বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৪৯

বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৪৯
shanta moni

“সকাল ৮:০০ টা
“জানালা বেধ করে সূর্যের আলো, চোখে মুখে পড়েই পিটপিট করে চোখ খুলে তাকায় রোদ! ঘুম ঘুম চোখে বেডের উপর উঠে বসে, কিছুটা সময় লাগে নিজের অবস্থাস বুঝতে, চোখ মুখ ডলে আসে পাশে তাকায়, রোদ শুভ্রের রুমে আছে। রোদের আস্তে আস্তে মনে পড়ে কালকে রাতে ঘটে যাওয়া ঘটনা! সাথে সাথে আতকে উঠে, নিজের দিকে তাকাতেই দেখে সব ঠিক আছে। রোদ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে।

আসে পাশে তাকায় কোথাও শুভ্র নেই! রোদ আস্তে করে বিছানা থেকে উঠে চলে যায় ওয়াশরুমে ফ্রেশ হয়ে বেড় হয়ে আসে, শুভ্রের রুম থেকে। নিজের রুমে গিয়ে পড়ে থাকা শাড়ি চেঞ্জ করে। নিচে ড্রয়িং রুমের দিকে যায়। হেনা বেগম ড্রয়িং রুমের সোফায় বসে আছে! কিছু একটা নিয়ে আলোচনা করছেন ফোনে কারো সাথে! হেনা বেগম রোদকে খেয়াল করেনি। রোদ ধীর পায়ে এগিয়ে যায়, খাবার টেবিলের দিকে, সকালের নাস্তা করে, আবার নিজের রুম চলে আসে। কলেজ যাবে সেই জন্য..!

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“রোদ রেডি হওয়ার আগে রুহির রুমে যায়। রোদ রুহির রুমে ডুকতেই দেখে রুহি কারো সাথে ফোনে কথা বলছে, রোদকে দেখে রুহি সাথে সাথে ফোন কেটে দেয়। জোর পূর্বক হাঁসার চেষ্টা করে বলে…!
রুহি: রোদ তুই এখানে…?
রোদ সন্দেহ দৃষ্টিতে তাকায় রুহির দিকে,
রোদের চোখ পড়ে রুহির পায়ে, রোদ ভ্রু কুচকে তাকায় তারপর বলে..!
রোদ: নুপুর গুলো তো, খুব সুন্দর কবে নিলি রুহি?
রুহি রোদের কথায় ভরকে যায়। নিজেকে স্বাভাবিক করে আমতা আমতা করে বলে…!
রুহি: ভাইয়া দিয়েছে!

রোদ: ওহহহ, আচ্ছা শোন, কলেজ যাবি নাহ, রেডি হ!
রুহি রোদের দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে অবাক হয়ে বলে…!
রুহি: তুই কিছু জানিন না?
রোদ: কি জানবো?
রুহি হেঁসে উঠে রোদের দিকে এগিয়ে এসে মজা করে বলে উঠে..!
রুহি: সারাদিন জামাই নিয়ে থাকলে কি আর জানবি বাড়িতে কি হচ্ছে!
রোদ: কি হ’য়েছে বলবি?
রুহি: অহনা আপুর বিয়ে ঠিক হয়েছে।

নিলয় ভাইয়াদের কি যেনো হয়! ছেলে তাদের চেনা পরিচিত, আর অহনা আপুকে আগে থেকে পছন্দ করে রাখছে! ছেলে বিদেশ থেকে এসেছে, এখন ওনারা বিয়ে’টা করে নিতে চাচ্ছে। তাই আজকে আমাদের কলেজ যাওয়া হবে না। দাদি থাকতে বলেছে বাড়িতে আমাদের।
রোদ মৃদু হাঁসে, বাড়িতে এতো কিছু হচ্ছে আর সে কোনো কিছু জানেনা।
রুহি আবার বলে উঠে…!
নীলা: নীলাও আসতে আছে,
রোদ হাঁসে তারপর দুজনে কিছুক্ষণ কথা বলে আবার চলে যায়।

