ভিলেন ক্যান বি লাভার পর্ব ২৩

ভিলেন ক্যান বি লাভার পর্ব ২৩
মিথুবুড়ি

” আর কেউ আসবে না। তুমি রিল্যাক্স থাকতে পারো।”
‘চকিত দৃষ্টিতে তাকাল এলিজাবেথ তাকবীরের সুগভীর চোখজোড়ায়। তাকবীর একদমই স্বাভাবিক। পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট বের করে। পরপর পাশে এলিজাবেথ আছে ভেবে আবার পকেটে রেখে দিল। এলিজাবেথের এলার্জি আছে তাই। এলিজাবেথ খুবই চমকিত। জিভ দিয়ে ঠৌঁট ভিজিয়ে বলল,” মানে?
‘ তাকবীরের অবয়বে কোনো পরিবর্তন দেখা গেল না। সাবলীল গলায় প্রত্যুত্তরে বলল, “এখন থেকে আর রাতে কোনো রক্তখেকো পাখি তোমার গলা চেপে ধরতে পারবে না।”
‘ হতবাক হয়ে যায় এলিজাবেথব। এমন লাগল যেন ভিড়ের মাঝে হঠাৎ কাপড় খুলে দেওয়া হলো—লজ্জা, রাগ আর হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। তাকবীর এলিজাবেথের নিশপিশ স্তম্ভ দেখে ফিচলে হাসল।

” টেক ইট ইজি। তুমি আমার কাছে মুক্তমনা হতে পারো। ”
” আপনি কি ভাবে জানলেন?”
‘ ওয়েটার কে ডাক দিল তাকবীব। অতঃপর বিল পরিশোধ করে উঠে দাঁড়ায়। এলিজাবেথও সাথে সাথে দাঁড়াল। তাকবীর কে অনুসরণ করে হাটতে লাগল। তাকবীরের নয়ন জোড়া খুবই উদ্ভাসিত, তেমনি কণ্ঠস্বর। হাঁটতে হাঁটতে কণ্ঠনালী ফাঁক করে বেরিয়ে ভারি স্বর,
“আমাকে হিন্দুস্তানী কাঁকড়া পাখি বলতেই পারো—যে শিকারির মতো চোখ মুদে থাকে, কিন্তু মস্তিষ্ক সবসময় তীক্ষ্ণ তীরের মতো সজাগ। ”
‘এলিজাবেথের নেত্রদ্বয়ে চকচকে কৌতুহল। তাকবীরের আচরণ মাঝেসাঝেই খুবই অদ্ভুত ঠেকে তার কাছে। হুটহাটই মনে হয় তাদের মধ্যে বিরাজ করছে এক মস্ত বড় প্রাচীর। যেই প্রাচীরের আড়ালে রয়েছে তাকবীরের গুপ্ত রাজ্য। ভিতরে ভিতরে তাকবীরের অজানা জগতের প্রতিটি রহস্য ছুঁয়ে দেখার তীব্র ইচ্ছা এলিজাবেথের।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

” কি মেডাম, কি এতো ভাবা হচ্ছে?”
‘ কল্পনা জল্পনার জগৎ থেকে বের হয় এলিজাবেথ। গ্রীবা বাকিয়ে তাকাল তাকবীরের কৃষ্ণগহ্বরে। মায়াবী স্নিগ্ধ পুষ্পময় চেহারা। ” আপনাকে খুব অচেনা অচেনা লাগে, যখন এতো গম্ভীর ভাবে কথা বলুন। যাকে আমি চিনি না এবং যাকে আমার একদমই ভালো লাগে না । ”
‘ আশেপাশে তাকিয়ে ফিক করে হেসে দিল তাকবীর। চতুর্থপাশে যে যার যার মতো কেনাকাটায় ব্যস্ত। সেই সুযোগে একটু হেসে নিল তাকবীর। যাকে বলে শরীর কাঁপিয়ে হাসা। এলিজাবেথ চোখজোড়া ছোট ছোট করে তাকায় তাকবীরের দিকে। পরপর গাল ফুলিয়ে গমগমে গলায় বলল,
” আমাকে কি জোকার মনে হয়, যে আমার কথায় এভাবে হাসতে হবে? ”
‘ হাসির থামানোর পায়তারা হিসেবে দাঁত দিয়ে ঠৌঁট চেপে ধরে তাকবীর। ফলস্বরূপ বেশি করে প্রকম্পিত হয় সুগঠন শরীর। গালের সাইজ ক্রমশ বাড়তে থাকে এলিজাবেথের। একটা টুকা দিলেই ফেটে যাবে মোমের মতো নরম গাল। মেকি রাগ দেখিয়ে এলিজাবেথ সামনের দিকে যেতে থাকে। তাকবীরও ছুটল ওর পিছন পিছন। ছ্যাবলার মতো তখনও ঠৌঁটে লেপ্টে আছে প্রসারিত হাসি। বহিঃপ্রকাশ পাচ্ছে আজ অধিক খুশি সে।

