বাবুই পাখির সুখী নীড় পর্ব ২৭
ইশরাত জাহান
দুপুরের দিকে ঘুম ভাঙ্গে শোভার।চোখ মেলে পেটের উপর ভার কিছু অনুভব করে।একটু উঠে দেখে দর্শনের মাথাটা তার পেটের উপর।শোভা একটু অবাক হলো।এখন তার শরীরটা সুস্থ লাগছে। মাথা ব্যাথা নেই।শরীরে দুর্বলতা নেই।তাহলে কি দর্শনের সেবা দ্বারা সুস্থ সে!ভেবেই ঠোঁটের কোণে হাসি আসলো।শোভা একটু উঠতে চায়।এভাবে মাথা উঁচিয়ে রাখা সম্ভব না।এছাড়া তাকে উঠতে হবে।একটু নড়তেই দর্শন চোখ মেলে তাকিয়ে বলে,“কিছু লাগবে?”
শোভা মাথা নাড়িয়ে বলে,“বাথরুমে যাবো।”
দর্শন হাত ধরে দাড় করায় শোভাকে।শোভা উঠে দাঁড়িয়ে বলে,“আমি নিজেই যেতে পারবো।আপনাকে আসতে হবে না।”
দর্শন মৃদু হেসে বসে পড়ল বিছানায়।শোভা চলে গেলো।এরমধ্যে আসে দিজার কল।ধরতেই দিজা বলে,“আমি কাল সোজা পরীক্ষা দিয়ে আসব ভাইয়া।খালামণি আজকে যেতে দিচ্ছে না।তুমি ভাবীকে নিয়ে কলেজে যেও।”
“তোর ভাবীর জ্বর এসেছে।”
“কি বলো!কিভাবে?”
“কালকে বিকালে বৃষ্টিতে ভিজেছে তাই।”
“তুমি কিভাবে জানলে?”
“আমি বিকালে এসেছিলাম বাসায়।”
দিজা একটু হেঁসে দিয়ে বলে,“ওওওওও,আমি কি আসব ভাইয়া?’’
“না থাক।আসতে হবে না তোকে।আমি আছি ওকে দেখার জন্য।”
“অফিসে যাবে না আজ?”
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
“না,আজকে অফিসে যাবো না।কাল একেবারে ওকে ভার্সিটিতে দিয়ে চলে যাব।”
দিজা মৃদু হেসে বলে,“আচ্ছা তাহলে রাখছি।”
দর্শন কল কেটে দেখে শোভা বেরিয়েছে।বাইরে এসে শোভা বিছানায় বসে বলে,“কয়টা বাজে?”
“একটা দশ।ওহ মাই আল্লাহ!অনেক লেট হয়েছে।আমি কিছুই তো রান্না করিনি।”
“আমি যাচ্ছি আপনি বসুন।”
“না,তুমি বিশ্রাম নেও আমি যাচ্ছি।”
“আগে নামাজ পড়ে নিলে ভালো হয়।”
“হ্যাঁ,তুমি ওযু করে নেও আমিও ওযু করে আসছি।”
দুজনেই দুইদিক থেকে ওযু করে এলো।একসাথে জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়তে শুরু করে।শোভা বেশ সময় ধরে মোনাজাত শেষ করে।দর্শন উঠেছে অনেক আগেই।মোনাজাত শেষ করে কর গুণে কিছু পড়ছে অতঃপর নিজের বুকে ফু দেয়।দর্শন দেখে বলে,“এগুলো কি পড়লে?”
“নামাজের পরেও কিছু দোয়া থাকে যেমন অলসতা দুর করা,সংসারে সুখ আল্লাহর থেকে চাওয়া,বিপদ থেকে মুক্তির জন্য অনেক দোয়া আছে ওগুলো পড়তে হয়।”
শোভা উঠে জায়নামাজ ভাঁজ করে বলে,“দুজনে একসাথে রান্না করি চলুন।”
“হুমম,চলো।”
দুজনেই রান্নাঘরে গেলো।শোভা ফ্রিজে মাছ মাংস দেখে নাক সিটকে বলে,“আজ এগুলো খেতে ইচ্ছা করছে না।আপনি কি খাবেন?”
