বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৫৪
shanta moni
“সকাল ৭:১৫ আড়মোড়া ভেঙে ঘুম থেকে উঠে রোদ। নিজেকে শুভ্রের বাহু বন্ধনে আবদ্ধ দেখে, আনমনে ঠোঁটে হাঁসি ফুঁটে,আস্তে করে শুভ্রের কাছ থেকে সরে আবার শুভ্রের দিকে ঝুঁকে কিছুক্ষন অপলক দৃষ্টি তাকিয়ে থাকে। শুভ্রের কপালে পড়ে থাকা চুল গুলো সরিয়ে নাক টেনে বলে উঠে..!
-“ঘুমালে কত্তো কিউট লাগে। আর জেগে থাকলে মনে হয়৷ একটা খবিস! সব সময় গোমড়া মুখে থাকবে৷ আস্ত একটা হাতি..!
“রোদ কথা গুলো আস্তে আস্তে বলে..!
আবার চুপ থেকে শুভ্রের ঠোঁটের দিকে নজর যায়। শুভ্রের ঠোঁটের দিকে হাত বাড়িয়ে আলতো হাতে ছুঁয়ে দেয়। ফিসফিস করে বলে..!
“ইসস করে আমার জামাই টা দেখছি খুব কিউট। কতো সুন্দর ঠোঁট, দেখলেই তো কামড়ে দিতে মন চায়।
“রোদ মনে মনে কিছু একটা ভাবে.. তারপর বলে..!
“আচ্ছা আমি যেমন তার ঠোঁট দেখে ক্রাশ খেয়েছি। কামড়ে দিতে ইচ্ছে হয়েছে। তার মানে অন্য মেয়েরাও তাকে দেখলে এই সব ভাবে। এই রকম তাদেরও কামড়ে দিতে ইচ্ছে করে। আচ্ছা এই লোক তো সারাক্ষন বাহিরে থাকে। তার মানে তার এই ঠোঁট সারাক্ষণ মেয়েরা দেখে আর এই সব ভাবে ছিহ ছিহ।
“রোদের হাঁসি মুখটা চুপসে যায়৷ রাগে দুঃখে চোখে পানি টলমল করছে। রোদ রেগে গিয়ে ঠাসস করে শুভ্রের ঠোঁটের উপর থাপ্পড় বসায়। ঘুমের মধ্যে থাপ্পড় মারাতে ধর ফরিয়ে উঠে বসে। সামনে রোদ কাঁদছে। তার এটা ভেবেই কষ্ট হচ্ছে যে তার জামাইকে নিয়ে অন্য মেয়েরাও এই সব ভাবে। ওই রিয়া আর জেরিনও এই সব বাজে বাজে কথা ভাবে। রোদের কান্না গলা থেকে বেড়িয়ে আসে। ইচ্ছে করছে হাত পা ছুড়ে ফ্লোরে বসে কাঁদতে।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“শুভ্র রোদের চোখের পানি মুছে দিয়ে। আদুরি কন্ঠে বলে উঠে..!
-“কি হয়েছে আমার ছোট্ট ফুলের? কাঁদছো কেনো জান?
“রোদ নাক টেনে টেনে কাঁদছে, শুভ্রের দিকে তাকিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠে..!
-“ আপনি এখন থেকে বাহিরে গেলে বোরকা হিজাব পড়ে যাবেন।
“শুভ্র রোদের গাল থেকে হাত সরিয়ে বলে উঠে..!
“হোয়াট? কি বলছো তুমি হ্যা!”
“আমি ঠিক বলছি। আপনি এখন থেকে বোরকা হিজাব পড়ে যাবেন।
“শুভ্র তপ্ত নিশ্বাস ফেলে। রোদের দিকে তাকিয়ে শান্ত কন্ঠে বলে..!
“আমি কি মেয়ে যে, বাহিরে বেড় হলে বোরকা হিজাব পড়ে বেড় হবো। আর আমি কিসের জন্য বোরকা হিজাব পড়ে বেড় হবো। সেটা শুনি আগে..?
“রোদ শুভ্রের দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে হাত দিয়ে ইশারা করে শুভ্রের ঠোঁটের দিকে।
“শুভ্র কিছু না বুঝে, বলে
-“যা বলবে মুখে বলো!