রোদ রুহির রুম থেকে বেড় হয়ে নিজের রুমের দিকে যেতে নিবে, এমন সময় কারো ডাকে পিছন ফিরে তাকায়।
আরাফ চৌধুরী পিছনে দাঁড়িয়ে আছে, হাঁসি মুখে রোদ আরাফ চৌধুরী কাছে এগিয়ে গিয়ে বলে
রোদ: মামা কেমন আছেন আপনি?
আরাফ চৌধুরী: আমি ভালো আছি মা! তুই কেমন আছিস?
রোদ: আলহামদুলিল্লাহ ভালো মামা।
আরাফ চৌধুরী অনেক দিন পর বাড়িতে ফিরলেন, বেশি ভাগ সময় সে বাড়ির বাহিরে থাকে, অফিসের কাজের জন্য।

আরাফ চৌধুরী রোদের সাথে টুকটাক অনেক কথায় বলেন। কথা শেষ করেই চলে যায়।
এইদিকে নিলয় লুঙ্গি পড়ে পুরানো একটা শার্ট পড়ে, কাঁধে ক্যামেরা নিয়ে যাবে, ভিডিও বানাতে! রুম থেকে বেড় হয়ে কিছু দূর যেতেই, কিছু একটা খেয়াল করে, পড়ে সাথে সাথে আমার নিজের রুমে আসে। প্রায় দশ মিনিট পড় রুম থেকে বেড়িয়ে আসে। কিছু দূর গিয়ে আড়ালে লুকিয়ে পড়ে। যা ভেবেছিলো তাই, রিনা খান চুপিচুপি নিলয়ের রুমে ডুকে, নিলয় মুখ চেঁপে হেঁসে উঠে। নিলয়
মনে মনে বলে….।
নিলয়: ডুকো রুমে ডুকো চান্দু তারপর বুঝবা কত মজা..!
রিনা খান রুমে ডুকে আসে পাশে ফ্লোরে স্লিপ কেটে ঠাসসসসস করে পড়ে যায়।

_জোরে চিৎকার করে উঠে, নিলয় রুমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে লুঙ্গি জাগিয়ে ঘুরে ঘুরে নাচতে থাকে আর বলে…!
নিলয়: আহারে কিপটা খালাম্মা এখন বুঝেন মজা, কেমন লাগে…!
“দূর থেকে নীলা সব কিছুই দেখছে, প্রথমে নিলয়ের পোশাক দেখে চিনতে না, পারলেও,পড়ে চিনে ফেলে। কিছুক্ষণ আগেই নীলা এসেছে, রোদ, রুহির সাথে কথা বলে, আসছে নিলয় গাঁধাকে৷ সায়েস্তা করতে। নীলা বিড়বিড় করে বলে
নীলা: আবে এই হাদারাম এই রকম লাফাচ্ছে কেনো?
এইদিকে রুমের ভিতরে রিনা খান পড়ে ব্যাথায় কাতরাচ্ছে, এমনিতেই মোটা অনেক তার উপড়ে এই ভাবে পড়ে যাওয়া। রিনা খান উঠার চেষ্টা করে, কিন্তু আবার ঠাসসস করে পড়ে যায়।

নিলয় নাচা বন্ধ করে রুমের দরজা খুলে ভিতরে গিয়ে রিনা খানকে দেখে দাঁত বেড় করে হাঁসে!
“নীলা নিলয়কে রুমে ভিতরে ডুকে যেতে দেখে, ভাবে হয়তো নীলাকে দেখছে, যার জন্য রুমের ডুকে লুকাচ্ছে, নীলা রাগে তেতে উঠে, রেগে গিয়ে নিলয়ের রুমের দিকে এগিয়ে যায়। নীলা নিলয়ের রুমে ডুকে চেচিয়ে বলে উঠে
নীলা: হাদারামের বাচ্চা, আমাকে রং নাম্বার দিয়ে ডিস্টার্ব করা নাহ, আজ তো তুই শেষ।
আচমকা কারো কন্ঠ স্বর পেয়ে, পিছন ফিরে তাকায়, নিলয়
নীলাকে সামনে দেখে ভয়ে ঢোগ গিলে জোর পূর্বক হাঁসার চেষ্টা করে বলে…!
নিলয়: তু…মি এ….খা…নে?

