বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৪২

বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৪২
shanta moni

‘সকাল ১০:০০ টা…
‘রোদ নিজের রুমে বসে আছে, ঘাপটি মেরে, হেনা বেগম এসেছিলো, সকালের নাস্তা জন্য ডাকতে কিন্তু রোদ, শরীর খারাপের অজুহাত দিয়ে আর নিচে যাইনি। শুভ্র অনেক আগেই অফিস চলে গেছে, রুহি একবার এসে ছিলো, রোদ কলেজ যাবে কিনা, এই জন্য কিন্তু শরীর খারাপ এর জন্য আর জোড়াজুড়ি করেনি। নীলা রুহি দুইজন মিলে কলেজ চলে গেছে। রোদ বিছানার উপর হাত পা, গুটিয়ে বসে আছে। আর আজকে সকালে ঘটে যাওয়া কথা গুলো ভাবতে আছে।আচ্ছা সত্যি শুভ্র জ্বীন নয়তো, তা না হলে তাকে নিজের রুমে নিয়ে গেলো কি করে। সে তো দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে ছিলো তাহলে।রোদ এক হাত গালে দিয়ে গভীর চিন্তা করছে৷ সে তো তার জামাই জ্বীন ভেবেছিলো। সে কি জানতো ওইটা তার খবিশ বর, তাহলে তো আর কিছুই বলতো না। শুভ্র যে রোদকে থাপ্পড় মারছে, সেই গালে হাত দিয়ে বলে উঠে,,

রোদ: শা*লা খবিস বে*ডা, কথায় কথায় থাপ্পড় মারবে, মনে তো হচ্ছে, আমার গাল, সরকারি শয়তান বেডা,
রোদ কথা গুলো ভেবেই আমার মনে মনে বলে উঠে,,
‘আমাকে যত গুলো থাপ্পড় দিয়েছে এতোদিনে সব থাপ্পড়ের শোধ তুলবো আজকে হুম।
‘কিন্তু এই বে*ডার সাথে শক্তি দিয়ে ক্ষমতা দিয়ে কখনোই তো পারবো না।
কি করে নিজের থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিবো হ্যা,,
রোদ কথা গুলো ভাবতে, মাথায় একটা শয়তানি বুদ্ধি আসে। মনে মনে সব কিছু ঠিক করে, তারপর বলে,,
রোদ: জানি কাজটা রিক্স তারপরও রিক্স
না নিলে, তো সিক্স মারা যায় না।
রোদ খুঁশি খুঁশি মনে, বিছানা থেকে উঠে,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

শুভ্রের রুমে চলে যায়। দরজা খুলে আসে পাশে উকি দেয়। কাউকে না দেখে পা টিপে টিপে রুমে ভিতরে ডুকে, শুভ্রের কাভার্ট কাছে গিয়ে কতোক্ষন খোঁজাখুঁজির পর, কিছু একটা পেয়ে, মুখে বিশ্ব জয়ের হাঁসি। শুভ্রের রুম থেকে বেড়িয়ে রুহির রুমে গিয়ে কিছু নিয়ে, তারপর নিজের রুমে এসে, সেই গুলো একটা ব্যাগে রাখে। তাঁরপর মিটি মিটি হেঁসে বলে উঠে,,
রোদ: আজকে বুঝবা মনু, কত ধানে কতো চাল, তোমাকে যদি নাকে ধরি লাগিয়ে ঘুরাতে না পারি৷ তাহলে আমি মিসেস রোদ না।
বিকাল ৫:৩০
রোদ সারাদিন রুম থেকে বের হয়নি, বলতে গেলে, সেই যে, একবার রুহি আর শুভ্রের রুমে গেছে, সবাইকে লুকিয়ে তারপর আর বের হয়নি। রুহিও কলেজ থেকে এসেছে অনেক আগেই, রোদের কাছে এসেছিলো কয় একবার, তারপর ছাদে চলে গেছে।

