বাবুই পাখির সুখী নীড় পর্ব ১৭
ইশরাত জাহান
মৌলিকে নিয়ে আজ খুব মজা করলো দর্শন ও শোভা।এখন মৌলি দর্শনের সাথে অনেকটাই মিশতে পারে। ভয় পাচ্ছে না।সন্ধ্যার একটু পরে বাসায় ফিরেছে তিনজনে।দর্শন সবার জন্য গ্রিল আর নান এনেছে।শামীম লাজুক হেসে বলে,“এগুলোর দরকার ছিলো না ভাইজান।”
দর্শন মুচকি হেঁসে দিলো।সাথে তিনটি প্যাকেট দিয়ে বলে,“আপনাদের তিনজনের জন্য ছোট্ট উপহার।”
শামীম লজ্জাজনিত কণ্ঠে বলে,“আবার এগুলো কেন?”
“সামান্য কিছু উপহার আর কি।”
সবাই একটু লজ্জা পাচ্ছে।তবুও সামলে নিলো।শোভা ঘরে এসে বোরকা খুলে বাইরে এসে হাতমুখ ধুয়ে নিল।আজকে বাইরে থেকেই নামাজ পড়েছে। ওরিয়েন্টে মহিলাদের নামাজের ব্যাবস্থা আছে।ওখানেই নামাজ পড়েছে শোভা।দর্শন পাশের এক মসজিদে নামাজ পড়ে।মিতুর কাছে এসে বলে,“কিছু করা লাগবে?”
“না,একটু বসো তো গল্প করি।”
“আচ্ছা ভাবী।’’
“সত্যি কথা বলবা।”
“কি?”
“ভাইজান কি এখন তোমাকে সম্মান দেয়?”
“দেয় কিন্তু জানোই তো কেমন রাগী।”
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
“শোনো একটা বুদ্ধি দেই।পুরুষ মানুষ রাগলে মেয়েদের বাচ্চা বাচ্চা ভাব ধরতে হয়।ওই সময় তর্ক করতে নেই বা নিজেকে পাল্টা রাগ দেখাইতে নেই। এতে সংসারে দ্রুত ফাটল ধরে।ওই রাগ মনে দমায় রাখবা।যখনই স্বামী একটু নরম হয়ে কাছে আসবে ওই সময় ধরে দিবা আঁধভাঙ্গা কচু।”
শোভা হুট করে হেসে দিয়ে বলে,“এগুলো কি বলো?”
“সত্যি বলছি ননদিনী।পুরুষ মানুষরে বেশি রাগ করতে দেওয়া যাবেনা উল্টো রাগ দেখাইতে হয়।নইলে ওরা মেয়েদেরকে মনে করে তুলার মত নরম।টিপ দিলেই নেতায় যায়।এই জন্য রাগ তুমিই বেশি দেখাবা আর যখন দেখবা সে রেগে আছে।তুমি একদম চুপ।যেনো তোমার থেকে ভোলাভালা দুনিয়ায় কেউ নেই।”
“কিন্তু আমার উনি তো চব্বিশ ঘণ্টার জন্যেই রাগের সার্ভিস সেন্টার অন রাখে।”
“তোমার এই জিনিসটা নিয়ে অবশ্য আমিও চিন্তা করি।যতই হোক আম্মার আমানত আমার হাতে দিয়ে গেছে।তোমার সুখ দেখার দায়িত্ব এখন আমার।কিন্তু কপালপোড়া সব একলগে বাড়ি খাই।যত যাই হোক সংসারে যখন পা দিয়েছো এই পা যেনো না সরে তার চেষ্টা চালিয়ে যাবা।কিন্তু হ্যাঁ সম্মান ধরে রাখাটা তোমার হাতে।একেবারে নিজেকে ফেলনা বানিয়ে রেখো না।যদি মানে আঘাত লাগে আমাদের জানাবে।”
“আচ্ছা ভাবী ভাইয়া কি তোমার গালে কখনও থাপ্পড় দিয়েছে?”