নীলা রেগে গিয়ে নিলয়কে ধরতে যায়। নিলয় সামনের দিকে দৌড় দিতে নেয়। নীলা নিলয়ের শার্ট ধরতে নেয়। কিন্তু নিলয় দৌড় দেওয়াতে নিচে পড়ে যায়।
আর নীলার হাতে আসে নিলয়ের লুঙ্গি,
নীলা সামনে তাকাতেই দেখে নিলয় চিত হয়ে পড়ে আছে। লুঙ্গি খুলে নিলয়ের পায়ের কাছে আটকে আছে। নীলা সাথে সাথে লুঙ্গি হাত থেকে নিচে ফেলে দেয়।
“নিলয়ের সামনে অচেনা এক মধ্য বয়স্ক মহিলাকে পড়ে থাকতে দেখে, ভয় লজ্জায় কাচুমাচু করে। রিনা খান এতোক্ষণ সব কিছু দেখছিল। কি হচ্ছে আসলে সে বুঝতে পারছে না। এইদিকে নিলয় উঠে বসতে যায়। কিন্তু ঠাসসস করে আবার পড়ে যায়। নীলা ফ্লোরে দিকে তাকাতেই দেখে তেল পড়ে আছে!

“নীলা এক মূহুর্ত না, দাঁড়িয়ে দৌঁড়ে রুম থেকে বেড়িয়ে আসে। এইদিকে নিলয় রিনা খান কেউ ফ্লোর থেকে উঠতে পারছে না। যখনি উঠতে যায়। ঠাসসস করে নিচে পড়ে যায়! নিলয় কাঁদো কাঁদো হয়ে বলে উঠে..!
নিলয়: আল্লাহ এখনো বিয়ে করিনি। বউ বাচ্চা কিছুই নাই, তুমি আমার কোমড় রক্ষা করো মাবুদ, বিয়ে করেনি, তারপর না হয়, কোমর ভেঙে প্রতিবন্ধি বানিয়ে রেখো।
“নিলয় আস্তে করে উঠে দাঁড়ায় এক পা এগোতেই আবার ঠাসসস করে পড়ে যায়, রিনা খানের কোলের উপর! রিনা খান জোরে মা বলে চিৎকার করে উঠে…!
নিলয়ও রিনা খানের সাথে চিৎকার করতে থাকে..!

“বাড়ির সবাই ছুঁটে আসে নিলয়ের রুমে, টিনা, অহনা নিলয়কে উঠাতে যায়। কিন্তু ফ্লোরে যে তেল পড়ে আছে! এটা খেয়াল করেনি। অহনা টিনা স্লিপ কেটে ঠাসসসসস করে পড়ে রিনা খানের উপর,
রিনা খান আগের থেকে আরো জোরে চিৎকার করে উঠে…!
রুহি রোদ এগিয়ে আসে, তখনি অহনা বলে উঠে
অহনা: রোদ রুহি ফ্লোরে তেল পড়ে আছে! সামনে আসিস না, তোরাও পড়ে যাবি।