‘ মুখোমুখি বসেছে ফাদার আর রিচার্ড। দুজনেরই দৃষ্টি তীক্ষ্ণ আর ধারালো। পরণের পোশাকেও নেই কোনো পার্থক্য। আপাদমস্তক কালোতে আবৃত। রিচার্ডের চোখে স্পষ্ট ঘুমের অভাবজনিত ক্লান্তি। একটু পরপর হাই তুলছে। তবুও নিজেকে যথেষ্ট শক্ত পরতে এঁটে রেখেছে এবং নিয়ন্ত্রিত। সামনের ছোট টেবিল থেকে চায়ের কাপ নিল ফাদার। শব্দ করে চায়ে চুমুক দিল আয়েশী ভঙ্গিতে।
” আমাকে বলা হয়েছিল আপনার উপর হামলা হয়েছে। কিন্তু হামলার কোনো আলামত এখনো পর্যন্ত আমার চোখে পড়েনি। ”
‘ ফাদারের গভীর এবং স্থীর দৃষ্টি। ভ্রু-তে নেই অতিরিক্ত নড়াচড়া। মাপা এবং রহস্যময় চাপা হাসি অভ্যন্তরে। তবে বাহিরে প্রকাশ পেল তুষ্ট হাসির। চামড়া ঝুলে যাওয়া চোয়ালে প্রসারিত হাসি।
” এছাড়া তোমাকে ইতালি ফেরানো যেত না রিদ। ”
‘ চোয়াল শক্ত হল রিচার্ডের। তবে মুখাবয়ব স্থির এবং নিরপেক্ষ, কোনোরকম ক্ষুব্ধতার চিহ্ন প্রকাশ পেল না চওড়া তামুকে। একই ভাবে তুষ্ট হেসে বলল,
” আমার সাথে ছলনা? ” ~ বাক্য উচ্চারণের সময় ভ্রু জোড়া কিঞ্চিৎ উঁচায় রিচার্ড। শূন্য দৃষ্টিতে জমা হয়েছে ক্রোধের পাহাড় তার বুঝতে বাকি থাকল না তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তার অধিকারী এককালীন ইতালি কাঁপানো মাফিয়া বসের। কিছু বলার আগেই শোনা গেল রিচার্ডের চাপা স্বর,
” আপনি জানের আমার কাছে সবথেকে ঘৃণিত জিনিস কোনটি। ”
“আই নো মাই সন। তবে তুমিও জানো ভিনসেনজো কাসানো কখনো কৌতুকে বিশ্বাসী নয়। প্রয়োজন আমায় ছলনার পথে নামতে বাধ্য করেছে—এটাই নিয়ম।”
‘ এবার রিচার্ড ফিরে গেল তার নিজ বৈশিষ্ট্য। পৈশাচিক স্বরূপে আবির্ভূত হলো তার গুরুর সামনে। সামনের ছোট টেবিলে ছো মেরে থাপা মেরে দাঁড়াল। চিবিয়ে চিবিয়ে বলল,
” আর নিয়ম ভাঙা রিচার্ড কায়নাতের নিয়ম। ”

” রিচার্ড।
‘ চোখে তীব্র শীতলতা আর ঠোঁটে নীরব বিষ, একটাই বাক্যে ফাদারের রাগের ভার স্পষ্ট । শব্দ কম, কিন্তু তার ওজন সমস্ত ঘর ভরিয়ে দেয়। ফাদার কখনো রিচার্ড কে রিদ ছাড়া ডাকে। এই প্রথম ডাকল। রিচার্ডের কপালে ভাঁজ সংকুচিত হলো। কোম্পোজার বজায় রেখে বসে পড়ল রিচার্ড।
” পার্ডন। ”
‘ পরিস্থিতি নিজ নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রিত করতে থাকে ফাদার কৌশলে। নিষ্পত্তি ঘটল সকল প্রকাশ ক্ষোভ, গম্ভীরতায়।
” শুনলাম তুমি নাকি কাল কিং কোবরা গ্রুপের কয়েকজন কে গাড়ি চাপা দিয়েছ? ”
” যেভাবে পিছন থেকে আসতে চেয়েছিল সেভাবেই পিছন থেকে মেরে দিয়েছি। ”
‘ সন্তুষ্টিজনক হাসি দিল ফাদার। রিচার্ডের কাঁধে হাত রেখে উদ্ভাসিত স্বরে আওড়ায়, ” এই তো আমার বাঘের বাচ্চা। তোমারই তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তার জন্যেই আমি তোমাকে এতো ভালোবাসি। ”
‘ রিচার্ড বাঁকা হেসে তাকাল ফাদারের দিকে। গম্ভীরতা ছাড়াও এই স্বরে আছে নিজস্ব ওজন। নিরপেক্ষ ভঙ্গিতে বলল, ” তা নাহলে আমার অবস্থাও আর সকল বাচ্চাদের মতোই হতো ? ”

