মনশহরে তোমার নিমন্ত্রণ পর্ব ২১

মনশহরে তোমার নিমন্ত্রণ পর্ব ২১
মুশফিকা রহমান মৈথি

“নাও, বাবা মিষ্টি খাও”
“না ফুপু, আমি মিষ্টি খাই না। আসলে আমার মিষ্টি পছন্দই না। সেটা হোক খাবার বা মানুষ। এইজন্যই বুঝি ঐন্দ্রিলা আমার বউ। ভাগ্যিস সে আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে। নয়তো মিষ্টি মেয়েদের মাঝে আমাকে পিষতে হতো”

খুব বিনয়ী স্বরে কথাটা বললো অভ্র। তার কন্ঠে অভদ্রতা, কটাক্ষ ছিলো না। ফলে হ্যাপি তাকে বেয়াদব আখ্যা দিতে পারলো না। তবে তার মুখবিবরে নেমে এলো মেঘ মেদুর। অভ্রের এমন উত্তরে সালাম সাহেবের মুখে যেনো চারশত ভোল্টের হাসি ফুটে উঠলো। তার জামাই তাকে আজ শুধু চমকে দিচ্ছে আর মুগ্ধ করছে। একজন বাবার জন্য কি এটাই সর্বপ্রাপ্তি নয় যে তার মেয়ের জামাই মেয়ের জন্য সোচ্চার। তাকে আগলে রাখে অপমানিত হবার সুযোগ দেয় না। সাবেরা মুখে গর্বের ছাপ। সে মানুষ চিনতে ভুল করে না। নীলাদ্রি উঠে দাঁড়ালো প্লেট হাতে। যাবার সময় ঐন্দ্রিলার কানে কানে বলে গেলো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“দেখেছিস! অতিসত্ত্বর মজুমদার বংশে নতুন এডিশন হবে”
নীলাদ্রির কথাটা বিনাবাক্যে শুনলো ঐন্দ্রিলা। কোনো প্রত্যুত্তোর না করে নাস্তা শেষ করলো। উঠে যেতে নিলে সাবেরা বললো,
“তোমার জন্য পায়েশ রেধেছি। তোমার তো পায়েশ দিয়ে রুটি পছন্দ”
“আমার খাওয়া হয়ে গেছে”

নির্লিপ্ত স্বর ঐন্দ্রিলার তার কন্ঠের ধার টের পেলো সাবেরা। মেয়েটা কেমন কঠিন হয়ে গেছে। নিজের চার পাশে তুলেছে শক্ত দেওয়াল। সেই দেওয়াল কি একদিনে ভাঙ্গা সম্ভব! ঐন্দ্রিলা চলে গেলো নিজ ঘরে। সাবেরা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। অভ্র ব্যাপারটা খেয়াল করলো খুব নিপুন চোখে। শ্বাশুড়ির হাত ধরে বললো,
“একটু সময় দিন মা। অভিমান যত বেশি হয় তা ভাঙ্গতে সময় বেশি লাগে”
“ভয় হয়, যদি অভিমান ঘৃণায় পরিণত হয়!”
ম্লান হেসে কথাটা বললো সাবেরা। সাবেরার কথার উত্তরে অভ্র বলল,
“ও বোকা মেয়ে শ্বাশুড়ি মা। এতো সহজে ও ঘৃণা করে না। আমাকে ঘৃণা করতে ওর আঠারো বছর লেগেছে। সেখানে আপনি তো তার মা। চিন্তা করবেন না”
সাবেরা হাসলো। অভ্র তাকালো একবার ঐন্দ্রিলার ঘরের দিকে। জেদি মেয়েটা এখনো জেদ ছাড়ে নি। তার এই জেদের প্রাচীর কবে ভাঙ্গবে কে জানে!

জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আছে ঐন্দ্রিলা। বাতাস থমকে আছে। আকাশের চাঁদরে কিছু অভিমানী মেঘ জমেছে। সেই মেঘের অভিমানে সবকিছু থমকে গেছে। সূর্যও ঢেকে আছে সেই অম্বুদের অভিমানে। যেমনটা ঐন্দ্রিলার মনের উচ্ছ্বাসগুলো মিলিয়ে আছে মায়ের প্রতি অভিমানের যাতাকলে। সে মায়ের উপর অভিমানটা ছাড়তে পারছে না। মা তার জন্য অনেক কিছু করছেন। নিজের ভালোবাসা জাহির করতে চাইছেন। কিন্তু এগুলো ঐন্দ্রিলা চায় না। সে চায় শুধু একটা ছোট্ট “সরি”। যেখানে সে থাকবে অনুতপ্ত। বুক চিরে দীর্ঘশ্বাস বের হলো। এর মাঝেই ঘরে প্রবেশ করলো অভ্র। হাতে কফির মগ। কড়া কালো কফি। ঐন্দ্রিলাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তার পাশে দাঁড়ালো। হাতে কফির মগ ধরিয়ে বললো,

“নে তোর কালা কফি। কালা কফি খেয়ে মাথা ঠান্ডা কর”
ঐন্দ্রিলা তার দিকে তাকালো। তার এখন কফি খেতে ইচ্ছে করছে বটে। কিন্তু কাউকে সে বলে নি। অভ্রের এমন হুটহাট উদ্ভট কাজগুলো খুব বিরক্ত করছে। যে ছেলেটা সারাজীবনি তার অস্থিমজ্জা জ্বালিয়ে আসছে সে হুট করে এমন আচারণ কেনো করবে। এতোটা তো যত্নশীল অভ্র নয়। অভ্র পকেটে হাত ভরে দাঁড়িয়ে আছে। ঐন্দ্রিলা মগটা জানালার ধারে রেখে চোখ ছোট ছোট করে শুধালো,

“সোজা সাপ্টা বলতো তোর উদ্দেশ্য কি! এইসব করে কি লাভ তোর! দুইদিন ধরে দেখে যাচ্ছি। কি ভাবিস আমি বুঝি না। তোর অভিনয় ধরতে আমার সময় লাগে না। বাবা-মাকে পটাতে হলে তাদের সামনে ঢং কর। আমার সামনে ভালো সাজার ঢং কেনো করিস! উদ্দেশ্য কি তোর?”
ঐন্দ্রিলার প্রশ্নে তার দিকে শান্ত চোখে তাকালো অভ্র। হাসলো কৌতুক করে। যেনো পৃথিবীর সব থেকে মজার জোকস শুনেছে সে। তারপর গাঢ় স্বরে বললো,
“আমার উদ্দেশ্য তোকে আমার প্রেমের জালে ফেলা। তারপর চুটিয়ে সংসার করা! বিয়ে তো মুখ দেখার জন্য করি নি”
অভ্রের কথায় স্তব্ধ হলো ঐন্দ্রিলা। থমকালো সে। অভ্রের চোখের গাঢ় মায়ায় খাবি খেলো ভীষণভাবে। ফলে দৃষ্টি সরিয়ে নিলো। থমথমে স্বরে বললো,

“সংসার করতে প্রেম লাগে না। যদি সংসার করতে চাস আমার আপত্তি নেই। তবে প্রেম আমার কাছে অভিশাপ। আমি নিজেও জানি না বিয়েটা কেনো করেছি! এই বিয়ের ভবিষ্যত কোথায় সেটাও জানি না! পৃথিবীর আর পাঁচটা মানুষকে দেখাতে সংসার করতে হলে করবো। স্ত্রী হিসেবে যা যা করতে হবে করবো। তবে অহেতুক প্রেমের জন্য সময় নষ্ট করিস না। নশ্বর শরীর ভোগ করতে চাইলে বলিস আমার আপত্তি নেই। ভাঙ্গা হৃদয়ে রাজত্ব করার অলীক স্বপ্ন ছেড়ে দে”
কথাটা শেষ করার পূর্বেই এক গাছা চুল মুষ্টিবদ্ধ করে ক্ষিপ্রভাবে ঐন্দ্রিলাকে নিজের দিকে টেনে আনলো অভ্র। তাদের মাঝের দুরত্বখানা মাত্র কয়েক ইঞ্চি। অভ্রের ক্ষিপ্ত, রক্তিম আঁখির দিকে চাইতেই শরীর কেঁপে উঠলো ঐন্দ্রিলার। ভয় গ্রাস করলো হৃদয়। অভ্রের শক্ত হাতের জোরে ব্যাথায় কুঁকিয়ে উঠলো সে। কাঁপা স্বরে বললো,