অনেক দিন হয়ে গেছে, রোমানের কোনো দেখা নেই, এখন আর চৌধুরী বাড়িতেও সে রকম আসে না। কয় একবার দেখা হয়েছিল। তবে চোখাচোখি ছাড়া কিছুই হয়নি। রুহি নিজের উপর নিজেই বিরক্ত, কিছুদিন যাবত সে রোমানের কথা একটু বেশি ভাবছে। বলতে গেলে মনে পড়ছে বার বার।
কেনো রোমানের জন্য এমন হচ্ছে রুহি বুঝতে পারছে না। রুহির অস্থিরতা দিনকে দিন বেড়েই যাচ্ছে। অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে ছাদে এসেছে। চারদিকে অন্ধকার নেমে আসছে, চারদিকটা দেখতে ভালোই লাগছে, শুভ্রদের বাসার আসে পাশে মানুষের সে রকম কোলাহল নেই। একে বারে নিরিবিলি বাসা, বাড়ির পিছনে অনেক বড় জঙ্গল, গাছ পালা, পশু পাখির ডাক শোনা যায়।

এই সব কিছু ভাবছিলো রুহি, ছাদের এক কোনে দাঁড়িয়ে, এমন সময় কেউ তার হাত ধরে শক্ত করে, নিজের সাথে চেঁপে ধরে, ঘটনা এতো দ্রুত হয়েছে যে, রুহির বুঝতে কয় এক সেকেন্ড লেগেছে।
রুহি সামনে দিকে তাকিয়ে, অবাক হয় বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে রোমানের দিকে, রোমানের চোখ মুখ লাল, দেখেই মনে হচ্ছে প্রচন্ড রেগে আছে, রুহি কিছু সময় চুপ থেকে,তারপর নিজেকে ছাড়াতে ছাড়াতে বলে,
রুহি: কি করছের ভাইয়া? ছাড়ুন
রোমান রুহি কোথায় আর শক্ত করে চেঁপে ধরে, রুহি ব্যস্ত কন্ঠে বলে,
রুহি: ভাইয়া প্লিজ ছাড়ুন,,?
রোমান রাগে দাঁতে দাঁত চেঁপে বলে,

রোমান: ছেলেটা কে ছিলো?
রুহি রোমানের কথায় ভ্রু কুচকে তাকায়, তারপর বলে,,
রুহি: মানে কোন ছেলে…?
রোমান গর্জে উঠে, চিৎকার করে বলে,,
রোমান: কলেজ যে ছেলে তোকে ফুল দিল,,ছেলেটাকে কে রুহি,,?
রোমানের এমন ধমকে কথা বলায়, রুহি কেঁপে ওঠে, পরে নিজেকে সামলে, তেতে উঠে বলে,,
রুহি: আপনাকে কেনো বলবো।

রুহির এমন গা, ছাড়া কথায়, রোমান রুহিকে আরো শক্ত করে চেঁপে ধরে, বলে,
রোমান: রাগ বারাস না, রুহি যা জিজ্ঞেস করছি, চুপচাপ উত্তর দে,
রুহি: এতোদিন পর কোথা থেকে উদায় হলেন হ্যা..আর এসেই এই রকম ধমকা ধমকি করছেন। আর আমি আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নই, ছাড়ুন আমায়।
রোমান: ছাড়বো না, আমি আগে উত্তর দে?
রুহি রেগে গিয়ে বলে
রুহি: আমার বয়ফ্রেন্ড পেয়েছেন উত্তর,
রুহির কথা শুনে রোমানের হাত আগলা হয়ে আসে। রুহি নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে নেয়৷ এমন সময় রোমান পিছন থেকে বলে,,

রোমান: আমার ভালোবাসা কেনো গ্রহন করলে না রুহি, আমার ভালোবাসায় কি কমতি ছিলো৷
রুহি পা থেমে যায়৷ সে তো রেগে গিয়ে কথা গুলো বলেছিলো। আর আজকে কলেজ যে ছেলেটা তাকে প্রপোজ করেছে৷ সে তো সাথে সাথে বারন করে দিয়েছে৷ পরে ছেলেটা বলেছিলো। বন্ধু হিসেবে ফুল’টা নিতে, সেই জন্য সে ফুল নিয়েছিল।
রোমান এ-তো দিন ধরে রুহিকে এগিয়ে যাওয়া, কোনো কথা না বলা, এর মধ্যে হুট করে এসে, এই সব বিষয় জিজ্ঞেস করে ধমকা ধমকি করাতে, রুহি রেগে বলেছে, ছেলেটা তার বয়ফ্রেন্ড,
রোমানের চোখে কোনে পানি, রোমান আর কোনো কিছু না বলেই রুহির পাশ কাটিয়ে চলে যায়। রুহি কিছু বলতে গিয়ে বলতে পারেনা।