‘ মাথা নাড়িয়ে হাসল ফাদার৷ অতঃপর রিচার্ডের কাঁধ থেকে হাত সরিয়ে পায়ের উপর পা তুলে সোফায় গাঁ এলিয়ে বসল আয়েশী ভঙ্গিতে। চিরায়ত গম্ভীর গলায় শুধায়,
” ব্যাপার টা যদি এক আংশিকও স্বার্থের খাতিরে হতো তবে আমার এই অঢেল সম্পত্তি তোমার নামে করে দিতাম না। রাজার আসন ছেড়ে তোমাকে সিংহাসনে বসতাম না। আর না হতে তুমি ইতালির ডন। ”
‘ প্রত্যুত্তরে রিচার্ডের অধর কোণে বক্র হাসি। ” আপনি যা দিয়েছেন তার থেকেও অধিক আমি অর্জন করেছি এই আট বছরে। ”
” তোমাকে আমার ছেলের জায়গায় বসিয়েছি রিদ।”
“দুঃখিত, আপনাকে কখনো বাবার আসনে বসাতে পারিনি। তবু, একমাত্র আপনাকেই আমি শ্রদ্ধার শীর্ষে স্থান দিয়েছি।”

‘ অমায়িক হাসি দিল ফাদার। আবারো সোজা হয়ে বসল। খানিকটা ঝুঁকল রিচার্ডের উপর। বিহ্বলিত ভাবে পেলব হাত রাখল রিচার্ডের রুক্ষ কাঁধে। নিস্প্রভ দ্বিধাহীন নজরে তাকিয়ে থেকে বলল, ” এটার ভারই যে খুব। নিজের হাতে গড়া তোমাকে চিনি তো আমি। ”
” উঠা যাক এবার? ”
” আমার একজন অতিথি আছে। পরিচয় করিয়ে দিই তোমার সাথে।”
‘ তেরচা নজরে ফাদারের দিকে তাকাল রিচার্ড, বলল
” কে?”
” হিয়ার ইজ হি। ~ ভ্রু উঁচিয়ে সামনে ইশারা করল ফাদার। ভাঁজ সংকুচিত ভ্রুদ্বয় সামনে দিকে ফিরল। নিমিষেই চিবুক শক্ত হয়ে যায় রিচার্ডের। নিয়ন্ত্রণহীন ক্রোধে দু-হাত মুষ্টিমেয় করে নেয়। গৌড় বর্ণের ত্বকে স্পষ্ট শিরা-উপশিরার জাল ফুটে উঠে। সমুদ্রের নীল চোখে জমছে আগ্নেয়গিরির দহন, ফেটে পড়ার অপেক্ষায়। হিংস্রতার ছায়ায় বিড়বিড়িয়ে জেগে ওঠে পৈশাচিক, বিকৃত মস্তিষ্ক,
” ও এখানে কেন?”
” আমি ডেকেছি।”
‘ রিচার্ডের শক্ত দৃষ্টি উপেক্ষা করে তাকবীর নিরুদ্বেগ ভাব নিয়ে গিয়ে বসল ফাদারের পাশের সোফা। মুখোমুখি রিচার্ড, তাকবীর আবারও। একজনের চোখে শান্তির বহমান মন্থর শিথিলতা, আরেকজনের চোখে রক্ত গরম আগুন। যেই আগুনে উসকানিমূলক মিষ্টি ছিটা মারে তাকবীর। ঠৌঁটের কোণে বরাবরের মতো অমায়িক হাসি।

” হাই ব্রো! হোয়াটসঅ্যাপ,,?
“ওয়ান্না ডাই? ”
” রিদ কন্ট্রোল ইওরসেল্ফ। ”
” জাস্ট ফা*ক অফ। ”
‘ আগুনে আর একটু ঘি ঢাললো তাকবীর। ” স্টপ বিইং সো রুড..হি ইজ সিনিয়র। ”
” রিদ কাম ডাউন বেটা। ”
‘ দাঁতে দাঁত পিষতে থাকে রিচার্ড। ফাদার কিছুক্ষণ সময় নিয়ে পরিবেশ কে শান্ত করল। পরিস্থিতি নিরব রইল কিছুক্ষণ। অতঃপর বিস্ফোরিত হলো মহা বাক্য।
” তোমাদের দুজনকে এখানে ডাকা হয়েছে বিশেষ উদ্দেশ্যে। রিদ আমি চাই তোমার ছায়া ঐ-মেয়ের জীবনে না পরুক।”
‘ রিচার্ডের বিলম্বহীন জবাব,কাঠকাঠ বাক্য,”নেগেটিভ।”
” রিদ।”
” আপনাদের মধ্যে যোগসূত্র কি ফাদার ? ”

