বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৪৬ (২)
shanta moni
“রুহি কথায় রোমান নিজের মুখ ঘুড়িয়ে অন্য দিকে তাকায় রোমান’ রোমানের এমন ভাবে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়াতে রুহি মুখে ওড়না দিয়ে ফুঁপিয়ে উঠে’ রোমানের চোখের কোনেও পানি’
রোমান শক্ত কন্ঠে বলে উঠে…!”
“তুই এখানে কেনো এসেছিস রুহি?”
রুহি ওড়না দিয়ে চোখ মুছে রোমানের দিকে তাকায়” রোমান এখনো অন্যদিকে তাকানো’’ রুহি নিজেকে স্বাভাবিক করে বলে…!”
‘‘আপনি কি অবস্থা করেছেন রোমান ভাই’’ আর রুমের এই অবস্থা কেনো?
রোমান রুহির দিকে তাকায়’’ চোখের দৃষ্টি করুন, কিন্তু কন্ঠে রাগ আর তেজ, রোমান বলে..”
“আমি যেই অবস্থা আছি’ তা তোর দেখতে হবে নাহ’’ বয়ফ্রেন্ড জুটিয়েছিস”
তার কাছে যাহ’’ তার খোঁজ খবর নে’’
এখানে কেনো এসেছিস?
রুহি রোমানের কথা মাথা নিচু করে আছে। ‘তার মানে এই জন্যই মূলত রোমান এ-তো দিন ঘর বন্দি হয়ে আছে।
রুহি রোমানের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে যাবে। তার আগেই রোমান বলে উঠে”
“সন্ধ্যা হয়ে আসছে’ তাড়াতাড়ি বাসায় চলে যাহ রুহি’’ আর আমি বেঁচে থাকি বা মরে যাই তা’ তোর অন্তত্ত দেখতে আসতে হবে না। বাসায় যাহ..”
রুহি রোমানের কথায় মাথা নিচু করে রুম থেকে বেড়িয়ে যেতে নেয়। রোমান রুহির দিকে এক নজর তাকিয়ে অন্যদিকে ফিরে তাকায়” রুহি দরজা পযন্ত গিয়ে পা থেমে যায়। পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখে রোমান অন্যদিকে ফিরে তাকিয়ে আছে।’’
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“রুহি ওড়না দিয়ে নিজের মুখ চেঁপে ধরে’
নিজেকে কোনো ভাবেই আটকাতে পারছেনা’’ ভীষন কষ্ট হচ্ছে।
“রুহি দৌঁড়ে গিয়ে রোমানকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে’ ডুকরে কেঁদে উঠে’
“রোমান প্রথমে অবাক হয়’ পড়ে শান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে’’ রুহি কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠে’’
রুহি: রোমান ভাই আপনি কেনো এমন করছেন? আমি ওইদিন রাগের মাথায় কি বলতে কি বলে ফেলেছি’’ আমি নিজেও জানিনা’ বিশ্বাস করুন’ আমার কোনো বয়ফ্রেন্ড তো দূরের কথা’ জাস্ট ফ্রেন্ডও নেই!’ রুহির কথায় রোমানের অশান্ত মন শান্ত হয়! রুহিকে নিজের দিকে ফিরিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে’’ রুহিও রোমানকে জড়িয়ে ধরে। রুহি আজ রোমানের ভালোবাসার কাছে হাড় মানতে হয়েছে। যে মানুষ’টা তাকে এতো ভালোবাসে “সেই মানুষ’টাকে ফিরিয়ে দেওয়ার সাধ্য নেই’ তার! “রোমান রুহিকে ছেড়ে দুই গালে হাত দিয়ে” পুড়ো মুখ জুরে চুমু খেতে থাকে” রোমানের চোখে পানি’
যেমন মানুষ হাজার বছর সাধনা করে’
অপ্রকাশিত কিছু পেয়ে যায়। সেই খুঁশি রোমানের চোখে মুখে। ‘‘সে তো এই দিনের জন্য অপেক্ষা ছিল। রুহি নিজ থেকে এসে তাকে ধরা দিবে!
রোমান রুহির কপালে নিজের কপাল ঠেকিয়ে জোরে নিশ্বাস ফেলে। তাঁরপর বলে’’
রোমান: প্লিজ আমাকে কখনো ছেড়ে যাস না রুহি’’ বড্ড বেশি ভালোবাসি তোকে জান’ কখনো আমার কাছ থেকে দূড়ে চলে যাস না।’’
রুহি রোমানকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।
কিন্তু মুখে কিছু বলে না। রোমানের মুখে হাঁসি। রুহিকে ছেড়ে বেডের উপর বসিয়ে ধীর পায়ে হেঁটে যায়’’ সামনে আলমারি দিকে’ কিছু একটা খুঁজে বেড় করে!
রুহির সামনে এসে রুহির পায়ের নিচে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে..!”
“রোমানের হাতে একটা বক্স’
রোমান রুহির পায়ে হাত দিতে নিলে রুহি পা অন্যদিকে সরিয়ে, ব্যস্ত কন্ঠে বলে উঠে..!
রুহি: কি করছেন আপনি পায়ে হাত দিচ্ছেন কেনো?’’
রোমান রুহির দিকে এক নজর তাকিয়ে বলে..!
রোমান: চুপ করে এখানে বসো!”
রুহির চুপ করে বসে সাথে
রোমান বক্স খুলে এক জোড়া সোনার নুপুর বেড় করে। রুহি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। রোমানের দিকে
রোমান রুহির পা নিজের হাঁটুর উপরে তুলে, নুপুর জোড়া দুই পায়ে পড়িয়ে দিয়ে। শব্দ করে চুমু খায়..!
রুহি বিচিলিত হয়ে বলে উঠে
রুহি: কি করছেন আপনি? আর এতো দামি নুপুর আমাকে দিয়েছেন কেনো?
রোমান রুহির পায়ের দিকে তাকিয়ে বলে উঠে..!”
রোমান: এটা আমার ভালোবাসার প্রতীক’ কখনো তুমি এই নুপুর নিজের পা থেকে খুলবে না। সব সময় নিজের পায়ে পড়ে থাকবে।
রুহি রোমানের দিকে তাকিয়ে কথা গুলো শুনছে আর মুগ্ধ হচ্ছে। ঠিক কতোটা ভালোবাসলে’ একটা মানুষ এমন পাগলামি করতে পারে।
রুহি আনমনে হাঁসে’ আসলেই সে ভাগ্যবতী তা না হলে, এই রকম একজন সু্র্দশন পুরুষ তাকে কতোটা ভালোবাসে।
“তার রুপ গুন কিচ্ছু নেই’ তারপর তাকে কতোটা ভালোবাসে৷ আসলেই সে ভাগ্যবতী।
দুইদিন পর’
কারো শক্ত হাতে থাপ্পড়ে নিচে পড়ে যায়’ রোদ, শুভ্র রোদের চুলের মুঠি ধরে দাঁড় করিয়ে মুখের সামনে এনে রাগে গর্জে উঠে বলে..!
বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৪৬
শুভ্র: কি বলেছিলাম’ আমার কথার বাইরে যাবি না’’ তাঁরপর কেনো গেলি তুই ৪০০ গ্রামের বাচ্চা’ বল কেনো অবাধ্য হয়েছিস’ আমার। কথা বল শালি’
শুভ্র পুনরায় আবার রেগে দাঁতে দাঁত পিষে বলে’’
‘তোকে ভালোবাসি কিনা’ আজ সেটা প্র্যাকটিকালি দেখাবো চল শালি…!”