“রোদ মাথা নিচু করে ফেলে। আস্তে করে বলে উঠে..!
-“আপনি অনেক সুন্দর তাই বোরকা হিজাব পড়ে বাহিরে বেড় হবেন।
“শুভ্র কপাল কুচকে তাকায় রোদের দিকে তাঁরপর বলে..!
-“আমি সুন্দর তার জন্য বোরকা পড়ে কেনো বেড় হতে হবে..?
“রোদ মাথা তুলে তাকায় শুভ্রের দিকে আবার মাথা নিচু করে ফেলে। তারপর মিনমিন স্বরে বলে….!
-“আপনাকে মেয়েরা দেখলে,তাদের মধ্যে আজে বাজে চিন্তা আসে। বাজে নজর দেয়।আর সে সব তো পাপ। তাই আপনি শুধু শুধু মেয়ে গুলোকে পাপের ভাগিদার কেনো বানাবেন।
“শুভ্র রোদের কখা বুঝতে পেড়ে ঠোঁট কামড়ে হাঁসে। রোদের হাত ধরে টেনে নিজের কোলের উপর বসিয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলে..!
–“ম্যাডাম বাজে নজর কি অন্য মেয়েরা দেয়। নাকি আপনি!
শুভ্রের কথা রোদ থতমত খেয়ে যায়। আমতা আমতা করে বলে..!
–“একদম না! আমি কেনো নজর দিতে যাবো।
“শুভ্র মৃদু হাঁসে রোদকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে….!
“ইসসস ম্যাডাম আপনি কি কোনো ভাবে জেলাস ফিল করছেন আমাকে নিয়ে।
না মানে আমাকে দেখে কি আপনার ইটিস পিটিস করতে মন চাচ্ছে।
“রোদ নিজেকে জাড়ানোর চেষ্টা করে বলে..!
রোদ: “একদম না। আমি জেলাস ফিল করছিনা।
শুভ্র: ওহহ তাই নাকি!
রোদ: হুমম, এবার ছাড়ুন প্লিজ..!
শুভ্র রোদকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে শব্দ করে চুমু খায়। রোদের গালে, রোদ লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে। শুভ্র রোদের দুই গালে হাত রেখে পুড়ো মুখে চুমু খায়। শুভ্রের প্রতিটা স্পর্শে রোদ কেঁপে উঠে..!
“শুভ্র রোদকে ছেড়ে আস্তে করে রোদকে বলে উঠে..!
–“গ্রামের বাড়ি যাওয়াটা কি খুব জরুরি রোদ।
রোদ আস্তে করে বলে উঠে..!
রোদ: হুম, প্লিজ আমাকে যেতে দিন না।
রোদ শুভ্রকে ছেড়ে বেড থেকে উঠে, যেতে যেতে বলে..।
–“ওকে যাহ তুই!”
শুভ্র ওয়াশরুমে গিয়ে শব্দ করে দরজা লাগায়। রোদ বুঝতে পারছে তার রাগ শুভ্র দরজা উপরে দেখাচ্ছে। রোদ বেড থেকে উঠে নিজের রুমে যায়। ফ্রেশ হতে, ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিচে আসে। সবাই রেডি হয়ে আছে। শুভ্র রাজি হয়েছে রোদকে যেতে দিবে। এই জন্য সবাই খুশি। সবাই মিলে এক সাথে নাস্তা করে নেয়। বাড়ির সবাই গেলেও আরাফ চৌধুরী, হাঁসি বেগম এরা কেউ যাবে না।
রিনা খান, জেরিন, জুই, অয়ন,নিলয়, নীলা অহনা, টিনা, নীরা, নীরার হাসবেন্ড আকাশ, সাথে রোদ, রুহি হেনা বেগম, মীরা বেগম সবাই যাচ্ছে।
শুধু যাচ্ছে না, আরাফ চৌধুরী, হাঁসি বেগম, আর শুভ্র। আরাফ চৌধুরী অফিসের কি কাজ আছে। সেই জন্য যেতে পারবে না। সাথে অয়ন আর নিলয়ের বাবারা অফিসের কাজ রেখে আসতে পারবে না। সবাই রেডি হয়ে গাড়ির দিকে গেছে। রোদ হালকা মেরুর রঙের একটা গাউন পড়ে হিজাব পড়ে।
মুখে মাক্স দিয়েছ। রোদ বাড়ি থেকে বেড় হবে৷ কিন্তু কিছু একটা ভেবে থেমে যায়। তাড়াহুড়ো করে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে।
দৌড়ে শুভ্রের রুমের দিকে যায়। শুভ্র এখনো নিজের রুমেই আছে। রোদ শুভ্রের দরজার সামনে এসে উকি মারে।
শুভ্র আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রেডি হচ্ছে।
রোদ পা টিপে টিপে রুমে ডুকে, শুভ্র রোদকে খেয়াল করেছে আয়নায়। শুভ্র স্বাভাবিক নেয়। রেডি হচ্ছে। রোদ শুভ্রের পিছনে দাঁড়িয়ে গলা খাকারি দিয়ে আস্তে করে বলে উঠে..!