‘ শক্ত হয় ফাদারের কণ্ঠস্বর, ” আমি কাউকে কৈফিয়ৎ দিতে বাধ্য নয় রিদ। এটা তোমার থেকে ভালো অন্তত কেউ জানে না। ”
‘ তাকবীর নিরব দর্শক। ঠৌঁটের কোণে হাসি লেপ্টে আছে সেই তখন থেকে। রিচার্ডের ক্রোধ তিরতির করতে বাড়তে থাকে। রুষ্ট চাপা গলায় বলল,
“আপনিও ভালো জানেন ফাদার। আমি হারতে জানি না। নিজের শিকার পাতাল থেকে হলেও টেনে আনব।”
‘ ঠোঁট গোল করে গরম নিশ্বাস ছাড়লেন ফাদার। রিচার্ড যা বলেছে, একেবারে ঠিক। শত বাধা এলেও নিজের লক্ষ্য ছিনিয়ে নেয় রিচার্ড। স্বার্থসিদ্ধির জন্য নরখাদক হতেও এক মুহূর্তও দেরি হয় না। কাউকে তোয়াক্কা করার মানুষ রির্চায় নয়। ফাদার তাকাল তাকবীরের দিকে। ওর অবয়বে কোনো প্রকার ভাবান্তর নেই। আড়ম্বরে পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে । আবার তাকাল রিচার্ডের উতপ্ত, খরখরে মরুভূমির বুকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। ক্রোধে মটমট কটছে চোয়াল। ঘনঘন নিশ্বাস ছেলে নিল ফাদার। পরপর দিল রাজার ভাষণ,
” ঠিক আছে। প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়া যুদ্ধের কোনো মর্যাদা নেই। তবে হোক, দেখি এই যুদ্ধের শেষ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। শর্ত একটাই—এই লড়াইয়ে তোমরা কেউ কাউকে সরাসরি আক্রমণ করতে পারবে। দুজনের জবানবন্দি দিয়ে যেতে হবে। এটাই আমার আদেশ!”

” ডিল ডান। ”
” ডিল ডান। ”
‘ আশ্চর্যজন ভাবে দুজনেই এক সাথে বলে উঠল। তেমনিভাবে দুজনের ঠৌঁটের কোণায়ই বাঁকা হাসি ঝুলানো। কণ্ঠনালী বেয়ে হাসি ঠোঁটে ভেঙে পড়ল, যেন অভ্যন্তরীণ উচ্ছ্বাসের এক টুকরো ঝলক। তাকবীর উঠে দাঁড়ায়। রিচার্ডের দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ মেরে, ফাদার কে নিদ্রালুতা জানিয়ে হনহনিয়ে চলে যায়। ঠোঁটের আগায় জমে উঠেছে রহস্যের গভীরতা, যেন প্রতিটি শব্দে অন্ধকারের আভাস।
‘ উঠে দাঁড়ায় রিচার্ডও। তা দেখে ফাদার তড়িঘড়ি করে বলল,” আশা করি রিদ অকৃতজ্ঞ নয়। ”
‘ স্মার্ক করল রিচার্ড। গুরুগম্ভীর গলার বলল,” হুহ! তেমনি রহস্যের উন্মোচনেও রিচার্ড স্বাচ্ছন্দ্যবোধী, যেন তার কাছে কিছুই অজানা নেই।”
‘ বলে হনহনিয়ে চলে যায় রিচার্ড। সহসাই এক উজ্জ্বলিত শিখা প্রজ্জ্বলিত হলো ভিতরে ফাদারের। সোফায় গাঁ এলিয়ে দিয়ে শূন্যে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। আনমনে বিরবির করল,
” আমি যা করছি, তা তোমার ভালোর জন্যই রিদ।”

” মাঝেমধ্যে খুবই মায়া হয় তোর জন্য। ”
‘ তাচ্ছিল্যময় স্বরে পিছন ঘুরে তাকবীর। দেখতে পায় রিচার্ড সিগারেট হাতে দূরে দাঁড়িয়ে আছে। গাড়িতে আর উঠল না তাকবীব। শব্দ করে লাগিয়ে দিল ডোর। রিচার্ড বরাবর দাঁড়াল পকেটে হাত ঢুকিয়ে। অতঃপর গ্রীবা বাকিয়ে ঠৌঁট কামড়ে হাসল। হেসে নিরেট ঠান্ডা স্বরে বলল,
” &দে চাটনি বেকার খাটনি। ফিল সো ব্যাড ফর ইউ ব্রো।সাময়িক সময়ের জন্য নিস্তব্ধ হয়ে গেছি, তবে মনে রাখিস, মেঘ কেটে গেলে সূর্য পূণরায় কিরন দেয়। জয় আমারই হবে। ”
‘ জমানো ধোঁয়া গুলো বাষ্পের ন্যায় শূন্যে ছেড়ে দিল রিচার্ড। বৃদ্ধাঙ্গুলের ডগার অংশ কপালে চুলকালো ভঙ্গিমায় তুষ্ট হাসে বলল,