“ছাড়।”
“কেনো! ছাড়বো কেনো!”
দাঁত দাঁত পিষে কথাটা বললো অভ্র। তার ক্রোধিত মুখখানা হিম ধরালো শিরদাঁড়ায়। অভ্র তাকে উত্তর দেবার সুযোগ দিলো না। রাগে গর্জে উঠলো,
“কি ভাবিস আমাকে! আমার শরীরের লোভ শুধু! শোন এই মাহাবুল হকের মেয়ের অভাব নেই। তোর শরীর ভোগের জন্য আমি হেন্দিয়ে মরছি না”
“অভ্র লাগছে, ছাড়”
অভ্র তার মুষ্টি আরো শক্ত করলো। ফলে অসহনীয় ব্যাথায় নীল হয়ে গেল ঐন্দ্রিলার মুখ। কিন্তু অভ্র তার বেদনাতুর মুখখানা সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে বললো,

“আমি ভালো মানুষ না ঐন্দ্রিলা। আমার ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিস না। আমি খারাপ হলে সহ্য করতে পারবি না। এখনো ওই ভেড়া সৌরভের শোকে দেবদাস সেজেছিস নাকি! বড় বড় কথা হাকাচ্ছিস। একটা কথা মাথায় রাখ। এই সৈয়দ মাহাবুল হক তোর জীবনের ভবিতব্য। আমার সাথেই তোর সংসার করতে হবে। তাও ভালোবেসে”
“ভালোবাসা কি জোর করে হয়!”

“আমি তো এখনো জোর করি নি। আমাকে বাধ্যও করিস না জোর করতে”
বলেই ছেড়ে দিলো সে। হনহন করে হেটে ঘর ছেড়ে চলে গেলো সে। ঐন্দ্রিলা ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো। চুল ব্যাথা করছে। ছেলেটা এমন কেনো! মুহূর্তেই যত্ন করে আগলে রাখবে মুহুর্তেই ক্ষতবিক্ষত করবে! এমন মানুষকে আদৌও ভালোবাসা যায়। ঐন্দ্রিলার চোখ ঝাপসা হয়ে এলো। এটা মাথা ব্যাথা নাকি অন্তরের দহন জানা নেই। বিকট শব্দ করে অভিমানী মেঘেদের কান্না ভিজিয়ে দিলো ধরনী। ঐন্দ্রিলা গুটিসুটি হয়ে বসে আছে। অশ্রুতে ভিজে যাচ্ছে কোমল গালজোড়া।

আহাশ ছাতি হাতে অপেক্ষা করছে পিউয়ের বাসার সামনে। আজ তাদের ঘুরতে যাবার পরিকল্পনা হয়েছে। যদি বৃষ্টিটা পরিকল্পনায় ছিলো না। তবুও বৃষ্টির জন্য পিউ এর সাথে সময় কাটানোর সুযোগ হারাতে চায় না সে। পিউ জানালার ফাঁক দিয়ে ছেলেটাকে দেখতেই অবাক হলো। এই তীব্র বর্ষণে কেউ কি করে ঘর থেকে বের হয় সেই অংকই মেলাতে পারলো না সে। ফলে নেমে এলো সে ছাতি হাতে। পরণে একটা পুরোনো সেলোয়ার কামিজ। চুলগুলো অবিন্যস্ত হয়ে জটলা পেকে আছে। আহাশ তাকে মুগ্ধ নয়নে দেখলো। এই নারীকে তার সব রুপেই ঐশ্বরী মনে হয়। সহাস্য গলায় বললো,