“আমি যাচ্ছি..!”
শুভ্র মিরোর থেকে চোখ সরিয়ে রোদের দিকে তাকায়। কিছুক্ষণের জন্য অপলক দৃষ্টি তাকিয়ে থাকে। পড়ে গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠে..!
–“তো আমার কাছে কি..?
-রোদ চোখ মুখ চুপসে যায়। আস্তে করে বলে উঠে…!
–“এভাবে বলছেন কেনো..?
–“কিভাবে বলবো তাহলে..?
“রোদের কেনো জানি মনে হচ্ছে শুভ্র তার উপরে অভিমান করেছে। রোদ শুভ্রের সামনে এসে দাঁড়ায়, হাত উঠিয়ে শুভ্রের গলা জড়িয়ে ধরতে নেয়। কিন্তু ব্যর্থ হয়। শুভ্র রোদের কোমড় ধরে কিছুটা উপরে তুলে রোদ খুশি হয়ে শুভ্রের গলা জড়িয়ে ধরে। শুভ্রের গালে টুপ করে চুমু খেয়ে। লজ্জায় গলায় মুখ লুকায়। শুভ্র অবাকের চরম পর্যায়ে, মনে মনে খুঁশি হলেও, মুখে তার গম্ভীরতা। রোদ মাথা তুলে আদুরে স্বরে বলে উঠে…!
-“প্লিজ এই রকম মন খারাপ করে থাকবেন না। সাত দিনের তো বেপার চলে আসবো আমি। আপনাকে এই রকম মন খারাপ করে থাকলে একদম ভালো দেখায় না। খুব খুব পচা লাগে..!
কথা শেষ করেই শুভ্রের দিকে তাকায় রোদ। শুভ্র কেমন ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। রোদের দিকে রোদ ভয়ে ঢোগ গিলে৷ শুভ্র রোদকে আরো শক্ত করে চেঁপে ধরে নিজের সাথে৷ শুভ্র রোদের ঠোঁটের দিকে এগিয়ে নিজের ঠোঁট দিয়ে দখল করে নেয়, রোদের ঠোঁট। রোদ প্রথমে ছটফট করলেও পড়ে শান্ত হয়ে যায়। পাঁচ মিনিট পর রোদকে ছেড়ে দেয় শুভ্র। রোদ লজ্জা মুখ লুকায় শুভ্রের বুকে। শুভ্র রোদের মাথা তুলে নিজের সামনে, রোদ নিচের দিকে তাকিয়ে আছে..! লজ্জায় রোদের গাল রক্তিম হয়ে গেছে। শুভ্র পকেট থেকে রুমাল বেড় করে, রোদের ঠোঁটের পাশে হালকা লিবিস্টিক গুলো মুছে দেয়। আর রাগী কন্ঠে বলে উঠে..!
“এই ভাবে সেজেগুজে বাহিরে যাওয়ার দরকার নেই। সাজার হলে বন্ধ ঘরে আমার সামনে সাজকে ওকে।
রোদ মুখ খুলে কিছু বলতে যাবে। কিন্তু শুভ্র ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে চুপ করিয়ে দেয়।
শুভ্র ঠোঁটের লিবিস্টিক মুছে, রুমাল নিজের পকেটে রেখে। রোদকে জড়িয়ে ধরে। কপালে ঠোঁট শব্দ করে চুমু খায়।
“রোদের কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে জোরে শ্বাস ফেলে বলে উঠে..!