” যেখানে আকাশই থাকবে না সেখানে কিরণ দেওয়ার প্রশ্ন আসছে কই থেকে? ”
‘ গম্ভীর হল তাকবীরের রক্তিম চেহারা। আগুন বর্জন করলো কথায়, চোখে জ্বলছে ক্রোধের অগ্নি, ” মানে? ”
” মানে ইউ আর এ লুজার। ”
” লুজার তো তুই হবি যখন এলোকেশী আমার হবে। ”
” সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। ~ অনড়ভাবে সিগারেট টানতে টানতে নিরুদ্বেগ ভাব নিয়ে বলল রিচার্ড। উচ্চশব্দে হাসল তাকবীর। পরপর হাসি থামিয়ে চিচিয়ে চিবিয়ে বলল,
” তুই তো একটা রেপিস্ট।”
‘ মুহুর্তের ভাবভঙ্গিমার পরিবর্তন দেখা মিলল রিচার্ডের চওয়া তামুকে। এক পা এক পা করে তাকবীরের দিকে এগোতে থাকে। আর বলে,
” ধর্ষণ করলে ঝোপঝাড়ে নিয়ে যেতাম। নিজের সাজানো রাজপ্রাসাদে নিয়ে যেতাম না। আমার ছোয়া খুবই বিষাক্ত। অল্পস্বল্পয় সই না আমার। তাই সোজা নিজ কুঠিরে নিয়ে গিয়েছি। ”
‘ আকস্মিক তাকবীর চেপে ধরল রিচার্ডের কলার। বজ্রপাতের মতো গম্ভীর কণ্ঠ চেঁচিয়ে বলল, ” খবরদার তোর এই নোংরা মুখ দিয়ে আমার ফুলের নাম নিবি না।

” তোর ফুল বাগানের মালিক আমি। আর সেই বাগানের সাধারণ একটা মালি তুই। ~’ বলে এক ঝাড়া দিয়ে ছাড়িয়ে নেয় নিজেকে রিচার্ড। তাকবীরের চোখ দিয়ে আগুন ঝড়ছে। হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক ভাবে হাসল তাকবীর।
” যা ধরতে পারবি না, তা সামলানোর ক্ষমতাও তোর নেই।
‘ কপালের পাশের নীল বর্ণের রগগুলো ফুলে ফেপে উঠে রিচার্ডের। শার্টের অন্তরালে আচ্ছাদিত গান বের সরাসরি তাকবীরের মাথায় তাক করে রিচার্ড। তাকবীরের অভিব্যক্তি অত্যন্ত স্বাভাবিক। যেন কিছুই না! দুধ ভাত। গ্রীবা শূন্যে তুলে দু’পাশে ঘুরাল। অধর জুড়ে বাঁকা হাসি। হঠাৎ, বিদ্যুৎ গতিতে রিচার্ডের হাত থেকে অস্ত্রটা ছিনিয়ে নিল তাকবীর এক থাবায়। একই মুহূর্তে একই ভাবে দানবীয় মসৃণতায় ঘুরে গান পয়েন্টে নিয়ে নিল লুকাস কে। রিভল/ভারটির সরু নল লুকাসের কণ্ঠনালিতে ঠেকে যেতেই লুকাস হচকিয়ে যায় লুকাস। তাকবীরের কোমরে আলগোছে তাক করে রাখা গান নিচে পড়ে যেতে নিলে মাটিতে পড়ার আগেই তাকবীর চমকপ্রদ দক্ষতায় সেটি ক্যাচ করে নেয়। হাতে দুইটি বন্দুক। দু’টি হাতে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র ধরে ফিরল রিচার্ডের দিকে। রিচার্ড যেন আগেই জানত, এমনটাই হবে। বাঁকা হেসে তাকিয়ে ছিল তাকবীরের চোখে। দুই শিকারীর দৃষ্টি মিলল। দু’পাশে লোডেড অস্ত্র। উত্তেজনার মুহূর্ত যেন কোনও হলিউডের ক্লাইম্যাক্স।
‘ রিচার্ড একদম তাকবীরের মুখোমুখি এসে দাঁড়াল। সটান হয়ে। রিচার্ড তাকবীরের তুলনায় কিছুটা লম্বা এবং সুগঠন। রিচার্ডের গলায় স্পষ্ট বিদ্রুপ।