“আমি ভেজিটেবল করতে পারি।”
“এটা তো আমিও পারি।”
“আমি কোরিয়ান ভেজিটেবল এর কথা বলছি।ওটা শুধু খেতে বেশী মজা।ওটাই খাবো এখন।”
“সে আবার কিরকম?”
দর্শন মৃদু হেসে ক্যাপসিকাম,বাঁধাকপি,বরবটি,পেঁপে,গাজর বড় বড় করে কুটে নেয়।ছুরি দিয়েই আদা রসুন কুচি কুচি করে খুব সুন্দরভাবে রাখলো প্রিসে।শোভা দেখছে নিখুঁতভাবে এগুলো কাটতে।দর্শন এবার পেঁয়াজ কাটলো।নিজের মত সব করছে দেখে শোভা বলে,“আপনি এতকিছু পারেন?”
“কোরিয়াতে আমাদের নিজেদের কাজ নিজেরাই করতাম।আমার সাথে এক কোরিয়ান ফ্রেন্ড ছিল।ওই আমাকে এগুলো শিখিয়েছে।”
“সে এখন কি করে?”
“বিজনেস সামলায় ওদের ওখানকার।”
দর্শন ভেজিটেবল কোরিয়ান স্ট্যাইলে রান্না করে।কিছু সস ও প্যাকেট ছিঁড়ে কিসব মিক্সড করে যা দেখে শোভা বুঝে উঠতে পারেনা কিন্তু দেখছে শুধু।আরেকটা গ্যাস ধরিয়ে তাতে মুরগির লেগপিস দিয়ে অলিভ ওয়েল তেলে হালকা ভেজে নেয় তাও গোলমরিচ গুঁড়ো আর আদা রসুন কুচি দিয়ে।শোভা মুখটা বেকিয়ে বলে,“পেঁয়াজ ঝাল এগুলো কিছু দিবেন না?অতটুকু তেলে হবে?”
“খুব ভালো ভাবেই হবে।খেয়েই দেখো আজ।ভাত লাগবে না সাথে।”
শোভা ভাবছে এগুলো খাবে কিভাবে!ওর তো ক্ষুধাও লেগেছে।কি করবে বুঝতে পারছে না।এগুলো দেখতে তো ভালোই কিন্তু রান্নার ধরন দেখে ওর মনে ধারণা হয়েছে মাংসের মধ্যে কোনো মশলাই ঢোকেনি।ভিতরটা কাঁচা আছে।গা কেমন ঝিনঝিন করে ওঠে ওর।দর্শন এবার তাতে সয়া সস দিতেই শোভা বলে,“এটা কত জায়গায় দিবেন?”
“এটাই তো বাইরের দেশের খাবারের আসল স্বাদ আনে।ওরা সস দেয় বেশি।”
“কাঁচা মরিচ কি চেনেনা ওরা?”
“অবশ্যই চেনে কিন্তু সবকিছুতে না।”
“এগুলো খেয়ে বাঁচে কিভাবে?”
“তুমি আমি যেভাবে বেঁচে থাকব সেভাবে।”
“আমার কান্না পাচ্ছে।”
“কেন?”
“আপনাকে রান্না করতে দেখে।বিশ্বাস করেন আমি আপনাকে আর রান্না করতে দিব না।”
দর্শন বুঝল না শোভার কি হলো।শোভা তো এমনি ওর ভাইয়ের মোবাইলে টুকটাক দেশের কয়েকটা ভিডিও দেখেছে কিন্তু এতকিছু নিয়ে জানেনা।দর্শন রান্না শেষ করে টেবিলের উপর গুছিয়ে বলে,“আসো,খেয়ে একটু রেস্ট নিবে।”
“আমি খেতে পারবো তো?”