রুহি মনে মনে বলে
রুহি: আচ্ছা আমি আবার বেশি কিছু করে ফেলিনি তো,,
সন্ধ্যা হওয়াতে রুহিও নেমে যায়। ছাদ থেকে,
রাত ১০:৩০
নীলা এক হাতে ফোন নিয়ে রাগে ফুসতে আছে,,
কিছুদিন ধরে একটা লোক ফোন দিয়ে বলে, চলো বাশ বাগানে যাই। নীলা ভালো ভাবে জিজ্ঞেস করেছে, কে আপনি চিনেন কিনা,,নাম্বার কোথায় পেয়েছেন। লোকটা সে সবের কোনো উত্তর না দিয়ে, শুধু বলছে চলো বাশ বাগানে যাই। কতো গুলো নাম্বার ব্লক করছে৷ কিন্তু নতুন নতুন নাম্বার দিয়ে কল দিচ্ছে বার বার, আবার কল আসে নতুন নাম্বার থেকে।

নীলা দৌড়ে রান্না ঘর থেকে একটা ইস্টিল গাবলা আর চামচ আনে। আস্তে করে ফোন রিসিভ করে, নিচে রেখে চামচ দিয়ে ইচ্ছে মতো বারি দিতে থাকে,চারদিক শব্দ কান ফেটে যাচ্ছে।
নীলা রাগে বাড়ি দেয়, আর বলে,
নীলা: শা*লা বাপ দাদা চৌদ্দ গুষ্টির নাম ভুলে যাবি। আর মেয়েদের রং নাম্বারে কল দিয়ে ডিস্টার্ব করবি হ্যা।
অন্যদিকে নিলয় কানে হাত দিয়ে লাফাচ্ছে, নীলা এতদিন ধরে নিলয় রং নাম্বারে ডিস্টার্ব করে যাচ্ছিল। আজ প্রতিদিনের মতো কানে হেড ফোন লাগিয়ে নীলা কল দেয়। কিছুক্ষণ পর কল রিসিভ হতেই, অপর পাশ থেকে তীব্র গতিতে শব্দ আসে। কেউ মনে হচ্ছে ঢোল বাজাচ্ছে, নিলয় যে কান থেকে হেড ফোন খুলবে সেটাও খেয়াল নেই৷ সে কান চেঁপে ধরে চিৎকার করছে। নিলয়ের
চিৎকারে নিলয়ের মা, নিলয়ের রুমে সামনে এসে দরজা ধাক্কাতে থাকেন।
মীরা বেগম বাহির থেকে চিৎকার করছে,

মীরা বেগমের চিৎকারে, নিলয়ের হুস আসে, কান থেকে হেড ফোন সরিয়ে নিজেকে তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক করে নেয়।
তা না হলে মীরা বেগম সত্যিটা জানতে পারলে, ঝাঁড়ু বাড়ি একটাও নিচে পরবে না। সব নিলয়ের পিঠে পড়বে।
মীরা বেগম দরজা বাহির থেকে বলে,,
মীরা: এতো রাতে গাঁধার মতো চিৎকার করছিস কেনো?
নিলয় দরজা না খুলেই ভিতর থেকে বলে উঠে..
নিলয়: কি সব বলছো মম,, আমি তো গান গাইতে ছিলাম।
মীরা বেগম রাগে তেতে উঠে বলেন।

মীরা বেগম: এই গাঁধার বাচ্চা গাঁধা, এই ভাবে চিৎকার করে কেউ গান গায় হ্যা…!
নিলয়: ওহ মম এটা নতুন গান ওকে,,এই গান এই ভাবে গাইতে হয়, তোমরা বুঝবে না, এই সব যাও এখান থেকে,
মীরা বেগম: আমি যাচ্ছি, তবে আবার যদি চিৎকার শুনি তোর, তাহলে কিন্তু খবর আছে, বলে দিলাম।
মীরা বেগম কথা গুলো বলেই চলে যায়।
নিলয় বুকে থু থু দিয়ে, দরজা সামনে থেকে এসে, বিছানার উপর বসে,
আল্লাহ আজকে আম্মুর হাত থেকে জোর বাঁচা বেঁচেছি।