“তুমি তৈরি হও নি”
“পাগল তুই? এই বৃষ্টিতে কই যাবো?”
“যাবে না তুমি পিউ আপু?”
করুন স্বরে শুধালো আহাশ। পিউ পড়লো মহাবিপাকে। ছোটবেলা থেকে আহাশকে চিনে পিউ। অভ্রের থেকে একেবারেই ব্যতিক্রম। রুদ্র অভ্রের নরম ভাই সে। মনটা একেবারেই তুলতুলে। ছেলেটা সেই ছেলেবেলা থেকেই বেশ লেউটা কিসামের। তাকে দেখলেই রাস্তার বেড়ালছানার মত লাগে। যেন তার মালিক তাকে মাছ চুরির জন্য কান ধরে বের করে দিয়েছে। এখন যদি সে তাকে বলে “না যাবো না” তাহলে বেড়ালের মতো কাচুমাচু করে চেয়ে রইবে। ছেলেটার এই স্বভাব আড়াই বছরে যে বদলায় নি সেটা বুঝতে বাকি রইলো না পিউয়ের। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,

“বেশি দূর যাবো না। ধারেকাছেই”
“চা খাবে? আর পিয়াজু?”
“না হালিম খাবো। দাঁড়া আসছি আমি”
বলেই সালোয়ার-কামিজটা বলতে পাঁচ মিনিটের মাঝেই নেমে এলো পিউ। চুলগুলো চিরুনি না দিয়েই খোঁপা করেছে। ছোট ভাইয়ের সাথে বের হবে এতো সাজের ঘটার কি প্রয়োজন। বের হতেই তার ফোন বেজে উঠলো। “ঐন্দ্রিলা” নামটা উজ্জ্বল। ফোনটা ধরতেই ওপাশের মানবী বলে উঠলো,
“পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমার বাড়ি আয়”
বলেই ফোনটা কেটে দিলো সে। পিউ আহাশের দিকে তাকাতেই যে বললো,
“চলো”

“আজ থাক। আমি বরং কাল যাবো”
আহাশ ঠিক বেড়ালছানার মতো মুখটা কাচুমাচু করে ফেললো। পিউ বললো,
“আচ্ছা চল, আমাকে ঐন্দ্রিলাদের বাড়ি নিয়ে চল। এটাও একপ্রকারের ঘোরাই হবে তাই না?”
পনেরো মিনিটের পথটুকু একত্রে কাটানোর লোভে উজ্জ্বল হয়ে উঠলো আহাশের মুখখানা। ছাতিটা পিউয়ের মাথার উপর দিয়ে বললো,
“হেটে হেটে যাই। বৃষ্টিতে হাটতে খারাপ লাগে না”
পিউ মেনে নিলো। ছেলেটার হাসিটা অম্লান করার ইচ্ছে হলো না। মাথার চুলগুলো এলোমেলো করে বললো,
“তুই একটা পাগল”
“তোমার কাছে আমি পাগল, ছাগল, গরু সব হতে রাজি”

ঐন্দ্রিলাদের বাসায় পৌছাতেই হতবিহ্বল হলো পিউ। নীলাদ্রি তার শকুনতলাকে কোলে নিয়ে বৃ্‌ষ্টিতে ভিজছে। বাদশাহ তার মাথার উপর ছাতি ধরে আছে। নীলাদ্রির মুখখানা মুর্ছিত, ম্লান। পিউ তাকে শুধানোর সাথে সাথে সে কোলের শকুনতলাকে ছেড়ে সকলকে উপেক্ষা করে পিউকে জড়িয়ে ধরলো। নীলাদ্রির এমন কার্যে হতভম্ভ হলো পিউ৷ বাদশাহ তার নয়ন অন্যদিকে সরিয়ে নিলো। আহাশ স্তব্ধ হয়ে গেলো। ভাষা হারিয়ে ফেললো সে। পিউ কাঁপা স্বরে শুধালো,
“কি হয়েছে নীলাদ্রি ভাই!”