“কেন পারবে না?আমি নিজেই তো খাই।”
“কিভাবে খান?গা ঘিনঘিন করে না?রান্না কোনোদিন এভাবে করে!”
“ওহ!সব রকম খাবার টেস্ট করতে হয়।আর এটা তোমার শরীরের জন্য ভালো।হেলদি খাবার এটা।”
“এমন হেলদি খাবার দিয়ে কি হবে যেটা খাওয়ার আগেই গা ম্যাজম্যাজ করে!”
শোভা বিড়বিড় করে বলে তাই দর্শন শুনতে পায়নি।শোভাকে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে দর্শন এবার ধমক দিলো,“কি হলো আসো?”
শোভা একটু কেঁপে ছুটে এলো।দর্শন চেয়ার টেনে দিতেই শোভা বসে।শোভার সামনে প্লেট দিয়ে খাবার দিলো।সাথে চামচ।বাটিতে ঝোলঝোল সবজি আর প্রিসে একটা লেগপিস।শোভা চামচ দিয়ে সবজি নিয়ে মুখে নেয়।খেতে নোনতা সুপ ছাড়া স্পেশাল কিছুই পেলো না শোভা।হালকা একটা ঝাঁঝালো অনুভব হলো কিন্তু খুব বেশি না।গোলমরিচের জন্য এই ঝাল পেলো।অর্ধেক বাটি খেয়েই পেট ভরে গেলো শোভার।পানি খেয়ে বলে,“আমার খাওয়া শেষ।”
“চিকেন টেস্ট করো।”
“ইচ্ছা করছে না।”
“খেয়ে দেখো ভালো লাগবে।”
“আমি খাবো না।”
“আরে একবার টেস্ট করেই দেখো।”
শোভা ওড়না দিয়ে নাকমুখ ঢেকে উঠতে নিলে দর্শন নিজ চেয়ার ছেড়ে উঠে এসে শোভার পিছনে দাঁড়িয়ে শোভার হাত ধরে কাটা চামচের সাহায্যে মাংস নিয়ে শোভার গালে দিয়ে নেয়।শোভা না না করে মাথা দুলিয়ে যাচ্ছে।জোর করে গালে ঢুকিয়ে দিলো মাংস।শোভা একটু খেয়ে বলে,“হুমমম মজা তো।”
“আমি জানতাম খেতে ভালো লাগবে।”
মৃদু হেসে খাবার শেষ করে শোভা।দর্শন নিজেও তার মত খেয়ে নিলো।দুজনে মিলে টেবিল পরিষ্কার করে নিজ ঘরে যায়।
বিকালের দিকে দর্শন ল্যাপটপের স্ক্রিনে চোখ রেখেই বলল,“ঘুরতে যাবে আজ?”
শোভা চমকে তাকালো তার দিকে।
“কোথায়?”
“পার্কে।”
দর্শন মুখ তুললো এবার ঠোঁটে হালকা হাসি।শোভা মাথা নাড়ল,“আচ্ছা।”
“তাহলে রেডি হয়ে নিও।”
বলেই আবার কাজে মন দিল দর্শন।কিছুক্ষণ পর শোভা ফিরে এলো।মাথা থেকে পা পর্যন্ত কালো বোরকায় ঢাকা শুধু চোখজোড়া দৃশ্যমান।হাস্যোজ্বল মুখে বলে,“আমি রেডি।”
দর্শনের চোখ অজান্তেই কিছুক্ষণ থেমে থাকল তার চোখে।আজ সে নিজেও একটু আলাদা।সাদামাটা শার্টের বদলে গায়ে ছড়ানো একটা টিশার্ট সাথে জিন্স।শোভা অভ্যস্ত ছিল না দর্শনের এই রকম পোশাকের সাথে।এর আগে দেখেনি তাই।সাথে মনে হলো আজ যেন কিছুটা হালকা হাওয়ার ছোঁয়া আছে তার কথায় ও চলনে।
দুজনে একসাথে বেরিয়ে এলো।শোভা জিজ্ঞেস করল,“আপনার গাড়ি নিবেন না?”