” তুই মরবি। দুনিয়ার সবচেয়ে ভয়ংকর, সবচেয়ে জঘন্য মৃত্যু তোর জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু নাহ_তোকে আমি মারব না। কারণ আমি মারলে শুধু তোর শরীর কষ্ট পাবে। অথচ তোর কপালে এমন মৃত্যু লেখা আছে, যা তোর হৃদয় ভেঙে দিবে। তুই নিজেই নিজের ভেতর থেকে শেষ হয়ে যাবি।”
‘ তাকবীরেরও একই স্বর, ” তবুও তো ভাঙার জন্য একটা হৃদয় আছে আমার, তোর তো সেটাও নেই। যে-ই হৃদয় দিয়ে অনুভব করবি তুই মানুষ। ”
‘ রিচার্ডের মুষ্টিবদ্ধ হাতের তোয়াক্কা না করে তাকবীর মুহুর্তের মধ্যেই গাড়ি নিয়ে স্থান ত্যাগ করে। গাড়ি দৃষ্টিগোচর না হওয়া পর্যন্ত রিচার্ড ধারালো দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে।

‘ এটা ছিল সকালের দৃশ্যপট। তখন এলিজাবেথ গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন। এলিজাবেথ ঘুম থেকে উঠার আগেই তাকবীর আবার ফিরে আসে। সন্দেহ করার মতোই কোনো জায়গায় রাখেনি। মধ্য বেলার তারা বাইরে বের হয়। একসাথে দুপুরে লাঞ্চ করে টুকটুক কিনা কাটা করবে বলে। এলিজাবেথ কিছু গার্লি আইটেমস নিচ্ছিল। হঠাৎ হাঁটার মধ্যে অসাবধানতায় একটা ছেলের সাথে ধাক্কা লাগে। তবে ছেলেটার ক্ষেত্রে সেটা ইচ্ছাকৃত ছিল। তাকবীরের চোখে সর্বপ্রথমেই ধরা পড়ে ছেলেটার কুদৃষ্টি। তাকবীর ঝড়ের বেগে গিয়ে ছেলেটার কলার চেপে ধরে। ছেলেটা ইতালির নাগরিক, এবং খুবই বদ। মুহূর্তেই হট্টগোল লেগে যায়। এলিজাবেথ টেনেটুনে তাকবীর কে সরিয়ে আনে। পরবর্তীতে সিকিউরিটি গার্ড এসে ছেলেটিকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যায়। ছেলেটির উগ্র আচরণ সকলের চোখেই লেগেছিল। তাকবীর রাগে কিরমিরাতে থাকে। এলিজাবেথ এটা-ওটা বলে ওকে শান্ত করার চেষ্টা করল।
‘ একটা ইমারজেন্সি কলে তাকবীর একটু সাইডে যায়। এলিজাবেথ মনের স্বাচ্ছন্দ্যে জিনিস দেখতে থাকে । তাকবীর বলার পরও ভিতর থেকে ভয় একেবারে দূর করতে পারছে না। হঠাৎ এদিকসেদিক তাকাতে গিয়ে চোখ পড়ল পিছনে।

” লোকা ।”
‘ লুকাস মাত্রই দৌঁড় দিতে যাচ্ছিল। তার আগেই এলিজাবেথের চোখে পড়ে গেল। এলিজাবেথ এগিয়ে যায় লুকাসের কাছে। কাখচুমাচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে লুকাস। এলিজাবেথের ভ্রু-জোড়া কুঁচকানো। সন্দেহবাতিক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,
” লোকা ভাইয়া আপনি এখানে?”~ ঐদিনের পর থেকে লুকাসের প্রতি এক অদৃশ্য নির্ভরতা কাজ করে এলিজাবেথের। ভয় হচ্ছে না আজ কেন জানি।
‘ লুকাসের কাঁচুমাচু ভাব চলে গেল। গদগদে গলায় আওড়ায়,” এই মেয়ে সত্যি করে বল তো তুমি স্বামী রেখে আমার বসের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে গিয়েছ কিনা?”
‘ বিস্ময়ে হতভম্ব হয়ে যায় এলিজাবেথ। গমগম স্বরে বলল,”মানে? ”
” তা নাহলে তুমি জানলে কি করে বস আমাকে লোকা ডাকে ? ”
‘ ভেংচি কাটে এলিজাবেথ, বলে ” ওটা তো আমি এমনে এম্নেই বললাম। ”
‘ চোখ ছোট ছোট করে লুকাস। বিন্দু পরিমাণ বিরক্ত প্রকাশ করে বলে, “এতো ঠিক তো ঘড়ির টাইমও না, যতোটা তোমার টাইম ঠিক।”