“মিস ইউ বউ…!”
“রোদ চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে।
-শুভ্র রোদকে ছেড়ে, ড্রয়ার থেকে একটা ফোন বেড় করে। রোদের হাতে দিয়ে বলে..!
–“ এই নাও ফোন। নিজের সাথে সাথে রাখবে, আর ফোন দিলে যেনো সাথে সাথে রিসিভ হয়।
“রোদ ফোন হাতে নিয়ে উল্টে পাল্টে দেখছে। আইফোন 17 এর আগে যে ফোন’টা দিয়েছিল। সেটা জঙ্গলেই হারিয়ে গেছে। আর খুঁজে আবার এই নতুন ফোন দিছে। রোদ কিছু বলতে যাবে তখনি শুভ্র বলে..!
“নিচে হয়তো তোমার জন্য সবাই ওয়েট করছে চলো।
রোদ শুভ্রের পিছু পিছু হাঁটা দেয়।
-শুভ্র নিজের রুম পাসওয়ার্ড দ্বারা লক করে, সামনে হাঁটা দেয়।
বাড়ির বাহিরে আসে সামনে শুভ্র তার পিছনে রোদ। গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে, সবাই হেনা বেগম বড়রা সবাই গাড়িতে উঠেছে। নিলয় গাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছে, কিছুটা দূরে অয়ন ফোনে কারো সাথে কথা বলছে। রোমান রুহির সাথে কিছু নিয়ে কথা বলছে। আর নীলা জেরিন জুই এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
অহনা টিনা গাড়িতে উঠে বসে আছে।
শুভ্র সামনে আসতেই নিলয়ের চোখ যায়। শুভ্র দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে শুভ্রের দিকে। নিলয় কিছুটা চেচিয়ে উঠে বলে..!
নিলয়: ব্রো তুমি কি লিবিস্টিক পড়ো নাকি।
এমন কথায় রাগী চোখে তাকায় শুভ্র
নিলয়ের দিকে” নিলয় হাঁসার চেষ্টা করে বলে..!
-“না মানে ব্রো তোমার ঠোঁটে লিবিস্টিক লেগে আছে।
নিলয় কথা সবার কানে পৌঁছায়। পিছনে রোদ লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে।
সবার চোখ যায়। শুভ্রের দিকে সবাই হা হয়ে তাকিয়ে আছে শুভ্রের দিকে। রোদ শুভ্রের পাশে মাথা নিচু করে আছে।
অয়নের চোখ যায়। রোদের দিকে, রোদ যখন বাসা থেকে বেড় হয়েছিল। তখন সে খেয়াল করেছিল। রোদের ঠোঁটে লাল রঙের লিবিস্টিক। কিন্তু এখন কোনো কিছু নেই। শুভ্রের ঠোঁটে লিবিস্টিক লেগে আছে। সবার বুঝতে আর বাকি রইলো না কিছু। অয়নের বুকের বা পাশে চিন চিন করে ব্যথা শুরু হয়।
নিলয় হাবলার মতো তাকিয়ে আছে, শুভ্রের থেকে উত্তরের আশায়।
শুভ্র চোখ গরম করে নিলয়ের দিকে তাকিয়ে নিজের গাড়ির দিকে চলে যায়।
এইদিকে জেরিন রাগে ফুসতে।
নিলা রুহি মিটি মিটি হাঁসছে।
সবাই আর কথা বাড়ায় না। সবাই গাড়িতে উঠে, চলে যায়। গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রোদ পুড়ো গাড়িতে চুপচাপ বসে ছিল। চার ঘন্টা জার্নি করে গাড়ি এসে থামে গ্রামে এক পুড়ানো পাঁচ তলা বাড়ির সামনে। গাড়ি থেকে নামতেই চোখ পড়ে পুরানো গেটের সামনে লেখা। চৌধুরী ভিলা। একে একে সবাই বাড়ির ভিতরে যায়। বাড়িটি পুড়ানো হলেও চার দিকে কেমন আবিযাত্যের ছাপ,বাড়ির পিছনে বিশাল জঙ্গল। রোদ চার পাশ টা ঘুরে ঘুরে দেখছে। নিলয় ফোন বের করে লাইভ অন করে সবাইকে লাইভ দেখাচ্ছে। হেনা বেগম সবাই উদ্দেশ্যো করে বলে উঠে..!