“এক দুইবার দিয়েছিল আমি কিছু বলিনি।আমার দোষ ছিল তাই। জানোই তো তোমার ভাই কেমন সাদাসিদে।ওই ব্যাটা যে রেগে গেছিল আমার উপর তাহলে দোষ আমিই করছিলাম।”
“নিজের দোষ স্বীকার করে নিলে?”
“কেন করব না?আমি সত্যি শিকার করতে ভয় পাই নাকি?”
শোভা মৃদু হাসলো।কপাল করে ভাবী পেয়েছে একটা।যেটা সত্যি সেটাই বলে।এমনকি শোভার যত্নে ত্রুটি রাখেনা।শোভা পড়ালেখায় ব্যাস্ত থাকলে মিতু চা বানিয়ে দেয় একটু চানাচুর,পেঁয়াজ,মরিচ দিয়ে মুড়ি মাখিয়ে দেয় আবার কখনও কখনও আটা গুলিয়ে চাপরি/ধাপরা বানিয়ে দেয়।যখন যেমন হাতে টাকা থাকে ভালোই সামলায় মিতু।শোভার জ্বর আসলে সেবা করে।এমনকি পরীক্ষার সময় শোভাকে ঘরের একটা কাজও করতে দেয়না।শোভাও তেমন মিতুর জন্য সব করে।মিতুর গর্ভাবস্থায় শোভা অনেক যত্ন নিয়েছে মিতুর প্রতি।মৌলি হবার কয়েকমাস পর শামীমা বেগম মারা যান।তখন সবার সাথে মিতুও ভেঙে পড়ে।তিনজনে মিলে তাও কোনমতে মৌলিকে বড় করে।
ওই সময় মিতুর চারিদিকে তাকালে শুধু শাশুরির খোঁজ করতে থাকতো।সকালবেলা শোভা না থাকলে মিতু খাইয়ে দেয়।ঔষধ খুঁটে দেয় মিতু।এইসব হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে গেলো।মিতুর তখন একা একা বিষন্ন কাটতো।শাশুরির পছন্দের বউমা ছিলো বলে মিতুর যত্ন ছিলো ভালোই।শামীম স্বামী হিসেবে ভালো আবার শোভা ননদ হিসেবে নরম সরম।সংসার তো মিতুর হাতেই এক কথায়।মায়ের কথা মনে পরতেই শোভার চোখে পানি আসে।মিতুও শাড়ির আঁচল টেনে নিজের চোখের পানি মুছে নাক টানে।এরমধ্যেই ইটের শব্দ পাওয়া যায়।পিছন ফিরতেই দেখে শামীম ইট দিয়ে চারকোনা করে চুলা বানাচ্ছে।মিতু জানালো,“তোমার ভাই আজকে বিরিয়ানি রান্না করবে নিজে হাতে।”
“মশলা বাটা আছে নাকি আমি কিছু করে দিবো?”
“কিচ্ছু করতে হবেনা।আমি সব বেটে রাখছি।তোমার ভাই ওখানে রান্না করবে।একটু পর তোমার দেবর ননদ এরা আসবে।”
“ওরা আসবে জানাওনি তো।”
“তোমার ভাই কল দিয়ে আসতে বলল একটু আগে।সবাই পিকনিক হয়ে যাবে তাই।”
“ওহ,রাতে কোথায় থাকবে?”
“জানি না তো।মনে হয় গাড়ি করে চলে যাবে।”
“তাহলে আমাদেরকেও যেতে বলবে?”