রাত : ১১:০০
‘ক্লান্ত শরীর নিয়ে, বাড়িতে ডুকে শুভ্র, রুমের দরজা খুলে,রুমে পা রাখতে মনে হয়, কেউ হয়তো রুমে আছে। আসে পাশে চোখ ভুলায়, কাউকে না দেখে, ওয়াশরুমে ডুকে যায়। শাওয়ার নিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে। বউয়ের কথা মনে আসতেই, শুভ্র রুম থেকে বেড় হয়ে যায়। শুভ্রকে রুম থেকে বেড় হতে দেখে।
রোদ মনে মনে সয়তানি হাঁসি দেয়।
তার প্লান মতোই সব হচ্ছে, রোদ
দৌড়ে গিয়ে শুভ্রের ওয়াশরুমে গিয়ে চেঞ্জ করে। শুভ্রের সাদা শার্ট পড়ে সাথে, শুভ্রের ট্রেরাউজার,, যা পা থেকে অনেকটা নিচে, আর শুভ্রের শার্টের ভিতরে রোদের মতো আর তিন চার জন ডুকতে পারবে। রোদ কোনো রকম নিজেকে সামলে হাঁটছে, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে নিজে দেখে, বলে উঠে,,
‘রোদ: চেয়েছিলাম শহরে মর্ডান মেয়ে সেজে জামাইকে পাগল করতে, এখন দেখি, লাগছে পাশের বাড়ির সকিনা,,
রোদ কথা গুলো বলে চোখ মুখ ছোট ছোট করে ফেলে।

পাশে ব্যাগ থেকে লাল টকটকে লিবিস্টিক বেড় করে। ঠোঁটে লাগায়,
শুভ্রের ব্যবহার করা পারফিউম নিজের গায়ে ইচ্ছে মতো নিজের গায়ে মাখে।
চোখে হালকা করে কাজল দিয়ে, চুল গুলো ছেড়ে দেয়।
নিজেকে আয়না দেখে অবাক হয়ে বলে,
রোদ: বাহ রোদ আজ তো, তোকে সেই সুন্দর লাগছে,ইশশশ
রোদ ব্যাগ থেকে গোলাপ ফুলের পাপড়ি বের করে। শুভ্রের বিছানায় ছিটিয়ে দেয়।
রুমের লাইট ওফ করে ডিম লাইট ওন করে, এক পাশে লুকিয়ে পড়ে, শুভ্র আসার অপেক্ষায়।
এইদিকে শুভ্র রোদের রুমে এসে,,দরজা খোলা পায়। রোদকে পুড়ো বাড়ি খুঁজে কিন্তু কোথাও রোদের দেখা নেই।
শুভ্রের এখন প্রচন্ড রাগ হচ্ছে,

শুভ্র রেগে নিজে নিজে বলে উঠে,,
শুভ্র: ৪০০ গ্রাম একটা মেয়েকে সামলাতে পারিনা ছেহ,,
সময় পেলে খালি উড়াল দেয়, একটা বার শুধু ধরতে পারি। তারপর দেখবি, এই শুভ্র চৌধুরী কি জিনিস।
শুভ্র কি যেনো মনে করে নিজের রুমে দিকে যায়। রুমে ডুকে অবাক হয়।
রুমে ডিম লাইট আলো, চারদিকে তীব্র ফুলের গন্ধে, শুভ্র নাক মুখ কুচকে ফেলে।
শুভ্র রুমে ডুকে বেডের পাশে আসতেই,
পিছন থেকে শক্ত করে ঝাপটে ধরে রোদ,
প্রথমে অবাক হলেও পর মূহুর্তে রোদ বুঝতে পেরে মুচকি হাঁসে শুভ্র।
রোদকে সামনে দিকে ঘুরিয়ে শুভ্র রোদের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকায়।
ডিম লাইট মৃদ আলোতে সাদা শার্ট গায়ের সাথে ফুটে আছে, শার্ট বড় হওয়াতে কাঁধ থেকে পড়ে গেছে, অনেক খানি। শুভ্র জোরে জোরে শ্বাস ফেলে,