‘ এলিজাবেথ চেহারা কে বাচ্চাদের মতো বোলা বালা বানিয়ে জানতে চাইল, ” আবার কি করলাম?”
” আমি যেতে চেয়েও, যেতে পারলাম না। তার আগেই দেখে ফেললে। ”
” তা আপনি মেয়েদের সপে কি করছিলেন? গুন্ডামী রেখে ইভটিজিং করা শুরু করে দিয়েছেন নাকি?”
” বড় হই তোমার মেয়ে। সম্মান দিয়ে কথা বল।”
‘ দু’হাতে মুখ চেপে হাসল এলিজাবেথ। পরপর রসকষ, টক ঝাল,মিষ্ট, নুন সব একসাথে মেকে ন্যাকামো করে বলতে থাকে,
” আমার প্রাণ প্রিয় ধর্মের ভাই,আরেক মায়ের পেটের ভাই। সদ্য জন্ম নেওয়া লুকাস ভাই । আমার প্রিয়, তোমার প্রিয় সর্বজনীয় লুকাস ভাই । ভাই, ভাই সবার ভাই লুকাস ভাই। হে ভাই, যদি একটু দয়া-করুণাসূচক এই অভাগীটাকে একটু ভাগ্যবান বানাতে যদি বলতেন, যে কীভাবে আপনার পদধূলি এই জগতে এসে পড়ল! মন, প্রাণ, জান, কলিজা, হার্টবিট সব কিছু পুলকিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে সাঁতার কাটতে যাচ্ছিল, কিন্তু আপনার কথা মনে পড়তেই জীবনটা নতুন করে ফাটল! তবে, ভাই! আপনি যদি কখনো ভাবতেন, এই অভাগীর জীবনটা কীভাবে উন্নত হবে, তাহলে আপনি সেই গোপন সুত্র জানতেন, যার মাধ্যমে আমাদের মতো গরিবদেরও সাফল্যের সীমানায় পৌঁছে দিতে পারবেন ভাই”

‘ তাজ্জব বুনে গেল লুকাস। বাক্য হারায়। থ মেরে চেয়ে থাকল এলিজাবেথের দিকে। যে শিশুর মতো মুখ বানিয়ে রেখেছে। পরপর গাল খাসকি দিয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে ক্ষীণ আওয়াজে বলল,
” তোমাকে মেয়ে আমি শান্তশিষ্ট, ভদ্র ভেবেছিলাম। ”
” কিন্তু আমি তো এর থেকেও বেশি ভদ্র। ~এলিজাবেথ আগ বাড়িয়ে জবাব দিয়ে দিল। তপ্ত শ্বাস ফেলে লুকাস। এই মেয়ে কে খুবই চুপচাপ ভেবেছিল। এখন দেখে এটা আস্ত বাঁচাল।
” লোকা ভাইয়া বললেন না তো। ”
” কি বলব?”
” কেন এসেছেন এখানে?”
‘ হঠাৎ করেই লুকাসের অবয়বে লজ্জাময় আভা ফুটে ওঠে। ঢলঢলে হলো কণ্ঠস্বর, ” সাদা হবার ক্রিম নিতে এসেছি। ”
” কিন্তু আপনার তো ফুল হোয়াইটিং বডি লোশন লাগবে। শুধু ক্রিমে তো হবে ন,,,
‘ ধমক দিয়ে থামিয়ে দিল লুকাস। চুপসে যায় এলিজাবেথের মুখ। রাশভারি আওয়াজে বলল,
” আমার সুইটির জন্য নিতে আসছি। বিয়ে করব খুব দ্রুত। সুইটি চাই বাচ্চা যেন আমাদের মতো না হোক। তাই এখন থেকেই ক্রিম দেওয়া শুধু করবে।”
‘ এলিজাবেথের গম্ভীর গলা,বলল ” কালো রং কি খারাপ? ”
‘ লুকাসের কণ্ঠ খাদে নামল খানিকটা, ” না তবে সমাজে খুবই অমূল্যায়িত। ”
‘ খারাপ লাগা শুরু হয় এলিজাবেথের।
” তবে কালো বা সাদা যাই হোক কোনো চিন্তা নেই। আমার মেয়ে ছেলের এমনিতেই প্রেম হবে না। বাপের ভয়েই পালাবে সব। ”