“এটাও জানি না।বিয়ের পর মেয়েদের কোনো কিছুই মেলেনা।সব কেমন তাড়াহুড়ো করে চলে যায়।”
গেটের সামনে বাইক এসে থামলো।শোভা বুঝতে পারল ওরা চলে এসেছে।তাই দ্রুত ঘরে গিয়ে হিজাব পরে নিলো।মিতুও রান্নাঘরের দড়িতে ঝুলিয়ে রাখা হিজাব মাথায় দেয়।
দিদার ও দিজা হাতে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে ঢুকে ডাক দেয়,“ভাবী কোথায় তুমি?তোমার দেবর ননদ হাজির।”
শোভা বাইরে এসে দুজনকে দেখে মৃদু হেঁসে সালাম দেয়,“আসসলামু আলাইকুম।”
দুই ভাইবোন উত্তর দিয়ে বলে,“তোমাকে একটা দিন বাইরে রেখেও মিস করছিলাম তাই চলে এসেছি।”
মিতু মিষ্টির প্যাকেট দেখিয়ে বলে,“মিস করতে করতে চলে আসার সাথে মিষ্টির সম্পর্ক কি?”
“আত্মীয় বাড়ি আসলে বুঝি খালি হাতে আসে?”
“হুমম বুঝেছি।আপনজন ভাবতে কষ্ট হচ্ছে।”
“ব্যাপারটা এমন না।অবশ্য আমি শুনেছি কারা যেন দাদাজানের জন্য ফল বোঝাই করে বিয়ে গিয়েছিল।”
মিতুও কম না বলে,“রোগীর জন্য নিয়েছিলাম আত্মীয় ভেবে না।”
“ভাবীর সাথে দেখছি কথাতে পাড়া যাবে না।”
“কথাতে জিতিতে পারিবে না তুমি তবে ভালোবাসা দিয়ে হারিয়ে দিও মোরে।”
দিদার অবাক হয়ে বলে,“আরে বাহ্ ভাবী!আপনি তো দেখছি খুব ভালো গুছিয়ে বলতে পারেন।”
“টুকটাক উপন্যাস পড়ে যা ব্রেনে ঢোকানো।”
দিজা উৎসাহিত হয়ে প্রশ্ন করে,“আপনি উপন্যাস প্রেমী?”
“ওই একটু আধটু।”
সবাই আনন্দে মেতে উঠল।এদিকে যেই দিজার চোখ যায় দর্শনের দিকে দেখে দর্শন কোলে মৌলিকে নিয়ে খেলা করছে। দিজা ঝটপট কয়েকটা ছবি তুলে নিলো।তারপর বলে, “ভাইয়া দেখছি বাচ্চা নিয়ে খেলা করে।আমাদের সাথে তো এমন খেলোনি?”
“তোরা বদের হাড্ডি ছিলি।মৌলি অনেক শান্তশিষ্ট।”
“আমার কিন্তু এবার এই পিচ্চি মেয়েটাকে হিংসা হচ্ছে।”
হেসে দিল সবাই।শামীম প্লেটে গ্রিল চিকেন খেতে দিলো।দুজনে অল্প অল্প করে খেয়ে বলে,“তাহলে ভাইয়ার রান্না শুরু করেন।আমরা তো আবার বাসায় যাবো।”
“আমরাও কি যাবো?”