দর্শন মাথা নাড়ল,“না,আজকে রিকশায় যাবো।”
শোভা অবাক হলো।চুপিচুপি তাকালো দর্শনের মুখের দিকে।এই মানুষটা প্রতিদিন কঠিন মুখে নিয়মের জালে বাঁধা একজন।আজ যেন একটু ভিন্ন।একটু সহজ একটু কাছের।
রিকশায় পাশাপাশি বসে আছে দুজনে।চারপাশে ছড়ানো সন্ধ্যার আলো।বাতাসে ভেসে আসা ফুলের গন্ধ আর দুজন নীরব যাত্রী।তাদের গল্প তখনও বলা বাকি।
রিকশা থামলো পার্কের সামনে।দর্শন নেমেই ভাড়া মিটিয়ে শোভার সাথে পার্কের ভিতর ঢুকলো।একসাথে একই পথে হাঁটছে দুজনে।শোভার কালো বোরকা ঝড় হওয়ায় একটু দুলছে।এই সময়ের ঠিক নেই।কখন বৃষ্টি কখন রোদ একটু ইঙ্গিত দিয়ে আসেনা।বর্তমানে বাতাস বাড়ছে চারপাশ থেকে।দর্শন শোভার পাশ দিয়ে হাঁটছে নিশ্চুপে।হঠাৎ ওদের নজরে গেলো প্রেমিক প্রেমিকা অথবা স্বামী স্ত্রী হবে এমন জুটি।দুজনে একত্রে হাত ধরে হাঁটছে।আরেক স্থানে বেঞ্চে বসে একজনের কাঁধে মাথা রেখে কান্না করছে আরেকজন।এসব দেখে শোভা একটু লজ্জা পেলো।মনে মনে বলে,
“বাসায় কি এসব প্রেমের জায়গা নেই?”
দর্শন আচমকা বলে ওঠে,“আমি এই প্রথমবার পার্কে আসলাম তাও তোমাকে নিয়ে।ভাবিনি পার্কের অবস্থা এমন।হ্যাঁ পার্ক নিয়ে একটা বাজে অভিজ্ঞতা আমার আছে কিন্তু এক্সপেন্সিক এরিয়াতেও এমন ওপেন মাইন্ড রিলেশন এটা জানতাম না।”
শোভা তাকালো দর্শনের মুখের দিকে।সবার আড়ালে বলতে বোরকার মধ্যে হাসলো।তার হাসি দেখতে পেলো না কেউই।আশেপাশে তাকিয়ে বলে,“পরিবেশ কিন্তু সুন্দর।”
“ঝালমুড়ি খাবে?”
“না।”
“ফুসকা?”
“আমি বাইরে খাবার খাওয়ায় অভ্যস্ত না।”
“মুখ খুলতে হবে তাই?”
“হ্যাঁ।”
“আচ্ছা তাহলে বাসায় নিয়ে যাবো?”
“আপনার ইচ্ছা।”
“তোমার ইচ্ছা বলতে কিছু নেই?”
“যেমন?”
“এই যেমন আমাদের যে সংসার বা জীবনের এগিয়ে যাওয়ার যে পথ সেখানে তোমার কিছু চাওয়া পাওয়া নেই।”
“চাওয়া পাওয়ার যে বুঝ ওটা আমার মাঝে আসেনি কখনও।মায়ের শাসনে বড় হয়েছি মা মারা গেলে ভাবীর কাছে মাতৃত্বের ভালোবাসা পেয়েছি।মায়ের থেকেও যেনো ভাবী আরো বেশি আমাকে নিয়ে সতর্ক।নিজের ওই ছোট্ট কুড়েঘুরে ভবিষ্যত পরিকল্পনা আসেনি।সেই তুলনায় অনেক কিছুই পেয়েছি আমি।”
“তোমার ব্রেন অনেক ভালো।রেজাল্ট প্রশংসনীয়।”
“আর আমি?”