রোদ শুভ্রের দিকে কেমন করে যেনো তাকিয়ে আছে। শুভ্র রোদকে ছেড়ে কিছু’টা দূরে পিছিয়ে যায়। আস্তে করে বলে,,
শুভ্র: তুমি এখানে..?
রোদ দাঁত কেলিয়ে হাঁসে,শুভ্র ভ্রু কুচকে তাকায় সে, বুজার চেষ্টা করছে রোদ কি করতে চাচ্ছে,
রোদ শুভ্রের দিকে এগিয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে শুভ্রের গলা জড়িয়ে ধরতে নেয়।
হাইটে ছোট হওয়াতে ব্যর্থ হয়। শুভ্র রোদকে নিজের সাথে জড়িয়ে ধরে, রোদ শুভ্রের গলা জড়িয়ে ধরে শক্ত করে।
রোদের এমন হটাৎ করে কাছে আসাতে শুভ্রের পুড়ো শরীর জুড়ে কম্পন সৃষ্টি হয়। অস্থিরতা বাড়ে, শুভ্র নিজেকে সামলে জোরে শ্বাস ফেলে।
রোদকে বলে,,

শুভ্র: বউ চুপচাপ রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে যাও,,
রোদ শুভ্রের কথায় সাথে সাথে না বুজায়, তার মানে সে যাবে না।
শুভ্র: খুব কষ্টে নিজেকে কন্ট্রোল রাখছি বউ, এমন পাগলামি করো না, রুমে যাও,
রোদ: এই রকম ভাবে কেনো বলছো বে*বি, আমি তো তোমার সাথে বা*সর করতে এসেছি।
শুভ্র রোদের কথায় চোখ বড় করে তাকায়, তারপর বলে,
শুভ্র: বা*সরের মানে বুঝিস তুই হ্যা..?
রোদ: সব বুঝি আমি…!
শুভ্র: ৪০০ গ্রাম শরীরে আমাকে সা*মলাতে পারবি, তো,
শুভ্র এমন কথায় রোদ নড়েচড়ে উঠে, আমতা আমতা করে বলে,,
রোদ: কেনো পারবো না, অবশ্যই পারবো,,!
শুভ্র: অনেক পেকে গেছিস, বয়স কতো তোর, হ্যা বা*সর করতে এসেছিস, আমার সাথে ভয় লাগছে না,,
রোদ শুভ্রের দিকে তাকিয়ে বলে উঠে,

রোদ: ভয় কেনো লাগবে জান, তুমি তো আমার স্বামি। আর বয়সে আমি ছোট হলেও মনে দিক দিয়ে বা*সর করার জন্য একদম বড় বুচ্ছো ,
শুভ্র অবাক রোদের কথায়, এই মেয়ের হটাৎ কি হলো, এই রকম কথায় কথায় জান, বেবি ডাকছে, নিজের বিপদ নিজে ডাকছে,,
শুভ্র কপাল কুচকে ফেলে, কিছু বলতে যাবে,কিন্তু রোদ থামিয়ে দিয়ে শুভ্রকে বলে উঠে,,,
রোদ: এই সত্যি সত্যি আপনার সিস্টেম সমস্যা নেই তো, আমার কিন্তু সন্দেহ হচ্ছে, এই আপনি হারবাল খান যান, আমি যাচ্ছি। বার বার আমাকে দূরে যেতে বলতে হবে না।
শুভ্রের এবার রেগে যায়। এই মেয়ের ভালো জন্য এতোক্ষণ বলে ছিলো রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে যেতে, আর তাকে কিনা বলছে তার সিস্টেম খারাপ ছেহ,,
শুভ্র রেগে রোদকে শক্ত করে চেঁপে ধরে,
বলে,,

শুভ্র: আজকে তোর খবর আছে রোদ,
নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনলি।
রোদ ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলে,
রোদ: ছাড়ুন আপনি, এই সিস্টেম সমস্যা লোকের সাথে আমি থাকবো না। আমি আমার জ্বীনের সাথে চলে যাবো।
শুভ্রকে রাগতে দেখে রোদ ভয় পেয়ে যায়।
এতোক্ষণ সাহস করে এতো কিছু বল্লেও শুভ্রের এমন দৃষ্টি দেখে ভয় পাচ্ছে।
রোদ নিজেকে স্বাভাবিক করতে মনে মনে বলে,
রোদ: রিলাক্স রোদ, তোকে তোর প্রতিশোধ নিতেই হবে, এই খাটাসের কাছ থেকে, তাই নিজের নাটক চালিয়ে যাহ।