‘ পরিবেশ স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে গেল লুকাস। ফিক করে হেসে দেয় এলিজাবেথ। হাসতে হাসতে পেট চেপে ধরে। হাসি যেন দূত্যি ছড়াচ্ছে চারিপাশ।
‘ অপর দিকে এক অদৃশ্য শক্তি নজর বন্দী করে রেখেছে ল্যাপটপের স্ক্রিনে। সামনে প্রজেক্টরে কোম্পানির এমডি নতুন বিল্ডিংয়ের পল্ট দেখাচ্ছে। সেদিকে কোনো ভাবান্তর নেই হৃদয়হীন গ্যাংস্টার বসের। অনড়ভাবে চেয়ে আছে মুক্তোদানার মতো ঝকঝকে হাসিতে। চোখে অপ্রকাশিত কিছু একটা। কানে ব্লুটুথে শোনা যাচ্ছে হাসির রিনঝিনে শব্দ।
অভিব্যক্তি স্বাভাবিক, শক্ত।
‘হাসতে হাসতে চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে আসে এলিজাবেথের। লুকাস চোখ গরম করে চোখ রাঙানি দিল।হাসি থামাল এলিজাবেথ। তবে কথা বন্ধ হয় না। মিটিমিটি হেসে বলল,
” দিছি দোয়া করে, বাচ্চা হবে হালি হালি । ”
‘ আশ্চর্যজনক ভাবে খুবই খুশি হলো লুকাস। গদগদে গলায় বলল, ” থ্যাঙ্ক ইউ, থ্যাঙ্ক ইউ। ইউ আর আ গুড গাই মিষ্টি মেয়ে। ”

‘ বিহ্বল হয়ে ওয়েলকাম বলতে যাবে এলিজাবেথ, তখনই মস্তিষ্কে এক ঝাঁটকা পড়ল। দু’হাতে কোমর বেঁধে দাঁড়াল। ঝাঁঝালো স্বরে মৃদু চেঁচিয়ে বলল,
” এই,, এই,,আপনি আমাকে কি বললেন?”
‘ লুকাস যেন বিনা দোষে আসামি। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজের জাস্টিসের জন্য বয়ান দেওয়ার মতো করে বলল, ” আরে গাই কি জানো না? ভুল বললাম কি আজব। গাই হলো নারী গরু, যারা বাচ্চা দেয়। তুমিও তো নারী, বাচ্চা জন্ম দিতে পারবে। ঘুরে ফিরে একই হলো না ? ”
” একটা অসভ্য লোকের সাথে থাকতে থাকতে আপনিও একটা অসভ্য হয়ে গিয়েছেন। ~হনহনিয়ে অন্যদিকে চলে যায় এলিজাবেথ। লুকাসও হেসে অপরদিকে হাঁটা দিল।

‘ এলিজাবেথ লিভিং রুমে ছিল। টিভিতে নিউজ চলছে। তাকবীর মাত্রই ফিরল। একটু পর স্টাফ এসে রাতের খাবার দিয়ে যাবে। একটা জরুরি মিটিংয়ে এটেন্ড করবে তাকবীর। তাই নিজের রুমেই আছে আপাতত । হঠাৎ এলিজাবেথ হুড়মুড়িয়ে ঢুকল তাকবীরের রুমে। তাকবীর অবাক হল কিছুটা এলিজাবেথের এহেন আচরণে। এলিজাবেথের চোখেমুখে ভীতি।
” নিউজ দেখেছেন? ”
‘ তাকবীর ল্যাপটপ ওপেন করতে করতে সহজাত বলল,
” হ্যাঁ আসার সময়ই দেখলাম। ”
” এটা শপিং মলের ঐ-ছেলেটা নাহ?”
” কোন ছেলে? ”
‘ ধৈর্য্যহারা হয় এলিজাবেথ। ” আরে ঐ-যে ধাক্কা লাগল আমার ঐ-ছেলে। কে জানি খুব বিধ্বস্ত ভাবে মেরেছে। মুখ একদম থেঁতলে দিয়েছে। লাইভ নিউজ দেখাচ্ছে। ”
” বাজে ছেলে। হয়তো কোনো পাপের ফল পেয়েছে। ”
‘ এলিজাবেথ কিছু বলতে যাবে তখনই চোখ যায় তাকবীরের হাতে। ওর বা হাতে সাদা ব্যান্ডেজ করা। ” আপনার হাতে কি হয়েছে? ”

ভিলেন ক্যান বি লাভার পর্ব ২২

‘ এলিজাবেথের কথায় হাতের দিকে তাকাল তাকবীর। পরপর বিরক্তিমাখা স্বরে আওড়ায়, ” আরে বল না। এখানকার ডাইভার’রা এতো রুডলি গাড়ি চালায়। আসার সময় একটা বড়সড় এক্সিডেন্টের হাত থেকে বেঁচে আসলাম।”
‘ এলিজাবেথ কিছু বলতে যাবে তখনই তাকবীরের ফোন বেজে উঠল। ফোনটি ছিল এলিজাবেথের পাশেই। তাকবীর কাজ করতে করতে বলল,” কে দেখো তো একটু। ”
‘ এলিজাবেথ ফোনের দিকে তাকিয়ে বলল,” ডক্টর। ”
‘ তৎক্ষনাৎ ছো মেরে ফোনটি হাতে তুলে নিল তাকবীর। হেঁটে বাইরে চলে গেল। খুবই অবাক হয় এলিজাবেথ।

ভিলেন ক্যান বি লাভার পর্ব ২৪