রুহি রোদ থেমে যায়! তাঁরপর সাবধানে সবাইকে ফ্লোর থেকে তুলে, রিনা খান ঠিক মতো হাঁটতে পারছে না। কোমর ধরে চিৎকার করছে। হেনা বেগম ডাক্তার ডেকেছে। কিছুক্ষণের মধ্যে হয়তো এসে পড়বে। সবাই সুধু একটা কথা বলছে, ফ্লোরে তেল পড়লো, কি করে? আর নিলয় গাঁধা’টাও কিচ্ছু বলছে না।
নিলয়ের পড়নে হাটু অবধি হাপ প্যান্ট পড়া ছিলো। তাই এই বারের মতো মান সম্মান টুকু রক্ষে পেয়েছে। তা না হলে সব যেতো। নিলয় কোমরে হাত দিয়ে বিড়বিড় করে বলে…!
নিলয়: এই মেয়ের সমস্যা কি? সব সময় আমার ইজ্জতের উপরেই নজর তার!
সকাল দশ’টা কি সাড়ে দশটা,
পাত্র পক্ষের সামনে শাড়ি পড়ে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে অহনা, ছেলেও এসেছে, ছেলের নাম, আহান, বিদেশে পড়াশোনা করেছে। নিজের বিজনেস আছে। ছেলের মা, টুকটাক প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছে। আর অহনা সেই সব কিছুর উত্তর দিচ্ছে। অহনার পাশে রুহি নীলা, জুই দাঁড়ানো। রোদ নিজের রুমেই আছে। হেনা বেগম আসতে বলে ছিলো৷ কিন্তু আসেনি, কারন রোদ সেখানে গেলে, হয়তো মীরা বেগম বিরক্তি ফিল করবে। এই জন্য মিথ্যা মাথা ব্যাথার কথা বলে রুমে শুয়ে আছে।

_অয়ন নিলয় বাড়ির বড়রা সবাই আছে।
নেই শুধু শুভ্র! ছেলের মা অহনাকে দেখে ব্যাগ থেকে একটা ডায়মন্ড রিং বেড় করে। অহনাকে পড়িয়ে দেয়। তাঁরপর অহনা আর আহানকে পাঠায় আলাদা কথা বলতে, আর এইদিকে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করছে, বাড়ির বড় সদস্যরা।
বিশ মিনিট পর অহনা আহান নিচে আসে, আহানের মুখে মৃদু হাঁসি, অহনা মাথা নিচু করে আছে।

অহনা আহানের বিয়ে সামনের মাসের সাত তারিখ এখনো, ২৫/২৭ দিন বাকি,
বিয়ের। অহনাকে মাত্র পক্ষ কিছুক্ষণ হলো দেখে গেছে। অহনা নিজের রুমে বসে আছে। পাশে রুহি, রোদ, নীলা, টিনা, জুই, নেই শুধু রিয়া আর জারা। জারা কোথায় জানি গেছে সকাল সকাল।৷ আর রিয়া নাকি দেশের বাহিরে আছে, কোন কাজের জন্য, চলে আসবে নাকি, কিছু দিনের মধ্যে, টিনার কাছ থেকে শুনছে রোদ। টিনা আগের থেকে অনেক টাই চেঞ্জ রোদের সাথেও অনেক স্বাভাবিক ব্যবহার করে। সব কাজিনরা মিলে এক সাথে অনেক’টা সময় ধরে গল্প করে। কথার মধ্যে থেকে রুহি হটাৎ বলে উঠে…!

রুহি: অহনা আপু তোমার বিয়ের তো এখনো এক মাসের মতো দেরি, এক মাসের মতো।
রুহির কথায় অহনা মাথা নাড়ার, রুহি গালে হাত দিয়ে একটু ভেবে বলে উঠে,
রুহি: আমরা একটা কাজ করলে কেমন হয়। সব কাজিনরা এক সাথে মিলে, একটা ট্রুর দিলে কেমন হয়।
ট্রুরের কথা শুনতেই সবার চোখ মুখ ছোট ছোট হয়ে যায়। রোদের দিকে তাকায় সবাই, রোদের মনে পড়ে যায়! সেদিনের রাতে ঘটে যাওয়া, ঘটনা। রোদের পুড়ো শরীর কাটা দিয়ে ওঠে…!
রুহি সবার দিকে তাকায় তারপর বলে..!