শোভা প্রশ্ন করতেই দিজা জানায়,“তোমরা থাকবে।”
শোভা শান্তি পেলো।দর্শন হয়তো বুঝতে পেরেও চুপ করে আছে।ভালো লাগছে আজকের এই হইহুল্লোড় তার।জীবনে প্রথমবার কোনো হইহুল্লোড় দেখে তার নিজেকে এখানে জড়িত রাখার আগ্রহ বাড়ছে।এতদিন তো শুধু নিজেকে আড়াল করে রাখতো।
শামীম বড় এক গামলায় গরুর মাংস এনে বাটা মশলা ও লবণ মরিচের গুড়া দিয়ে মাখালো।দিদার হাতা গুটিয়ে এগিয়ে এসে বলে,“দেন ভাইয়া আমিও আপনার সাথে মাখাই।তাইলে স্বাদ আরো বাড়বে।আমার হাত কিন্তু ধোঁয়া আছে।এইমাত্র ধুয়ে এসেছি।”
শামীম হেসে দিয়ে বলে,“আমরা কিছু বলছি না তো ভাই।আপনি আসেন।”
দুজনে মিলে মাংস মাখায়।তারপর খড়ি এনে তাতে আগুন জ্বালিয়ে ইটের চুলার ওপর বড় হাড়ি রাখে। চুলা থেকে আসা ধোঁয়া মৌলির চোখেমুখে লাগলে দর্শন একটু সরে যায়।মৌলি হেসে দিয়ে বলে,“থাঙ্গু পুপা।”
দর্শন ঠোঁট প্রসারিত করে। দিজা একবার সুযোগ বুঝে পারুল বেগমকে ভিডিও কল দিলো।পারুল বেগম ধরতেই দিজা ক্যামেরা দর্শনের দিকে দেয়।ফিসফিস করে বলে,“তোমার ছেলের পরিবর্তন হয়েছে মা।”
“অনেক হয়েছে রে।”
দীপ্ত ফরাজি কথাটি বলতেই পারুল বেগম বলেন,“মাশাআল্লাহ বলো মাশাআল্লাহ।”
চুলায় রান্না বসানো হলো।হাঁড়িতে বড় কাঠের খুন্তি দিয়ে নাড়াচ্ছে শামীম আর চুলার আগুনের দেখাশুনা করছে দিদার।খড়ি নামিয়ে দেওয়া আবার আগুনের তেজ কমলে চুলায় খড়ি ঢুকানোর কাজ করছে। দিজা এবার সবার মাঝে প্রসঙ্গ তুলল,“আমাদের এই আনন্দ মুহূর্তে একটা গান হলে কেমন হয়?”
“মাইকে বাজাবা?”
শোভার প্রশ্নে দিজা মাথা নাড়িয়ে বলে,“উহু,ভাইয়া অনেক ভালো গান গাইতে পারে।”
“উনি তো চুলার কাজে ব্যস্ত।”
“আরে তোমার স্বামী আমার বড় ভাইয়ার কথা বলছি।”
শোভা “ওওওওওও” করে আবার চোখ বড় বড় করে বলে, “এহ!”
“হ্যাঁ।”
দর্শন গলা খাঁকারি দিয়ে বলে,“এখন সম্ভব না।”
“কেন ভাইয়া?প্লীজ গাও একটা গান।”
“ইচ্ছা করছে না এখন।আহামরি ভালো গাইও না।”
“আমরা কিন্তু শুনি মাঝেমাঝে ঘরের পাশে ঘর ভুলে যেও না।”
“কখনও তো বলিসনি।”
দিজা একটু থেমে গেলো।এতদিন ভয়ে বলেনি।আজ একটু সাহস সঞ্চয় করে বলা।মৌলি হঠাৎ করে দর্শনের খোচা খোচা দাড়িতে হাত বুলিয়ে বলে,“গাও প্লীজ।”
দর্শন মুচকি হেসে বলে,“ঠিক আছে কিন্তু একটা কথা।আমি সব ধরনের গান পারিনা।টুকটাক জেমস আর আলাদা কয়েকটা এলবাম জানি।”
দিদার বলে,“তাতেই হবে তুমি গাও।”
নীরব পরিবেশ তৈরি হলো।দর্শন চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ গান ভেবে অতঃপর শুরু করে,
“আমি আর আমার এই দুচোখ,
কখনও জলে ভেজাবো না।
এ ব্যাথা আমারই থাক,
