লোক চিৎকার করে বলে..
এই তোরা কই সবাই, শালি এই জোপের মধ্যে লুকিয়ে আছে মনে হচ্ছে, শালিকে ধর তাড়াতাড়ি,
রোদ ভয়ে নিজের মুখ চেঁপে ধরে, ফোনের অপর পাশ থেকে কথা গুলো শুভ্রও শুনে,
ভয়ে শুভ্রের গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, রোদ হাতে থাকা ব্যাগ ফেলেই, একহাতে ফোন ধরে দৌড়ে বেড়িয়ে যায়।
পিছনের লোক গুলো জোরে চিৎকার করে বলে,
ওই শালি পালাচ্ছে ধর শালিকে আজকে তোকে ছাড়বো না।
রোদ প্রানপনে দৌড়াতে থাকে, হাতে থাকা ফোনে শুভ্র লাইনে হ্যালো হ্যালো করছে। রোদ ফোনটা কাছে এনে বলে,
রোদ: আপনার রোদ বাঁচবেনা শুভ্র ভাই।
আমাকে বাঁচান আমার সতীত্বে দাগ লাগতে দিয়েন না।
রোদের এমন কথায় শুভ্রের রুহু অবধি কেঁপে ওঠে,
ফোনের লাইন কেঁটে যায়। নেটওয়ার্ক সমস্যা জন্য,
শুভ্র যেনো আরো পাগলের মতো হয়ে যায়৷ এতো জামেলা আর রোদকে খুঁজে পাচ্ছেনা। এই টেনশনে সে ভুলে গেছিলো।
যে রোদকে সে একটা ফোন দিয়েছিলো।
শুভ্র: ওহ সিট আমি এতোটা কেয়ারলেস কি করে হলাম।
শুভ্র জোরে চিৎকার করে রবিনকে বলে উঠে,
শুভ্র: রবিন আমার রোদ বিপদে আছে, সব লোক খবর দে, এইদিকটা আছে হয়তো।
শুভ্রের এমন চিৎকারে আসে পাশে বর্ডিগার্ড গুলো এসে পড়ে।
শুভ্র হুংকার ছেড়ে বলে,,
শুভ্র: আজ যদি আমার রোদের কিছু হয়,তো এই জমিনে রক্তের বর্না বইবে।
সবাই ভয়ে কেঁপে ওঠে, শুভ্রের এমন হুংকারে।
সবাই পুড়ো জঙ্গলে দিকে দৌড়ে যায়। পুড়ো জঙ্গল আলোতে মনে হচ্ছে না রাত,
শুভ্র পাগলের মতো এগিয়ে যায়। জঙ্গলের দিকে, বার বার কল দিচ্ছে কিন্তু যাচ্ছে না।
রোদের পিছন থেকে লোক গুলো দৌড়ে আসছে। রোদ হটাৎ গাছে সাথে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে যায়।
কপাল ফেটে রক্ত পড়ছে, পিছনের লোক গুলো এগিয়ে আসছে রোদের দিকে।
রোদ এক হাতে নিজের কপাল চেপে ধরে।
রোদ উঠার চেষ্টা করছে কিন্তু পাড়ছে না।
মনে মনে শুভ্রকে ডেকে যাচ্ছে।
এবার হয়তো আল্লাহ তার সহায় হবেন না। রোদ চোখ মুখ ব্যাথায় খিচে বন্ধ করে। আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়ায়, পা খুরিয়ে খুরিয়ে সামনের দিকে হাঁটছে ব্যাথায় যেনো প্রানটা বেড়িয়ে যাচ্ছে।
পিছনের লোক গুলো খুবই কাছে, একটু দাঁড়ালে তাদের হাতে ধরা পড়বে।
রোদ পিছনের দিকে তাকিয়ে অন্ধকারে আবার দৌড়াতে থাকে।
প্রায় কাছে চলে এসেছে লোক গুলো।
রোদ চোখ মুখ খিতে বন্ধ করে একরকম অন্ধকারে কোনো কিছু না দেখেই দৌড়াচ্ছে। রোদ কারো সাথে সজোরে ধাক্কা খায়।
শুভ্রের এক হাতে ফোন অন্য হাতে টর্চ টাইট দূরে ছিটকে পড়ে যায়।
রোদ পিছন থেকে শক্ত পোক্ত এক শরীরের সাথে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে যায়। আধো আধো চোখ খুলা।
দূরে থাকা টর্চে লাইটের আলোতে রোদের মুখ দেখে চিনে ফেলতে এক সেকেন্ড সময় লাগে না শুভ্রের।
শুভ্র দৌড়ে এসে রোদকে জড়িয়ে ধরে,
শুভ্রের চেহারা ভালো ভাবে দেখানা রোদ।
ভয়ে জোরে কেঁদে উঠে, বলে
রোদ: প্লিজ আমাকে নোংরা হাতে স্পর্শ করে, অপবিত্র করবেন না। তার থেকে আমাকে মেরে ফেলুন, প্লিজ, এতো বড় পাপ কাজ কইরেন না।
শুভ্রের মনে হচ্ছে তার প্রানটা ফিরে পেয়েছে, রোদকে নিজের সাথে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে
শুভ্র: রিলাক্স জান, আমি তোর শুভ্র ভাই, আমি থাকতে তোর একটা লোমও ছুঁতে পারবে না কেউ।
রোদের শরীর যেনো নিস্তেজ, শুভ্র রোদকে ছেড়ে দুইহাতে গাল ধরে, পুড়ো মুখে পাগলের মতো চুমু খেতে থাকে।
শুভ্রের চোখে পানি, রোদ আপছা আলোয় শুভ্রের মুখ দেখে, শুভ্রের গলা জড়িয়ে ধরে, হু হু করে কেঁদে দেয়।
কাঁদতে কাঁদতে কাঁপা কাঁপা গলায় বলে,
রোদ: আমাকে বাঁচান শুভ্র ভাই প্লিজ।
ওই লোক গুলো আমাকে নোংরা ভাবে ছুয়ে চাইছে। আমাকে বাঁচান প্লিজ, আপনি ছাড়া অন্য পুরুষের স্পর্শ আমার শরীরে লাগতে দিয়েন না।
বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৪০
শুভ্রের চোখের পানি রোদকে ছাড়িয়ে চোখের পানি মুখে দিয়ে, বলে
শুভ্র: রিলাক্স পাখি, কিচ্ছু হবেনা। তোর শুভ্র ভাই এসে গেছে তো। কিচ্ছু হবেনা জান। আমার শরীরে একফোটা রক্ত থাকতে তোকে কেউ ছোয়া তো দূরের কথা। তোর আশে পাশে ঘিষতে পারবেনা।
রোদের কপাল ফেটে রক্ত পড়ছে, পুড়ো মুখ রক্তে লাল হয়ে আছে।
হটাৎ পিছন থেকে শুভ্রের মাথায়, জোরে কেউ বারি মারে…….