রুহি: আরে রিল্যাক্স, এটা ফ্যামিলি ট্রুর হবে। আর আমরা পরিবারের সবাই মিলে যাবো।
সবার মুখে হাঁসি ফুটে, জুঁই রুহিকে বলে উঠে,
জুঁই: তা না হয়, মানলাম। কিন্তু ফ্যামিলির সবাই মিলে কোথায় যাবো ঘুরতে, আর তারা কি যেতে রাজি হবে..?
রুহি মাথায় হাত দিয়ে ভাবলি শিন ভাবে বলে..!
রুহি: এমন কোনো যায়গা কথা বলতে হবে। যেখানে যেতে সবাই রাজি হবে।
রুহির কথায় সবাই সম্মতি জানায়,
কিছুক্ষণ পর রুহি, চেচিয়ে বলে উঠে,,

রুহি: আমরা গ্রামের বাড়ির যাবো। মানে আমার আব্বু চাচারা ছোট বেলার যেখানে বড় হয়েছে।
রুহির কথায় সবাই সম্মতি জানায়,
সেই ছোট বেলায় মামনি থাকতে একবার গিয়ে ছিল। গ্রামের বাড়ি রোদ। তারপর আর যাইনি। রোদের মা নাকি ছোট বেলায় গ্রামে বড় হয়েছে। সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিবারের সবাই মিলে গ্রামের বাড়ি ঘুরতে যাবে সাত দিনের জন্য।

সবাই মিলে যায়, হেনা বেগমের রুমে, হেনা বেগম প্রথমে রাজি না হলেও পরবর্তীতে নাতনিদের জোড়াজুড়িতে রাজি হন। এবং হেনা বেগম বলেন সে, নিজেই আজকে রাতে বাড়ির সবাইকে বলবে সবাই মিলে তারা ঘুরতে যাবে। নিজেদের গ্রামের বাড়ি। হেনা বেগম রাজি হওয়াতে সবাই খুঁশি।
দুপুর পেরিয়ে বিকেল, চারটা
সব কাজিনরা মিলে এক সাথে ছাদে আড্ডা দিচ্ছে।
বিকালে নীরা ও তার হাসবেন্ড আকাশও এসেছে। সবাই ছাদে আছে, রোদও সবার সাথে ছাদের এক কোনে বসে আছে।
সবাই হাঁসি ঠাট্টা করছে। পরন্ত বিকেলে সময়’টা অনেক সুন্দর!

১২:৩০ টা…
শুভ্র রাগে গর্জে উঠে বলে..!
শুভ্র: মুখে লাগাম দে রোদ! তা না হলে তোর জিব টেনে আমি ছিড়ে ফেলবো!
রোদ কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠে
রোদ: আমার ডিভোর্স চাই! আমি থাকবো না, আপনার সাথে! মুক্তি দিন আমায়?
শুভ্র রেগে গিয়ে রোদের চুলের মুঠি শক্ত করে চেঁপে ধরে রক্ত চোখে রোদের দিকে তাকিয়ে বলে…!
শুভ্র: ডিভোর্স লাগবে তোর নাহ। মুক্তি চাই কি? পাখা গজিয়েছে তোর, ওয়েট আমি তোর পাখা কেটে দিচ্ছি।
রোদ রাগে শুভ্রকে ধাক্কা দিয়ে কিছুটা দূরে সরিয়ে হাতের উঠলো পিঠ দিয়ে চোখের পানি মুছে বলে..!
রোদ: থাকবো না আমি! আপনি আমাকে ভালোবাসেন না। ঘৃনা করেন, আমি কারো ঘৃনা নিয়ে কেনো থাকবো?
শুভ্র রোদের কথায় রাগে জ্বলে উঠে

বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৪৮

রোদের দিকে এগিয়ে দেয়ালের সাথে চেঁপে ধরে, রোদের গাল শক্ত করে ধরে বলে…!
শুভ্র: ভালোবাসা মারাস শালি তুই হ্যা..!
ছুঁতে গেলেই তো ছাগলের মতো ম্যা ম্যা করিস। ছোয়ার আগেই তো সেন্সলেস হয়ে যাস। আবার আসছিস ভালোবাসি না, ভালোবাসি না, বলে হাঁসের মতো প্যাক প্যাক করতে হ্যা..! ভালো কথা ভালো ব্যবহার তোর সহ্য হয়না। থাপ্পড় খেতে চাস, দিনে দুপুরে তার জন্য এই রকম করিস কি..?

বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৫০

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here