দর্শনের পা থেমে গেলো।শোভা চেয়ে আছে।দর্শন শোভার দিকে ঘুরলো।শোভা গলা খাঁকারি দিয়ে বলে,“আপনার কাছে আমার সবকিছু ভালো লাগলেও আমাকে কেমন লাগে এটা জানালেন না।”
শোভা অনেক আশা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়লো কিন্তু দর্শন উত্তর দিলো না।দুজনে একসাথে ঘুড়লো অনেক।সন্ধ্যার পর কিছু খাবার নিয়ে বাড়ি ফিরলো।শোভা বোরকা খুলে হাতমুখ ধুয়ে নিলো।দর্শন নিজেও ফ্রেশ হতে যায়।শোভা ফুসকা সাজিয়ে নেয়।ছোট্ট বাটিতে টক নিয়ে ফুসকাগুলো প্লেটের চারিপাশে রাখে।আরেকটাতে মোগলাই পরোটা।দুইটি কাপে চা রাখা।শোভা খাবার নিয়ে ঘরে আসে।দর্শন হাতমুখ মুছে বলে,“ব্যালকনিতে চলো।ঠান্ডা মুগ্ধকর বাতাস আছে সেখানে।”
দুজনে সেখানে গেলো।প্রথমে ফুসকা খেয়ে তারপর মোগলাই পরোটা খেলো।চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে শোভা বলে,“গিটার বাজাতে পারেন?”
“হুমমম।”
“আপনি গানও অনেক সুন্দর গাইতে পারেন।”
“শুনবে?”
“শোনান।”
দর্শন চায়ে চুমুক দিয়ে গিটার হাতে নিয়ে আওয়াজ করে।শোভার জন্য আজ তার গাইতে ইচ্ছা করছে খুব।শোভাকে ইঙ্গিত দিতেই শুরু করে,
“তুমি অনেক বেশি চালাক
বাকি সব বাকি থাক
আর কোনো কথা হবেনা।
আমি হলে দুর্নীতি
তুমি হলে রাজনীতি
এমন তো প্রথা হবে না।
কূটনীতি খেলা হবে
লাজ ভুলে কাজ হবে
মেজাজ দেখতে যেও না।
ধুম করে.. গুম করে দেবো
কোনো নালিশ কাজে দেবে না!
চুপ করে রূপ ধরে নেবার এই
বাজে স্বভাব যাবে না।
ধুম করে গুম করে দেবো
কোনো নালিশ কাজে দেবে না!
চুপ করে রূপ ধরে নেবার এই
বাজে স্বভাব যাবে না।”
এতক্ষণ ধরে দর্শনের গান শুনে মোহিত দৃষ্টিতে দেখতে থাকে শোভা।দর্শন গান শেষ করে শোভার দিকে ফিরে ভ্রু নাচিয়ে বলে,“কেমন?”
“ভালো।”
“শুধুই ভালো?”
“হুমমম।”
“কোনো কিছু মনে হয়নি?”
“কি মনে হবে?”
“গানটা শুনে।”
“উহু।”
দর্শন হতাশার নিশ্বাস নিয়ে সামনে তাকিয়ে বলে,“রাতে কি খাবে?”
বাবুই পাখির সুখী নীড় পর্ব ২৬
“আপনি রান্না করবেন?”
“হুম,কাল তোমার পরীক্ষা।আজকে রান্না করতে হবেনা।আমি রান্না করে দিচ্ছি।তুমি পড়তে বসো।”
শোভা এক পলক দর্শনকে দেখে ভাবছে,“এতদিন নিজেকে অভাগী ভাবা আমিটা,আজ নিজেকে ভাগ্যবতী বলে দাবি করতে ইচ্ছা করছে।”