চাইনা কারো শান্তনা।
পৃথিবী ভালোবাসে না,
ভালবাসতেও সে জানেনা।
পৃথিবী ভালোবাসে না,
ভালবাসতেও সে জানেনা।
কান্নায় লাভ নেই
কান্নায় হবে না
কোনোদিন পদ্মা-মেঘনা
দিনের আলোয় শুকিয়ে যাবে সে
হবে না তো এক নদী যমুনা…
কান্নায় লাভ নেই
কান্নায় হবে না
কোনোদিন পদ্মা-মেঘনা
দিনের আলোয় শুকিয়ে যাবে সে
হবে না তো এক নদী যমুনা।”
গান থামালো দর্শন।চোখ মেলে তাকালো সবার দিকে।সবাই মুগ্ধ হয়ে শুনছে।মৌলি নিজেও দেখছে দর্শনকে।দর্শন মুচকি হেসে জানায়,“আগেই বলেছিলাম আমার গাওয়া গান আপনাদের পছন্দ হবেনা।”
আচমকা সবাই হাততালি দিলো।শামীম বলে,“ভাইজান অনেক ভালো গাইছেন আপনি।”
মৌলিও হাততালি দেয় শুধু দেয়নি শোভা।দর্শন তাকিয়ে আছে শোভার দিকে।ফোনের ওপাশে পারুল বেগম চোখের পানি মুছলেন।দর্শনের গানের মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ বুঝতে পারছেন।না হোক সে জন্মদাত্রী মা আর নাই বা হোক দূত মা তবুও তো তিনি মা।সৎ মা যেটা লোকমুখে কটু শুনতে হলেও তিনি সৎ শব্দটার মান ধরে রেখেছেন।দর্শনের মস্তিষ্কে কখনও বাজে প্রভাব ফেলতে দেননি।
পিকনিক শেষে বাড়িতে চলে গেলো দুই ভাইবোন।থেকে গেলো শোভা ও দর্শন।রাতে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সবাই।দিদার সব ব্যবস্থা করে দিয়ে চলে গেলো।শোভা দরজা লাগিয়ে মাদুর হাতে যেই বিছাতে নিবে ওমনি দর্শনের আওয়াজ শুনতে পায়।কর্কশ কন্ঠে বলে,“তুমি চাইলে বিছানায় ঘুমোতে পারো।”
শোভার হাত থেমে গেলো।তাকালো দর্শনের দিকে। দর্শন গলা ঝাড়া দিয়ে বলে,“কাল দিদারের জন্য মেয়ে দেখতে যাওয়া হবে।তোমার কোমরে ব্যাথা উঠলে আবার আরেক ঝামেলার ফেস করতে হবে।দাদাজান কথা শুনাবেন আর তোমার তো মুখ চলেই।”
“শুধু এই কারণগুলোর জন্য আমাকে বিছানায় ঘুমোতে বলছেন?”
“তাছাড়া কি?”
বাবুই পাখির সুখী নীড় পর্ব ১৬
শোভা মৃদু হেসে বলে,“আমি কাল কোমর ব্যথা সহ্য করে নিবো।”
দর্শন তাকালো শোভার চোখের দিকে।শোভা চোখ নিচু করে মাদুর বিছিয়ে বালিশ নিতে চাইলে দর্শন বালিশ ধরে দিলো টান।শোভা সহ বালিশ তার গায়ের উপর চলে আসলো।দর্শন মুখে দুটো শব্দ উচ্চারণ করেছিল,“আমি বললাম..
বাকিটা আর বলতে পারেনি।কারণ শোভা তার গায়ের উপর উঠে আসাতে দর্শনের ঠোঁট চলে যায় শোভার চোয়ালে।শোভার গাল হা হয়ে গেলো।এই প্রথম অনাকাঙ্খিত চুম্বন ঘটলো।দর্শন শোভা দুজনেই স্তব্ধ।এখনও একই ঘনিষ্ঠ অবস্থায় আছে।দর্শনের গায়ের উপর শোভা ভর দিয়ে আছে।দুজনের হৃদস্পন্দন ওঠানামা করছে।শোভা চোখ বন্ধ করে নিলো।দর্শন সেই মুখশ্রী দেখছে।লজ্জামাখা মুখটা দেখে দর্শন আচমকা মৃদু হাসি দেয়।