হেনা বেগম: আগে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে। রেস্ট নিয়ে। তারপর সব ঘুরে দেইখো। এখন সবাই বাড়ির ভিতরে আসো।
কথা গুলো বলেই হেনা বেগম বাড়ির ভিতরে চলে যায়।
রোদ রুহি সবাই আস্তে আস্তে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে।
নিলয় ফোন নিয়ে লাইভ দেখাতে দেখাতে বাড়ির ভিতরে ডুকে এমন সময় নীলার সাথে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে যায়।
নীলা রাগী চোখে তাকিয়ে কটমট করে বলে উঠে..!
-“চোখ কি পকেটে নিয়ে হাটেন হ্যা। সব সময় আমার সাথে এসে ধাক্কা খাওয়া লাগবে।
“নিলয় দাঁত কেলিয়ে হাঁসে, তাঁরপর বলে
নিলয়: আসলে বিয়াইন আপনারে দেখলেই আমি বার বার প্রেমে তো পড়ি না। তাই এি ভাবে পড়ে যাই।
-“নীলা রেগে গিয়ে দাঁতে দাঁত চেঁপে বলে..!
–“আমি আপনার বিয়ান কবে থেকে হলাম।
নিলয়: যখন থেকে রোদ আমার ভাবি তখন থেকে।
নিলা রেগে গিয়ে বাড়ির ভিতরে চলে যেতে যেতে বলে..!
নিলা: আপনি আসলেই একটা গাঁধা।
নীলার কথা শুনে নিলয় হেঁসে দিয়ে বলে উঠে..!
“বুজবা বুজবা যেদিন বুজবা বিয়াইন, ওই দিন হাঁড়িকেন জ্বালাইয়া খুঁজবা।
নিলয়ও নীলার পিছু পিছু বাড়ির ভিতরে চলে যায়।
“দুই দিন পর”
“গ্রামের বাড়ি চৌধুরী ভিলা..!
রাত ১২:০০ কি ১২:০০
ছাদে দাঁড়িয়ে আছে রোদ, আজ দুই দিন হলো, গ্রামের বাড়ি এসেছে রোদ। শুভ্র আসেনি, কি জানি কাজ আছে তার জন্য। দিনের সময় টা ভালো ভাবে কাটলেও রাতে অনেটাই একা একা লাগে, সবাই হয়তো গভীর ঘুমে, রোদ বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে আছে। চারদিক টা কেমন গা জম জমে পরিবেশ। বাড়ির পিছনে বিশাল জঙ্গল, কিছুক্ষণ হলো, রোদ ছাদে এসেছে। ভয় ভয় লাগছে, কেনো জানি মনে হচ্ছে আসে পাশে কেউ আছে..! পিছন থেকে কিছুর শব্দ পেয়ে পিছনে ঘুরে তাকায়, সামনে কোনো অবায়ক দেখে, চিৎকার করতে নেয়। এমন সময় মুখে রুমাল চেঁপে ধরে..!
বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৫৩
১ মিনিটের মধ্যে ডলে পড়ে সামনে থাকা লোকটার বুকে, সামনে থাকা লোকটা বাঁকা হেঁসে কোলে তুলে নেয়..!
আস্তে আস্তে সেন্স ফিরে রোদের চোখ খুলে তাকাইতেই দেখে সামনে সব অন্ধকার কিছু বুঝে উঠতে পারে না।
হাত নড়াচড়া করার চেষ্টা করতেই বুঝে কেউ তার হাত চোখ মুখ বেঁধে রাখছে। রোদ অজানা ভয়ে কেঁপে উঠে..!
মনে মনে আল্লাহ কে ডাকছে..!
এমন সময় কারো……?
 