নীলাদ্রি উত্তর দিলো না। তবে পিউয়ের কাধে উষ্ণ তরলের অনুভূতি হলো। বাদশাহকে জিজ্ঞেস করতেই সে বললো,
“নীলাদ্রি স্যারের বৃক্ষমহল বাজ পড়ার কারণে পুড়ে গেছে। তার সব জামা কাপড়, বইখাতা সব পুড়ে গেছে। এখন এককথায় সে দেউলিয়া। পথের ফকির”
নীলাদ্রি এখনো জড়িয়ে ধরে আছে পিউকে। পিউ শান্ত স্বরে শুধালো,
“আপনার কিছু হয় নি তো নীলাদ্রি ভাই!”
“নাহ, তবে ওই জল্লাদ হাসছে পিউ। আমার ঘর দখল করে নিয়েছে। এখন আমার থাকার জায়গা নেই”
“আপনার কিছু হয় নি এটাই শ্রেয়। বাকি কোথায় কি হয়েছে আপাতত ভুলে যান”

নীলাদ্রির শখের বৃক্ষমহল পুড়ে গেছে। খুব সাবধানতার সাথে ভেতরের কিছু অক্ষত জিনিসকে বাঁচানো গেছে। সেটা দেখে সালাম সাহেব খুশিতে কিছু সময় কোদাকোদি করেছেন, ভেঙ্গিয়েছেন ছেলেকে। পৈশাচিক হেসে বলেছেন,
“হেহে, ডাবল মাস্টার্স তোর বাড়ি উড়ে গেছে। এতো শিক্ষিত হয়ে এটুকু জানিস না যে বাজ পড়ে ঘরের তারে আগুন ধরতে সময় নেয় না। আহা কি আনন্দ। আমাকে টেক্কা দেওয়া। তুই আসলে একটা ছাগল, আহাম্মক। সার্টিফাইড গাধা”
নীলাদ্রি বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে রইলো। বাবার সামনে সে ঝুকবে না। কিন্তু এক ঘন্টা বাদে তার ঘরের চাবি নিয়ে পিউ তার হাতে ধরিয়ে বললো,

“নিন, আপনার সম্পত্তি আমি পুনোর্দখল করে দিলাম”
“কিভাবে করলে?”
“সেটা সিক্রেট, বলা বারণ। আচ্ছা নীলাদ্রি ভাই আপনি কি আপনার বইগুলোর জন্য কাঁদছিলেন?”
“না ”
“জামাকাপড়?”
“না”
“তাহলে?”
“বলা যাবে না। সিক্রেট। সময় হলে বলবো। সবার প্রথমে তোমাকেই বলবো”
তখনই নজর গেলো তার আহাশের উপর। ছেলেটা ছাতি হাতে দাঁড়িয়ে আছে। নীলাদ্রি চোখ কুচকে শুধালো,
“এই গর্দভটা এখানে কেনো?”
পিউ সাথে সাথেই বললো,

“আমার সাথে এসেছে ও”
“তোমার সাথে ও আসবে কেনো?”
“আচ্ছা নীলাদ্রি ভাই। এই তুফান বৃষ্টিতে ও যদি আমাকে না নিয়ে আসতো আমি কি আসতে পারতাম? তাছাড়া”
পিউয়ের কথা শেষ হবার সুযোগ হলো না। তার আগেই নীলাদ্রি আহাশকে বললো,
“ছোকরা তুমি তোমার বাড়ি যাও”
“বাড়ি যাবো কেনো? আমি কি করবো সেটা আপনি বলবেন? আর আমি বাড়ি গেলে পিউ আপু বাড়ি যাবে কি করে?”

মনশহরে তোমার নিমন্ত্রণ পর্ব ২০

আহাশ বিরক্তি নিয়ে উত্তর দিলো। তার কথায় নীলাদ্রির মুখখানা কঠিন হলো কিঞ্চিত। দৃষ্টি শানিত হলো। পরমুহূর্তেই কঠিন স্বরে বললো,
“সেটা নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না ছোকরা। দরকার হলে আমি নিজেই তাকে পৌছে দিবো”……

মনশহরে তোমার নিমন্ত্রণ পর্ব ২২