রোদ শুভ্রের গলা জড়িয়ে গালে শব্দ করে চুমু খেয়ে বলে,,
রোদ: ইশশ কতো কিউট আমার জামাই, দেখলেই খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে..
জামাই তুমি এতো হ*ট কেনো গো…!
রোদের এমন পাগলামিতে যেনো শুভ্রের অস্থিরতা আরো বাড়ে, জোরে জোরে শ্বাস ফেলে, নিজেকে কতোক্ষন আটকে রাখতে পারবে জানা নেই তার।
ছন্ন ছাড়া মনে হচ্ছে নিজেকে,
শুভ্র রোদকে জড়িয়ে ধরে নেশালো কন্ঠে বলে উঠে,
শুভ্র: বউ এমন পাগলামি করিস না। বড্ড কষ্ট হচ্ছে জান..”
রোদ শুভ্রের এমন কথায় মিটি মিটি হাঁসে, প্লান কাজ করছে, রোদ শুভ্রের আরেক গালে ডিপলি চুমু খেয়ে, শুভ্রের দিকে তাকিয়ে বলে,
রোদ: সব কথা কি এইখানে বলবে জা*ন
শুভ্র রোদের এমন কথায় আর নিজেকে সামলাতে পারে না।
রোদকে নিয়ে একরকম বিছানার উপর পড়ে যায়৷ রোদকে শক্ত করে নিজের বুকের উপর চেঁপে ধরে,,শুভ্রের হাত ছন্নছাড়া রোদের কেমন ঘোর লেগে যাচ্ছে। শুভ্রকে দেখে মনে হচ্ছে এতো বছরের জমিয়ে রাখা সব ভালোবাসা রোদকে দিবে।

শুভ্র রোদের শার্টে হাত দিতেই, রোদ আতকে উঠে, মনে পড়ে যায়। নিজের প্লানের কথা। শুভ্রের হাত সরিয়ে দিয়ে,নিজেকে ছাড়াতে নেয়। শুভ্র রোদকে ছেড়ে কপাল কুচকে তাকায়, রোদ আমতা আমতা করে বলে,,
রোদ: একটু সরুন তো,
শুভ্র: কেনো?
রোদ: প্লিজ একটু সরুন৷ তারপর বলছি,
শুভ্র রোদের উপর থেকে সরতেই রোদ, শুভ্রের বুকের উপর বসে, মাথা নিচু করে শুভ্রের খালি বুকে জোরে কামড় বসায়, শুভ্র প্রথমে ব্যাথায় চিৎকার করলেও, পড়ে, দাঁত চেঁপে শক্ত হয়ে পড়ে থাকে।
শুভ্রের চোখ বন্ধ, শুভ্র চোখ খুলতে দেখে রোদ তার উপর থেকে উঠে, বিছানা থেকে নেমে এক রকম পালাচ্ছে।
প্রথমে বিষয়’টা বুঝতে না পারলেও এখন বুঝতে পারছে,,
রোদ দৌড়ে পালাতে যাবে, এমন সময় শুভ্র বলে,
শুভ্র: রুম থেকে এক পা, বাহিরে দিবি না রোদ। আমার সাথে চালাকি করা নাহ, আজকে এই চালাকি শোধ আমি নেব।

বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৪১ (২)

রোদ দৌড়ে দরজা থেকে যেতে নিবে, তার আগেই শুভ্র দরজা কাছে গিয়ে দাঁড়ায়, শুভ্র দুষ্ট হেঁসে বলে,
শুভ্র: বা*সর যখন করতে এসেছেন মিসেস রোদ, তো আপনাকে ফুল বা*সর করেই যেতে হবে।
শুভ্রের এমন কথায় রোদের ভয় লাগছে, শেষে কিনা, নিজের জালে নিজেই ফেসে গেলো।

বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৪৩

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here